নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\'; বইমেলার বেস্ট সেলার বই এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৭


'অমর একুশে বইমেলা' প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির প্রথম তারিখ থেকে শুরু হলেও এবার করোনা মহামারির জন্য তা মার্চের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে। বাংলা একাডেমি আয়োজনটা যাতে সফল হয় সে চেষ্টার কোন কমতি রাখে না। বইমেলাটি লেখক-পাঠক-প্রকাশকের একটি মিলনমেলায় রূপ নেয়। এতো বেশি প্রকাশনীর অংশগ্রহণে মাসব্যাপী চলা বইমেলা পৃথিবীর কোথাও হয় না। সে হিসাবে এমন আয়োজন জাতি হিসাবে বিশ্বদরবারে আমাদের মুখ উজ্জল করছে। আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, কালচার, জাতীয়তা, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের প্রসারে এই আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন প্রজন্ম বইমেলাকে উপলক্ষ করে বই কিনতে আসে। বইমেলায় গিয়ে লেখকদের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায়। তরুণ লেখকেরা প্রতিষ্ঠিত লেখকদের কাছ থেকে পরামর্শ ও অনুপ্রেরণা পায়।

অমর একুশে বইমেলা শুরু হওয়ার সময় থেকে প্রতি বছর মেলার কলেবর বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন বইয়ের সংখ্যা বাড়ছে। লেখকের সংখ্যা বাড়ছে। মেলা শেষে বই বিক্রির রেকর্ড হচ্ছে। এগুলো নিশ্চয় ইতিবাচক দিক। কিন্তু বাস্তবে যে উদ্দেশ্য নিয়ে বইমেলার আয়োজন তা কি প্রতি বছরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে? বইমেলায় বিক্রিত বই কিংবা বইমেলাকে উদ্দেশ্য করে প্রকাশিত বই অনলাইনে বিক্রি, পাঠক চাহিদা এবং রুচির বিচারে সত্যিকারের সাহিত্যিের মানসম্পন্ন বই কি আলোচিত হচ্ছে? কিংবা এসব বইয়ের লেখকেরা পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পারছেন?

তরুণ প্রজন্ম বইমেলা থেকে যেসব বই সংগ্রহ করতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে সেসব বইয়ের সাহিত্যমান কতটুকু কিংবা আদৌও সাহিত্য সংশ্লিষ্ট বই কিনা? এসব প্রশ্ন এসেই যায়। তথাকথিত মোটিভেশন, ধর্মীয় বই, ভাষা শিক্ষার বই কিংবা রান্না শেখার বইও মলাটবন্দী বই। আমারা পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি যে গাইড বই পড়ি/পড়তাম সেগুলোও বই। আর গাইড বই হলো এদেশে বিক্রিত বইয়ের তালিকায় সবার উপরে। আমরা এসব গাইড বই সুন্দর মোড়কে কিনলেও বেশিরভাগ সময়ই শুধু প্রকাশনীর নামটি দেখি; লেখকের নামটি আমরা খুব একটা খেয়াল করি না। এসব বইয়ের লেখকেরাও কোথাও জোর গলায় বলেন না, 'অমুক গাইড বইয়ের লেখক আমি।'

বইমেলা শেষে যখন কোন বই বিক্রির অনলাইন শপ থেকে প্রকাশ করা হয় অমুক ক্যাটাগরিতে বইমেলার সর্বাধিক বিক্রিত বই তমুক। তখন পাঠক হিসাবে আগ্রহী হয়ে উঠি, জানার চেষ্টা করি। মটিভেশন, ধর্মীয় বই, ভাষা শিক্ষার বই, রান্নার বই আর ইউটিউভ শেখার বই ইত্যাদি যদি তালিকার শীর্ষে থাকে তাহলে প্রতি বছর এতো বড় আয়োজনে বইমেলা করার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন থেকেই থাকে। এই তালিকা তৈরীতে কোন প্রতিষ্ঠান যদি 'বইমেলা' শব্দটি জুড়ে দেয় তাহলে বাংলা একাডেমির দায়িত্ব হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে গভীর মনোযোগে দৃষ্টিপাত করা।

বাংলা একাডেমি বইমেলা চলাকালীন প্রতিদিন প্রকাশিত বইয়ের নাম মাইকে প্রকাশ করার পাশাপাশি যদি বইমেলা শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা বইগুলোর তালিকা প্রকাশ করতো তাহলে লেখক-পাঠকরা উপকৃত হতেন। ভালো বইয়ের লেখকেরা উৎসাহিত হতেন। পাঠকরাও এসব বই সংগ্রহ করতে আগ্রহী হতেন।

প্রতি বছর বাংলা একাডেমি দশজন কবি, সাহিত্যিককে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার দিয়ে থাকে। পুরষ্কার প্রাপ্ত এসব গুণী লেখকদের নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করার দায়িত্ব কি বাংলা একাডেমি কখনো পালন করেছে? এরা তো হঠাৎ করে পুরষ্কার পাননি। দীর্ঘদিন থেকে ভালো লিখে দেশের সবচেয়ে সম্মানজনক এই পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হন। খোঁজ নিলে দেখবেন, পুরষ্কার প্রাপ্ত এসব লেখকদের সিংহভাগকে তরুণ প্রজন্ম চেনে না। এজন্য তাদের বইও পড়ে না। এসব লেখকদের সাহিত্যকর্ম জাতির সামনে তুলে ধারার দায়িত্ব কার?

প্রকাশনী কি দায়িত্ব পালনে সক্ষম কিংবা আন্তরিক?

বইমেলা আসলে হাজারো প্রকাশনীর স্টল থাকে। এসব প্রকাশনীর একটা বড় অংশই নাম সর্বস্ব। বইমেলায় অংশগ্রহণের সাইনবোর্ড দেখিয়ে নতুন লেখকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বই করে সারা বছর নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়। এদের না আছে পেশাদারিত্ব, না আছে লেখকদের প্রতি দায়বদ্ধতা। বইমেলায় স্টলে এক-দু'জন সেলসম্যান থাকলেও এসব নামসর্বস্ব প্রকাশনীর প্রকাশক স্টলে কখনো আসেন না। এরা সারা বছর বইমেলায় বই বের করার জন্য নতুন লেখকদের মশাল জালিয়ে খোঁজে। ফলে প্রতি বছর বইমেলার কলেবর বাড়লেও পেশাদার প্রকাশনী সংস্থার সংখ্যা বাড়ছে না।

একটি দেশে যখন বাক স্বাধীনতার পথ রুদ্ধ হয়, হাজার বছরের সংস্কৃতির চর্চার পথ রুদ্ধ হয় তখন এই শুণ্যস্থান পূরণ করে উগ্রবাদ, কুসংস্কার আর ধর্মীয় গোড়ামী। লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার তখন বধির হয়ে বিকল্প উপায়ে বিনোদন চায়। নিজেদের চরম হতাশা আর অন্ধকার ভবিষ্যতকে জয় করতে মটিভেশন চায়। কেউ কেউ উচ্চ শিক্ষার নামে ইংরেজি শিখে দেশত্যাগ করতে চায়। এদের একটি বড় অংশ হতাশ হয়ে ধর্মের নামে উগ্রবাদী ধ্যান ধারণায় মটিভেট হয়।

বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় অটোপাশ, শতভাগ পাস ইত্যদির খেসারত দিচ্ছি আমরা। পরিবার থেকে সন্তানদের দিয়েছি দিনের পর দিন চব্বিশ ঘন্টা পাঠ্যবই গিলে খেয়ে, মুখস্থ করে বড় বড় সার্টিফিকেট আর বড় চাকরি পাওয়ার দিকনির্দেশনা। ভালো মানুষ হওয়া, দেশের শিল্প-সংস্কৃতি, সাহিত্য চর্চা, জাতীয়তাবোধ আর মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে কখনো মনযোগ দেইনি। ফলাফলস্বরূপ নতুন প্রজন্মের একটি বড় অংশই ধর্মীয় গোঁড়ামী আর রাজনৈতিক গোলামীতে মত্ত। এরা কৌতুহলী হয় না, যুক্তিবাদী হয় না, স্বাধীন মতের দিশা পায় না। তারা জানে, টাকার মেশিন হতে হলে বিসিএস গাইড মুখস্থ করতে হবে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হতে হবে। মাথা পরিপক্ব না হওয়ায় চিন্তাশক্তি খুব দুর্বল হয়। ফলে চিন্তা-চেতনা সাম্প্রদায়িক হয়। অন্য মত আর পথকে রুদ্ধ করতে জান কোরবান করতেও দ্বিধা করে না।

একটি প্রগতিশীল সরকার দীর্ঘদিন থেকে ক্ষমতায় থাকার পরও এদেশে ধর্মীয় উস্কানি কমেনি। ভিন্ন মতের প্রতি সম্মান বাড়েনি। গ্রামে-গঞ্জে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এমনকি দেশাত্মবোধক/বাউল গানের আয়োজন করা এখন কঠিন হয়ে গেছে। এসবের বিরোধিতা কোন প্রবীণ নয় তরুণেরাই করছে। এদের কাছে ধর্মীয় উসকানিমূলক মাহফিলগুলো হলো বিনোদন। আর যিনি মাহফিল মাতিয়ে উগ্রবাদীতাকে বৈধ করে বক্তব্য দিচ্ছেন আর দেশীয় সংস্কৃতিক চর্চাকে হারাম বলে প্রচার করছেন তাদের লাগাম টেনে ধরার কেউ নেই। এসব বক্তাদের মধ্যে যাদের লেখায় এবং বক্তব্যে সাম্প্রদায়িক উস্কানি বেশি থাকে এবং আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতি, উৎসব এবং সাহিত্য চর্চার বিরোধিতা এবং প্রগতিশীল লেখক/কবিদের নিয়ে বিরুপ মন্তব্য/বিরোধিতা থাকে তারাই আজ নতুন প্রজন্মের কাছে হিরো। ফলাফলস্বরূপ মগজ ধোলাইয়ের শিকার হচ্ছে সোনালী প্রজন্ম।

আবার বইমেলা প্রসঙ্গে আসি। একটি প্রকাশনীর ক্যাটালগ সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখি এবারের বইমেলায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ষোলটি বই বেরিয়েছে। শুধু বইয়ের নাম উনিশ-কুড়ি করেই বইগুলো ছাপানো! প্রতি বছর কয়েক'শো লেখক শুধু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কপি-পেস্ট করে বই লিখছেন। আমিও চাই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা হোক, নতুন প্রজন্ম জাতির জনকের অবদান জানুক। কিন্তু এসব লেখকেরা যদি অতি উৎসাহি হয়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অতিরঞ্জিত করে একটি প্যারাও লিখেন তাহলে এটা বঙ্গবন্ধুর জন্য মোটেও সম্মানজনক নয়। আর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নতুন করে লিখার কিছু যদি থেকেও থাকে তাহলে তা হবে গবেষণালব্ধ বই। যে কেউ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বই লেখা এবং সেন্সরশিপ না করে তা বইমেলায় প্রকাশ করা কতটুকু যৌক্তিক তা সরকারের বিবেচনায় থাকার দরকার।






বইমেলায় তোলা তিনটি ছবি।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



এবার কয়দিন চলেছিলো মেলা?
আপনার বইটি সম্পর্কে কোন বিজ্ঞাপন ছিলো কোথায়ও?

শেখ সাহবের উপর লিখিত বইগুলো কি বিক্রয় হয়?

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ।
এবারের বইমেলা সম্ভবত ১২ই এপ্রিল পর্যন্ত চলছিল। তবে, করোনার জন্য বইমেলা জমে উঠেনি। বেশিরভাগ লেখক-প্রকাশক অনুপস্থিত ছিলেন। পাঠকরাও খুব একটা আসেননি। এছাড়া ঢাকা ইউনিভার্সিটি সহ অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বইয়ের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছাত্ররা কম এসেছে। আর গরম আবহাওয়া তো আছেই।

আমার বইটির কোন বিজ্ঞাপ ছিলো না। বইয়ের প্রচার কিংবা পাঠকদের কাছে বইটি উপস্থাপন করার দায়িত্ব হলো প্রকাশকের। প্রকাশনী থেকে তা করা হয়নি। আমি ফেইসবুকে যতটুকু সম্ভব বইটি নিয়ে পাঠকদের একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

শেখ সাহেবের উপর লিখিত বইগুলো খুব একটা বিক্রি হতে দেখিনি। মূলত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করাই এসব লেখকদের মূল উদ্দেশ্য থাকে। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে কিংবা নিজে থেকে বঙ্গবন্ধুর জীবনী জেনে বুঝে খুব কম লেখকই লিখে থাকেন। কপি-পেস্ট মূল ভরসা। এজন্য পাঠকেরা এসব বই আগ্রহ নিয়ে কিনে না।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৮

শায়মা বলেছেন: অভিনন্দন ভাইয়া।

ইউ আর দ্যা বেস্ট! :)

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ, আপু।
আপনি তো চমৎকার লিখেন। একদিন বাংলা একাডেমি পুরষ্কার আপনার হাতে শোভা পাবে আশা করছি।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:০৫

ওমেরা বলেছেন: শিরোনাম দেখে ক্লিয়ার বুঝলাম না ভাইয়া “আপনার কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য“ বেষ্ট সেলার হয়েছে নাকি?
যদি হয়ে থাকে তাহলে এবার একটা বড় পার্টি করেন , আর আমাদের দাওয়াত করেন ভাইয়া।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ।
ভালো আছেন আশা করছি। আমার 'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য' বেস্ট সেলার হওয়ার মতো কোন বই নয়। প্রথমত, আমি পাঠকদের কাছে খুব একটা পরিচিত নই কিংবা সেলিব্রিটি টাইপের কেউ নই। দ্বিতীয়ত, এটি ধর্মীয় কোন যুক্তিতর্কের বই নয়, এ বইয়ে কোন মটিভেশন নেই, নেই ইংরেজি শিখে IELTS-এ দশের মধ্যে নয় পাওয়ার কোন দাওয়াই। অতএব, আমি ছোট্ট লেখক এই পরিচয়েই খুশি।

দাওয়াত রইলো, দেশে বেড়াতে আসলে একবার সিলেটে আসবেন।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এই ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। দালালি আর চাটুকারিতা ফসল শেখ মুজিবকে নিয়ে এসব বই। তারা ভালোবাসা থেকে সব লিখছে না। নিজের সুবিধা আদাইয়ের জন্য লিখছে। এদের শাস্তি হওয়া উচিত।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ, রাজীব ভাই।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নতুন করে লিখার কিছুই নেই। অথএব, এসব লেখকদের থামতে হবে।

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "শেখ সাহেবের উপর লিখিত বইগুলো খুব একটা বিক্রি হতে দেখিনি। মূলত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করাই এসব লেখকদের মূল উদ্দেশ্য থাকে। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে কিংবা নিজে থেকে বঙ্গবন্ধুর জীবনী জেনে বুঝে খুব কম লেখকই লিখে থাকেন। "

-শেখ সাহেবকে কাছে থেকে দেখেছেন ও উনার রাজনৈতিক কার্যক্রম বুঝেছেন, সেই রকম লোকদের মাঝে লেখক নেই।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ।
শেখ সাহেবকে কাছে থেকে যারা দেখেছেন তাদের মধ্যে লেখক কম হলেও পরবর্তী সময়ে অনেকই লিখেছেন। কিন্তু সমস্যা হলো এসব লেখায়ও নিরপেক্ষতা কম ছিল। কেউ বঙ্গবন্ধুকে আকাশে তুলে দিয়েছেন, কেউ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে বঙ্গবন্ধুকে ছোট করেছেন। এখন যারা লিখছেন তারা ভুলেও বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করছেন না। সরকারকে তুষ্ট করেই লিখছেন। সরকারদলীয় সাপোর্টার হিসাবে নিজেদের উপস্থাপন করছেন। আপনি সে সময়টায় দেশে ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ করছেন। আপনার মতো স্পষ্টভাষী যারা কোন রাজনৈতিক ফায়দার জন্য লিখবে না তারা নিরপেক্ষভাবে লিখলে নতুন প্রজন্ম উপকৃত হবে।

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:৩৯

ইসিয়াক বলেছেন: প্রিয় ব্লগার আমি আপনার "কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য" বইটি সংগ্রহ করতে চাই। রকমারি থেকে আমি বই নেই না তাই অন্য কোন উপায়ে সংগ্রহ করা যায় কিনা জানাবেন প্লিজ।
# এই যেমন বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করে সুন্দরবন কুরিয়ারের মাধ্যমে সংগ্রহ করলাম এরকম আর কি।


শুভ কামনা জানবেন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ, ইসিয়াক ভাই।
আমার কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য বইটি নিতে চেয়েছেন দেখে খুশি হলাম, কৃতজ্ঞতা রইলো। রকমারি থেকে সংগ্রহ করতে না চাইলে সমস্যা নেই। ফেইসবুকের ইনবক্সে আপনার ঠিকানা আর মোবাইল নাম্বারটা দিয়েন। লকডাউন একটু শিথিল হলেই বইটি কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দেব।

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বিলম্বে হলেও এই করোনা পেনডেমিক এর মাঝেও মেলাটা যে চালু ছিল সেটাইতো অনেক বড় প্রাপ্তি ।
দর্শক সমাগমের সল্পতার কারণে মেলার আয়োজক প্রকাশকরা সকলেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ।
মেলায় বিক্রয় কম হলেও বইগুলো সারাবছর অনলাইনে বিক্রি হবে। এটা একটা ভালো দিক।
আর অনলাইনে বিক্রিতো দেশে বাড়ছেই । গত বছর বিক্রির শীর্ষে নাকি ছিল একটা অনলাইন প্রতিষ্ঠান।
বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রকল্পটি সচল করা প্রযোজন।তরুন লেখকদের বাংলা একাডেমির সঙ্গে
যুক্ত করতে হবে। বজারে বই আসলে পাঠক বাড়বেই supply create its own demand.

কিছু পাঠক আছেন বিনোদনের জন্য পাঠ করেন, কিছু পাঠক আছেন অ্যাকাডেমিক কারণে পাঠ করেন
আর কিছু পাঠক আছেন সত্যিকারের জ্ঞান অর্জনের জন্য পাঠ করেন।ওই জ্ঞান অর্জনের অংশটুকু ক্রমান্বয়ে
কমে যাচ্ছে, কারণ মানুষ অর্থের পিছনে ছুটছে। তবে দর্শন আর বিজ্ঞান চেতনার দিকে আমাদের লেখক
ও পাঠকদেরকে যেতে হবে। বিজ্ঞান ও সাহিত্যকে একসাথে চালাতে হবে, কবি সাহিত্যিক ও নবীন প্রবীন
উভয় প্রকার লেখকদেরমাধ্যমে । সৃজনশীল লেখকদেরকে পৃষ্ট পোষকতা দেয়ার দায়িত্ব প্রকাশক ,পাঠক ও
বাংলা একাডেমি পালন করতে পারে। নবীন প্রবীন সকল লেখকদের জন্যই উপযুক্ত প্ননোদনা, অনুপ্রেরনা,
প্রচার, স্বিকৃতি প্রভৃতিসুসমন্বিতভাবে সরকারী পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা দরকার। ভাল গুণগগতমানের ভাল বই
নিন্মমানের বইকে বাজারহতে বিতারিত করবে স্বমহিমাতেই । পাঠকেরাও পালন করবে এই দায়িত্বের
কিয়দংশ ।

বই মেলার সাথে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যোগ করা হয়েছিল , সে হিসাবে
বঙ্গবন্ধুর উপরে বেশী সংখ্যক বই আসাটা অস্বাভাবিক নয় । তবে কপি পেষ্ট হওয়াটা ভাল লক্ষন নয় ।

আপনার 'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য' এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি ।

শুভেচ্ছা রইল


১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




দেরীতে হলেও বাংলা একাডেমি বইমেলা আয়োজন করেছে এটা অবশ্য ইতিবাচক দিক। কিন্তু মাসব্যাপী বইমেলা আয়োজন না করে পক্ষব্যাপী করলে হয়তো ভালো হতো। এতে বইমেলার ধারাবাহিকতা থাকতো, প্রকাশকদের ক্ষতির পরিমাণ কমতো। এছাড়া স্টল/প্যাভিলিয়ন বরাদ্দে প্রকাশনীদের আর্থিক ছাড় দেওয়ার দরকার ছিল, যা করা হয়নি।

বাংলা একাডমি বইমেলা আয়োজন করেই নিজেদের দায়িত্ব ষোলআনা পালন করেছে বলে ধরে নেয়। নতুন লেখকদের উৎসাহ যোগানো, তাদের বইয়ের প্রচার এবং সৃজনশীল লেখকদের উদ্ভুদ্ধ করার কাজটি করলে ভালো হতো। এতো তরুণ লেখকরা অনুপ্রাণিত হতেন।

বইমেলায় সৃজনশীল বই, সাহিত্যের বইয়ের পাঠক আগেও বেশি ছিলেন তা কিন্তু নয়। তবে, এসব বই নিয়ে আলোচনা হতো, লেখকদের নিয়ে আগ্রহ বাড়তো। এখন এই স্থান দখল করেছে মটিভেশন, ধর্মীয় বই আর ইংরেজি শিক্ষার বই। এগুলো কাম্য নয় মোটেও।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বছর হওয়ায় এবার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এই বাড়াবাড়ি গত কয়েকটা বইমেলা থেকে চলছে উৎসব করে।

ভালো থাকুন।

৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: The heartiest congratulations.

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ, সাজ্জাদ ভাই।
ভালো থাকুন। পরিবারের সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।

৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সাহসী সত্যোচ্চারণ!

ভাল লাগলো :)
মেলায় যাই যাই করেও যাওয়া হলো না! করোনা, লকডাউন একটার পিছু একটা না একটা কারণ লেগেই থাকা..


++++

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




কবিগুরু, ধন্যবাদ।
বইমেলায় দু'দিন ছিলাম। আগ্রহ ছিল আরো যাওয়ার। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় যাওয়া হয়নি। আপনার সাথে সাক্ষাৎ মিস করেছি। আগামীতে বেঁচে থাকলে দেখা হবে। ভালো থাকুন। পরিবারের সবাই নিরাপদে থাকুন।

১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক কোথায় উঠে এসছে লেখায় !
ভালোলাগা !
বই এর সাফল্য কামনা করছি।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ, আপা।
এসব বিষয় নিয়ে খুব একটা লেখা হয় না। আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র মুক্তচিন্তা আর যুক্তিনির্ভর লেখা পছন্দ করে না।

১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমি খেয়াল করে দেখেছি, আপনি ছবি তোলার সময় হাসেন না। কেমন সিরিয়াস মুখ করে থাকেন। কেন?

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




রাজীব ভাই, আপনার কমেন্ট পেয়ে এখন হাসছি। আমি আসলে কম হাসি। ছবি তোলার সময় আরেকটু কম হাসি। এজন্য খুব একটা ছবি তুলি না। বাস্তব জীবনে কথাও খুব কম বলি। আমি শুনি বেশি, বলি কম। কিন্তু ভাবি অনেক বেশি। ভালো থাকবেন ভাই।

১২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: অভিনন্দন। বইটি সংগ্রহ করার ইচ্ছা আছে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ।
আপনি গুণীজন, ব্লগের জনপ্রিয় লেখক। বইটি সংগ্রহ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন জেনে খুশি হলাম।

১৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: এদেশে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের স্থরিরতা নিয়ে বিডিনিউজ-এ লেখা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ এর একটা নিবন্ধের প্রতিক্রিয়া গতকাল একটা পোস্টে পড়লাম। সেখানে দায়িত্বশীল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও নেতৃবৃন্দের ব্যর্থতার কথা উঠে এসেছে। আজ আপনার এই লেখাতেও লেখক তৈরী হওয়া, বা লেখককে প্রমোট না করার পেছনে আধিকারিক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির দায় নিয়ে বলেছেন..

আমাদের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানসমূহের এই দায়িত্বহীনতা কেন, কিভাবে এবং কোন প্রেক্ষিতে গণচরিত্র হয়ে গেলো, তা নিয়ে ভেবে দেখার সময় হয়েছে। ভাল্লাগছে যে এ বিষয়ে আওয়াজ ওঠা শুরু হয়েছে।

ব্যক্তিগতভাবে আমার একটা পর্যবেক্ষণ হলো- হুমায়ূন আহমেদ আমাদের সাহিত্যকে ব্যাপকভাবে আন্দোলিত করেও একটা আপাত স্থায়ী সমস্যা তৈরী করে গেছেন। লিখে বড়লোক হওয়া যায়, এই ধারণাটা তিনি সমসাময়িক ও অনুজদের মধ্যে গেঁথে দিয়ে গেছেন। যার ফলে এখনকার অধিকাংশ লেখকের মধ্যে জনপ্রিয় ধারার লেখাচর্চার প্রবণতা মোটর উপর সাহিত্যকেই ক্ষতিগ্রস্থ করছে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ।
পোস্টে আপনার সুচিন্তিত মতামত পেয়ে ভালো লাগলো। বিডি নিউজে নাসিরুদ্দিন ইউসুফের লেখাটি পড়ার সুযোগ হয়নি। তিনি এ বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন জেনে ভালো লাগলো। উনারা সংস্কৃতি অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। উনাদের অভিজ্ঞতা আর সমাজ নিয়ে আশংকা আমাদের ভাবিত করে। এদেশে দায়িত্বশীলেরা দায়িত্ব সচেতন নয়। হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি আর সাম্প্রদায়িকতা সহাবস্থান এখন হুমকির মুখে। সরকার মুখে চেতনা আর প্রগতিশীলতার কথা বললেও বাস্তবে এসবের প্রতিফলন খুব একটা দেখছি না।

তরুণ প্রজন্ম আজ দিশেহারা। ধর্মীয় লেবাসধারী হিংসুক, সাম্প্রদায়িক এবং মুর্খরা এদের মগজ ধোলাই করছে।

হুমায়ুন আহমেদ স্যার এদেশের মানুষকে বই পড়তে অভ্যস্থ করেছেন। আমাদের নিজেদের ভাষায় বই লেখা যা তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। পাঠক তৈরিতে স্যারের অবদান অপরিসীম। তবে, প্রকাশকদের চাপে পড়ে অনেক সময় ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়েও লিখেছেন। এগুলো দেখে জাফর ইকবাল স্যার সহ অনেকেই লিখতে উৎসাহিত হয়েছেন। বই লিখে কোটিপতি হওয়া যায় এই ধারণাটি তখন থেকে প্রতিষ্ঠা পায়। এখন অনেকেই হুমায়ুন আহমেদ হতে গিয়ে তাঁর বইয়ের থিমকে কপি করে বড় বড় বই/উপন্যাস লিখেছেন। কেউ কেউ পাঠকের সন্ধান পাচ্ছেন। এগুলো সাহিত্যের নেতিবাচক দিক।

ভালো থাকুন।

১৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: শেষের ভদ্রলোকটা কে?

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ।
শেষের ভদ্রলোক দেশের নামকরা একজন শিশু সাহিত্যিক। কয়েক বছর আগে বাংলা একাডেমি পুরষ্কার পেয়েছেন। নামটি এই মুহূর্তে মনে করতে পারছি না।

১৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। করোনা ভাইরাস থেকে সাবধান থাকুন। বাইরে গেলে মাস্ক মাস্ট। এবং ঘরে বাইরে সব সময় সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ।
আপনিও ভালো থাকুন। পরিবারের সবাই নিরাপদে থাকুন।

১৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০২

নীল আকাশ বলেছেন: আসলে এখন সাহিত্য চর্চার নামে যা চলছে কিছু আশা করাও ঠিক না। লেখালিখির চাইতে অন্যান্য জিনিস এখন বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। কার লেখার মান কতটুকু সেটা হিসাব করারও কেউ নাই।
একজন বেষ্ট সেলারের (ব্লগার নন) বই অনুরোধের পর কিনে এনে কয়েক পাতায় এত বেশি বাংলা বানান ভুল পেয়েছি যে পড়ার শখই মিটে গেছে। এই মেয়ে আমাকে আবার নিত্য গুতাচ্ছে পাঠ প্রতিক্রিয়া দেবার জন্য। কই যে যাই? আমি যদি এটা লিখি এই মেয়ে নির্ঘাত কেস দিয়ে আমার নামে দেবে অপ-প্রচারের জন্য। এদের এইসব হাস্যকর কান্ড দেখার পর লেখালিখির শখ আমার উবে গেছে।
নিজের বইও বের করিনি। কী হবে বের করে?
আমি তো আর স্লীভলেস ব্লাউজ পড়ে আচঁল নামিয়ে পাঠক আকর্ষন করতে পারবো না। :P ;) সুতরাং যা লাউ তাই কদু!

বইমেলা নিয়ে আমার একটাই আফসোস। আপনার, জাদিদ ভাই, মনির আপু এবং কিছু ব্লগারের সাথে দেখা হলো না। ।
শুভ রাত্রী এবং শুভ কামনা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ।
এখন লেখালেখি পণ্য হয়ে যাচ্ছে। লেখকরা এখন বই বিক্রি করে কোটিপতি হতে চান। লেখার মানের চেয়ে পাঠকের মগজ ধোলাই করতেই বেশি মনোযোগী। বেস্ট সেলার, সেরা মোটিভেটর, ইংরেজি শিক্ষার আসর এগুলো হলো বইমেলার টপচার্ট। পাঠককের এসব গিলে খায় বলে তিনারা লিখেন, পকেট ভারী করেন। এসব বইয়ের মান নিয়ে কুয়েশ্চন করার দরকার নেই। এসব বই গিলে খাওয়র জন্য লেখা, পড়ার জন্য নয়। আর বানান দিয়ে পোলাপান কি করবে, তারা তো ইংরেজিতে পন্ডিত হয়ে দেশত্যাগ করতে তৎপর।

স্লীভলেস ব্লাউজ দিয়ে শুরু! কোথায় গিয়ে ঠেকে দেখার বিষয়!!

বইমেলায় আপনার সান্নিধ্য মিস করেছি। করোনার ঢেউ না আসলে দেখা হতো। ভালো থাকুন।

১৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

ইসিয়াক বলেছেন: লকডাউন উঠে গেলে আমি যোগাযোগ করবো ভাইয়া। শুভকামনা সতত।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন। পরিবারের সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.