নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

টি-টুয়েন্টি লেখক সমাচার

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৫৯


সামনে বই মেলা; এজন্য লেখক, প্রকাশক, প্রেস সবাই খুব ব্যস্ত। সবার একটাই উদ্দেশ্যে ফিনিশ প্রোডাক্টস্ অর্থাৎ বইটি যাতে নির্ভুলভাবে পাঠকের হাতে পৌছে। এক্ষেত্রে প্রকাশক ও প্রেসের চেয়ে লেখকদের দায় সবচেয়ে বেশি। কারণ, বইটিতে মুদ্রণজনিত বা তত্ত্বগত কোন ভুল হলে পাঠকের নিশানা থাকে লেখকের দিকে। কিন্তু লেখকদের সবাই কি বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াস? কিংবা পাঠকদের হাতে যথাসম্ভব নির্ভুল বইটি তুলে দিতে দায়িত্বশীল!!

একজন লেখকের ফেইসবুক স্টেটাস দিয়ে শুরু করি- (হুবহু কপি করা);

"অবশেষ শেষ হলো। আলহামদুলিল্লাহ। গতকাল দুপুর তিনটায় বসেছিলাম লিখতে। উঠলাম আজ সন্ধ্যা ছয়টায়। ২৭ ঘন্টা! হ্যাঁ, একবার ভাত, দুইবার নাস্তা খাওয়া বাদ দিলে এই ২৭ ঘন্টা সময় আমি একটানা লিখেছি। ঠিক একটা জায়গায় বসে। তার আগের দিন লিখেছিলাম টানা ১৬ ঘন্টা, তার আগের দিন ১৪ ঘন্টা।

ফলাফল, ১ লাখ ১৮ হাজার শব্দের ★★★ (নতুন উপন্যাস); যা ★★★ (গত বছরের বই মেলায় প্রকাশিত উপন্যাস) থেকে ২৭ হাজার শব্দ বেশি। আপাতত চোখে অন্ধকার দেখছি। কী প্যাডে আঙুল পড়ছে না ঠিকমতো। সবচেয়ে বড় কথা.. ঘুম আসছে না।

অবসাদ আসতেছে। এই অবসাদ কত কঠিন হয় কে জানে।"

স্টেটাসটি পড়ে থো বনে গেলাম; এমনও সম্ভব!! একখানা কিতাব (উপন্যাস) তিনি পয়দা করলেন তিন দিনে!! ১ লাখ ১৮ হাজারেরও অধিক শব্দ লেখে!!! গিনেজ বুক ওলারা খবর পেলে একখানি নোবেল থুক্কু ম্যাডেল ঠিকই লেখককে দিতেন; আশা করি, কেউ একজন এ বিষয়টির খবর তাদেরকে দিবেন।

গত বছরও এই লেখকের এই অবস্থা হয়েছিল; তবে তখন নোবেল খানি লিখতে মাসখানে লেগেছিল; এবার তা নেমে আসলো ৩ দিনে!! তাহলে সামনের বইমেলায় ৩ ঘন্টায় একখান নোবেল পয়দা হবে? এখন তো টি টুয়েন্টির জামানা পাঁচ দিনের টেস্ট খেলে সময় নষ্ট করার কোনই মানে নেই!!

অবাকের বিষয় এই লেখকের বই নাকি গত বছর সেই প্রকাশনীর বেস্ট সেলার হয়েছিল। তবে বইটি বাজারে আসার পর বেশ কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে। এজন্য লেখক সময় সল্পতায় অজুহাত দিয়ে দ্বিতীয় মুদ্রণে তা সংশোধন করার আশ্বাস দেন। কিন্তু কথা হলো, সাইক্লোন গতিতে লেখতে গিয়ে যে ভুলগুলোে হলো এই দায় পাঠক নেবে কেন? লেখক কি নিজের ভুলের জন্য সংশেধিত বইটি ঠকে যাওয়া পাঠকদের বিনা মূল্যে আবার বিতরণ করেছেন?

পাঠকদের পকেটের কড়কড়া নোট দিয়ে কেনা বইটি লেখকের ভুলে অগোছালো হলে দায়ভার কি লেখকের নয়? পাঠকের কি ঠেকা লাগছে আবার এই বই ক্রয় করার। এগুলো পাঠকের বিশ্বাসের অবমূল্যায়ন নয় কি? সারা বছর ঘুমিয়ে থেকে তিনদিনে একটি বড় উপন্যাস লিখতে হবে কেন? আর সাহিত্যের প্রতি এই অশ্রদ্ধার কথা ফেইসবুকে ঘটা করে জানাতে হবে কেন? লেখক অতি বিজি মানুষ এটি বুঝাতেই কি বই মেলার তিনদিন আগে এমন স্টেটাস পোস্ট করা?

নাকি সাহিত্য ও পাঠকদের সাথে তামাসা করা!!

আরেকজন লেখক দীর্ঘদিন থেকে ফেইসবুকে নিজের বইয়ের বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছেন দেখলাম; সাথে বিকাশ নাম্বার সহ!! কমিশন ৫০%!! বইটি পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সংক্রান্ত। একজন পাঠক প্রশ্ন করলেন, 'এখন তো শান্তি চুক্তি হয়ে গেছে, তাহলে ৪৫০ টাকা দামে বইটি কেন কিনবো?' লেখকের উত্তর ছিল, শান্তি চুক্তির আগের অনেক বিষয় বইটিতে আছে, এজন্য বইটি পড়া দরকার!!

আরেকজন লেখক পোস্টার ছাপিয়ে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন, "একটি কিনলে আরেকটি ফ্রি।"

বিষয়টি এরকম, বিশ্বকাপ ফুটবল শেষ হওয়ার পর কোন দল চ্যাম্পিয়ান হতে পারে তা নিয়ে বাজি ধরার মত!! এগুলো করে আর যাই হোক লেখক সমাজের আত্মমর্যাদাবোধে আঘাত আসছে এটা বলা বাহুল্য।

লেখালেখি হলো একটি সাধনা; কলম সৈনিকদের দীর্ঘদিন থেকে তিলে তিলে গড়ে উঠা ভাবনার একটি কল্পিত রূপ। এর আকৃতি ও অলঙ্করণের জন্য অনেক সময় লাগে। ভাবনার দরকার হয়। এজন্য পাঠকদের কাছে লেখকদের মর্যাদা অনেক উপরে। একজন লেখকের মৌলিক ভাবনাগুলো হলো তার দর্শন; যা একটি সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের একটি সময়ের সাহিত্যের প্রতীক। এ প্রতীকটির খুঁটি যত শক্ত হবে তার ফলাফলও তত সুদূরপ্রসারী হবে। একটি জাতির এগিয়ে যাওয়ার পেছনে মূল অনুঘটক হিসেবে কাজ করে বই। এজন্য অতি দামী এ আবেগকে নিয়ে ছেলেখেলা করার অধিকার কারো নেই। এটা দুঃখজনক।


উপরের স্কোর কার্ডটি একজন অভিষিক্ত টেস্ট ওপেনারের। প্রথম ইনিংসের ভুলগুলো দ্বিতীয় ইনিংসে সংশোধন করতে বদ্ধপরিকর তিনি। টি-টোয়েন্টির প্রতি উনার কোন আগ্রহ নেই। সারা জীবন টেস্ট খেলে কাটিয়ে দিতেই আনন্দ তাঁর !! (ধন্যবাদ)

অভিষেক টেস্টের ভেন্যুর ঠিকানা-
"উৎস প্রকাশন"- (প্যাভিলিয়ন ২২)
অমর একুশে গ্রন্থমেলা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা।
টিকেট- ২০০ টাকা (কভার মূল্য)

★★★ এছাড়া, সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রথম আলোর আয়োজনে (১ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি) বইমেলায় উৎস প্রকাশনীর স্টলেও পাওয়া যাবে।

ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৪৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: টি টুয়েন্টি লেখক ! ! ! বাহ, ভালোই বলেছেন। বুলেটের গতিতে যারা লেখে, তাদের জন্য উপযুক্ত উপমা।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রিয় "অর্থনীতিবিদ" ভাই; আসলে ফেইসবুকের এই স্টেটাসটি পড়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি টুকটাক লেখি এজন্য ভীষন অবাক হয়েছিলাম; এও সম্ভব? আমি একটি গল্প লেখতে কমপক্ষে দশদিন সময় নেই; প্রবন্ধ কিংবা ফিচার লিখতে তারও বেশি; অনুবাদ গল্প লিখতে -আ-রো- বেশি সময় নেই। পাশাপাশি, লেখার পর প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একবার করে আবার এডিট করি। কিন্তু বিশাল একটা উপন্যাস লিখতে তিন দিন!!

এটি তো টি-টুয়ান্টি নয়; টি-ওয়ানটি হবে!!!

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৩২

বলেছেন: অভিষেকে বাজিমাৎ - সময়ের সেরা লেখক কা,চৌ কে অভিনন্দন।

আপনি অনেক সময় নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে লেখেন এরজন্য আপনিই সেরা -একদিন বাংলা একাডেমি পুরস্কার আপনি পেয়ে যাবেন নিশ্চিত।


অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আরে, প্রিয় "রহমান লতিফ" ভাইজান; এটা কি বললেন আপনি? আমি প্রথম ইনিংসের প্রথম বলটি মোকাবেলার আগেই টেন্ডুলকার বানিয়ে দিলেন!! অল্প বয়সি এই পোলাটার মাথা খাচ্ছেন কেন? পোলাডার আত্মবিশ্বাস একদম শুন্য। এজন্য দেখেন স্কোর কার্ডের ঠিক মাঝখানে একটি ইয়া বড় গোল্লা (Duck); প্রস্তুতি আগেই নিয়ে রাখা।

ভাইয়ের দু’টি হীরকখণ্ডের (বই) জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো। (শুভ রাত্রি)

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:২২

রাজীব নুর বলেছেন: নামটা ভালোই দিয়েছেন টি টুয়েন্টি।
আসলে সনয় নিয়ে ধীরে সুস্থে লেখা উচিত। তাড়াহুড়ার কাজ ভালো হয় না।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় রাজীব ভাই; টি-টুয়েন্টির মতো কর্পোরেট ক্রিকেট লীগগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো দর্শকদের সামনে মুলা ঝুলিয়ে বিনোদনের মাধ্যমে নিজেদের পকেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি করা। এখানে টাকাটাই আসল; ক্রিকেট ব্যাকরণ মানার কোন দরকার নেই। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে গোল্লা মারলেও কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সাহিত্য হলো একটি জাতির একটি সময়ের জ্ঞানের তথ্য ভান্ডার। এ কাজটি করতে হয় অতি সযতনে, গোপনে; এজন্য লাগে লেখকদের নিজস্ব ফিলোসোফি, ভাবনা আর ইউনিক আইডিয়া। এখানে ভুল করলে পুরো জাতিকে মাশুল গুণতে হয়; নতুন প্রজন্ম বঞ্চিত হয়।

ভাইজান, দেখা হবে বইমেলায়। ভাবী ও মেয়েকে নিয়ে আসবেন ঘুরতে।

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪৪

সিগন্যাস বলেছেন: কাওসার ভাই আমার মনে হয় বইমেলায় যতো বই প্রকাশিত হয় তার ৮০% লেখা হয় বইমেলা শুরুর একমাস আগে। ফলে যা হওয়ার তাই হয়। এইজন্য ভাই অচেনা লেখকের বই কিনতে ভয় পায়।তাছাড়া ভাইয়া শুধু প্রচ্ছদ সুন্দর হলেই যে বই ভালো হবে এমনটা ভেবে গতবছর বই কিনে বেশ ঠকে গেছি। এইসবের ফলেই মনে হয় বাংলা সাহিত্যের অবস্থা এতো নড়বড়ে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ প্রিয় "সিগন্যাস" ভাই। আমারও তাই মনে হয়। কিন্তু একটি লেখা লিখেই প্রেসে দেওয়া এবং তা বই আকারে পাঠকের সামনে নিয়ে আসা কখনো বুদ্ধিমানের কাজ বলে আমি মনে করি না। একটি বিষয় নিয়ে লিখে অন্ততঃ তিন মাস প্রতি সপ্তাহে একবার করে লেখাটি সম্পাদনা করলে অনেক নতুনত্ব আসবে, প্লট পরিবর্তন হবে, টুইস্ট আর নতুন অলঙ্করণ যুক্ত হবে। সবচেয়ে বড় কথা ভুলের সংখ্যা কমবে। ফলে পাঠকের হাতে যখন বইটি যাবে তখন পাঠকের সন্তুষ্টি অর্জন করবে, সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করবে।

তবে শুধু লেখার জন্য লেখা কিংবা বইয়ের লেখক হওয়ার ভাবনা থাকলে ভিন্ন কথা।

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৭

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: তিন দিনে !!! #:-S
যাইহোক , আপনার জন্য শুভ কামনা ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



হুম, একটি উপন্যাস লিখতে তি--ন--দি--ন-- লাগলো। নোবেল কমিটি এই নোবেল লেখার জন্য একটি নোবেল ছুঁড়ে মারুক। গিনেজ ওয়ালারা দলবল নিয়ে এসে সার্টিফিকেটখানি দিয়ে যাক।

আপনার জন্যও শুভ কামনা রইলো। বইমেলায় আসবেন, দেখা হবে।

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১৬

সোহানী বলেছেন: এই জিনিসটা আমাকে খুব ভাবায়। প্রায় দেখি বই ছাপার বিজ্ঞাপন, অমুকের ৪র্থ উপন্যাস, ৩য় গল্পের বই কিংবা ১৮ তম কবিতার বই? আমার প্রশ্ন....... একটা গল্প মানে একটা থিম, অনেকগুলো চরিত্র, অনেক ভাবনা... সেখানে উপন্যাস এ আরো জটিলতা! এসব কিছু ছাপিয়ে এতোগুলো বই যে ছাপা হচ্ছে সেগুলোর মান কি পর্যায়ের? কারা কিনে গাটের পয়সা খরচ করে? কারা পুরস্কার দেয় তাদের? কত কপি বিক্রি হয়? কার টাকায় ছাপা হয় লেখক নাকি প্রকাশকের?................

উত্তর জানতে চাই??????????????

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপু,
আপনি সাহিত্য চর্চা করতে পারলে জাতি উপকৃত হতো। ব্লগে প্রথমে আসার পর আপনার একটি লেখা পড়ে খুব ভাল লেগেছিল। পরে আরেকবার পড়ে বুঝার চেষ্টা করেছি লেখাটি ভাল লাগার কারণ। পাঠক যখন লেখাটি পড়ে ভাববে- লেখক তার যাবতীয় আইডিয়া, এনার্জি, পড়াশুনা আর মৌলিক ভাবনাকে পুঁজি করে অনেক সময় নিয়ে নিজের ভালবাসাটুকু উজাড় করে বিষয়টি গভীরে গিয়ে উপলব্ধি করে লিখেছেন তখন এই লেখকের প্রতি পাঠকের রেসপেক্ট আসে। আমার বেলায়ও তাই হয়েছিল। এই রেসপেক্ট আজো একটুও কমেনি বরং বেড়েছে। বাড়তেই থাকবে অনন্তকাল ধরে। এজন্য আপনাকে মেন্টর হিসেবে সম্মান করি।

একজন কবির ১৬তম কবিতার বইয়ের মোড়ক উম্মোচন হলো কিছুদিন আগে। কিন্তু তাঁর প্রতিটি বইয়ের বৈশিষ্ট্য এক ও অভিন্ন; শুধু নারী!! প্রেম, বিরহ, সৌন্দর্য আর পরকীয়াময় কবিতাগুলো!!! বইমেলায় একজন লেখকের অনেকগুলো বই আসতেই পারে। কিন্তু তিন কিংবা দশদিনে একটি নোবেল লেখলে আর যাই হোক তা মানসম্মত হবে না। এতে পাঠক ঠকে। লেখকের প্রতি পাঠকের দীর্ঘমেয়াদি অবিশ্বাস তৈরী হয়। যা মোটেও কাম্য নয়।

আপা, এখন তো কেউ কেউ ফেইসবুকে শত শত লাইক ও কমেন্টের বন্যায় কাত হয়ে গাঁটের পয়সা খরছ করে বই বের করছেন। টাকা দিয়ে পুরষ্কার কিনছেন। এখানে বই চলুক কিংবা নাই চলুক লেখক পরিচিতিটাই আসল। ভাল থাকুন, সব সময়।

উত্তর হলো; একটা প্রবাদ আছে, "টাকা থাকলে বাঘের দুধও কিনতে পাওয়া যায়।"

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
ব্লগের লেখালেখি দেখেই বুঝা যায় আসলে কি ধরনের বই মেলায় পাওয়া যেতে পারে? একজন লেখক যা ইচ্ছা লিখতেই পারেন, কিন্ত সেটা অখাদ্য না কুখাদ্য সেটা বিবেচনা উনি নিজেই করবেন। প্রতিদিন একটা করে লেখা বের করা আর সারা বছর ঘুমিয়ে থেকে তিন দিনে টি-টুয়েন্টি খেলে বই বের করার মধ্যে আসলেও কোন কমিটমেন্ট নেই। বেশিরভাগ সময়েই দেখা যায় লেখার মান সাইনুসাইডাল কার্ভের মতো উচুনীচু হচ্ছে। এটা জন্য আর কে দায়ী বলুন? জোর করে আর যাই হোক লেখা সম্ভব না। হলে কি হবে? সেটা পড়লেই বুঝা যায়! নিজের মান নিজে না রাখলে, কে সেটা ধরে উঁচু করে রাখবে বলুন? কিছুদিন ধরে বেশ কিছু লেখকের বইয়ের এ্যাড দেখলাম। জানি না বই প্রকাশটাকে কেন এরা এত গুরুত্ব দেয়! বই মেলায় কেনার মতো বই পেলে তো কিনবই তবে সত্যই বলতে খারাপ লাগে, কিছু কিছু বই হাতে নিয়ে কয়েক পাতা পড়ার পর আর কিনতে ইচ্ছে করে না। দোষ মনে হয় আমার, আমি হয়ত ভালো পাঠক নই!
লেখাটা পড়তে চমৎকার লাগলো!
ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল আপনার বইয়ের জন্য।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় নীল আকাশ ভাই;
আপনি চমৎকার কিছু কথা বলেছেন ভাই। বইমেলা আসার পনেরো দিন আগে অনেকের ঘুম ভাঙতে দেখা যায়। সারা বছর জুড়ে না লেখলেও বইমেলার জন্য তিন দিনে হলেও লিখতে হবে!! এটা কি সাহিত্যের প্রতি ভালবাসা থেকে লেখা? নাকি খ্যাতির জন্য? হয়তো কারো কারো ইউনিক কিছু কোয়ালিটি আছে যা আমাদের অনেকের নেই। কেউ তিনদিনে যা লেখেন অনেকে হয়তো তিন বছরেও পারবে না!! এই টি-টোয়েন্টি লেখকরা সারা বছর লিখলে তো একটা বইমেলায় একশত নোবেল ছুঁড়ে মারতে পারতেন!!

এগুলো নিশ্চিত মিডিয়ায় আসতো। পাঠকরা 'ওয়াও' বলে চিৎকার দিয়ে মহা ধুমধামে কিনতে যেতেন। টেস্ট খেলতে অভ্যস্থ লেখকরা হিংসায় জলতেন টি-টুয়ান্টির উপযোগী ব্যাটিং করতে না পারার ব্যর্থতায়!!

আমি নিজেও অনেক নামীদামি লেখকের বই গাঁটের পয়সা দিয়ে কিনে কয়েক লাইন পড়ে রেখে দিয়েছি মনে সায় পাইনি বলে। জোর করে পৃথিবীর অনেক কাজ করা গেলেও ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে বই পড়া সম্ভব নয়। গত বছর একটি বহুল প্রচারিত বই হাতে পেয়ে টি-টুয়ান্টি গতিতে পড়তে গিয়ে দেখলাম ১০-১২ পাতা পড়ার পরও মগজে কিছুই ঢুঁকছে না। কিতাবটির শানে-নযুল এন্টিনায় ধরছে না; তখন আর এগোতে সাহস পাইনি!!

শুভ কামনা রইলো প্রিয় ভাই, প্রিয় গল্পকারের জন্য।

৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব ,

11 মাস 3 সপ্তাহ আগে ব্লগে স্রেফ লেখালেখির জন্য এই একাউন্ট খুলেছিলাম। তখন অতটা ভাবেনি এই যে এখানে এত গুণীজনের দেখা পাব।। সময়ের সাথে সাথে অনেক জনকে দেখেছি , বুঝেছি মলাটবদ্ধ উপন্যাসিক বা কবিদেরও। যে সমস্ত ব্লগারদের সাধারণ পোস্টে আমার মন্তব্য করি কিন্তু বইমেলার তাদের বিভিন্ন জনের নতুন সৃষ্টির আনন্দে নিজেও আনন্দিত না হয়ে পারি না। আপনার সঙ্গে এ কারণে সমস্ত গুণী ব্লগার যারা ইতিমধ্যে উপন্যাস বা কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। 'বায়স্কোপে'র জন্য অন্তরের শুভেচ্ছা ।

কলকাতার প্রেস সম্পর্কে কমবেশি অভিজ্ঞতা ছিল বা আছে। বিখ্যাতদের পিছনে সবাই লাইন দেয়, কিন্তু নবীন বা অখ্যাতদের এ ক্ষেত্রে গ্যাটের টাকা খরচ করেই বই ছাপাতে হয়। এজন্য নবীন লেখকরা যতটা সাবধানী ঠিক ততটাই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকেন প্রবীণ বা প্রতিষ্ঠিত লেখকরা। যারা ইতিমধ্যে বই পাড়ায় কৌলিনত্ব অর্জন করেছেন , তাদের ভুল ধরবে এ আস্পর্ধা কজনের থাকে। পাঠক সমাজ অবশ্য সেই সমস্ত ভুল গুলোর মধ্যে আবার লেখক এর সাসপেন্স খুঁজে পান । আর কুলীন লেখকরা তখন সাফল্যের ঢেকুর তুলে বাহবা নিয়ে বগল বাজান। 2000- 2002 সালে ময়দানের বইমেলায় এরকম কিছু বই কিনে দেখেছি নামি লেখকদের বইতে প্রচুর ভুল থাকে। নিজেকে সান্ত্বনা দিতাম মেলা থেকে কিনলে যেমন জিনিসপত্রে ফাটা চটা থাকে তেমনি মেলার বইতেও এরকম প্রিন্টিং ভুল ,পাতার গন্ডগোল হওয়াটাই স্বাভাবিক। নামি লেখক কিনা ! তবে ফেসবুকের কল্যাণে যে লেখকের টি-টোয়েন্টি স্ট্যাটাস তুলে ধরলেন; এমন গুণীজনের খবর পেয়ে মুগ্ধ হলাম। বিষয়টি একেবারে নতুন আমার কাছে।আর যাই হোক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁচে থাকলে উনি বোধহয় এনার কাছ থেকে মাদুলি বা তাবিজ নিয়ে ঘাটশিলার গহীন অরণ্যে লেখালেখির জন্য বেছে না নিয়ে বনগাঁতেই লেখালেখি করে কাটিয়ে দিতে পারতেন। কিংবা কবি জীবনানন্দ দাশকেও কলকাতার ট্রামের তলায় চাপা পড়তে হতো না ; উনিও এক জায়গায় বসে ঘন্টার পর ঘন্টা হাজার হাজার ওয়ার্ড লিখে পাঠকদের কাব্য বর্ষণ করতে পারতেন।

সবশেষে ছোট্ট পোলাডার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো। কিন্তু চিন্তা একটা থেকেই গেল ; হুর পরীদের দেখে পোলাডার মাথা ঘুরে না যায় । কিংবা স্যাম্পেল কপি দিতে দিতে ফতুর না হয়ে যায় .....


৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরজি, স্যালুট B-)!!
আমার তো প্রথমে লেখতে সাহস হচ্ছিল না। পাছে কি লিখে কি লিখে ফেলি। গুণী ব্লগাররা লেখাগুলো কিভাবে নেবনে? এজন্য লেখা পোস্ট করে খুব ভয়ে থাকতাম। ব্লগে আসার পর যত দিন গেছে গুণীজনের সন্ধান পেতে শুরু করি। দারুন কিছু লেখা পড়ে নিজের ভাবনার জায়গাটি আরো পরিণত করার চেষ্টা করেছি, এখনো করছি। এসব পোস্টের মন্তব্য প্রতিমন্তব্যগুলোও দারুণ হয়।

আমি মনে করি, একজন লেখকের ভাবনাগুলো মলাটবন্দী হওয়ার আগে পাবলিক ব্লগগুলোতে লেখলে, অন্যের লেখা পড়লে, নিজের লেখার কমেন্টগুলো অনুধাবন করলে লেখার মান অটোমেটিকভাবে বাড়বে। ভুলগুলো শোধরাবার সুযোগ থাকবে। মলাটবন্দী বই হলো ফিনিশ প্রোডাক্ট। পাঠকের হাতে যাওয়ার পর এখানে ঘষামাজার কোন সুযোগ নেই।

আমি তো ভেবেছিলাম কলকাতার প্রেস-প্রকাশনা সংস্থাগুলো আমাদের চেয়ে মান বিচারে এগিয়ে। কিন্তু না। এখানেও আমরা ভাই ভাই!! একই জাতের রক্ত বলে কথা। যিনি ইতিমধ্যে গুণী লেখকের কাতারে নাম লিখিয়েছেন তিনি তো বাজে লিখবেন না। এদের লেখা প্রকাশকদের পড়ার তেমন প্রয়োজনও নেই। তারা জানেন পাবলিক নামের বদৌলতে তা গিলবে; বদ হজম হলে পরে দেখা যাবে।

"2000- 2002 সালে ময়দানের বইমেলায় এরকম কিছু বই কিনে দেখেছি নামি লেখকদের বইতে প্রচুর ভুল থাকে। নিজেকে সান্ত্বনা দিতাম মেলা থেকে কিনলে যেমন জিনিসপত্রে ফাটা চটা থাকে তেমনি মেলার বইতেও এরকম প্রিন্টিং ভুল ,পাতার গন্ডগোল হওয়াটাই স্বাভাবিক। " ------- দারুণ একখান শান্তনা; আসলে এছাড়া আর কোন উপায়ও নেই ঠকে যাওয়া পাঠকের। তাই গাঁটের পয়সা খোয়ানোর যাতনা ভুলতে এই সান্তনাই সব!!

সবশেষে, অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা পিচ্চি পোলাডার জন্য আশীর্বাদ কইরেন। বইমেলায় পোলাডা যদি গুরুজির সন্ধান পেত তাহলে অনেক খুশি হতো। কাঁটা তারের অদৃশ্য দেয়ালটা বাংলার সাহিত্য প্রেমীদের জন্য বিরাট এক প্রতিবন্ধক। বইটি কুরিয়ারে হলেও পাঠানোর চেষ্টা করবো।

ভাল থাকুন গুরুজি, প্রিয় ভাই আমার।

৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় ভাই,
সেই বিখ্যাত আরবী প্রবচন স্মরণ করুন, জ্ঞানের তিনটি স্তর রয়েছে - প্রথম স্তরে মানুষ ভাবে, সে সবকিছু জেনে ফেলেছে। দ্বিতীয় স্তরে উঠে বুঝতে পারে, তাঁর অনেক কিছুই জানতে বাকি আছে। শেষ স্তরে পৌঁছে, মানুষ উপলব্ধি করে- ‘সে তেমন কিছুই জানে না!’
এই সব লেখকদের আমার সব সময় ১ম স্তরের মনে হয় আর এরা কখনই ১ম স্তর পার হতে পারবে না..................
ধন্যবাদ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আবারো কমেন্টে আসায় কৃতজ্ঞতা রইলো ভাই। খুব দামী একটি কথা বলেছেন। আমরা এখনো প্রথম স্তরে পড়ে আছি। এজন্য জাতি হিসেবেও আমরা সহনশীল নয়। লেখকদের চিন্তা শক্তির বিকাশ না ঘটলে সাহিত্যের উৎকর্ষ সাধন সম্ভব নয়। কিন্তু ভাবনার আগেই লেখা শেষ হয়ে গেলে লেখক সাহিত্যের বিকাশে অবদান রাখবেন কেমনে? ফলে পরিশ্রম করে লেখাটির স্থায়ীত্বও খুব বেশিদিন হবে না।

ভাল থাকুন, সব সময়।

১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: উপরের স্কোর কার্ডটি একজন অভিষিক্ত
টেস্ট ওপেনারের। প্রথম ইনিংসের ভুলগুলো
দ্বিতীয় ইনিংসে সংশোধন করতে
বদ্ধপরিকর তিনি। টি-টোয়েন্টির প্রতি
উনার কোন আগ্রহ নেই। সারা জীবন টেস্ট
খেলে কাটিয়ে দিতেই আনন্দ তাঁর !!
(ধন্যবাদ)

হাহাহা.... এই অংশটা পড়ে খুব হাসি পেল...

আমার কথা হলো, বইয়ের প্রচার হোক, প্রচার মন্দ না।

কিন্তু তাই বলে কি একটি কিনলে আরেকটি ফ্রি? এটা কোন কথা হলো।

বইয়ের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে নাকি কোন পণ্যের?

বইটার নাম সম্ভবত মায়াস্নার। লেখক গোলাম রাব্বানি। ফেসবুকে বইটির প্রশংসা দেখেছি। কিন্তু একটি কিনলে আরেকটি ফ্রি এটা দেখে খারাপ লেগেছে ।


আমার মনে হয় লেখক উপন্যাস প্রায় শেষ করে রেখেছিলেন। শেষের দিকে কিছু বাকি ছিল। আর বাকি অংশটা তিনদিনে শেষ করেছে।

তা না হলে তিন দিনে বই লেখা কি সম্ভব, সুন্দরর এক গল্প লিখতে গল্পের গল্পের প্লট সাজাতেই তো তিন মাসের চেয়েও বেশি সময় প্রয়োজন।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আমার প্রিয় আকতার ভাই। দারুণ কমেন্ট। বইয়ের প্রচার অবশ্যই মন্দ নয়। কিন্তু একটি কিনলে আরেকটি ফ্রি এমন প্রচার খুবই দুঃখজনক। এটা একজন লেখকের জন্য চরম অসম্মানের। লেখকদের প্রতিটি স্টেপে সতর্ক থাকাটা বাঞ্ছনীয়।

আর উপন্যাসের (★★★) লেখক হয়তো কাহিনীর স্কেচ ভেবে রেখেছিলেন। কিন্তু লিখেছেন তি-ন-দি-নে- নাওয়া, খাওয়া, ঘুম বাদ দিয়ে। বইটি বইমেলার বিক্রি তালিকায় টপচার্টে উঠুক এই প্রত্যাশা রইলো।

আপনি ভাল থাকুন, সব সময়।

১১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
টি-টুয়েন্টির প্রতি আমারও কোনো আগ্রহ নেই। আবার টেস্ট খেলার ধর্য্য কম ধৈর্য্যও কম। :)
আপনার লেখা ভালো লাগলো। এবার বইমেলা থেকে বেশ কিছু বই কেনার ইচ্ছা আছে। বিশেষ করে সামু ব্লগারদের বই।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কেমন আছেন, সৌরভ ভাই। খুশি হলাম আপনার কমেন্ট পেয়ে। টি-টুয়ান্টির প্রতি আপনার তেমন আগ্রহ নেই দেখে খুশি হলাম। আমি তো টি-টুয়ান্টি খেলতেই পারি না। ধুমসে সট মারতে গেলেই লং অনে ক্যাচ উঠে!! তবে টেস্টের ধৈর্য আছে। একবার লারার ৪০০ রান অতিক্রম করতে পারলেই থেমে যাব। সে পর্যন্ত একটু ধৈর্য ধরে গ্যালারিতে বসতে হবে!!

বই মেলায় যাব; দেখা হবে অবশ্যই। বই কিনবেন, এটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। ভাল থাকবেন ভাই। +++

১২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২

কাওছার আজাদ বলেছেন: এ সমস্ত লেখকরা সাহিত্য জগতকে কলুষিত করেছে। এদেরকে 'লেখক' বলতে ইচ্ছে করে না।
যাহোক, পোস্টটি করার জন্য শুকরিয়া।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



লেখক হওয়া এখন অনেক সহজ!! ফেইসবুকে প্রেমের একখান পদ্য লিখে দিলেই শুরু হয় লাইক কমেন্টের বন্যা! আর কবি সুন্দরী অষ্টাদশী হলে তো কথাই নেই। এজন্য এখন মেলায় বই আসে হাজারে হাজার। তবে বিক্রি বাট্টাও বাড়ছে ইদানিং।

মেলায় আসবেন, দেখা হবে; পরিচয় হবে। কথা হবে। ভাল থাকুন ভাই।

১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬

মায়াবী ঘাতক বলেছেন: এই সব টি-২০ লেখকদের কারনেই বইমেলা এখন কিতাব মেলায় পরিণত হয়েছে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়া ছেড়েছি আরো ৫ বছর আগেই। এখন বইমেলাও সেরকম লাগছে। কি আর করা? :(

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



বইমেলা এখন আর লেখক পাঠক মেলাতে সীমাবদ্ধ নেই। ফেইসবুক গ্রুপ লেখা পোস্ট করেই লেখক হওয়া যায় এখন। তবে লেখার মধ্যে লেখকের প্রচেষ্টা আর একাগ্রতার ছাপ থাকলে এ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। লেখা একটা সাধনার বিষয়; এ সত্তাকে লালন করতে হয় অতি সযতনে। আপনি ঠিকই বলেছেন, বইমেলা বইয়ের হতে হবে; বাণিজ্য মেলা নয়।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই। বই মেলায় আসবেন, দেখা হবে। ভাল থাকবেন।

১৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:
তিন ঘন্টায় দেড় লক্ষ শব্দের উপন্যাস যিনি লিখে ফিললেন মূলত তার লেখক হওয়ার কথা না, তিনি হয়ত একজন দ্রুতগতির টাইপ রাইটার বা কম্পোজিস্ট।

ধন্যবাদ, ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন। শুভেচ্ছা ও শুভ সন্ধ্যা।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আসলে একজন লেখক যখন দম্ভ করে এ বিষয়টি ফেইসবুকে প্রচার করেন তখন তা সত্যি বেদনাদায়ক। লেখকদের লেখায় সময় দিতে হয়; এজন্য সাধনা লাগে। শুধু লেখার জন্য লিখলে তার স্থায়ীত্ব অল্প হয়।

আপনার কোন বই কি এবার আসছে? শুভ কামনা রইলো, প্রিয় কবি।

১৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: গেইল হলে ক্ষতি কীরে ব্যাটা??X(
T20, ওয়ান ডে, টেস্ট সব খেলা হবে। যে যা পারে লিখবে। দেখি কে আটকায়!!!X(

ধূর! আর টাইপই করবো না।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ওরে ব্যাটা দোস্ত!! কইলে, ইউ আর সো কুল গাই নাউ। বাট ব্যাটা-স্যাটা ক্যান কও!?! দোস্ত ইউ আর স্টিল রুড। ওরে ব্যাটা বিয়ে করলি, তো ভাল কথা। এতো গোপনে ক্যান? খাওনটা বাকি রইলো, কইলাম। যুগলবন্দী হইয়া মেলায় আইসলে খাওনটা কড়ায় গন্ডায় আদায় করুম।

মুই গেইলের চেয়ে লারাকে বেশি লাইক করি। টাইপ করতে হবে না; বউকে নিয়া কফি শপে ঘুরে আইসো। :-B

১৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: ফেসবুকের এই যুগে এই সবই করা হয় আত্মপ্রচারের জন্য। বই ছাপিয়ে, ফেসবুকে দেয়া, এরপর সেই পোস্ট ভাইরাল করা,বই যদি কেউ নাও কিনে তাহলে দরকার হলে নিজেই নিজের বইকেনা । এইসবই আজকাল করা হচ্ছে নিজেকে সমাজে হেজিপেজি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াসে। ছাত্রবস্থায় জীবনেও যারে শুনি নাই এক পাতা লেখালেখি করতে সেও এখন দেখি বিড়াট ফেসবুক সাহিত্যিক।জুকারর্বাগ গন্ডায় গন্ডায় কবি, সাহিত্যিক তৈরী করেছে এই দেশে। =p~

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, ঢাবিয়ান ভাই। ফেইসবুক হলো একটি শক্তিশালী সামাজিক প্লাটফর্ম। এজন্য নিজের বইয়ের একটু আধাটু প্রচার করা খারাপ কিছু না। বইয়ের মান ভাল হলে পাঠকরা বইটি সম্বন্ধে জেনে পড়ার সুযোগ পায়। কিন্তু এক্ষেত্রে লেখকের দায়িত্বশীল হওয়া বাঞ্ছনীয়। বইয়ের নামে মানহীন কোন লেখা ছাপালে এবং বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে পাঠক তা কিনে ঠকলে তা মোটেও ভাল নয়। এতে ভাল মানের বইয়ের প্রতিও পাঠকদের বিশ্বাস কমে যাবে।

আর ফেইসবুক সাহিত্যিক। এখন তো অনেক গ্রুপ আছে ফেইসবুকে। মার্কজাকারবার্গকে এজন্য ধন্যবাদ!!

১৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৫

রাকু হাসান বলেছেন:

চমৎকার ভাইয়া । শিরোনাম দারুণ পছন্দ হয়েছে । আমি তো পড়ে সম্পূর্ণ রুপে ‘থ’ হয়ে গেলাম। :|| এ্ও সম্ভব । স্বয়ং শেক্সপিয়র, হেমিংয়ে,মিল্টন রবীন্দ্রনাথ ,নজরুল লিখেছিলেন এভাবে ? অতি বিরল মেধা নিয়ে জন্মাচ্ছে দেখছি । আর বলেছেন বেস্ট সেলার হওয়ার কথা । যেসব সেলিবের বই বেস্ট সেলার হয়েছিল ,দেখবেন এরা এবারও সেই তালিকায় আসবে। তথাকপিত সেলিবদের বই সঙ্গত কারণেই পড়তে ভালো লাগে না । ছোঁয়েও দেখি না ।
ভাইয়া যে টেস্ট খেলতে পারে সে চাইলেই ওয়ানডে-টি-টুয়েন্টিতে মানিয়ে নিতে পারে কিন্তু একজন মারকুটে টি-টুয়েন্টি ব্যাটসম্যান চাইলেই পারবে না । দলে জায়গা পাওয়া কঠিন । উদাহারল তামিম,মুশি,রিয়াদ B-)
আমাদের কাওসার ভাইয়া টেস্ট খেলুক সেটাই চাইবো । পুরোদুস্তর টেস্ট খেলোয়াড়ের খুব অভাব আমাদের ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আরে আমার রাকু ভাইজান; খুব কম ব্লগে পাই ইদানিং। সময় সুযোগে লিখুন। শিরোনামটি ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। তিন দিনে একটি উপন্যাস শেষ করতে পারলে ইহাকে আর কি-ই বা বলতে পারি!! স্বয়ং শেক্সপিয়র, হেমিংয়ে, মিল্টন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল লিখেছিলেন এভাবে? মোটেও না। এরা টাকা কিংবা যশের জন্য লিখেন নাই। তাঁরা লিখতেন মনের আনন্দে, ভালবাসা থেকে। সাহিত্য হলো সাধনার ধন; একে আয়ত্তে আনতে পরিশ্রম করতে হয়।

নির্বাচকরা আমাকে ওয়ানডের জন্যও বাছাই করেন নাই; আর টি-টুয়ান্টি!! নো চান্স। এজন্য ডাইরেক্ট টেস্ট ওপেনার। কব্জিতে জোর মারাত্মক কম; তবে টেকনিক ও ধৈর্যের জন্য জন্য নাকি আমাকে দলে সুযোগ দিয়েছেন তারা। বুঝতে পারছি না কিভাবে বুমরা, মুস্তাফিজ, স্টেইন, রাবাদাদের সামলাবো!!

ভাল থাকুন, প্রিয় ভাই। শুভ কামনা রইলো। দেখা হবে বইমেলায়।

১৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৮

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আমার কোন দোষ নাই। এই নিকে আসলে আমি অটোমেটিক রুড হয়ে যাই। সব লেখকরে ডলা দিতে ইচ্ছে করে। আমি কি করমু বন্দু?:( নিক চেন্জ করমু???:(

কফির কথা বাদ দাও। শাক(শাহরিয়ার কবির) বিয়া করিলো, আর সবজি হইয়া তুই কী করিস ব্যাটা? মূলা খা...X(

বই মেলাতে মনেহয় যাইতে পরিবোনা বন্দু। মাফ করিও।
পুনশ্চঃ আমার বয়স মাত্র ২৫। বিয়ার হইলে যথাসময়ে বলা হইবে..:P!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



এই নিকে আসলে দুষ্টুমি মাথায় উঠে!! সব লেখকদের ডলা দিতে মঞ্চায় ক্যান? নিজেও লিখুন দেখবেন আর হাত নিশপিশ করবে না; সময় অসময়ে মাথা গরম হবে না। নিক চেঞ্জের দরকার নেই; স্টেটাস বদলাও বন্ধু!! দেখবে ডাবল মাইন্ডে ডাবল বিজি থাকবে তখন!! মাথাও ঠান্ডা থাকবে।

শাকটা কে চিনলাম না; তবে যতটুকু জানি এজন্য মন্ডল বাড়ির দুষ্ট পোলাডা সবচেয়ে কষ্ট পাইছে। এজন্য ইদানিং বলগিং কম করছে!! ধৈর্য ধর বন্ধু; সামনে আসছে শুভ দিন; মাঠ এখনো খালি হয় নাইক্কা।

বই মেলাতে আইতেই অইবো। সিরিয়াসলি কইতাছি। না আইলে খবর আছে।

১৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৮

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: লেখালেখিটা আমার কাছে সাধনা। গুনগত মান ছাড়া হাযার হাযার পৃষ্টার বইয়ের আদঔ কোন মুল্য আছে কি? এভাবে হুড়াহুড়ি করে বই লিখলে কোন ভাল কিছু আশা করা যায় কি? এরকম ফালতু লেখকের বই পড়ার চেয়ে একদম দুরে থাকাই শ্রেয়। কারন হাবি জাবি জিনিষ খেয়ে রুচি খারাপ করার কোন প্রয়োজন আছে কি। এরচেয়ে দৈনিক পত্রিকা পাঠ করা আরো বেশী উপকারী।

আলহামদু লিল্লাহ আমি প্রায় ১০-১২ টা বই লিখেছি। বিষয় ধর্ম, সুফীবাদ, কবিতা, কবিতার অনুবাদ, জীবনী। সময় নিয়েছি দশ বছর। একটা লেখা বার বার পড়ে নিজে সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত আমি থামি না। আমি সব লেখা্য় পাঠকের কথা মাথায় রাখি। আর চেষ্টা করি আমার লেখায় যথা সম্ভব বেশি তথ্য পাঠকদের উপহার দিতে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। কষ্ট করে সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। বইমেলা আসার পনেরো দিন আগে অনেকের ঘুম ভাঙতে দেখা যায়। সারা বছর জুড়ে না লেখলেও বইমেলার জন্য তিন দিনে হলেও লিখতে হবে!! এটা কি সাহিত্যের প্রতি ভালবাসা থেকে লেখা? নাকি খ্যাতির জন্য?

হয়তো কারো কারো ইউনিক কিছু কোয়ালিটি আছে যা আমাদের অনেকের নেই। কেউ তিনদিনে যা লেখেন অনেকে হয়তো তিন বছরেও পারবে না!! এই টি-টোয়েন্টি লেখকরা সারা বছর লিখলে তো একটা বইমেলায় একশত নোবেল ছুঁড়ে মারতে পারতেন!!

আপনার ১০-১২টি প্রকাশিত হয়েছে জেনে খুশি হলাম। আপনার সাহিত্যের প্রতি অগাধ টান দেখে আমি মুগ্ধ। আসা করি, সামনের দিনগুলোতে আরো কিছু বই পাঠকের হাতে পৌছিবে। আপনার সুস্থতার জন্য দোয়া করি। ভাল থাকুন, সব সময়।

২০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৪

সুমন কর বলেছেন: হাহাহা........বেশ বলেছেন। আর শেষ প‌্যারায় বাজিমাত। শুভকামনা......

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



দাদা, শুভেচ্ছা নিবেন। এমন টি-টুয়ান্টি লেখকরা লেখালেখিটাকে ছেলেখেলার পর্যায় নিয়ে যাচ্ছেন। তিনদিনে একটি ছোটো গল্পও লেখা পুরোপুরি সম্ভব নয়; কিন্তু লক্ষাদিক শব্দের একটি উপন্যাস!! এটি সাহিত্যের প্রতি অসম্মান।

আপনার কি কোন কবিতার বই আসছে এইবার? বই মেলায় আসলে দেখা হবে।

২১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একি শোনালেন ভায়া!!!!!!!!!!!

হা হা হা হা

বিস্ময়কর রেকর্ড!!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ওলে আমাল বিদ্রোহী গুরু!! মিস ইউ জান!!

হা--হা--হা-- ক্যান? ভায়া :-B এখন টি-টুয়ান্টি যুগ; সাহিত্যেরও টি-টুয়ান্টি লীগ চালু হইচে।

বই মেলায় আইসেন; আপনের বই কোন স্টলে? কিনমু।

২২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অভিষিক্ত টেস্ট ওপেনারের জন্য শুভ কামনা । আশা করছি প্রথম টেস্টেই তিনি সেঞ্চুরী হাঁকাবেন।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



বাহ, গুরুজনের আশীর্বাদ। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আপনার মতো গুরুজনের কমেন্ট পেয়ে। আশা করছি ১লা ফেব্রুয়ারিতে সোহরাওয়ার্দী স্টেডিয়ামে বিকাল ৩টায় ম্যাচটি শুরু হবে। আপনার জন্য হসপিটেবল বক্সে একটি "কাপল" সিট বরাদ্দ রেখেছি। প্রথম টেস্টে নামছি; এজন্য নার্ভাসনেস কাজ করছে। প্রতিপক্ষ বোলার খুব দক্ষ; তাদের ইন সুইঙ-আউট সুইঙ, গুগলি, বাউন্সার সামলানো বিরাট এক পরীক্ষা।

দেখা যাক; সেঞ্চুরি হয় কিনা!! আর ২০০ রান হলে তো সোনায় সোহাগা; টিকেটের দামও ২০০ টাকা। মিলে যাবে, একদম!!

২৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:





আমার কাছে একটা বই মানে একটা প্রজেক্ট। সেই প্রজেক্ট বছর ধরেও হতে পারে, পাঁচ বছরও হতে পারে এবং পুরো জীবনও হতে পারে! আবার একসাথে একাধিক প্রজেক্টও চলতে পারে। সেটা প্রেক্ষাপট, ভাবনা, অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। একটা বই প্রিন্ট হয়ে বের হওয়া মানে সে একটা দেশের সাহিত্যে অংশগ্রহণ করলো এবং তার বইয়ের গুণগত মানের উপর নির্ভর করে সে সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করলো নাকি সাহিত্যকে পেঁছনে টেনে ধরলো। তাই লিখতে পারা মানে এই নয় যে হুট করে বই লিখে ফেলা। বই লেখা একটি বিস্তৃত পদক্ষেপ যার সাথে জড়িত থাকে লেখক, পাঠক, সাহিত্যের সমৃদ্ধি, দেশের ভাবমূর্তি।

আপনার ভাবনাগুলো চমৎকার। আপনার জন্য রইলো শুভ কামনা।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



বাহ, দারুণ একটি কমেন্ট করেছেন। বই মানে একটি প্রজেক্ট। আসলেই তাই। এই প্রজেক্ট দাঁড় করাতেই তো দুই সপ্তাহ লাগার কথা। তারপর ভাবননাগুলোর ডালপালা মেলা, রং করা, সার, কীটনাশক প্রয়োগ করা, টুইস্ট সংযুক্ত করা। আর সুস্থ একটি সুস্বাদু ফল পেতে দিনের পর দিনে এর পরিচর্যা করা। এগুলোই সাহিত্য চর্চা। লেখক সবাই হতে পারেন, কিন্তু সাহিত্যিক হন হাতে গোন কিছু মানুষ। যারা ভালবাসা, যত্ন আর গভীর ভাবনা থেকে কথা সাহিত্যকে লালন করেন, নিজের মধ্যে ধারণ করেন, নিজের বিশ্বাস ও বোধ থেকে লেখেন।

আপনি চমৎকার বলেছেন, "বই লেখা একটি বিস্তৃত পদক্ষেপ যার সাথে জড়িত থাকে লেখক, পাঠক, সাহিত্যের সমৃদ্ধি, দেশের ভাবমূর্তি।" ---- খুশি হব, বইমেলায় আপনার সাথে দেখা হলে। আসবেন, পরিচয় হবে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

২৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৯

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: মজাআ লেগলো। ভল করা লেখকদের একদম উচিৎ নয়।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনাকে। একটি লেখা লিখেই প্রেসে দেওয়া এবং তা বই আকারে পাঠকের সামনে নিয়ে আসা কখনো বুদ্ধিমানের কাজ বলে আমি মনে করি না। একটি বিষয় নিয়ে লিখে অন্ততঃ তিন মাস প্রতি সপ্তাহে একবার করে লেখাটি সম্পাদনা করলে অনেক নতুনত্ব আসবে, প্লট পরিবর্তন হবে, টুইস্ট আর নতুন অলঙ্করণ যুক্ত হবে। সবচেয়ে বড় কথা ভুলের সংখ্যা কমবে। ফলে পাঠকের হাতে যখন বইটি যাবে তখন পাঠকের সন্তুষ্টি অর্জন করবে, সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করবে।

ভাল থাকুন। বইমেলায় আসবেন, দেখা হবে।

২৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১০

করুণাধারা বলেছেন: এমন চমৎকার পোস্টে টি-টোয়েন্টি মার্কা মন্তব্য করা যায় না! তাই মন্তব্য করার জন্য পরে আসছি ইনশাল্লাহ। আপাতত পোস্টে ++++

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপা, টি-টুয়ান্টি মানেই কাঁচা পয়সা। এজন্য লেখকরাও এই লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। এতে টি-টুয়েন্টির বিনোদন পাওয়া গেলেও এর স্থায়িত্ব খুবই অল্প। সাহিত্য হচ্ছে টেস্টের মত ধৈর্যের পরীক্ষা। এখানে চার ছক্কার চেয়ে টেকনিকটাই আসলে। টেস্টে ব্যাটিং করতে লাগে ক্রিকেটীয় ব্যাকরণের ক্লাস নেওয়া। না হলে এখানে স্থায়ীত্ব পাওয়া যায় না। অভিষেকেই শেষ ম্যাচ হয়ে যায়।

আপনার কাছ থেকে বড় একটি কমেন্ট প্রত্যাশা করছি। গুণীজনের আশীর্বাদ আমার পথ চলার পাথেয়। খুব খুশি হবো বই মেলায় আপনার সাক্ষাৎ পেলে। আপনার কি কোন বই আসছে এবার? স্টল নাম্বার জানাবেন, আপা। অটোগ্রাফ সহ কিনবো।

২৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:১৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: এই বইমেলায় টি-টুয়েন্টি লেখকের কতটা বই ছাপা হয়েছে?! প্রশ্ন'টা মাথায় ঘুরছে।

আপনার জন্য শুভকামনা এবং শুভেচ্ছা...

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



জুনায়েদ ভাই; আশা করি ভাল আছেন। এই বই মেলায় টি-টুয়ান্টি লেখকের কয়টা বই বের হয়েছে তা জানতে পারলে দারুণ হতো। ভাবছি চুপিচুপি প্রকাশনীর কাছ থেকে খবরটা নিয়ে আসবো। তবে সঠিক তথ্য পাব বলে মনে হয় না। দেখা যাক, ট্রাই করমু।

আপনার আন্তরিক শুভ কামনার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো, ভাই। বইমেলায় আসলে অবশ্যই দেখা করবেন। দেখা হবে, পরিচয়টাও হবে। ভাল থাকবেন, সব সময়।

২৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৫৬

সোহানী বলেছেন: আস্তাগফিরুল্লাহ :`> । আমার লিখা মোটেও গভীরের কিছু না। আমি সবসময়ই হালকা কিছু নিয়ে লিখি। কারন যে সময়টুকু রিসার্চে দিতে হয় তা আমার হাতে নেই। বরং আপনার লিখাগুলো অনেক বেশী গভীরের, সেটা সমাজ রাজনীতি বা ব্যাক্তি সব কিছু নিয়েই গভীরভাবে ভাবায়। তবে লিখাটা আমার নেশা। সারাক্ষনই মাথায় কিছু না কিছু ঘুরে। সময় পেলে ফুটিয়ে তুলি সময় পেলে ভুলে যাই। পেটের ধান্ধা যেদিন থাকেন না সেদিন ফুলটাইম লেখক হবো ইনশাল্লাহ।

ভালোবাসেন বলে ভালোলাগে আমার এ অখাদ্য লিখা।................ অনেক ভালো থাকেন।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপু, গুণীজনের কদর না করলে গুণীদের জন্ম হয় না। আমি টুকটাক লেখি বলে ভাল লেখা, পরিশ্রমী লেখক কিংবা লেখার গভীরতার মাপটা কিছুটা হলেও বুঝি। আমি আপনার লেখাগুলো পড়েছি একজন পাঠক হিসেবে; এজন্য মূল্যায়নটাও করেছি একজন পাঠক হিসেবে। আপনার প্রতি আমার এতো রেসপেক্টের কারন কিন্তু এটাই।

আমি চাই আপনার ভাবনাগুলো মলাটবন্দী হোক; দর্শনগুলো পাঠককে আন্দোলিত করুক। আবেগগুলো জীবনমুখী হয়ে বাংলা সাহিত্যের একটি স্থায়ী আসন পাক। এটা আমার একান্ত চাওয়া। যদিও লেখার মতো কঠিন সাধনার কাজ করতে সময় লাগে। যা আপনার জন্য এখন অনেক কঠিনই।

তবে চর্চাটা চালিয়ে যান; আগামী বইমেলার জন্য এখন থেকে ভাবুন; লেখতে শুরু করুন। আমি আপনার বইয়ের প্রচারে সহযোগিতা করবো; ভাল মানের একটি প্রকাশনীর ব্যবস্তা করবো। শুভ কামনা রইলো, আপুনি।

ভাল থাকুন; সবাইকে নিয়ে।

২৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:০০

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: লেখালেখি নিয়ে একটা পোষ্ট দেয়ার ইচ্ছা ছিল। এখন আপনার লেখা দেখে তা আরো প্রবল হল। লেখালেখির সাথে যাদের সামান্য পরিচয় আছে, তারা বুঝবেন লেখালেখি করতে হলে পড়াশুনা করা লাগে। না হলে এক্কেবারে খালি পেটে ভাল কোন লেখা আশা করা যায় না। আমি মনে করি লেখকদেরকে শিক্খকের ভুমিকা নেয়া উচিত। আর ভাল ছাত্র হলেই যে তিনি ভাল শিকখক হবেন এমনটা কিন্তু নয়। কারন নিজের মনের ভাবনা আরেক জনের কাছে কনভে করাটা সত্যিই বেশ কঠিন কাজ। লেখকদের এমন ও সময় যায় তখন দুলাইন লেখাও আসেনা।আবার দেখা যায় কোন দিন ঘন্টার পর ঘন্টা লেখা আসতেই থাকে। লেখালেখির জন্য কোন নিদ্দিরষট কোন টাইম ফ্রেম থাকেনা। সেটা লেখকের মুড এর উপর নি্রভর করে। লালন সাই এর একটা কথা আমার খুব মনে পড়ে, কোন লেখা মনে আসলেই তিনি তার সাগরেদের ডেকে বলতেন, ওরে আমার ছানাপোনারা এসে পড়েছে,তোরা সব কোথায়?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আবারো চমৎকার গুরুত্বপূর্ণ একটি কমেন্ট করায় কৃতজ্ঞতা রইলো। আপনি যথার্থই বলেছেন, "লেখালেখি করতে হলে পড়াশুনা করা লাগে। না হলে এক্কেবারে খালি পেটে ভাল কোন লেখা আশা করা যায় না। আমি মনে করি লেখকদেরকে শিক্ষকের ভুমিকা নেয়া উচিত। আর ভাল ছাত্র হলেই যে তিনি ভাল শিক্ষক হবেন এমনটা কিন্তু নয়। কারণ, নিজের মনের ভাবনা আরেক জনের কাছে কনভার্ট করাটা সত্যিই বেশ কঠিন কাজ।".......... সহমত আপনার সাথে।

ভাল থাকুন, শরীরের প্রতি খেয়াল রাখুন। আর সাহিত্যের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করুন।

২৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২০

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: তিন দিনে এই গতি, সারা বছর লিখলে তো আর কারো স্পেস থাকবে না ভায়া ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপা, আপনার বইটির জন্য শুভ কামনা রইলো। মেলা থেকে অবশ্যই বইটি সংগ্রহ করবো। আসলে এসব টি-টুয়ান্টি স্পেশালিষ্টরা খ্যাতির জন্য লেখে। এভাবে ফেইসবুকে স্টেটাস পোস্ট করে এরা পাঠকদের কাছে নিজেকে সেলিব্রিটি লেখক হিসেবে উপস্থাপন করেন।

ভাল থাকুন। আপনার বইটি পাঠকপ্রিয়তা পাক এই দোয়া রইলো।

৩০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫

আফসানা মারিয়া বলেছেন: শিরোনামটা দারুণ হয়েছে। লেখাটা তো অনেক কঠিন। কল্পনা করতে হয়, কথাগুলোকে সারাক্ষণ আওড়াতে হয়, brainstorm করতে হয়, তাও লিখতে গেলে কথা হারিয়ে যায়। উপন্যাস লেখার নিয়ম হচ্ছে লিখে ১-২ বছর টেবিলে ফেলে রাখা। এতো তাড়াতাড়ি উপন্যাস লিখে কিভাবে? B:-)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আপু। আসলে লেখকদের ইদানিং টি-টুয়ান্টি গতিতে লেখতে দেখে মনটা খারাপ হয়ে যায়। সাহিত্য হচ্ছে সাধনার বিষয়ে; এখানে নিখুঁত টেকনিকে প্রেকটিস করে আয়ত্তে আনতে হয়। একটি উপন্যাসের প্লট নিয়ে ভাবতে গেলেও তো এক মাস লাগার কথা অথচ, তিন দিনেই সব!! এটা সাহিত্যের প্রতি চরম অবজ্ঞা। আপনি ঠিকই বলেছেন, "উপন্যাস লেখার নিয়ম হচ্ছে লিখে ১-২ বছর টেবিলে ফেলে রাখা।"..... আমি মনে করি, এ নিয়ম সব রকম লেখার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

৩১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৪৩

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: প্রেরণা দায়ক মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া, জনাব। ভালো থাকবেন। আর সুন্দর সুন্দর সব পোষ্ট লিখবেন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আবারো কমেন্টে পেয়ে খুশি হলাম। আপনিও সুস্থ থাকুন, নিজের শরীরের প্রতি যত্নশীল হোন। আপনার সাহিত্য চর্চা দেখে আমি প্রেরণা পাই। দোয়া করি যেন আরো বহু বছর ধরে সাহিত্য চর্চা করতে পারেন আনন্দের সাথে।

৩২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: আজ বেশ কদিন ধরে একটা কথা মাথায় শুধু ঘোরাফেরা করছে। এসব টি-২০ লেখক বা মৌসুমী কোকিলদের জন্যএকটা বুদ্ধি বের করেছি। সেটা হল মাইক্রো ব্লগিং। ওনারা ছোট ছোট পোষ্ট দেবেন। আর লেখার মান বাড়াবেন। এটা ছয় মাস থেকে এক বছর চলতে পারে। তাছাড়া আজকাল মানুষের হাতে সময়ও অনেক কম। তাই ছোট ছোট পোষ্ট দেয়া ফলদায়ক হতে পারে বলে আমি মনে করি।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
চমৎকার আইডিয়া। +++

৩৩| ১৩ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: উনি খুব সম্ভবতঃ উপন্যাসটি লিখেন নি, কাট-পেস্ট করেছেন। এত কম সময়ে এক লাখের উপর শব্দ সমৃদ্ধ উপন্যাস শুধু ভেবে নয়, দেখে দেখে লেখাও দুরূহ!
এমন চমৎকার পোস্টে টি-টোয়েন্টি মার্কা মন্তব্য করা যায় না! তাই মন্তব্য করার জন্য পরে আসছি ইনশাল্লাহ (২৫ নং মন্তব্য) - ওনার পরের মন্তব্যটির জন্য আগ্রহী ছিলাম, কিন্তু খুঁজে পেলাম না।

১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, স্যার।
আপনার চমৎকার মন্তব্য আর লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ছেন দেখে খুব খুশি হলাম। লেখেন অনেকেই কিন্তু "লেখক" হন হাতে গোনা। যারা লেখার আগে ভালো পাঠক হন, নিজের লেখার বিষয় ঠিকঠাক সেটিং করেন, সময় নিয়ে ভেবে চিন্তা করে লিখেন তারাই ঠিকে থাকেন। লেখালেখিতে রাতারাতি অবস্থান করে নেওয়ার সুযোগ নেই। যারা সস্তা জনপ্রিয়তা পান তারা একটা সময় হারিয়ে যান কালের আবর্তে।

২৫ নং মন্তব্যে করুণাধারা আপা হয়তো পরে এসে বড় একটি মন্তব্য করতে চেয়েছিলেন। সম্ভবত ভুলে গেছেন। তিনি খুবই ভালো লিখেন, পাশাপাশি ভালো পাঠকও বটে। আপনার মতো আমিও খুশি হতাম উনার সুচিন্তিত মতামতটি পেলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.