নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিতর্কের বিতর্ক।

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৬:২৪


ভাইরালের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভাসনা অনেকের থাকে। মানুষ মাত্রই সফলতার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সফলতার দরজা সবার জন্য উম্মুক্ত হয় না। কেউ কেউ তো শুধুমাত্র নিজেকে জাহির করতে দুনিয়ার সব কঠিন গালিকে বুলেট বানিয়ে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিচ্ছেন। এতে নিজের পাবলিসিটি হচ্ছে শতভাগ। নীল ছবিকে প্রকাশ্যে সুধীজনেরা ভৎসনা করলেও আমার আমিতে এসব না দেখলে অনেকেরই রাতে ঘুম হয় না। ঘুষ-দুর্নীতির চৌদ্দ গোষ্ঠীকে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে আওয়াজ করে গলা টিপে হত্যা করলেও নিজের আখের গুছাইতে ইহা অমৃতসম।

তবে এমন কিছু বিষয় মাঝেমাঝে ভাইরাল হয় যেখানে প্রচার হওয়া বিষয়টির সাথে ব্যক্তি নিজে জড়িত নয়, তৃতীয় পক্ষের কেউ একজন তা জনসম্মুখে নিয়ে আসেন। এসব সংবাদ ইতিবাচক হলে এর সত্যতার সম্ভাবনা থাকে প্রায় শতভাগ। এমনই একটি ভিডিও দেখে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। অনলাইনে প্রচারিত আড়াই মিনিটের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় চারদিকে হৈচৈ পড়ে যায়। ফেইসবুকে ভিডিওটি কতবার যে দেখেছি তার কোন হিসাব নেই। রুগ্ন-শুকনো চেহারার খুব সাদাসিধে পোষাকের মেয়েটির বলিষ্ঠ উচ্চারণ, বাচনভঙ্গি, উপস্থাপনা আর আত্মবিশ্বাস আমাকে চমকে দিয়েছে।

পরে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেল ১৯৯৪ সালের জাতীয় স্কুল টেলিভিশন বিতর্কের পুরষ্কার গ্রহণের দিনটিতে তিনি এই বক্তব্য দিয়েছিলেন। তখন রাজধানীর হলিক্রস স্কুলের ছাত্রী। রেবেকা শফি ছিলেন ১৯৯৪ সালের দেশসেরা বিতার্কীক।

১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে বির্তক প্রতিযোগিতা শুরু হলেও বিতর্কের ইতিহাস খুব সমৃদ্ধ। মূলত সংসদীয় বিতর্কের বিকাশ থেকেই বিতর্কের ভাবনা শুরু হয়। বিতর্কের ইংরেজি প্রতিশব্দ হল 'Debate'। এই শব্দটিকে বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়- 'বি' যার অর্থ হলো 'বিশেষ' এবং 'তর্ক' যার অর্থ 'বাদানুবাদ'। অর্থাৎ বিশেষ কোন বিষয়ের পক্ষে-বিপক্ষে বাদানুবাদ বা আলোচনাকে বিতর্ক বলে। যুক্তি, তত্ত্ব ও ভাবনার সমন্বয় হলো বিতর্ক।

গ্রিসের নগর রাষ্ট্রগুলো থেকেই বিতর্কের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় এবং বির্তকের জন্মভূমি হিসেবে গ্রিসের নাম সন্দেহের ঊর্ধ্বে। ২,০১০ বছর পূর্বে নগর রাষ্ট্র এথেন্সে রাষ্ট্রীয় নীতি ও কর্ম প্রক্রিয়া নির্ধারণে বিতর্কের লিখিত ইতিহাস পাওয়া যায়। তখন বিতর্ক এথেন্সকে মুখরিত করে রাখতো। কার্যকর গণতন্ত্রের চর্চা প্রাচীন গ্রীসের ঐতিহ্য ছিলো। তখন এথেন্সের নাগরিকদের যেমন অধিকারের সমতা ছিল তেমনই ছিল আলোচনা বা বিতর্কের বিধি। ইংরেজি ছবি ‘থ্রি হান্ডেড’ এর দৃশ্য নির্মাণে গ্রীসের ইতিহাসের পাঠকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অপরদিকে সমুদ্র ঘেরা গ্রীসের সমুদ্র জয় যেমন বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়েছে তেমনই যুদ্ধ জয়েও নতুন অভিজ্ঞতা ও কৌশল আয়ত্বে সহায়তা করেছে। উদাহরণ হিসেবে এথেন্সের সাথে প্রতিবেশী জনপদ স্পার্টার তুলনা করলে তা আরো স্পষ্ট হয়।

যুক্তি, তর্ক আর মুক্তবুদ্ধির চর্চার কল্যাণে এথেন্সবাসী অনেক বেশি বাস্তবিক ও যুক্তি নির্ভর ছিল। ভিন্ন মত এবং যুক্তিকে গুরুত্ব দেয়ার প্রবণতা অন্য যে কোন রাষ্ট্রের তুলনায় বেশি ছিল। ধীরে ধীরে গ্রীসের তৈরী হয় একদল তুখোর বিতার্কিক, যাদের যুক্তি-তর্ক-বাগ্মীতা দেখে মানুষ অবাক হয়ে যেত। সমাজে তারা নিজেদের স্বতন্ত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে পরিণত করতে সামর্থ্য হয়। এসব তার্কিকদের বলা হতো সোফিষ্ট। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৮৯ অব্দে প্রাচীন গ্রিসে সোফিস্ট নামক পেশাদার কূটতার্কিক সম্প্রদায় রাষ্ট্র পর্ষদের সদস্যদেরকে যুক্তিনির্ভর বক্তব্য লিখে দিতেন। এমনকি শিখিয়েও দিতেন যাতে আইন সভা, বিভিন্ন পরিষদে বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারেন এবং বাকি পর্ষদগণের সমর্থন অদায় করতে সক্ষম হন।

বার্ট্র্রান্ড রাসেল রচিত, 'History of Western Philosophy' বইতে সোফিস্টদের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে সোফিষ্টদের ভূমিকার পরিপেক্ষিতে তাদেরকে বির্তাকিক বলা যাবে না বরং তাদেরকে কূটতার্কিক বলাই অধিক যৌক্তিক। তবে মানতে হবে তাদের উপস্থাপনা ও বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ার সাথে বির্তকের মিল যথেষ্ট। তারা রাজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের সংশয়কে বিতর্কের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করতেন। তবে অন্যান্য সম্প্রদায় বা গোষ্ঠি থেকে তাদের বিশেষত্ব হলো- এরা ধর্মীয় বিশ্বাস, ভাবাবেগ এবং নিজেদের স্বার্থকে বাদ দিয়ে বক্তব্যে যুক্তিকে প্রাধান্য দিত। তখন এথেন্সের শ্রেষ্ঠ বক্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন ড্যমোস্থেন'স যার বিবরণ পাওয়া যায় ফ্রান্সিস বেকন রচিত 'Of Boldness' প্রবন্ধে। অবাকের বিষয় বিখ্যাত এ বাগ্মী শৈশবে তোতলা ছিলেন।

গ্রীস কবি হোমার একবার ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন, 'হে ঈশ্বর তুমি দেবতা ও মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্বের অবসান করে দাও।' সংবাদটি জানার পর গ্রীসের বিখ্যাত দার্শনিক হেরাক্লিটাস যুক্তি দেখালেন, 'দ্বন্দ্ব ছাড়া গতি অসম্ভব, দ্বন্দ্বই বিকাশ; দ্বন্দ্বের অবসানে জগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে।' তিনি হোমারকে প্রার্থনা বন্ধ করতে আহ্বান জানান। উইপোকার পা নিয়ে চলা বিতর্কের গল্পের কথা এ প্রসঙ্গে কেউ কেউ বলে থাকেন।

তৎকালীন সময়ে বিতর্ক এতই জনপ্রিয় ও নির্ভরতার প্রতীক ছিল যে, রাজনীতি বা রাজ্যের নীতি নির্ধারণের প্রায় সকল পর্যায়েই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হত। দিনে দিনে বিতর্ক গ্রীসের প্রাচীর অতিক্রম করে প্রবেশ করলো প্রতিবেশী দেশগুলোতে। অনেকের মতে রাজনীতির পটভূমি নিয়ে গড়ে উঠা এই তর্ক থেকেই পরবর্তীতে সংসদীয় বিতর্কের জন্ম হয়, যার সূতিকাগার হলো যুক্তরাজ্য।

প্রকৃতপক্ষে সংসদীয় বিতর্কের প্রচলিত প্রথা বা মূল ধারাটি এসেছে ১৮৩২ সালের ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ‘হাউজ অব কমন্স’ বা নিম্নকক্ষের অধিবেশনে আয়োজিত বিষয়ভিত্তিক তর্কযুদ্ধকে অনুসরণ করে। ‘পার্লামেন্ট’ শব্দে আদি অর্থ ‘কথকতা’। ল্যাটিন ভাষ্য অনুযায়ী ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ভিক্ষুকরা তাদের খাবার গ্রহণের পরে মাঠে বসে যে আলাপ-চারিতা করতো তাই আদি অর্থে পার্লামেন্ট নামে পরিচিত ছিল।

ফ্রান্সের চতুর্দশ লুই এবং চতুর্থ পোপ ইনোসেন্টের মধ্যে ১২৪৫ সালে যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় তাও ‘পার্লামেন্ট’ নামেই পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় হেনরি রাজ্যের বিখ্যাত জ্ঞানী ও পন্ডিতদের নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ও সমস্যার আলোচনা ও পরামর্শ করার জন্য যে সম্মেলন ডাকতেন বা করতেন তাকেও বলা হত ‘হেনরি পার্লামেন্ট’। ইংলেন্ডের রাজা তৃতীয় হেনরিকে অনুসরণ করে প্রথম এডওয়ার্ড যে জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করেন তারও নাম দেয়া হয়-‘পার্লামেন্ট’। পরবর্তীতে ১২৯৫ সালে একে ‘মডেল পার্লামেন্ট’ নামে অবহিত করা হয়। এরপর রাজা টিউডর ও স্টুয়ার্টরাও এই প্রথা মেনে চলেন এবং এর ধারাবাহিকতায় ১৮৩২ সালে বৃটেনের বর্তমান পার্লামেন্টের শুরু হয় যা সংসদীয় গণতন্ত্র ও সংসদীয় বিতর্কের আইন নির্ধারণী স্তম্ভ হিসেবে আজো বিবেচিত।

আমাদের ভারত উপমহাদেশে বিতর্কের ইতিহাস বহু পুরোনো। তবে এসব বিতর্ক রাষ্ট্র কিংবা সম্রাজ্য গঠনে কতটুকু ভুমিকা রেখেছিল তার সঠিক তথ্য নেই। অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী বিখ্যাত বাঙালি অর্থনীতিবিদ ডক্টর অমর্ত্য সেন তাঁর 'The Argumentative Indian' বইয়ে লিখেছেন, খৃষ্টপূর্ব ২৬৮ অব্দে মাওরি সম্রাজ্যে রাজা অশোকার সময় থেকে উপমহাদেশে বিতর্কের সূচনা হয়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ছাত্র-সংগঠনের মধ্যে সংসদীয় বিতর্ককে জনপ্রিয় করার জন্য প্রথম এগিয়ে আসে অক্সফোর্ড ডিবেটিং ইউনিয়ন এবং পরবর্তীতে এর সাথে যোগ দেয় ক্যামব্রিজ ডিবেটিং ইউনিয়ন। অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ ডিবেটিং ইউনিয়নকে তাই সংসদীয় বিতর্ক অঙ্গনে কিংবদন্তি প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সপ্তদশ শতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে WHIG & CLIOSOPHIC নামক দুটি বির্তক সংগঠন গড়ে তোলে যা বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম ডিবেটিং ক্লাব এবং এর সদর দপ্তর অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সংসদীয় বিতর্ককের এই ক্রমবিকাশের সাথে ক্রমান্বয়ে যোগ দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডসহ অন্যান্য ইংরেজি ভাষাভাষি দেশ। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশও তাদের সাথে যুক্ত হয়।

১৯৯১ সালে ঢাকায় দক্ষিণ এশিয়া আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সংসদীয় বিতর্কে প্রবেশ করে এবং জনপ্রিয়তা লাভ করে। বাংলাদেশের বিতর্ক আন্দোলনে ঢাকা ইউনির্ভাসিটি ডিবেটিং সোসাইটি (ডিইউডিএস) এর অবদান ও কৃতিত্ব অগ্রগন্য। বাংলাদেশে সংসদীয় বিতর্কের ইতিহাস ঘাটলে পাওয়া যায়, ১৯৫০ সালে স্যার সলিমুল্লাহ্ মুসলিম হলে তৎকালীন ছাত্র সংসদের উদ্যোগে নিয়মিত বিতর্কের আয়োজন করা হতো।

বাংলাদেশ টেলিভিশন বিতর্কের স্বর্ণযুগ ছিল সম্ভবত ১৯৯১-২০০০ সাল পর্যন্ত; তখন বিনোদনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম বিটিভির সুইচ অন করলেই বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতা প্রচারিত হতে দেখা যেত। অবাক হয়ে ভাবতাম, এত সুন্দর আর চমৎকার যুক্তিগুলো খুব সহজ আর সাবলীল ভাষায় এরা কিভাবে উপস্থাপন করে? আমার মত অনেকেরই এমন ভাবনা ছিল নিশ্চয়ই। বাংলাদেশের সেরা স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের তার্কিকদের এসব যুক্তি-তর্ক খুব ধারালো এবং শিক্ষনীয় ছিল। তাদের বিষয়ভিত্তিক যুক্তি-তর্ক আমাদের মনোজগৎকে নাড়া দিত। এসব যৌক্তিক তর্ক মুক্তচিন্তার বিকাশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ইউরোপ-আমেরিকার বর্তমান সভ্যতার বিকাশ এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের উৎকর্ষের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে এসব বিতর্ক প্রতিযোগিতা।

বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রায় প্রতিদিন বিতর্ক প্রতিযোগিতা প্রচারিত হলেও বাংলাদেশ টেলিভিশন মুক্তচিন্তা আর নিরপেক্ষতার মানদন্ডে কখনো পরিচালিত ছিল না, এখনো নয়। জাতীয় সংসদেও গণতান্ত্রিক চর্চা নেই। বিরোধী দলের ন্যায়সঙ্গত যুক্তি উপস্থাপনকারীকে কথা বলতে কিংবা আলোচনায় অংশ নিতে নিবৃত করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে আজ মহান জাতীয় সংসদে বিরোধী দল বলে কিছু নেই; চলে রাজার বন্ধনা আর চাটুকারীতার এক নির্লজ্জ মহড়া। এসব বিতার্কীকদের একজনও সম্ভবত আজ পার্লামেন্টে নেই। থাকলে তাদের যুক্তি-তর্কে দেশ উপকৃত হত। সংসদীয় গণতন্ত্র বিকশিত হওয়ার সুযোগ ঘটতো।

আবার, রেবেকা শফি প্রসঙ্গ। সেদিনের ভীতু সাধারন এই মেয়েটি এখন জিনতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করছেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির মেডিকেল স্কুলে। পাশাপাশি, রিসার্চ ফেলো হিসাবে কাজ করছেন ম্যাসাচুসেট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ও হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত বিশ্বখ্যাত ব্রড ইনস্টিটিউটে। তিনি বিখ্যাত ক্যালিফোরনিয়া ইনস্টিটিউট অব টেনোলজি থেকে স্নাতক। পদার্থবিজ্ঞানে সিজিপিএ ৪.০০ এর মধ্যে ৪.০০ পেয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন। পরবর্তীতে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ফিজিক্সে স্নাতকোত্তর এবং একই ইউনিভার্সিটি থেকে ব্ল্যাকহোল স্পিনের উপর পিএইচডি করেন।

এরকম শতশত তুখোড় যুক্তিবাদী বিতার্কীক, মেধাবী মুক্তচিন্তার বঙ্গসন্তান পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিজেদের প্রতিভার সাক্ষর রাখছেন। ফলশ্রুতিতে উপকৃত হচ্ছে সেই দেশগুলো। আমরা কৌশলে অথবা না বুঝে প্রতি বছর জাতির সেরা সন্তানদের বিতাড়িত করছি। গলাবাজ, চাটুকার আর দুর্নীতিবাজদের হাতে দেশের আইন, আদালত আর সংসদকে বিকিয়ে দিচ্ছি। এরা মাতৃভূমির টানে দেশে ফিরলেও দেশমাতৃকার সেবায় অংশ নেওয়াটা তাদের জন্য খুব দুরূহ হয়।

একজন রেবেকা শফি কি এদেশে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন?

এদেশে পার্লামেন্ট দাপিয়ে বেড়ায় দেখে দেখে রিডিং পড়তে না পারা মূর্খরা। এখানে চাটুকারীতা হলো শিল্প; গণতান্ত্রিক শিল্প। রেবেকা শফির আড়াই মিনিটের মূল্যবান বক্তব্যের অংশ ধরে বলতে চাই "ছেড়ে দিয়ে জিতে যেতে চাই"। হ্যা, উনারা দেশের অধিকার চুপিচুপি ছেড়ে দিয়ে জিতে গেছেন। নিজের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ আর ন্যায়বিচার পাওয়ার একটা নিরিবিলি ঠিকানা খোঁজে নিয়েছেন।


(রেবেকা শফির বিতর্ক- যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে)

ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৬:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর।

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৬:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



শুভ সকাল।
আশা করি, ভালো আছেন আপনি। প্রথম মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৬:৩৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দ্বিতীয় লাইনে শব্দটি হবে- "ভিডিও ক্লিপ"।

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৬:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ। আসলে লেখাটি ড্রাফট করতে গিয়ে ভুলে পোস্ট হয়ে গেছে।
এখন ঠিক করছি।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:০২

ঢাবিয়ান বলেছেন: রেবেকা শফিরা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে দাড়াইতে পাড়েন, জিতেতেও পাড়েন। কিন্ত নিজ দেশে এমন ইচ্ছা প্রকাশ করাটাও গহির্ত এক অপরাধ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, ঢাবিয়ান ভাই। তিনি চাইলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াতে পারবেন যদি গ্রীণকার্ডধারী হন। এতে কেউ বাঁধা দেবে না, বিদেশি বলে গালি দেবে না, মাইক কেড়ে নেবে না। সে দেশের জনগণের পছন্দ হলে প্রেসিডেন্ট হতে কোন বাঁধা নেই। তাই বলে বাংলাদেশ? দাঁড়ামু মুই ইলেকশনে এটা বলাও অপরাধ।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ।

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় গুরুদেব,


আপনার রত্নান্বেষণ মূলক পোস্টে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম। আপনি অবশ্য ডিবেটের আদি বৃত্তান্ত টেনে এনে পোস্টটিকে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও পরিপূর্ণতা দান করেছেন। অন্ধ কবি হোমারের প্রার্থনা এবং দার্শনিক হেরাক্লিটাসের যুক্তি আমার কাছে অত্যন্ত মধুর লাগলো।
সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও উপযুক্ত পরিচর্যার অভাবে ব্রেন ড্রেন উপমহাদেশের একটি ভয়াবহ সমস্যা।তার সাম্প্রতিক নজির পোস্টে আপনি তুলে ধরেছেন রেবেকা শফির উজ্জ্বল ক্যারিয়ার তুলে ধরার মাধ্যমে। উল্লেখ্য উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ না হলে এরকম হাজারো রেবেকা এভাবেই চলে যেতে বাধ্য।

রাজনৈতিক সংকীর্ণতা উঠে যাক। দলমত নির্বিশেষে দেশের অমূল্য রতনদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করে দেশ ও জাতির পক্ষে সর্বোত্তম মঙ্গল সাধন হয়ে উঠুক- কামনা করি।

পোস্টে তৃতীয় লাইক।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।


৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



শুভ সকাল, গুরুজি।
লেখার অনেক বিষয় থাকলেও মনে হয়েছে এ বিষয়টি নিয়ে একটু আলোকপাত করলে মন্দ হয় না। সেই ভাবনা থেকেই লেখা। অন্ধ কবি হোমারের প্রার্থনা এবং দার্শনিক হেরাক্লিটাসের যুক্তি তুলে ধরার আসল কারণ হলো বর্তমান ইউরোপকে রিপ্রেজেন্ট করা। এরা যুক্তি, বিতর্ক আর মুক্তবুদ্ধির চর্চা করছে শত শত বছর থেকে। আজকের তাদের সংসদীয় গণতন্ত্র এতো উন্নত হওয়ার পেছেন মূল অবদান বিতর্কের।

উপমহাদেশের ব্রেনড্রেন একটি ভয়াবহ সমস্যা। জ্ঞানী-গুনী এসব সন্তান দেশে থাকলে উপকৃত হতো আমাদের মাতৃভূমি। আমরা তৃতীয় বিশ্বের তকমাকে পেছনে ফেলতে পারতাম সহজেই। আমাদের উপমহাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় দখলদার আর অযোগ্য নেতৃত্বের বসবাস। এরা নিজেদের ডিঙ্গিয়ে যেতে পারে এমন মেধাবীদের দমন করে। এজন্য পার্লামেন্টে চাটুকার, গলাবাজ, চুর আর গুন্ডারা চষে বেড়ায়।

লাইকে কৃতজ্ঞতা, দিনটি শুভ হোক।

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:০১

নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন ।
++

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, দিদি। লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।

৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১০

রাজীব নুর বলেছেন: শুভ সকাল।
কেমন আছেন?
ইদানিং আপনার পোষ্ট ব্লগে কম পাচ্ছি। অবশ্য আপনি যে রকম পোষ্ট লিখেন তাতে অনেক সময় লাগে এবং পড়া শোনা করতে হয়।

আজ আপনার পোষ্ট পড়েই রেবেকা কে জানতে পারলাম, চিনতে পারলাম।

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



রাজীব ভাই। আমি ভালো আছি। ব্লগে আপনার লেখাগুলো নিয়মিত পড়ি। আমি কম লিখলেও প্রতিদিন ব্লগে আসি, ব্লগের পোস্ট আর কমেন্টগুলো পড়ি। চেষ্টা করবো আরো নিয়মিত পোস্ট লিখতে। ঢাকায় ডেঙ্গুর পরিস্থিতি খুব খারাপ। পরিবারের সবার সুস্থতা কামনা করছি।

৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১৬

ইসিয়াক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট ।ধন্যবাদ

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ। লেখা পাঠে কৃতজ্ঞতা রইলো।

৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৫৯

নীল আকাশ বলেছেন: সুপ্রিয় কাওসার ভাই,
লেখাটা খুব হৃদয়গ্রাহী। আমার পরিচিত এরকম অনেকেই আছেন যারা এইদেশে ফেরার নামও নেয় না। বুয়েটে আমার ব্যাচে আমার সেকশনে ৬০ স্টুডেন্ট ছিল। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য সেখানে মাত্র হাতেগনা ৮ থেকে ১০ দেশে আছি। বাকি সবাই রেবেকা সফীর মতো হয়ত নয় কিন্তু তার চেয়ে বা কম কিসের! আমার প্রায় সব ক্লাসমেটরাই এখন আমেরিকার সব ভাল ভার্সিটির ফ্যাকাল্টি মেমবার কিংবা সরাসরি টিচার হিসেবে কাজ করছে। এই রকম প্রতিবছরই শত শত মেধাবী ছাত্র ছাত্রী দেশ থেকে চলে যায় আর ফিরে আসে না। আসলে ফিরে দেশে কি বা করবে?

গতকালকে ব্লগে অনিকেত কামাল ভাই একটা পোস্ট দিয়েছেন, সেখানে প্রতি-মন্তব্য উনি আমাকে যা বলেছেন সেটা পড়ার পর আমি নিজেই দেশে থাকা অর্থহীন মনে করছি, রেবেকা সফী সহ অন্যদের আর দোষ দিয়ে লাভ কি?

দেশে এখন দূর্নীতিবাজ, সুবিধাবাদী, লম্পট, রাজনৈতিক টাউট/বাটপারে দেশ ভরে গেছে।
ভাল মানুষ দেশে থেকে কি করবে?

এভাবেই আস্তে আস্তে এই দেশ মেধাশূন্য হয়ে যাবে নিশ্চিত যদি না কোণ আমূল পরিবর্তন না আসে এই দেশে জনগন এবং সরকারের মাঝে!

ভাল থাকুন, যত টূকূ পারা যায়!
শুভ কামনা রইল!

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ 'নীলআকাশ' ভাই। বাংলাদেশ থেকে মেধা পাচার বা ব্রেনড্রেন এর একটি উল্লেখযোগ্য অংশই হলেন বুয়েট গ্রেজুয়েট। তাদের অধিকাংশই উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে আর দেশমুখী হন নাই। এ হার ৮০% এর মতো হবে। তারপরেই আছে দেশের প্রথম সারির ইউনিভার্সিটিগুলো।

আপনি দেশে আছেন এটা দেখে খুব ভালো লাগে। তবে কতদিন থাকা যাবে তা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল।

ব্লগের গতকালকের অনিকত কামাল ভাইয়ের পোস্ট পড়া হয়নি; পড়বো আশা করি। রেবেকা সফিরা নিশ্চয় দেশে ফিরতেন যদি তাদের নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা, রাজনীতিমুক্ত চাকরির পরিবেশ থাকতো। এদেশে ফিরে না পাবেন গবেষণার সুযোগ, না পাবেন যথাযথ সম্মান। সব কিছুতেই নির্লজ্জভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে।

আপনি ভালো থাকুন। আমাদের জন্য গল্প লিখুন। দেশেই থাকুন।

১০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট, আসলেই এমন মেধাবীদের এদেশের নেতৃত্তে আসা প্রয়োজন যদিও সেটা সম্ভব নয়।

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, তারেক ভাই।
এমন হাজারো মেধাবী পৃথিবী চষে বেড়াচ্ছেন কিন্তু দেশে আসতে ভয় পান। এদেশে চাটুকারিতা, গলাবাজি, বোমাবাজি আর দলবাজি না করলে ভালো অবস্থানে যাওয়া অসম্ভব। এদেশে এখন এমপি হতে ভোট লাগে না; শুধু নমিনেশন ভাগিয়ে নিতে পারলেই নিশ্চিত বিজয়।

১১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বিতার্কিক'রা জ্ঞানী, মেধাবী হয়ে থাকে। তারা প্রচুর পড়াশোনা করে থাকেন।
আমাদের স্কুলে, আমাদের সময় বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন টপিকস নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হতো। স্কুল পর্বে ৫-৭ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা আমারো আছে।
এখন এইসব আয়োজন হয় না।
শিক্ষাবিভাগ চাটুকারদের আড্ডাখানা হয়ে গেছে।

বিতার্কীকরা পার্লামেন্টএ যাওয়ার সুযোগ পেলে দেশ এগিয়ে যেতো। দুর্নীতি হ্রাস পেতো। কিন্তু দুঃখজনক, আমাদের দেশের রাজনীতির যে অবস্থা, সুস্থ চিন্তার মানুষগুলো টিকতে পারবে না।

পোস্ট ভালো লেগেছে। +

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, জুনায়েদ ভাই।
আপনি ঠিকই বলেছেন, "বিতার্কিক'রা জ্ঞানী, মেধাবী হয়ে থাকে। তারা প্রচুর পড়াশোনা করে থাকেন।" ক্লাস নাই টেনে পড়া একজন তরুণ তরুণী যদি নিজের যুক্তি দিয়ে এতো চমৎকার বিতর্কে অংশ নিতে পারেন তাহলে পূর্ণবয়স্ক একজন মানুষ হওয়ার পর তাদের ভাবনা আর যুক্তির জায়গাটি বিশাল হওয়ার কথা। এদেরকে পার্লামেন্টে নিয়ে যেতে পারলে দেশ ও দশের উপকার হতো।

আপনি একটা সময় বিতর্ক করেছেন শুনে খুশি হলাম। এখন সেই দিন নেই।

১২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। +

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, প্রিয় কবি। প্লাসে একরাশ মুগ্ধতা।

১৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:০১

এমজেডএফ বলেছেন: কাওসার ভাই, সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।


আমরা যখন কলেজে পড়তাম তখন আমাদের কলেজে প্রতি মাসে একবার বিতর্ক প্রতিযোগিতা হতো। এতে আমরা দেখতাম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কিভাবে যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা করতে হয়। এখন বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বছরে একবারও বিতর্ক প্রতিযোগিতা হয় না। এখন সবাই যুক্তির পরিবর্তে গায়ের জোর খাটিয়ে নিজের ভ্রান্ত মতবাদ সবার ওপর চাপিয়ে দিতে চাই।

"যুক্তিবাদী লোক নিজেকে দুনিয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নেয়। যুক্তিহীন লোক দুনিয়াটাকে নিজের সাথে খাপ খাওয়াতে চেষ্টা করে।" -জর্জ বার্ণার্ড 'শ

"এরকম শতশত তুখোড় মেধাবী, যুক্তিবাদী, বিতার্কীক ও মুক্তচিন্তার বঙ্গ সন্তান পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিজেদের প্রতিভার সাক্ষর রেখে চলছেন। ফলশ্রুতিতে উপকৃত হচ্ছে সেই দেশ। আমরা কৌশলে অথবা না বুঝে প্রতি বছর জাতির সেরা সন্তানদের বিতাড়িত করছি। গলাবাজ, চাটুকার আর দুর্নীতিবাজদের হাতে দেশের আইন, আদালত আর সংসদকে বিকিয়ে দিচ্ছি। এরা মাতৃভূমির টানে দেশে ফিরলেও দেশমাতৃকার সেবায় অংশ নেওয়াটা তাদের জন্য খুব দুরূহ হয়। উনারা দেশের অধিকার চুপিচুপি ছেড়ে দিয়ে জিতে গেছেন। নিজের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ আর ন্যায় বিচার পাওয়ার একটা নিরিবিলি ঠিকানা খোঁজে নিয়েছেন।"

আপনার উপরোক্ত কথাটার মধ্যে যথেষ্ট যুক্তি আছে। তবে এর পাল্টা যুক্তি হিসাবে আমি বলতে চাই - আমরা এ দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মেধাবী সন্তান সবাই যদি জন্মভূমিকে ত্যাগ করে নিজের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ আর ন্যায় বিচার পাওয়ার একটা নিরিবিলি ঠিকানা খুঁজে বেড়াই তাহলে এ দেশের পরিবর্তনটা হবে কীভাবে বা পরিবর্তনটা করবে কারা? আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের স্বাধীনতা আশা করে সবাই যদি নিজের জীবনের মায়া ও পরিবারের নিরাপত্তার কারণে পালিয়ে বেড়াতো বা নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়ে শুধু স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতো তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। পরিবারের ভবিষ্যত নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দেশের দেশপ্রেমিক কিছু মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলো বলেই আমরা আজ স্বাধীন। তাই এ দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনটা আনার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তারমধ্যে এ দেশে জন্ম নেওয়া মেধাবী সন্তানদের এগিয়ে আসাটা খুবই জরুরি।

নিজের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ আর ন্যায় বিচারের নিরিবিলি ঠিকানা ত্যাগ করে অনেক মেধাবী সন্তান মাতৃভূমি বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য দেশে ফিরেও এসেছেন। যদিও তাদের সংখা খুবই কম! উদাহরণ: মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ফজলে হাসান আবেদ, ডা: জাফরউল্লাহ, মুহাম্মদ ইউনুস এবং আরো অনেকে। দেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের আশায় "গণতন্ত্র মুক্তি পাক" বুকে লিখে জীবন দেওয়ার জন্য এ দেশে লক্ষ লক্ষ নূর হোসেন প্রস্তুত, শুধু অভাব বঙ্গবন্ধু, ফজলুল হক, ভাসানীর মত নেতা। দেশের মেধাবী ও কৃতি সন্তানদের দিকে আমরা সেরকম একজন নেতার প্রত্যাশায় এখনো চেয়ে আছি

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনার চমৎকার যুক্তিপূর্ণ মতামত আমার লেখাকে সমৃদ্ধ করেছে নিঃসন্দেহে। কৃতজ্ঞতা রইলো। আমিও স্কুলে থাকাকালীন উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। এসব বিতর্ক ভাবনা মানুষকে ঋদ্ধ করে। মানুষের মুক্তচিন্তা আর বিবেককে শানিত করে। অথচ, ফেইসবুকের এই যুগে এগুলোর আগ্রহ কিংবা প্রতিযোগিতার তেমন প্রচলন নেই।

"যুক্তিবাদী লোক নিজেকে দুনিয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নেয়। যুক্তিহীন লোক দুনিয়াটাকে নিজের সাথে খাপ খাওয়াতে চেষ্টা করে।" -জর্জ বার্ণার্ড 'শ

কি অসাধারণ উক্তি। এর গভীরতা বুঝতে ঘিলু লাগবে।

আপনার যুক্তি ঠিকই আছে। সব মেধাবীরা দেশ থেকে চলে গেলে দেশতো মেধাশক্তি হারিয়ে ফেলবে। যৌক্তিক কথা। কিন্তু এদেশে হাজার হাজার মেধাবী পড়ে আছেন। এরা কি সুযোগ পাচ্ছেন। রাজনীতি বোঝেন, সমাজনীতি নিয়ে কাজ করেন, পার্লামেন্ট গিয়ে দেশের জন্য ভালো কাজ করতে পারবেন এমন লোকের তো অভাব এদেশে নেই। কিন্তু তাদের কেউ পার্লামেন্টে নেই। এই পার্লামেন্ট নিয়ন্ত্রণ করছে একটি সংঘবদ্ধ দুষ্ট চক্র। এরা তাদের চেয়ে বেশি জানে লোকদের সুযোগ কখনো দেয় না।

শুধু পার্লামেন্ট কেন? ইউনিভার্সিটির শিক্ষকতা পেশায়ও দালাল আর দলকানা লোকদের রমরমা চলে এদেশে। গবেষণায় ফান্ড পেতে দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করতে হয় আগে। তো, যারা বিদেশে পাড়ি দিয়ে বেঁচেছেন তারা কোন আশায় দেশমুখী হবে। দেশের চলমান নীতি উনারা ঠিকই খেয়াল রাখেন। এজন্য ভরসা পান না।

শুভ কামনা রইলো। আপনি নিয়মিত লিখবেন আশা করি।

১৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: নীল আকাশদের মত মেধাবী যারা এখনও দেশে আছে, তাদের সবাইকে আমি মনে করি যে কঠিন দেশপ্রেমিক। একমাত্র দেশপ্রেমের কারনেই এরা হাজার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও দেশ ছাড়ে নাই। এদের মত গুটিকয়েক মেধাবীদের কারনে এখনও দেশটা পুরোপুরি মেধাশূন্য হয়ে ডাস্টবিন হয়ে যায়নি যদিও অশুভ শক্তি এদের দেশ থেকে বের করে দিতে মহা তৎপর।

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



নীলাকাশ ভাই আমাদের সামুর অলঙ্কার। তিনি বুয়েট পাশ করেও বিদেশমুখী হন নাই। দেশকে ভালোবেসে আমাদের সাথেই আছেন। আমরা একজন গল্পকার পেয়েছি। বিদেশে পাড়ি দিলে হয়তো গল্প লেখার তেমন সময় সুযোগ হতো না। তিনি বাকি জীবনটা দেশমাতৃকার সেবায় কাটিয়ে দেবেন এই আশাবাদ রইলো।

১৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর একটি পোস্ট।

দারুণ লাগলো পড়তে।

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, মাইদুল ভাই। ব্লগে আপনাকে তেমন দেখি না। নিয়মিত লিখুন।

১৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬

মিথী_মারজান বলেছেন: যতনে রতন মেলে।
বাংলাদেশে মেধাবীদের যত্ন নাই তাই উনারা অন্যদেশে রত্নভান্ডার সমৃদ্ধ করতে বাধ্য হন।
সুন্দর পোস্ট। :)

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আপা। যতনে রতন মেলে; খুব দামী একটি কথা। "বাংলাদেশে মেধাবীদের যত্ন নাই তাই উনারা অন্যদেশে রত্নভান্ডার সমৃদ্ধ করতে বাধ্য হন।" এদেশে চাটুকার আর দলকানা ছাড়া বাকি সবাই মূল্যহীন।

১৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: দারুন বিশ্লেষন।


মেধাবীদের মুল্যয়ন দেশে নেই।

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, তারেক ফাহিম ভাই। মেধাবী আর ক্রিয়েটিভদের কদর করতে হবে।

১৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫০

বলেছেন: আজ-ই রেবেকা কে জানতে পারলাম, চিনতে পারলাম।

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, প্রিয় কবি। এই রেবেকা আমাদের চক্ষু খোলে দিয়েছেন।

১৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিবিধ দেশে পার্লামেন্টে কি নিয়ে বিতর্ক হয়?

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



সংসদীয় গণতন্ত্রে বিভিন্ন দেশ তাদের ইচ্ছে এবং শাসনতন্ত্রের সুবিধার জন্য পার্লামেন্ট বিভিন্ন নামে ও ধারায় বিভক্ত করেছে। যেমন- ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে সংসদীয় গণতন্ত্র থাকলেও এগুলোর মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। আবার কোন কোন দেশের পার্লামেন্ট এক কক্ষ বিশিষ্ট; যেমন- বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক, গ্রীস, ইসরায়েল, সুইডেন, তুরষ্ক, ভিয়েতনাম ইত্যাদি। আবার দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট যেমন- কানাডা, জার্মানি, ভারত, ইতালি, জাপান, সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ইত্যাদি।

বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টে কমন যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয় তা হলো- সংসদে প্রশ্ন উত্থাপন, উত্তর দানের পদ্ধতি, সম্পূরক প্রশ্ন এবং প্রশ্ন উত্থাপনের বিধিনিষেধ; জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মূলতবী প্রস্তাব, এবং দৃষ্টি আর্কষণী নোটিশ;
সরকারি বিল এবং তৎসংক্রান্ত আলোচনা ও অনুমোদন, সংবিধানের সংশোধন, পিটিশন ও ব্যক্তিগত বিল; বাজেট উত্থাপন ও বিতর্ক, অনুদানের দাবি, অর্থ বিল ও বিশেষ খাতে রক্ষিত বিল; সংসদে গৃহীত সিদ্ধান্ত; রাষ্ট্রপতির অভিসংশন; জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি উত্তাপন ও আলোচনা ইত্যাদি।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩৬

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে উনার ভিডিওটি দেখালাম। চমৎকার কথামালায় সাজানো ছো্ট্ট বক্তৃতা ও অসাধারণ বাচনভঙ্গি। অডিটোরিয়ামের সকল মানুষ মনে হচ্ছিল মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছিল।

গুণী মানুষটির জন্য টুপিখোলা অভিনন্দন।

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আপনাকে। আমি তো ভিডিওটি দেখে খুব চমকিত হয়েছিলাম। কতবার যে ভিডিওটি শুনেছি তার গুনে শেষ করা যাবে না। তার ব্যক্তিত্ত্ব, বাচনভঙ্গি আর উচ্চারণ মুগ্ধ করার মতো। অতিথির সারিত তখনকার প্রাইম মিনিস্টার ছিলেন।

২১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫

অন্তরা রহমান বলেছেন: দারুন ইতিহাস জানলাম। আর মেধা পাচার - এই দেশে এসব নিয়ে ভাবার লোক কোথায়? X(

০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ। ডিবেট থেকেই পার্লামেন্ট ডিবেটের যাত্রা শুরু হয়। আর পার্লামেন্ট থেকেই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার শুরু। আমাদের দেশের তুখোড় বিতার্কীকরা আজ পার্লামেন্টে গেলে সংসদ প্রাণবন্ত হতো। দেশের উন্নতি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সহজ হতো।

২২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



লেখাটি খোঁজে খোঁজে পড়ে মূল্যবান মতামত রাখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য। ঈদ মোবারক।

২৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।
''যে ধনে উৎপত্তি প্রাণধন
সে ধনের হল না যতন ''

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



দেরীতে আপনার মূল্যবান কমেন্টের প্রতি উত্তর করার জন্য দুঃখিত সৌরভ ভাই। আশা করি ভালো আছেন। আজ সামু আবার মতুন করে জন্ম নিলো। সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ। সামু আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার।

২৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: দেশমাতৃকার এরূপ মেধাবী সন্তানদের মেধার সুফল ভোগ করছে বিশ্ব এবং বিশ্বের উন্নত দেশগুলো। নিজ দেশে এরা অনাদৃত, অবহেলিত থেকে যায়।
বিতর্কের আদি বৃত্তান্ত নিয়ে যে আলোচনা টেনেছেন, তা অত্যন্ত তথ্যসমৃদ্ধ এবং সুখপাঠ্য হয়েছে। এজন্য এই পরিশ্রমসাধ্য পোস্টে বিংশতিতম প্লাস + + রেখে গেলাম।
চতুর্দশ অনুচ্ছেদে একটি ভুল বানান বাক্যের অর্থ বদলে দিয়েছে, সেটা সম্পাদনা করে নিলে ভাল হয়। সেটা হলোঃ নিভৃত < নিবৃত হবে।
ঢাবিয়ান, এমজেডএফ, মিথী_মারজান প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, স্যার।
আপনি চমৎকার বলেছেন, 'দেশমাতৃকার এরূপ মেধাবী সন্তানদের মেধার সুফল ভোগ করছে বিশ্ব এবং বিশ্বের উন্নত দেশগুলো। নিজ দেশে এরা অনাদৃত, অবহেলিত থেকে যায়।' আর বিতর্কের আদি বৃত্তান্ত পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। চতুর্দশ অনুচ্ছেদর বানানটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ, স্যার। ঠিক করে নিয়েছি। ঢাবিয়ান, এমজেডএফ, মিথী_মারজান প্রমুখ চমৎকার মন্তব্য করে পোস্টে শোভাবর্ধন করেছেন। আর আমার পোস্টে আপনার কমেন্ট নিঃসন্দেহে অনেক বড় পাওনা।

ভালো থাকুন, সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.