নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা \'মানুষ\' হবো কবে?

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:০৫


এদেশের সিংহভাগ ছেলেমেয়ে প্রাথমিকের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই জীবনের লক্ষ্য/উদ্দেশ্য ঠিক করে নেয়ে। স্কুলের পরীক্ষায় বড় বড় রচনা লিখতে হয় এই বিষয়ে। এজন্য পরীক্ষা পাশের জন্য হলেও না বুঝে ছাত্রদের 'এইম ইন লাইফ' মুখস্থ করতে হয় দিনকে রাত করে।

না, ভুল বলেছি। জীবনকে জানার আগেই জীবনের উদ্দেশ্য সন্তানের মগজে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন অভিভাবকেরা। সকাল-বিকাল গম্ভীর বদনে বারবার সন্তানকে স্বরণ করিয়ে দিচ্ছেন 'বড় হয়ে তোমাকে অবশ্যই ডাক্তার হতে হবে, ইঞ্জিনয়ার হতে হবে, সচিব হতে হবে, বিচারক হতে হবে, পুলিশ অফিসার হতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কখনো বলা হয় না, 'তোমাকে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে, তুমি জীবনে যা কিছু করো না কেন 'মানুষ' হতে না পারলে তোমার সব অর্জন বৃথা হয়ে যাবে। না, এই কথাগুলো কখনো বলা হয় না। বাচ্চাদের এসব পেশা সম্বন্ধে কোন প্রকার ধারণা না থাকার পরও 'এইম ইন লাইফ' মগজে গেঁথে নিচ্ছে নিজের অজান্তেই।

কিন্তু, বড় হয়ে সবাই গন্তব্যে যেতে পারে না, যায় না কিংবা যাওয়ার সুযোগ হয় না। যারা এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশই মনে করেন আমি 'এলিট' লেভেলে চলে এসেছি। তার পদের চেয়ে একটু ছোট কাউকে 'মানুষ' বলে মনে হয় না তার। কারণ, জীবনে কখনে মানুষ হওয়ার শিক্ষাটা অর্জন হয়নি। নিজের উচ্চ পদের সাথে বাপ-মা যদি আগে থেকেই 'এলিট' লেভেলের কেউ হয়ে থাকেন তাহলে তো কথাই নেই। তিনি 'এলিট বর্গ' হয়ে উঠেন। কথায়-কাজে, উঠায়-বসায় চলে খবরদারি, আইনকে বৃদ্ধাঙুলি দেখানোর পায়তারা আর দাম্ভিকতার প্রদর্শনী।

এলিটদের দ্বারা 'সাধারন' নাগরিক যখন পথে-ঘাটে, অফিসে-আদালতে অপদস্ত/অপমানিত হন, নিজের পকেট ফাঁকা করে সর্বশান্ত হন তখন বাড়িতে ফিরে নিজের সন্তানকে 'এলিট' বানাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ফলে এই চক্র আবর্তিত হচ্ছে বৃত্তাকারে।

এলিফ্যান্ট রোডে গতকাল 'ডাক্তার-ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশ' যে ত্রিমুখী ক্ষমতার দম্ভ দেখলাম তা এই এলিট-এলিট খেলার বহিঃপ্রকাশ। কথার মারপ্যাচে কিংবা অন্য কোন কারণে মানুষের রাগ উঠতেই পারে। মেজাজ হারিয়ে অনেক সময় মানুষ হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে যায়। এজন্য অনাকাঙ্ক্ষিত কিংবা শিষ্টাচার বহির্ভূত এই ঘটনা নিয়ে কিছু বলবো না। আমার বক্তব্য অন্য জায়গায়।

করোনার ভয়াবহ সংক্রমন ঠেকাতে চৌদ্দ এপ্রিল থেকে সরকার দেশব্যাপী এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি, বলা হয় জরুরি প্রয়োজনে যাদের বাইরে যেতেই হবে তারা যেন নিজ উদ্যোগে 'মুভমেন্ট পাস' সংগ্রহ করেন এবং যাদের মুভমেন্ট পাস লাগবে না তারা যেন নিজেদের আইডি সাথে রাখেন। পুলিশ-ডাক্তার সহ করোনা মোকাবেলার ফ্রন্টলাইনারাও এই আইনের আওতায় পড়েন। এখন আমি যদি ডাক্তার হই, পুলিশ হই, দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তা হই তাহলে সমাজের সবচেয়ে সচেতন নাগরিক হিসাবে তা সংগ্রহ করে সাথে রাখা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। এই এক সপ্তাহ তো সচেতন নাগরিক হিসাবে এই আইন মানা উচিৎ। এর ব্যত্যয় ঘটলে এর দায়ভারও নিজের কাঁধে নিয়ে দায়িত্ব অবহেলার কথা স্বীকার করা উচিৎ।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ডাক্তার ভদ্রমহিলার আচরণে তার ছিটেফোঁটাও দেখা গেলো না। উনার আচরণে মনে হয়েছে উনি বুঝাতে চাইছেন, 'আমি দেশের নামকরা একটি মেডিকেলের অনেক বড় একজন ডাক্তার, আমার বাবার ক্ষমতার হাত অনেক লম্বা, পুচকে মাজিস্ট্রেট আমার আইডি চেক করার স্পর্ধা দেখায়, পুলিশ ম্যাডাম ম্যাডাম বলে স্যালুট না করে চোখে চোখ রেখে আইডি দেখতে চাওয়ার মতো সাহস দেখায়! কিছুক্ষণ পরে বাস্তবেও দেখলাম উনার ক্ষমতার হাত কত লম্বা। গাড়ি থেকে নেমে মেবাইল ফোন হাতে নিয়ে যখন পুলিশ অফিসারকে বারবার ক্ষমা চাইতে আদেশ করলেন তা খুবই দৃষ্টিকটু ছিল। মাজিস্ট্রেটও ছিলেন খুবই অসহায়।

আমরা অনেকেই জানি না কিংবা মানি না, রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে যখন যে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তখন বাকি সবাইকে বাধ্যতামূলক তাদের দায়িত্ব পালন করতে সহযোগিতা করতে হয়। এটাই নিয়ম। একজন মাজিস্ট্রেট একটি প্রতিষ্ঠান, একজন পুলিশ অফিসার একটি প্রতিষ্ঠান; আর এই প্রতিষ্ঠানগুলোর যোগফল হলো রাষ্ট্র। আমি কার মেয়ে, কার পোলা, কার বউ, কার শালা এসব মোটেও বিবেচ্য নয়। আমার হাত কত লম্বা তা দেখানো রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই ঘটনায় খুব খারাপ একটি বার্তা জাতির কাছে পৌঁছিল, 'এদেশে আইন সবার জন্য নয়, সবাই আইন মানতে বাধ্য নয়, আইনের শাসন শুধু দুর্বলের জন্য প্রযোজ্য।' স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের এই বছরে আমরা এখনো মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সবার জন্য সমান হয়ে উঠতে পারেনি। দুর্ভগ্যজনকভাবে আমাদের প্রতিনিয়ত স্বরণ করিয়ে দেওয়া হয় এদেশটা কারো নিজের/কারো স্বামীর/করো মুক্তিযুদ্ধা বাবার। আর, আমরা যারা এসবের বাইরে তাদের পরিচয় হলো 'মুক্তিযুদ্ধা বাবা/স্বামীর দেশের সাধারন পাবলিক।'

ছোট্ট একটি ঘটনার বিবরণ দিয়ে লেখাটি শেষ করছি। ২০১৩ সালের কথা। লন্ডন অক্সফোর্ড স্ট্রিটে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলাম। পিক আওয়ার থাকায় প্রচন্ড জ্যাম। গাড়ির নড়চড় নেই। হঠাৎ খেয়াল করে দেখলাম লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) আমার ঠিক বাম পাশে সাইকেল নিয়ে ট্রাফিক সিগনালে দাঁড়িয়ে আছেন। চোখাচোখি হতেই হ্যালো বললে তিনিও প্রতি উত্তর করলেন। দুই-তিন মিনিটের রাস্তা পার হতে আমাদের বিশ মিনিটের মতো লেগেছিল। অধৈর্য্য হয়ে অনেকে মেয়রকে পেছনে ফেলে ফুটপাত দিয়ে সাইকেল হাঁটিয়ে নিয়ে গেলেও মেয়র তা করেননি। সেদিন তার ধৈর্য্য আর দায়িত্বশীলতার যে চাক্ষুষ সাক্ষী হলাম তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। এখানে একটি কথা না বললেই নয়, লন্ডনের মেয়র বৃটেনের প্রধানমন্ত্রীর পর লন্ডন সিটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি।


ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


সুন্দর পোস্টে গোল্ডেন এ প্লাস ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:





ধন্যবাদ, সাজ্জাদ ভাই।
অনুপ্রাণিত হলাম। এদেশের সবাইকে মানুষ হতে হবে সবার আগে।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:১৫

টুরিস্ট আশরাফুল বলেছেন: সব কথার শেষ কথা মানুষ হতে হলে শুধু শিক্ষিত হতে হয় না, সুশিক্ষার বড় প্রয়োজন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ।
মানুষ হতে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এর হাতেখড়ি হয় নিজের পরিবারে। তারপর সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্র আসে একে একে। শিক্ষিত যে কেউ হতে পারে। কিন্তু বোধসম্পন্ন মানুষ হতে না পারলে এই শিক্ষার কোন মূল্য নেই। ভালো থাকুন।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:৫৬

লাতিনো বলেছেন:

এই ভদ্রলোক পাবলিক বাসে উঠে সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
এই ভদ্রলোকের এসব বিষয়ে অনেক সুনাম আছে। দীর্ঘদিন ক্ষমতাধর একটি দেশের রাষ্ট্রপতি থাকার পরও কত সাধারণ জীবনযাপন। কল্পনা করা যায়? স্যালুট উনাকে।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:৪৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের দেশের প্রধান সমস্যার বীজ রোপিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের পর আওয়ামী সরকারের লুটপাটের মাধ্যমে রাতারাতি তৈরি হওয়া কোটিপতির হাত ধরে। এরপর জিয়া, এরশাদ, খালেদা ও হাসিনা সবাই মিলে দেশের জনগণকে শিক্ষিত করার পরিবর্তে কিছু শ্রেণিকে এলিট হিসেবে গড়ে তুলেছে। শিক্ষা ব্যবস্থার সেই ব্রিটিশিয়ানা এখনো পরিবর্তন করতে পারেনি। ব্রিটিশদের তৈরি করে যাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে হাতেগোনা কয়েকজন 'মানুষ' হওয়ার পরিবর্তে অধিকাংশই তৈরি হয়েছে মনিব পূজার প্রাণী ও অহংকারী গোবরওয়ালা মস্তিস্কের অধিকারী। সে কারণে এদের মধ্যে একদল লুন্ঠন করে চলেছে সাধারণ জনগণের জানমাল। আরেক দল নিজেদের দাপট ও অর্থের জন্য কৌশলে জনগণের অধিকার হরণ ও জনগণকে ব্যবহার করছে।


কোন কোন দার্শনিকের মতে মানুষের জন্মের সাথে সাথে তার মধ্যে পশুর ১০টি গুণ দেখা যায়। যা পরিবর্তনের জন্য মানুষের শিক্ষার প্রয়োজন। এই শিক্ষা বলতে কেউ বলেন একাডেমিক শিক্ষা কেউ বলেন ননএকাডেমিক শিক্ষা। দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমরা সবকিছুতে ইউরোপের কপি করলেও তাদের মত মানবীয় গুণ কিভাবে নিজেতে প্রতিষ্ঠা করবো তা নিয়ে মোটেও ভাবি না। আমাদের এই অপরিপক্ক শিক্ষা ও সমাজ ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।


অনেক অনেক শুভকামনা কাওসার ভাই৷

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, তাজুল ভাই।
আপনি চমৎকার বলেছেন। স্বাধীনতা উত্তর আমাদের রাষ্ট্রব্যস্থা কখনো জনবান্ধন ছিলো না। এলিটরা আজো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষতা পাচ্ছেন। সাধারন নাগরিকরা পথে ঘাটে অপমানিত হচ্ছেন, অপদস্ত হচ্ছেন, সর্বশান্ত হচ্ছেন। আমাদের বহুমুখী শিক্ষাব্যবস্থা মানুষ হওয়ার পথ রূদ্ধ করেছে। পরিবারও সন্তানদের মানুষ হওয়ার শিক্ষা দিচ্ছে না। ফলে যে ক্ষমতার ছোঁয়া পাচ্ছে সেই হয়ে উঠছে মহা ক্ষমতাধর। আচরণে হচ্ছে অমানুষ।

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:০৪

ওমেরা বলেছেন: এটা আমাদের দেশের মাটির সমস্যা । আমরা বাংলাদেশীরা প্রবাসে ঠিক আইন মেনে চলি । এই আমরাই যখন দেশে যাই তখন আবার আইন মানতে চাই না ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
হ্যা, আইনের শাসন যেখানে অনুপস্থিত সেখানে ক্ষমতার দম্ভ থাকে। মানুষকে ছোট লোক হিসাবে আলাদা করার সুযোগ থাকে, অপমান-অপদস্ত করার সুযোগ থাকে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও রাষ্ট্র সবার জন্য সমান আইন আর সমান অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। বিদেশে গেলে সবাই আইন মানে, আচরণে ভদ্র হয়। কারণ, সেখানে আইনের শাসন বিদ্যমান। বাপ-দাদার পরিচয় দেখিয়ে পার পাওয়ার সুযোগ নেই।

৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:২৬

জুন বলেছেন: ভ্যাক্সিন নিতে গেলাম ঢাকার এক প্রধান করোনা হসপিটালে। সবার টিকা কার্ড সংগ্রহ করে ভলিন্টিয়াররা নাম ধরে ডাকছে। আমাদের সরে সামনে যেতে বল্লো। এই সময় দেখলাম কয়েকজন ব্যাক্তি বিশেষ করে মহিলারা ভলিন্টিয়ারকে ঘিরে ধরেছে। জিজ্ঞেস করলাম ডাকা বন্ধ করে কি করছেন, জবাব এলো ওনারা ডাক্তার। তা ওনারা কি টিকা দিবে? না ওনারা নিবে। আমার এত রাগ লাগছিলো বললাম তাহলে সিরিয়ালি ডাকছেন না কেনো? কাগজ খোজা বাদ দিয়ে নাম ধরে ডাকলে তো এতক্ষণে সবাই ভেতরে যেতে পারতো টিকা নিতে। আমাদের দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার এর চুড়ান্ত দেখা যায়। বাইরে গেলে সব ঠান্ডা।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
এটা দুঃখজনক। নাগরিক সুবিধা সবার জন্য সমান হবে। ডাক্তারদের যদি ইমারজেন্সি টিকা নিতে হয় তাহলে সাধারন পাবলিকের লাইন যেখানে সেখানে যাবে কেন? লাইনে দাঁড়ালে সবাই সমান। তিনি মিনিস্টার হলেও। এতে লাইনে দীর্ঘ সময় দাঁড়ি থাকা সেবাগ্রহীতারা অপমানিত হন, নিজেকে ছোট মনে করেন। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা।

৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:০৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: তিন কোটার টক্করে আমরা খেলাম ধোকারে :D

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
হাসালেন ভাই। তিন ক্যাডার! সবাই ক্ষমতাবান!!

৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৫২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আমাদের দেশে প্রচন্ডভাবে আইন না মানার একটা প্রবনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আইন না মানার প্রবনতা প্রকটভাবে লক্ষনীয়। আমজনতা সবার মধ্যেই এমন একটা ভাব যেন আইন না মানলেই অনেক বড় কিছু হয়ে গেলাম। এই যে অনেক বড় কিছু হয়ে গেলাম, আমার অনেক ক্ষমতা ইত্যাদি জানান দেওয়ার যে প্রবনতা সেটা একটা মানসিক সমস্যা আর এই মানসিক সমস্যার মূল কারণ হলো রাজনৈতিক দৈনতা ও রাজনৈতিক আবর্জনার ফসল।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও দেশ সবার হয়ে উঠেনি। সাধারন মানুষ সাংবিধানিক অধিকার পায়নি। যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে তাদের আখের গুছিয়ে নিয়েছে। তাদের ক্যাডার,শুভাকাঙ্ক্ষীরা দেশের আইন নিজেদের সুবিধায় ব্যবহার করেছে। আইনের শাসন না থাকায় প্রশাসনের লোকজন আরো বেপরোয়া। আইন না মানার প্রবনতা তাদের মধ্যেই বেশি।

৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী,




অনভিপ্রেত। ক্ষমতার বড়াই শুরু হয় অপশাসন থেকে। রাষ্ট্র যখন জনগণের রক্ষক না হয়ে ক্ষমতাবানদের রক্ষক হয় তখনই এমন ঘটনা ঘটে। আমাদের দেশে এটা ঘটতেই থাকবে কারন আমরাই এই সিষ্টেমটাকে তৈরী করেছি এমন করেই।
সৈয়দ তাজুল ইসলাম ঠিকই বলেছেন --"সবাই মিলে দেশের জনগণকে শিক্ষিত করার পরিবর্তে কিছু শ্রেণিকে এলিট হিসেবে গড়ে তুলেছে।"

আপনার দেয়া উদাহরণ আর মন্তব্যের ঘরে দেয়া একটি ছবি কি আমাদের ক্ষমতাবানরা দেখেন না । সব কিছুতেই তো তারা ইংল্যান্ড, আমেরিকাকে অনুসরণ করেন (যেগুলো সমাজের জন্যে কল্যনকর নয় মোটেও) এখানটাতে তারা চোখ বন্ধ করে রাখেন কেন ? কারন বাঙালী জাতির নৃতত্ত্বগত উৎপত্তি অন্তজ শ্রেনীর কালা কালো নেংটি পড়া বেটেখাটো মানুষ থেকে। এদের রক্ত থেকে ভালো কি আর আশা করবো আমরা!!!!!! স্বীকার করি, আমি আপনিও এই দলে পড়ি কিন্তু আমাদের শিক্ষা - বোধজ্ঞান এদের থেকে আমাদের আলাদা করেছে।
যে ডাক্তারের কথা ঘটনায় এসেছে উনি মনে হয় শুধু ডাক্তারীই পাশ করছেন , শিক্ষিত হতে পারেননি। হতে পারে তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলি বীর বিক্রম (পত্রিকান্তরে জেনেছি)। কিন্তু উনি ওনার পিতার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মোটেও ধারন করেন না। বাবার পদবীর কারনেই উনি নিজেকে সৈয়দবংশ ভাবতে পারেন না। কিন্তু ভেবেছেন এবং " হারামযাদা" শব্দটি পর্যন্ত বলেছেন ওখানে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার ও মেজিষ্ট্রেটকে। বলিহারী! মনে হয়েছে উনি মানসিক ভারসাম্য ভোগা কোনও রোগী।
একজন ডাক্তারের এমন ব্যবহারের জন্যে লজ্জিত কারন আমি নিজেও একজন ডাক্তার।

ক্ষমতার দম্ভ ছেড়ে আমাদেরকে আগে মানুষ হতে হবে তবেই আমরা যে পেশায়ই থাকিনে কেন, মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করতে পারবো।

অনেকদিন পরে আপনাকে দেখলুম। ভালো আছেন তো ?
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন ক্ষমতার দম্ভ শুরু হয় অপশাসন থেকে। রাষ্ট্র এখন ক্ষমতাবানদের রক্ষক। জনগনকে রক্ষার দায়িত্বে কেউ নেই। নাগরিক হিসাবে এগুলো চোখ বুজে সহ্য করছি উপায় না দেখে। যারা ক্ষমতার ছোঁয়া পাইছে তারা দেশকে নিজের বাপের জমিদারি মনে করছে। রাষ্ট্রও তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

আমরা কথায় কথায় ইংল্যান্ড-আমেরিকা হয়ে যাই। কিন্তু বাস্তবে পড়ে আছি অন্ধকার গলিতে।

ভদ্রমহিলার বাবা যদি সত্যিকারে 'বীরবিক্রম' হয়ে থাকেন তাহলে তিনি এমন আচরণ করে তার বাবাকে জাতির কাছে ছোট করেছেন। ডাক্তার হলেও তিনি মানুষ হতে পারেননি। দায়িত্বশীল পুলিশ এবং মাজিস্ট্রেটকে 'হারামজাদা' বলার মতো অসভ্য ভাষা প্রয়োগ করলেন। এমন আচরণ দুঃজনক। উচ্চশিক্ষিত মানুষের কাছ থেকে এমন আচরণ কাম্য নয়।

আমি ইদানিং বেশি ব্যস্থ। ব্লগে সময় দেওয়া কঠিন হয়ে গেছে। লকডাউনে ঘরে বসে থাকার লিখার সুযোগ পাচ্ছি। আপনার লেখা নিয়মিত পড়ি। ভালো থাকুন। পরিবারের সবাই নিরাপদে থাকুন।

১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী,




কারেকশান - " মানসিক ভারসাম্য ভোগা কোনও রোগী।" বদলে"মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভোগা কোনও রোগী" হবে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বুঝেছি। ধন্যবাদ।

১১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৫৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: কাওসার ভাই, ভিডিওতে যা প্রদর্শিত হয়েছে, তা আমাদের জাতির জন্যই লজ্জাষ্কর। শক্তের ভক্ত নরমের যম- এদেশে বহুকাল ধরে এই প্রবচনের সার্থক প্রয়োগ হয়ে আসার একটা ক্ষুদ্র প্রদর্শনী এই ভিডিও।

এখানে একটা বিষয় লক্ষণীয়। ভিডিওটা যেখান থেকে শুরু হয়েছে, সেখান থেকেই ভদ্রমহিলা অ্যারোগেন্ট। ভদ্রমহিলার আচরণ অবশ্যই নিন্দনীয়। কিন্ত এর আগে কি হলো, সেটা আমরা দেখছি না। তাঁকে বল হলো- আপনার আইডি কার্ড দেখান, আর তিনি অভব্যতার চরম সীমায় পৌঁছে গেলেন, এটাই কি সত্যি, নাকি তাঁর সাথে ভিডিও শুরুর আগে এমন ব্যবহার করা হয়েছে যার কারণে তিনি এরকম ব্যবহার করলেন?

যেটাই হোক, সেটা ঠিক হয়নি, কিন্তু তাঁকে যেভাবে মিডিয়া ট্রায়ালে ফেলা হচ্ছে, সেটাও বোধহয় ঠিক হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত একটা কথা বলি- এই শতাব্দীর শুরুর দিকে এক রাতে পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলে ঢুকে পড়ে এবং ছাত্রীদের সাথে চরম অশালীন ব্যবহার করে। আমি ওই সময় ছাত্রজীবনের মধ্যগগনে এবং এই ঘটনার প্রতিবাদে হওয়া আন্দোলনে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারী। সে সময় এই প্রফেসর আনোয়ারউল্লাহ স্যার ভিসির পদ থেকে পদত্যাগ না করলে হয়তো বিএনপি সরকারকেই পদত্যাগ করতে হতো, পরিস্থিতি এমনই ঘোলাটে হয়ে গিয়েছিলো।

ইতিহাসে ওই ঘটনা পুলিশের কাপুরুষোচিত ঘটনা হিসেবেই লেখা থাকবে। কিন্তু এর উল্টোদিকও আছে যেটা লেখা থাকবে না, কেউ জানবেও না। ঘটনাটা খুবই সামান্য ছিলো। হলের মেয়েরা নিতান্তই নিজেদের হলের কিছু সমস্য নিয়ে আন্দোলন করছিলো, যার প্রেক্ষিতে হলের মুল ফটকের বাইরে পুলিশ মোতায়েন ছিলো। ওই হলে থাকা আমার বন্ধুদের সাথে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় ওরা বলেছে যে- দাবী আদায়ের আন্দোলেনে উদ্দীপ্ত ছাত্রীদের একাংশ হলের গেটের বাইরে থাকা পুলিশদেরকে খারাপভাবে টিজ করছিলো, ঠোলা, এইট পাশ বা আরও খারাপ ধরনের কথাবার্তা বলা, যেগুলো আমরা ওইসময় পুলিশ দেখলে অহরহই করতাম...

এক পর্যায়ে ওই পুলিশ সদস্যরা আর নিতে পারেনি, ধৈর্য্যহারা হয়ে হলে ঢুকে পড়ে এবং ক্যাজুয়াল ড্রেসে থাকা মেয়েদের রুমে রুমে ঢুকে মারধোর করে....। তারপরের ঘটনা উপরেই বলেছি।

পুলিশের এই আচরণ, আক্রমণ কোনোভাবেই কাম্য ন। কিন্তু দেখেন- ওইদিন যদি পুলিশের সদস্যরা ছাত্রীদের আপত্তিকর কথাবার্তা ও অংগভঙ্গীর মুখে না পড়তো, হয়তো এই ঘটনাটাই ঘটতো না।

আপনি যে দেশে থেকে এসেছেন বা থাকেন, সভ্যতার বিভিন্ন প্যারামিটারে তার ধারে কাছেও আমরা নেই। এখানে ক্ষমতার দাপট দেখানোতেই বিজয়। ভুলভাবে হলেও ভদ্রমহিলা শেষপর্যন্ত সেটাই করেছে।

ভালো থাকবেন। আপনাকে নিয়মিত দেখে ভালো লাগছে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
ভিডিওর শেষ অংশটা ছিল খুবই লজ্জাজনক। এগুলো জাতির কাছে খুব খারাপ একটি বার্তা পৌঁছে দিল। এদেশের আইন সবার জন্য না, সবাইকে আইন মানতে হয় না। রাষ্ট্র এসবের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে স্বাধীনতার পর থেকে। ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। সাধারন মানুষের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়নি। সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত হয়নি।

পুলিশ-মাজিস্ট্রেট আইডি যখন দেখতে চেয়েছিল তখন তিনি তা দেখাননি। তর্ক জুড়ে দিয়েছিলেন। আইডি দেখালে পুলিশ ছেড়ে দিতো। এছাড়া মাজিস্ট্রেট তো কোন কারণ ছাড়া উনার সাথে বাজে আচরণ করার কথা না। সমস্যা হলো তিনি আইন মানতে চাননি। তার এই উদ্ধত আচরণে বাকিরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এরপর তিনি যখন বাবার পরিচয় দেওয়া শুরু করলেন তখন পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যায়। এছাড়া পুলিুশকে তুই তুকারি, হারামজাদা বলায় পুলিশও মাথা ঠিক রাখতে পারেনি।

শেষ পর্যন্ত ক্ষমতার জয় হলো। এটা জাতির জন্য অশনি সংকেত।

১২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:০৯

কালো যাদুকর বলেছেন: মানুষ হওয়া জরুরী।
ঠিক এক বছর আগের কথা। তখন এন৯৫ মাস্কের জন্য চারিদিকে হাহাকার।
যুক্তরাস্ট্রের মিনেসোটা রাজ্যের হাইওয়ে দিয়ে লম্বা সিফটের কাজ শেষে একজন হৃদরোক সেপেসালিস্ট দ্রুত যাচ্ছিলেন গাড়ি চালিয়ে। পুলিশ গাড়ি থামালেন স্পিডিংয়ের জন্য। ডাক্তার গাড়িতে অপেক্ষা করছিলেন জরিমানা যুক্ত একটি টিকেট পাওয়ার জন্য। ডাক্তারের জন্য একটি সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছিল। জরিমানার বদলে পুলিশ ডাক্তারকে কয়েকটি নতুন এন৯৫ মাস্ক দিল।

পুরো নিউজটি এখানে।
https://www.usatoday.com/story/news/nation/2020/04/01/coronavirus-minnesota-cop-gives-doctor-n-95-masks-instead-ticket/5101725002/

মুদ্রার অপর পিঠটি ঠিক বিপরীত হয়।

যতটা কদর্য আমরা প্রতিদিন মানুষের মধ্যে দেখি, ততটাই মমতা হয়ত অন্য মানুষের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
চমৎকার একটি উদাহরণ। এটাই মানবতা। আমাদের ডাক্তার, পুলিশ, প্রশাসন কউ মানবিক নয়। আচরণগত সমস্যা সবার মধ্যে। আর ক্ষমতার দম্ভ তো রীতিমতো অবিশ্বাস্য।

১৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:১২

সাইন বোর্ড বলেছেন: চেতনা হাতের মুঠোয় থাকলে তাকে তো কাজে লাগাবেই, ব্যবসা তো মন্দ না !

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
চেতনার ব্যবসা এখন রমরমা। যাদের চেতনার পরিচয় নেই তাদের জন্য ন্যায়বিচার নেই, অধিকার নেই। খুঁটির জোর আর বাবার জোরে সবাই পার পেয়ে যাচ্ছে। যাদের এগুলো নেই তারা মার খাচ্ছে, লাথি খাচ্ছে।

১৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঢাকায় যারা মুক্তিযোদ্ধার ছেলেমেয়ে বলে দাবী করে, তাদের ৯৫ ভাগ ভুয়া।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
শুধু ঢাকায় কেন? দেশের সব অঞ্চলে একি অবস্থা। আমাদের এলাকায় যে কয়জন মুক্তিযুদ্ধার তালিকায় নাম লিখিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন এরা সবাই ভূয়া। আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, যুদ্ধে একটি কানের শ্রবণশক্তি হারিছিলেন; কিন্তু কোন দিন কোন তালিকায় নাম লিখাননি। ভূয়ারা মুখে মুখে মুক্তিযুদ্ধের বুলি আওড়ায়।

১৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা শহরের মানুষ ভালো না। এরা অল্পতেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পুলিশ ডাক্তার দুজনেই একটু সহনশীল হলেই এই ঘটনা ঘটতো না।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, রাজীব ভাই।
ঢাকায় খুব একটা থাকা হয়নি। আপনি ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা। এ বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা বিশাল। ঢাকার পরিবেশ দূষণ, শব্দ দূষণ এবং অসহনীয় যানজট এজন্য অনেকটা দায়ী। এগুলো ঢাকার মানুষের আচরণে এর প্রভাব ফেলছে।

১৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি গ্রামে ফিরে যাবো। বাকিটা জীবন গ্রামে চাষবাস করে কাটিয়ে দিবো।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




সেটাই ভালো। তবে দীর্ঘদিন নগর জীবনে অভ্যস্থ হয়ে গেলে গ্রামে গিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকা কঠিন। সন্তানদের পড়াশোনা সহ অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। আমিও বাড়ি যেতে চাই। এই দায়িত্বশীলতা আর জীবন সংগ্রাম আর ভালো লাগে না।

১৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার বাবা মা দেশের জন্য লড়াই করেছেন এটা গর্বের বিষয় অহমিকার বিষয় নয়।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন। বাবা-মায়ের গৌরবকে সমাজে আদর্শ হিসাবে উপস্থাপন করার দায়িত্ব সন্তানের। বাপ-মায়ের নাম বিক্রি করে উদ্দেশ্য হাসিল করা মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়।

১৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সকালে এ ঘটনার উপর রেজা ঘটকের একটা পোস্ট পড়েছিলাম। সেটাতেও সুন্দর বিশ্লেষণ ছিল ঘটনার।

ভিডিওটিতে যা দেখলাম, তাতে আমাদের স্তম্ভিত হয়ে যাওয়ার কথা। স্তম্ভিত যে হই নি তার কারণ হলো এসব ঘটনা আমাদের চোখ-সওয়া হয়ে গেছে। দুদিন এটা নিয়ে তোলপাড় হবে, তারপর আরেকটা বড়ো ইস্যুতে এটা ঢাকা পড়ে যাবে।

ভিডিওতে যা দেখি তা পুরোটা নয়। ঘটনা ঘটবার পর অনেক পুলিশ অফিসার ওখানে জড়ো হয়েছেন, ঘটনা কিছুদূর গড়িয়ে যাওয়ার পর থেকে ভিডিও ধারণ হয়েছে, ফলে কীভাবে শুরু হলো তা আমরা জানতে বা বুঝতে পারছি না।

তবে, পুরো ঘটনাটা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। শুধু পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটই না, স্বয়ং ডাক্তারও তো প্রশাসনের অংশ। সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে একেকটা প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের অংশ। জনগণ দেখলেন, রাষ্ট্রের এই তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বিমুখী কলহ বা বিতণ্ডা।

প্রথম প্রশ্ন হলো - একজন ডাক্তারকে চেক করার জন্য ঠিক কতজন পুলিশের প্রয়োজন? এখানে বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসারকে জড়ো হতে দেখা যাচ্ছে। তা প্রমাণ করে, ঘটনা শুরু হয়েছে বেশ আগে। হট্টগোলের কারণে, কিংবা দায়িত্বরত পুলিশ অফিসারের আহবানে বাকি পুলিশ অফিসাররা এখানে এসে জড়ো হয়েছেন।

ভিডিও'র শুরুতে ডাক্তারকে অতখানি মারমুখী বা অ্যাগ্রেসিভ মনে হয় নি, বরং ঐ সময়ে পুলিশের পক্ষেই একটু বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছিল। তবে, শেষের দিকে ডাক্তার যেভাবে স্যরি বলানোর জন্য অ্যাডামেন্ট হয়ে উঠছিলেন, তা অতি দৃষ্টিকটু লাগছিল ও অতি বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছিল, এবং পুলিশ/ম্যাজিস্ট্রেটকে তখন সত্যিই অসহায় মনে হচ্ছিল, যা খুব খারাপ একটা দিক।

ডাক্তার মহাশয় হলেন বীর বিক্রম মীর শওকত আলীর মেয়ে, এটা তিনি পরিচয় দিচ্ছিলেন। আমার মনে হচ্ছে, উপস্থিত কেউ বীর বিক্রম লেঃ জেনারেল মীর শওকত আলীর নাম জানতেন না। ডাক্তার নিজের পরিচয় দেয়ার সাথে সাথে তারাও যেভাবে 'আমার বাবাও মুক্তিযোদ্ধা', স্যারের বাবাও মুক্তিযোদ্ধা বলে একজন আরেকজনের উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের চেষ্টায় গলদঘর্ম হচ্ছিলেন, তা দেখে আমার এমন ধারণা হলো।

আমার বাবা প্রেসিডেন্ট, নাকি প্রধানমন্ত্রী, বাবা সচিব নাকি মেয়র, এইসব স্টেটাস আমাকে যেমন কোনো আইন ভঙ্গ করার বা অন্যায় করার অধিকার দেয় না, স্বয়ং আমার বাবারও সেইরকম আইন ভাঙার বা অপরাধ করার অধিকার নেই। এই টাসেল থেকে মনে হলো, বাবা, খালুর স্টেটাস দিয়া অন্যায় থেকে মাফ পাওয়া যায়, বা নিজেরও অন্যায় করার একটা অধিকার জন্মায়।

ইউটিউবে জনগণের কমেন্ট থেকে বোঝা যায়, বিবদমান এই কর্মকর্তা বা ডাক্তারদের উপরে মানুষের আস্থা, বা ক্ষোভের পরিমাণ কতখানি।

অনেক সুন্দর একটা পোস্ট কাওসার ভাই।

আমরা মানুষ হতে পারবো না, এগুলো শুধু বইপুস্তকেই থেকে যাবে।

আর এরকম ইগোর লড়াই আমাদের দেখে যেতে হবে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
চমৎকার বিশ্লেষণমূলক কমেন্টের জন্য কৃতজ্ঞতা।

ভিডিওতে যা দেখেছি তা থেকে আগাগোড়া একটু বুঝতে চেষ্টা করেছি। এখানে যদি শুধু পুলিশের চেকপোস্ট হতো তাহলে বিষয়টি অন্যভাবে হয়তো ভাবনার সুযোগ ছিল। চেকপোস্টের মূল চেকার হলেন মাজিস্ট্রেট। মাজিস্ট্রেট তো কোন উপযুক্ত কারণ ছাড়া একজন ডাক্তারকে হেনস্তা করবেন না। এই মহিলা কল্পনা করেননি পুলিশ তার কাছ আইডি চাইবে। কারণ জীবনে নিজের আর বাপের ক্ষমতা দেখিয়ে এসেছেন, কেউ কখনো বেশি বলার সাহস পায়নি। তার বাবার পরিচয় পাওয়ার পরও তাকে পাত্তা না দেওয়ায় তিনি আরো চটে গেছেন।

আরেকটি বিষয় সরকারি চাকরির র্যাকিংয়ে পুলিশ অফিসার এবং মাজিস্ট্রেট তার নিচে। এজন্য তার কাছে আইডি চাওয়াকে বেয়াদবী হিসাবে নিয়েছেন। এখানে নিজের দেমাগ কাজ করেছে। ভদ্রমহিলা জানেন না, যখন যেখানে যে বিষয়ের সম্মুখিন হবেন তখন তা বুদ্ধিদীপ্ত ভাবে মোকাবেলা করতে হয়। আইনের ধারায় পুলিশের যত ছোট অফিসার হোন না কেন তার দায়িত্ব পালনে সবার সহায়তা করা। তিনি বেমালুম তা ভুলে গেলেন। বারবার হুংকার দিলেন। বাপের পরিচয় দিয়ে বাপকে ছোট করলেন। জাতি জানলো একজন বীরবিক্রমের কন্যা কত বড় বেয়াদব আর আইনের প্রতি শ্রদ্ধাহীন।

ভালো থাকুন।

১৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪৩

সোহানী বলেছেন: দেশের সাথে তুলনা করতে খুব লজ্জা পাই। কিভাবে তুলনা করবো বলেন, সাধারন কিছুই যে আমাদের মস্তিস্কে ঢুকে না। কোনটা ভালো কোনটা মন্দ....... সাধারন সিভিক সেন্সই আমাদের লোপ পাচ্ছে দিন দিন। তারচেয়ে বড় কথা তাজুলের মতো বলতেই হয়, আমরা দেশে এখন দুই শ্রেনী, এলিট আর নন-এলিট। এর বাইরে কিছু নেই। একদল আইন পকেটে নিয়ে রাখে, রাস্ট্র তাদের সেবায় ব্যাস্ত। আর আরেকদল তামাশা দেখে, কিছুই করার নেই তাদের।

আর ওই বরিস বা মার্কল বা রুহানী বা মাহমুদ বা ট্রডোর সাথে তুলনা করাটা বিশাল বোকামী। আগে বুঝতে হবে ওরা হলো রাস্ট্রের প্রধান! রাস্ট্র পরিচালনা তাদের জব, নিজেদের আখের গোছানোর ব্যাবসা কেন্দ্র নয়।

আমি ভিডিওটা দেখিনি। বা দেকার ইচ্ছেও নেই। কারন খুব কষ্ট পাই দেশের সাথে তুলনা করে। শুধু বলতে পারি এমন কিছু ঘটলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য। আইন সবার জন্য সমান।

আর পদ্মপুকুর ভাই এর কথাটাও ফেলনা নয়। আগের অংশটুকু আমার দেখিনি বলে অর্ধেক জাজা করছি। কারন দেশের এ বাহিনীর সুনামতো আমরা জনি।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ, আপু।
এই লেখাটি 'ক্যানভাস' গ্রুপে পোস্ট করেছিলাম। মাত্র দুই ঘন্টায় তা আলোড়ন তুলে। এটা দেখে একদল সুশীল ঝাঁপিয়ে পড়লো। আমাকে গিলে খেলেও তাদের রাগ কমবে না। এরা একচোখে সব দোষ পুলিশের উপর অর্পিত করলো। কোন যুক্তির ধার এরা ধরবে না। একজন কমেন্ট করলেন তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধো। পোস্টে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে! কেউ কেউ এডমিনদের ডেকে এনে বিচার সালিশ বসালেন! এই হচ্ছে এদেশের অবস্থা। এই গোলামী মানসিকতার জন্য তথাকথিত ভিআইপিরা আইনকে পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। নিজেদের এলিট হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পায়।

ভিডিওতে যা দেখেছি তা থেকে আগাগোড়া একটু বুঝতে চেষ্টা করেছি। এখানে যদি শুধু পুলিশের চেকপোস্ট হতো তাহলে বিষয়টি অন্যভাবে হয়তো ভাবনার সুযোগ ছিল। চেকপোস্টের মূল চেকার হলেন মাজিস্ট্রেট। মাজিস্ট্রেট তো কোন উপযুক্ত কারণ ছাড়া একজন ডাক্তারকে হেনস্তা করবেন না। এই মহিলা কল্পনা করেননি পুলিশ তার কাছ আইডি চাইবে। কারণ জীবনে নিজের আর বাপের ক্ষমতা দেখিয়ে এসেছেন, কেউ কখনো বেশি বলার সাহস পায়নি। তার বাবার পরিচয় পাওয়ার পরও তাকে পাত্তা না দেওয়ায় তিনি আরো চটে গেছেন।

ভালো থাকুন, আপু।

২০| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে সবার মন্তব্য এবং মন্তব্যের উত্তর গুলো খুবই ভালো লাগলো।

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, রাজীব ভাই।
এটাই ব্লগের সাথে ফেইসবুকের মূল পার্থক্য। যারা কমেন্ট করেছেন উনারা অনেক সময় খরছ করে লেখাটি পড়েছেন। গঠনমূলক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন। এই আলোচনা, যুক্তি এবং ভাবনা লেখক এবং পাঠক উভয়ের জন্য ইতিবাচক।

২১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভদ্র মহিলা যদি দোষ করে থাকেন তাহলে শেষ পর্যন্ত বিনা শাস্তিতে ওনাকে কেন ছাড়া হোল। পুলিশের উচিত ছিল নজির সৃষ্টি করা, তারা যদি এতোই আইনের লোক হয়ে থাকেন। ঐ ভদ্রমহিলা ওনার অধিকার যেভাবেই হোক ( খারাপ ব্যবহারের মাধ্যমে) আদায় করে নিয়েছেন। আম জনতা এটা পারতো না। কারণ এটা বাংলাদেশ। এখানে মাইট ইস রাইট। উন্নত বিশ্বের পুলিশ আর বাংলাদেশের পুলিশ কি এক জিনিস। অনেক বিষয়েই উন্নত দেশের সাথে আমাদের তুলনা করা যায় না।

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
আপনার বক্তব্যের সাথে একমত। ভদ্রমহিলা যদি পুলিশ এবং মাজিস্ট্রেটের কাজে অসহযোগিতা করেন, বাজে আচরণ করেন, বাপের ক্ষমতা দেখিয়ে তুই-তুকারি করেন তাহলে দেশের প্রচলিত আইনে তাকে গ্রেফতার করা উচিৎ ছিল। এগুলো নজির সৃষ্টি করতো। শেষপর্যন্ত যা হয়েছে তা দেখে খুব অসহায় লাগছে। এদেশে আইন শুধু দুর্বলের জন্য কার্যকর হয়। এলিটরা আইনের উর্ধে। স্বাধীনতার এতো বছর পরও সবার জন্য একটি রাষ্ট্র গড়ে উঠেনি। আইন, নিয়ম সবার জন্য সমান হয়নি।

দুঃখজনক।

২২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৭

শেহজাদী১৯ বলেছেন: সত্যিকারের মানুষ ক জনে হতে পারে? মানুষ হওয়া আসলেও বড় কঠিন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৩২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ।
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
আমরা ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় উস্কানীর শিক্ষা পাই। আমাদের পরিবারও সমাজ ধর্মীয় পরিচয়কে সবার আগে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা কারে। এতে অন্য মতের প্রতি অশ্রদ্ধা জন্ম নেয় নিজের অজান্তে। বয়স বাড়ার সাথে এসব ধারণা আরো পাকাপোক্ত হয়। এছাড়া, পরিবার থেকে বড় চাকরি, বড় সার্টিফিকেট অর্জনকে সব সময় মাথায় গেঁথে দেওয়া হয়। এগুলো শিশু-কিশোরদের মগজ ধোলাই করে। মানুষ হওয়ার শিক্ষা সবার আগে পরিবার থেকে নিতে হয়। তারপর সমাজ ও রাষ্ট্র এ শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু গোড়ায় গলদ হলে বড় হয়েও ভালো মানুষ হওয়ার সুযোগ খুব একটা থাকে না।

ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.