নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কৃষক বাঁচান; দেশকে খাদ্য নিরাপত্তা দিন

১৪ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭


"দেশে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে" কথাটি শুনলে মনের মণিকোঠায় অজান্তে ভেসে উঠে একজন লুঙ্গিকাঁচা মারা, ছেড়া গেঞ্জি পরা, হাতে চকচকে কাঁচি নিয়ে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষকের প্রতিচ্ছবি। এটা চরম তৃপ্তিদায়ক, সুখের। এই নিষ্পাপ হাঁসিটাই বলে দেয় আগামী কয়েক মাস কৃষক পরিবারের পেট ভরে দু'বেলা খাওয়ার গ্যারান্টি আর শাকভাত-ডালভাত খাওয়ার আনন্দের হাতছানি। বাবা-মাকে ডাক্তার দেখানোর আশা। বউকে একটি রঙিন শাড়ি কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষার বিজয়ী হাঁসি, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে বইখাতা কিনে দিতে পারার আনন্দ, আত্মীয় পরিজনকে দাওয়াত করে বাড়িতে নিয়ে আসার বাসনা।

কৃষিপ্রধান এই দেশের শতকরা ৯০% মানুষ কোন না কোনো ভাবে কৃষক পরিবারের সাথে সম্পর্কীত। কৃষকরা স্যাটেলাইট দিয়ে ঘূর্ণিঝড় তাড়ানো হয় নাকি বোমা ফলানো হয় তার খবর রাখে না। বাংলাদেশের বিমানের নাম পালকি নাকি উল্কি তা জানে না। রোবট সুফিয়া কি বললো তার খবর রাখে না। তাদের একমাত্র চাওয়া গতর খাটিয়ে ঝড়-তুফানে, বন্যা-খরায় না খেয়ে ধানক্ষেত পাহারা দেওয়া, কাঙ্খিত দিন গোনা। এযে বড় আনন্দের।

গত দুইদিন আগে একটি পত্রিকায় পড়লাম এক কেজি ইলিশ কিনতে হলে দুই মন ধান বিক্রি করতে হয়! কৃষকরা তো কবে থেকেই অভিজাত ইলিশের গা ঘেষা বন্ধ করে দিয়েছেন। অথচ ফ্রিতে সমুদ্র/নদী থেকে পাওয়া ইলিশের এতো দাম! কৃষকরা দিনকে রাত করে মাথার ঘাম পায়ে ঠেকিয়ে, সুদ করে, ঋণ করে, গাঁটের পয়সা খরছ করে আমাদের পাতে ভাত তুলে দিচ্ছে তবুও নেই ন্যায্য দাম।

গত কয়দিনে পত্রিকায় কিছু খবর পড়ে যতটুকু না কষ্ট পেয়েছি তার চেয়ে বেশি আতঙ্কিত হয়েছি। শ্রমিকের অভাবে অনেক কৃষক নাকি তাদের জমির ধান ঘরে তুলতে পারছেন না। একজন কৃষককে তো দুঃখে নিজের ধানক্ষেতে আগুন লাগিয়ে দিতে দেখলাম। এ বিষয়গুলো খালি চোখে খুব হালকা-পাতলা মনে হলেও এর ব্যাপকতা ভয়াবহ! কৃষকরা এক বিঘা ধান চাষ করে যে শ্রম ও অর্থ খরছ করেন তা ধান বিক্রি করে উঠে না। এটা এখন চরম বাস্তবতা। এতে প্রতি বছর কৃষকরা লোকসান গুনছেন। এখন তাদের দেয়ালে পীঠ ঠেকে গেছে।

কৃষকরা এখন ধানের পরিবর্তে বিকল্প ফসল চাষ করছেন। এটা ভাল কথা। কিন্তু এই বিকল্প শস্য উৎপাদন আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দেবে আগামী দিনগুলোতে। একটা সময় আসবে দেশ বিদেশি চালের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে; এটা শতভাগ ভাত খাওয়া জাতির জন্য মোটেও ভাল সংবাদ নয়। আমাদের গ্রামের অবস্থা সম্পন্ন পরিবারগুলো এখন আর ধান চাষ করে না; কারণ, ধান চাষ এখন আর লাভজনক শস্য নয়। শত শত একর জমি প্রতি বছর পড়ে থাকে কোন চাষবাস ছাড়া।

প্রতি বছর বাজেট আসলেই সিগারেটের দাম বাড়ে। অথচ চালের দাম সে অনুপাতে বাড়ে না। উত্তরবঙ্গের অনেক কৃষক এখন ধানের পরিবর্তে তামাক চাষে উদ্যোগী হচ্ছেন। এতে লাভের অংশটা বেশ ভারী। টোবাকো কোম্পানীগুলো নাকি অগ্রীম টাকা দেয়, কীটনাশক দেয়, সার দেয়ে। এছাড়া কৃষকদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ায় সহযোগিতা করে। একটা সময় যদি সারা দেশের কৃষকরা ধানের পরিবর্তে তামাকে উৎপাদনে মনযোগী হয় তবে আমি মোটেও অবাক হবো না। সারাদেশ তামাকে সয়লাব হবে। আমরা ভাতের পরিবর্তে সিগারেট খাব। ব্রিটিশ-আমেরিকান টোবাকোর মতো বেনিয়ারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাবে এদেশ থেকে। আর আমরা একটা গাঞ্জা খোর, বিড়িখোর জাতি হয়ে বিদেশি রিলিফ খেয়ে কোনমতে বেঁচে থাকবো।

সরকার কৃষকদের সার ও কীটনাশকে ভর্তুকী দিচ্ছেন। এটা অবশ্যই সাধুবাদ যোগ্য। কিন্তু কৃষককে বাঁচিয়ে রাখতে হলে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আরো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবী। না হলে আগামী কয়েক বছরে কৃষকরা ধান উৎপাদন বন্ধ করে দেবেন নিশ্চিত। এজন্য ধান উৎপাদনকারী কৃষক এবং তাদের কৃষি জমিগুলো চিহ্নিত করে প্রতি বছর ভর্তুকী দিতে হবে। এই টাকার অঙ্কটা একর প্রতি তিন হাজার-পাঁচ হাজার হতে পারে। প্রতি বছর বাজেটের একটি অংশ দিয়ে সরকারকে নিজ উদ্যোগে 'কৃষিবীমা' করতে হবে। বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি দূর্যোগে যাতে কৃষকরা বাঁচতে পারে। আধুনিক কৃষি সরঞ্জাম অল্প দামে কৃষকদের কাছে পৌছে দিতে হবে।

সরকার এ বিষয়ে সচেতন হলে কৃষক বাঁচবে, আর কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।।


ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: খুব বাজে অবস্থার মধ্যে আছি আমরা।

১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রথম মন্তব্যে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো। কৃষকদের এই দুরাবস্থার কথা কেউ শুনতে চায় না। যখন কৃষকরা একযোগে ধান উৎপাদন বন্ধ করে দেবেন তখন আমাদের টনক নড়বে। কৃষক না বাঁচলে আমরাও বাঁচবো না।

২| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এমন দিন আমাদের দেখতে না যেদিন কৃষক ধান উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এই মুহুর্তে কৃষককে বাচানো সবচেয়ে জরুরি। এভাবে কৃষকের রক্ত চুষে খাওয়া অন্যায়। কৃষিপণ্যের নায্য মুল্য নিশ্চিত করা সময়ের দাবী।

১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, তারেক ভাই।
কৃষিপ্রধান এই দেশে নেই কৃষকের জন্য বীমার কোন ব্যবস্থা। ফসল বন্যা, খরায় নষ্ট হলে নেই ঋণ মওকুফের ব্যবস্থা। এটা দুঃখজনক। কৃষকের রক্তচোষা জাতি আমরা। সরকারকে আরো কৃষক বান্ধব হতে হবে। কৃষকদের বাঁচিয়ে না রাখলে জাতির ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে।

৩| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২

বলেছেন:
একটি সুন্দর ও সমসাময়িক সমস্যা নিয়ে লিখেছেন। আমাদের দেশের কৃষি সেক্টর ঝুঁকির মধ্যে আছে বহুদিন থেকে
তার যতটা কারণ প্রাকৃতিক দূর্যোগের শিকার তার চেয়ে বেশি মানুষ্য সৃষ্টি।
কৃষি খাতের এহেন ব্যার্থতায় নিম্নোক্ত সুপারিশ করা যায় --

১)কৃষি খাতে সরকারের ভর্তুকি দেয়া।
২) সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা।
৩) উৎপাদন ও বিপননে সহায়তা করা।
৪) ফসলের নায্য মূল্য নিশ্চিত করা,
৫) আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও সহজলভ্য করা।
৬) বন্য ও খরা মোকাবেলায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।
৭) কৃষিখাতে গবেষণা বাড়ানো।
৮) দ্বিফসলী চাষাবাদে কৃষকদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রেনিং দেয়া।
৯) পতিত ভুমিগুলোকে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসা।
১০) কৃষি মন্ত্রণালয়কে আরো বেশি সচল হয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে যেমন সার, বীজ, গুদামজাতকরণ, মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌড়াত্ব ও খবরদারী ইত্যাদি বিষয়ে কার্যকরী ভুমিকা রাখা।

যদিও আমি কোন কৃষিবিদ না একজন কৃষক পরিবারের সন্তান হিসাবে দাবীগুলো নায্য মনে করছি।


ওপারে পড়ে এলাম পোস্টটি আর এপারে আসলাম মন্তব্যগুলো দেখতে

১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় কবি। আপনি চমৎকার বলেছেন, "আমাদের দেশের কৃষি সেক্টর ঝুঁকির মধ্যে আছে বহুদিন থেকে তার যতটা কারণ প্রাকৃতিক দূর্যোগের শিকার তার চেয়ে বেশি মানুষ্য সৃষ্টি।" খুব গুরুত্বপূর্ণ অবজারভেশন। আর সুপারিশগুলোও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

(১) আমি যতটুকু জানি কৃষিখাতে সরকার বীজ, সার, কীটনাশক ইত্যাদিতে ভরতুকি দিচ্ছে। তবে এটা অপ্রতুল। কৃষকদের নগদ টাকা একর প্রতি দিতে হবে। প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় ক্ষতি থেকে বাঁচতে সরকার নিজ উদ্যোগে কৃষি বীমা করতে হবে। আধুনিক কৃষি সরঞ্জাম অল্প দামে কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
(২) সহজ শর্তে ঋনের পাশাপাশি প্রয়োজনে ঋণ মওকুফ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
(৩,৪) সরকার অনেক সময় ধান-চাল ক্রয় করে। তবে এতে কৃষকরা ন্যায্য দাম পায় না।
(৬) বন্যা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। খরা থেকে বাঁচতে গভীর নলকূল বসাতে হবে।
(৭) এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি উৎপাদন বাড়ানো আর কোয়ালিটি ধরে রাখতে কৃষি গবেষণার কোন বিকল্প নেই।
(৮) জমিতে দুই ফসলী চাষাবাদে কৃষককে উদ্বোধ্য করতে হবে।
(৯) অনাবাদি জমিগুলো অবশ্যই চাষাবাদের আওতায় আনতে হবে।
(১০) সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ আরো তৎপর ও কৃষি বান্ধব হতে হবে।

ভিসা পাসপোর্ট সাথে থাকায় হিথরো পাড়ি দিতে খুব অল্প সময় লাগলো!!

৪| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

লাল মাহমুদ বলেছেন: এক্ষেত্রে আমি মনে করি আমাদের ছাত্রসমাজকে কিছু ভূমিকা রাখতে হবে। এই যেমন, প্রত্যেক কলেজ বা ভার্সিটিতে যদি সেচ্ছাসেবী সংগঠন করা যায়, যাদের কাজ হবে বছরের এই সময় টা তে দেশের বিভিন্ন জেলার দরিদ্র কৃষকদের পাশে দাড়ানো। এতে করে শ্রমিক সমস্যার যেমন সমাধান হবে, তেমনি ছাত্রদেরও একটা অভিজ্ঞতা হবে। এর চেয়েও বড় কথা তারা কৃষকদের কষ্টটা অনুধাবন করতে পারবে এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধও বাড়বে।

১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, লাল মাহমুদ ভাই।
ছাত্র সমাজ ভূমিকা নিলে তো ভালো কথা। তারা নিজের পরিবার আত্মীয় স্বজনকে এ বিষয়ে সাহায্য করতে পারে। তবে মূল দায়িত্বটা হলো সরকারের। আমরা জাতি হিসাবে খুব পরশ্রীকাতর। এজন্য কৃষক, জেলে, কামার, কুমার ইত্যাদি পেশার মানুষকে সম্মানের চোখে দেখি না। এটা আমাদের দীর্ঘদিনের জমিদারি প্রথার ফল।

৫| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার দেয়া ছবিতে, কৃষকের দাঁতের যেই অবস্হা, সেই লোক খাওয়া দাওয়া করছেন কিভাবে?

১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ। আপনি শুধু দাঁতগুলো দেখলেন! এই হাঁসিটার মূল্য তো লক্ষ কোটি টাকা দিয়ে কেনা যাবে না। আপনি একটা কাজ করুন এসব কৃষকদের স্বাস্থ্য সচেতন করার জন্য একটি চ্যারিটি চালু করুন। আমরাও আপনার সাথে থাকবো।

আপনি তো একাধারে রাজনৈতিক গবেষক, শিক্ষা গবেষক, ইউনিভার্সিটি ranking গবেষক, স্যাটেলাইট গবেষক। এখন কৃষকের ফোকলা দাঁতের রহস্য নিয়ে গবেষণা শুরু করুন। পিএইচডি নিশ্চিত।

৬| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব,

বিষয়টি খুবই উদ্বেগের।
" আপনি কি বলতে চাইছেন? সরকার ইলিশের দাম কমিয়ে দিয়ে, তামাকের দাম কমিয়ে দিয়ে, বিমানের টিকিট কমিয়ে দিয়ে ধানের দাম বাড়িয়ে দেবেন? কটা লোক আর বিমান চড়ে সিগারেট খেয়ে ইলিশ খেয়ে থাকে। মাথায় কিছু ঘিলু থাকা দরকার ।"

প্রিয় গুরুদেব আজকের কমেন্টটা আমার নয়। ‌
টুকলি করেছি।
প্লিজ ক্ষমা করে দিয়েন। হাহাহাহাহা।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরুজি, ধন্যবাদ চমৎকার এ মন্তব্যের জন্য।
"সরকার ইলিশের দাম কমিয়ে দিয়ে, তামাকের দাম কমিয়ে দিয়ে, বিমানের টিকিট কমিয়ে দিয়ে ধানের দাম বাড়িয়ে দেবেন? কটা লোক আর বিমান চড়ে সিগারেট খেয়ে ইলিশ খেয়ে থাকে। মাথায় কিছু ঘিলু থাকা দরকার।" ইলিশের দাম কললে তো ভালো! আমার মতো গরীব সিজনে এক-দুইটা ইলিশ কিনতে পারতাম। আর বিমানের টিকেটের দাম কমালেও তা কখনো কৃষকের নাগালে আসবে বলে মনে হয় না। আর সিগারেটের দাম বাড়লেও পাবলিক ঠিকই এগুলো গিলবে মহানন্দে।

আপনার টুকলিটা চমৎকার হয়েছে। কৃষকের সুদিন আসুক। সরকার কৃষি বান্ধব হোক এই আশাবাদ রইলো। ভালোবাসা আর শুভ কামনা রইলো।

৭| ১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অরন্যে রোদন।

১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আপনাকে।
আসলেই অরণ্য রোদন। তবুও কেউ না কেউ বলতে হয়। যদি সরকারের একটু শুভদৃষ্টি পড়ে। এ বিষয়টি নিয়ে আরো বেশি লেখা হোক। কৃষকদের অধিকার নিশ্চিত হোক এই প্রত্যাশা রইলো।

৮| ১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বাজেটে চাল ডালের দাম বাড়লে ঘুরেফিরে এই কৃষকরাই সমস্যায় পড়বে। তারচেয়ে ফল উৎপাদনে ব্যবহৃত পণ্য, সরকারি লোন সহজলভ্য করে দেওয়া এখন সময়ের দাবী। আশাকরি সরকার কৃষকদের কথা গুরুত্বের সাথে নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।

১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, জুনায়েদ ভাই। আসলে বাজেটে হঠাৎ করে চাল-ডালের মূল্য বাড়ালে শুধু কৃষক নয় দেশের খেটে খাওয়া জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশ সমস্যায় পড়বে। সরকার থেকে প্রতিটি পরিবারের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করা না হলে এতে সুফল আসবে না। এজন্য কৃষি বীমা এবং একর প্রতি নগদ প্রণোদনার ব্যবস্থা করাই আপাত সমাধান হতে পারে।

৯| ১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পৃথিবীর সর্ব শিল্পের নাম কৃষি। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন ও সর্বশ্রেষ্ঠ পেশা। কৃষি ই কৃষ্টি। জন কৃষক হচ্ছেন একজন মহান শিল্পী কৃষক কে সম্মান করতে না পারলে জাতির কোন উন্নতির আশা করা বৃথা।

বাস্তবতা হচ্ছে আমরা কেউই কৃষকের মূল্যায়ন করি না। কাজের জন্য জাতীয় বাজেটে কোন সুযোগ সুবিধা রাখা হয় না। অথচ আমরা সবাই বেঁচে আছি কি সুখে থাকো।

সুন্দর পোস্টে ভালোলাগা। শুভকামনা রইল। ভালো থাকুন সব সময় প্রতিক্ষণ।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় সাজ্জাদ ভাই।
মানুষের সবচেয়ে আদিম পেশা হলো কৃষি। মূলত বেঁচে থাকার তাগিদ থেকেই মানুষ কৃষিকে পেশা হিসাবে নিয়েছে। শিল্প ও প্রযুক্তি বিল্পবের ফলে কৃষিকাজ এখন অত্যন্ত নাযুক অবস্থায় আছে। শিক্ষিত ও দক্ষ লোকজন এ পেশায় আসতে চায় না। অথচ, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যে খাদ্য শস্য দরকার তা কৃষকরাই যোগান দেয়।

পৃথিবীর শিল্পোন্নত দেশগুলো এখন কৃষি জমি বিভিন্ন বড় বড় খামারিদের কাছে লীজ দিয়ে রেখেছে। এরা পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে চাষ-বাস করে ফসল ফলাচ্ছে। এতে উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি খরছ কমছে উল্লেখযোগ্য হারে। ফলে এসব ফার্ম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না। সরকারও বড় অংকের রেভিনিউ পাচ্ছে। আমাদের দেশে এটা করা খুব কঠিন। কারণ, জমিগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন।

জাতীয় বাজেটে কৃষি নিয়ে ভাবনা থাকতে হবে।

১০| ১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের অর্থনীতি ও বীমার ফাইন্যানসিং প্যাটার্ণ থেকে, আপনার কি মনে হয়, কোন ধরণের বীমা কোম্পানী, বিশেষ করে "ধান" (বর্যা ও খরা মৌসমের ফসল) ফসলের উপর বীমা দেবেন?

চাষীরা কি বীমার প্রিমিয়াম দিতে পারবে?

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট নিয়ে আলোকপাত করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। পৃথিবী এখন মুক্তবাজার অর্থনীতির দখলে। এজন্য দুনিয়ার বড় বড় ব্যবসায়ী/কোম্পানী পৃথিবীর সমুদয় সম্পদের বড় অংশ দখল করে আছে। এতে গরীবরা আরো গরীব হয়, ধনীর সম্পদ বৃদ্ধি পায়। উন্নত দেশগুলো মহা ধনীদের সম্পদের বড় একটা অংশ টেক্সের মাধ্যমে কালেকশন করে গরীবদের মাঝে বন্টন করে। অতি দরিদ্র মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটায়।

দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের মহা ধনীরা টেক্স ফাঁকি দিয়ে এই টাকায় কানাডা, সিংগাপুর, বৃটেন, আমেরিকায় বাড়ি কিনেন, ব্যাংকে গচ্ছিত রাখেন। এজন্য এদেশের গরীবরা ক্যাপিটালিজমের চাকায় পিষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী কৃষক ও শ্রমিকরা।

আমাদের অর্থনীতি সাইজ, বীমা কোম্পানীর আর্থিক সঙ্গতি এবং বিশ্বাসযোগ্যতার উপর ভিত্তি করে লক্ষ লক্ষ কৃষককে আলাদা আলাদা বীমা সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়। এতে প্রকৃত কৃষকরা সুবিধা না পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই কাজটি করতে হবে সরকারকে। সরকার প্রতি বছর বাজেটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কৃষকের পক্ষে বীমা করে রাখবে। যদি কোন দূর্যোগে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে সরকার নিজে তদারকির মাধ্যমে বীমা কোমপানীর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করবে।

দেশী কোন বীমা কোম্পানীর দ্বারা সম্ভব না হলে আন্তর্জাতিক মানের বিদেশি কোন কোম্পানিকেও এই দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। চাষীদের পক্ষে সরকার বীমা প্রিমিয়াম দেবে।

১১| ১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও প্রাচীনতম শিল্পের নাম কৃষি। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন ও সর্বশ্রেষ্ঠ পেশা। কৃষি ই কৃষ্টি। জন কৃষক হচ্ছেন একজন মহান শিল্পী কৃষক কে সম্মান করতে না পারলে জাতির কোন উন্নতির আশা করা বৃথা।

বাস্তবতা হচ্ছে আমরা কেউই কৃষকের মূল্যায়ন করি না। কাজের জন্য জাতীয় বাজেটে কোন সুযোগ সুবিধা রাখা হয় না। অথচ আমরা সবাই বেঁচে আছি কি সুখে থাকো।

সুন্দর পোস্টে ভালোলাগা। শুভকামনা রইল। ভালো থাকুন সব সময় প্রতিক্ষণ।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় সাজ্জাদ ভাই।
মানুষের সবচেয়ে আদিম পেশা হলো কৃষি। মূলত বেঁচে থাকার তাগিদ থেকেই মানুষ কৃষিকে পেশা হিসাবে নিয়েছে। শিল্প ও প্রযুক্তি বিল্পবের ফলে কৃষিকাজ এখন অত্যন্ত নাযুক অবস্থায় আছে। শিক্ষিত ও দক্ষ লোকজন এ পেশায় আসতে চায় না। অথচ, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যে খাদ্য শস্য দরকার তা কৃষকরাই যোগান দেয়।

পৃথিবীর শিল্পোন্নত দেশগুলো এখন কৃষি জমি বিভিন্ন বড় বড় খামারিদের কাছে লীজ দিয়ে রেখেছে। এরা পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে চাষ-বাস করে ফসল ফলাচ্ছে। এতে উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি খরছ কমছে উল্লেখযোগ্য হারে। ফলে এসব ফার্ম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না। সরকারও বড় অংকের রেভিনিউ পাচ্ছে। আমাদের দেশে এটা করা খুব কঠিন। কারণ, জমিগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন।

জাতীয় বাজেটে কৃষি নিয়ে ভাবনা থাকতে হবে।

১২| ১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সমাজের একটা অংশ চায়না কৃষকের ছেলে শিক্ষিত হোক। বৈষম্য দিন দিন প্রকট হচ্ছে, আর আমরা তার সাথে পাল্লা দিয়ে "সভ্য" হয়ে উঠছি!
+
আমার মনে হয়, কৃষককে বাঁচানোর জন্য, তাদের সন্তানদের অগ্রাধিকার দিয়ে, শিক্ষা, লোন, কারিগরী সহযোগিতা দিয়ে সাহায্য করতে হবে। কৃষকের ছেলে, রক্তের টানে, বড় হয়ে পৈতৃক পেশাটাকেই বেছে নিবে, উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে তাদের আধুনিক কৃষক বানাতে হবে।
একই সাথে আমাদের "কামলা", "ক্ষ্যাত" এধরনের গালাগালি থামাতে হবে, যাতে কৃষক এবং তার পরিবার, আইডেনটিটি ক্রাইসিসে না পড়ে!
আমি অনেকদিন ধরে একটা লেখার প্লট সাজাচ্ছিলাম, আপনার লেখার কমেন্টেই তার সমাধি হলো B-)
ধন্যবাদ, সুন্দর লেখা।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় প্রান্ত।
সমাজটা বড়ই নির্দয়। কেউ চায়না কারো নীচে থাকতে। এজন্য সমাজের সুবিধাবঞ্চিতরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমান সময়ে কৃষকের ছেলের জন্য পড়াশোনা করে উঠে আসা খুব কঠিন কাজ। প্রান্তীক কৃষকদের এখন নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। এই শহুরে সভ্যরা কৃষকে সব সময় ঠকিয়ে নিজের যোগ্যতার বাহাদুরি করে। এদেশে সুযোগে ঠকাতে পারাটাই একটা কৃতিত্বের বিষয়।

ঠিকই বলেছো, "কৃষককে বাঁচানোর জন্য, তাদের সন্তানদের অগ্রাধিকার দিয়ে, শিক্ষা, লোন, কারিগরী সহযোগিতা দিয়ে সাহায্য করতে হবে। কৃষকের ছেলে, রক্তের টানে, বড় হয়ে পৈতৃক পেশাটাকেই বেছে নিবে, উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে তাদের আধুনিক কৃষক বানাতে হবে।"

আমরা কৃষককে কামলা, ক্ষেত, অসভ্য, বর্বর ইত্যাদি বিশেষণে বিশেষায়িত করি। এটা দুঃখজনক। যে কৃষক না থাকলে আমার বাঁচাটাই অসম্ভব ছিল তাদের প্রতি এই অবজ্ঞা মেনে নেওয়া যায় না। মানুষ হতে হলে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরী।

১৩| ১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এদেশে কৃষকের কষ্টের গড়া এককেজি ধান বিক্রি হয় ১২ টাকায়।আহ! কতই না কষ্ট জীবন যাপন করতে হয় এদের।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, মাহামুদুর রহমান ভাই।
এখন একশো কেজি ধান বিক্রি করলে এক কেজি ইলিশ পাওয়া যায়। এটা চরম লজ্জার। কৃষকদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই। না হলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।

১৪| ১৪ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মুক্তা নীল বলেছেন: কাউসার ভাই,
বাংলাদেশের এই কৃষক আমাদের জন্য কত কষ্ট করে কৃষিকাজ করেন কতটুকুইবা মূল্যায়ন পান কৃষকরা।
একটি জিনিস কিনতে হলে দুই মণ ধান বিক্রি করতে হবে---এর চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে। কৃষি বীমা প্রকল্প টি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। এর উদ্যোগ অবশ্যই সরকারের নেয়া উচিত।
আপনার এই লেখায় আমার শ্রদ্ধা রইল বাংলার কৃষকদের জন্য।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আপু।
কৃষকরা সারা বছর না খেয়ে, অপুষ্টিতে ভোগে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। অথচ, আমরা তাদের উৎপাদিত শস্যের প্রকৃত মূল্য পরিশোধ করি না। তাদের সামনে আসতে দেই না। অসভ্য ছোটলোক বলে গালি দেই। এটা দুঃখজনক। কৃষিবীমা প্রকল্পটি চালু হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন। কৃষকদের পক্ষে সরকার এই দায়িত্ব নিতে হবে।

১৫| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী,




অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন এবং ভবিষ্যতে তার জন্যে আশংকা প্রকাশও করেছেন।
আপনার আশংকার কথাটাই আবারো বলি -
"কৃষকরা এখন ধানের পরিবর্তে বিকল্প ফসল চাষ করছেন। এটা ভাল কথা। কিন্তু এই বিকল্প শস্য উৎপাদন আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দেবে আগামী দিনগুলোতে। একটা সময় আসবে দেশ বিদেশি চালের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে; এটা শতভাগ ভাত খাওয়া জাতির জন্য মোটেও ভাল সংবাদ নয়। আমাদের গ্রামের অবস্থা সম্পন্ন পরিবারগুলো এখন আর ধান চাষ করে না; কারণ, ধান চাষ এখন আর লাভজনক শস্য নয়। শত শত একর জমি প্রতি বছর পড়ে থাকে কোন চাষবাস ছাড়া।"
অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, অদূর ভবিষ্যতে সেটাই ঘটবে। কারন - এখানে সরকার কৃষি ভর্তুকি দিয়েই খালাস। অধিক সুদে ধার-কর্জ করে, যে ঘাম ঝরিয়ে কৃষকরা ধান চাষ করেন তা ধান বিক্রি করে ওঠে না। এটা এখন চরম বাস্তবতা। এতে প্রতি বছর কৃষকরা লোকসান গুনছেন। এখন তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এ কারনেই তাদের অন্য কিছু লাভজনক যেমন তামাক, চাষে নামতে দেখা যাবে।
আপনিও একটি ভবিষ্যতের ছবি একেছেন এভাবে- সারাদেশ তামাকে সয়লাব হবে। আমরা ভাতের পরিবর্তে সিগারেট খাব। ব্রিটিশ-আমেরিকান টোবাকোর মতো বেনিয়ারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাবে এদেশ থেকে। আর আমরা একটা গাঞ্জা খোর, বিড়িখোর জাতি হয়ে বিদেশি রিলিফ খেয়ে কোনমতে বেঁচে থাকবো।

এই অনাগত দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচতে হলে, কৃষককে বাচাঁতে হলে আপনি এবং অনেক বিজ্ঞ মন্তব্যকারী যে সব উপায়ের কথা বলেছেন তার সাথে সহমত জানিয়ে আমি একটি কথাই বলতে চাই --
কৃষি পন্য বিশেষ করে ধানের উৎপাদন থেকে শুরু করে তার বিপণন এর প্রতিটি ধাপে সরাসরি সরকারকেই নামতে হবে। অথবা সরকারের তত্ত্বাবধানে কমিউন সিষ্টেমে ধানের আবাদ থেকে গোলাজাতকরণ পর্য্যন্ত সবকিছুই কৃষকেরা সন্মিলীত ভাবে করবেন - সরকার সে ধান-চাল বিপননের দায়িত্ব নেবেন সরাসরি। কৃষি বিভাগ দিয়ে এই কাজ হবেনা, করতে হবে উৎসাহী কৃষকদের দিয়েই , মাঝখানে কোনও মধ্যসত্ত্বভোগী থাকবেনা, সেরকম আইন ও ব্যবস্থা সরকারই করবেন ।


আমি কৃষিবিদ নই, এই প্রক্রিয়ার ইনস এ্যান্ড আউটস / মেরিট-ডিমেরিটস খুব ভালো বলতে পারবোনা কিন্তু যারা পারবেন তাদের দিকে চেয়ে রইলুম তারা যেন বলে দেন , এই কমিউন পদ্ধতিটি কতোটুকু বাস্তবসন্মত।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়, আহমেদ জী এস।
আপনার অতীব গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো আমার পোস্টের অলঙ্কার স্বরুপ। আপনি আমার আশঙ্কার কারণগুলো পয়েন্ট আউট করেছেন, "সারাদেশ তামাকে সয়লাব হবে। আমরা ভাতের পরিবর্তে সিগারেট খাব। ব্রিটিশ-আমেরিকান টোবাকোর মতো বেনিয়ারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাবে এদেশ থেকে। আর আমরা একটা গাঞ্জা খোর, বিড়িখোর জাতি হয়ে বিদেশি রিলিফ খেয়ে কোনমতে বেঁচে থাকবো।"

আমার তো মনে হয় কয়েক বছর পর এদেশে তামাকের বাম্পার ফলন হবে। পাশাপাশি, গাঞ্জা, আফিমেরও ব্যাপক চাষ বাস হবে। কৃষকর দেয়ালে যখন পীট লাগবে তখন তার কাছে তামাক ও গাঞ্জার চাষ কোন বিষয় নয়। পেটের জ্বালা বড় জ্বালা। আফগানরা খুব ধার্মিক হওয়ার পরও আফিম চাষ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না এই পেটের কারণে। "আপনি বাঁচলে বাপের নাম" কথাটির লজিক আছে।

পৃথিবীর শিল্পোন্নত দেশগুলো এখন কৃষি জমি বিভিন্ন বড় বড় খামারিদের কাছে লীজ দিয়ে রেখেছে। এরা পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে চাষ-বাস করে ফসল ফলাচ্ছে। এতে উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি খরছ কমছে উল্লেখযোগ্য হারে। ফলে এসব ফার্ম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না। সরকারও বড় অংকের রেভিনিউ পাচ্ছে। আমাদের দেশে এটা করা খুব কঠিন। কারণ, জমিগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন।

ধানের উৎপাদন থেকে শুরু করে এর বিপনন পর্যন্ত সরকার নিজ দায়িত্বে করলে ভাল হয়। এক্ষেত্রে সরকার দিগুণ/তিনগুণ দাম পরিশোধ করে ধান/চাল ক্রয় করতে পারে। আপনি বলেছেন, "সরকারের তত্ত্বাবধানে কমিউন সিষ্টেমে ধানের আবাদ থেকে গোলাজাতকরণ পর্য্যন্ত সবকিছুই কৃষকেরা সন্মিলীত ভাবে করবেন - সরকার সে ধান-চাল বিপননের দায়িত্ব নেবেন সরাসরি।" এটা খুব উপকারী হতে পারে। তবে কৃষি বিভাগের বর্তমান কাঠামোয় এটা সম্ভব নয়। এজন্য বিকল্প ভাবনার দরকার আছে।

ধন্যবাদ।

১৬| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
পোষ্ট টি দুই বার পড়লাম। মনে মনে এই রকম একটা পোষ্ট দেবার কথা ভাবছিলাম।

সরকারের উচিত কৃষকদের প্রতি বেশি মনোযোগ দেওয়া।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, রাজীব ভাই।
লেখাটি গুরুত্ব দিয়ে দুইবার পড়েছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। আপনিও এসব বিষয় নিয়ে লিখুন। সরকারের নজরে বিষয়টি আসা দরকার। কৃষকদের গুরুত্ব না দিলে দেশে খাদ্য সঙ্কট দেখা দেবে। আর বিদেশ থেকে আমদানী করা মানেই হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে যাওয়া।

১৭| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "সরকার প্রতি বছর বাজেটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কৃষকের পক্ষে বীমা করে রাখবে। "

-ধরলাম, সরকার কৃষকের হয়ে প্রিমিয়াম দেবে; কিন্তু ধানের (বন্যা, খরা, পোকার আক্রমণ) উপর বীমা পলিসি দেয়ার মতো বীমা কোম্পানী কি দেশে আছে?

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ। আমার তো মনে হয় বন্যা, খরা, পোকার আক্রমণের উপর বীমা পলিসি দেয়ার মতো বীমা কোম্পানী এদেশে নেই। এজন্য সরকার একটি বীমা কোম্পানীকে নিজ প্রচেষ্টায় সক্ষম করে তুলতে পারে সব ধরনের সাপোর্ট দিয়ে। আর একান্ত না পারলে বিদেশি কোন বীমা কোম্পানীর সাথে চুক্তি করতে পারে। এছাড়া টাকাগুলো যাতে বিদেশে চলে না যায় সেহেতু কিছু পলিসিও করতে পারে।

১৮| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমার ছাদে সামান্য আম, পেয়ারা আর লেবু চাষ করি।
সীমাহীন পরিশ্রম করতে হয়। খুব যত্ন নিতে হয়। অথচ সব মিলিয়ে ধরুন, পেয়ারা গাছ থেকে ১৫ টা পেয়ারা শেষ পর্যন্ত থাকে। কিন্তু আমাকে টানা ৩/৪ মাস কত সময় দিতে হয়েছে।

এবার আম গাছে প্রচুর মুকুল এসেছিল।
ঝড়ে বাতাসে পড়ে টড়ে এখন মাত্র ১৪ টা আম টিকে আছে। রোজ দুইবেলা পানি দেই। সপ্তাহে একদিন আগাছা পরিস্কার করি।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আবারো কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ রাজীব ভাই।
আপনি বাসার ছাদে আম, পেয়ারা ও লেবুর চাষ করেছেন জেনে খুশি হলাম। আপনি বলেছেন, "সীমাহীন পরিশ্রম করতে হয়। খুব যত্ন নিতে হয়। অথচ সব মিলিয়ে ধরুন, পেয়ারা গাছ থেকে ১৫ টা পেয়ারা শেষ পর্যন্ত থাকে। কিন্তু আমাকে টানা ৩/৪ মাস কত সময় দিতে হয়েছে।"

এখন দেখুন কত খাটুনি লাগে। যদি এমন হতো এই পেয়ারা, আম বিক্রি করে সংসার চালাতে হবে তখন কেমন হতো? কৃষকরা যখন সারা বছর কঠোর পরিশ্রম করেও ফসল তোলতে পারেন না তখন কী অনুভূতি হয় নিশ্চয় বুঝতে পারছেন।

এই চৌদ্দটি আমের জন্য শুভ কামনা রইলো। ঝড় তুফান যাতে আমের কোন ক্ষতি না করে।

১৯| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী,




সুন্দর প্রতিমন্তব্য।
আমাদের দেশে এটা করা খুব কঠিন। কারণ, জমিগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন।
একারনেই তো "কমিউন" সিস্টেমের কথা বলেছি। মনে করা যাক, একটি গ্রামে যতো ফসলের মাঠ আছে তাতে ১০০ জনের ফসলি জমি আছে, কারো বেশি কারো কম। এখন এই ১০০জনে মিলে ঐ সব জমিতে যৌথভাবে ফসল ফলাবে এবং বিক্রির পরে যার যার অংশমতো টাকাপয়সা বুঝে নেবে। এতে বিপুল মাঠে সন্মিলিত চাষাবাদে খরচ কম হবে, শ্রমিক ঘাটতি খুব বেশী একটা হবেনা, সবাই একাট্টা হলে ফড়িয়ারা দাম কম দিতে পারবেনা। যদি সরকার এই "কমিউন" সিস্টেমটাকে ফুলপ্রুফ করার জন্যে যা যা দরকার করেন তবে মনে হয় কৃষকদের মঙ্গলই হবে।
আমাদের দেশে তো হরেক রকমের সমবায় আছে। কৃষি সমবায়ও আছে কিন্তু সম্ভবত তা শুধু টাকাপয়সা সংক্রান্ত সহযোগীতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এটাকে নিয়ে যেতে হবে চাষাবাদ থেকে শুরু করে কৃষকের ঘরে টাকা ওঠা পর্যন্ত সবকিছুই সমবায় ভিত্তিতে। এরকম সমবায় পদ্ধতি গড়ে তোলা কি একেবারেই অসম্ভব? বাঙালী চরিত্রের জন্যে যে ভয় সে ভয়টা কাটানো যেতে পারে সরকার যদি এতে সরাসরি যুক্ত থাকেন।

আমি তেমন কথাই বলেছি আগের মন্তব্যে। কৃষি বিভাগের বর্তমান কাঠামোয় এটা যে সম্ভব নয় বলেছি সে কথাও। বলেছি -
কৃষি বিভাগ দিয়ে এই কাজ হবেনা, করতে হবে কমিউনের উৎসাহী, কর্মঠ কৃষকদের দিয়েই।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আবারো প্রতি মন্তব্যে আসার জন্য ধন্যবাদ। আপনার এই "কমিউনিটি" সিস্টেমটা আপাত একটি সমাধান হতে পারে। কৃষকরা নিজ উদ্যোগে করলে ভালো। না হলে সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়ে সমবায় বা স্থানীয় উদ্যোগী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দিয়ে জমি চাষ বাস করতে পারে। এতে কৃষকরা লাভবান হবেন। কৃষি জমিতে পরিকল্পিত চাষ হবে। আধুনিক কৃষি সরঞ্জাম ব্যবহার হবে। এতে পেশাদারিত্ব আসবে। সবচেয়ে বড় কথা, উৎপাদন ও বিপনন খরছ অনেকাংশে কমবে।

আমাদের গ্রামের অধিকাংশ অবস্থা সম্পন্ন পরিবার এখন শহরে বসবাস করেন। এক সময় এদের জমিদারী ছিল। শত শত একর জমি এখন অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে। মালিকরা ধান চাষে এখন আগ্রহী নয়। বর্গা চাষীরাও লাভবান হতে পারবে না বলে জমি লীজ নেয় না। আমি ভাবছি এসব জমিগুলো লীজ নিয়ে চাষ করতে। এই প্রজেক্ট সফল হলে অন্য এলাকার লোকজনও এতে উদ্যোগী হবেন। কেউ না কেউ তো শুরু করতে হবে।

আপনি বলেছেন, "আমাদের দেশে তো হরেক রকমের সমবায় আছে। কৃষি সমবায়ও আছে কিন্তু সম্ভবত তা শুধু টাকাপয়সা সংক্রান্ত সহযোগীতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এটাকে নিয়ে যেতে হবে চাষাবাদ থেকে শুরু করে কৃষকের ঘরে টাকা ওঠা পর্যন্ত সবকিছুই সমবায় ভিত্তিতে।" এগুলো করা অসম্ভব না হলেও কষ্টসাধ্য। তবে, সঠিক দিকনির্দেশনা আর উদ্যোগ থাকলে তা সম্ভব। ভয়টা আমাদের স্বভাবজাত। এটাকে কাটিয়ে উঠতে হবে।

২০| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩১

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



আমি গ্রামে যেতাম যখন ছোট ছিলাম । দাদার বাড়িতে চাচা আর চাচাতো ভাইয়েরা জমি চাষ করত । তাদের দেখেছি । কি সীমাহীন পরিশ্রম যে করতে হতো । তবে একটা আনন্দের বিষয়ও ছিল ধান তোলার সময়টা খড় দিয়ে ঘর বানানো । খড়ের উপর উঠে দুষ্টামি করা ।

সেসব কথায় যাচ্ছি না । আমাদের দেশের কৃষকদের অবস্থা অনেক আগে থেকেই বাজে । এই দিকে কেউই নজর দেয়নি । কোন সরকার ঠিক ভাবে নজর দেয়নি । বাজেটের অর্থ তো কৃষকদের কাছে পৌছাই না । সেটা সুইস ব্যাংকে চলে যায় । অথচ উচিত ছিল কৃষ্কদের বাচানো । কারন কৃষকরাই আমাদের দেশটাকে বাচিয়ে রেখেছে ।

প্রতি বছর শুধু বাজেট বাড়ালেই হবে না । আমার মনে হয় মধ্যে স্বত্ব ভুগীদের দূর করতে হবে । ন্যায্য দাম ঠিক করে দিতে হবে । আর পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যারা কৃষি নিয়ে কাজ করে তাদের আরও এগিয়ে আসতে হবে ।

১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আমার গ্রামের মায়াভরা পীচঢালা পথ।

ধন্যবাদ, প্রিয় অপু ভাই।
আমি তো গ্রামেই বড় হয়েছি। এসএসসি পাশ করার আগ পর্যন্ত গ্রামেই বসবাস। এখনো ছুটি কাটানোর সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা আমার প্রিয় গ্রাম। ধান তেলার সময় কৃষকের আনন্দ কী পরিমাণ থাকে তা বুঝানো সম্ভব নয়। কৃষিই গ্রামের প্রাণ।

২১| ১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধান চালের দাম একটু বাড়লে দেখবেন উপরে যারা কমেন্ট করেছে সবাই ভোল পালটে বিপরিত মুখি হয়ে যাবে। নিশ্চিত থাকেন।

তবে আপনার কৃষি বীমার ব্যাপারে আমি একমত।
সরকার একটি বীমা কোম্পানীকে নিজ প্রচেষ্টায় সক্ষম করে তুলতে পারে সব ধরনের সাপোর্ট দিয়ে।
বিদেশি বেনিয়া আনার দরকার নেই।
সরকারি বীমা কম্পানী 'সাধারন বীমা কর্পোরেশন' তো আছে। ডিজেল সারে ভর্তুকি দিতে পারলে বীমা প্রীমিয়ামে দিতে পারবে না কেন?

১৫ ই মে, ২০১৯ রাত ৩:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ হাসান ভাই। ধান চালের দাম একটু বাড়লেই আমরা খুব হতাশ হয়ে যাই এটা সত্য। এর কারণ যতটা না দাম তার চেয়ে বেশি খাদ্য নিরাপত্তার সংশয়। গত বিশ বছর আগেও এদেশের একটি বড় অংশের মানুষ মোটা চাল কিনতে হিমশিম খেতেন। তখন ভাতের সংস্থান করাটাই ছিল বিরাট একটা কৃতিত্ব। এখন মানুষের আয় ও কর্মসংস্থান বেড়েছে। এজন্য চালের একটু দাম বেশি হলেও কিনতে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা না। ২০ বছর আগের ১০০ টাকার ইলিশ এখন ১,০০০ টাকায় মানুষ কিনছে। অথচ, ২০ টাকা কেজির চালের দাম বড় জোর ৫০ টাকা হয়েছে।

কৃষি বীমা সরকার নিজ উদ্যোগে করা উচিৎ। বাংলাদেশ সরকারের সে সক্ষমতা আছে। বাজেটের একটি অংশ কৃষকদের জন্য আলাদা করা যেতে পারে। এতে কৃষক বাঁচবে, তাদের পরিবার-পরিজন বাঁচবে আমরাও খাদ্য নিরাপত্তা পাব। আশা করি, সরকার এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।

তবে, সাধারন বীমা কোম্পানীর বর্তমান সিস্টেম/স্টাফ দিয়ে এটা সম্ভব নয়। এজন্য সাধারন বীমাকে ঢেলে সাজানো যেতে পারে। চৌকষ ও সৎ স্টাফ/পরিচালক নিয়োগ দিতে পারে। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে তা সম্ভব।

আবারো ধন্যবাদ, হাসান ভাই।

২২| ১৫ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:১৪

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: কৃষকরা আগেও নির্যাতিত ছিলো এখনো নির্যাতন সহ্য করছে। ধরনটা শুধু পাল্টেছে!

১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, ইবরাহীম ভাই।
আসলে আমাদের কৃষি ও কৃষক পরিবার সব সময় অবহেলিত ছিল, এখনো তাই। সরকারের উচিৎ কৃষকের এই দুরাবস্থায় তাদের সহযোগী হওয়া, তারা যাতে ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় তা নিশ্চিত করা।

২৩| ১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:২৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধান উৎপাদন বন্ধ হলে কি হয়েছে? মানুষ এরপর কেক, ব্রেড খাবে

১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, ঢাবিয়ান ভাই।
ধান উৎপাদন বন্ধ হলে কেউ কেউ হয়তো বা রুটি খাবে, কেক খাবে, পাউরুটি খাবে। তবে এরা সমাজের উঁচু তলার লোক। আমার মত গরীবের পাতে প্রতিদিন ডাল-ভাত থাকতেই হবে। তবে, সমস্যা হলো কৃষকরা ধানের পরিবর্তে গম, ভুট্টা নয় তামাকে আর আফিম চাষে মনোযোগী হবে। ভয়টা এখানেই।

২৪| ১৫ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:১১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দেশের খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা ভালো নয়। মূল চালিকাশক্তি কৃষকরা অবহেলিত, নিপিড়ীত। যা কোনো মতেই কাম্য নয়।

দেশে এখন আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার প্রয়োজন।

যারা কৃষকদের ক্ষ্যাত, ক্ষুদ্র ভাবে তাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়, এই কৃষকদের জন্যই দুমুঠো অন্ন তাদের মুখে জোটে। পৃথিবীর আদি পেশাই হলো কৃষি। তাই সকলের পরিবারেই কৃষকরা বিদ্যমান।

আরেকটি মূল্যবান পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



একটি শতভাগ ভাত খাওয়া জাতির জন্য প্রয়োজনীয় চালের যোগান ও মজুদ খুবই দরকার। আর এগুলো আসতে হয় নিজস্ব ভূমি থেকে। এজন্য পৃথিবীর অনেক দেশ কৃষিখাতকে অত্যাবশ্যকীয় খাত হিসাবে চিহ্নিত করে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে। আমাদেরও এখন সময় এসেছে ধান চাষীদের ভর্তুকি দেওয়ার। তাদের ফসলকে বীমা করার। তারা যাতে ফসলের ন্যায্য মূল পান তা নিশ্চিত করার। না হলে অদূর ভবিষ্যতে কৃষকরা ধান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।

২৫| ১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় কাওসার ভাই,
আপনার লেখাটা পড়লাম এবং তারপর মন্তব্যগুলি।
কৃষকের ধান চাষ করার পুরো বিষয়টা এখন এক কঠিন চক্রাকার আবর্তনে পড়ে গেছে।
একদিকে যেমন ধানের দাম কম, অপর দিকে এর সাথে শ্রমিক, সার বা অন্যান্য সব কিছুর দাম আকাশচুম্বী।
এই কঠিন বেড়াজাল থেকে কৃষকদের বের করে আনতে পারে একমাত্র সরকারই।
কৃষকের উৎপাদিত ধান কিনতে সরকারকেই নায্য মূল্যে।
এক্ষেত্রে সরকার যদি জনগন তথা কৃষক সাথে ব্যবসা করার চিন্ত করে তাহলে এই কুচক্র ভেদ করা সম্ভব হবে না।
মধ্যসত্তভোগীদের অবশ্যই দুর করতে হবে তাছাড়া কখনই কৃষক নায্য দাম পাবে না।
ধন্যবাদ।

১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:০৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় গল্পের জাদুকর।
সরকার কৃষিখাতে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলেও তা প্রান্তীক কৃষকের দেড়গোড়ায় ঠিকমতো পৌছে না। সিন্ডিকেটের জন্য কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য পায় না। বন্যা, খরায় ধান নষ্ট হলে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে কৃষকরা স্থানীয় সুদি কারবারিদের কাছ থেকে উচ্চহারে টাকা এনে নিঃস্ব হয়। এটা কৃষির দুষ্টচক্র। এ চক্র ভেদ করা কৃষকের জন্য অসম্ভব। সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

২৬| ১৫ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩২

সুমন কর বলেছেন: যথাসম্ভব সবগুলো বিষয় তুলে ধরেছেন। সরকার বা কর্তৃপক্ষ সব জানে কিন্তু তারা কোন দিন নিজের লাভ ছাড়া আর কিছু বুঝে না !!
আপনার পোস্ট এবং ৩ নং মন্তব্য দু'টোই সুন্দর হয়েছে। আরো কিছু তথ্য বা সাজেশন মন্তব্যগুলো এসেছে।
+।

১৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, সুমন ভাই। আমি চেষ্টা করেছি এ বিষয়টি নিয়ে নিজের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে। কিছু সাজেশনও রেখেছি। আশা করি, সরকারি কর্তা ব্যক্তিরা এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাববেন। কৃষকরা যাতে সম্মান নিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাঁচতে পারেন তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। না হলে কৃষক পরিবার বাঁচবে না, দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ নিজেদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.