নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় মেয়র "আনিসুল হকের" প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮


মেয়র আনিসুল হক। আপনি একদিন গল্প শোনালেন, যারা অবৈধভাবে রাস্তা দখল করবে, তাদেরকে প্রথম দিন হাতে ধরবো। পরের দিন বলবো- স্যার, এটা সরকারি জায়গা, দয়া করে ছেড়ে দিন। তৃতীয় দিন পায়ে ধরবো। বলবো- স্যার, এটা জনগণের জায়গা, সাধারণ নাগরিকের হাঁটার জায়গা প্লীজ ছেড়ে দিন। আপনিও তো এদেশের নাগরিক। আপনার সন্তানও এ ফুটপাত দিয়ে হাঁটবে। সুন্দর, পরিচ্ছন্ন আর সুস্থ পরিবেশে বেড়ে উঠবে। আমাদের সন্তানদের কাছে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এটা আমাদের দায়, এটা আমাদের কর্তব্য। আপনি চান না আপনার সন্তান কোন রকম বাঁধা-বিপত্তি ছাড়া ফুটপাত দিয়ে হাঁটা-চলা করুক?

চতুর্থ দিন গিয়ে যদি দেখি আপনি জায়গা ছাড়েন নাই, তবে বুলডোজার চালিয়ে দেবো। কারণ আপনি দেশের স্বার্থ দেখেন না, নাগরিক অধিকার নিয়ে মাথা ঘামান না, নিজের সন্তানেকে ফুটপাত দিয়ে হাঁটার অধিকার দিতে চা না। আপনি অবশ্যই দেশপ্রেমিক নাগরিক না, হতে পারেন না। আপনি দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না। আশা করেছিলাম আপনি দেশের মানুষের স্বার্থে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জায়গাটি ছেড়ে দেবেন। কিন্তু তা করলেন না। এজন্য দুঃখ পেলাম।

আমরা ভাবলাম এরকম সবাই বলে! কত শত গলাবাজি দেখলাম, নেতা দেখলাম, মেয়র দেখলাম কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সব ফাঁকা বুলি। কারণ বড় বড় মিথ্যা আশ্বাস শুনতে শুনতে আমাদের মাঝে এক রকম অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়া ফুটপাতের এসব দোকানদারীতে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা/কর্মচারী, পুলিশ আর শ্রমিক সংগঠনগুলো জড়িত। এদের চান্দাবাজির মূলোৎপাটন করা সহজ নয়। লাগে সাহস আর সদিচ্ছা।

কয়েক দিন পর দৈনিক পত্রিকায় বুলডোজারসহ বড় বড় করে লেখা- গুলশান ১ এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ! আনন্দে চোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো আমাদের। আমরা আশাবাদী হয়ে উঠলাম। বিশ্বাস করতে শুরু করলাম। আরেকদিন আপনি তেজগাঁও বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থেকে অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করলেন। ট্রাক চালকেরা, তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতারা সারাদিন আপনাকে আটকে রাখলো কিন্তু আপনি পিছু হাটলেন না। নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকলেন। একজন মেয়র হিসাবে, একজন নগর পিতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করলেন, নাগরিকের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হলেন। অবশেষে দখলদাররা বাধ্য হয় আপনার নীতির কাছে, যুক্তির কাছে হার মানতে। আমরা তো এমটাই চেয়েছি, এমন একজন নেতা এতদিন থেকে খুঁজেছি। যিনি নিজের পকেট ভরবেন না, আমাদের পকেট ভরে দেবেন উন্নয়ন করে। আমাদের নগরটাকে দখলমূক্ত করবেন দৃঢ় মনোবল দিয়ে, নিজের দায়িত্ববোধ থেকে।

কাজ করতে করতে আর কুলাচ্ছিলো না, দেহ ঘড়িতে জং ধরতে শুরু করলো। তাই একটু বিনোদন, একটু অবসর আর প্রিয় সন্তানের সান্নিধ্য পেতে ছুটে গেলেন লন্ডনে। বলে গেলেন মাত্র কয়টা দিন থাকবো, ওখান থেকে সব খোঁজ খবর রাখবো, নগরীর উন্নয়ন কোন অবস্থাতে আটকে থাকবে না, সেখান থেকেই কাজের অগ্রগতির তদারকি করবো। কিন্তু না, নিয়তি তা হতে দিল না। লন্ডন থেকে আমাদের মাঝে ফিরলেন লাশ হয়ে। যা আমরা চাইনি।

আপনি কী জানেন, এই শহরে চার হাজার পাবলিক বাস ইহ জনমে আর হয়তো নামবে না। ফুটপাত আবার দখল হবে, তেজগাঁও বাস স্ট্যান্ড চলে যাবে মাস্তানদের আয়ত্বে। মশার ঔষধ ছিটানো হবে না আর। সেই টাকা চলে যাবে ধান্ধাবাজদের পকেটে, আমলা-রাজনীতিবিদরা পকেট ভারী করবে। নগরীর উন্নয়ন প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা লুটপাট হবে। কেউ দায় নেবে না, ভুল হলে জনসমক্ষে এসে 'স্যরি' বলবে না। দিনের পর দিন রাস্তা ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে থাকবে, কেউ মেরামত করার প্রয়োজন বোধ করবে না। আরেকজন আনিসুল হকের জন্য শুধু অপেক্ষা বাড়বে। অপেক্ষা।

আপনি কী জানেন গত এক বছরেও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কোন মেয়র পায়নি! আপনার 'স্বপ্নের ঢাকা প্রকল্প' এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। এখন নতুন কোন স্বপ্নবাজ নেই, অভিভাবক নেই।

মেয়র হয়েও আপনি কোনদিন সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা নেননি। যতটুকু জানি, নিজের বেতনের টাকা অধঃস্তন কর্মচারীদের মাঝে বিতরণ করে দিতেন। তাদেরকে বলতেন, কখনো টাকা পয়সা প্রয়োজন হলে আমাকে বলবে, কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবে না। আপনি ছিলেন তাদের রুল মডেল। আদর্শ নেতা ও অভিবাবক।

আপনি ছিলেন হাজারো তরুণের অনুপ্রেরণা, প্রিয় ব্যক্তিত্ব। আপনি বলতেন, মানুষের স্বপ্ন কোন কোন সময় নিজের কল্পনার চেয়েও বড় হয়। তাই সবাইকে স্বপ্ন দেখতে উৎসাহ দিতেন। নিজে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছেন বলে গরীব ও সাধারন পরিবারের স্বপ্নবাজ তরুণদের উৎসাহ দিতেন, স্বপ্ন দেখতে বলতেন। বলতেন, তোমরাও একদিন আনিসুল হকের চেয়ে বড় হবে। পৃথিবীর সেরা সাইন্টিস্ট, দার্শনিক, চিকিৎসক, প্রযুক্তিবিদ আর খেলোয়াড় তোমাদের মধ্য থেকে যে কেউ হবে। তোমাদের চেষ্টা করতে হবে, লেগে থাকতে হবে। হতাশ হলে চলবে না। মনে রাখবে, ব্যর্থতা হলো সফলতার প্রথম ধাপ। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যারা সফল হয়েছে তাদের বেশিরভাগের প্রাথমিক জীবনে ব্যর্থতা ছিল। তাঁরা হতাশ না হয়ে নতুন উদ্যোমে কাজ করে গেছেন আপন খেয়ালে। তোমাদেরও তাই করতে হবে। প্রতিযোগীতায় ঠিকে থাকতে হলে পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই।

সমাজে কিছু বিরল ব্যক্তিত্ব আছেন যাদের চেহারা দেখলে বিশ্বাস করতে মন চায়। কথা শুনতে মন ব্যকুল হয়ে উঠে। সমাজকে পরিবর্তন করার মতো উপযুক্ত মনে হয়। দায়িত্ববান ও কর্তব্যপরায়ন মনে হয়। অতি আপনজন তথা নিজেদের পরিবারের একজন প্রতিনিধি মনে হয়। আপনি সেই বিরল মানুষদের একজন ছিলেন। যাদের বক্তৃতা ঘন্টার পর ঘন্টা শুনলেও বিরক্ত লাগে না। মানুষটাকে মিথ্যাবাদী মনে হয় না, ধান্দাবাজ মনে হয় না, বাচাল মনে হয় না। একজন আদর্শবান ও দেশপ্রেমিক হিসাবে তাকে বিশ্বাস করতে মন চায়। নিজেদের আস্থার জায়গা মনে হয়।

যেখানে সমস্যা সেখানেই সমাধান নীতিতে চলতে গিয়ে আপনি অনেক প্রভাবশালীদের বাঁধার সম্মুখিন হয়েছেন। অপমানিত হয়েছেন। নিজের মেধা আর যোগ্যতায় এসব ঠান্ডা মাথায় সমাধান করেছেন। প্রতিনিয়ত ছুটাছুটি করতে গিয়ে নিজের প্রতি নজর দেওয়ার সময় ছিল না। যখনই টিভিতে দেখতাম মনে হত রাজ্যের ক্লান্তি চোখে মুখে স্পষ্ট। কিন্তু যেহেতু স্বপ্ন ছোয়া শেষ হয়নি তাই অবসর নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। কাজ পাগল, দায়িত্ববান এ মানুষটির বিরামহীন ছুটে চলতে গিয়ে কখন যে নিজের শরীরে অসুখটা গেঁড়ে বসেছিল খেয়াল হয়নি। অনেক বছর থেকে জমানো জঞ্জাল সরাতে গিয়ে নিজের প্রাণশক্তি ক্ষয়ে ক্ষয়ে নিঃশ্বেষ হয়েছিল অজান্তই।


আপনি সব সময় নিজের গাড়ি সরকারী কাজে ব্যবহার করতেন। সরকারের দেওয়া গাড়ির সুবিধা কখনো নিতেন না। ড্রইভার ও তেল খরছ নিজের পকেট থেকে দিতেন। এমনকি অফিসে অতিথি আপ্যায়ন করতেন নিজের টাকায়। আপনার ব্যক্তিগত ছয়-আট জন আর্কিটেক্ট ছিলেন, যারা ঢাকা শহর নিয়ে প্লানিং করতেন। তাদের বেতন ভাতাও নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে দিতেন। একজন মেয়রের এমন সততা, দেশপ্রেম আর দায়িত্ববোধ আমাদের মুগ্ধ করেছে প্রতিনিয়ত।

আপনি কী জানতেন লন্ডনে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির খবর শুনে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিনিয়ত আপনার জন্য দোয়া করেছেন। প্রতিনিয়ত খবর রেখেছেন। সবাই আশাবাদী ছিলাম একদিন সুস্থ হয়ে আপনি আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। আমরা এ মৃত্যু চাইনি, এখনও মানতে পারিনি। আমাদের এ প্রদীপ অনেকদিন আমাদের আলোকিত করুক, এটাই চেয়েছিলাম। আমরা প্রিয় এ মানুষটাকে যুগের পর যুগ আমাদের মাঝে চেয়েছিলাম। তাঁর স্বপ্নের সাথে নিজেদের স্বপ্নকে একাকার করে আশার আলো দেখছিলাম। আপানাকে হারিয়ে আমরা যে কষ্ট পেয়েছি তা সহজে ভুলার নয়। ভুলতে পারবো না।

আপনি ফিরলেন না বলে আমাদের স্বপ্নগুলো ডালপালা মেলতে পারলো না। আরেকজন আনিসুল হকের জন্য আমাদের অপেক্ষা বাড়তে থাকলো! অনন্ত নক্ষত্রবীথির মাঝে খুঁজতে থাকবো আমরা আপনার ছায়াকে। জানি কারো বিকল্প কেউ হতে পারে না। তারপরও বিশ্বাস করি, আরেকজন আনিসুল হক আমাদের স্বপ্নগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আশাবাদী হই। নতুন প্রজন্মের মাঝে এই সম্ভাবনা দেখতে পাই। নিশ্চয় কেউ না কেউ আপনার স্বপ্নগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আশাহত নাগরিক নতুন করে আশাবাদী হবে, নতুন আশ্রয় খুঁজে পাবে।

ব্যক্তিগতভাবে আপনার সাথে আমার কোন পরিচয় ছিল না। তারপরও আপনি কখন যে আমার আত্মার আত্মীয় হয়ে গেলেন বুঝতে পারিনি। আপনার প্রতিটি বক্তৃতা শুনার চেষ্টা করতাম। প্রতিটি উদ্যোগকে দূর থেকে সমর্থন দিতাম। সব সময় চাইতাম আপনি যাতে সফল হোন। আপনার চাওয়া, আপনার পরিকল্পনাকে নিজের মধ্যে ধারণ করতাম। আশাবাদী হতাম। স্বপ্ন দেখতাম।

আপনি ছিলেন সফল টিভি উপস্থাপক। ভাল বক্তা। সুদর্শন ও আত্মবিশ্বাসী একজন মানুষ। ছিলেন সফল ব্যবসায়ী। দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই এর সফল প্রেসিডেন্ট। সর্বশেষ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। আপনার এত পরিচয়ের মাঝে আমি মেয়র আনিসুল হককে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতাম। হয়তো স্থানিক দুরত্ব বাড়লো আপনার সাথে! তবুও আপনি আশাহীন, অসহায়, নির্যাতিত ও ভেঙ্গে পড়া লাখো নাগরিকের হৃদয়ের মনিকোঠায় আসন পাকা করে নিলেন চিরদিনের জন্য। আপনি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা গ্রহণ করুন। আপনি চিরদিন আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন অুপ্রেরণা হিসেবে।

আপনার মৃত্যুর সংবাদ শুনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব সাঈদ খোকন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন। কত গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা থাকলে এমন হয় তা বুঝানো সম্ভব নয়। কত লক্ষ মানুষ যে আপনার মৃত্যুতে নীরবে কেঁদেছেন তা কী জানেন? অনেক স্বপ্ন হোচট খেয়েছে আপনার এমন নীরব চলে যাওয়ায়।

সারা পৃথিবীর সবচেয়ে অপরিকল্পিত মহা নগরীর তালিকা করলে ঢাকার অবস্থান হবে সবার উপরে। পাবলিক তার প্রয়োজন অনুসারে এ নগরটাকে অপরিকল্পিত উপায়ে বড় করে তুলেছে। সরকারের নগর পরিকল্পনাবিদ কিংবা মেগা সিটি হিসেবে একটি শহর গড়ে তোলার কোন প্লান কখনো ছিল বলে মনে হয় না। এজন্য ঢাকা সিটি এখন পৃথিবীর অন্যতম দূষিত এবং বসবাস অযোগ্য শহর।

এমন একটি নগরীর দায়িত্ব নিয়ে একজন মেয়রের জন্য রাতারাতি পরিবর্তন করা অসম্ভব। মেয়র আনিসুল হক সুনির্দিষ্ট প্লান নিয়ে ঢাকা সিটিকে একটি শৃংখলার আওতায়, জবাবদিহির আওতায়, নাগরিক বান্ধব জায়গায় আনার চেষ্টা করেছেন। ২০২০ সালে ঢাকা মহানগরীর জনসংখ্যা হবে আনুমানিক ২ কোটি ২০ লক্ষ (২২ মিলিয়ন)! টোকিও, মুম্বাই ও দিল্লীর পর ঢাকা হবে পৃথিবীর চতুর্থ জনবহুল নগরী। ঢাকায় নেই পর্যাপ্ত রাস্তাঘাট, নেই হাঁটার জন্য ফুটপাত, নেই মানসম্পন্ন পাবলিক ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা, নেই নিরাপত্তা। একজন আনিসুল হককে দীর্ঘদিন বড়ই প্রয়োজন ছিল ঢাকা নগরীর।

আমাদের জীবনটা ক্ষণিকের স্বপ্নের মতো। অতি অল্প এ সময়ে আমরা দূর্ণীতি, ডাকাতি, অন্যায়-অত্যাচার কত কিছুই না করি। আমরা অন্যায় ভাবে যে সম্পদ আহরণ করি তা কি পুরোটা ভোগ করতে পারি? শেষ বয়সে কি আমরা নিজেদের এসব অপকর্মের জন্য অনুশোচনা করি না? হ্যাঁ, করি। তখন অনেক দেরী হয়ে যায়। নিজেদের শুধরানোর আর কোন উপায় থাকে না।

ভাল থাকুন পরপারে। প্রিয় আনিসুল হক। প্রিয় মেয়র। প্রিয় মানুষ। আপনার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা রইলো।

[আনিসুল হক ১৯৫২ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর নোয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক(সম্মান) ডিগ্রী অর্জন করেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০-এর দশকে দশকে টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। তার উপস্থাপনায় ‘আনন্দমেলা’ ও ‘অন্তরালে’ অনুষ্ঠান দুটি জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৮৬ সালে তাঁর নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান “মোহাম্মদী গ্রুপ” প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর সহধর্মিণী রুবানা হকও দেশের একজন সফল ব্যবসায়ী। আনিসুল হক ২০০৫ থেকে ২০০৬ সাল এই সময়ে বিজিএমই-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৮ সালে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতির দায়িত্ব করেন। ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আনিসুল হক আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদের বিজয়ী হন। ২০১৭ সালের ৩০শে নভেম্বর তিনি লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।]


ব্লগে সেফ হওয়ার আগে এ লেখাটি পোস্ট করেছিলাম; উনার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে আগের লেখার সাথে কিছু সংযোজন করে নতুন করে পোস্ট করলাম। আগের পোস্টে শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান স্যার চমৎকার একটি মন্তব্য করেছিলেন। উনার গুরুত্বপূর্ণ এ মন্তব্যটি আমার লেখার সাথে নীচে সংযোজন করছি।

[হৃদয়ছোঁয়া এ শ্রদ্ধাঞ্জলি পড়ে অভিভূত হ'লাম! মেয়র আনিসুল হক সাহেব আমার এক ঘনিষ্ঠ সহপাঠীর বড়ভাই ছিলেন। ওনার চেহারা এবং ব্যবহারে সর্বদাই এক স্নেহপ্রবণ বড়ভাই বড়ভাই সুলভ ছাপ ছিল। ওনার চেহারা দেখলেই মনে হতো, ওনার কাছে গেলে আদর পাওয়া যাবে।
উনি সৎ, এটা জানতাম। তবে ওনার সততা সম্বন্ধে যতটা বলে গেলেন, ততটা জানা ছিলনা। বিশেষ করে সাত আটজন স্থপতি দিয়ে ঢাকা শহরের প্ল্যানিং করিয়ে তাদের পারিশ্রমিক তথা সম্মানীভাতা সিটি কর্পোরেশন থেকে পরিশোধ না করে নিজস্ব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পরিশোধ করানোর ব্যাপারটা।

কোন রাজনৈতিক পদ আঁকড়ে ধরে না থেকেও গণমানুষের প্রতি দরদী ও সহানুভূতিশীল থাকা যায়, তাদের কল্যাণ সাধন করা যায় যদি সদিচ্ছা থাকে, এটা মেয়র আনিসুল হক তার কার্যাবলী দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন। কৃতজ্ঞ বাঙালীও জানে, যারা তাদের উপকার করে, যারা তাদেরকে ভালবাসে, যারা দেশের জন্য কাজ করে যায়, তাদেরকে কিভাবে ভালবাসতে হয়, সম্মান জানাতে হয়। আর্মি স্টেডিয়ামের বিশাল পরিসরে অনুষ্ঠিত মরহুম মেয়র আনিসুল হক এর জানাজার নামায পড়ে বাড়ী ফিরে এসে আমার ফেইসবুক পেইজে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম।

আপনার এ পোস্টটা পড়ে সে কথাগুলো আবার মনে পড়, আর্মি স্টেডিয়ামের মাঠ পরিপূর্ণ ছিল, মাঠ উপচে গ্যালারীতেও মানুষ কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এসেছে, বাস ভরে, অন্য যানবাহনে করে এবং বহু মানুষ এমনকি ৮/১০ কিঃমিঃ পথ পায়ে হেঁটেও এসেছে। জানাজার পর ফেরত যাবার সময়েও এয়ারপোর্ট রোড ধরে গণমানুষের ঢল স্রোতের মত ভেসে যাচ্ছিল। অনেকটা বিশ্ব এজতেমার সময় যেমনটা দেখা যায়, সাময়িকভাবে সেরকমই। আমি স্টাফরোড ফ্লাইওভারের কাছাকাছি এক জায়গায় গাড়ী রেখে বাকীটা পথ পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। ততক্ষণে যানজট বেঁধে রাস্তা ও ফুটপাথ দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়াও কঠিন হয়ে গিয়েছিল। একই পথ ধরে বহু লোক দ্রুত হেঁটে যাচ্ছিল। হাঁটতে হাঁটতে তাদের মধ্য থেকে একজন মধ্যবয়সী ব্যক্তি কি ভেবে যেন আমাকে সালাম জানালেন। আমি সালামের উত্তর দিয়ে সবিনয়ে তার পরিচয় জিজ্ঞেস করলাম। নিজ পরিচয় দিয়ে তিনি জানালেন, তিনি মিরপুর থেকে হেঁটে আসছেন জানাজায় অংশ নিতে। কেন, জিজ্ঞেস করাতে তিনি জানালেন- "এক কথায়, তিনি খুব ভাল মানুষ ছিলেন"।

জানাজা শেষে ফ্লাইওভারের কাছে ফিরে দেখলাম, যান ও জনের জটিল এক যট। বুঝলাম, মাগরিব এর নামাজের আগে গাড়ী সেখান থেকে বের করা সম্ভব হবেনা। তাই ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থেকে চলাচলরত মানুষ আর স্থবির যানবাহন দেখছিলাম। দেখা হলো ৫৮ বছর বয়সী কমলাপুর থেকে আসা বাছিরুদ্দিন বাচ্চুর সাথে। তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি এতদূর থেকে কেন এসেছেন। তিনি জানালেন, উনি একজন শুধু ভাল মানুষই ছিলেন না, একজন করিৎকর্মা, যোগ্য মেয়রও ছিলেন। শুধুমাত্র তেজগাঁর সরকারী জমি থেকে ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করার জন্য তিনি তাঁকে সম্মান জানাতে এবং তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করতে এসেছেন, যে কাজটি ইতোপূর্বে বহু ক্ষমতাধর রাজনৈতিক নেতা এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা শত চেষ্টা করেও করতে পারেন নি।

আমাদের মাঝ থেকে একজন ভাল মানুষ চলে গেলেন, একজন কর্মোদ্যোগী, দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ব্যক্তি চলে গেলেন, যিনি মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে পারতেন এবং তিনি নিজে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দেখাতে পারতেন। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন তাঁর জীবনের সকল ছোট বড় গুনাহ মা'ফ করে দিন, তাঁকে শান্তিপূর্ণ ক্ববর দান করুন, শেষ বিচারের দিনে তাঁকে জান্নাত নসীব করুন! তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যগণকে সবর ও শক্তি দান করুন। তাঁর ৯৬ বছর বয়সী পিতাকে এই দুঃসহ শোক বইবার ক্ষমতা দিন! তাঁর স্ত্রী, সন্তান সন্ততি, ভাইবোনসহ পরিবারের অন্যান্য সবাইকে হেফাজত করুন।]

ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

চাইলে পড়তে পারেন-

আমার সবচেয়ে পঠিত পোস্ট।
সবচেয়ে লাইকপ্রাপ্ত গল্প-ধূমকেতু
ধর্ষণ ও ধর্ষক (বাংলাদেশ/বহির্বিশ্ব)
অনুবাদ গল্প-(দি নেকলেস)
দি গিফট অফ দ্যা ম্যাজাই
গল্প লেখার সহজ পাঠ
সবচেয়ে পঠিত প্রবন্ধ।
আধুনিক কবিতার পাঠ (সমালোচনা)
আলোচিত ফিচার 'দি লাঞ্চিয়ন'।
ব্রিটেনের প্রবাস জীবন- স্মৃতিকথা।
সবচেয়ে পঠিত গল্প।
ছবি ব্লগ (লন্ডনের ডায়েরি-১)।

মন্তব্য ৮৪ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৮৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব,

এমন একজন সৎ দায়িত্ববান বা কর্তব্যপরায়ণ মেয়রের চলে যাওয়াটা সত্যিই অতীব বেদনার। ওনার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি। এমন অনুকরণে একজন মানুষের জীবন দর্শন নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ঢাকা শহর সম্পর্কে ওনার অপূর্ণ কাজ আগামীতে নিশ্চয়ই কেউ না কেউ করতে এগিয়ে আসবেন এবং উনার দেখানো পথেই ঢাকা শহরের ভাবি পরিকল্পনা শেষ হবে বলে আমার বিশ্বাস।
জানাজা নামাজে বিপুল মানুষের ঢলই প্রমাণ করে দেয় যে উনার মত একজন করিৎকর্মা মানুষ শুধু দলের নয় ,জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের একজন জাতীয় নেতা বৈকি।


বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয় গুরুদেবকে।



৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রথম কমেন্টে প্রিয় 'গুরুজি'-কে পেয়ে দারুন প্রেরণা পেলাম। তিনি যুবক বয়সে টিভি উপস্থাপক হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও ব্যবসায়ী নেতা হিসেবেও বেশ সফল ছিলেন। আর সবশেষে ঢাকা উত্তরের মেয়র হিসেব দেশের আপামর জনগণের ভালবাসার মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতা উত্তর ঢাকা সিটি উনার চেয়ে উদ্যোগী, ত্যাগী আর পরিশ্রমী মেয়র পায়নি। তিনি নগরীর হাজারো সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে এক-এক করে সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন। বেশ কিছু প্রকল্প আলোর মুখও দেখেছে ইতিমধ্যে। নগরবাসীও উপকৃত হয়েছেন এমন উদ্যোগে। হঠাৎ করে এভাবে চলে যাওয়াটা মোটেও কারো কাম্য ছিল না। আরো কয়েকটা বছর এমন একজন মেয়রের বড়ই প্রয়োজন ছিল। আশা করি, নতুন মেয়র এসে উনার দেখানো পথে নগরীকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

ভাল থাকুন, প্রিয় ভাই/প্রিয় গুরু। কলকাতার নতুন মেয়র 'ফিরহাদ হাকিমের' জন্য শুভকামনা রইলো।

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

রাকু হাসান বলেছেন:

মানুষটা মৃত্যু বার্ষিকী কে বেমালুম ভুলে গেলেও কোনো না কোনো ভাবে মনে পড়ে যায় ।আপনার সেই পোস্ট আমি পড়েছি । দেখেছি খায়রুল স্যারের দারুণ মন্তব্যটি । এমন মানুষ দরকার । ঢাকাবাসীর কাছে নয় পুরো বাংলাদেশের মানুষের মনে বেঁচে থাকবেন আপনি । ওপারে শান্তিতে থাকুন ।পোস্ট করার জন্য অভিনন্দন ভাইয়া ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কেমন আছেন, প্রিয় 'রাকু হাসান' ভাই? বেশ কয়েক দিন হলো আপনার নতুন কোন পোস্ট পাচ্ছি না। পড়াশুনার চাপ কমলে আশা করি নতুন পোস্ট পাব। মানুষের মৃত্যুর পর জীবন প্রদীপ নীভে গেলেও তাঁর কর্ম আর ত্যাগ যুগ যুগ ধরে মানুষের মাঝে বাঁচিয়ে রাখে। আনিসুল হক নিজ কর্মগুনে আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন। আপনি আগেই পোস্টটি পড়েছিলেন, তা জেনে ভাল লাগছে। আর 'খায়রুল আহসান' স্যারের কমেন্টটি আমার পোস্টের সৌন্দর্য্য বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছিল। এত যত্ন নিয়ে কমেন্ট করার জন্য স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো।

ভাল থাকুন, প্রিয় রাকু ভাই। শুভ কামনা রইলো।

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উনার সবচে বড় সফলতা একজন কাওসার চৌধুরীর ভালবাসা পাওয়া!

ব্যাক্তি আপনি নন কিন্তু। একজন আমজনতার প্রতীক হিসেবে আপনাকে মিন করে বলেছি।
আপনার লেখা আর প্রিয় সিনিয়র খায়রুল আহসান ভায়ার মন্তব্যের পর আসলে আর বলার কিছু পাচ্ছিনা।
তবে ঢাকায় জোর গুঞ্জন নিয়ে কোন হিন্টস জানেন কি?
উনার চিকিৎসা, উনার ফিরে আসা নিয়ে বেশ ধোঁয়াশা ছিল সে সময়। মিডিয়াও গুঞ্জন নিয়ে কোন পরিষ্কার অবস্থান না নিয়ে
নিরবই ছিল আছে!
হঠাৎ প্রস্থান এক রহস্য হয়েই রয়ে গেল। হয়তো থাকবেও দীর্ঘদিন।

উনার বিদেহী আত্মার জন্য শুভকামনা।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



'বিদ্রোহী ভৃগু' ভাই-
আপনার কবিতাগুলোর মত কমেন্টগুলোতেও বিদ্রোহের বারুদ উড়ে। আপনার মূল্যবান কমেন্ট সব সময় আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আমি সামুর একজন সাধারণ ব্লগার; আনিসুল হকের মত একজন উজ্জ্বল নক্ষত্রকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা করেছি, উনার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে সম্মান জানানোর চেষ্টা করেছি। এমন সম্মান তাঁর প্রাপ্য। উনার লন্ডনে চলে যাওয়া, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া, লাশ হয়ে দেশে ফিরে আসা ইত্যাদি নিয়ে অনেক কানাঘুষো শুনেছি। কিন্তু আমার কাছে এগুলোর কোনটিই বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। এদেশের পত্রিকা/পাবলিক/টিভি চ্যানেলগুলো মিথ্যা গসিপ প্রচার করতে খুব সিদ্ধহস্ত।

উনার বিদেহী আত্মার জন্য শুভকামনা। আপনিও ভাল থাকুন, প্রিয় কবি।

৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: দুঃখিত আপনার এই পোস্টের সাথে সহমত হতে পারলাম না। একজন আনিসুল হক যতদিন পর্যন্ত টিভি তারকা ছিলেন, ততদিন তিনি দারুন জনপ্রিয় ছিলেন তার মেধার গুনে। যেইদিন তিনি নাম লিখিয়েছিলেন নষ্ট রাজনীতিতে সেই দিন তিনি হয়ে গিয়েছিলেন একজন অতি সাধারন অসৎ রাজনীতিবিদ । যেই মেয়র ইলেকশনে তিনি জিতেছিলেন খুব বেশি দুরের অতীত নয়। এখনও নেট ঘাটলে খুজে পাবেন কিভাবে কারচুপির মাধ্যমে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। ঢাকার কি উন্নয়ন তিনি করেছেন তাতো ঢাকার রাস্তায় হাটলেই টের পাওয়া যায় , নেট ঘেটে উন্নয়নের মহাসড়কের গাল গল্প শোনার দরকার পড়ে না। চিকনগুনিয়া নামক ব্যাধি যখন মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়েছিল ঢাকায় তখন এই মেয়র সাহেবই বলেছিলেন '' বাড়ী বারী গিয়ে মশক নিধন সম্ভব নয়''!

মৃত্যূ অতি স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। কারো মৃত্যূ মানে এই নয় যে তাকে অহেতুক মহান বানাতে হবে যা আদতে তিনি নন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় 'ঢাবিয়ান' ভাই।
পোস্টে আপনি দ্বিমত পোষণ করেছেন; এজন্য দুঃখিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। সব মানুষ সবার প্রিয় হয় না। আর ব্যক্তি জীবনে আমরা কেউ পারফেক্ট নয়। দোষে গুনেই মানুষ। তিনি মানুষের সম্মান অর্জন করেছেন কাজের মাধ্যমে। মেয়র হিসেবে চেষ্টা করেছেন নগরীর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করতে। এজন্য বেশ কিছু দৃশ্যমান উদ্যোগও নিয়েছিলেন। তিনি কোন দলের মেয়র ছিলেন এটা আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় নয়। তিনি নাগরিকদের জন্য কতটুকু করেছেন তা-ই মুখ্য। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত শতভাগ ফেয়ার ইলেকশনের কোন নজীর নেই। এজন্য প্রার্থীর চেয়ে অতি উৎসাহী সমর্থকরা দায়ী। কারণ, কোন প্রার্থী নিজে জাল ভোট দেয় না। একটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো তখনই সফল হয়, যখন মানুষ সচেতন হয়/শিক্ষিত হয়/বিবেকবান হয়।

প্রিয় ভাইয়ের মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
একজন মানুষের আরেকজন মানুষের প্রতি কতটুকু ভালবাসা আর শ্রদ্ধা থাকে তা আপনার লিখাতেই প্রস্ফুটিত।

উনার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। ওপারে ভাল থাকুক প্রিয় ব্যক্তিটি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় @ স্রাঞ্জি সে ভাই।
আমি চেষ্টা করেছি গুণী এ মানুষটার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে কিছু লিখে সম্মান জানাতে। আমার মৃত্যুর পর এভাবে কেউ লেখবে না, এটা নিশ্চিত। গুণীজনের কদর করলে মানুষ এসব মানুষের নীতি-আদর্শ-কর্ম জানতে পারে। এতে সমাজ উপকৃত হয়। মানুষ ভাল কাজের প্রেরণা পায়।

ওপারে ভাল থাকুক প্রিয় ব্যক্তিটি। আপনিও ভাল থাকুন।



৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: বাঙালিরা তাদের অকৃত্রিম প্রেমিকদের ভুলে যায়!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



@ তাজুল ভাই, আপনি যথার্থই বলেছেন। আমরা সম্ভবত কিছুটা অকৃতজ্ঞ জাতি।

৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: হ্যামিলনের বাশিঅলা। আজো তাকে খুজি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



@ স্বপ্নীল ফিরোজ ভাই, ঠিকই বলেছেন। তিনি ছিলেন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা।

৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সেই ছোট বেলায় বিটিভির মাধ্যমে প্রথম আনিসুল হক স্যারের সাথে পরিচয় সেই থেকেই আমি ওনার গুনমুগ্ধ ,একজন স্বপ্নবাজ মানুষ ঢাকাবাসী স্বপ্ন দেখিয়েছেন এবং কিভাবে তা বাস্তবায়ন করতে হয় তাও দেখিয়েছেন । এমন একজন মেয়রের অসময়ে চলে যাওয়াটা খুবই দুঃখজনক । আপনার লেখাটা খুবই সুন্দর হয়েছে , অনেক অজানা কিছু জানা হল ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ 'তারেক' ভাই। বিটিভির মাধ্যমে তিনি তারকাখ্যাতি পেলেও একজন ব্যবসায়ী নেতা ও মেয়র হিসাবেই তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিতি পান। তিনি খুব উদ্যোগী আর কর্মঠ ছিলেন। তাঁর মটিভেশন ক্ষমতা ছিল। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০-এর দশকে দশকে টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। তার উপস্থাপনায় ‘আনন্দমেলা’ ও ‘অন্তরালে’ অনুষ্ঠান দুটি জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পূর্বে বিটিভিতে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মুখোমুখি একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনও করেছিলেন তিনি।

৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রথমত: একজন মেয়রের পদবী "নগরপিতা" হওয়া ঠিক নয়।

উনি ঢাকা শহরের পরিবেশ দুষণের শিকার হয়েছেন। বুলডজার চালানো ব্যতিত কোন ধরণের দরকারী কাজ কি করেছিলেন, যেমন টোকাইদের থাকা-খাওয়া-স্কুলে যাওয়া, বুড়িগংগায় নর্দমার সংযোগ বন্ধ করা, পতিতাদের পণর্বাসন, বস্তির লোকদের জন্য গৃহের ব্যবস্হা, কোনকিছু?

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি খুব প্রয়োজনীয় একটি বিষয় তুলে ধরেছেন; একজন মেয়র হলেন নগরীর সাধারন ভোটারদের দ্বারা নির্বাচিত জন প্রতিনিধি। আর গণতন্ত্রে জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস। সে হিসেবে, একজন মেয়রকে "নগরপিতা" কখনো বলা যাবে না। নগরপিতা শব্দটি আইন করে নিষিদ্ধ করা উচিৎ।

সারা পৃথিবীর সবচেয়ে অপরিকল্পিত মহা নগরীর তালিকা করলে ঢাকার অবস্থান হবে সবার উপরে। পাবলিক তার প্রয়োজন অনুসারে এ নগরটাকে অপরিকল্পিত উপায়ে বড় করে তুলেছে। সরকারের নগর পরিকল্পনাবিদ কিংবা মেগা সিটি হিসেবে একটি শহর গড়ে তোলার কোন প্লান কখনো ছিল বলে মনে হয় না। এজন্য ঢাকা সিটি এখন পৃথিবীর অন্যতম দূষিত এবং বসবাস অযোগ্য শহর। এজন্য তিনি এসব বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের চেষ্টা করেছেন।

এমন একটি নগরীর দায়িত্ব নিয়ে একজন মেয়রের জন্য রাতারাতি পরিবর্তন করা অসম্ভব। মেয়র আনিসুল হক সুনির্দিষ্ট প্লান নিয়ে ঢাকা সিটিকে একটি শৃংখলার আওতায়, জবাবদিহির আওতায়, নাগরিক বান্ধব জায়গায় আনার চেষ্টা করেছেন। ২০২০ সালে ঢাকা মহানগরীর জনসংখ্যা হবে আনুমানিক ২ কোটি ২০ লক্ষ (২২ মিলিয়ন)! টোকিও, মুম্বাই ও দিল্লীর পর ঢাকা হবে পৃথিবীর চতুর্থ জনবহুল নগরী। ঢাকায় নেই পর্যাপ্ত রাস্তাঘাট, নেই হাঁটার জন্য ফুটপাত, নেই মানসম্পন্ন পাবলিক ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্তা, নেই নিরাপত্তা। একজন আনিসুল হককে দীর্ঘদিন বড়ই প্রয়োজন ছিল ঢাকা নগরীর।

তিনি আরো কয়েককটি বছর মেয়র হিসাবে কাজ করার সুযোগ পেলে, টোকাইদের থাকা-খাওয়া-স্কুলে যাওয়া, বুড়িগংগায় নর্দমার সংযোগ বন্ধ করা, পতিতাদের পণর্বাসন, বস্তির লোকদের জন্য গৃহের ব্যবস্হা করতেন বলে আমার বিশ্বাস।

১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫

জুন বলেছেন: আনিসুর রহমানের মৃত্যুটা বড়ই দুখজনক । একজন স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন নগর উন্নয়নের জন্য।
কিন্ত তার আগেই তাকে চলে যেতে হলো ।
আল্লাহ তাকে বেহেশত নসীব করুন ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



@ জুন আপু,
আমার পোস্টে আপনার কমেন্ট পাওয়া মানে বিশেষ কিছু। আজ আপনারও একটা পোস্ট দেখলাম। সময় করে ভালভাবে পড়ে কমেন্ট করবো। আপনি ঠিকই বলেছেন, আনিসুল হকের হঠাৎ চলে যাওয়াটা ছিল একটি দুঃসংবাদ। আমরা গুণী এ মানুষটির হঠাৎ চলে যাওয়াটাকে মেনে নিতে পারিনি।

শুভ কামনা রইলো, আপু।

১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে আপনার পোষ্ট পেলাম।
চমৎকার পোষ্ট। গোছানো, ছিমছাম, পরিপাটি।
উনার কাছে সাইদ খোকন কিছুই না।
ঢাকা শহরকে বদলানোর জন্য চমৎকার কিছু পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



@ প্রিয় রাজীব ভাইয়ের কমেন্ট পেয়ে ভাল লাগলো। আমি ইদানিং খুব ব্যস্ত হয়ে গেছি। এজন্য পোস্ট আগের মত লিখতে পারি না। তবে ব্লগ পড়ার চেষ্টা করি। আপনার প্রতিটি পোস্ট পড়ি; তবে সময়ের অভাবে সব সময় কমেন্ট করা হয় না। আপনি হলেন সামুর নিউক্লিয়াস। আনিসুল হকের জন্য সারা দেশের মানুষের আশীর্বাদ ছিল। কিন্তু বড় অবেলায় তিনি চলে গেলেন।

১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০১

ঢাবিয়ান বলেছেন: চাঁদগাজী , আপনার সাথে একমত হওয়া খুবই কঠিন ব্যপার। তবে মাঝে মাঝে আপনি দারুন কিছু কমেন্ট করেন। কিছু গাল ভরা মিথ্যায় সাজানো বক্তৃতা ও
বুলডজার চালানো ব্যতিত উনার আর কোন কীর্তির কথা শুনি নাই। বরং ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ আনিসুল হকের দূর্নীতির কথাই বেশী শুনেছি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আশা করি, আপনারা যারা ঢাকায় থাকেন উনারা আনিসুল হকের চেয়েও যোগ্য মেয়র খুঁজে পাবেন। এমনটা হলে দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমিও খুব খুশি হবো।

১৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী,



জনতার জন্যে একজন নিবেদিত প্রান মানুষ, কতোখানি হৃদয়ের কাছে থাকলে তাঁকে নিয়ে এমন একটি লেখা লেখা যায়, তা আপনার লেখায় পরিষ্কার।
একজন আনিসুল হককে দীর্ঘদিন বড়ই প্রয়োজন ছিল ঢাকা নগরীর। মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মে। আনিসুল হকও তাই বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



দারুন একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় @ আহমেদ জী এস সাহেব। আমাদের দেশে একজন উদ্যোগী নেতার বড়ই প্রয়োজন। দেশ যোগ্য নেতৃত্ব না থাকায় তরুনরা রাজনীতি নামক ড্রাগ গ্রহণ করে নিজেদেরকে শেষ করে দিচ্ছে। তিনি তরুণদের মটিভেট করতেন, সাহস যোগাতেন, দেশের দায়িত্ব নিতে, যোগ্য নেতা হয়ে উঠতে উৎসাহ দিতেন। এগুলো ছিল উনার খুব ভাল দিক। আপনি ঠিকই বলেছেন, "একজন আনিসুল হককে দীর্ঘদিন বড়ই প্রয়োজন ছিল ঢাকা নগরীর। মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মে। আনিসুল হকও তাই বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে।"

ভাল থাকবেন, সব সময় আপনি।

১৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছেন, "এমন একটি নগরীর দায়িত্ব নিয়ে একজন মেয়রের জন্য রাতারাতি পরিবর্তন করা অসম্ভব। "

-এখানে আপনার ভাবনা ও পোষ্ট অপ্রয়োজনীয় ও অর্থহীন; আপনার পক্ষে ও ঢাকা শহরের ২ কোটী বাসিন্দার জন্য "রাতারাতি পরিবর্তন করা অসম্ভব"; কিন্তু একজন মেয়ের জন্য "রাতারাতি পরিবর্তন করা পুরোপুরি সম্ভব "; মেয়র আপনার মতো নাগরিক নন, উনি মেয়র

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ঢাকার মতো এমন বিশৃঙ্খল একটি নগরীর দায়িত্ব নিয়ে একজন মেয়র রাতারাতি পরিবর্তন করা অসম্ভব। এজন্য অনেক সময় দরকার। আনিসুল হক শুরু করেছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন। তাঁর হঠাৎ চলে যাওয়া দীর্ঘমেয়াদী অনেক প্লানকে থমকে দিয়েছে। পৃথিবীর বড় বড় অধিকাংশ সিটিগুলো পরিকল্পিত উপায়ে তৈরী। এজন্য মেয়রদের জন্য নগরটিকে সুন্দর করে চালিয়ে নিতে এত সমস্যায় পড়তে হয় না। ঢাকা একটি অপরিকল্পিত নগরী। একজন মেয়রের কাছে শুধু আলাদীনের চেরাগ থাকলেই রাতারাতি এর চেহারা পরিবর্তন করা সম্ভব।

১৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার !

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ প্রিয় "আর্কিওপটেরিক্স" ভাই।

১৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার কিন্তু পুরানো নাম চাঁদগাছী ছিলো B-))

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
স্যরি, বিষয়টি জানা ছিল না। এখন থেকে 'চাঁদগাছী' বলে সম্বোধন করবো।

১৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স বললেই ভালো B-))
পুরনো নামের দরকার নাই B-)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ঠিক আছে, ভাইজান। B-) B-) B-)

১৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: উনি অন্তত চেষ্টা করেছিলেন ও শুরু করেছিলেন। বেঁচে থাকলে ৪০০০ বাস নামিয়েই ছাড়তেন তিনি এটা আমি বিশ্বাস করি। কারণ, উনি জানতেন উনাকে জবাব দিতে হবে। আরও ২ বছর থেকে যদি না করতেন এগুলো তাহলে উনি নিজেই লজ্জিত হয়ে যেতেন...

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



পোস্ট পড়ে সুচিন্তিত মন্তব্য করেছেন এজন্য ধন্যবাদ আপনাক। আনিসুল হক একটি অপরিকল্পিত নগরীকে কিছুটা হলেও শৃঙ্খলাবিধির আওতায় নিয়ে আসতে চেষ্টা করেছেন। আরো কয়েক বছর বেঁচে থাকলে আমরা দৃশ্যমান অনেক পরিবর্তন দেখতে পেতাম। অকালে সবাইকে হতাশ করে এভাবে চলে যাওয়াটা মোটেও কারো কাম্য ছিল না। দেশ একজন সু নাগরিক হারালো, ঢাকাবাসী একজন উদ্যোগী ও পরিশ্রমী মেয়রকে হারালো, তরুণ প্রজন্ম একজন মটিভেটরকে হারালো। তিনি বেঁচে থাকলে ঢাকায় ৪০০ বাস নামতো নিশ্চিত। কোন কাজ সময়মত শেষ করতে না পারলে তিনি নগরবাসীর কাছে 'স্যরি' বলতেন। একজন মেয়রের কাছ থেকে এই প্রথম নগরবাসী স্যরি শুনতে পেয়েছিল।

আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

১৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

সনেট কবি বলেছেন: ভাল পোষ্ট।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় সনেট কবি।

২০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় কাওসার ভাইয়ের পোস্ট একটু দীর্ঘ হয় তাই সময় নিয়ে পড়তে বসি।
উনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন জানতাম। কিন্তু আপনার পোস্ট ও খাইরুল আহসান স্যারের সংযোজিত মন্তব্য পড়ে বুঝলাম তিনি কত উঁচু মানের মানুষ ছিলেন। লেখাটি পড়ে উনার প্রতি শ্রদ্ধা অনেক বেড়ে গেল।
শুনেছি ভালো মানুষ নাকি বেশি দিন পৃথিবীতে থাকে না। হয়তো আমরা বাঙালীরা উনার মত মানুষের যোগ্য নই। তাই তো এই কষ্টের পৃথিবী ছেড়ে চির সুখের স্থানে পাড়ি দিয়েছেন। আল্লাহ উনাকে উত্তম মর্যাদা ও পুরস্কার দান করুন। আমীন !!!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় 'আরোগ্য' ভাই।
লেখাটি সময় নিয়ে পড়ে চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন, এজন্য ধন্যবাদ। আমার লেখাগুলো একটু বড় হয়। আমি যে বিষয় নিয়ে লিখি তার গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করি। এজন্য প্রতিটি পোস্ট লেখতে অনেক পরিশ্রম করি, অনেক সময় ব্যয় করি। চেষ্টা করি লেখাটি মানসম্পন্ন ভাবে পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করতে। একজন লেখক হিসাবে এটি আমার দায়বদ্ধতা। আপনি কষ্ট করে লেখাটি পড়ে যদি সন্তুষ্ট হন তাহলে এটাই লেখার সার্থকতা।

আনিসুল হক নিঃসন্দেহে একজন উঁচু মানের মানুষ ছিলেন। এমন মানুষ দেশটি গড়ে তুলতে খুব প্রয়োজন। আমি ব্যক্তি আনিসুল হককে চিনি না; কিন্তু উনার ভিশন, কর্মপন্থা আর সমাজের জন্য দায়িত্বশীল ভূমিকা দেখেছি।

আপনি খুব সুন্দর বলেছেন, "শুনেছি ভালো মানুষ নাকি বেশি দিন পৃথিবীতে থাকে না। হয়তো আমরা বাঙালীরা উনার মত মানুষের যোগ্য নই। তাই তো এই কষ্টের পৃথিবী ছেড়ে চির সুখের স্থানে পাড়ি দিয়েছেন। আল্লাহ উনাকে উত্তম মর্যাদা ও পুরস্কার দান করুন। "
আমীন।।

২১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হুমায়ূন ফরীদির বন্ধুদের একজন। তার এত বয়স চেহারা দেখে বুঝা যেত না।।।উনি উপস্থাপক হিসেবে অনেক জনপ্রিয় ছিলেন ।ছিলেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ওনার রুহের মাগফিরাত কামনা করি ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



এ পোস্টে আপনার মন্তব্য পেয়ে দারুন প্রেরণা পেলাম। প্রিয় কবির প্রিয় 'হুমায়ুন ফরিদীর' বন্ধুদের একজন আনিসুল হক ছিলেন তা জানতাম না। বিটিভির মাধ্যমে তিনি তারকাখ্যাতি পেলেও একজন ব্যবসায়ী নেতা ও মেয়র হিসাবেই তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিতি পান। তিনি খুব উদ্যোগী আর কর্মঠ ছিলেন। তাঁর মটিভেশন ক্ষমতা ছিল। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০-এর দশকে দশকে টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। তার উপস্থাপনায় ‘আনন্দমেলা’ ও ‘অন্তরালে’ অনুষ্ঠান দুটি জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পূর্বে বিটিভিতে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মুখোমুখি একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনও করেছিলেন তিনি।

ভাল থাকুন, প্রিয় কবি।

২২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৫

রাকু হাসান বলেছেন:


ভালো আছি শ্রদ্ধেয় ভাইয়া । ব্যস্ততার জন্য ব্লগে তেমন সময় দেওয়া হয়ে উঠে না । আজ নতুন পোস্টে আসলাম । আপনি কেমন আছেন । স্বাস্থ্য ভালো আছে তো ? আপনার আন্তরিক প্রতি উত্তরে বরাবরের মতো মুগ্ধ আমি ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



এইমাত্র আপনার পোস্টে মন্তব্য করে ফিরেই আপনার কমেন্টের নটিফিকেশন পেলাম। আবারো মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো 'রাকু' ভাই। আপনি ভাল আছেন জেনে খুব খুশি হলাম। আপনি ব্যস্ত থাকুন, জীবনে উন্নতি করুন আর ভবিষ্যতে বাংলা সাহিত্যের একজন গবেষক হোন এই আশীর্বাদ রইলো। আমি ভাল আছি; তবে ব্যস্ততা আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। ভাল থাকুন, সব সময়।

২৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০০

মা.হাসান বলেছেন: রাজধানী তার অভিভাবক হারিয়েছে। আমি বিশ্বাস করিনা পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে তিনি যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তা আর কেউ বাস্তবায়ন করবে। তাঁর মৃত্যুতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, হাসান ভাই। ঢাকাবাসী আসলেই একজন অভিভাবক হারিয়েছে। আপনার মতো আমিও মনে করি, পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে তিনি যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তা আর কেউ বাস্তবায়ন করবে। তা বাস্তবায়ন করতে যে সাহস আর উদ্যম লাগে তা নতুন কোন মেয়রের হবে বলে মনে হয় না। ঢাকার পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করে গডফাদার গং।

২৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি একটি কথা বুঝতে সক্ষম হচ্ছেন না: সেটা হলো, আপনি মেয়ের না হয়ে, একজন ব্লগার হয়ে, একজন মেয়েরকে নিয়ে লিখছেন; ফলে, মেয়রের "রাতারাতি"কে আপনি নিজের রাতারাতির সমান ভাবছেন; মেয়রের রাতারাতিটা অনেক লম্বা ও দামী।

ঢাকার মেয়র হওয়া, "আলাদিনের প্রদ্বীপ পাবার চেয়ে অনেক বেশী"; বলতে পারেন, হাজার আলাদীনের চেরাগের মালিক হওয়া। আমার মতে উনি কথাগুলো সুন্দর করে বলেছিলেন, এর বাইরে কিছু নয়।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনি রাজনীতির মানুষ; রাজনীতি/রাজনৈতিক নেতা ও দায়িত্বশীলদের নিয়ে প্রতি নিয়ত লিখেন। কোন কোন বিষয়ে একমত না হলেও অনেক বিষয়ে একমত হই। আপনার অভিজ্ঞতা থেকে জানতে পারি। আমি এখানে মেয়রের "রাতারাতি" উন্নয়নকে সরল রেখায় মাপার চেষ্টা করেছি মাত্র। আপনার শেষের কথাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

"ঢাকার মেয়র হওয়া, "আলাদিনের প্রদ্বীপ পাবার চেয়ে অনেক বেশী"; বলতে পারেন, হাজার আলাদীনের চেরাগের মালিক হওয়া। আমার মতে উনি কথাগুলো সুন্দর করে বলেছিলেন, এর বাইরে কিছু নয়।"

তবে আনিসুল হককে অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম মনে হয়েছে। উনি চেষ্টা করেছেন। এই চেষ্টা করাটা আগের মেয়রদের মধ্যে ছিল না।

২৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:০২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আর সবার নাকে ঢাকার দুর্গন্ধ গেলেও মেয়র আনিসুল হক খোজে বার করেন তার উৎস

মানুষ হিসেবে আমরা অভাগা, আর দেশ তারচেয়েও বড় অভাগা, তাই ভালো মানুষ এই দেশে টিকে থাকতে পারেন না, চলে যেতে হয় না ফেরার দেশে, যারা আছে তারা যমের ও যমদুত তারা দেশকে নিংড়ে চিপে ছিবড়া করে ফেলে দিবে ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরু..........
আপনার মত বিচক্ষণ একজন রাজনীতি সচেতন ব্লগারের কাছে থেকে এমন একটি মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগছে। আপনার প্রথম লাইনটার গভীরতা অনেক- "সবার নাকে ঢাকার দুর্গন্ধ গেলেও মেয়র আনিসুল হক খোজে বার করেন তার উৎস।"

মানুষ হিসেবে আমরা হয়তো অভাগা; জাতি হিসেবে অসচেতন আর অলস। এদেশ কোন দেশপ্রেমিক মানুষকে মর্যাদা দিতে চায় না। আমরা গুণীদের কদর করতে পারি না। এদেশে যারা ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছে তাদের অধিকাংশই নিজের আখের গোছাইছে, দেশের মানুষকে ঠকাইছে।

আনিসুল হক ছিলেন এদের মধ্যে ব্যতিক্রম। মেয়র আনিসুল হক আশীর্বাদ ছিলেন ঢাকাবাসীর জন্য।

২৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০২

বলেছেন: প্রিয় কাওছার ভাইয়ের পোস্ট দেখে ঘুমাতে যেতে পারলাম না। কারণ জানতে হলে পরতেই হবে।
আপনার প্রতিটি পোস্ট ই শিখতে সাহায্য করে,তথাকথিত রাজনৈতিক পন্ডিতের মতো আবোল তাবোল ব্রালা ব্রালা লেখেন না।

আনিসুল হক সাহেবের চেহারায় এক পরম মায়া ছিল।
বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ওনার মৃত্যু দিবসে।


মাকে নিয়ে উনার মন্তব্যটি আমার খুবই প্রিয় --
আমার মায়ের দোয়াই আজকের আনিসুল হক।


আপনি বেশি করে লিখুন আমরা পড়ি।
শুভ কামনা।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় 'রহমান লতিফ' ভাই।
আমার পোস্ট দেখে ঘুমের ক্ষতি করে সময় নিয়ে পড়েছেন! এটা আমার মত সাধারন একজন মানুষের জন্য অনেক সম্মানের। আপনি জ্ঞানী মানুষ। লেখক হিসেবে যেমন দুর্দান্ত; পাঠক হিসেবেও খুব মনযোগী। এজন্য আপনার কমেন্ট পাওয়া আমার জন্য বিশেষ কিছু।

আমি দেশের একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে নিজের বোধ থেকেই বিষয়টি নিয়ে লিখেছি। রাজনৈতিক পন্ডিতরা হয়তো আমার মত ভাবেন না; উনাদের ভাবনা আমার ধারণার অনেক উপরে।

আপনি ঠিকই বলেছেন, "আনিসুল হক সাহেবের চেহারায় এক পরম মায়া ছিল।
বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ওনার মৃত্যু দিবসে। মাকে নিয়ে উনার মন্তব্যটি আমার খুবই প্রিয় --
আমার মায়ের দোয়াই আজকের আনিসুল হক।"

ভাল থাকুুন, প্রিয় রহমান লতিফ ভাই। শুভ কামনা রইলো।

২৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০১

আমি ৎৎৎ বলেছেন: বাংলাদেশ এ রকম নেতা আর পাবে না। আর ভাল কিছু তো সবসময় তাড়াতাড়ি চলে যায়।

পোষ্টে +++

ভাল থাকুন সবসময়।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনার নিক নামটি চমৎকার; সাথে প্রোপিক B-)। আনিিসুল হক ছিলেন সত্যিকারের জনগনের নেতা, প্রকৃত সেবক। এরকম একজন মেয়র পাওয়া সহজ হবে না। তিনি চেষ্টা করেছিলেন ঢাকাকে একটি আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে।

পোস্টে প্লাসের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, সব সময়।

২৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১২

নজসু বলেছেন:





নগরবাসীদের স্বপ্ন দেখতে শিখিয়ে ছিলেন মেয়র আনিসুল হক,
দেখিয়েছিলেন কিভাবে স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে হয়।

শ্রদ্ধা এই স্বপ্নের দেশে চলে যাওয়া মানুষটির প্রতি।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনি ঠিকই বলেছেন, 'সুজন' ভাই। নগরবাসীদের স্বপ্ন দেখতে শিখিয়ে ছিলেন মেয়র আনিসুল হক, দেখিয়েছিলেন কিভাবে স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে হয়। পাশাপাশি, সারা দেশের মানুষও আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন। আমাদের হাজার হাজার আনিসুল হককে দরকার দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য।

২৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভাল মানুষগুলো কেন এত আগে চলে যায়। এমন স্বপ্নবাজ মানুষ দরকার আমাদের দেশে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



মাইদুল ভাই, এ দেশটা বড়ই অভাগা। এ দেশের মানুষও ঠিক তাই। আনিসুল হকের মত মানুষ যুগ যুগ ধরে আমাদের মাঝে থাকার দরকার ছিল। এদেশে লক্ষ লক্ষ নেতা আছে কিন্তু সত্যিকারের নেতার বড়ই অভাব।

৩০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০০

করুণাধারা বলেছেন: ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় সমস্যা গণপরিবহন। এই বিশৃংখল গণপরিবহন ব্যবস্থা সৃষ্টি করছে যানজটের; আনিসুল হকের স্বপ্ন ছিল ঢাকায় ৪০০০ বাসের একটা সুশৃংখল গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার। দুর্ভাগ্য যে তিনি একাজটা করতে পারেননি! তার মৃত্যুতে এই প্রকল্প বাতিল হয়ে যায়। এখন যখনই ঢাকার রাস্তাঘাটের বিশৃঙ্খলা দেখি, বাসে মানুষের কষ্ট দেখি, তখন মনে পড়ে আনিসুল হকের কথা........... তার অনেক ব্যর্থতা ছিল, কিন্তু অনেক প্রাপ্তিও ছিল।

আনিসুল হককে নিয়ে আপনার এই পোষ্ট ভালো লাগলো।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপা, শুভেচ্ছা রইলো।
আপনার প্রতিটি কমেন্ট আমাকে উৎসাহ যোগায়, আরো ভাল লেখতে প্রেরণা দেয়। আপনি ঠিকই বলেছেন, ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো গণপরিবহণ। প্রতিদিন কি পরিমান হয়রানির শিকার হতে হয় তা শুধু ভোক্তভোগীরা জানেন। আর মহিলাদের জন্য তো সাক্ষাৎ জাহান্নাম। এসব পরিবহণ খাত নিয়ন্ত্রণ করে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট আর গড ফাদাররা। সরকারের উপরের স্তরের লোকজনরাও এতে জড়িত। ঢাকায় অদূর ভবিষ্যতে ৪০০ বাস নামার সম্ভাবনা দেখছি না।

ভাল থাকুন, সব সময়। আর লিখুন আমাদের জন্য।

৩১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মেয়র আনিসুল হককে আমারও খুব ভালো লাগতো। মহান আল্লাহতা'লা উনাকে জান্নাতবাসী করুন।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, @ মফিজ ভাই। তিনি আপনার, আমার অনেকেরই প্রিয় ছিলেন। অনেক দোয়া করি উনার জন্য। পরকালের জিন্দেগী আরো সুন্দর হোক। তিনি যেন জান্নাতবাসী হোন এই আশীর্বাদ রইলো।

৩২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: উনার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপা। উনার জন্য আশীর্বাদ রইলো।

৩৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

নতুন-আলো বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে..........

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, @ নতুন আলো। আনিসুল হক নিঃসন্দেহে একজন উঁচু মানের মানুষ ছিলেন। এমন মানুষ দেশটি গড়ে তুলতে খুব প্রয়োজন। আমি ব্যক্তি আনিসুল হককে চিনি না; কিন্তু উনার ভিশন, কর্মপন্থা আর সমাজের জন্য দায়িত্বশীল ভূমিকা দেখেছি।

৩৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, টেলিভিশন উপস্থাপক এবঙ
ঢাকার উত্তরাংশের মেয়র আনিসুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে
গভীর শ্রদ্ধাঞ্জালি। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ 'নূরু' ভাই। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। এমন গুনীজনের বড়ই অভাব এদেশে। আরো কয়েকটা বছর তিনি ঢাকার মেয়রের দায়িত্বে থাকলে একটি গুণগত পরিবর্তন আসতো নিশ্চিত।

৩৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩১

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: প্রিয় ব্যক্তিত্বকে নিয়ে প্রিয় ভাইয়ার খুব চমৎকার একটি লেখা ।

ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাচ্ছি তাঁকে !

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, কথাপু। আনিসুল হক নিঃসন্দেহে একজন উঁচু মানের মানুষ ছিলেন। এমন মানুষ দেশটি গড়ে তুলতে খুব প্রয়োজন। আমি ব্যক্তি আনিসুল হককে চিনি না; কিন্তু উনার ভিশন, কর্মপন্থা আর সমাজের জন্য দায়িত্বশীল ভূমিকা দেখেছি।

ভাল থাকুন, সব সময়।

৩৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: তিনি আমাদের সকল বাঙালিদের জন্য একটি অনুপ্ররণা। দেশের গর্ব। মেয়র আনিসুল হকের প্রতিটি কথাই যেন সকলের মন ছুঁয়ে দেয়। তাঁদের মত ভাল ও সৎ মানুষ পৃথিবীতে আছে বলেই তো পৃথিবী টিকে আছে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার একটি কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ, প্রভাআপু। আমাদের দেশে একজন উদ্যোগী নেতার বড়ই প্রয়োজন। দেশ যোগ্য নেতৃত্ব না থাকায় তরুনরা রাজনীতি নামক ড্রাগ গ্রহণ করে নিজেদেরকে শেষ করে দিচ্ছে। তিনি তরুণদের মটিভেট করতেন, সাহস যোগাতেন, দেশের দায়িত্ব নিতে, যোগ্য নেতা হয়ে উঠতে উৎসাহ দিতেন। এগুলো ছিল উনার খুব ভাল দিক।

৩৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩২

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:





উনি ছিলেন সব কিছুর উর্ধ্বে । তিনি তার নীতি থেকে এক চুল ও সরেননি । আজ বেচে থাকলে ঢাকার জান জট নিরসন হয়ে যেতো ।

সত্যি উনি ছিলেন আছেন থাকবেন । আশা রাখি কেউ একজন ওনার স্বপ্ন পূরন করবেন ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, 'গ্রেট অপু' ভাই। লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়েছেন এজন্য ধন্যবাদ। তিনি এখনো বেঁচে থাকলে ঢাকার যানজট কমতো নিশ্চিত। ৪০০ বাসও সময়মত নামতো। পরিবহনে শৃঙ্খলা আসতো। ফুটপাত ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি হত। তিনি কাজের মাধ্যমে মানুষের ভালবাসা অর্জন করেছিলেন। আশা করি, নতুন কেউ এসে এ শুণ্যস্থান পূরন করেবন।

৩৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

মিথী_মারজান বলেছেন: খুব মন থেকে লেখা শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সুন্দর বলেছেন ভাইয়া, কারো কারো মুখ দেখলেই ভালোবাসতে ইচ্ছা করে, বিশ্বাস করতে সাধ জাগে।
আনিসুর রহমান তেমনই একজন মানুষ ছিলেন।
এমনকি কাজেকর্মে এই বিশ্বাস রক্ষায় সদিচ্ছার ছাপও তিনি রেখে গিয়েছেন।
তার রুহের মাগফেরাত কামনা করি।
তার আদর্শে অন্যরা অনুপ্রাণিত হোক এমনটাই চাই।
পোস্টে ভালোলাগা রইলো ভাইয়া।:)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপু, আমাকে লজ্জায় ফেলে দিলেন! আসলে আপনার প্রতিটি পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ি; চেষ্টা করি কমেন্ট করে উৎসাহ দিতে। আপনি লেখক হিসেবে যেমন সেরা, পাঠক হিসেবেও ঠিক তাই। আপনি না পড়ে মন্তব্য করেন না। এজন্য এমন একজন গুণী ব্লগারের মন্তব্য যেকোন ব্লগারের জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমি মিস করছিলাম আপনার কমেন্ট। তাই দাওয়াত করেছি! ভাল থাকুন সব সময়। আর আমাদের জন্য লিখুন ব্লগে।

৩৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: প্রিয় কাউসার ভাই,
মেয়র আনিসুল হক সাহেব, হাতিরঝিল হয়ে ফার্মগেট যাওয়ার জন্য একটা সর্টকাট রাস্তা করেছেন। আগে সেখানে ট্রাক রাখা হতো
এই রাস্তা দিয়ে আমার মতো হাজারো লোক, বিনা ঝামেলায় গন্তব্যে যেতে পারছে,
ওনার মৃত্যুবার্ষিকীতে রাস্তাটিকে ওনার নামে নাম করন করা হয়েছে
আপনাকে ধন্যবাদ, একজন গুনী মানুষকে নিয়ে লেখার জন্য।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কেমন আছ, প্রিয় প্রান্ত? মানুষের মৃত্যুর পর জীবন প্রদীপ নীভে গেলেও তাঁর কর্ম আর ত্যাগ যুগ যুগ ধরে মানুষের মাঝে বাঁচিয়ে রাখে। আনিসুল হক নিজ কর্মগুনে আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন। আপনি আগেই পোস্টটি পড়েছিলেন, তা জেনে ভাল লাগছে।

তুমি, দারুন একটি তথ্য দিয়েছ; আনিসুল হক সাহেব, হাতিরঝিল হয়ে ফার্মগেট যাওয়ার জন্য একটা সর্টকাট রাস্তা করেছেন। আগে সেখানে ট্রাক রাখা হতো এই রাস্তা দিয়ে আমার মতো হাজারো লোক, বিনা ঝামেলায় গন্তব্যে যেতে পারছে, ওনার মৃত্যুবার্ষিকীতে রাস্তাটিকে ওনার নামে নাম করন করা হয়েছে।........... বিষয়টি জানা ছিল না।

ভাল থাকিও, সব সময়।

৪০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:০৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো ঢাকা শহরের পরেবেশগত কিছু উন্নতি আশা করা যেত।
আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসি করুন।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, সায়মা আপু। আমি চেষ্টা করেছি গুণী এ মানুষটার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে কিছু লিখে সম্মান জানাতে। আমার মৃত্যুর পর এভাবে কেউ লেখবে না, এটা নিশ্চিত। গুণীজনের কদর করলে মানুষ এসব মানুষের নীতি-আদর্শ-কর্ম জানতে পারে। এতে সমাজ উপকৃত হয়। মানুষ ভাল কাজের প্রেরণা পায়।

ভাল থাকুন, সব সময়।



৪১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০২

নজসু বলেছেন:



আশা করি ভালো আছে প্রিয় অনুবাদক।
মিস করছি আপনার অনুবাদ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আবারো কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় 'সুজন' ভাই। আপনি আমার সাদামাটা অনুবাদগুলো পড়েন জেনে প্রীত হলাম। আগামীতে অনুবাদে আরো মনযোগী হবো আশা করছি। এখন একটি গল্পের অনুবাদ করছি। শেষ হলেই ব্লগে পোস্ট করবো।

ভাল থাকবেন, সব সময়।

৪২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

নজসু বলেছেন:
দেশের তরে যুদ্ধ করে দিল যারা প্রাণ
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে গাই তাদেরই গান।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



বাহ!! সুজন ভাই। চমৎকার একটি পতাকা উড়িয়ে দিলেন। দেশের এই পতাকা অর্জন করতে যারা যুদ্ধ করে নিজের মূল্যবান প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন তাদের জন্য বিজয়ের এ মাসে সালাম জানাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.