নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের নতুন প্রজন্ম, গণতান্ত্রিক দুর্বৃত্তায়ন, নির্বাচন ও নেতৃত্বগুণ (প্রবন্ধ)

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০১


প্রথমবার যখন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেই তখন বয়সটা আনুমানিক ঊনিশ-কুড়ি হবে। মনে আছে ভোটের আগের রাতে এই উত্তেজনায় ঠিকমত ঘুমাতে পারি নাই। এক্কেবারে ভোরে ঘুম থেকে উঠে ভোটকেন্দ্রে হাজির হই, যদিও তখন পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শুরু হয়নি। ভোট গ্রহণ যথাসময়ে শুরু হলো কিন্তু লক্ষ্য করলাম নিজের ভেতর থেকে তাড়াহুড়ো করে ভোট দেওয়ার ইচ্ছে নেই বা ইচ্ছা হচ্ছে না। কেন যেন মনে হতে লাগলো ভোট দিলেই তো সব আবেগ-উচ্ছ্বাস শেষ হয়ে যাবে। প্রায় তিন ঘন্টার পর ভোট দিলাম। এটা ছিল এক ভাল লাগার অনুভূতি যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তখন পর্যন্ত শুধুমাত্র পার্লামেন্ট ইলেকশনে ভোট দেওয়াকে আমি 'গণতন্ত্র' মনে করতাম। তবে এখন জানি ভোট হলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা পালাবদলের প্রাথমিক ধাপ মাত্র। আর এই ধাপ থেকেই শুরু হয় নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া, তথা গণতন্ত্রের যাত্রা।

এই ঊনিশ-কুড়ি বয়সে একটি ছেলে বা মেয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার হাতে খড়ি হয়। নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সাথে সাথে নিজেও আনুষ্ঠানিক ভাবে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অংশ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে যত বয়স বাড়ে ততো তার শেখার ও বোঝার পরিধিও বাড়ে। একটা সময় আসবে যখন নিজে থেকেই অনুধাবন করবে সক্রিয়ভাবে সে রাজনীতি করবে কী না। এটা নির্ভর করে দেশের রাজনীতি নিয়ে তার আগ্রহের উপর। এজন্য সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক দলের অংশীদার হতে হলে কী প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হতে হবে, কি বিষয় নিয়ে গভীরভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে তা অনুধাবন করবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রচলিত গণতান্ত্রীক মডেলগুলো নিয়ে গবেষণা করবে, নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করবে। বিখ্যাত মণিষীদের জীবনী পড়বে।

একজন সংসদ সদস্যের দায়িত্ব, কর্তব্য ও ক্ষমতার ব্যপ্তি কতটুকু হবে তা নিয়ে পড়াশুনা করবে। আর এভাবেই গড়ে উঠবে টগবগে তরুণ এক নেতা ও নেতৃত্ব। আমরা পাব গণতান্ত্রীক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক দক্ষ কান্ডারী। গণতান্ত্রীক প্রক্রিয়ায় ভোট প্রদান করা প্রাথমিক ধাপ হলেও নেতৃত্বগুণ অর্জন করা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

আমাদের দেশে ছাত্ররা কী এ প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বগুণ অর্জন করে? একজন নেতা হতে হলে কী রাজনৈতিক কর্মী থাকা আবশ্যক? আমরা দেখতে পাই সেকন্ডারি স্কুল থেকে অনেক ছেলে সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী হয়। কলেজে উঠার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হয়। এই তরুণ নেতার পেছনে থাকে অনেক কর্মী, থাকে বড় রাজনৈতিক নেতা ও গুরু। তবে সেকেন্ডারি স্কুলের গন্ডি না পেরোলেও রাজনীতিতে সক্রিয় হতে তার বেগ পেতে হয় না। ছেলেটি বয়স আঠারোর কোঠা পার হওয়ার পূর্বেই নেতা হয়ে যায় কিছুই না বুঝেই। অথচ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় গণতন্ত্রের শিক্ষা শুরু হওয়ার কথাই ছিল এই বয়সে।

একটি ছেলে এতো অল্প বয়সে পড়াশুনা বাদ দিয়ে বড় নেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখে, অথচ নেতা হওয়ার জন্য যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করার কথা সেটির ধারে কাছেও যায় না সে। তার জুনিয়র ১০-১৫ টি ছেলে যখন তাকে বড় ভাই মানবে, সে যখন রাজনৈতিক দলগুলোর মিছিলে নেতৃত্ব দেবে, অন্য দলকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করবে, ইট পাটকেল ছুড়বে তখন নিজেকে অনেক বড় নেতা মনে হবে তার। ফলে সে কাউকে হুমকি ধামকি দিতে ভয় করবে না। ভাবখানা এমন; নেতা বলে কথা! কিসের ভয় আবার? বেশি সমস্যা দেখা দিলে লিডার তো আছেনই।

ধীরে ধীরে রাজনীতি নামক মরণ নেশায় হাত পাকে ছেলেটির। এইচএসসি পরীক্ষার পর যারা পাশ করতে পারে না, তারা পুরোদমে নিজ এলাকায় ছাত্র রাজনীতি শুরু করে। ওয়ার্ড/ইউনিয়ন কমিটিতে সক্রিয় হয়, কেউ কেউ আবার উপজেলা কমিটিতেও স্থান করে নেয়। আর যারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় তারা পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে পদায়য়িত হয়। নতুন কর্মীর পাশাপাশি নিজেও বড় নেতার সান্নিধ্য পায়। সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি ও খুন খারাবিতে হাত পাকিয়ে বড় নেতার বিশ্বস্ত ডান হাত হয়।

শহরের নামকরা রাজনৈতিক গ্রুপে নাম লেখিয়ে লিডারের স্নেহধন্য হয়ে পার্টির নির্দেশমত কাজ করে। মিছিল মিটিংয়ে নেতৃত্ব দেয়। নেতার আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করার চেয়ে তার নেতা ও দলের চাওয়া পাওয়াটা তার কাছে অধিক গুরুত্ব বহন করে। এত এত ব্যস্ত শিডিউলের মাঝে আসল কাজটি অর্থাৎ পড়াশুনার জন্য প্রয়োজনীয় সময়টা বের করা হয়ে উঠে না ছেলেটির। তবে এজন্য তাকে দোষ দেওয়াটাও ঠিক হবে না। রাজনীতি নিয়ে সীমাহীন ব্যস্ততার মাঝে পড়াশুনার মত কঠিন জিনিসের বাড়তি লোড নেওয়া অনেক সময় নতুন এ নেতার পক্ষে সম্ভব হয় না!

রাজনৈতিক পারফর্মেন্স ভাল হলে ছাত্র নেতাটি তর তর করে উপরে উঠে। বড় নেতাদের সুনজরে পড়ে সে। একসময় নিজেও একটি মিনি গ্রুপ তৈরী করে, যা পরবর্তী সময়ে বড় গ্রুপে রূপান্তর হয়। ছেলেটি সার্ট প্যান্ট ছেড়ে দামী পাঞ্জাবী পায়জামা পরা শুরু করে। টেন্ডারবাজিতে হাত পাকায়। জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পায়। এলাকার এমপি/মন্ত্রির স্নেহ ধন্য হয়। তাদের যে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে সফর সঙ্গী হয়। এমপি/মন্ত্রির নাম ভাঙ্গিয়ে ধান্দা শুরু করে। বিভিন্ন সরকারী নিয়োগে বড় অংকের টাকার কমিশন খায়। ধীরে ধীরে এলাকায় জনপ্রিয় নেতার তকমা পায়। পাশাপাশি নামে বেনামে অনেক সম্পদ হয়, ব্যাংক ব্যালেন্স হয়। নিজে চেয়ারম্যান/এমপি/মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করে।


যে বয়সে পড়াশুনা করে জ্ঞান অর্জন করার কথা, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলো সম্বন্ধে জানার কথা, সরকার ও প্রশাসনের কাঠামো নিয়ে পড়াশুনা করার কথা সে বয়সে অপরাজনীতিতে ছাত্র নামধারী নেতাটি হাত পাকায়। নেতৃত্বগুণ অর্জন করার আগেই নেতা হয়ে উঠে। ফলে দেশকে সঠিক পথে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জিত হয় না তার। তবুও একটা সময় আসে যখন তার দল ত্যাগী এ নেতাকে মূল্যায়ন করে এমপি/মন্ত্রী বানায়, পরিণামে দেশ পায় আন্তঃসার শুণ্য একজন নেতা। যার না আছে মেধা, না আছে দেশ পরিচালনার যোগ্যতা, না আছে দেশকে নিয়ে নতুন কোন পরিকল্পনা।

দেশে তৈরী হয় মেধাশুণ্য নেতৃত্ব, যেটি এক বা একাধিক সিন্ডিকেট প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। অথচ যারা দীর্ঘ দিন কঠোর পরিশ্রম করে ভালভাবে পড়াশুনার মাধ্যমে নেতৃত্বগুণ অর্জন করলো, ইচ্ছা থাকলেও তারা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশীদার হওয়ার কোন সুযোগ পায় না। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও এদের কোন গুরুত্ব নেই। ক্লাস এইট থেকে যারা সরাসরি নেতার তকমা পেয়ে গেছে তারাই দলগুলোর মহামূল্যবান রত্ন। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এদের অভিজ্ঞতা অনেক গুরুত্ব বহন করে।

আমাদের দেশে রাজনীতিতে কালো টাকার একটি বিশাল প্রভাব আছে। হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতিবছর এ প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করে। বড় নেতারা এসব কালো টাকার একটি বড় অংশ নিজেদের আখের গোছানোর জন্য, এমপি/মন্ত্রি হওয়ার জন্য ছাত্র নেতাদের পেছনে খরছ করেন। বিভিন্ন গ্রুপ লিডারকে ডোনেশন দেন যাতে প্রয়োজনের সময় তার সাপোর্ট পাওয়া যায়। যে ছাত্র নেতার পেছনে যত বেশি কর্মী থাকে রাজনীতির ময়দানে তার ফায়দা ততো বেশি হয়। শুনা যায় অনেক সিনিয়র নেতা নিজ এলাকায় পছন্দের ছাত্র নেতাকে পদায়ন করতে প্রয়োজনে লাখ লাখ টাকা খরছ করেন। মোটর সাইকেল/কার কিনে গিফট করেন। টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেন। মামলা-হামলা থেকে রক্ষা করেন।

ইদানিং দেখা যায় কোন ছাত্র নেতার বাড়িতে পুলিশ হানা দিলেও তা ফলাও করে প্রচার করেন তারা। এতে দলের কাছে কদর বাড়ে। অনেকে আছেন মিছিল/পিকেটিংয়ের ফটোসেশন করে সোসাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেন পাবলিসিটির আশায়। কেউ কেই পকেটের টাকা খরছ করে অনলাইন পত্রিকা ও সংবাদপত্রেও নিজেদের বীরত্বের খবর প্রচার করেন। রাজনীতিতে কালো টাকার আধিক্যের ফলে সরকারদলীয় ছাত্র নেতারা রাতারাতি বড় নেতা হতে চান। আর বিরোধী ছাত্র নেতারা রাগে, দুঃখে নিজের চুল ছিড়েন আর স্বপ্ন দেখেন শীঘ্রই নিজের দলের বিজয় ও ক্ষমতার পুনর্বহাল।

আমাদের ছাত্র সমাজ ও তরুণ প্রজন্মের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন --

(১) গ্রামের/পাড়ার সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রটি কী রাজনীতিতে সক্রিয়?
(২) নিরিবিলি, ভদ্র ও এলাকায় ভাল ছেলে হিসাবে পরিচিত ছেলেটি কী সক্রিয় রাজনীতি করে?
(৩) রাজনীতি নিয়ে এসব ছেলেদের মূল্যায়ন কী পজেটিভ?
(৪) রাজনীতি করলে বাবা-মায়েরা কী ছেলে-মেয়েদের উপর সন্তুষ্ট হন?
(৫) কোন বাবা-মা কী চান তার ছেলে বড় হয়ে রাজনীতিবিদ হোক?
(৬) রাজনীতিকে সমাজের সাধারণ মানুষ ভাল চোখে দেখে?
(৭) রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন কমিটিতে যারা স্থান পায় তাদেরকে কি সমাজের মানুষ ভাল ছেলে, ভাল ছাত্র হিসাবে মনে করে?
(৮) বড় রাজনৈতিক নেতাদেরকে কী মানুষ সত্যি সত্যি মন থেকে সম্মান করে?
(৯) রাজনীতির নামে সন্ত্রাস, পিকেটিং ও টেন্ডারবাজিকে মানুষ পছন্দ করে?
(১০) অন্য রাজনৈতিক দলের নেতা/নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করা, অপমান করা কী ভাল কাজ?

সবকয়টি প্রশ্নের উত্তর যদি 'না' হয় তাহলে নিজেকে প্রশ্ন করুন ছাত্র রাজনীতি করবেন কী না? আর উত্তরে 'হ্যা' হলে রাজনীতি আপনার জন্য। এখন ডিসিশন আপনি নেবেন। ভালমন্দ যাচাই করার ভারও আপনার উপর।

আমাদের দেশের তরুণরা পাওয়ার পলিটিক্সের স্বীকার। অনেক সময় নিজের অজান্তে, মিথ্যা আবেগের বশবর্তী হয়ে পলিটিক্সে জড়িয়ে পড়ে। পড়াশুনা বাদ দিয়ে রাজনীতিকে ধ্যান-জ্ঞান মনে করে। অথচ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দের উচিৎ ছিল এসব তরুনদের আগলে রাখা, রাজনীতির ময়দান থেকে দূরে রাখা। ভবিষ্যতে কিভাবে দেশকে দক্ষ হাতে নেতৃত্ব দেওয়া যায় তা নিয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া। একজন ছাত্রের নেতৃত্বগুণ অর্জন করার জন্য পড়াশুনার কোন বিকল্প নেই এই ধারণা তাদের মনে গেঁথে দেওয়া। কিন্তু আমরা কী এমন নেতা দেখতে পাই?

আসলে বড় নেতাদেরই বা দোষ দিয়ে লাভ কী? তারাও তো একই প্রক্রিয়ায় নেতা হয়েছেন। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বগুণ অর্জনের তালিম দেওয়ার জন্য যে গুণাবলী নেতাদের মধ্যে থাকার কথা তা অধিকাংশ নেতার মধ্যেই অনুপস্থিত।


ছাত্ররা রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো বেকারত্ব। বিশেষ করে একটি ছেলের বয়স যখন সতের-আঠারো বছর হয় তখন তার চলাফেরা করার ক্ষেত্রটি আগের চেয়ে বড় হয়, নিজস্ব একটি জগৎ গড়ে উঠে তার। শারিরিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখা দেয়। বন্ধু-বান্ধবের সাথে মেলামেশা করার অবারিত সুযোগ পায়। ধীরে ধীরে পরিবারের গন্ডি পেরিয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে ছেলেটি। চোখে নতুন স্বপ্ন, নতুন উদ্দীপনা দেখা দেয়। এ সময় তার পকেট মানি আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে পরিবারও তাকে পূর্ণ সাপোর্ট দিতে পারে না। একরাশ হতাশা ছেলেটিকে ঘিরে রাখে। এসময় অনেক ছেলে পলিটিক্সে নাম লেখায়, নেতার শুভদৃষ্টি পাওয়ার চেষ্টা করে। অনেকে আবার মাদক চোরাচালানীতে জড়িয়ে পড়ে, কেউ কেউ নিজেও ইয়াবা/ফেন্সিডিলে আসক্ত হয়।

উন্নত দেশগুলোতে দেখেছি ষোল বছর বয়স হলেই ছেলে-মেয়েরা পার্ট টাইম কাজ করে। আবার কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন হলিডে থাকে তখন ফুলটাইম কাজের সুযোগ পায়। পকেট মানির জন্য তাদেরকে বাবা-মায়ের উপর নির্ভর করতে হয় না। প্রয়োজনে বাবা-মাকেও সহযোগিতা করে তারা। সরকারও দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলো এমনভাবে সুষ্ঠু পরিকল্পনায় গড়ে তুলেছে যাতে তরুণ সমাজ কাজের সুন্দর পরিবেশ পায়, দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ পায়। ফলে তাদের শিক্ষা অর্জনটি হয় আনন্দময়। সরকার তরুণদের মানসিকভাবে চাঙা রাখতে অনেক সুযোগ-সুবিধাও গড়ে তুলেছে। এসব দেশগুলোর তরুণরা রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামায় না, রাষ্ট্রকে নিয়েও তাদের হতাশা নেই।

সময় পেলে তরুণ ও যুবকরা পছন্দমতো খেলাধুলা করে, স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখে। বিভিন্ন বিনোদনমূলক ইভেন্টে অংশ গ্রহণ করে। হলিডেতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ায়। সমাজ ও রাষ্ট্র তাদের ইচ্ছার উপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দেয় না। সে নিজেই বেছে নেয় কী করতে চায়? কিভাবে জীবন পরিচালনা করবে? এসব তরুণ ও যুবকরা কখনো রাষ্ট্র বিরোধী কোন কাজে জড়ায় না। এজন্য রাষ্ট্র ও তাদের ইচ্ছাকে, ভাললাগাকে মূল্যায়ন করে।

দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দল-জোটগুলো নিজ নিজ দলের মধ্যে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরী করতে না পারার ব্যর্থতা চোখে পড়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসলে। নমিনেশন দেওয়ার সময় রাজনৈতিক দলগুলো ঢাক-ডোল পিটিয়ে এক-একটি আসনের জন্য ২০-৩০ জন প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নেয়! বড় বড় ব্যবসায়ী ও রিটায়ার্ড আমলারা এতে অগ্রাধিকার পায়। প্রার্থীর যোগ্যতা হিসেবে টাকার প্রাচুর্য, এলাকায় প্রভাব আর কুট কৌশলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া নীতি-আদর্শহীন জোটের হিসেব-নিকেশ তো আছেই। এভাবে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতার সংসদে যাওয়ার রাস্তা আটকে দেওয়া হয় কৌশলে। যে কোন মূল্যে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে ইলেকশনে জিতে আসাটা হলো এদেশের গণতন্ত্র।

উন্নত গণতান্ত্রিক দেশে আমাদের মত নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয় না। ব্রিটেন, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, ইউএসএ ইত্যাদি দেশে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক পদগুলোতে পদায়ন/প্রার্থী করা হয়। আমাদের মত ইলেকশন আসলে গরুর পালের মত শত শত নেতা নমিনেশন কিনে না; এতো সাক্ষাৎকারও দিতে হয় না। এ বিষয়টি প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অতি গোপনে করে। দলগুলোর মূল নেতারা সব সময় এলাকার সবচেয়ে যোগ্য লোকটিকে নির্বাচন করে; যাতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের আস্থা অর্জন করতে পারে। নমিনেশন বাণিজ্য, পরিবারতন্ত্র কিংবা তদবীরের কোন সুযোগ নেই এতে। এসব প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্টে গিয়ে বিতর্কে (Legislation) অংশ নিতে পারে; দেশের আইন প্রণয়ন ও সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উপযুক্ত ভূমিকা রাখতে পারে।

ব্রিটেনে সবচেয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় একাডেমিক অর্জনকে। পলিটিক্যাল সাইন্স, অর্থনীতি, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন, দেশের সংবিধান, আইন-আদালত, জাতীয় মূল্যবোধ, দেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি নিয়ে প্রার্থীরা কতটুকু জানেন? কি কি বিষয়াদি নিয়ে গবেষণা করেছেন তা তুলে ধরতে হয়। জীবনের কখনো কোন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত হলে রাজনীতিতে আজীবন নিষিদ্ধ হতে হয়। আর আমাদের দেশে সম্পুর্ণ বিপরীত চিত্র। চুরি, ডাকাতি, পিকেটিং, চাঁদাবাজি, কালোটাকা, পেশিশক্তি, খুণ-খারাপি ইত্যাদি হলো প্রার্থীর যোগ্যতা!

একটি দেশের তরুণ সমাজের উপর দেশের ভবিষ্যৎ উন্নতি ও অগ্রগতি নির্ভর করে। তরুণরাই পারে নতুন নতুন আইডিয়া ও পরিকল্পনা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। তরুণরা স্বপ্নবাজ, তরুণরা নির্ভীক, তরুণরা পরিবর্তনের হাতিয়ার, তরুণরা সুন্দরের প্রতীক। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমাদের তরুণরা আজ দিশেহারা। তাদের নেই কোন স্বপ্ন, নেই কোন কান্ডারী, নেই কোন পরামর্শক। এমনিতেই ধর্মের বেড়াজালে আমাদের সমাজটা বিভক্ত। তার উপর তরুণ প্রজন্ম এখন রাজনৈতিক দু'টি ধরায় ভাগ হয়ে গেছে। তারা এখন মানুষকে মূল্যায়ন করে দল ও আদর্শের ভিত্তিতে। সহজেই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তারা অন্যকে অপমান করে। নেই পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ।

আছে সীমাহীন বেকারত্ব, হতাশা আর রাজনৈতিক হামলা-মামলা, পারিবারিক অসচ্ছলতা, নিজের ও পরিবারের জন্য ভাল কিছু করতে না পারার বেদনা। জানি না এ অসুস্থ ধারা থেকে তরুণ ও যুবক সমাজ কবে বেরিয়ে আসবে? যত দ্রুত তরুণরা কর্মক্ষেত্রে নিজেদের মেধা ও শ্রম ঢেলে দিতে পারবে দেশের মঙ্গল ততো ত্বরান্বিত হবে। সরকারকে এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। পৃথিবীব্যাপী এই তরুণরাই দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছে, এরা দেশের হৃৎপিন্ড।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

চাইলে পড়তে পারেন-

আমার সবচেয়ে পঠিত পোস্ট।
সবচেয়ে লাইকপ্রাপ্ত গল্প-ধূমকেতু
ধর্ষণ ও ধর্ষক (বাংলাদেশ/বহির্বিশ্ব)
অনুবাদ গল্প-(দি নেকলেস)
দি গিফট অফ দ্যা ম্যাজাই
গল্প লেখার সহজ পাঠ
সবচেয়ে পঠিত প্রবন্ধ।
আধুনিক কবিতার পাঠ (সমালোচনা)
আলোচিত ফিচার 'দি লাঞ্চিয়ন'।
ব্রিটেনের প্রবাস জীবন- স্মৃতিকথা।
সবচেয়ে পঠিত গল্প।
ছবি ব্লগ (লন্ডনের ডায়েরি-১)।

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমাদের দেশে রাজনীতিতে কালো টাকার একটি বিশাল প্রভাব আছে।
......................................................................... সহমত
সুন্দর একটা লেখার জন্য ধন্যবাদ ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে আপনাকে অভিনন্দন। দেশে দেশে কালো টাকা একটি বহুল সমস্যা বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। Monetary Transmission mechanism অনুসারে, অর্থ প্রবাহ এক স্থানে সংরক্ষিত না থেকে বরং বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। আর এ অর্থ প্রবাহ দুটো ধারার মাধ্যমে হয়ে থাকে: প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো অন্যটি অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো।

এই অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে যে লেনদেন হয় সেটিকে বলা হচ্ছে কালো টাকা। ইলেকশন আসলে আমাদের দেশে কালো টাকার ব্যবহার বেড়ে যায় হু হু করে। ভোট কেনা-বেচা, নেতা-কর্মী কেনা এবং শোডাউন-মিছিল-সভা করতে এসব পয়সা খরছ হয়।

অবশ্য বাংলার কালো টাকা বলা হলেও ইংরেজিতে কিন্তু Black Economy Underground Economy, Dinty Money বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়। সাধারণত: একটি দেশের এক তৃতীয়াংশ থাকে কালো টাকা।

শুভ রাত্রি। ভাল থাকুন, সব সময়।

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বহুদিন পরে আপনার লেখা....
দেখেই হাজির....

বিস্তারিত পড়ে মন্তব্য করবো B-)

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কেমন আছেন, আর্কিওপটেরিক্স ভাই?
আমার লেখা দেখেই মন্তব্য করে নিজের উপস্থিতি জানিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাল থাকুন। লিখুন আমাদের জন্য। (ধন্যবাদ)

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। তরুনরা সঠিক পথে পরিচালিত হলেই কেবল দেশ আর দশের মঙ্গল লাভ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় কবির চমৎকার মন্তব্য পেয়ে দারুন অনুপ্রাণিত হলাম। রেনেসাঁস থেকে ডিজিটাল যে প্রজন্মেরই হোক, আক্ষেপের বিষয় হলো- একজন তরুণ জানে না তারুণ্য মানে কি? এমনকি কখনও তলিয়েও দেখেনি শব্দটির গভীরতা। যেমন, একজন যুবক বোঝে না তার যৌবনের যথার্থ মানে বা এর যথার্থ ব্যবহার। এমন কি কখনও কখনও সমাজ ও পরিবার দ্বারা জীবন ও যৌবন বিষয়ক ভুল ধারণা নিয়ে হচ্ছে বিভ্রান্ত। ফলে নিজের সম্পর্কে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রশ্নে জটিল মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং যা চলার পথে মারাত্মক ভুলেরও শিকার হচ্ছে। এভাবে তরুণ থেকে পরিণত হচ্ছে যুবকে বিবর্ণ ধূসর সময়ের হাত ধরে। যার মাসুল গুনতে হচ্ছে আমাদের জাতীয় জীবনে।

শুভ রাত্রি। ভাল থাকুন, কবি।

৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৫

আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় কাওসার ভাইয়ের পোস্ট পাওয়া যেন পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পাওয়া। পোস্ট দেখেই প্রথম মন্তব্যকারী হতে এসে দেখি স্বপ্নের শঙ্খচিল প্রথম হয়েছে। তাই একবারে পড়েই মন্তব্য করছি।

বরাবরের মত পোস্টের ডালপালা চমৎকার যুক্তি ও তথ্যে সাজানো। তরুণ প্রজন্মের রাজনীতি নিয়ে যে পোস্ট দিয়েছেন তা আসলেই মাইলফলক কিন্তু যেসব তরুণ আজ রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত তাদের জ্ঞান আহরণের সময় কই। তারাতো নির্বাচনী কাজে লাঠিসোটা নিয়ে কোমর বেঁধে মাঠি নেমেছে। এরাই যদি আগামীর মন্ত্রী হন তবে দেশের ভবিষ্যৎ কি? আর এসব উদ্ধত ছাত্রনেতাদের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে মেধাবী ছাত্ররা রাজনীতিতে যোগ দিতে কতটা বিমুখ তা আমরা সকলেই জানি।

আমার নানু প্রায়ই বলেন, হয়তো কোথাও শুনেছেন, " সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার ছেলে চাই!"। সেই সাথে এ কথাও বলেন, আর সোনার ছেলে হবে না, আর সোনার বাংলাও হবে না।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় আরোগ্য ভাই।
আমার অতি সাধারন এক-একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য সত্যি আমাকে বিমোহিত করে। একজন ভাল ব্লগারের সবচেয়ে বড় গুণ হলো পোস্ট পড়ে সময় নিয়ে নিজের সুচিন্তিত মতামত দেওয়া। আপনার সবগুলো মন্তব্য পড়ে বুঝা যায় আপনার জ্ঞানের গভীরতা। আপনি কমেন্টে প্রথম হতে পারেন নাই, তাতে কী? আপনি তো আমার মনের মনিকোঠায় ঠিকই আছেন উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে।

আপনি খুব সুন্দর বলেছেন, "যেসব তরুণ আজ রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত তাদের জ্ঞান আহরণের সময় কই। তারাতো নির্বাচনী কাজে লাঠিসোটা নিয়ে কোমর বেঁধে মাঠি নেমেছে। এরাই যদি আগামীর মন্ত্রী হন তবে দেশের ভবিষ্যৎ কি? আর এসব উদ্ধত ছাত্রনেতাদের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে মেধাবী ছাত্ররা রাজনীতিতে যোগ দিতে কতটা বিমুখ তা আমরা সকলেই জানি।"

বখাটেদের ঠেলায় শিক্ষিত ও যোগ্যরা আজ দিশেহারা। রাজনীতিতে শিক্ষিত তরুণদের প্রবেশাধিকার এক প্রকার নিষিদ্ধই। রাজনৈতিক দলগুলোর গুন্ডা দরকার, মেধাবীর দরকার নেই। সোনার ছেলেদের জন্য এদেশের পলিটিশিয়ানরা সব দরজা বন্ধ করে রেখেছে।

ভাল থাকুন। আর আমাদের জন্য লিখুন। শুভ রাত্রি।

৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: জনগন যেমন রাজনীতিবিদও তেমন..... শিক্ষার অভাব...

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আমাদের এলাকার একটি প্রবাদ আছে, "বাফে বেটা, গাছে গোটা"। দেশের সিংহভাগ জনগণ যেহেতু ইলেকশনে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে সেহেতু ভোটের সময় তাদের চিন্তা চেতনার প্রতিফলন ঘটে। নাগরিকদের সচেতনতা ও প্রকৃত/গুণগত শিক্ষার প্রভাব সমাজে না পড়লে গণতান্ত্রিক ধারায় পরিবর্তন আসবে না।

৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভ্রমরের ডানা'র সাথে সহমত। আমাদের রক্তেই সমস্যা। ছাত্ররা রাজনীতি করুক। তবে ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে করুক। নেতা নির্বাচিত হবে ভোটের মাধ্যমে। কোন এমপি অনুসারী হিসেবে নয়। টেন্ডারবাজি করলে সাথে সাথে বহিস্কার করতে হবে। এভাবে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই নেতা তৈরি হবে। আমাদের দুই নেত্রী আর তাদের চামচাদের কারণে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হয় না। বলা নাই, কওয়া নাই, ভোটের সময় হঠাৎ করে ব্যবসায়ী, নায়ক, খেলোয়াড়কে প্রার্থী করা হয়।
তবে আমার এক কথা, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা সময়ের দাবী। এই একটা কাজ করলে সন্ত্রাস অর্ধেক কমবে...

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনার চমৎকার কমেন্ট পেয়ে খুব খুশি ভাল লাগছে। আসলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে হলে, দেশকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে হলে শিক্ষিত ও দক্ষ নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। এজন্য ছাত্ররা পড়াশনার মাধ্যমে এ যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ছাত্র রাজনীতি নামে দুর্বৃত্তায়ন তরুণ প্রজন্মকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। এখনই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। না হলে এদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব দুর্বৃত্তরা নিয়ন্ত্রণ করবে। এগুলো হতে দেওয়া যাবে না।

আপনি ঠিকই বলেছেন, নেতা নির্বাচন করতে হলে উপযুক্ত নীতি অবলম্বন করাটা জরুরি। একাডেমিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে নেতা নির্বাচনে। দলগুলোর মধ্যে ভাল ও যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলার প্রতিযোগিতা থাকতে হবে। বখাটেদের ত্যাগ করতে হবে। ভোটারদের সচেতনতাও এ ক্ষেত্রে জরুরি।

আপনি ঠিকই বলেছেন, "আমাদের দুই নেত্রী আর তাদের চামচাদের কারণে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হয় না। বলা নাই, কওয়া নাই, ভোটের সময় হঠাৎ করে ব্যবসায়ী, নায়ক, খেলোয়াড়কে প্রার্থী করা হয়।" এগুলোর অবসান হোক।ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা সময়ের দাবী। এই একটা কাজ করলে সন্ত্রাস অর্ধেক কমবে।

ভাল থাকুন, সব সময়।

৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:০২

বলেছেন: Student politics কে না বলুন!!!


কাওছার ভাইয়ের পোস্ট মানে তথ্যবহুল আলোচনা বিবেকের কাছে প্রশ্ন?


তরুণ প্রজন্মের কাছে ১০ টি প্রশ্নের উত্তর জানতে আমারো ইচ্ছা হয়।


গতকাল এমনটা ভাবছিলাম ---

প্রসঙ্গ৷ নির্বাচন
আমার ভাবনা ----
------------------------------------------------------

ভোট আর জোট
জাতির কপালে চোট
ভোট হবে ভোট
বন্দুকের নিচে হুট।

কথায় বলে,ছায়ার দিকে লাথি দিলে নাকি ছায়াও লাথি দেয় কিন্ত রাজনীতিতে কোন ছায়া নেই সব রক্তিম ছায়ামূর্তি।

উন্নয়ন শুধু পদ্মা সেতুতে বা রাস্তা ঘাটের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।টেকসই উন্নয়ন হলো মানুষের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়ন একটা কল্যাণমুখী রাষ্ট্র পরিচালনা যেখান
মানুষের কথাবলা,মতামত,ও চলার স্বাধীনতা থাকবে।

বাংলাদেশ নাম রাষ্ট্রের শুরুর দিক থেকে আজ অবধি যত মানুষ রাজনীতির কালো থাবায় শেষ হলো তার কোন হিসাব আদৌ আছে কি না জানা নেই। তবে যে ঘঠনাগুলো সব বিবেককে নাড়া দেয় যতটুকু মনে পড়লো তা হলো------

মানুষ গুম,খুন, হত্যা,খাম্বা, টু পার্সেনট,শেয়ার বাজার,এতিম মিসকিনদের টাকা লুটপাট, সোনা তামা হওয়া,মুফতি হান্নান রূপক অর্থে ব্যবহার করে সারা দেশে অরাজকতা, ২১ আগষ্ট বোমা মেরে মানুষ মারা, শ্রমিক হত্যা, রানা প্লাজায় নিরীহ ভিকটিম, ব্লগার হত্যা,বিশ্বজিৎ হত্যা, হাতুড়ি দিয়ে সহকর্মীকে পিঠানো,ফেলানি কাঁদতে আছে আজো ঝুলন্ত কাঁটাতারে,সাগর রুনির বিচারের আশায় কবরের পাশে শিশু মেঘ আজো কাঁদে,এ এস,এম কিবরিয়া হত্যা,নারায়ণগঞ্জে সেভেন মার্ডার,আহসান উল্লাহ মাষ্টার হত্যা,ইলিয়াস আলী গুম,সালাউদদীন ফেরারী,সাত টাক অস্ত্র বোঝায় চোরাচালান-----

উপরের এসব কর্ম একা বিম্পি জামাত বা BAL এদের কারো একার কাজ নয় নয় এরা সব নষ্ট সব ভক্ষক।

আমরা এক কথায় বুঝি,
বাংলাদেশে যে সরকার আসে তারাই নিজেদের আখের গোছায় তাদের ছেলে মেয়েরা বিদেশ বাড়ি বানায় বিদেশে আরামে ঘুমায় আর মারা যায় চুনুপুটির দল।

একটা প্রশ্ন যদি করা হয় আপনি বা আপনারা কাদের সবচেয়ে অপছন্দ আর অবিশ্বাস করেন??
উত্তর হবে একটাই --- রাজনীতিবিদদের।

গুরু ঠাকুর মাহমুদের মতো বলতে হয়,তাহলে সবকিছু কি নষ্টদের অধিকারে চলে যাবে?
এই অবস্থা থেকে কি উত্তরণ দরকার?


#তরুণরা এগিয়ে আসলেই সম্ভব
পোস্টে প্রিয় ভাই আমার ১০০% সহমত।
আসসালামুআলাইকুম।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় 'রহমান লতিফ' ভাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ এ মন্তব্যটি আমাদের পোস্টকে সমৃদ্ধ করেছে নিঃসন্দেহে। অনেক সময় নিয়ে চমৎকার এ মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো, ভাই। স্টুডেন্ট পলিটিক্স প্রয়োজনে আইন করে বন্ধ করা হোক। এতে ছাত্ররা বিপথগামী হচ্ছে। ছাত্রদের কাজ পড়াশুনা করে দেশের সুনাগরিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করা, নেতৃত্বগুণ অর্জন করা। স্টুডেন্ট পলিটিক্স তাদের সে পথ রূদ্ধ করে দেয় চিরতরে।

রাজনৈতিক দলগুলোও এগুলো বুঝে। তবে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ছাত্রদের ব্যবহার করে দলগুলো। ক্ষমতায় যেতে/ঠিকে থাকতেও লাঠিয়াল বাহিনীর গুরুত্ব অপরিসীম।

'ভোট আর জোট
জাতির কপালে চোট
ভোট হবে ভোট
বন্দুকের নিচে হুট।'

যথার্থই বলেছেন আপনি। জোটের হিসেব নিকেশে একটি বড় রাজনৈতিক জোট আমাদের এলাকায় যাকে যাকে এবারের সংসদ নির্বাচনে নমিনেশন দিয়েছে উনার একজন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তিনি সংসদ, সংবিধান না বুঝেও এমপি হতে চান?

আপনি খুব সুন্দর বলেছেন, "উন্নয়ন শুধু পদ্মা সেতুতে বা রাস্তা ঘাটের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।টেকসই উন্নয়ন হলো মানুষের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়ন একটা কল্যাণমুখী রাষ্ট্র পরিচালনা যেখান মানুষের কথাবলা,মতামত,ও চলার স্বাধীনতা থাকবে।"

গুরু ঠাকুর মাহমুদ ঠিকই বলেছেন, তাহলে সবকিছু কি নষ্টদের অধিকারে চলে যাবে?
এই অবস্থা থেকে কি উত্তরণ দরকার?

ভাল থাকুন প্রিয় 'রহমান লতিফ' ভাই।

৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২১

হাবিব বলেছেন: প্রিয় কাউসার ভাইয়ের পোস্ট মানেই ভিন্ন ফ্লেভার....
অনেকদিন পরে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগছে.....
শুভ সকাল.......

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



হাবিব ভাই। আপনি অল্পদিনেই ব্লগে সবার প্রিয়তে পরিণত হয়েছেন। আপনার লেখা কবিতা/সনেট সবার মন ছুঁয়ে যায়। আপনার লেখাগুলো আমার খুব পছন্দ। এভাবে এগিয়ে যান এই আশীর্বাদ রইলো।

শুভ সকাল।

৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: গণতান্ত্রিক আর সেকেন্ডারী বানান ঠিক করুন....

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ ভাই। টাইপোগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।

১০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: শারীরিক বানান ঠিক করুন

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ। ঠিক করেছি।

১১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ.....
আসলে এদেশে পার্ট টাইম জবকে খাটো চোখে দেখা হয়...

একজন ছাত্রের যখন পড়াশোনা করার সময় তখন সে করে রাজনীতি.....
এতে উপর্যুক্ত শিক্ষার অভাবে তৈরী হয় বিকলাঙ্গ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব.....

এদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখবেন বেশিরভাগ দলেই প্রবীণরাই দলের অধিকাংশ দ্বায়িত্বে ....
এক্ষেত্রে নতুনদের ততটা প্রাধান্য দেওয়া হয় না.....
যাদের দেওয়া হয় তাদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড আছে কিন্তু শিক্ষায় লবডঙ্কা....
কিন্ত বিদেশে নতুনদের পাল্লাই ভারী....

সাংসদ নির্বাচন এর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা....

নতুন কোন তরুণ নেতাকে সমগ্র বাংলাদেশ চেনে বলতে পারবেন???

বর্তমানের শিক্ষিত তরুণরাও রাজনীতি বিমূখ......


১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



বাহ!! খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন। খুশি হলাম, ভাই। আমাদের দেশে আসলে পার্ট টাইম জবের তেমন সুযোগ নেই। আর থাকলেও বেতন এত অল্প হয় যে তাতে ছাত্রদের পোষায় না। সরকার যদি প্রতি ঘন্টায় একটি মিনিমাম সেলারি নির্ধারণ করে দিত তাহলে সুবিধা হত। এছাড়া অনেকে পার্ট টাইম জবকে ছোট কাজ/লজ্জার কাজ ভাবেন। ফলে জব এক্সপেরিয়েন্স বাড়ে না।

আপনি ঠিকই বলেছেন, "একজন ছাত্রের যখন পড়াশোনা করার সময় তখন সে করে রাজনীতি। এতে উপর্যুক্ত শিক্ষার অভাবে তৈরী হয় বিকলাঙ্গ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখবেন বেশিরভাগ দলেই প্রবীণরাই দলের অধিকাংশ দ্বায়িত্বে এক্ষেত্রে নতুনদের ততটা প্রাধান্য দেওয়া হয় না।"

একদম ঠিক বলেছেন।

১২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আসলে আপনার প্রতিউত্তর চোখে পড়েনি....
এখন দেখলাম...
আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি....

সকালের শুভেচ্ছা....

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আপনার জন্য সিলেটের সুমিষ্ট কিছু কমলালেবু পাঠালাম। আর স্বশরীরে সিলেটে বেড়ানোর দাওয়াত রইলো। আসবেন কিন্তু।

১৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: কেমন আছেন?
শুভ সকাল।
অনেকদিন পর আপনার পোষ্ট পেলাম।
খুব সুন্দর পোষ্ট।

পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দর পতাকা- বাংলাদেশের পতাকা।
সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
জয় বাংলা।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



রাজীব ভাই, কেমন আছেন? ব্লগে আগের মত সময় দিতে পারি না। তবে আপনার পোস্টগুলো পড়ার চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত। আমি ভাল আছি। লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনাকেও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

১৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হয়েছে বটে কিন্তু এখনো জাতিগতভাবে পাকি মন-মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে নাই | পাকিস্তানে এখনো সামন্ততান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা রয়ে গেছে, সেখানে সমাজের এক শ্রেণী সমাজের উচ্চস্থানে থেকে দেশের অধিকাংশকে প্রজার মতো ব্যবহার করে থাকে | বাংলাদেশেও প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ও তার কিছু বেনেফিসিয়ার কর্মীসমর্থক দেশকে তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে | দেশটাকে লুটেপুটে এরা যে পরিমান আখের গুছিয়ে ফেলেছে যে ক্ষমতায় যাওয়া বা ক্ষমতা ধরে রাখা এদের জন্য জীবনমরণের মতো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে | ক্ষমতার জন্য এরা দুই পক্ষই কুকুরের মতো কামড়াকামড়ি শুরু করেছে |

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



দারুন একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। বাংলাদেশে উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোতে পারেনি রাজনীতি। অগ্রগতির সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনীতি। জাতীয় জীবনের প্রতিটি অঙ্গনে দুর্বৃত্তায়ন চলছে। যে যত বড় মাপের দুর্বৃত্ত, সে তত বড় ক্ষমতাবান। সমাজে সে তত উঁচু আসনে অধিষ্ঠিত, তত বেশি সালামপ্রাপ্ত।

তারা স্তাবক, পারিষদ, অস্ত্রধারী, বন্দুকধারী, লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা পরিবৃত্ত। তারা সমাজে ত্রাস সৃষ্টি করে, মানুষকে ভয় দেখায়, অঙ্গচ্ছেদ করে, রগ কাটে, কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয়, মানুষকে গলা কেটে জবাই করে, হত্যা করে, গুম করে।

আপনি যথার্থই বলেছেন, "বাংলাদেশেও প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ও তার কিছু বেনেফিসিয়ার কর্মীসমর্থক দেশকে তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে | দেশটাকে লুটেপুটে এরা যে পরিমান আখের গুছিয়ে ফেলেছে যে ক্ষমতায় যাওয়া বা ক্ষমতা ধরে রাখা এদের জন্য জীবনমরণের মতো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে" |

ক্ষমতার জন্য এরা দুই পক্ষই কুকুরের মতো কামড়াকামড়ি শুরু করেছে |

১৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি কমেন্ট করলে আপনার বিপক্ষে চলে যাবে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কিযে বলেন আপনি? আমি নিয়মিত আপনার রাজনৈতিক পোস্টগুলো পড়ি; আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে লেখাগুলো অনুধাবন করার চেষ্টা করি। এগুলো নতুন প্রজন্মের কাজে লাগবে নিঃসন্দেহে। সে অনুপাতে আমার কাঁচা হাতের লেখাগুলো আপনার মত চমৎকার হবে না। আপনি কমেন্ট করে উপস্থিতিতি জানিয়ে গেলেন এটা আমার জন্য সম্মানের।

ভাল থাকুন, নিজের প্রতি খেয়াল রাখুন।

১৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব,

অনেকদিন পরে আপনার পোস্ট পেয়ে আনন্দ পেলাম। নির্বাচন প্রাক্কালে এরকম একটি নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ নিঃসন্দেহে দেশের যুবসমাজকে গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহনে সাহায্য করবে বলে আশা করি । যদিও বর্তমান সমাজের চালিকা শক্তিটি এখন আর ব্যাকরণ মেনে হয় না , যা প্রবন্ধের প্রতি পরতে পরতে উচ্চারিত হয়েছে। আপনি যে দশটা কোশ্চেন এখানে উল্লেখ করেছেন ; যেগুলি একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক দেশেই কেবল আশা করা যায়।

এবার আমি একটু অন্য প্রসঙ্গে বলবো।
একজন ডাক্তার প্রকৌশলী বা প্রভাষক জন্ম থেকেই কিন্তু ডাক্তার প্রকৌশলী বা প্রভাষক হন না। নিজেদের দীর্ঘ শিক্ষা জীবনে ধাপে ধাপে উত্তরণের মাধ্যমেই তারা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছান । কর্মজীবনের শুরুতে কয়েক দিনের মধ্যে নিজেদের কাজের জগতটির সঙ্গে পরিচিত করার পর তারা সিংহ ভাগই নিজের দায়িত্ব বা সচেতনতার কথা ভুলে গিয়ে ব্যাক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য চার হাত পা দিয়ে উপার্জনে নেমে পড়েন । আমরা সাধারণ মানুষরা তাদের কাছে প্রতি পদে পদে শিকার হই।

মাক্স এর কথাটিকে আমি একটু অন্যভাবে ব্যাখ্যা করব । " দোজ হু হ্যাভ অ্যান্ড হ্যাভ নট ।" সমাজে যার আছে সেও যেমন অনৈতিকভাবে সম্পদকে আরো বাড়ানোর নেশায় মগ্ন। ঠিক তেমনি যে সম্পদহীন ছোট থেকে যে প্রতি পদে পদে বিভিন্ন পরিস্থিতির শিকার ; সেও সুযোগ পেলে নগ্নভাবে আখের গোছাতে মাঠে নেমে পড়ে। আমরা পড়ে গেছি এমনই একটি যাঁতাকলের এর মধ্যে ।

সমাজ একটা ময়দান। যে ময়দানে রাজনীতির কারবারীরা বা ছোট বড় মাঝারি নেতারা সবাই এক একজন খেলোয়াড়। এখন আপনি বলুন , এই খেলোয়াড়দের পায়ে বল এলে তারা কি সেই বলটা তাদের মত ব্যবহার করবে ? না বল না খেলেই তারা ময়দান ত্যাগ করবে ? যে কারণে বেচারা রাজনীতিকরা যখন কামানোর সুযোগ পাবে, কি করে তাদের কাছে নৈতিকতা আমরা আশা করি।

শিক্ষাটা হয়ে গেছে বহিরঙ্গে ; অন্তরঙ্গে অবক্ষয়তা আমাদেরকে সম্পূর্ণ গ্রাস করে ফেলেছে। যে কারণে ন্যায় -নৈতিকতা বা ধর্ম কথা পাঠাংশের মধ্যে লুকিয়ে আছে ; তা আর হৃদয়ে স্থান পেল না।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও বিমুগ্ধ ভালোবাসার প্রিয় গুরুদেবকে।


১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



'গুরুজি'
প্রথমে ক্ষমা চাচ্ছি আপনার লাস্ট পোস্টটি পড়েও এখনো মন্তব্য করতে না পারার জন্য। একটি সুন্দর ও প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করবো বলে সময় খুঁজছি। অবচিরেই মন্তব্য করবো আশা করছি। এবার আমার পোস্টের বিষয়ে আসি। আমার অতি সাধারন লেখাগুলোও আপনার মন্তব্যে গুরুত্ব পায়; এটা আমার জন্যে অনেক বড় সম্মানের। এজন্য কৃতজ্ঞতা আপনার প্রাপ্য। ছুটির দিনে ভাবীকে ফাঁকি দিয়ে এত বড় একটি মন্তব্য করেছেন!! এটা আমার লেখনিকে আরো সমৃদ্ধ করেছে, প্রেরনা যুগিয়েছে।

একটি গণতান্ত্রিক দেশে সুশাসন ও সমাজের সুসম অবস্থান তখনই নিশ্চিত হয় যখন দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব দায়িত্বশীল হয়। আমাদের উপমহাদেশের রাজনীতি দুষ্ট চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। তরুণ ও যুব সমাজ সঠিক দিকনির্দেশনা না পেয়ে বিপথগামি হচ্ছে। চাকরি নেই, আশা নেই, ভবিষ্যৎ নেই তাদের। যারা পারছে পড়ালেখা শেষ করে উন্নত জীবনের আশায় ধনী দেশগুলোতে পাড়ি দিচ্ছে। এতে দেশ একজন সুনাগরিক ও দক্ষ কর্মী হারাচ্ছে। ফলে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র এর প্রভাব পড়ছে।

আপনি নেতৃত্বগুণ নিয়ে চমৎকার বলেছেন, "একজন ডাক্তার প্রকৌশলী বা প্রভাষক জন্ম থেকেই কিন্তু ডাক্তার প্রকৌশলী বা প্রভাষক হন না। নিজেদের দীর্ঘ শিক্ষা জীবনে ধাপে ধাপে উত্তরণের মাধ্যমেই তারা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছান । কর্মজীবনের শুরুতে কয়েক দিনের মধ্যে নিজেদের কাজের জগতটির সঙ্গে পরিচিত করার পর তারা সিংহ ভাগই নিজের দায়িত্ব বা সচেতনতার কথা ভুলে গিয়ে ব্যাক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য চার হাত পা দিয়ে উপার্জনে নেমে পড়েন । আমরা সাধারণ মানুষরা তাদের কাছে প্রতি পদে পদে শিকার হই।"

এখানেই আমাদের সমস্যা। আমাদের এখানে নেতা তৈরীর প্রক্রিয়াটি খুব নাজুক। এরা থিয়রি ও প্রেকটিক্যাল না পড়েই ডাইরেক্ট সার্জন হয়ে যায়। ফলে সিজারের পরিবর্তে কোদাল-শাবল দিয়ে অপারেশন চালায়। এতে রোগীও মারা যায়। দেশ নামক হসপিটালও গোয়ালশুণ্য হয়!

ইলেকশন আসলে বলা হয়। দুই দলই সমানে সমান; হেভিওয়েট প্রার্থী!! শুনে মনে হয় দুই ষাড়ের লড়াই!! নির্বাচনি মাঠে হওয়ার কথা ছিল আদর্শ, নীতি, যোগ্যতা আর কৌশলের লড়াই; কিন্তু আমরা দেখি গরুর লড়াই!! টাকার খেলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খেলা, ভোট কেনা, ভোট চুরির লড়াই।

আপনার সবশেষ কথাটি আমাকে মুগ্ধ করেছে, "শিক্ষাটা হয়ে গেছে বহিরঙ্গে ; অন্তরঙ্গে অবক্ষয়তা আমাদেরকে সম্পূর্ণ গ্রাস করে ফেলেছে। যে কারণে ন্যায় -নৈতিকতা বা ধর্ম কথা পাঠাংশের মধ্যে লুকিয়ে আছে ; তা আর হৃদয়ে স্থান পেল না।"

সত্যি সত্যি এমন হৃদয়গ্রাহী কমেন্ট করে আমাকে ঋণী করে দিলেন গুরুজি। ভাল থাকুন সব সময়। আর ছুটির দিনটি উপভোগ করুন পরিবার-পরিজন নিয়ে।


১৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ ও ভাল লাগা রইলো, প্রিয় সনেট কবি।

১৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

নজসু বলেছেন:





প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় কাওসার চৌধুরী ভাই।
রাজনৈতিক বিষয়ক লেখাগুলো আমি পড়ি কিন্তু বেশিরভাগ সময় কমেন্ট করা
থেকে বিরত থাকি। কি এক অজানা কারণ আমার উপর ভর করে। কিছু পোষ্টে যখন মন্তব্য করি
তখন খুব সতর্ক থাকি আমার কথাটা যেন কোন দলের পক্ষে বা বিপক্ষে না যায়।
কেউ যেন মন না খারাপ করেন। নিজের আদর্শ বজায় রেখে সবার আদর্শকে সন্মান করাটাই আমি শ্রেয় মনে করি।

কিন্তু আপনার আজকের পোষ্টটি এমন একটি বিষয়ে লিখেছেন যাতে প্রত্যেকটি দলে নিমগ্ন থাকা কিছু টগবগে তরুণের ভবিষ্যত
আশার দোলাচলে দুলছে।
আমার ভাবনা কোন কোন মানুষের কেন রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকার এতো আপ্রাণ চেষ্টা। আপনার আজকের পোষ্ট পড়ে বুঝতে পারলাম রাজনীতিতে জড়িয়ে পরাও এক ভয়াবহ নেশা। যে নেশা ভয়ংকর কোন নেশার থেকে কম নয়। সব নেশা তো আবার খারাপ নয়। বিদ্যা অর্জনের নেশা, মানুষের হিত করার নেশার মতো রাজনীতির নেশার পিছনে তাদের উদ্দ্যেশ্য কি? কেউ জবাব না দিলেও সবাই জানেন প্রায় সবার রাজনীতি স্বার্থ ভিত্তিক।
আজকাল সেবা করবে বা মানুষের উপকার করবে এই চাওয়াকে সামনে রেখে রাজনীতির খাতায় নাম লেখান কয় জন?

সবার লক্ষ্য থাকে নিজের পকেট ভারী করার। স্থানীয় নির্বাচন যারা করেন তারা হিসেব করেন ভোট করতে কত খরচ হলো। টাকা উঠে আসবে তো।

এবার আসি ছাত্র রাজনীতি বিষয়ে। ছাত্রদের তপস্যা হচ্ছে অধ্যয়ণ করা। পড়াশুনার পাশাপাশি দেশকে ভালোবাসার, দেশকে গড়ে তোলার, সদাচার, সহমর্মিতা ইত্যাদি শিখবে।

পড়াশুনাকালীন রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ায় আপনি যে আশংকাগুলো কথা উল্লেখ করেছেন সেগুলো সাথে আমিও একমত।
যে সময় নিজেদের গড়ে ওঠার কথা সেসময় নোংরা রাজনীতিতে জড়িয়ে নিজেদের অংকুরেই বিনষ্ট করছে।

ক্ষমতা আর শক্তির লোভে তারা ভয়ংকর হিংস্র হয়ে উঠছে।

যে সময়ে ছাত্রদের কলম চালানোর কথা ঠিক সেই সময়ে তাদের হাতে অস্ত্র গর্জন করে ওঠে। তাহলে আমাদের ভবিষ্যত কোনদিকে যাচ্ছে?

আমরা জেনেছি সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ চাচা ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে যেয়ে ছাত্রদের তোপের মুখেই পতিত হন।
চাচা শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা হারিয়ে জেলে বসে কবিতা লেখা শুরু করেন।
রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে ছাত্রদের ব্যবহার করছে। তারা মরলেই কি পুড়লেই কি। হাহাকার শুধু বাপ মায়ের। নেতাদের তো আর কিছু হয়না।

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ না করে বরং ছাত্ররাজনীতিকদের উচিত আদর্শবান ছাত্র রাজনীতির প্লাটফর্ম গড়ে তোলা।
ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যত। তারা দেশের চালিকা শক্তি। তারা যদি যথাযথভাবে গড়ে না ওঠে তাহলে হতাশা আর অন্ধকার ছাড়া আর কিছু থাকবে না।

ছাত্রদেরকে আমরা টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, ধর্ষক আর সন্ত্রাসী হিসেবে দেখতে চাই না। তাদেরকে আদর্শ, নীতিবান এবং দেশের উজ্জ্বল আলোকবর্তিতা
হিসেবে সবাই দেখতে চাই আমরা ।

এজন্য দেশের বড় বড় দলগুলোকে সবার আগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তাদের ইচ্ছে তৈরি করতে হবে।

আমরা সামান্য সামু ব্লগার। আমাদের আহ্বান কি তারা শুনবেন? এ বার্তা কি কখনও তাদের কাছে পৌঁছুবে?

ছাত্ররা রাষ্ট্রের স্তম্ভ। আমাদের সবার উচিত তাদের যথাযথ ব্যবহার করা।

ধন্যবাদ জানবেন। আপনার মাধ্যমে এই পোষ্টের সকল পাঠক, কমেন্টদাতা ও লাইকদাতার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করছি।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় 'সুজন' ভাই।
আপনার সুচিন্তিত মতামত আর দীর্ঘ কমেন্ট আমার লেখাটিকে সমৃদ্ধ করেছে। পাঠকরাও আপনার চমৎকার ও সময়োপযোগী এ কমেন্ট পড়ে উপকৃত হবেন নিশ্চিত। ধন্যবাদ আপনাকে।

আমিও আপনার মত। ব্লগে রাজনৈতিক পোস্টগুলো দেখলেও পড়ে কমেন্ট করি না। অনেকে ভুল বুঝতে পারেন এই ভয়ে। আমি দেশের কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী, সমর্থক কখনো ছিলাম না। তবে ছাত্র রাজনীতির ভয়াবহ দিকটি কাছে থেকে দেখেছি। এজন্য সমাজকে সচেতন করতে, ছাত্রদের ভবিষ্যত গড়তে পরামর্শ দেই, ব্লগে লিখে সামাজিক দায়িত্ব পালন করি, সচেতন করি।

রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়াও এক প্রকার নেশা। ইয়াং বয়সে ছেলেরা এই নেশায় বুদ হয়ে ডুবে থাকে, বড় নেতারা তাদের ব্যবহার করে নিজের আখের গোছায়। পরিণামে ছেলেটি সমাজে বখাটে হিসেবে পরিচিতি পায়। যখন সে বুঝতে পারে তখন সব শেষ। পড়ালেখার বয়স শেষ, পরিবারের হাল ধরার কোন ক্ষমতা থাকে না তখন। তবে অনেক দেরী হয়ে যায় তখন।

তরুণরা রাষ্ট্রের স্তম্ভ। সে স্তম্ভ যদি নড়বড়ে হয় তবে রাষ্ট্রের অন্য সব কিছু ঝুঁকিতে থাকে। রাষ্ট্রকে ঝুঁকিমুক্ত এবং জাতিকে দুশ্চিন্তামুক্ত করতে পারে রাজনৈতিক নেতারা। কেননা নেতাদের মহৎ আদর্শই সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে প্রবেশের মাধ্যমে তারা দেশ ও জাতি গঠনে উদ্ধুদ্ধ হবে। ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িতরা যদি জাতি ধ্বংসের প্রতিযোগিতা করে তবে সে জাতির সম্মুখ নিকষ অন্ধকারে ছেয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না।

ভাল থাকুন। আর ব্লগটিকে চমৎকার লেখা দিয়ে সমৃদ্ধ করুন। শুভ কামনা রইলো, সুজন ভাই।

১৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

নজসু বলেছেন:




ভ্রাতা আর্কিওপটেরিক্স তো সব কমলা একাই খেয়ে ফেললেন। B-)
আমার জন্য দুখানা পাঠিয়ে দিন। খেয়ে দেখি কেমন। :P

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আপনার জন্য সিলেটের বাগানের টাটকা চা দিলাম। কমলার চেয়ে চা-ই ভাল তাই না?

২০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভ্রাতা আর্কিওপটেরিক্স তো সব কমলা একাই খেয়ে ফেললেন। B-)
আমার জন্য দুখানা পাঠিয়ে দিন। খেয়ে দেখি কেমন। :P

=p~ =p~ =p~

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
=p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~!!

২১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: বরাবরের মত তথ্য সমৃদ্ধ সুন্দর পোস্ট। +++

চাঁদগাজী লিখেছেন ''আমি কমেন্ট করলে আপনার বিপক্ষে চলে যাবে।'' একজন সেলফ ডিক্লেয়ার্ড মুক্তিযোদ্ধার আপনার নষ্ট রাজনীতির মুখোশ উন্মোচনের বিপক্ষে যাবার বিষয়টা বড় ভাবনার।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



লেখাটি পড়ে সুচিন্তিত মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ 'ঢাবিয়ান' ভাই। রাজনীতি ও নেতৃত্ব নিয়ে লেখা নিবন্ধটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আসলে সব লেখা সবার জন্য নয়। এতে মতের অমিল, ভাবনার অমিল, দৃষ্টিতে অমিল থাকতে পারে। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের এসব লেখা পছন্দ হওয়ার কথা। উনারা নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে দেশকে মুক্ত করেছেন। ছাত্র রাজনীতির নামে অপরাজনীতি, পিকেটিং, চাঁদাবাজি আর অযোগ্য নেতা তাঁরা চান নাই।

২২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

করুণাধারা বলেছেন: নেতার উত্থান ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন নিয়ে চমৎকার বিশ্লেষণ!! নির্বাচন আসলেই দেখা যায়, অনেক নেতার শিক্ষাগত যোগ্যতা বলা হয়, "স্বশিক্ষিত"; এই ধরনের নেতারা ঠিক কোন পর্যায়ে থেকে উঠে আসেন, সেটা আপনার পোস্টে বিস্তারিত বলেছেন। এই যে  শিক্ষাবিহীন একটা শ্রেণি আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব হয়ে উঠছে, পরবর্তীতে হয়ে উঠছে দেশের নেতা, এদের না আছে দেশ নিয়ে কোন স্বপ্ন, না আছে পরিকল্পনা! স্বপ্ন দেখতে বা পরিকল্পনা করতে প্রয়োজন শিক্ষার, সেটা এদের নেই; এদের যা আছে তা হচ্ছে, অর্থলোভ এবং ক্ষমতার লোভ!

ঠিকই বলেছেন, তরুণদের বেকারত্ব তাদের উদ্বুদ্ধ করে এই ধরনের রাজনীতিতে জড়িয়ে যাবার জন্য, এবং একবার জড়িয়ে যাবার পর এরা আর তা থেকে বের হয়ে আসতে পারে না.......

দেশের নেতৃত্ব যদি সৎ মানুষের হাতে থাকে, তাহলে অবশ্যই তারা চাইবেন দেশের নেতৃত্বে আসুক এমন মানুষ, যারা শিক্ষিত, স্বাপ্নিক, এবং সৎ। আমাদের দুর্ভাগ্য, তেমন নেতৃত্ব আমাদের জন্য দুর্লভ হয়ে উঠেছে। ফলাফল..... রাজনীতি ক্রমশই দুর্বৃত্তদের হাতে চলে যাচ্ছে।

 সুচিন্তিত, পরিশ্রমী এই পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ, কাওসার চৌধুরী!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপা, আপনার চমৎকার কমেন্ট আমাকে সব সময় মুগ্ধ করে। লেখায় ও কমেন্টে আপনি নিজের দক্ষতা ফুটিয়ে তুলতে পারেন সুচারুরুপে। আপনি একজন একনিষ্ঠ পাঠকও বটে। মনোযোগ দিয়ে পোস্ট না পড়লে এমন সারগর্ভ কমেন্ট করা সম্ভব না। এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আমাদের দেশের রাজনীতিতে 'স্বশিক্ষিত' শব্দটি বেশ পরিচিত। নির্বাচনে কোন কোন প্রার্থী খুব গর্ব করে তা প্রচারও করে থাকেন। দেশের জাতীয় সংসদে যখন কোন 'স্বশিক্ষিত' (আসলে মূর্খ) আইন প্রণেতাীর পদায়ন হয় তখন জাতির কপালে চরম সর্বনাশ নেমে আসে। নিজে পড়তে না পারলেও আইন প্রণেতা হয়!!

আপনি এ বিষয়টি চমৎকার বলেছেন, "এই ধরনের নেতারা ঠিক কোন পর্যায়ে থেকে উঠে আসেন, সেটা আপনার পোস্টে বিস্তারিত বলেছেন। এই যে শিক্ষাবিহীন একটা শ্রেণি আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব হয়ে উঠছে, পরবর্তীতে হয়ে উঠছে দেশের নেতা, এদের না আছে দেশ নিয়ে কোন স্বপ্ন, না আছে পরিকল্পনা! স্বপ্ন দেখতে বা পরিকল্পনা করতে প্রয়োজন শিক্ষার, সেটা এদের নেই; এদের যা আছে তা হচ্ছে, অর্থলোভ এবং ক্ষমতার লোভ।"

দেশে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব না আসলে সুশিক্ষিত মানুষ রাজনীতিতে আসতে পারবে না। কিন্তু আপনার কথায় বলতে পারি, "রাজনীতি ক্রমশই দুর্বৃত্তদের হাতে চলে যাচ্ছে।" আবারো কৃতজ্ঞতা রইলো আপা, এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

ভাল থাকুন সব সময়, আর লিখুন আমাদের জন্য।

২৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯

শাহিন-৯৯ বলেছেন:


খুবই সুন্দর লেখা,
উপরের সব মন্তব্যকারী খুব সুন্দরভাবে তাদের মতামত জানিয়েছেন সেগুলোও খুব ভাল লাগল।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, 'শাহীন-৯৯' ভাই। আমি চেষ্টা করেছি বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত লিখতে। যাতে নেতারা সচেতন হয়; তরুণরা এদের খপ্পরে না পড়ে। আর বেশ কয়েকজন গুনী ব্লগার তাদের সুচিন্তিত মতামত দিয়ে লেখাটিকে সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করেছেন। এজন্য আপনি সহ বাকী সবাইকে ধন্যবাদ।

২৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

নিউজপ্রিন্ট বলেছেন: হিরু আলুম নামের নিকৃিষ্ট আলুম নোংরা অশালীন ভিডিও ইউটিউবে প্রচারকারীআসন্ন সংসদ নির্বাচনে বগুরা ৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবে, যেই সংসদ নির্বাচণে অংশ নেবেন শেখ মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা, যেই সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন বর্তমান সরকারের তাবত মন্ত্রী পরিষদের মন্ত্রীগণ। কিন্তু হিরু আলুম কে ? কি তার পরিচয় - দেশে তার গ্রামে মেম্বার নির্বাচন করার যোগ্যতা সে রাখে না। চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে চাইলে ভর বাজারে বিচার ডেকে হিরু আলুমকে কানে ধরে উঠ বস করানো হবে। সেই ব্যাক্তি নর্দমার কীট নোংরা অশালীন ভিডিওকারী ও ই্উটিউবে নোংরা অশালীন ভিডিও প্রচারকারী কিভাবে বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে - তার বিরুদ্ধে আপনারা কেউ লিখেন না, আবার আপনারা সবাই ব্লগ লিখেন ! কিসের ব্লগ লিখেন বলতে পারেন ? দেশের প্রতি কি দায়িত্ব নিয়ে লিখেন যে একটা নোংরা নর্দমার কীট অশালীন ভিডিওকারীর বিরুদ্ধে লিখছেন না। আপনাদের কাছে দেশ কি আশা করে? আপনারা ব্লগে বড় বড় কলাম লিখেন এই নর্দমার কীট সম্পর্কে কেনো লিখছেন না । কি লাভ এই বড় বড় কলাম লিখে যদি আপনার-আপনাদের লিখা দেশের সমাজের পরিবেশের উপকারে না আসে।

নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন হিরু আলুম নামক নিকৃষ্ট আলুম নোংরা অশালীন ভিডিও ইউটিউবে প্রচারকারী কিভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে? পবিত্র সংসদ ভবন যেখানে দেশের আইন বিচার ব্যাবস্থা সংশোধন সংযোজন পরিমার্জন করা হয় সেখানে হিরু আলুম নামক নিকৃষ্ট আলুমের কাজ কি?

হিরু আলুম বাংলাদেশ ইন্টারনেট সমাজে নোংরা অশালীন ভিডিও প্রকাশ করে সমাজ ধ্বংসের অন্যতম কারণ। সে কিভাবে দেশের সর্বোচ্চ পবিত্র স্থানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে ? আপনারা কেউ কিছু বলুন ? কেউতো কিছু লিখুন - এই নোংরা কীট সমাজ ছিড়ে খাবলে খাবে । সমাজ পরিবেশ দেশ রক্ষা করুন। আপনারা দেশের কাছে দায়বদ্ধ - নিজেকে কি বলে সান্তনা দেবেন ?

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



হিরো আলম এদেশের একজন নাগরিক। এজন্য যেকোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার তারও আছে। এমপি হিসেবে সে যোগ্য কিনা; সংসদে গিয়ে আইন প্রণয়ন করতে পারবে কিনা তা যাচাই করবে ঐ নির্বাচনী আসনের ভোটাররা। ভোটারররা যদি তাকে সংসদে পাঠায় তাহলে এর দায়ভারও ভোটারের।

২৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বিশ্লেষণ।

কিন্তু সত্যি বলতে কি বিষয়গুলো আমাদের নিরুপায়- গা সহা হয়ে গেছে।
বদলের জন্য যে পরিপর্ণূ কাঠামোগত পরিকল্পনা, নেতৃত্ব এবং অর্থনৈতিক সহযোগীতা দরকার
তার নাইই বলতে গেলে। ব্যাক্তিগত ভাবে বহু মানুষ, কোটি কোটি মানুষই আন্তরিক ভাবে চায়
বদল হোক। তারা স্বপ্ন্ও দেখে। সাধ্যাতীত ভাবনায় আর পরিকল্পনায় প্রাণিপাত করে। কিন্তু
সমন্বয়হীন, প্রচেষ্টা, স্বপ্ন গুলোও মরিচিকার মতোই মিলিয়ে যায় মহাকালে।

একজন আহবায়, একজন সমন্বয়ক একজন ভাল সংগঠক হয়তো পারে বিচ্ছিন্ন দানাগুলোকে গেথে একটা মালা বানাতে।
একটা পরির্বতনের কাঠামো দাড় করাতে। সকল প্রচলিত পূঁজিবাদী, সামন্তবাদী, চলমান লোভী নৃেতত্বের প্রচণ্ড বাধঅ বিপত্তি উপেক্ষা করেই সেই কষ্টকর, ক্লেশকর কাজটি পূর্ণ করতে হবে। তবেই হয়তো আশা করা যায় সামনের সোনালী দিনের প্রকৃত গণতন্ত্রের সূর্যোদয়ের।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



'বিদ্রোহী ভৃগু' ভাই। চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। আসলে এসব অযোগ্য নেতৃত্ব দেখতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এজন্য আগুন গুন্ডা-মুর্খরা নেতা হয়ে আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খায়। রাষ্ট্র পরিচালনার নামে লুটপাট করে। তবে এদেশের কোটি কোটি মানুষ বদল চায়। যোগ্য নেতৃত্ব চায়।

তবে তা মরিচিকার মতো মিলিয়ে যায় প্রতিনিয়ত।

২৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৪

বলেছেন: এবার এসে মন্তব্য ও প্রতি - মন্তব্যগুলো পড়ে গেলাম


এত সুন্দর করে প্রতিটি মন্তব্যের উত্তর দেন যা আসলেই অনুকরণীয় - অনেক সেলিব্রিটি ব্লগার তো উত্তর দেওয়ার তোয়াক্কা করে না তাই মন্তব্য করি না নীরব পাঠক থেকে যাই।


আপনি "৪অ"

অনুকরণীয়,অনুপম,অনুপ্রেরণাময় ও অনন্য।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় 'রহমান লতিফ' ভাই। আবারো এসে নিজের ভাললাগাটুকু জানিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি সহ বেশ কয়েকজন গুণী ব্লগার লেখাটি পড়ে দারুন কিছু মন্তব্য করেছেন। এসব মন্তব্য আমার লেখার অলঙ্কার। আপনারা অনেক সময় নিয়ে লেখাটি পড়েছেন এবং বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করে কমেন্ট করেছেন। এটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। আমার দায়িত্ব হলো আপনাদের মূল্যবান মতামতগুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়ে যথাযথভাবে প্রতি উত্তর করা। আমি তা-ই করার চেষ্টা করেছি মাত্র।

যারা ভাল লেখেন, পাঠকের ভাল সাড়া পান তাদের দায়িত্ব হলো কমেন্টের প্রতি উত্তরে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রতি মন্তব্য করা। ভাল থাকুন সব সময়। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা রইলো।

২৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন:
স্কুলের মাঠে কড়া রোদের ভেতর লাইনে দাড়িয়ে ঠেলাধাক্কা সামলে ভোট দিতে আমার মন চায় না। অনলাইন ভোট চালু করলে আমি আছি।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ফিরোজ ভাই, আপনি ঠিকই বলেছেন। স্কুল মাঠের কড়া রোদের ভেতর দাঁড়িয়ে, ঠেলাঠেলি করে যাদেরকে ভোট দেবেন তিনি জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ হয়। আমার এলাকায় বড় দুই জোটের কোন প্রার্থীই এমপি হওয়ার যোগ্য নয়। একজন গত দুই বারের এমপি; বিরাট ব্যবসায়ী। কিন্তু পাশ করার পর হাওয়া হয়ে যান! ঢাকায় বসে দালাল দিয়ে এলাকায় খবরদারি করেন। আরেকজন তো ইউপি মেম্বার হওয়ারও যোগ্যতা রাখেন না। তবুও জুটের পলিটিক্সে তিনি এমপি হতে চান।

এজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার ভোট দেব না। এগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনাস্থা ও প্রতিবাদ।

২৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

সোহানী বলেছেন: প্রিয় কাওসার ভাই, ক'দিন আগে আমার একটা লেখায় কানাডায় বিজ্ঞান প্রতিমন্ত্রী পদে নিয়োগের বিজ্ঞাপনটা দিয়েছিলাম। প্রার্থীর যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল এ জীবনে তাঁর কতটা গবেষনা আছে তার রেফারেন্স সহ ছয় পৃষ্ঠার এ্যাপ্লিকেশান এ কেন তিনি এ পোস্টে যোগ্য তার বর্ননা। আর আমাদের দেশের একজন মন্ত্রীর যোগ্যতা চাওয়া হয় কত কালো টাকা আছে, কতটা খুনের কেইস আছে, এলাকায় কত বড় আধিপত্ত আছে। তাহলে আপনি যা বলেছেন সেটা অক্ষরে অক্ষরে সত্য। জীবনের প্রথম থেকে এ নিয়ে হাত না পাকালে কিভাবে এ পদ পাবে তা কি বুঝতে পারছেন না!!!!!

অনেক কিছু লিখার ইচ্ছে হচ্ছে কিন্তু সময় নেই।............ পারলে আবার হয়তো আসবো।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপুনি,
কেমন আছেন? আপনার ব্লগে সব সময় টু মেরেও হতাশ হই। নতুন কোন পোস্ট পাই না। এখন তো সামনে ক্রিসমাসের ছুটি আছে। আশা করি, নতুন লেখা পাব। আপা, কানাডার বিজ্ঞান প্রতিমন্ত্রীর বিজ্ঞাপনটি খেয়াল করিনি। তবে এসব উন্নত গণতান্ত্রিক দেশে এভাবে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। ব্রিটেনেও একই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়া হয়।

আমাদের মত ইলেকশন আসলে গরুর পালের মত শত শত নেতা নমিনেশন কিনে না; এতো সাক্ষাৎকারও দিতে হয় না। এ বিষয়টি দলগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অতি গোপনে করে। দলগুলোর মূল নেতার সব সময় এলাকার সবচেয়ে যোগ্য লোকটিকে নির্বাচন করে। যাতে পার্লামেন্টে Legislation-এ অংশ নিতে পারে। দেশের আইন প্রণয়নে উপযুক্ত ভূমিকা রাখতে পারে।

ব্রিটেনে সবচেয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় একাডেমিক অর্জনকে। পলিটিক্যাল সাইন্স নিয়ে কতটুকু জানেন, কি কি বিষয়াদি নিয়ে থিসিস করেছেন তা তুলে ধরতে হয়। জীবনের কখনো কোন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত হলে রাজনীতিতে আজীবন নিষিদ্ধ হতে হয়। আর আমাদের দেশে চুরি, ডাকাতি, পিকেটিং, চাঁদাবাজি, কালোটাকা, পেশিশক্তি, খুণ-খারাপি ইত্যাদি হলো প্রার্থীর যোগ্যতা!! X( X( X(

২৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার ব্লগে দাওয়াত রইলো :)

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ভাইজান, লজ্জা দিবেন না। আপনার ব্লগে কমেন্ট কম করলেও নিয়মিত আপনার লেখা পড়ি।

৩০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: একি শুনলাম :D
কমেন্ট চাই কমেন্ট চাই... B-))

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ভায়া! কমেন্ট হইবেক!! :-B :#) B:-) B:-/

৩১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম।
আসলে আমরা এমন একটা জায়গায় আটকে আছি যা থেকে বের হবার কোনো উপায় নাই। প্রথমত আমরাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার ।
আমাদের মানসিকতা এখন যেমন , তাতে উন্নত দেশের মানুষের সাথে তুলনা করা বোকামি সারা আর কিছু না ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কেমন আছেন, ভাইজান? আপনার মতো গুণী ব্লগার আমার কাঁচা হাতের লেখাগুলো পড়েন এটাই আমার জন্যে অনেক বড় পাওনা। আপনি ঠিকই বলেছেন, আমরা এমন একটা জায়গায় আটকে আছি যা থেকে বের হবার কোনো উপায় নাই। তবে যেভাবেই হোক আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য এ চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশের উন্নতির পাশাপাশি আমাদের মানসিক উন্নতিও জরুরী।

৩২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: *যেই দেশে মাশরাফি, হিরো আলম, মমতাজ আর ডিপজল এমপি ইলেকশন করে আর সেটা দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলি মনোনয়ন দেয়, তখন বুঝতে হবে সমস্যাটা অন্য জায়গায়!

*যেই দেশে এমপি ইলেকশন করে রাজনৈতিক লোকজনের চেয়ে ব্যবসায়ী বেশি, তখন বুঝতে হবে সমস্যাটা অন্য জায়গায়!

আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আমরা দ্রুত নেতাশূন্য হয়ে পড়ছি। লোকজন যথাযথ নেতৃত্ব দেয়ার বদলে বাণিজ্যিক সুবিধা নেয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছে। সাহসী নেতৃত্ব গড়ে তোলার যে উদার-উন্নত পরিবেশ সেটা দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে আমরা আমাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য পা চাটা বিদেশ নির্ভর হয়ে পড়ছি। বিষয়টি একটা স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের জন্য ভয়ংকর অশনি সংকেত। শুধুই ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পুরো দেশকে বারবার বিক্রি করে দিচ্ছি আর ক্ষমতার দম্ভে জনগনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছি!

রাজনীতি চর্চার উন্মুক্ত পথগুলো ধীরে ধীরে রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং সত্যিকারের ভালো লোকজন রাজনীতির ওপর থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ভালো মানুষরা নানান উচ্ছৃঙ্খলতা ও অসম্মানজনক পরিস্থিতি দেখে নিজেকে বাঁচাতে পিছিয়ে যাচ্ছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ সে স্থান দখল করছে অসাধু-অশিক্ষিত ও অপরিচ্ছন্ন লোকজন। ফলে রাজনীতির যে নূন্যতম মূল্যবোধ ও মর্যাদা সেটাও তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে…..

সঙ্গীত-সাহিত্য-শিল্পকলা চর্চার জন্য অনুকূল পরিবেশ লাগে। যেখানে মাছের বাজার আর চালের আড়ত, সেখানে বসে সাহিত্য চর্চা হয় না। ঠিক তেমনি রাজনীতি চর্চার জন্যও পরিবেশ লাগে। আমরা সামরিক শাসনের নিন্দা করি। কারণ সামরিকতন্ত্রে জনগণের ভোটাধিকার, বাক-স্বাধীনতা, অনেক ক্ষেত্রে মৌলিক অধিকারও খর্ব হয়। কিন্তু বর্তমানে যে ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা বা স্বৈরাতান্ত্রিক পরিবেশ দেশে বিরাজ করছে তাতে কি গণতন্ত্রের বিকাশ হবে? নিজের বিবেক কে জিজ্ঞেস করুন!

এখন এমন একটা সময় এসেছে যখন কেউ গভীর মনোযোগ দিয়ে বই পড়তে চায় না, আন্তরিকতা সহকারে কাজ করতে চায় না, সাধনায় লিপ্ত হয়ে বড় অর্জন চায় না, কষ্ট করে শিখতে চায় না বা নিবিড়ভাবে চর্চা করে না। প্রতিযোগিতা হচ্ছে কাকে মেরে কে খাবে এবং কার আগে কে শর্টকাটে কাম্যবস্তু হাসিল করবে। কিন্তু মুশকিল হলো সাধনার অর্জন আর শর্টকাট অর্জন যে কখনো সমান না এটাও কেউ বুঝতে চায় না।
আমাদের লোকদের সবচেয়ে বড় সমস্যা, চাই সে শিক্ষিত হোক বা অশিক্ষিত, তার ভিতরকার অস্থিরতার অন্ত নেই। কী কৃষক, কী ব্যবসায়ী, কী দোকানদার, কী রাজনীতিক, কী ছাত্র, কী অভিভাবক, কী অভিনেতা-অভিনেত্রী সকলে দ্রুত পরিচিত ও সম্মান পাবার জন্য ব্যাকুল। বুঝতে হবে সৃষ্টির প্রতিটি বস্তুর নিজস্বতা আছে। সেই নিজস্বতাকে ভেঙে আপনার প্রয়োজনে কাজে লাগানোর জন্য তার পেছনে মেহনত করতে হবে।
সবাই ভূলে যায় জগতের যত ফ্যাসিবাদী শাসক সবাই দোর্দন্ত প্রতাপের পর একটা সময় ফেরাউন বা কংসের মতোই হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। কিন্তু মাঝপথে ক্ষতি হয় দেশের ও দেশের জনগণের। ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপর্যস্ত হয় দেশের নিরীহ জনতা। এর মধ্যে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য যাদের এগিয়ে আসার কথা তারাও পিছিয়ে যায় ইজ্জত ও জীবনের ভয়ে। তখন সুযোগ নেয় মোড়ল আর নেকড়েরা।

দীর্ঘকাল ছাত্র রাজনীতি ও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের দেশে নেতৃত্ব তৈরির প্রক্রিয়া চালু ছিল। পরাধীন বাংলাদেশে নিয়মিত ডাকসু, চাকসু, রাকসু নির্বাচনসহ কলেজ সংসদ নির্বাচন হয়েছে সুষ্ঠুভাবে। কে কোন দলের প্রার্থী বা কোন দল থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হলো, তার চেয়ে কর্তৃপক্ষ লক্ষ্য রাখতেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা সুষ্ঠু হচ্ছে কিনা এবং ভোটাররা সুন্দরভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে কিনা তার ওপর। সেই পরাধীন বাংলাদেশে এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। প্রশ্ন উঠল প্রথম ১৯৭৩ সালের ডাকসু নির্বাচন নিয়ে। আজকের নেতৃস্থানীয় সকলে সাক্ষী আছেন কীভাবে ভোটপ্রয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, কী জঘন্য প্রক্রিয়ায় ভোটবাক্স ছিনতাই হয়। ১৯৭৫ এর পর জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদের শাসনামল তথা ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ডাকসু সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কলেজ-ইউনিভার্সিটিগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। নির্বাচন বন্ধ হয়ে গেল তথাকথিত সংসদীয় গণতান্ত্রিক ধারা প্রবর্তিত হওয়ার পর। সেই যে নেতৃত্ব তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধ হলো, সে অচলাবস্থা এখনো অব্যাহত আছে।
আমার ভয় হচ্ছে এ রুদ্ধধারা চলতে থাকলে আগামী দিনে দেশ পরিচালনার জন্য ত্যাগী ও তেজী, সাহসী রাজনীতিক নয়, আমাদের তাকিয়ে থাকতে হবে অনুগত সামরিক-বেসামরিক আমলাদের দিকে। যদি তা-ই হয় তাহলে বর্তমানে যে অগণতান্ত্রিক ধারায় দেশ শাসনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, এতে দেশ ও দেশের অগ্রগতি রসাতলে যাবে বৈকি! কারণ, সকলে জানেন, অনুগত লোকদের দিয়ে আর যা হোক দেশ পরিচলনার মতো বৃহৎ কর্ম চলতে পারে না। দেশ পরিচালনার জন্য সাহসী নেতা দরকার। যদি কোন নেতার জন্ম না হয়, ওপেন রাজনীতি চর্চা করা না যায়, তবে প্রয়োজনের সময় নেতা আমরা কোথায় পাব?

যারা বর্তমানে ক্ষমতায় আছেন, তারা যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকাকেই রাজনীতির অংশ বলে ভাবছেন। এ অপরাজনীতিকে কেউ কেউ স্বৈরতন্ত্রের সঙ্গেও তুলনা করছেন। কারণ এতে রাজনীতিকরা রাজনীতিবিমুখ হচ্ছেন, সাধারণরা জীবন-জীবিকা বিষয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আসল কথা হচ্ছে, দেশের মানুষ যা-ই ভাবুক অথবা দেশ গোল্লায় যাক, ক্ষমতা ধরে রাখাই হয়তো ওই দলের একমাত্র লক্ষ্য। মনে রাখতে হবে সেটা রাজনীতিও নয়, আর তার মধ্যে কল্যাণও নেই। তারা একসময় প্রয়োজনের স্বার্থে গণজাগরণ মঞ্চের জন্ম দিয়েছিলেন এবং একে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের সাথে তুলনা করেছিলেন। দুধ-কলা দিয়ে তাদের লালন করে তাদের মুখ দিয়ে কত না কুৎসিত কথা বলিয়েছেন। আবার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে তাদের জুতাপেটা করে উচ্ছেদ করতেও দ্বিধা করেননি। এ নাটক যারা দক্ষতার সাথে মঞ্চস্থ করিয়েছেন তারা প্রয়োজনের তাগিদে কী না করতে পারেন, কিন্তু আজ পর্যন্ত কি একজন ভালো নেতার জন্ম দিতে পেরেছেন?

সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা আগে শুরু করতে হবে। গনতন্ত্রকে মৌলিক ভাবে প্রতিস্ঠিত করতে হবে। প্রতিটি লোককে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দিতে হবে। অসুস্থ মারামারির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। ব্যক্তি বা দলের চাইতে দেশকে বেশি ভালবাসতে হবে। তবে সবচেয়ে প্রথম দেশে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই ছাড়া ছাত্র রাজনীতির কোন মৌলিক পরিবর্তন আশা করা আমার কাছে হাস্যকৌতুক বলে মনে হয়।

*এত চমৎকার একটা লেখা দিয়েছেন আপনি যে,সেটা কতবার এসে পড়লাম! এই প্রথম আমি কারো পোষ্টে এত বড় মন্তব্য করলাম। খুব খুশি মনে করলাম। আপনার মতো সত্যই কেউ এই ব্লগে কেন সারা দেশে ভাবে কিনা আমি সন্দেহ প্রকাশ করছি!
অন্য কারো কথা আমি জানিনা, তবে এই দুর্দান্ত পোষ্টের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইল কৃতজ্ঞতা আর মন থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভাই, আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!
শুভ রাত্রী!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় 'নীল আকাশ' ভাই।
আপনার মত গুণীজন মূল্যবান সময় নষ্ট করে এতো সুন্দর ও সময়োপযোগী একটি মন্তব্য করেছেন দেখে দারুন অনুপ্রাণিত হলাম। এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো। হিরো আলম, মমতাজ ও ডিপজলরা হলো এদেশের রুগ্ন রাজনীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। একজন ভাল গায়ককে গানের জগতে মানায়, একজন কমেডিয়ানকে কমেডি/সার্কাসে মানায়, একজন খল নায়ককে রুপালী পর্দায় মানায়। কিন্তু সংসদে কোন অবস্থাতে নয়। সংসদ সার্কাসের মঞ্চ নয়। এটা খুব সিরিয়াস একটি জায়গা। যেখানে বসে জাতির ভাগ্য নির্ধারিত হয়। আইন-আদালত নিয়ে বিতর্ক হয়। এখানে শিক্ষিত এবং ওজনদার জন প্রতিনিধি দরকার হয়।

যেকোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার সবার আছে। তবে মেয়র/চেয়ারম্যান/এমপি হিসেবে সে যোগ্য কিনা; সংসদে গিয়ে আইন প্রণয়ন করতে পারবে কিনা তা যাচাই করবে ঐ নির্বাচনী আসনের ভোটাররা। ভোটারররা যদি তাকে সংসদে পাঠায় তাহলে এর দায়ভারও ভোটারের। যেসব দল এদেরকে নমিনেশন দিবে সচেতন নাগরিকদের উচিত এসব দলকে বয়কট করা।

আমাদের দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী নিজের আখের গোছাতে, আইনকে ফাঁকি দিয়ে নিজের ব্যবসা এগিয়ে নিতে এমপি হয়। এজন্য কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট করে। নির্বাচিত হতে পারলে তার হাজারগুণ তুলে নেয়। এখন তারা ইলেকশনকে একটি সলিড ইনভেস্টমেন্ট মনে করে। এতে মহা প্রতাপশালী হওয়া যায়। এদের একমাত্র যোগ্যতা কালো টাকা আর নমিনেশন কিনতে কোটি কোটি টাকা চাঁদা দেওয়ার ক্ষমতা। সংসদ-সংবিধান বুঝার কোন দরকার তাদের নেই। আর রিটায়ার্ড দুর্নীতিবাজ আমলারাও একই কিসিমের।

আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হলো রাজনৈতিক দলগুলো কখনো উপযুক্ত নেতৃত্বের গুণ সম্পন্ন নেতা বানায় না। বড় নেতারা তাদের বউ, ভাই, ছেলে ও নাতি পতিদের নেতা বানায়। এতে বংশ পরম্পরায় তাদের দাদাগিরি টিকে থাকে। বাবা-পতির যোগ্যতাই তাদের যোগ্যতা! এভাবে দিনের পর দিন একটি চক্রে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ঘুরপাক খায়। রাজনৈতিক দলগুলোও এদেরকে নেতা বানায়, এমপি বানায়। যোগ্যতা মূখ্য নয় এতে। এই অযোগ্যরা সংসদে গিয়ে কিছুই করতে পারে না। ফলে নেত্রী তোষনে আর মাননীয় বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে। না পারে গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে, না পারে আইন প্রণয়নে ভূমিকা রাখতে।

আপনি খুব সুন্দর কিছু কথা বলেছেন, সঙ্গীত-সাহিত্য-শিল্পকলা চর্চার জন্য অনুকূল পরিবেশ লাগে। যেখানে মাছের বাজার আর চালের আড়ত, সেখানে বসে সাহিত্য চর্চা হয় না। ঠিক তেমনি রাজনীতি চর্চার জন্যও পরিবেশ লাগে। আমরা সামরিক শাসনের নিন্দা করি। কারণ সামরিকতন্ত্রে জনগণের ভোটাধিকার, বাক-স্বাধীনতা, অনেক ক্ষেত্রে মৌলিক অধিকারও খর্ব হয়। কিন্তু বর্তমানে যে ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা বা স্বৈরাতান্ত্রিক পরিবেশ দেশে বিরাজ করছে তাতে কি গণতন্ত্রের বিকাশ হবে? ............. দ্বিমত করার কোন অবকাশ নেই।

সত্যি কথা বলতে কী, এসব ডাকসু, চাকসু, রাকসু নির্বাচন করে রাজনীতিতে গুণগত কোন পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। ছাত্রদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে হবে। ছাত্র রাজনীতি আইন করে বন্ধ করে দিতে হবে। তরুণ ও যুবকদের কর্মসংস্থান দিতে হবে। যারা ভবিষ্যতে রাজনীতি করতে চায় তাদেরকে এ বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশুনা করতে হবে। রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে হবে। নেতৃত্বগুণ অর্জন করতে হবে। পড়াশোনা বাদ দিয়ে গুন্ডা হওয়া যায় কিন্তু যোগ্যতা সম্পন্ন নেতা হওয়া যায় না। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা বাঞ্ছনীয়।

আপনি ঠিকই বলেছেন, "এখন এমন একটা সময় এসেছে যখন কেউ গভীর মনোযোগ দিয়ে বই পড়তে চায় না, আন্তরিকতা সহকারে কাজ করতে চায় না, সাধনায় লিপ্ত হয়ে বড় অর্জন চায় না, কষ্ট করে শিখতে চায় না বা নিবিড়ভাবে চর্চা করে না। প্রতিযোগিতা হচ্ছে কাকে মেরে কে খাবে এবং কার আগে কে শর্টকাটে কাম্যবস্তু হাসিল করবে। কিন্তু মুশকিল হলো সাধনার অর্জন আর শর্টকাট অর্জন যে কখনো সমান না এটাও কেউ বুঝতে চায় না।"

দেশের রাজনীতি যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন তার সঙ্গে সমাজ, সংস্কৃতিহ, জীবনচলন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা, রাষ্ট্রীয় এবং ব্যক্তিগত জীবনাচার বিঘ্নিত হয়। কখনো সরকার, কখনো বা বিরোধী দল কিংবা দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী, সংগঠনগুলোর অস্থির, চঞ্চল, অসহিষ্ণু আচরণ দেশবাসী সব মানুষকেই বিব্রত, বিরক্ত, শঙ্কিত, আতঙ্কিত করে তোলে। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার বা সঙ্কট সমাধানের জন্য দেশের রাজনৈতিক দলগুলো সরব হয়ে ওঠে। সভা-সমিতি, মিটিং-মিছিল, ধর্মঘট-হরতাল নানান কৌশল অবলম্বন করে নিজেদের স্বার্থান্বেষী মতলব কিংবা কথা-বক্তব্য জনসাধারণের বরাত দিয়ে চালিয়ে যেতে থাকেন এবং বাজিমাত করে ফায়দা লোটার চেষ্টা বা অপচেষ্টা করেন।

রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু নানা আদর্শে বিশ্বাস করে, ফলে তর্ক-বিতর্ক, পাল্টাপাল্টি এমনকি হাতাহাতি থেকে মারামারি করে থাকে। শোষিত মানুষের ভাগ্যে এমনই জুটেছে এর আগের সাম্রাজ্যবাদী, ঔপনিবেশিক শাসনকালে ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিদের জমানায়। এতে বিদেশি শোষণ, সম্পদ অপহরণসহ নানা ধরনের অপকর্মের নানান মহড়া দেখেছি। কিন্তু তখনকার দিনে বহিঃশত্রুর বিরুদ্ধে দেশের মানুষের প্রবল প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে খানিকটা স্বাধীনতার স্পৃহা ছিল তাতে। কিংবা ব্রিটিশ শাসন, পাকিস্তান শোষণের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া একত্রিত হয়ে বিদ্রোহ, পরে গণআন্দোলনে পরিণত হয়েছে।

আপনার শেষ প্যারাটাকে হাইলাইট করে বলতে চাই, "সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা আগে শুরু করতে হবে। গনতন্ত্রকে মৌলিক ভাবে প্রতিস্ঠিত করতে হবে। প্রতিটি লোককে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দিতে হবে। অসুস্থ মারামারির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। ব্যক্তি বা দলের চাইতে দেশকে বেশি ভালবাসতে হবে। তবে সবচেয়ে প্রথম দেশে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।" ........ এটাই আসল কথা।

পরিশেষে, আবারো কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় 'নীল আকাশ' ভাইয়ের জন্য। শুভ কামনা রইলো। ভাল থাকুন আর সুন্দর সুন্দর গল্প লিখুন আমাদের জন্য। (শুভ রাত্রি)। +++++++

৩৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৭

নীলপরি বলেছেন: পোষ্টের বক্তব্য ও বিশ্লেষণ খুবই ভালো লাগলো ।
++

শুভকামনা

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
দিদি, আপনার পোস্টে কমেন্ট করেই নটিফিকেশন পেলাম। প্লাসে কৃতজ্ঞতা।

৩৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

মুক্তা নীল বলেছেন: শুরুতেই ধন্যবাদ আপনার এই সন্দুর পোস্টের জন্য। একটি ছেলের কিশোর থেকে যুবকে পরিণত হওয়ায় আগেই কিভাবে রাজনৈতিক দলের বড় ভাইদের নিরব ঘাতক মরণের ছায়ায় প্রবেশ করে তা আপনি তুলে ধরেছেন অসাধারন ভাবে।
আমি রাজনীতির অতকিছু বুঝি না কিন্ত চোখের সামনে আমার দেখা ছোট ছোট ছেলেরা যখন রাজনীতিতে প্রবেশ করার পর তারা মৃত্যুকেও ভয় না, এক দলের সাথে আরেক দলের মারাত্মক মারামারি, গুলি করে তখন খুব কষ্ট লাগে। জানি না আর কত মায়ের বুক খালি হবে। আবারও ধন্যবাদ আপনার এই নতুন প্রজন্মকে নিয়ে এবং গণতন্ত্র ও নিবাচন সমসাময়িক বিষয় গভীরভাবে বিস্তারিত তুলে ধরার জন্য। শুভেচ্ছা সহ শুভকামনা করছি।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



স্যরি, আপনার কমেন্টের উত্তর দিতে একটু লেট হয়ে গেছে। আপনি গত পাঁচ মাসেরও অধিক সময় থেকে ব্লগে আছেন, অথচ কোন পোস্ট লিখেন নাই!! এত সুন্দর কমেন্ট যিনি করতে পারেন তিনি নিশ্চয়ই ভাল লেখতে পারেন। চেষ্টা করুন, দেখবেন চমৎকার কিছু লিখতে পারবেন।

আমার রাজনৈতিক এ পোস্ট আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আমি একজন সাধারন মানুষ হিসেবে নিজের চোখের সামনে শত শত ছেলেকে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের শিকার হয়ে জীবনকে নিঃশেষ হতে দেখেছি। দেখেছি হাজার হাজার ছাত্রকে রাজনৈতিক ড্রাগ সেবন করে নষ্ট হতে।

এসব ছেলেরা রাজনীতি করার জন্য বড় হয়নি। তাদের পরিবারের অনেক আশা-ভরসা তারা। কিন্তু রাজনৈতিক গুন্ডারা এসব ছেলেপদের পরিবারকে পথে বসিয়ে দিয়ে তাদের লাঠির জোর বাড়িয়ে নিজেদের আখের গোছায়। এগুলো বন্ধ হওয়া উচি।

আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো। আর লিখুন মন খুলে। (ধন্যবাদ)

৩৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




ঘুমাতে যাচ্ছিলাম । লেখাটা পড়ে মন্তব্য না করলে ভাল লাগবে না ।

আমাদের দেশে মেধাহীন রাজনীতি চলে । কত আছেন যে সত্যিকার অর্থেই রাজনীতি বোঝেন । আর ছাত্ররা রাজনীতি কেন করবে এটাও আমার প্রশ্ন । তারা যদি ইতিহাস, শিক্ষা, সংস্কৃতি এগুলো না জানে তবে কিভাবে রাজনীতি করবে ।

আমার তো আজকাল যারা রাজনীতি করে তাদের মুর্খ ছাড়া কিছুই মনে হয় না । দশ বারো জন পিছনে হাটলেই নেতা হওয়া যায় না ।

যদিও এই পরিস্থিতির জন্য আমরাও কিছুটা দায়ী । আমাদের শিক্ষা ও পরিবেশ ব্যবস্থা পুরোপুরি দায়ী ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ 'অপু' ভাই। লেখাটি পড়ে হয়তো ভাল লেগেছে এজন্য কমেন্ট করে অনুপ্রাণিত করেছেন। সারা পৃথিবীতে মেধাবী ও উচ্চ শিক্ষিত লোকজন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বে থাকলেও আমাদের দেশে তার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। এখানে অশিক্ষিত, বখাটে, চোর-বাটপার, খুনি, কালো টাকার মালিক, চাঁদাবাজরা রাজনৈতিক গুরু হয়। এটা জাতির জন্য চরম দুঃখজনক। দেশের উন্নতি ও সুশাসনের জন্য মেধাবী ও শিক্ষিত রাজনৈতিক নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই।

৩৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আফসানা মারিয়া বলেছেন: আসলে গণতন্ত্রকে ক্ষমতা বানিয়ে ফেলা হয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র পাওয়া যাবে বলে আমার মনে হয়না। হ্যা, এখনকার রাজনীতিবিদদের মেধা, যোগ্যতা, নীতি নিয়ে প্রশ্ন আছেই বলেই রাজনৈতিক নেতাদের মানুষ সম্মান করে না আর একটা বড় মেধাবী সমাজ রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে রাখে। আমি মনে করি, রাজনীতির মাধ্যমেই প্রকৃত দেশপ্রেমিক হওয়া যায়। অথচ আমাদের ইতিহাসে দেশকে স্বাধীন করার পিছনে প্রকৃত দেশপ্রেমিক, নির্ভীক, মেধাবী নেতারা ছিলেন।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি চমৎকার ভাবে এ সময়ের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সত্যটুকু তুলে ধরেছেন। এদেশে গণতন্ত্র হচ্ছে কতিপয় দল ও মতের মানুষের ব্যবসা। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসা, চেতনা ব্যবসাও খুব জমজমাট। সবই ধান্দাবাজির রাজনীতি। পৃথিবীর কোন উন্নত গণতান্ত্রিক দেশে এমন গণতন্ত্র নেই। এটা লুটপাট ও পরিবারতন্ত্র। এদেশে রাজনীতিবিদ হতে যোগ্যতা হিসেবে লাগে টাকার খনি, গুন্ডামি, চাঁদাবাজি আর নেতার আশীর্বাদ। প্রকৃত দেশপ্রেমিক, নির্ভীক, মেধাবীরা এদেশে নেতা হতে পারে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.