নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।
দৈনিক 'স্বপ্নভূমি'- পত্রিকাটি হাতে নিতেই দৃষ্টি গেল বড় বড় অক্ষরের হেডলাইনের দিকে- "হাত বাড়ালেই ইলিশ"। শিরোনামটি দেখে আগ্রহ নিয়ে পত্রিকার খবরটি পড়লাম। রিপোর্টারের ভাষায় গত সাত দিন থেকে ইলিশ উপচে পড়ছে কারওয়ান বাজারের আড়তগুলোতে। যেন ইলিশের পাহাড় জমে পর্বত হয়ে গেছে। এভারেস্টের সমান ইলিশের স্তুপ! বিক্রেতারা বিপুল পরিমান ইলিশের ঠেলা সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে। বাসা-বাড়িতে গিয়ে বউ-বাচ্চার মুখটি দেখার ফুরসৎ পর্যন্ত নেই। খাওয়া-মুতা পর্যন্ত বাদ দিয়ে বঙ্গোপসাগরের ইলিশ নিয়ে মহা ব্যস্ততা। হাজার হোক জাতীয় মাছ বলে কথা। এলাহি কাণ্ড!!
অনেকটা রোহিঙ্গাদের মতো; যেন আসতে আসতে নেই কোন শেষ। যত দূর চোখ যায় শুধু ইলিশ আর ইলিশ । ক্রেতারা মহা ধুমধামে ইলিশ কিনছেন। সাথে বউ-শ্বাশুড়ি-শালা-বিয়াই সব। এ যেন 'ইন্টারন্যাশনাল হিলসা ফেস্টিভ্যাল'। এমন ফেস্টিভ সংবাদে উত্তেজিত হয়ে রকেট গতিতে খবরটি শেষ করতে মনোনিবেশ করলাম। অনেক দিন পর মনের মতো একটি নিউজ পত্রিকা ছাপা করছে। পত্রিকার রিপোর্টার সহ সংশ্লিষ্ট চৌদ্দগোষ্টীকে ধন্যবাদ দিলাম।
রিপোর্টে আরো দেখলাম এই মৌসুমে নাকি (২০১৯) ইলিশের উৎপাদন ২৫% বৃদ্ধি পাবে। গত মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন হয়েছিল ৪ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। এবার তা হতে পারে পাঁচ লাখ মেট্রিক টনের কাছাকাছি। বাপরে বাপ! এক বছরেই একলাখ মেট্রিকটন বাড়তি! আহ্ শান্তি পেলাম। এমনটিই তো চা-ই-। মৎস্য অধিদপ্তরের মতে এবার বর্ষা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নদীতে প্রচুর স্রোত থাকায় ইলিশ সাগর থেকে নদীতে উঠে আসতে পারছে না। এজন্য বাজারে অন্যান্য বারের তুলনায় ইলিশের যোগান তুলনামূলক ভাবে কম। তবে এ সমস্যা বেশিদিন থাকবে না, অল্প কিছুদিন পর থেকে শুরু হবে ইলিশ ধরার মহোৎসব! তখন নাকি পানির দামে ইলিশ মিলবে!!
যেইমাত্র পড়া শেষ, সঙ্গে গিন্নিকে নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে দিলাম ছুট। সাথে বড় বড় দু'টি চটের বস্তা। বলা তো যায় না হালি যদি শ'টাকা হয় তাহলে দুই-চার ডজন আনা যাবে। একটা সিএনজি নিয়ে সোজা কারওয়ান বাজার। দোয়া পড়তে লাগলাম যাতে যোগানের অভাবে সস্তা দামে ইলিশ কেনা থেকে বঞ্চিত না হই। বাজারে গিয়ে তো আক্কেল গুড়ুম অবস্থা, দোকানদার এক কেজি ওজনের একটি ইলিশের দাম চাচ্ছে দুই হাজার পাঁচশো থেকে তিন হাজার টাকা। হ্যা, তি-ন-হা-জা-র টাকা মাত্র! ইঁদুর কপাল আমার!!
সারা বাজার ঘুরে ঘুরে দেখলাম একই অবস্থা। অবশেষে ইলিশ কিনতে না পেরে নিজেকে সান্তনা দিলাম, এখনো দাম আমার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে না আসলেও পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী শীঘ্রই দাম কমবে, তখন অবশ্যই কিনতে পারবো! গিন্নিকে বোঝালাম- দেখো, ইলিশগুলো দেখতে এক্কেবারে জাটকার/পিচ্চি সাইজ! এতো ছোট ইলিশের পোনা কিনা ঠিক হবে না; এগুলো ধরা/বিক্রি করা যেমন অন্যায় ক্রয় করাও ঠিক তাই। টেলিভিশনে দেখোনি? জাটকা মারা ও বিক্রয় করা আইনত দন্ডনীয়। সুবিধা হলো আমার গিন্নি জাটকার সাইজ কত বড় পর্যন্ত হয় সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল না হওয়ায় ম্যানেজ করতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। বেচারীর মুখটা কেমন যেন কালবৈশাখী সাজের মতো হয়ে গেল। তবে প্রতিবাদ ছাড়াই মেনে নিল।
কিন্তু না পরের দুই মাসেও ঝাটকাগুলো ইলিশে ট্রেন্সফার হয়নি। সস্তায় ইলিশ কেনার খায়েশ মিটে গেল, অদূর ভবিষ্যতে সে সম্ভাবনাও নেই। তারপরও সপ্তাহে দুইদিন করে কারওয়ান বাজারে যেতাম। অনেকটা মনকে সান্তনা দেওয়ার খাতিরে। যদি অল্প দামে আলাদীনের চেরাগ জোটে! প্রতিদিন পত্রিকার রিপোর্টের কোন আলামত না পেয়ে ফিরে আসতাম। গিন্নি প্রতিদিন আগ্রহ নিয়ে দরজা খুলতো, তবে আমার ঝড়ো কাক মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতো না।
স্বাদ, ঘ্রাণ আর রূপ-লাবণ্যের জন্য চাঁদপুরী ইলিশের চাহিদা ব্যাপক। এজন্য মাছের বাজারে গেলে বিরস বদনে চাঁদনী সুন্দরীদের রূপ-লাবণ্য একটি বারের জন্য হলেও দেখে আসি। অনেক মায়া হয়! ডিম ওয়ালা রূপালী সুন্দরীরাই আমার ফেভারিট। মাছের আন্ডা ভাজি এই অধমের ভীষণ প্রিয়। অবস্থা সম্পন্ন বাসা/বাড়ির সামনে দিয়ে গেলে ইলিশের কড়া ঘ্রাণে যখন অন্তরটা জুড়িয়ে যায় তখন নিজেকে সান্তনা দিয়ে দমিয়ে রাখতে বড়ই কষ্ট হয়। রন্ধন শিল্পীকে নিষ্টুর আর বেরসিক মনে হয়। এই ঘ্রাণ প্রহসনের!
সরষে ইলিশ, ইলিশ পোলাও, ইলিশ কোফতা, ইলিশ কাসুন্দি, ইলিশ ভাজি, পটেটো ইলিশ ইত্যাদি কত পদের রেসিপি আছে আঙুলে গোনে শেষ করা যাবে না। তবে 'নুডলস ইলিশ' নামের কোন রেসিপি আবিষ্কৃত হয়েছে কি না জানা নেই। পয়লা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ সার্চ লাইট দিয়ে খুঁজলেও আসছে বছরগুলোতে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। তবে টাকা ওয়ালাদের টেনশনের কোন কারণ নেই। ইলিশ কোনদিন আপনাদের সাথে বিট্রে করবে না। প্রমিস!
পানতা নিয়ে থাকলে বসে
ইলিশ মাছের আশায়,
একটা ইলিশ পথ ভুলে কী
ঢুকবে আমার বাসায়?
কেষ্ট বলে, শুনছো কথা!
বলে কী মোর দুলায়,
এই বাজারে ইলিশ নিয়া
কেমনে মাথা ঘামায়?
থালায় নিয়ে রাখছি পুঁটি
উদযাপনের আশায়,
লও সবে বৈশাখী মোর
রাঙা নিমন্ত্রণের খাতায়,
খেজুর পাতার আসন পেতে
বসবো সবাই দাওয়ায়,
করবো ভাগ মহা আনন্দে
পুঁটি-পান্তার থালায়।।
ভরা মৌসুমে যদি এত দাম হয় তবে এ বছর হয়ত আর ইলিশ খাওয়া হবে না। যদিও এক-দুই কেজি ইলিশ কেনার সামর্থ আমার আছে, তারপরও এই দামে ইলিশ কিনব না। বলতে পারেন এটা আমার প্রতিবাদ। যৌক্তিক ভাবে এক কেজি ওজনের একটি ইলিশের দাম হওয়া উচিত ছিল ৩০০-৩৫০ টাকার মধ্যে। ইশিল ছাড়াও জীবন চলে, সান্তনা দিলাম নিজেকে। বাজারে ইলিশ বিক্রেতাদের আমার কাছে কেন যেন বনেদী বনেদী লাগে। একটু দামাদামী করলে বিরক্ত হয়, তাচ্ছিল্যের দৃষ্টতে তাকায়। নিজেকে বড়ই অসহায় মনে হয়। অপদার্থ!
হিসাব করে দেখলাম এক কেজি ইলিশের দামে প্রায় ৬০ কেজি ভাল মানের চাল পাওয়া যায়। ধানের বীজ উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারে চাল হিসাবে বিক্রি করা পর্যন্ত কতগুলো ধাপ পেরিয়ে আসতে হয়, এজন্য কৃষককে প্রচুর খাটতে হয়। অনেক টাকা-পয়সা খরছ করতে হয়, মাঝে মাঝে বন্যা-খরার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কিন্তু ইলিশ তো প্রাকৃতিক নিয়মে সমুদ্রে বড় হয়, ইলিশ পালতে তো খরছের প্রয়োজন পড়ে না। এর কোন মালিকানাও নেই।
তাহলে ষাট কেজি চালের দামে এক কেজি ইলিশ কিনতে হবে কেন?
আবার ইলিশ নদী বা সমুদ্রের কাছ থেকে কিনে আনতে হয় না, তাহলে এত দামের যৌক্তিকতা কোথায়? দামটা কি ন্যায়সঙ্গত? কোন্ অদৃশ্য শক্তির ছোয়ায় দাম এত বেশি তা আমার বোধগম্য হয় না। অর্থনীতিতে একটি কথা আছে; যেগান বাড়লে চাহিদা কমে, আবার যোগান কমলে চাহিদা বাড়ে। আবার দাম কমলে চাহিদা বাড়ে, দাম বাড়লে চাহিদা কমে। কিন্তু ইলিশের বেলায় হয়ত অর্থনীতির এ সূত্র খাটে না।
গত দুই-তিন বছর থেকে শুনতে পাচ্ছি দেশের চাহিদার কথা চিন্তা করে সরকার ইলিশ রপ্তানী বন্ধ করে দিয়েছেন। তাহলে প্রশ্ন হল এত বিপুল পরিমান ইলিশ কোথায় যায়? মঙ্গল গ্রহে তো এখনও মানব বসতি শুরু হয়নি। বিদ্যুতের মত সিস্টেম লসও হওয়ার কথা নয়। তাহলে কী এগুলো জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হচ্ছে? আশা করি সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন। শুনেছি ইলিশ মাছ ডাঙায় তোলার অল্প কিছুক্ষণ পর নাকি মারা যায়। এমনও হতে পারে জেলে-পাইকার-আড়তদার হয়ে ভোক্তা পর্যন্ত আসতে আসতে ইলিশগুলো হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। বিষয়টি মোটেও অসম্ভব নয়! সম্ভব!!
লন্ডনের শেডওয়েলে বড়বড় মাছের দোকানগুলোতে বাংলাদেশী ইলিশ মাছ সারা বছর পাওয়া যায়। যতক্ষন দোকানগুলো খোলা থাকে ক্রেতাদের ভীড়ে জমজমাট থাকে। অনেকটা ঈদের শপিংয়ের মতো। আমি হিসাব করে পাইনা সারা বছর ধরে এত টাটকা ও বড় সাইজের ইলিশগুলো ইংল্যান্ডের বাজারে কোথা থেকে আসে? দামও তুলনামূলক কম। সারা বছর প্রায় সমান দাম থাকে।
আসলে সত্য কথা হল ভরা মৌসুমে ইলিশ ধরে দেশের ব্যবসায়ীরা বরফ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে রাখে। পরবর্তী সময়ে চাহিদা অনুযায়ী সারা বছর বেশী দামে বিভিন্ন দেশে পাচার করে থাকে। এজন্য ভরা মৌসুমেও বাংলাদেশের মানুষ ন্যায্য দামে ইলিশ কিনতে পারে না।
লন্ডনে এক কেজি ওজনের ইলিশেরর দাম পনেরো-বিশ পাউন্ড হলেও সেখানকার মানুষের ক্রয় ক্ষমতা আমাদের চেয়ে প্রায় ৩০ গুণ বেশী। সেখানে একজন সাধারন চাকরিজীবির আয় মাসে এক লক্ষ টাকার বেশী। তারপর আছে সরকারী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা। বাচ্চাদের জন্য ফ্রি স্কুল, সবার জন্য ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা, যাদের বাড়ি নাই তাদের জন্য ফ্রি ঘরের ব্যবস্থা। আর আছে নগদ হিসাবে ইনকাম সাপোর্ট, ফ্যামেলি ক্রেডিট, চাইল্ড বেনিফিট ও বয়ষ্কদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা ইত্যাদি।
বাবা-মা বয়ষ্ক হলে ঘর থেকে শুরু করে তাদের যাবতীয় খরছ সরকার প্রদান করে। এজন্য উপার্জনকারীদের বেতনের/আয়ের টাকা খরছ করতে হয় না। তাই বেশী দামে ইলিশ কেনা তাদের কাছে কোন ব্যাপার না।
আমাদের দেশে একজন মানুষের মাসে ৫০,০০০ টাকা বেতন হলেও মাস শেষে বাড়ি ভাড়া, ফ্যামেলি খরছ, বাচ্চাদের স্কুল-কলেজের ফি, চিকিৎসা ও ঔষধ খরছ এবং গরীব আত্মীয়-স্বজনদের কিছু সাহায্য-সহযোগিতার পর কর্তার হাতে যা অবশিষ্ট থাকে তা দিয়ে ইলিশ কেনার সামর্থ থাকার কথা নয়। ৩,০০০ টাকা কেজির ইলিশকে তখন তার কাছে ৩০,০০০ টাকা মনে হবে। তবে যাদের ডানে-বামে (কালো টাকা) ইনকাম আছে তাদের জন্য দাম কোন ব্যাপার না।
সরকারের কাছে আর্জি জাতীয় মাছ ইলিশকে জাতীয় জাদুঘরের ন্যায় একটি প্রদর্শনী কেন্দ্রে রেখে দেওয়া হোক। যাতে টিকেট কেটে আমাদের মত দরিদ্র মানুষ, যাদের ইলিশ কেনার সামর্থ্য নেই তারা দেখতে পারে। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষার্থীরা ছবি দেখে জাতীয় মাছ ইলিশ চিনতে পারবে। পেটের খিদে না মিটুক, চোখের খিদেটা মিটবে। আর বিদেশীরা বেড়াতে আসলে গর্ব করে বলতে পারবো,............ লেট সি, ইটস্ হিলসা। আওয়ার ন্যাশনাল ফিস।।
#রি-পোস্ট।
চাইলে পড়তে পারেন-
আমার সবচেয়ে পঠিত পোস্ট।
সবচেয়ে লাইকপ্রাপ্ত গল্প-ধূমকেতু
ধর্ষণ ও ধর্ষক (বাংলাদেশ/বহির্বিশ্ব)
অনুবাদ গল্প-(দি নেকলেস)
দি গিফট অফ দ্যা ম্যাজাই
গল্প লেখার সহজ পাঠ
সবচেয়ে পঠিত প্রবন্ধ।
আধুনিক কবিতার পাঠ (সমালোচনা)
আলোচিত ফিচার 'দি লাঞ্চিয়ন'।
ব্রিটেনের প্রবাস জীবন- স্মৃতিকথা।
সবচেয়ে পঠিত গল্প।
ছবি ব্লগ (লন্ডনের ডায়েরি-১)।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, প্রিয় আরোগ্য ভাই। গত এক মাস থেকে ব্লগে ঢুঁকতে আমার মতো অনেকের সমস্যা হচ্ছে (পোস্ট লিখতে পারলেও ছবি আপলোড হচ্ছে না)। আমরা যারা সামুর সাথে সম্পৃক্ত তারা কষ্ট করে বিকল্প উপায়ে ব্লগে ঢুঁকতে পারলেও সাধারন পাঠকরা স্বাভাবিক নিয়মে ব্লগ পড়তে পারছেন না। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার যুগে পাঠকরা শুধু ব্লগ পড়ার জন্য বিকল্প পন্থা অবলম্বন করবে না। আশা করি, সরকারের মাথামোটা দায়িত্বশীলদের বোধোদয় হবে শীঘ্রই।
এইটটিন প্লাস (১৮+) ভিডিও আর এইটটিন প্লাস (১৮+) বয়সের মুক্তচিন্তার চর্চা করা এক বিষয় নয়। বিজয় দিবসের চেতনা আর #বিজয় নিয়ে মনোপলি ব্যবসাও স্বাধীনতা আর জাতীয় চেতনা পরিপন্থী।
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:২৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আজ আমার আবার লগইন প্রবলেম হচ্ছে। আপাতত হাজিরা দিয়ে গেলাম । সময়-সুযোগমতো আবার আসবো।
শুভকামনা প্রিয় গুরুদেবকে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গুরুজি, শুভেচ্ছা রইলো। আমি লগইন করতে অনেক সময় লেগেছে। পোস্ট করাও খুব সহজ ছিল না। ফিচারটি পড়েছেন এজন্য ধন্যবাদ। ব্লগ ভাইরাস মুক্ত হোক; দায়িত্বশীলরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুক। মুক্তচিন্তা বিকশিত হোক।
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব,
পহেলা বৈশাখে পান্তা উপলক্ষে ঝাকে ঝাকে ইংলিশের এইভাবে গ্রেপ্তার করাটা মানব সভ্যতার ইতিহাসে সর্বাধিক ন্যাক্কারজনক ঘটনা। তবে ধরা যখন পড়েছেই তখন আর কি করার। এখনই বিপুল প্রেমের মাছকে বাঙালির পাতে পাতে পৌঁছে দিতে আমি ভাবছি একটা বিরাট ট্রাক নিয়ে হিলি কিংবা বনগাঁ সীমান্ত আজকেই লাইন দিব। হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী এ বছরে যে বাড়টি 1 মেট্রিক টন ইংলিশ ধরা পড়বে সেক্ষেত্রে আপনি যখন দুটি বস্তা নিয়ে বাজারে যাবেন বলে ঠিক করেছেন আমিও যেমন ভাবছি তেমন কিছু করতে না পারলে আজই গুরুদেবের উদ্দেশ্যে রওনা দেব । গতকাল ফেবুতে কিন্তু কিং সাইজের দুটি গাদার ছবি দেখেছিলাম। আমার জিভে কিন্তু মারাত্মক লোভ এখনোও লেগে আছে। না খাওয়া পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছি না; হাহাহাহাহা......
ফিচার ইলিশ বেশ হয়েছে। ++++ একেবারে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন আরকি।
অফুরান ও শুভেচ্ছা ভালোবাসা জানবেন।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
পহেলা বৈশাখে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা কিংবা বাজার থেকে কিনে এনে উদরপূর্তি করা কোনটাই এই বান্দার সামর্থ্যে কুলায়নি কখনো; আগামীতে সে সম্ভাবনাও দেখছি না। হয়তো পান্থা দিয়ে ইলিশ ভাজা খেতে পারি না বলেই বাজারের দোকানদারেরা গোসাঁ করে এভাবে দাম বাড়িয়ে দেন!! গুরু ট্রাক নয়, পারলে একখান "রাজধানী এক্সপ্রেস" ভাড়া করে আসামের করিমগঞ্জ সীমান্তে নিশ্চিন্তে চলে আসুন। আশা করি, বাড়তি এক লাখ মেট্রিকটন ইলিশের একটা বড় চালান কলকাতায় পাঠিয়ে দেতে পারবো। আর গুরু, টাকা পয়সার চিন্তা করা লাগবে না। মৈত্রীর বন্ধন স্বরুপ তা দেওয়া হবে। হাজার হোক পয়লা বৈশাখ তো দুই বাঙলার মানুষেরই উৎসব।
ফেইসবুকে প্রতিদিন কত রকম রান্নার ছবি পোস্ট হয়; ইলিশের রেসিপিগুলোই আমার ভীষণ পছন্দের। কিনতে পারি না তাতে কী। রূপালী পর্দার পরীদের সুপারস্টারদের দেখে কিছুটা হলেও তৃপ্তি মিটবে!!
ভাল থাকুন, গুরু। পহেলা বৈশাখের অগ্রীম শুভেচ্ছা।
৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫
নীল আকাশ বলেছেন: কাওসার ভাই,
এই লেখাটা ইতিমধ্যেই পড়ে ফেলেছি। সত্য কথা কি, সর্ষে ইলিশ আমার খুব প্রিয় খাবার। আপনার ভাবী এটা সেইরকম ভালো রান্না করে। এটা দেখলে আমার আসলেও জিহবায় জল সামলানো খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু তারপরও আমি এত দাম দিয়ে ইলিশ মাছ কেনার পপক্ষপাতী নই। কেনার অবশ্যই সামর্থ আছে কিন্তু আমার কাছে মনে হয় এটা একেবারেই বাড়াবাড়ি। এই মাছ পয়লা বৈশাখে না খেলে মরে যাব নাকি? হুজুগে বাঙ্গালীদের জন্যই আজ দেশের এই অবস্থা।
দেশে ইলিশ মাছের ব্যবসা এখন পুরোপুরি মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীদের হাতে। আমরা সবাই জিম্মি হয়ে গেছি। সবার মধ্যেই যখন সচেতনতা সৃষ্টি হবে, এত দাম দিয়ে কেনা বন্ধ হবে তখন দেখবেন সুরসুর করে দাম হাতের নাগালের মধ্যে চলে আসবে। ইকোনমিকস এর সাপ্লাই আর ডিমান্ড থিওরি কখনোই ভুল হতে পারে না।
একদিনের জন্য বাঙ্গালী হবার মধ্যে কোনই আনন্দ নেই, এটা আমার কাছে এটা শুধুই ভন্ডামী ছাড়া আর কিছু না।
ধন্যবাদ চমৎকার একটা লেখা শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইল।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই;
আপনার বেশ কয়েকটা পোস্ট মিস করছি। গল্পগুলো আমাকে ভীষণ টানে; সময় সুযোগে পড়বো, অবশ্যই। আর ইলিশের রেসিপি সবগুলোই আমার প্রিয়। তবে শেফ হিসাবে কেকাপ্পা না থাকলেই চলবে!! চট্টগ্রামে গেলে (কখনো যাইনি) ভাবীর হাতের সর্ষে ইলিশ অবশ্যই খেয়ে আসবো। এমন গুণবতী রন্ধন শিল্পীর রান্না তো মিস করা যাবে না।
আমিও পয়লা বৈশাখে ইলিশ কেনার পক্ষে নয়। তবে দাম নাগালের মধ্যে থাকলে একটি কথা ছিল। সমস্যা হচ্ছে ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম তেমন একটা কমতে দেখি না। এটা খুব কষ্ট দেয়। নিশ্চয়ই এজন্য বড় কোন পক্ষের দায় আছে। সরকারের উচিৎ বেশি করে বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা।
আর একদিনের বাঙালি!! পয়লা বৈশাখে ইলিশ নিয়ে যারা সবচেয়ে বেশি সরব হন দেখবেন তাদের অনেকের বাচ্চারা কখনো বাংলা মিডিয়ামে পড়েনি; বাঙালি সংস্কৃতির তোয়াক্কা করে না; পয়লা বৈশাখের ইতিহাস জানে না।
ভাল থাকুন। সব সময়। শুভ কামনা রইলো।
৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
নতুন পোস্ট নিয়ে আপনার আগমন ভালো লাগলো।
শুভকামনা জানিয়ে যাচ্ছি আপাতত:। পোস্টে +++
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় নকিব ভাই। ব্লগে বেশ কয়েকদিন ঢুঁকতে পারিনি। আশা করি, শীঘ্রই এই সমস্যার অবসান হবে। আপনি ভাল আছেন নিশ্চয়ই। শুভ কামনা রইলো। ভাল থাকবেন।
৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্বাধীনতার পর মানুষ বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। দেশের জমি বাড়েনি। খাল বিল নদীও বাড়েনি। বরং অনেক নদী মরে গেছে। মাছের আকাল তাই স্বাভাবিক ঘটনা। মানুষ এখন একটু সচেতন হলে দেশ বদলে যেতে পারে। শুভ কামনা।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় সাজ্জাদ ভাই। জনসংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি উম্মুক্ত জলাসয়ে মাছের যোগান বাড়েনি। তা কমেছে বহুগুনে। এজন্য মাছের বাড়তি চাহিদার সাথে উম্মুক্ত জলাশয়ও কমেছে। তবে পুকুর/ফিশারীতে মাছের চাষ বহুগুনে বেড়েছে। এজন্য মাছের পর্যাপ্ত চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে। ইলিশের উৎপাদনও গত কয়েক বছরে অনেক বেড়েছে। কিন্তু সে অনুপাতে দাম কমেনি। এর প্রধান কারণ বিদেশে পাচার। এজন্য দেশের মানুষ ন্যায্য দামে ইলিশ কিনতে পাচ্ছে না।
ভাল থাকুন ভাই। অগ্রীম বৈশাখী শুভেচ্ছা।
৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
কোন বাংগালী নববর্ষে ইলিশ না খেলে, বাংলা ভাষা ভুলে যাবে সেইজন
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
কেমন আছেন, আপনি। আশা করি, ভাল আছেন। বাঙালি আবেগপ্রবণ জাতি। আবার হুজুগের জাতিও বলা যায়। সারা বছর ইলিশ দিয়ে পান্থা না খেলেও পয়লা বৈশাখে খেতেই হবে!! আর খেতে অরুচি হলেও সমস্যা নেই; ফেইসবুকে পোস্ট করে জাতিকে জানিয়ে দেওয়া যাবে।
ভাল থাকুন আটলান্টিকের ওপার। পয়লা বৈশাখের অগ্রীম শুভেচ্ছা।
৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেকে ইলিশে আগের সেই স্বাদ পান না। ছোট ইলিশে স্বাদ আসেনা। ইলিশের ন্যাচারাল স্বাদ পেতে হলে ইলিশটি হতে হবে অন্তত ৭৫০ গ্রাম। সিজনে এই ইলিশ আমাদের এলাকায় ৫/৬শ টাকায় বিক্রি হয়।
সেই হিসাবে ১ কেজি ইলিশের আপনার বেঁধে দেয়া মূল্য ৩০০/৩৫০ টাকা আমাদের জাতিয় মাছটির অসন্মান হয়ে যায়।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
লিটন ভাই; আমি যতদূর জানি চাঁদপুর থেকে আপনার বাড়ি খুব একটা দূরে নয়। এজন্য চাঁদপুরের রুপালী সুন্দরীদের কিনতে খুব ডলার ব্যয় হওয়ার কথা নয়!! পারলে কয়েকটন সুন্দরী ব্লগারদের জন্য সংগ্রহ করে দেন!! ইলিশের দাম ৩০০/৩৫০ হওয়াটা আসলেই জাতীয় বেইজ্জতি!! হাজার হোক জাতীয় মাছ বলে কথা!!
বৈশাখের অগ্রীম শুভেচ্ছা।
৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯
আরোগ্য বলেছেন: আমাদের বিত্তশালী মামাদের কল্যাণে ইলিশ কেনার ঝামেলা পোহাতে হয় না। একটা ইলিশ এখনও স্টকে রাখা আছে নতুবা ইলিশের যে পানির দাম তা আমাদের মত মধ্যবিত্তদের হিমশিম খাওয়ার মত।
গতকাল স্বপ্নতে মাছ কিনতে গিয়েছিলাম, বিভিন্ন মাছের মাঝে ইলিশের দিকেও চোখ গেল। মাছের সাইজ আর দামের হিসাব মিলাতে পারলাম না। হয়ত চাপলা মাছের চেয়ে দু তিন ইঞ্চি বড়, দাম ২৭৫ টাকা।
বাস্তবিকই ইলিশ জাদুঘরে রাখার জিনিস। প্রিয় মাছটি যে এখনও পেটে যেতে পারে তার জন্য খোদার দরবারে শুকরিয়া।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৪১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
চাপলা মাছের সাইজ!! দাম ২৭৫!!
স্বপন হোক আর যাই হোক এটাই এখন বাস্তবতা। আপনার মামার সাথে একটা আত্মীয়তার সম্পর্ক করলে তো ইলিশের দাম নিয়ে এতো ভাবতে হতো না!! ইলিশ যাক যাদুঘরে; এটা সময়ের দাবী। এতে সরকারের রাজস্ব হুহু করে বাড়বে।
বৈশাখের অগ্রীম শুভেচ্ছা।
১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২
নীলপরি বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন । একেবারে বাস্তব ।
++++
শুভকামনা
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ দিদি। অনেকদিন হলো ব্লগে ঢুঁকতে সমস্যা হচ্ছে। তাই হালকা পাতলা সরস একটি লেখা দিয়ে নিজের আগমনবার্তা দিলাম। আশা করি ভাল আছেন। পয়লা বৈশাখের অগ্রীম শুভেচ্ছা রইলো।
১১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেটস সি - ইটস হিলসা, আওয়ার ন্যাশনাল ফিস!!!
অসাধারন রম্যে দারুন প্রতিবাদ।
অসাম্যের, নীতিহীনতার, পূজিপ্রেমের, লোভী মানুষের, মৌলিক অধিকার হরণকারীদের !
আমজনতা আম হয়েই রয়ে গেল!
তা হোক ভোটে বা ইলিশে!!!! শুধু দেখেই স্বস্তি! আর আফসোস!
দেওয়াও হয়না, খাওয়াও হয়না।
পোষ্টে +++++++++++
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গুরু, মিস করি আপনাকে। কেমন আছেন? লেট’স সি ইটস হিলসা!! রম্য কি না জানি না; কিন্তু ন্যায্য দামে জাতীয় মাছ বাজার থেকে কিনে আনা আমাদের মৌলিক অধিকার। ইলিশের মালিক এদেশের জনগন। এটা যদি নতুন ভোটের নীতিতে ফাইলবন্ধী হয় তবে বলার কিছুই নেই।
পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা।
১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:০৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: ইলিশ ফুলবাড়ি কয়লার মত উড়ে চলে যায় আরেক দেশে
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ফিচারটি লেখার সময় ফুলবাড়ির কয়লা হাওয়ায় মিশে যাওয়ার কথা মনে পড়েছিল। কিন্তু রুপালী ইলিশের সাথে কালো কয়লাকে কেমনে মিলাই!! তাই বিষয়টি সাইডে রেখে দেই। আর কয়লার সাথে দেশের মহামান্য আমলা রাজনৈতিক গুরুরা জড়িত; এতে উনাদের অপমান হবে।
১৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: বহুদিন পরে আপনার পোষ্ট পেলাম।
আপনি কেমন আছেন?
ইলিশ মাছের অনেক দাম। খুব বেশী দাম। একটা ইলিশ মাছের দাম দিয়ে চার কেজি গরুর মাংস পাওয়া যায়।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
কেমন আছেন, রাজীব ভাই? বইমেলায় আশা ছিল দেখা হবে। আগামীতে দেখা পাব নিশ্চয়ই। আমি এক রকম ভালই আছি। হুম, একটি গরু পালতে একজন কৃষক/খামারীর অনেক শ্রম, সময় আর অর্থ লাগে। অথচ, সমুদ্র থেকে আহরণ করা একটি ইলিশের এত রাজকীয় দামের মর্ম জানি না!!
বৈশাখের অগ্রীম শুভেচ্ছা।
১৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০০
মুক্তা নীল বলেছেন: ভাইজান,
কেমন আছেন? যাইহোক শেষ পযর্ন্ত এলেন ইলিশের কল্যাণে। ক্ষোভ ও দুঃখের পোস্ট পড়ে ভালো-ই লাগলো।
ইলিশ আমার খুব প্রিয় মাছ,তাই আমি নেগেটিভ কোন কথা বলবো। চাঁদেরও কলংক আছে, আর জাতীয় মাছের থাকবে
না (হা হা হা)।
এই বৈশাখের জন্য পারফেক্ট পোস্ট। শুভকামনা রইলো।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:০০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
মুক্তা নামটির সাথে রুপালি ইলিশের একটি সাদৃশ্য আছে। উভয়ই চমৎকার সুন্দর নাম। এজন্য আপনিও রুপালী সুন্দরীর বদনামে করবেন না!! ইলিশ আসলেই খুব সুস্বাদু মাছ। আশা করি, ভালই আছেন। বায়স্কোপ কী সংগ্রহ করেছিলেন? চমৎকার সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
পয়লা বৈশাখের অগ্রীম শুভেচ্ছা।
১৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২৮
হাবিব বলেছেন: কাওসার ভাই আশাকরি ভালো আছেন। আপনার পোস্ট আগেই পড়েছি তবে সময়ের সল্পতার কারনে পরে আসলাম মন্তব্যে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:০২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
হুম, প্রিয় হাবিব ভাই। মিস করি আপনাকে। আশা করি এখন পুরোপুরি সুস্থ আছেন। লেখাটি পড়েছেন জেনে খুব খুশি হলাম। অগ্রীম বৈশাখী শুভেচ্ছা রইলো। ভাল থাকবেন।
১৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪২
ল বলেছেন: ইলিশের অকাল আমরা তেমন দেখি না!!
ইলিশ বাআবা - দারুণ রম্য কথনে সার্থকতা।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আকাল দেখবেন, কেমনে?! শেডওয়েল মহাসাগরের দূরত্ব আপনার বাসা থেকে হাঁটা দূরত্বে!! এখানে সারা বছর ইলিশ চাষ হয়। সাথে মিঠা/তিতা পানির সব রকম আইটেম। রুপালী ইলিশের বড়ই পছন্দ রুপালী পাউন্ড!!
অগ্রীম পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা, লতিফ ভাই।
১৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:১৫
মা.হাসান বলেছেন: দেশের জন সংখ্যা বেড়েছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে, তবে ইলিশের দাম সেই অনুপাতে না বেড়ে অনেক গুন বেড়েছে।
যখন গনতন্ত্রের পার্টনার এরশাদ সাহেব দেশের সম্রাট ছিলেন তখন আমি ৬-৭ টাকায় একটা মাঝারি ১২ ছটাক (আনুমানিক ৭০০ গ্রাম, তখনো কেজি পুরোপুরি চালু হয় নি) সাইজের ইলিশ কিনেছি। তখন চাল ছিল ৩-৪ টাকা সের। সে হিসেবে দু সের চালের দামে একটা ইলিশ পাওয়া যেত। তবে এখন যে রকম সারা বছর পাওয়া যায় তখন এরকম ছিল না। বর্ষা মৌসুমেই পাওয়া যেত। বরফের এত আমদানি ছিল না। সংরক্ষণের এত সুবিধা ছিল না। এছাড়া এখন বিক্রেতাদের একটা মানসিকতা গড়ে উঠেছে পচে গেলে ফেলে দেব, কিন্তু কম দামে দেব না। তখন এরকম ছিল না। কাজেই নিম্ন আয়ের লোকদেরও ইলিশ খাওয়া সম্ভব ছিল। নিজে দেখেছি, পেটের কাছে পচে গেছে এমন মাছ নিয়ে শ্রমিক শ্রেণির লোকেরা বাজার সেরে যাচ্ছে। ইলিশ খেয়ে ডায়রিয়ায় ভুগে মারা যাবার ঘটনাও বিরল ছিল না।
জাটকা নিধনের নিষেধাজ্ঞার কারনে ইলিশের আমদানি উল্লেখ যোগ্য পরিমানে বেড়েছে। তবে সংরক্ষনের সুবিধা থাকায় অবিক্রিত মাছ কোল্ড স্টোরেজে চলে যায় । দাম আর কমে না। গরিব লোক ইলিশ আর খেতে পায় না। নিম্ন মধ্যবিত্ত জাটকা খেয়েই তৃপ্তির ঢেকুর তোলে।
গ্রামের একটু অবস্থা সম্পন্ন লোকেরা পান্তার সাথে ডাল খায় (অতি অল্প সংখ্যক লোক শুটকি বা তাজা মাছ ভর্তা সালুন হিসাবে যোগ করার ক্ষমতা রাখে), কম অবস্থা সম্পন্ন লোকদের মধ্যে যারা পান্তা জোগাড় করতে পারে তারা মরিচ এবং ভাগ্যে জুটলে পিয়াজ দিয়েই পান্তা খাবার কাজ সারে। মধ্য এপ্রিল ইলিশ ধরার অনুকুল সময় না। একদিনের বাঙালি হতে চাওয়া অতি উৎসাহি কিছু লোক ইলিশ দিয়ে পান্তা খাবার এই পদ্ধতি ৮০র দশকের শেষে বা নব্বইয়ের দশকের শুরুতে অাবিষ্কার করেছে।
ইউকের দোকান গুলোতে যে ইলিশ দেখা যায় এর বেশিরভাগ যায় বার্মা থেকে। রুই মাছের বেলায়ও তাই। চিংড়িটা সম্ভবত বাংলাদেশ থেকেই বেশি যায়। বার্মার মাছের দাম তুলনামূলক কম।
সমুদ্রের ইলিশের ফ্লেশে লবনের পরিমান বেশি থাকায় স্বাদ কিছুটা কম। সমুদ্র থেকে নদির যত গভীরে ইলিশ প্রবেশ করে তত লবনের পরিমান কমে এবং স্বাদ বাড়ে। এজন্য সাগর, চাঁটগা, বরিশাল, চাঁদপুর আর পদ্মার ইলিশের স্বাদ আলাদা- পদ্মা সাগর থেকে অনেক দূরে বলে স্বাদে এটি অনন্য। ফারাক্কার অনেক অভিশাপের বদলে এই একটি সুফল, বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ ভারতে স্বাভাবিক উপায়ে আর যেতে পারে না। তবে ভারতের বিজ্ঞানিরা ইলিশের ভরা মৌসুমের বিশেষ বিশেষ সময়ে ফারাক্কার গেট খোলা রেখে ভারতে ইলিশের ন্যাচারাল যাতায়াতের ব্যবস্থা রাখার কিছু পদক্ষেপ এবছর থেকে নেবে বলে পত্রিকায় বেরিয়েছে। এতে পশ্চিম বঙ্গের ইলিশ প্রেমিদের দুঃখ হয়তো কিছু লাঘব হবে।
পাঁচ লক্ষ টন মানে ৫০ কোটি কেজি। ১৬ কোটি লোক ধরলে জন প্রতি বরাদ্দ তিন কেজি ১২৫ গ্রাম। আমার পরিচিত সবাইকেই দেখি ডজন - নিদেন পক্ষে হালি হিসেবে ইলিশ কিনতে । আপনি নিজেই হিসেব করে দেখুন কয় জনের কোটা আপনি খাচ্ছেন। এর পরেও যে ইলিশ পাওয়া যায় তাতে ইলিশ কে বাপ ডাকাই উচিৎ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
প্রিয় ভাই আমার; কেমন আছেন? আমার রম্য ধাচের ইলিশ ভাবনাটি পড়ে সময় নিয়ে চমৎকার একটি গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। আপনি ঠিকই বলেছেন, "দেশের জন সংখ্যা বেড়েছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে, তবে ইলিশের দাম সেই অনুপাতে না বেড়ে অনেক গুন বেড়েছে।" এরশাদ সাহেবের আমলের স্মৃতি মনে করতে পারছি না। যতটুকু মনে পড়ে তখন গ্রামের বাজার থেকে পিচ্চি সাইজের ঝাটকাই বেশি পাওয়া যেত। দাম ২৫-৪০ টাকার মধ্যে হবে।
তবে ইলিশ নিয়ে এতো কাড়াকাড়ি ছিল না। এখন দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়ে গেছে বহুগুন। বিশেষ করে একটি নব্য ধনীক গোষ্ঠী তৈরী হয়েছে। পাশাপাশি দুর্নীতিও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। সে হিসাবে খেটে খাওয়া মানুষের ইনকাম বাড়েনি; বরং কমেছে। কারণ, মোবাইল ইন্টারনেটের আমলে মানুষের ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। এজন্য ৩ হাজার টাকা কেজি দরে কয়শেকশো কেজি ইলিশ কেনা কয়েক লাখ মানুষের কাছে কোন বিষয় না। এছাড়া বিদেশে পাঁচার তো আছেই।
আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা বলেছেন, "জাটকা নিধনের নিষেধাজ্ঞার কারনে ইলিশের আমদানি উল্লেখ যোগ্য পরিমানে বেড়েছে। তবে সংরক্ষনের সুবিধা থাকায় অবিক্রিত মাছ কোল্ড স্টোরেজে চলে যায় । দাম আর কমে না। গরিব লোক ইলিশ আর খেতে পায় না। নিম্ন মধ্যবিত্ত জাটকা খেয়েই তৃপ্তির ঢেকুর তোলে।" যারা সারা বছর বিদেশী সেজে থাকেন তাদের একটা দায় পড়ে পয়লা বৈশাখে। বিশ্ববাসীকে বোঝাতে হয় আমি খাঁটি বাঙালি। এজন্য দরকার পান্থা ইলিশের সেলফি। এই সুযোগটা নেয় ব্যবসায়ীরা।
পয়লা বৈশাখের অগ্রীম শুভেচ্ছা।
১৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:১৮
সোহানী বলেছেন: বইমেলার ভিড়ে সেই যে হারিয়ে গেলেন আর দেখা নেই।
ভালোলাগলো ইলিশ উপাখ্যান। কথা হলো, দেশে দুই শ্রেণী... এক শ্রেনী ১০ হাজার টাকা কেজি ইলিশ হলেও কিনে খায় আর আরেক শ্রেণী গন্ধ শুকে আর বাজারে ইলিশের সরবরাহ নিয়ে ও দাম নিয়ে বিশাল আলোচনায় মগ্ন থাকে। কারন তাদের বাজারের থলেতে জাটকাতো দূরে থাক পাঙ্গাস ও জুটে না।
মা.হাসান এর কথার রেশ ধরে বলি, ইলিশ যে এখনো বাজারে আনাগোনা করছে সেটাই আমাদের সাত পুরুষের ভাগ্য। এই একটা জিনিস এখনো প্রতিবেশী দেশে পুরোপুরি পাচার হয়নি...........হাহাহাহা
আর বিদেশে ইলিশের প্রাপ্তির যে হিসেব দিলেন সেটা ১০০% ঠিক। চাহিদা যোগান তাই এখানে কোন সমস্যা না। গত সিজনেই আমার ননদ ইইউএস এর বাংলা দোকান থেকে ২০টা ইলিশ কিনে আমার কাছে কয়েকটা পাচার করেছে যার প্রতিটাই প্রায় দেড় কেজির উপর। আর স্বাদ নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই কারন সব কিছু একই মনে হয়।
বাই দা ওয়ে, আমার বাবা কিন্তু ফিসারীতে ছিলেন। সেই সময়ের মাছ ইলিশ বা বার্মা নিয়ে অনেক মজার কাহিনী আছে.... গল্প আরেকদিন হবে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আমার মেন্টরকে মিস করেছি খুব। আপু, বেশ কিছুদিন ব্লগে ঢুঁকতে পারিনি। এখন বিকল্প উপায় ঢুঁকছি। বিষয়টি দুঃখজনক। আপা, দুর্নীতি আর আইনের শাসন না থাকলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। সরকার নিজের গদি ঠিকিয়ে রাখতে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ভাতা বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি, তাদের ঘুষের রেটও বেড়েছে। এজন্য নিয়োগ বাণিজ্যও বেড়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের ইনকাম বাড়েনি খুব একটা।
গত ৩-৪দিন আগে একটি চাকরি প্রত্যাশী ছেলে বললো, সরকারি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় পদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা লাগে। পাবলিকও হাসিমুখে এই টাকা দিতে রীতিমতো লাইন দিচ্ছে!!
এই নিয়োগ কমিটি পকেটে যখন ১০ লক্ষ টাকা করে শতকোেটি টাকার মালিক হবে তখন ১০০ মণ ইলিশ ৩ হাজার টাকা দরে কিনলে তাদের কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। পাবলিকের ভিটা বিক্রির টাকায় রসনা বিলাস হলো!! মাহমুদুল হাসান ভাই ঠিকই বলেছেন।
পয়লা বৈশাখের অগ্রীম শুভেচ্ছা রইলো। কবে দেখা হবে জানি না!! একবার দেশে আসুন।
১৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার বই এবং বইমেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু লিখুন।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
এ বিষয়টি নিয়ে লিখবো। এ মাসেই ব্লগে পোস্ট করবো আশা করছি।
২০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১২
পবিত্র হোসাইন বলেছেন:
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, ভাই।
২১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আহা! কবে যে বড় ইলিশের দাম নাগালে আসবে ? নাকি গোপনে অন্যদেশে চলে যায় ?
পান্তা ইলিশ, কড়কড়া ভাতে ইলিশ আর গরম ভাতে ইলিশ খান, দামের কথা বলবেনা না। সব ভুলে যান।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:১১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
মাইদুল ভাই; কবে ইলিশের দাম নাগালে আসবে জানি না। এজন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে আগামী এক যুগ!! কড়কড়া ইলিশ ভাজি আর ইলিশের ঘ্রাণ বাঙালিকে পাগল করে দেয়। যেমন টেস্ট তেমনি তার রূপ!!
২২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:১৮
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সমাজের নানা অবক্ষয় নিয়ে ভাবতে ভাবতে ইলিশের দিকে বিশেষ নজর দেয়া হয়নি
যাক ভালো, আপনি নিয়মিত হন। ব্লগে প্রাণ ফিরুক...
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:১৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
কেমন আছো প্রিয় প্রান্ত; পড়াশুনা ভালই চলছে আশা করি। সমাজের অবক্ষয়ের কারণে ইলিশ নিয়ে এই লোকচুরি চলছে। সবাই যার যার অবস্থান থেকে সচেতন আর দায়বদ্ধ থাকলে ইলিশ নিয়ে এতো কেলেঙ্কারি হতো না। সবাই রাতারাতি কোটিপতি হতে চায়।
আমি ব্লগে আছি। চেষ্টা করবো নিয়মিত হতে। তোমার জন্য পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা।
২৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮
নজসু বলেছেন:
শুধু ইলিশ নয়; আজকাল চিংড়ির মতো ছোট মাছও ধীরে ধীরে দূষ্প্রাপ্য হয়ে যাচ্ছে।
ছোট ছোট কুঁচে চিংড়িও ৮০০ টাকা কেজি।
আমাদের স্থানীয় বাজারে মাঝে মাঝে ইলিশ ওঠে।
দাম বেশি হলেও কেনার চেষ্টা করি।
ভাবি, এখন হাজার টাকার উপর কেজি কিনতে পারছি। হয়তো একদিন ৪/৫ হাজার টাকা কেজিও দাম হতে পারে।
তখন কেনার সামর্থ্য থাকবে না। ইলিশও খাওয়া হবে না।
একটা সময় অবশ্যই আসবে মানুষের টাকা থাকবে, কেনার মতো ইলিশ মাছ থাকবে না।
রূপকথার গল্প হবে ইলিশ মাছ। দেখবেন, একদিন আমাদের দেশ থেকে মাছ জিনিসটাই উঠে যাবে।
একদিন বাংলাদেশ ইলিশ শুন্য হলে গহেলা বৈশাখে চিত্রটা কেমন হবে?
পাঙ্গাস বা সিলভার কার্পকে জাতীয় মাছ করলে কেমন হবে?
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আমার সুজন ভাইয়া; কেমন আছেন আপনি?
একটা সময় বাজারে ছোট্ট চিংড়িগুলো পড়ে থাকতো। অবহেলায় কেউ কিনতো না। অথচ এখন এক চিমটি চিংড়ির দাম ১০০ টাকা। তাও সব সময় পাওয়া যায় না!! ইলিশের মতো চিংড়িও এখন সোনা হয়ে গেছে।
আপনার ইলিশ দর্শন চমৎকার "ভাবি, এখন হাজার টাকার উপর কেজি কিনতে পারছি। হয়তো একদিন ৪/৫ হাজার টাকা কেজিও দাম হতে পারে। তখন কেনার সামর্থ্য থাকবে না। ইলিশও খাওয়া হবে না।"
ইলিশ শুণ্য হলে ইলিশের স্থান হয়তো সিলভার নেবে। তখন বৈশাখের স্লোগান হবে, সিলভার পান্থা!! অগ্রীম বৈশাখী শুভেচ্ছা রইলো।
২৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১
অন্তরা রহমান বলেছেন: আমাদের বাসায় মাছ কেনার সময় প্রথম যেই কথাটা ভাবা হয় তা হল এই মাছটা আমার ছেলে খেতে পারবে তো। সেই হিসেবেই ইলিশ আগেভাগে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে। এত কাঁটা বাঁছবে কে, ভুলে একটা থেকে গেলে আর গলায় লাগলেই তো তেলেসমাতি কান্ড। কাজেই এই পহেলা বৈশাখের ইলিশ ভাজির ঝামেলাও নেই। অল গুড। রুই মাছ জিন্দাবাদ।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
শুভেচ্ছা রইলো........
হুম। আপনি তো বেঁচে গেছেন। আমার তো ছেলে মেয়ে কিছুই নেই। এজন্য এই অজুহাতে ইলিশ কেনা থেকে বিরত থাকতে পারি না! এছাড়া এলার্জির সমস্যাও নেই। তাই ইলিশ কিনতে না পারলে মন খারাপ হয়।
আপনার সাথে সুর মিলিয়ে বলতে হবে; অল গুড। রুই মাছ জিন্দাবাদ!! বৈশাখের অগ্রীম শুভেচ্ছা রইলো।
২৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মা.হাসান বলেছেন: কাউসার ভাই ৬ টাকা এবং ২৫ টাকা দুই হিসাবই মনে হয় ঠিক আছে। আমাদের রাজনীতিবিদদের দোয়ার কারণে এরশাদ সাহেব দীর্ঘ নয় বছর মসনদে ছিলেন। পে স্কেল বোনাস ইত্যাদির কারণে ওই সময়ে অর্থনীতিতে একাধিক বুম এসেছিল। ৮২ সালে আমি গরুর মাংস কিনেছি ৫ থেকে ৬ টাকা সের। আর ১৯৯০এ এসে সেটা হয়েছে ৫০ টাকা কেজি। ৭১ এর পূর্বে অতি ধনী শ্রেণীর লোক সংখ্যা ছিল খুব কম, মধ্যবিত্ত নিশ্বাস নিতে পারত। এখন কয়েক লক্ষ কোটি পতির ভিড়ে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস। । তবে আশার কথা কিছুদিনের মধ্যে দেশের সব লোক কোটিপতি হয়ে গেলে অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে মনে হয়। অনেক শুভেচ্ছা।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
হুম, এরশাদের আমলের শেষ অংশে দেশের অর্থনীতিতে বুম হয়েছিল। এর অন্যতম কারণ ছিল বিদেশি বিনিয়োগ, গার্মেন্টস সেক্টর প্রতিষ্ঠা, এবং সরকারি চাকরিতে পে-স্কেল। স্বাধীনতা উত্তর একটি বিশেষ শ্রেণীর মানুষ অধিক সুবিধাভোগী হয়ে রাতারাতি কোটিপতি হয়েছে। এখন অবশ্য রাজনৈতিক নেত্রীর সুনজর থাকলে কোটিপতি হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। আর আমরা যাদেরকে মধ্যবিত্ত বলি এরা আসলে নিম্নবিত্ত।
দেশের সবাই শত কোটি টাকার মালিক হোক। ঢাকা নগরী লন্ডনকে টপকে যাক!!
২৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮
করুণাধারা বলেছেন: ছবি ছাড়া আপনার পোস্ট!!
আমার বাবাকে কবর দেবার কিছুক্ষণ পর আমার মা রঙিন শাড়ি, গহনা, সব ছেড়ে সাদা শাড়ি পড়তে শুরু করলেন। মায়ের এই বেশভূষা দেখে মন খারাপ হয়ে যেত। আজ আপনার এই পোস্ট দেখে অনেকদিন পর একথা মনে পড়ে গেল। আসলে আপনার পোস্টে লেখা আর ছবি পরস্পরের পরিপূরক ছিল..........
নানাভাবে ইলিশ নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। আমিও দাম দিয়ে ইলিশ খাইনা, আর সাম্প্রতিক হুজুগ পয়লা বৈশাখে পান্তা ইলিশ তো কখনোই না। সেদিন পত্রিকায় দেখলাম পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে একটা ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৩০ হাজার টাকায়,। বিক্রেতা ইলিশ সাথে ছবি দিয়েছেন, সেটা দেখে মনে হল আমাদের দুদক কোথায় থাকে!! যে লোক ৩০ হাজার টাকা দিয়ে একটা ইলিশ কিনতে পারে,তার সম্পদের উৎস কি, এটা দুদকের খতিয়ে দেখা দরকার ছিল না?
আশা করি আপনি শীঘ্রই আগের মত ছবি দিতে পারবেন। লেখাটা চমৎকার হয়েছে। লাইক।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আপা, শুভেচ্ছা রইলো;
হুম, ছবি ছাড়াই পোস্ট। প্রথম বারের মতো!! কি আর করা, নিরুপায় হয়ে শেষ পর্যন্ত ছবির মায়া ত্যাগ করে পোস্ট লিখতে হলো!! আসলে রম্যে ছলে ইলিশ নিয়ে কিছু অপ্রিয় সত্য কথা বলেছি। একটি দেশের জাতীয় মাছের এতো দাম হবে কেন? এটা চরম অন্যায়। এর একটি প্রতিবাদ করলাম মাত্র।
আর পয়লা বৈশাখে পান্থার সাথে আমি কখনো ইলিশ ভাঁজি খাইনি; এজন্য এর স্বাদও জানি না। যতদূর জানি বৈশাখের সাথে ইলিশের কোন সংস্পর্শ নেই। ইলিশের স্বাদ আর ঘ্রাণ অতুলনীয় বলে বাঙালির রসনা বিলকাসে ইলিশ বিরাট একটি উপাদান।
৩০ হাজার টাকায় যিনি ইলিশ কিনলেন তার ইনকাম মাসে কম হলেও ৩০ লক্ষ টাকা। এই টাকা ঘুষের হবে নিঃসন্দেহে। পাবলিকের পকেটের টাকায় ৩০ কেন ৩ লক্ষ খরছ করে ইলিশ কিনলে তো লোকটার কোন ক্ষতি নেই। এগুলো আল্লার মাল, পাবলিক দিছে।
পয়লা বৈশাখের অগ্রীম শুভেচ্ছা।
২৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫
জুন বলেছেন: পয়লা বৈশাখে ইলিশ খাওয়ার কালচার ভাগ্যিস আমাদের পরিবারে নেই কাউসার চৌধুরি ।
আমি ইউরোপে ইলিশ মাছ খেয়েছিলাম এত তেলওয়ালা বড় বড় পেটির পিস যা আমি ঢাকায় ও খাইনি অনেক বছর । আর সেই মাছ আমাকে বিস্মিত করেছিল তার স্বাদ আর গুনে ।
যাক অনেকদিন পর ব্লগে আপনাকে দেখে ভালোলাগছে । আমরাতো বিকল্প উপায়ে ব্লগে লগ থাকছি যতক্ষন পারি । একটু সচল সজীব যেন থাকে আমাদের প্রিয় এই প্ল্যাটফর্মটি ।
+
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আপা, শুভেচ্ছা রইলো;
পয়লা বৈশাখে আমিও কোনদিন ইলিশ খাইনি। এজন্য বাজার থেকে অতি দাম দিয়ে কষ্টের কড়ি নষ্ট করতে হয়নি। ইলিশ খেতে পছন্দ করি বলেই কিনতে হয়। লন্ডনের শেডওয়েলের মাছ বাজার থেকে অনেকদিন ইলিশ কিনেছি। এখানে সারা বছর ইলিশ পাওয়া যায়; দামও তুলনামূলক কম। স্বাদেরও কোন হেরফের পাইনি। খুব টাটকা মাছগুলো।
অনেকদিন পর ব্লগে আসলেও আপনজনদের পেয়ে ভাল লাগলো। আমরা বিকল্প উপায়ে ব্লগে ঢুঁকলেও সাধারন পাঠকর সামুতে আসতে পারছেন না। এটা দুঃখজনক। আমাদের প্রিয় ব্লগটি শকুনি মামা মুক্ত হোক শীঘ্রই।
পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা।
২৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩
মুক্তা নীল বলেছেন: কাউসার ভাই,
বায়স্কোপ ও সোনালী সপ্নের অপমৃত্যু এই দুটো বই আমি সিলেটর বইমেলা থেকে আনিয়েছি এবং কুরিয়ারে। আর বাকী গুলো অনলাইনে রকমারী থেকে সংগ্রহ করেছিলাম।
আপনার বায়স্কোপ বইটি পড়ে অসম্ভব ভালো লেগেছে ।
১১ টি গল্পই পড়েছি এবং সব গল্পেই ভালোলাগা জানাচ্ছি ।
শুধু লাভ জিহাদ পড়ে একটু কস্ট লেগেছে ।
যাই হোক বায়স্কোপ এর পুরো সাকসেসফুল। আমার-ই আপনাকে জানানো উচিত ছিলো কিন্তু ব্লগে দেখিনি তাই এতদিন
জানতে পারি নাই।
শুভ কামনা রইলো।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:২৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, আপু। আমি জানি আপনি খুব কষ্ট করে আমার বায়স্কোপের একটি কপি সংগ্রহ করেছিলেন। এজন্য খুব কৃতজ্ঞতা রইলো। বায়স্কোপের গল্প আপনার খুব ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। লাভ জিহাদ গল্পটি সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু নিষ্ঠুর সত্য ঘটনাকে উপলক্ষ করে লেখা। মানুষ ধর্মান্ধ হলে কত জঘণ্য হতে পারে তার বাস্তব একটি দিক গল্পটিতে তুলে আনার চেষ্টা করেছি।
স্যরি, গত কিছুদিন থেকে খুব ব্যস্থ থাকায় প্রতিউত্তর করতে একটু দেরী হয়ে গেল। খুব ভাল থাকবেন, সব সময়। আশা করি, আগামী বইমেলায় দেখা হবনে। পয়লা বৈশাখের অগ্রীম শুভেচ্ছা রইলো।
২৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মাছের চাষ বেড়েছে। কিন্তু প্রিয় সহব্লগার রাজিব নুর চাষের মাছ পছন্দ করেন না। তার জন্য বিকল্প কী করবেন?
শুভ সকাল ।
ভালো থাকুন প্রতি দিন।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:৩২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
হুম। রাজীব ভাই যদি চাষের মাছ না খেতে পারেন তাহলে তো মহা বিপদের কথা। একটা সময় হয়তো আর খোলা জলাশয়ে কোন মাছ আর অবশিষ্ট থাকবে না। তবে তিনি চাইলে সিলেটে শিফট হতে পারেন। কারণ, এখনো সিলেট অঞ্চলে প্রতি বছর হাজারো বিল থেকে মাছ আহরণ করার সুযোগ আছে। এক হাকালুকি হাওরের মাছ খেয়ে শেষ করতে পারবেন না সারা জীবনে!!
ভাল থাকুন প্রিয় ভাই আমার। পয়লা বৈশাখের অগ্রীম শুভেচ্ছা।
৩০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: বৈশাখের আগাম শুভেচ্ছা । লেখা ফেসবুকে একবার পড়েছিলাম। এখন আবার পড়লাম।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি প্রতিউত্তর করতে দেরী হওয়ার জন্য। লেখাটি ফেইসবুকে আগেই পোস্ট করেছিলাম। আপনি পড়ে সে পোস্টে মন্তব্যও করেছেন। আবারো কমেন্টে করে শুভেচ্ছা জানিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
৩১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ইলিশ নিয়ে চমৎকার একটি রম্য ধাঁচের পোস্ট লিখেছেন। তবে এটা যে একটি রি-পোস্ট, সেটা পাদটীকায় কিংবা শিরোনামে ব্রাকেটে উল্লেখ করে দিলে ভাল হতো। আপনার আগের লেখাটি ০৬ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে "মাছের রাজা ইলিশ (প্রবন্ধ)" শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানেই আগে মন্তব্য করে এসে পরে এখানে করলাম।
মা. হাসান এর চমৎকার দুটো মন্তব্যের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:২০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, স্যার। এটি রিপোস্ট। আগের পোস্টে আপনি লেখাটি খোঁজে বের করে পড়েছেন। একটি চমৎকার কমেন্টও করেছেন। এজন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। এই পোস্টে রি-পোস্ট উল্লেখ করলে ভাল হতো। এখনই তা সংযোজন করে দিচ্ছি।
মা. হাসান ভাই খুব জ্ঞানী মানুষ, গুণীজন। উনার কমেন্ট খুব শিক্ষনীয়। ভাল থাকবেন স্যার।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১৪
আরোগ্য বলেছেন: বহুদিন পর প্রিয় কাওসার ভাইয়ের পোস্ট পেলাম। সময় নিয়ে পরে আসছি