নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।
ছোট্ট আইমিন পিচ্চি একটা গল্প দিয়ে লেখাটি শুরু করি। অজোপাড়া গাঁয়ের ছোট্ট একটি গ্রাম মুকুটপুর। বছরের নয় মাসই গ্রামটি পানির নীচে থাকে। গ্রামের একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হলো নৌকা। যখন পানি নেমে যায় তখন বিদ্যালয়ের আঙিনা হয়ে উঠে গরু ছাগল চরানোর উপযুক্ত জায়গা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্থানীয় না হওয়ায় গ্রামের লোকজন তার কোন বাধা নিষেধকে পাত্তা দেয় না। তিনিও হাওয়া বুঝে চলেন। একদিন তৃতীয় শ্রেণীর ক্লাসে একজন শিক্ষক ছাত্রদের একটি ছড়া কবিতা পড়ে শুনাচ্ছেন;
গুরুজনে করিও নমো
মানুষ যদি হইতে চাও
পড়াশুনা করতে সবে
দৌড়ে পাঠশালায় আও।
স্কুলের আঙিনায় তিনটি গরু আর দু'টি পাঠা চরাতে চরাতে সুর করে ক্লাসের ছাত্রদের সাথে শিক্ষকের মুখে ছড়াটি শুনে দারুন পুলকিত হলেন জব্বর শেখ। যেহেতু বেশ কয়েকবার ছড়াটি শুনেছেন সেহেতু তার শানে নযুল বুঝতে অসুবিধে হয়নি। দেরী না করে তিনটি গরু আর দু'টি পাঠা ক্লাসরুমে ঢুকিয়ে দিলেন।
এইবার গরু আর পাঠা মানুষ না হয়ে যাবে কই!
আমার লেখার বিষয়বস্তু যেহেতু উপরের ছবিটি সেহেতু গল্পটি আর কন্টিনিউ করা সমিচীন নয় বলে মনে করি। তবে ছবিতে কোরবানির গরু আর খাসিটি যিনি সামিয়ানা টাঙিয়ে রাস্তা দখল করে রেখেছেন তিনি জব্বর শেখ কিনা তা গল্পের বাকি অংশ থেকে জানা যায়নি। তবে, গরু আর পাঠাগুলো সেদিন মানুষ হইয়া ঢাকায় এসে বিরাট বিদ্বান সেজে কোরবানির জন্য স্ব-জাতির এই দু'জনকে কিনে থাকতে পারেন। এটা স্রেফ অনুমান; সিরয়াসলি নিলে লেখকের কোন দায় নেই!
এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যিনি রাস্তা দখল করে জমিদারী স্টাইলে কোরবানির পশুদের বাড়ির সামনে খুঁটিতে বেঁধে রেখেছেন তার হাত অ-নে-ক লম্বা; তার বুকের ছাতি বি-রা-ট বড়। তিনি গরু হলে গরুদের মধ্যে উৎকৃষ্ট; পাঠা হলে পাঠাদের মধ্যে সবচেয়ে তেজী। তার আশপাশে কুয়েশ্চন করার মতো কোন পাঠার বুকের পাটা নেই এটা স্পষ্ট।
তিনি কী রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী?
না, সে সম্ভাবনা নেই। কারণ, গণভবন আর বঙ্গভবনের আকার-বিকার-শান-শওকত এমন নয়। সো, তিনারা বাদ। তবে উনাদের শুভদৃষ্টি পাওয়া কেউ একজন হলেও হতে পারেন; এটা অনুমান মাত্র।
মনে আছে একবার কোরবানির ঈদের দিন ভোরবেলা হঠাৎ মনে হলো; আচ্ছা, পাড়ার কে কত বড় গরু কোরবানি দিচ্ছেন একবার দেখে আসি। যেই ভাবা সেই কাজ। বের হয়ে প্রতিবেশী পাড়া-মহল্লা ঘুরে সবচেয়ে দামি দু'টি গরু আর গোটা চারেক খাসি যার উঠানে বাঁধা দেখলাম তিনি আদতে একজন বেকার মানুষ; দৃশ্যমান কোন পেশা নেই। ক্ষমতাসীন দলের বড় নেতা!
আচ্ছা, তাহলে তিনি কী রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোন ঠিকাদার? নির্বাচন কমিশনার? কারা পরিদর্শক? দুদকের পরিচালক? ডিসি-মিসি? বড় পুকুরিয়ার কয়লা হাওয়া করে দেওয়া কেউকেটা? নাকি........................!!!!
নাকি নতুন হাজার কোটির মালিক হওয়া কোন পাঠা থুক্কু টাইকুন? যিনি টাকার জোরে মিনিস্টার, সচিব, পাবলিকদের নিজের মুরিদ করে রেখেছেন? তিনি চাইলেই এমপি/মিনিস্টার হতে পারেন; প্রয়োজন মনে করলে যে কাউকে পৃথিবী ছাড়া করতে পারেন। এমনও হতে পারে তিনি যখন গরু আর খাসির গলায় ফুলের মালা ঝুলিয়ে তাদের কপালে ক্রয়মূল্য লিখে বাড়ি ফিরছিলেন তখন কেউ একজন (একাধিকও হতে পারে) গরুর দাম বেশি হয়ে গেছে বলে মুচকি হাঁসি দেওয়ায় অপমানে গরুটি বাড়ির সামনে বেঁধে রেখেছেন; আবার এমনও হতে পারে খাসিটাকে পাঠা বলায় এটি সত্যিকারের খাসি তা প্রমাণ করতে ফুটপাতে বেঁধে রেখেছেন।
লেখতে লেখতে হঠাৎ মনে হলো, আরে তিনি তো পশুপ্রেমীও হতে পারেন! এই বিষয়টি আগে খেয়াল হলো না কেন? রাস্তায় গাড়ি বন্ধ করে গরু-পাঠাদের চলাচলা/বাসস্থান করার নাগরিক অধিকার আছে তা-ই তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। এছাড়া তাদের আত্মা শীতল রাখতে ফ্যানের বন্দবস্ত করা উচিৎ; পুরাতন নয় নতুন সামিয়ানা টাঙানো উচিৎ তা পাবলিককে দেখিয়ে দেওয়া; গরু আর পাঠা নেহায়েত পশু নয় এজন্য পায়ের তলায় মখমলের কার্পেট বিছিয়ে দেওয়া। তিনি হয়তো বিশ্বাস করেন, "জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।"
তাদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের কোন ব্যবস্থা আছে বলে চোখে পড়ছে না; তবে বিশ্বাস করি, প্রয়োজনে রাস্তার মাঝখানে গর্ত করে হলেও তা কার্যকর করা হবে। হাজার হোক বিবেক বলেও তো একটা বিষয় আছে, তাই না?
আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিরাট বড় বুকের পাটার এই পাঠা ঈদের আগে কোনভাবেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হবেন না; এমন মহান ব্যক্তিদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এডিস মশার কোন ক্ষমতা নেই তার ত্রিসীমানায় ভেতরে প্রবেশ করার।
জয়হোক, পাঠাদের।।
ফটো ক্রেডিট,
গুগল।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
অন্য একটি বিষয় নিয়ে ব্লগে পোস্ট করবো বলে মনস্থির করেছিলাম। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে ফেইসবুকে ছবিটা দেখে প্রচন্ড রকম আপসেট হয়ে একটি পোস্ট লিখে ফেললাম। আমরা না পারি গালি দিতে, না পারি লাথি দিতে আর না পারি বিবেককে ঘুমপাড়ানি গান শুনিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে। তাই কলমই সম্বল। এতে কিছুটা হলেও হৃদয়ের চিনচিন করা ব্যথার প্রশমন হয়।
ধন্যবাদ, আপা।
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২
ল বলেছেন: পাঠাদের জয়জয়কার।।।।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
এই ঈদের যদি সব পাঠাদের কোরবানি করা যেত!
৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২
রায়হান চৌঃ বলেছেন: চলেন সুর করে করে গান করি......
গরু (দু পায়া) তুই মানুষ হইলি না
ভদ্রতা কিছুই শিখলি না
০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:২২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, আপনাকে। কাউ সঙ্গিত গরু তুই মানুষ হইবে কবে? ওরে পাডার পাডা; ভদ্রতা কবে শিখবে? এগুলো আমাদের কমন ডায়লগ। তবে, গরু আর পাঠা যেমনই হোক মানুষের চেয়ে উত্তম চরিত্রের অধিকারী তা হলফ করে বলা যায়।
৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৫১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: #সরি *অনুভূতি হবে কথাটা
০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:২৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আপা, সমস্যা নেই। টাইপো ছিলো, বুঝতে পেরেছি।
৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: প্রতিবাদ না করার কষ্টটাও বেশ পুড়িয়ে মারে
০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আপা, পৃথিবীর ঘটে যাওয়া প্রতিটি বিষয়ের উপর মানুষ তা মনোভাব প্রকাশ করতে চায়। এটা নির্ভর করে পরিবেশ, সমাজ, রাষ্ট্র আর ভাবনার গভীরতা থেকে। আমরা কি তা পারছি? আমাদের চারিপাশে এতো অবিচার, এতো ডাকাতি, এতো অনিয়ম, এতো গলাবাজি এগুলো দেখেও চুপ থাকতে হয়। কিন্তু যাদের বিবেক সদা জাগ্রত তারা কয়লার আগুনে নীরবে ভস্ম হয়। প্রতিবাদ করতেও ভয় হয়।
৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
প্রিয় গুরুদেব,
প্লিজ এত চাপ নেবেন না। আমাদের এখানে যেমন প্রত্যেকের বাড়ির বা দোকানের সামনে রাস্তা তার পৈত্রিক সম্পত্তি। এমনকি শহরের যত্রতত্র অটো বা বাস স্ট্যান্ড গুলিও ইউনিয়ন পার্শ্ববর্তী এলাকা গুলিকে পৈত্রিক সম্পত্তি করে নিয়েছে। যে কারণে সেই সমস্ত স্থানে ব্যক্তিগত গাড়ি পারকিং করার এমনকি হাঁটারও তেমন সুযোগ নেই। এখন বলুন পৈত্রিক সম্পত্তি যাদের সেখানে আপনি বা আমার কথা বলা কি সঙ্গত?ওরা দয়া করে যে আমাদের একটু হাঁটতে দিচ্ছে সেটা বড় নয় কি?
আমি বরং ওনাদের মহত্ত্বকে কুর্নিশ করব। ওনারা তো আর সারা বছর এমন করছেন না।এমন সম্পত্তিকে ছাড়া বছর বরং আমাদের জন্য ছেড়ে দিয়ে হাটা চলার সুযোগ করে দিয়েছেন। ওনাদের মহানুভবতার কারণে বছরের মাত্র কটা দিন না হয় একটু অসুবিধা মানিয়ে নিয়ে ওনাদের জয়ধ্বনি গাইবো। কি বলেন, সেইটা করণীয় নয়কি? তাই বলে ওনাদের মহত্ত্বকে খাটো করা একেবারে সমীচীন নয় বলে আমার বিশ্বাস। হাহাহাহাহা.....
শুভকামনা জানবেন।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৩৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ গুরুজি;
আসলে আমাদের উপমহাদেশের মানুষের চরিত্র ঊনিশ-কুড়ি। এরা শক্তের ভক্ত নরমের জম। ক্ষমতা থাকলে এখানে আইন-আদালত, সচিব-মিনিস্টার কেনা যায়। একজীবনে চৌদ্দ পুরুষের সম্পত্তির মালিক হওয়া যায়। এগুলো আমাদের চারিপাশে অহরহ দেখতে পাই। চুপচাপ পাশ কাটিয়ে গেলেও হৃদয়ে ক্ষত ঠিকই দগদগে হয়। জীবনটা দুর্বিষহ হয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ হলো পাগল আর নির্বোধ। এরা এতো কিছু নিয়ে মাথা ঘামায় না বলে জীবনকে উপভোগ করে। যাদের বিবেক আর বোধের সমন্বয় থাকে তার আমৃত্যু অসুখী হয়।
.......................... ভালো থাকুন প্রিয় ভাই।
৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বাড়িটির চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে পাঠাদের বুকেরপাটায় যথেষ্ট জোর আছে।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
তারেক ভাই, চমৎকার বলেছেন "বাড়িটির চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে পাঠাদের বুকেরপাটায় যথেষ্ট জোর আছে।" এই পাঠার খুঁটির জোর অনেক। হাত অনেক লম্বা।
৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭
শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা কাউভাইয়া!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
তুমি কাউ এন্ড পাঠা নিয়ে লিখেছো!!!!!!!!!!!!
হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৪৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
একবার ভেবেছিলাম বিঃদ্রঃ দিয়ে বলবো, এই কাই হেই কাউ নয়! মুই কাউ হলেও ক্ষতি কী? এই ঈদের বাজারে একটি হৃষ্টপুষ্ট, স্মার্ট, তাগড়া জোয়ান আর অতীব সুদর্শন 'কাউ' এর দাম নেহায়েত কম নয়!
দ্যা কাউ ইজ এ ডমেস্টিক এনিমেল। সো, সুন্দরী আর ইস্মার্ট গাই গরুদের ডমেস্টিক কাউ খুব পছন্দের। এরা ঘরকোনো থাকে। ওয়াইপের মন জুগিয়ে চলে!!
৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: লোক দেখানো কোরবানি এর নামে অহেতুক পশু কোরবানি না করে মনের পশুকে কোরবানি করাটাই সবচেয়ে বড় আত্মশুদ্ধির কাজ হতে পারে বলে আমার মনে হয়। বাংলাদেশের মতো মালয়েশিয়াতে লাখে লাখে পশু কোরবানি করা হয় না। এখানে অনেক ভাব গাম্ভীর্য বজায় রেখে তারা কোরবানি করে।।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৫৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, সাজ্জাদ ভাই।
যে কোনো মহৎ অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্য অনুষ্ঠানের পালনকর্তার কাছে সুস্পষ্ট না থাকলে সে অনুষ্ঠান নিছক গতানুগতিক আনুষ্ঠানিকতার রূপ নেয়। মূল লক্ষ্যের চাইতে এর উপলক্ষই তখন বড় হয়ে দেখা দেয়। পবিত্র ঈদুল আযহা বা কুরবানীর উৎসবের বেলায় যদি কেউ এর মূল লক্ষ্য তথা কুরবানী, এর পটভূমি ও এই অনুষ্ঠানের যাবতীয় কর্মকান্ড থেকে লব্ধ তাকওয়ার অধিকারী হতে না পারলো, তাহলে এ দ্বারাও শুধু আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে গোশত খাওয়ার উৎসবের আনন্দ ছাড়া কুরবানীদাতা আর কিছুই পেল না।
নিজের পশুত্বকে কোরবানি করতে না পারলে কোরবানির কোন সার্থকতা নেই। মালয়েশিয়ার মতো লন্ডনেও এভাবে লোক দেখানো কুরবানির কোন সুযোগ নেই। আমরা কাজে নয়, শোআপে বিশ্বাসী। এজন্য ধর্মীয় বিধানগুলোতে অবৈধ টাকা খরছ করি দেদারছে।
১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আজ ঢাকার গাবতলী বাজারে টাইগার নামে একটি প্রকাণ্ড গরু হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছে।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৫৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
শুনে খারাপ লাগছে। এই গরুগুলোকে ইনজেকশন পুশ করে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য অবৈধ পন্থায় মোটাতাজা করা হয়। এসব গরু অতিরিক্ত গরমে অনেক সময় মারা যায়। এটা খুব গর্হিত একটি কাজ। কোরবানির পশু নিয়ে এমন ধান্দাবাজীর তীব্র নিন্দা জানাই।
১১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার মনে হয় লোক দেখানো কোরবানি না করে সেই টাকা গরিব মানুষের মাঝে দান করা যেতে পারে। মশা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে । পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য ব্যয় করা যেতে পারে।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:০০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আমি এটাকে সমর্থন করি। বিশেষ করে যারা একের অধিক পশু কোরবানি করেন তারা একটি পশু কোরবানি করে বাকি টাকাটা জনস্বার্থে খরছ করতে পারেন। এছাড়া কয়েক লক্ষ টাকার পশু কিনে কোরবানির নামে নাম কামানো মোটেও ইসলামের বিধিসম্মত নয়। মোটামুটি দামে একটি পশু কিনে বাকি টাকা গরীববের মাঝে ঈদ উপলক্ষে বণ্টন করলে অধিক সওয়াব মিলবে। এছাড়া গরীব নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশীদেরকে সাহায্য করলে ভালো হয়।
১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
গল্প যদি সত্যি হয়, ইব্রাহিম (আ: )'কে একবার পরীক্ষা করা হয়েছে।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:০৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
এই ছবিটা এবারের ঈদের। মানুষ কতটুকু অবিবেক হলে এভাবে রাস্তা আটকিয়ে গরু রাখতে পারে? ইব্রাহিম (আঃ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন বলে বিশ্বব্যাপী পশু কোরবানির প্রথা শুরু হয়; তবে আমাদের দেশের অনেকেই কোরবানিকে একটি সামাজিক স্টেটাস মনে করেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০৩
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: হাসলাম একচোট
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:০৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ব্লগের তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টাকে হাসাতে পারলাম বলে পুলকিত হলাম।
১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১৪
আনমোনা বলেছেন: হাসছি লেখা পড়ে , অসহায় বোধ করছি ছবি দেখে
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:১১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ। ছবিটা দেখে আমি হাসবো না কাঁদাবো বুঝতে পারছিলাম না। আমাদের সমাজের বিবেক-বিবেচনা কত নীচে চলে গেছে ভাবলে গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায়। টাকা হলেই মানুষ আইন ভাঙতে চায়; সাধারন পাবলিক আর প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙুলি দেখাতে চায়।
১৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২০
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
মাইন্ড খাবেন না। এটা এই দেশে তেমন কিছু না।
একজন বিশিষ্ট গরু, একটা গরু কিনে, গরুর সমান বুদ্ধি নিয়ে, গরুর মতো রাস্তায় গরু বেধে রেখেছে।
যেই দেশে ২২ হাজার কোটি টন কয়লা বৃষ্টির পানিতে ঢুয়ে যায়, সেখানে এটা আর নতুন কি?
শুভ রাত্রী।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:১৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
জুনাইদ ভাই চমৎকার বলেছেন, "একজন বিশিষ্ট গরু, একটা গরু কিনে, গরুর সমান বুদ্ধি নিয়ে, গরুর মতো রাস্তায় গরু বেধে রেখেছে।" এই পাসঠাদের জন্য দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যাচ্ছে না। এরা নিজেদের আইনের উর্ধে নিয়ে গেছে। এরা পপ্রয়োজনে আইন কিনে নিজের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে।
২২ হাজার টন কয়লায় আল্লার গজব পড়েছে। কেউ একপিছ কয়লাও গিলে খায়নি এটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি। তবে হাওয়ায়ও উইড়া যাইতে পারে!!
১৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২১
অন্তরা রহমান বলেছেন: হা হা হা। দারুন সার্কাস্টিক পোস্ট। মজা পেলাম পড়ে।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:১৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ। সকালে ছবিটা ফেইসবুকে দেখে মাথা বিগড়ে গেছে। মনের দুঃখে তাৎক্ষণিকভাবে পোস্ট লিখেছি। হৃদয়ের অভিশাপ কিছুটা হলেও কয়লা চাঁপা দিলাম।
১৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৪
মাহের ইসলাম বলেছেন: রাস্তার ছবিটা কিন্তু ঝকঝকে।
মনে হচ্ছে এক্কেবারে নতুন রাস্তা।
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, মানুষটি পশুপ্রেমি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:২৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
কেমন আছেন, মাহের ভাই?
ব্লগে আপনাকে তেমন পাই না। আশা করি, ভালো আছেন। এটি ঢাকার অভিজাত কোন এলাকার রাস্তা। কোরবানির গরু যিনি কিনেছেন তিনি এই ধনীদের মধ্যে আরো ধনী, ক্ষমতাবান। লোকটি আসলেই পশু প্রেমী!!
১৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: মুকুটপুর নামে কি আসলেই কোনো গ্রাম আছে?
আর নয় মাস কেন পানির তলে থাকে। শুধু বর্ষাকালটা পানির তলে থাকতে পারে।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৩৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
রাজিব ভাই।
লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আসলে মুকুটপুর নামে বাস্তবে কোন গ্রাম আছে কিনা জানি না। উপরের দেওয়া গল্পটি আমার মস্তিষ্কের কল্পনা প্রসুত। নামটি নির্বাচন করেছি সুন্দর নামের আড়ালে অসুন্দরের বসবাসকে বুঝাতে। আর বছরে নয় মাস না হলেও ছয়-সাত মাস হাওরাঞ্চলের কোন কোন গ্রাম পানির নীচে থাকে। আমি ইচ্ছে করে একটু বেশি লিখেছি।
১৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম ছবিটা কিন্তু খুব সুন্দর।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৩৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
হ্যা, প্রথম ছবিটা যেমন সুন্দর তেমনি অনেক কিন্তুর জন্ম দিয়েছে।
২০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশে কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় যে ভয়াবহ ও নিদারুন নির্মমতা চলে তা সত্যি কল্পনাতীত।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৪১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
বিশেষ করে ছোট্ট বাচ্চাদের সামনে পশু কোরবানি করাকে আমি সমর্থন করি না। এছাড়া অবৈধ টাকায় কোরবানি যারা দেন তাদেরকে এড়িয়ে চলি। কোরবানি হোক বৈধ টাকায়।
২১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
দারুন রম্যে নিদারুন সত্যের প্রতি চপেটাঘাত!!!!
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৪৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
প্রিয় কবি;
এই নিদারুন বিষয়গুলো হাস্য রস দিয়ে রম্য করে তুলে ধরে বিনোদন নেওয়ার চেষ্টা করি। আমার মতো ছাপোষার কথায় কেউ পরিবর্তন হবে না। তাই একটু বিনোদন দিলাম। এটা লাফিং বিষ!!
২২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:১০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কোরবানীর গরু রাস্তায় রাখার অর্থ হচ্ছে এলাকার লোকজন যাতে দেখতে পারে উক্ত ক্রেতা মহাজন কতোবড় বলদ আর তিনি কতোবড় একটা ষাড় কিনেছেন !!!
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৪৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গুরু,
আমাদের বিবেকবোধ আর মূল্যবোধে যথেষ্ট ঘাটতি আছে। এজন্য দেশের সবচেয়ে মেধাবী, বড় চাকরিজীবী আর বড় রাজনৈতিক নেতারা বড় চোর। এরা আইন মানে না, রাষ্ট্রকে নিজের সুবিধায় ব্যবহার করে। এই গরুটি রাস্তা আটকিয়ে রাখা মানে অভিজাত এলাকা দিয়ে যাওয়া সবাইকে নিজের জৌলুস দেখানো। তিনি যে বলদের চেয়ে বড় বলদ, পাঠার চেয়ে বড় পাঠা তা প্রমাণ করা।
২৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২১
রাকু হাসান বলেছেন:
ছবিটা সুন্দর । দেখে মনে হচ্ছে অভিজাত আবাসিক এলাকার মতো । শ্রদ্ধেয় কাওসার ভাইয়া আগের লেখার থেকে এই লেখার ভিন্নতা পেলাম । উপস্থাপন ভালো লাগছে । বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
দারুন রম্যে নিদারুন সত্যের প্রতি চপেটাঘাত!!!!
কেনরার/কেন্দ্রের?
সালাম জানবেন । শুভরাত্রি ।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৫৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আমার ভাইটা আসলো অবশেষে। কেমন আছেন আপনি?
এটি নিঃসন্দেহে অভিজাত এলাকা। গরুর মালিক পাঠাও এই অভিজাত এলাকার বড় কিসিমের পাঠা। না হলে রাস্তা বন্ধ করার বুকের পাটা হতো না। ছবিটা ফেইসবুকে পেয়ে রম্য করে কিছু কষ্ট শেয়ার করলাম। টাইপো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:১৯
কানিজ রিনা বলেছেন: হাসতে হাসতে আমি অন্তত আধা
ঘন্টা ধরে দেখছি তো দেখছি।
কি দেখিলাম,রে নয়নে একি
দেখিলামরে। একজন ট্রাফিক
পোশাক ছারা রোডটা ওয়ান
ওয়ে করে দিচ্ছে। আহা কি
দারুন লাগছে।
বেসম্ভব পোষ্টু।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:২৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আপা, একটি অন্যরকম পোস্ট লিখবো ভেবেছিলাম। কিন্তু সকালে ফেইসবুকে ছবিটা দেখে সহ্য হচ্ছিল না; বেসম্ভব সুন্দর একটি ছবি! ভাবলাম সবকিছু বাদ দিয়ে এই বুকের পাটাওয়ালা পাঠাকে নিয়ে লেখি। এই পাঠাদের শাস্তি তো দিতে পারবো না; তাই রম্য করে একটু তারিফ করলাম।
আচ্ছা, লেখাটি পড়ে হাঁসলেন নাকি গরুর ছবি দেখে হাঁসলেন?!?
২৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৪৪
কানিজ রিনা বলেছেন: রোড দখল করে ছোট্ট একটা
গরু, উঁচু করে চালা ঘর।
সাথে ট্রাফিক সার্জেন্ট।
রোডটা অন্তত ১২ তারিখ
পর্যন্ত বন্ধ কি বলেন?
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:১৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আপা, একটু খেয়াল করলে দেখবেন গরুটার পেছনে আরো দু'টি গরুর জায়গা হবে! পাঠা কিন্তু প্রয়োজন না হলেও প্রায় অর্ধেক রাস্তা দখলে নিয়েছে। ১২ তারিখ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে রাস্তাটিতে তার জমিদারী বলবৎ থাকবে। সামিয়ানার সাইজে মনে হচ্ছে এই গরুই শেষ গরু নয়, আরো কমপক্ষে এক হালি আসিতেছে.....…… #
২৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:১৯
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা কাউভাইয়া!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
তুমি কাউ এন্ড পাঠা নিয়ে লিখেছো!!!!!!!!!!!!
হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা
শায়মা আপুর সাথে আমিও কিছু হা হা হা হা হা হা হা হা....... যোগ করলাম।
এক মুহূর্তে আর কিছু বলতে পারছি না।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:২৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
হা হা হা হা হা হা...................
জুনায়েদ ভাই, পোস্টটা লেখার সময় কেন যেন মনে হয়েছিল সায়মা আপুর চোখে পোস্ট পড়লে খবর হবে; হলোও তাই। একদিন এই কাউ নিয়ে উনার সাথে ফেইসবুকে অনেক হাউকাউ করেছি। যুক্তিতর্কে কেউ কাউকে একবিন্দুও ছাড় দেইনি। আপু খুব মজার মানুষ।
২৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:৩৯
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হা হা.... খেয়াল করেছি, আপু বেশ মজার মন্তব্য করেন।
যাইহোক, আমাদের দেশে এমন গরু-পাঠার অভাব নেই। দেশ এমন গরু পাঠারা চালাচ্ছে বললেও খুব একটা ভুল হবে না। কিন্তু আমি সেটা বলে সামান্য ভুলটুকুও করতে চাচ্ছি না।
দেশের মানুষ মানুষ হোক, ধর্মকর্ম ভালোভাবে জানুক,বুঝুক এটাই প্রত্যাশা।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:৫৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, আবারো মন্তব্য করার জন্য। আমরা অনেক সময় নেগেটিভ অর্থে পশুদের টেনে আনি। রূপক-অর্থে হলেও বোধহয় তা সমীচীন নয়। কারণ, পশুদের আচরণ তাদের মতো। সৃষ্টির প্রথম থেকে আজ অবধি তারা তাাদের মতোই আছেন। কিন্তু বোধসম্পন্ন মানবজাতি ক্ষমতা আর লোভের বশবর্তী হয়ে মানবিক দিকটি হারিয়ে ফেলি। এজন্য পশুরা মানুষের চেয়ে অনেক বেশী সভ্য।
দেশের মানুষদের মানুষ হয়ে উঠা খুব দরকার। এজন্য বাকস্বাধীনতা আর আইনের শাসন দরকার। আমাদের অতি লোভ আর সবাইকে ছাড়িয়ে একা কোটিপতি-শতকোটিপতি হওয়ার বাসনা বাদ দিতে হবে।
২৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:৪৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: লেখক বলেছেন:
দেশের মানুষদের মানুষ হয়ে উঠা খুব দরকার।
এইগুলোকে আপনি মানুষ বলেন ? এদের মন, বিবেক, চিন্তা-চেতনা কোনোটাই মানুষের পূর্বতন কোনো প্রজাতির কাছাকাছিও হবে না |
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:১১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, আপনাকে।
আসলে মানুষ ছাড়া পৃথিবীর কোন প্রাণীর বিষয়ে 'প্রাণী' হয়ে উঠার কথা বলা হয় না। কারণ, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এরা কখনো অন্যকোন প্রাণী কিংবা মানুষ হতে চায় না। কিন্তু মানুষের বোধশক্তি খুব প্রখর। এজন্য আমরা অনেক সময় মানুষরূপী হই তবে মানুষ নয়। আমাদের যদিও মানুষ হওয়াটাই মূল কাজ ছিল।
২৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:০১
ঢাবিয়ান বলেছেন: গরুর যেহেতু রাস্তা দখল করে রাখসে তাই এইটা গরুর দোষ, যে বাইন্ধা রাখসে তার দোষ না। পুলিশের কাউরে জিজ্ঞাসা করলে আপনি এই উত্তর পাইতে পারেন।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:১৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, ঢাবিয়ান ভাই।
এটা অনেকটা এরকম। তিতাসের মূত্যুর জন্য ফেরি, ডিসি, সচিবদের দোষ দিয়ে কী লাভ? আগে বলুন ক্লাস সিক্সে পড়া এই বাচ্চাকে কে মোটরবাইক চালাতে শেখালো। বাবা-মা কোথায় ছিলেন তখন?
৩০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭
মুক্তা নীল বলেছেন:
কাউসার ভাই ,
পোস্টটি পড়ে যেমন হাসলাম ঠিক তার উল্টোটা পেলাম বিবেকের
নাড়া । কিছু কিছু মানুষ আছে যারা পশুর চেয়েও অধম ঠিক এই কথাটি সার্থকতা খুঁজে পেলাম। ছবিটা বেশ হাস্যকর ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:১৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আপু, ঈদের শুভেচ্ছা।
আসলে হাস্য কৌতুক করে বেদনার জায়গাটি একটু মলম দিলাম। আমরা এই দেশের অচল পয়সা। মাত্র ৫% মানুষ আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাচ্ছে। এরাই সদ্যজাত আধুনিক বাংলাদেশের জমিদার। কোরবানির আসল উদ্দেশ্য নিজের পশুত্বকে কোরবানি করা; অথচ আমরা দেখি পশুত্বের বিস্ফুরণ।
৩১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৩৪
অজ্ঞ বালক বলেছেন: যেই পাঠায় গরু কিনসে হে রাস্তাটারে শোরুম বানাইয়া দেখাইতাসে। এক্সিবিশনিজমের কথা মনে পইড়া গেলো। দেখাইলেই দাঁড়ায় নাইলে ঘুমায়!!!
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:২৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ। এই সদ্যজাত পাঠাদের জন্য এদেশ স্বাধীন হয়নি। এদেশের যাবতীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে গুটিকয়েক পরিবার। এরা আইনের উর্ধে। পুলিশ, আদালত এরা নিজের সুবিধামতো ব্যবহার করে। এটা নির্লজ্জ একজিবিশন।
৩২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪১
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: দেশের মানুষদের মানুষ হয়ে উঠা খুব দরকার। এজন্য বাকস্বাধীনতা আর আইনের শাসন দরকার। আমাদের অতি লোভ আর সবাইকে ছাড়িয়ে একা কোটিপতি-শতকোটিপতি হওয়ার বাসনা বাদ দিতে হবে।
- ঠিক বলেছেন। ++
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:২৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আবারো কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আমাদের মানুষ হওয়ার কোন বিকল্প নেই। আইন মানার প্রবণতা আমাদের নেই। আমরা ক্ষমতাবান হলে অন্য নাগরিকদের অধিকার হরণ করি, হয়রানি আর নির্যাতন করি। এগুলো আমাদের অহঙ্কারী আর অমানুষ বানায়।
৩৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। +
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:২৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, প্রিয় কবি। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
৩৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৮
সুমন কর বলেছেন: এসব পাঠাদের জন্যই দেশ আজ রসাতলে !! ভালো লিখেছেন।
+।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৩১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, প্রিয় কবি। এসব পাঠারা আইনের উর্ধে বলে আর বড় পাঠার জন্ম হয়। আমরা সাধারন পাবলিক এদের তেজ সহ্য করতে না পেরে নির্যাতিত হই।
৩৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১২
আরোগ্য বলেছেন: কাওসার ভাই,
পোস্টের ব্যাপারে কিছু না বলাই ভালো। আমাদের পুরনো ঢাকার চিত্র। আমাদের বাসায়ও প্রতিযোগিতা চলে। কোন ঘর থেকে কয়টা গরু, কার গরু কত মোটা, কারটার দাম বেশি, কে জিতল, কে ঠকলো সব মিলিয়ে এলাহি কাণ্ড, বাচ্চাদের ফুর্তি আর দারোয়ান গরুর সেবায় মহাব্যস্ত। আমরা অবশ্য এ প্রতিযোগিতার বাইরে। কোরবানি দেয়ার সামর্থ্য নেই।
সকল গরু ও পাঠাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৩৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, আরোগ্য ভাই।
কোরবানির মূল উদ্দেশ্য হলো নিজের পশুত্বকে কোরবানি করে মানুষের মতো মানুষ হওয়া। অথচ, আমরা দেখি কোরবানি এদেশের অনেক মানুষের সামাজিক স্টেটাসের বিষয়। নিজের সম্পদ আর প্রভাব প্রতিপত্তি দেখানোর একটি উৎসব। গরুর সংখ্যা, খাসির সংখ্যা আর দামটা পরচার করা হয়। কেউ কেউ উঠ কিনে সেলফি প্রচার করেন।
৩৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৭
রাকু হাসান বলেছেন:
আমার ভাইটা আসলো অবশেষে। কেমন আছেন আপনি? ---কত আন্তরিকতার সাথে বললেন । একদম শীতলস্পর্শ যেন হৃদয়ে আঘাত করে । ব্লগীয় আনন্দটা তখন সত্যিই প্রকাশ করার মতো । তাইতো নিজ ঠিকানায় চলে আসে সময় পেলেই । হুম শ্রদ্ধেয় ভাইয়া ভালো আছি । আপনি কে,মন আছেন । ছবি নিয়ে রম্য করে ভালো করেছেন ,নিজের কষ্ট লাঘব হয়েছে ,আমরাও নতুন ধরনের লেখা আপনার কাছ থেকে পেলাম । েএকটি অজানা বিষয়ও তুলে ধরলেন । রম্যে শুভকামনা করি ।
পাঠাতের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক ।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৩৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
বাহ, কী বলবো ভাই!
আমি সত্যি আপনার লেখা আর কমেন্ট খুব পছন্দ করি। একজন ভাই হিসাবে মনে করি। আমি হৃদের গভীর থেকেই কথাটি বলেছি। আমরা ব্লগ লিখলেও আমাদের হার্ট আছে। আছে পারষ্পরিক সম্মান আর বোঝাপড়া। আমি মোটামুটি আছি। আমি রম্য লেখি না, কিংবা লেখতে পারি না। চেষ্টা করলাম।
৩৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২৬
সুপারডুপার বলেছেন: আহা ! এতো পশু প্রেমের খানিকটাও যদি বস্তির শিশু ও লোকেরা পেত !!!
১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:১৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ।
আসলে যাদের মনে মানব প্রেম নেই, মানুষের প্রতি সম্মানবোধ নেই, আইনের প্রতি রেসপেক্ট নেই, বিবেকের কোন লেশ নেই তারা কখনো পশুপ্রেমী হয় না। এরা জাতে পাঠা। এরা বস্তিবাসীকে মানুষ হিসাবে স্বীকার করে না। বস্তির শিশুরা এদের ঘরের বুয়া, মালির কাজ করে, বাচ্চাদের বইয়ের ব্যাগ বহন করে। লাথি-ঘুসি খেয়ে, পঁচা-ভাসি খাবার খেয়ে বড় হয়।
অফটপিক, আপনার নিকটা চমৎকার। ছবিটা তো সুপারডুপার।
৩৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:২২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
রম্য আকারে হলেও গণসচেতনতামুলক পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।
কিছু বিবেকহীন মানুষের ক্রিয়া কান্ড সুন্দরভাবে উঠে এসেছে ।
কিন্তু এর জন্য দায়ী যারা তাদের টনক নড়বে বলে মনে হয় না ।
গলায় দরি ঝুলিয়ে নাদুস নুদুশ কাউ বা পাঠাকে ফুলের মালা
পড়িয়ে নৃত্যের তালে পথ চলা দেখে মনে পরে যায়
উনবিংশ শতকের কবি ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্তের পাঠা কবিতার কথা
রসভরা রসময় রসের ছাগল।
তোমার কারণে আমি হয়েছি পাগল॥
...... ...... ..... ......
সাধ্য কার এক মুখে মহিমা প্রকাশে
আপনি করেন বাদ্য আপনার নাশে॥
হাড়িকাষ্ঠে ফেলে দিই ধরে দুই ঠ্যাঙ
সে সময়ে বাদ্য করে ছ্যাডাঙ ছ্যাডাঙ।।
এমন জীবের নাম যে রেখেছে পাঠা
সে তো পাঠা নয় তার সারাবংশে পাঠা
বেঁচে থাকলে আজ হয়ত তিনি পাঠাকে
পাঠা না বলে পাঠার মালিককেই সুন্দর করে
কাব্যিক ছন্দে পাঠা বলে কবিতায় তুলে ধরতেন ।
যাহোক , সামর্থবান মুসলমানগন কুরবানী দিবেন এটাই বিধান
তবে কুরবানীর মুল কাজ হলো নীজকে দান , মানুষের কাছে
নীজকে জাহির না করে বিধাতার কাছে চাওয়া প্রতিদান ,
মানুষের কাছে প্রতিদান চাইলে মুল প্রাপ্তি হবে শুন্যস্থান ।
কুরবানীর পশু ক্রয়ের পর শহড়াঞ্চলে তাকে দিন দুয়েক পালন করার মত পরিবেশ বা ব্যবস্থা অনেকেরই নাই । তাই অনেকই বাধ্য হয়ে নীজ ব্যবস্থায় না রেখে তা সরকারী জায়গা কিংবা রাস্তার উপরেই রাখেন বিবিধভাবে। এর ফলে পথচারীসহ
পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতি হয় । এমত অবস্থায় একটি প্রশ্ন সংগত কারণেই এসে পরে । একজন মুসলমানের কুরবানী দেয়ার সামর্থ বলতে কি শুধুমাত্র তার পশু ক্রয়ের আর্থিক সামর্থকেই বুঝায়, নাকি পশু ক্রয় হতে শুরু করে তার নীজ দায়িত্বে নীজ ব্যাবস্থায় অন্যের কোন ক্ষতি সাধন না করে পশুটির সার্বিক রক্ষনাবেক্ষন, মলমুত্র অপসারন থেকে শুরু করে কুরবানীর পশু জবাই করা, কুরবানীর পরে বর্জ অপসারন করার সামর্থ আছে কিনা প্রভৃতিও গন্য করতে হবে । এ সমস্ত বিষয়গুলি বিবেচনায় নিলে এবং সেগুলি পরিপুরণ না হলে তার কুরবানী দেয়ার সামর্থ নেই বলেই সংগতাবে ধরে নেয়া যায় , তিনি বরং এ সমস্ত প্রেক্ষিত বিবেচনায় প্রকৃত সামর্থবানদের কুরবনীর পশুর মাংসের দরিদ্রদের অংশের ভাগিদার হতে পারেন এর বেশী কিছু নয় । এই বোধটুকু তাদের মধ্যে জাগিয়ে দিতে পারলে মনে হয় কিছুটা কাজ হলেও হতে পারে , তাদের সচেতনতা বারবে , সে সাথে কুরবানী দেয়ার সামর্থের সাথে হালাল ও বৈধ রুজির বিষয়টিও তাদের মনে রাখতে হবে ।
অন্যদিকে শহরে যত্র তত্র যেন কুরবানীর পশু রাখতে না পারে ও জবাই দিতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের নগরপাল তথা সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে । শহর হতে দুরে কোথাও কুরবানীর জন্য ক্রয়কৃত পশু রাখার ও রক্ষনাবেক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেগুলিকে জবাই করার জন্য আধুনিক জবাইখানা তৈরী করে সেখানে বাধ্যতামুলকভাবে পশু কুবানীর জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে । বিষয়গুলি এমনিতে হবেনা , এর জন্য প্রয়োজন হবে গণসচেতনতা সৃস্টি করে সরকারকে প্রবল চাপের মধ্যে ফেলে এ কাজ করতে বাধ্য করা । দেশে তো এমনিতেই এখন চার/পাঁচ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট হয় ,শুনেছি বালিস কেনা ও তা দুতিন তলায় উঠানোর জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার বাজেটের ব্যবস্থা হয়ে যায । তাই নির্ধারিত স্থানে পশুর জবাইখানা তৈরী করে সেখানে কুরবানী দেয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারী কোষাগার হতে অর্থের কোন অভাব হবে বলে মনে হয়না । অভাব হলে তা হয়ত হবে তাদের মন মানসিকতার, অভাব হবে বিবেক বোধের ।
সমাজ সচেতনতামুলক মুল্যবান পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম । কামনা করি সংস্লিষ্ট সকলের শুভ বুদ্ধির উন্মেষ হোক , নগরবাসী মুক্তি পাক এমনতর যাতনাময় কঠিন অবস্থার হাত হতে , ধর্মীয় এ বিধানটি পালিত হোক যথাযথভাবে , ধর্মের মুল্যবোধ ও সৌন্দর্য অমলিন থাকুক ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কাছে ।
শুভেচ্ছা রইল
১০ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আমার খুব সামান্য রম্যধাচের এই লেখাটি পড়ে এতো গুরুত্ব দিয়ে চমৎকার এ কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ স্যার। আমরা আসলে বলির পাঠা। আর এই নরবলি চলে দিবানিদ্রায় অহরহ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম দফা ছিল ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা এবং দেশের নাগরিকরের সম অধিকার নিশ্চিত করা। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে বিপরীত।
এদেশের গুটিকয়েক পরিবার নব্য জমিদার হয়ে রাজনীতি, ব্যবসা আর প্রশাসনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এরা আইনের উর্ধে। এদেরকে পারতপক্ষে কেউ ঘাটতে যায় না। এদের ছোবল খুব বিষাক্ত; এদের ফনায় অনেক বিষ জমা আছে।
কবি ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্তের পাঠা কবিতাটি যথার্থই ছিলো। তিনি বেঁচে থাকলে আধুনিক পাঠাদের স্বচক্ষে দেখে যেতে পারতেন। রাষ্ট্রের এই বৈষম্যের কারণে এসব পাঠারা মহা প্রতাপশালী হয়ে উঠে। একটা সময় রাষ্ট্রকে অচল করে দেয়। এখন তাই হচ্ছে এদেশে। দেখবেন সংসদের মোঠ সদস্যের সিংহভাগই পাঠা প্রজাতির সংকরায়িত।
"এমন জীবের নাম যে রেখেছে পাঠা
সে তো পাঠা নয় তার সারাবংশে পাঠা।"......... যথার্থই বলেছেন।
কোরবানির মূল উদ্দেশ্য হলো নিজের পশুত্বকে কোরবানি করে মানুষের মতো মানুষ হওয়া। অথচ, আমরা দেখি কোরবানি এদেশের অনেক মানুষের সামাজিক স্টেটাসের বিষয়। নিজের সম্পদ আর প্রভাব প্রতিপত্তি দেখানোর একটি উৎসব। গরুর সংখ্যা, খাসির সংখ্যা আর দামটা পরচার করা হয়। কেউ কেউ উঠ কিনে সেলফি প্রচার করেন।
আমার সামান্য এ পোস্ট প্রিয়তে রেখেছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
৩৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: রাস্তা ও ঘরবাড়ী দেখে মনে হচ্ছে অভিজাত এলাকা, কিন্তু সামিয়ানার নীচে গরু ছাগলের ছবি দেখে মনে হচ্ছে, সেখানে বাস করে কিছু বেকুবের দল- অবৈধভাবে, অনায়াসে অর্জিত ধন সম্পদের প্রদর্শনেচ্ছু কাঙালেরা।
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ৯ নং মন্তব্যে বলেছেনঃ বাংলাদেশের মতো মালয়েশিয়াতে লাখে লাখে পশু কোরবানি করা হয় না। এখানে অনেক ভাব গাম্ভীর্য বজায় রেখে তারা কোরবানি করে - কথাটা জেনে খুব ভাল লাগলো। আমাদেরও তাই করা উচিত।
ঠাকুরমাহমুদ, কানিজ রিনা, স্বামী বিশুদ্ধানন্দ, ঢাবিয়ান, সুমন কর, ডঃ এম এ আলী প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে। +
পোস্টে প্লাস + +
১০ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আপনার মূল্যবান কমেন্ট পেয়ে খুব ভালো লাগলো; কৃতজ্ঞতা রইলো, স্যার। এলাকাটি অভিজাত এতে কোন সন্দেহ নেই। এই এলাকায় বসবাস করা সবাই অভিজাত; আর যিনি পাবলিকের রাস্তায় গরুর সামিয়ানা বিছিয়ে রেখেছেন তিনি অভিজাতদের মধ্যে বড় অভিজাত; পাঠাদের মধ্যে উন্নত জাতের।
সাজ্জাদ ভাইয়ের মন্তব্য থেকে মালয়েশিয়ার অবস্থাটি জানতে পারলাম। "ঠাকুরমাহমুদ, কানিজ রিনা, স্বামী বিশুদ্ধানন্দ, ঢাবিয়ান, সুমন কর, ডঃ এম এ আলী এবং আপনি সহ যারা লেখাটির মর্ম অনুধাবন করে বুঝতে নিজের মূল্যবান মতামত দিয়েছেন সবাইকে আবারো ধন্যবাদ।
৪০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী,
এরকম বি...রা...ট গরু-ছাগল, পাঠা-বলদদের দেখি আপনি কোরবানীর আগেই কোরবানী দিয়ে ফেললেন।
লেখার ঢংটাও হয়েছে কোরবানীর বলদের দামের মতো ২,০০০,০০টাকার। আবার এও হতে পারে, বেশ সস্তায়ই আইডিয়াটি পেয়েছেন............
১১ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:২৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস;
আসলে ঈদ আসলে বিরাট কোরবানির হাটে বিরাট গরু, উঠ, দুম্বা ও খাসির কথা শুনা যায়। কিন্তু বিরাট পাঠার বাজার বলে কিছু শোনা যায় না! তাই আমি মহামান্য পাঠাদের নিয়ে লিখলাম। কোন পাঠার চোখে লেখাটি পড়লে তিনি খুশি হবেন। এটা পাঠা বন্ধনা।
আইডিয়াটা আসলেই খুব সস্তায় পেয়েছি। হঠাৎ ভাবনা থেকেই লেখা।
৪১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২২
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা.... আমি লিখা পড়ে হাসতে হাসতে অজ্ঞান হবার অবস্থা। পদাতিক ভাইতো উত্তর বলে দিয়েছেন। আপনি রাস্তার কত অংশ দখলে রাখবেন তা ডিপেন্ড করে আপনার ক্ষমতায় কতটা জোর আছে। সে হিসাবে তার জোর যথেষ্ট বলিয়াই প্রতিয়মান.....
বরাবরের মতই চমৎকার লেখা।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:২৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
অনেক দিন পর আমার মেন্টর আপুর কমেন্ট পেলাম। গরু আর পাঠা নিয়ে লেখাটি আপনাকে হাসাতে পেরেছে শুনে নিজেই হাঁসছি ; বেদনার বহিঃপ্রকাশ হাস্যরসে উড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস এটা। সমাজের চিপায়-চাপায় বাসা বাঁধা অসুখগুলো এখন এন্টিবায়োটিকের অভাবে অপ্রতিরোধ্য। রাষ্ট্র আর সমাজ তাদের দাদাগিরি মেনে নেয় বিনাবাক্যে। এদেশে পকেট আর খুঁটির জোর হলো ক্ষমতা আর বিচারহীনতার মূল কারণ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মানুষ এত অবিবেচক।
আর অবিবেচক মানুষগুলোর দেখা রোজই পাই পথে ঘাটে
অনুভূমি ক্ষমতা কমে গেছে মানুষের