নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরী রাজ্যের ভাসুর সংঘ

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:২৬


মোসারাত এবং আনভীর। অনেক চেষ্টায়ও নাম দু'টি ঠিকটাক উচ্চারণ করতে পারি না। আমি জানি না অন্যকারো বেলায় এমনটি হয় কিনা! মোসারাতকে নুসরাত এবং আনভীরকে তানভীর উচ্চারণ করি। তবে পরীমনি নামটি উচ্চারণ করতে কখনো কোন সমস্যায় পড়িনি। ছোটবেলা থেকে পরীদের নিয়ে আমরা এতো রুপকথা শুনেছি যে এসব প্রজাতি নিয়ে অন্যরকম আবেগ কাজ করে। আর সানি লিওনি? না এই নামটিও খুব একটা অপরিচিত নয়! উচ্চারণও সহজ।

'মোফাসাঁ'। বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম শক্তিশালী এই লেখক, যাকে ছোট গল্পের প্রবাদ পূরুষ বলা হয় তিনি বেঁচেছিলেন মাত্র ৪২ বছর! এই সামান্য সময়ে তিনি বিশ্বসাহিত্যকে উজাড় করে দিয়ে গেছেন। তাঁর লেখা 'নেকলেস' গল্পটি পৃথিবীর অন্যতম সেরা গল্প হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। প্রিয় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য বেঁচেছিলেন মাত্র ২১ বছর! একুশটি বসন্ত পাওয়া এই কবি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে গেছেন চমৎকার সব কবিতা দিয়ে।

মোসারাতের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে সর্বশেষ সংবাদে প্রকাশ, তার খাবারের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে অজ্ঞান করে, ফ্যানে ঝুলিয়ে সুইসাইড নাটক বানিয়ে পাঁচ ঘন্টারও কম সময়ে কার্গো ফ্লাইটে ঢাকা ছেড়ে দুবাই পালিয়ে যায় আনভীর। আর কলকাতা থেকে চিত্রনায়িকা পরীমনি উড়াল দিয়ে দুবাইয়ে আনভীরের সাথে একই হোটেলে/রুমে উঠেন এবং আনভীরের বিলাসবহুল প্রাইভেট বোটে দু'জনে একান্তে সময় কাটান।

এই মৃত্যু নিয়ে 'ভাসুর রক্ষা পরিষদ' বড়ই ভাবলেশহীন! প্রথমদিন তো নামই মুখে আনেনি! এমন পরহেজগার ভদ্র বউ এখনো আছে? এই পরিষদে নেতৃত্ব দেওয়া লেখক/সাংবাদিক জাতীয় সব ইস্যু নিয়ে মুখের ফেনা, চোখের চনা একাকার করে দিলেও দুধের শিশু ভাসুরকে নিয়ে কোন রাও নেই! বাহ, কত ভক্তি।

২১ বছরের মোসারাত ৪২ বছর বয়সী আনভীর নামক একটি ভয়ঙ্কর মাফিয়ার লালসার শিকার হয়ে পৃথিবীর মায় সাঙ্গ করে চলে গেল। মোসারাতের প্রতিভা ছিল, ভালো ছবি আঁকতো। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য না হোক তাতে কি? উপযুক্ত গাইড লাইন পেলে, সুস্থ পরিবেশ পেলে একজন সফল চিত্রশিল্পী হতে পারতো। মাত্র ১৫ বছর বয়সে যার মাথার ছায়া বাবা-মা পৃথিবীকে গুডবাই জানিয়ে চলে গেছেন তার কাছে পৃথিবীকে নতুন করে জানার/চেনার সুযোগ খুব একটা ছিল না। বয়সের সাথে রূপ আর সৌন্দর্য বাড়লেও নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগানোর সুযোগ হয়নি তার। ৪২ নামক শকুনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আর লালসা তাকে অন্ধকারে তলিয়ে দিয়েছে। হয়তো, বাপ-মা হারা এই অসহায় মেয়েটি ৪২শে নির্ভরতা খুঁজেছিল। তাকে সত্যিকারে ভালোবেসে একটি শান্তির নীড় খুঁজছিল। কিন্তু শকুনটি তাকে একটি পণ্য ছাড়া কিছুই ভাবেনি। কারণ, এমন পণ্য তার টাকা আর ক্ষমতার কাছে খুবই নগণ্য। এরা টাকা দিয়ে শরীর কিনে, মন নয়।

পরীমনিরা হচ্ছে পাকা খেলোয়াড়। এসব বিয়াল্লিশ, বিরাশিরা তাদের প্রতিভার কাছে নাকানিচুবানি খায় প্রতিনিয়ত। আজ আনভীর তো কাল আনভীরের বাপ! সবাইকে ম্যানেজ করার দারুণ প্রতিভা তাদের। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এরা অভিনয়ের পাশাপাশি বাজারি ডিমান্ডের সাথে পণ্য হিসাবে নিজেদের উপস্থাপন করে দারুণভাবে। কাস্টমার টাকার বস্তা নিয়ে হাজির হয় তাদের অন্দরমহলে। ইদানিং নাদুস নুদুস গরুর চামড়ার দাম মাত্র ১০০ টাকা হলেও পরীমনিদের চামড়ার দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তবে, মৃত্যুর পর গরুর চামড়ার বহুবিধ ব্যবহার হলেও পরীদের চামড়া শাপ-বিচ্ছুর পেটে যায়। ঢাকায় কোটিপতির সংখ্যা যত বাড়বে চামড়ার দোকানদারদের চাহিদা ততো বাড়বে।

সানি লিওনি ক্যামেরার সামনে ন্যুড হয় সবাইকে জানিয়ে আর পরিরা পর্দার আড়ালে ন্যুড হয় টাকার সামনে। তবে সততার দিক থেকে তুলনা করলে সানি লিওনি কিন্তু অনেক এগিয়ে। কল্পনার পরীদের বয়স পঞ্চাশ পেরিয়ে গেলেও তারা অবিবাহিতা ভার্জিন।


ফটো ক্রেডিট-
গুগল।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:৩৮

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আপনি কি সিডনিতে থাকেন?

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ।
আমি বেশ কয়েক বছর বৃটেনে ছিলাম। এখন দেশ আছি। তবে অস্ট্রেলিয়ায় কখনো যাইনি।
আপনি কি সিডনিতে আছেন?

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:৫৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: কোনো মেয়ে মারা গেলেই সে নির্যাতিত হয়ে যায় না।
পুরো ঘটনা জানতে হয়। ধনী লোকদের শিকার করা ছিলো তার পেশা।
পিয়াসা লিখেছে,‘‘এই ঘটনার নেপথ্যে আরও অনেক কাহিনি আছে। এই মেয়ে (মুনিয়া) তো একটা সাইকো ছিল। আনভীর ভাই বিবাহিত জানা সত্ত্বেও কেন তার দেওয়া ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেছিল? তাকে তো আগে আমরা কুমিল্লায় পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। সে লোভী। সে একটা... (প্রকাশযোগ্য নয়)।’আলোচনায় সেই পিয়াসা
আর এই পরী হচ্ছে একটা পেশাদার পতিতা, যে অভিনয়ের নামে কিছু গডফাদারদের সাহায্যে পরিকল্পিতভাবে পতিতাবৃত্তি চালাচ্ছে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ।
সুচিন্তিত মতামত। কোন মেয়ে মারা গেলেই সে নির্যাতিত হয়ে যায় না কথাটা সত্য। তবে মারা যাওয়া একজন মানুষের প্রতি এক প্রকার মায়া হয়। যদি অপমৃত্যু হয় তখন দুঃখ লাগে, আফসোস হয়। এমনটা আমাদের যে কারো পরিবারে হতে পারে। এটা ভাবলে আতঙ্কিত হই। ভালো হোক, মন্দ হোক একজন মানুষ তো চলেই গেলো। মুনিয়া আমার খুব ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুুর বন্ধুর ছোট বোন। বন্ধুর কাছ থেকে মেয়েটি এবং তার পরিবার সম্বন্ধে অনেক অজানা বিষয় জেনেছি; যা মিডিয়ায় আসেনি।

এই মৃত্যুর দায় মেয়েটির আছে, তার পরিবারেরও আছে। এটা স্বীকার না করে উপায় নেই। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সে বাবা-মাকে হারায়। বড় ভাই সারাদিন রাজনীতি নিয়ে বিজি থাকতো, বাউন্ডুলে টাইপের। বড় বোনের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় অনেকটা একাকি গাইড লাইন ছাড়া বড় হয়েছে। এই অবাধ চলাফেরা আর শারীরিক সৌন্দর্য শেষ পর্যন্ত তার জীবন শেষ করে দিলো। জীবনকে জানার আগেই মাফিয়ার খপ্পরে পড়ে হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে যায়। জীবনের বাস্তবতা কত কঠিন তা তার ছোট্ট মগজে ধরেনি।

পরীরা পাকা গুটিবাজ। অনেক অভিজ্ঞ। এরা নৌকার ব্যালেন্স রেখে নির্বিঘ্নে সমুদ্র পার হতে পারে।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:২৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: এই মেয়ে ইচ্ছা করলে পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হতে পারতো।
কিন্ত এরকম যেসব মেয়ে নিজের রুপ বিক্রি করতে চায়, তাদের কারো পরিণতিই ভালো হয় না।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




হ্যা, মেয়েটার প্রতিভা ছিল। কিন্তু সঠিক গাইড লাইনের অভাবে এমন পরিণতি হলো। এগুলো থেকে মেয়েরা শিক্ষা নিতে পারে। অভিভাবকেরা আরো সচেতন হবেন আশা করি। মুনিয়ার বাবা এলাকায় খুব সম্মানী মানুষ ছিলেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে মেয়ে এমন উচ্ছৃঙ্খল হতে পারতো না। আনভীরের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:৩৯

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম আপনি অস্ট্রেলিয়া তে।
আমি সিডনি তে আছি।
কউসার খান কে আপনার সাথে মিলিয়ে ফেলেছিলাম, সরি।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ঠিক আছে, সমস্যা নেই। ভালো থাকুন।

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:৪৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: মেয়েটার বয়স কতই হয়েছিল। এতো তরুণ বয়সে মানুষ যুক্তি বা দূরদর্শিতার চাইতে আবেগ দ্বারাই পরিচালিত হয়। পিতৃমাতৃহীন এই তরুণীটিকে অনেকে দোষারোপ করছেন। কিন্তু যে সমাজ আমরা তৈরী করে ফেলেছি, তার এতে কতটুকু ভূমিকা আছে তা অনেকেই আমরা এড়িয়ে যাচ্ছি। কারণ ? আমাদের অনেকেই এই চরম ম্যাটিরিলিয়াসটিক সমাজের সৃষ্ট বিভিন্ন অন্যায়, বৈষম্য ও অরাজকতার বেনিফিশিয়ারি।

সমাজের নেতৃস্থানীয়রা যে যার প্রয়োজনমতো নিয়ম কানুন বানিয়ে ফেলছেন যা তাদের জন্য একধরণের সুরক্ষার বলয় তৈরী করছে। তাই মামুনুলরা মূতা বিবাহের ডিফেন্স ব্যবহার করে অন্যায় করেও অনুসারীদের চোখে নিরাপরাধ হয়ে দিন পার করছেন। দরবেশ বাবারা জুয়ার বোর্ড বসিয়ে জনগণের কষ্টার্জিত সম্পদ লুট করে ফুলে ফেঁপে মোটা হচ্ছেন কোনো বাধাবিপত্তি ছাড়াই। আর আজিজ মোহাম্মদ, আনভীর মোহাম্মদ (আকবর) রা সালমান শাহ, মোশারাতকে দুনিয়া থেকে গায়েব করেও পার হয়ে যাচ্ছেন অবলীলায়।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:০৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ।
যে বয়সে মেয়েটি এতিম হয় সে বয়সটাতে চোখে রঙিন স্বপন বাসা বাঁধে। এসময় তরুণীরা নিজেদের রাজকন্যা মনে করে। পাংখা মেলে আজাশে উড়তে চায়। বয়সের সাথে শরীর আর মনের এই পরিবর্তন বাস্তবতাকে অগ্রাহ্য করে। এই সময়টায় মায়ের ভূমিকা থাকে সবচেয়ে বেশি। মায়েরা মেয়েদের পৃথিবীতে পা রেখে চলতে শেখান, কার সাথে মিশতে হবে, কাকে এড়িয়ে চলতে হবে তা শিখান। জীবনকে জানতে আচরণ আর অনুকরণের শিক্ষা দেন। এগুলো তাকে জীবনবোধের শিক্ষা দেয়।

মোসারাতের সে সুযোগ হয়নি।

আমাদের সমাজের সব পেয়েছিরা ওৎ পেতে বসে থাকে এসব পরীদের খাঁচায় বন্দি করার অভিপ্রায়ে। সফলও হয়। আমাদের মিডিয়া জগৎটা এখন এসব বখাটেদের দখলে। সুন্দরী প্রতিযোগিতা আর মডেলিং এর কথা বলে এরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত সহজ-সরল মেয়েদের জড়ো করে বিভিন্ন লোভনীয়া অফার দিয়ে আকৃষ্ট করে। মোসারাতের বেলায়ও তাই হয়েছিল। ভয়ঙ্কর এসব মাফিয়াদের এই ইনোসেন্ট মেয়েরা চিনতে পারে না। তাদের মিষ্টি কথা, টাকা, ক্ষমতা আর কুটচালে বন্দি হয়ে নিজের জীবনকে বিষিয়ে তুলে। যখন ভুল বুঝতে পারে তখন ফিরে আসার কোন সুযোগ থাকে না।

দরবেশরা জুয়ার আসর বসাবে, জমি লুট করবে, শেয়ার মার্কেট লুটেপুটে খাবে। দেশটা তাদের বাপের জমিদারী।

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:০৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: মৃত মেয়েটি কেমন ধরনের মেয়ে ছিল তা আসলে আলোচনা করার বিষয়ই হবার কথা নয়। একটি রহস্যজনক মৃত্যূ হয়েছে। কিন্ত লাশের কোন পোস্ট মর্টেম হল না, তদন্ত হল না এটাই বেশি উদ্বেগজনক।দেশের ক্ষমতাবানদের সাথে বসুন্ধরার এমডির ওঠাবসার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কাজেই মুনিয়ার চরিত্র কেমন ছিল সেটাই এখন মিডিয়ার আলোচনার মুল বিষয় , রহস্যজনক মৃত্যূটি তদন্তের বিষয় আর নয়।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
মৃত ভিকটিম সুন্দরী রমনী হলে আমরা তার চরিত্র নিয়ে সবার আগে পোস্টমর্টেম করি। এগুলো দুঃখজনক। ছেলে ভিকটিমের বেলায় এতো খুঁজাখুঁজি করি না। এগুলো আমাদের বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। মোসারাতের লাশের পোস্টমার্টাম না হলে তা দুঃজখজনক।

৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: আনভীর না ফানভীর এই কুলাঙ্গারের ভাইও আমাদের ব্লগে আছে।এরা এখন মেয়েটির চরিত্র নিয়ে কথা বলবে।এই কুলাঙ্গারকে এখনি নপুংসক করে দেয়া দরকার।নয়তো এরা টাকার জোরে আরো অনেক প্রান অকালে কেড়ে নিবে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
আনভীরের ভাই ব্লগিং করে! সামুতে?
এই পরিবারের ছেলেরা যদি ব্লগিং এর মতো সৃজনশীল কাজে জড়িত থাকে তাহলে তো বিষয়টি ইতিবাচক। অভিভাবকহীন মেয়েটি গাইডলাইনের অভাবে মাফিয়াদের চক্করে পড়ে সুন্দর জীবনের ইতি টানলো। এই খুনের কোন বিচার হবে না। দেশে আইনের শাসন নেই। সরকার টাকা আর শক্তির কাছে নতজানু।

৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আনভীরের সাথে পরীমনির সম্পৃক্ততা সম্পর্কে কি নিশ্চিত হওয়া গেছে? ফেইসবুকে পরীমনি খুব অ্যাক্টিভ। সেখানকার পোস্টে বোঝা যায় তিনি দুবাই-এ আছেন, কিন্তু এরকম কোনো স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে থাকলে এতক্ষণে ঐ পেইজ তো গায়েব হয়ে যেত। অবশ্য ঠিক জানি না, ঐ পেইজের অ্যাডমিন পরীমনি নিজে, নাকি অন্য কেউ।

একটা মেয়ে যত লোভীই হোক না কেন, তাকে মেরে ফেলার ঘটনা কখনো সাপোর্ট করা যায় না, কেউ সেটা সাপোর্ট করলে সেটা তার নৈতিক স্খলন বা মানসিক ভারসাম্যহীনতা প্রমাণ করবে। আনভীরের বড়ো ভাইও তো অন্য পুরুষের বউ নিয়া কত কিছু করেছিল। এরা সেই জাতের পুরুষই। আর যদি, দুবাই গিয়ে পরীমনিকে নিয়ে ফুর্তি করার ঘটনা সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তো তার চরিত্রের জঘন্যতা আরো ভয়াবহ আকারে প্রকাশ পেল।

প্রথমে শুনেছিলাম, আনভীরের বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাই হয়ে থাকলে সে পালালো কীভাবে? এই যে পালানোর সুযোগ তার আছে, তা থেকেই প্রমাণ পাওয়া যায় এদের হাত কত লম্বা। এরা পুরা দেশ কিনে ফেলতে পারে।

কিছুদিন পরই আমরা আনভীরকে বহাল তবিয়তে নিজ আসনে দেখবো, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। আর সে জন্যই খুব হতাশ হচ্ছি- টাকাওয়ালাদের কাছে মানুষ মারা তো মশা মারার মতন, ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে মেরে ভর্তা বানিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়াই তাদের কাজ।

কিছু হবে না, তবু আশা করতে বাঁধা নেই- এই হালার পুত গো বিচার হোক। মাটিতে অর্ধেক পুঁতে রেখে কুকুর দিয়ে খাওয়ানো হোক।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
পরীমনি এখন দুবাইতে। সে কলকাতা থেকে সেখানে উড়ে গেছে। এই খুনের তার কোন হাত নেই। খুনি তানবীরের সাথে পরীমনির গিভ এন্ড টেক সম্পর্ক। আনভীর পয়সা ঢালে, পরীমনি কাপড় খুলে। এ বিষয়টি আনভীরের পরিবার জানে। এটা নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছে। আনভীরের বউ বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পরদিন দুবাই চলে যায়। এসব তথ্য মিডিয়ায় আসবে না। নিউজটি আনভীরের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে পাওয়া।

মেয়েটি অভিভাবকহীন ছিল। সঠিক গাইড লাইন পায়নি। সঠিক/বেঠিক পথ চেনার সুযোগ হয়নি। আবেগ আর একরাশ কল্পনার রাজ্যে বসবাসের সময়ে মায়ের ভূমিকা থাকে। যার মা নেই সে জানে কি নেই।

আনভীরদের কাছে আদালত, সরকার কেনা কোন বিষয় না। হাইকোর্টকে এরা থোড়াই কেয়ার করে। তাদের বিরুদ্ধে শতশত জমি দখলের মামলা থাকলেও তাদের কিছু কোন আদালত ছিড়তে পারেনি। পারবে বলে মনে হয় না। আনভীর কিছুদিন লোকচক্ষুর আড়ালে থাকবে, তারপর আবার পরীর রাজ্যে পাখনা মেলে উড়ে বেড়াবে।

৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৫৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এরা একবার তাদের সহযোগী ইঞ্জিনিয়াকেও মেরে ফেলেছিল তারও সঠিক কোন বিচার হযেছিল কি?

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
এই ঘটনাটি বেদনাদায়ক। তখন এরা সরকার কিনেছিল মাত্র পঞ্চাশ কোটি টাকায়।
এবার হয়তো রেট একটু বাড়বে, সরকারও পরিবর্তন হয়েছে।

১০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:১৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মুনিয়া বোকা হওয়ায় লাখ টাকার ফ্লাট হতে সোজা বাঁশের ঘেরা মাটির ঘরে। পরি চালাক বলে নতুন নতুন দেশপ্রেমিক তার পাশে। আনভির আগাম জামিন চেয়েছে দেশমাতা এই যোগ্য লোকটার গুণ স্মরণ রাখবে কারণ উনার হাত অনেক হাত আছে

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
মুনিয়া আবেগ আর উচ্চবিলাসের ঠেলায় হিতাহিতজ্ঞানশূন্য ছিল। তাকে গাইড করার মতো পরিবারে কেউ ছিল না। মা-বাবা বেঁচে থাকলে আনভীর মাসে ১ লক্ষ টাকায় তাদের মেয়ের মাংস কেটে কাবাব বানিয়ে খেতে পারতো না। ভুল করার বয়সটা কাল হলো মুনিয়ার। আনভীর আগাম জামিন পাবে, পরীরা নতুন নতুন রাজ্য আর রাজার লাল গালিচা সংবর্ধনা পাবে।

১১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মেয়েরা নিজেদের রূপ কেন বিকিয়ে দেয় অর্থের কাছে। কেনই বা তার বোন বিয়ের আগেই আরেক বেটার কাছে থাকতে দেয়। দোষ উভয় পক্ষের সবগুলার বিচার চাই

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
মেয়েরা আবেগপ্রবণ। কেউ কেউ রাতারাতি তারকাখ্যাতি চায়। পুরুষের মধ্যেও এমটা আছে। তবে, সমাজটা পুরুষতান্ত্রিক হওয়ায় ভিকটিম নারীরা হয় বেশি। মুনিয়ার পরিবার ছিল না। গাইডলাইন পায়নি। এই সুযোগটা লুফে নিয়েছে মাফিয়ারা। এমন সুন্দর একটি জীবনের অপমৃত্যু দুঃখজনক।

১২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:০২

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক কিছু বলার ইচ্ছে ছিল- কিন্তু সময়ের অভাবে লিখতে পারলাম না। তবে কিছু হবে না জেনেও যে কোন হত্যার বিচাররের প্রত্যাশী আমি।
ধনবানেরা এক অর্থে ভগবান- তাদের সাত খুন মাফ! আনভীরের কি সাতটা হয়েছে????

ভাল লিখেছেন-ধন্যবাদ

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
আনভীরের সাতটা হলেও সে ম্যানেজ করার ক্ষমতা রাখে। রাষ্ট্র আর আইন এদের পকেটে থাকে। আমিও চাই এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

১৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনা মাংসে হরিণা বৈরী।
বাংলা ভাষার আদি কবি ভুসুকুপা হরিণ-হরিণীর দুঃখ নিয়ে গান লিখেছিলেন।
সে গানে আছে “অপণা মাংসেঁ হরিণা বৈরী”। হরিণের মাংস সুস্বাদু বলে শিকারি
তার পেছনে তীর হাতে ছোটে। হরিণের মাংস বিস্বাদ হলে শিকারি হরিণের দিকে
চোখ তুলে চেয়েও দেখত না। কাজেই হরিণ নিজেই নিজের শত্রু। প্রাচীন বাংলা
সাহিত্যের কবি শিকারির ওপর দোষ না রেখে ভিকটিম হরিণের ওপর দোষ চাপিয়ে
দিয়েছেন। কবির কথার পক্ষে-বিপক্ষে অনেক যুক্তি থাকতে পারে,
তবে কবির কথাটা রূঢ় বাস্তব।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
ভুসুকুপা ঠিকই বলেছেন, 'অপনা মাংসে হরিণা বৈরী'। হরিণের মাংস সুস্বাদু বলে শিকারি
তার পেছনে তীর হাতে ছোটে। হরিণের মাংস বিস্বাদ হলে শিকারি হরিণের দিকে
চোখ তুলে চেয়েও দেখত না। কাজেই হরিণ নিজেই নিজের শত্রু। একদম সঠিক বিশ্লেষণ।

১৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢাবিয়ানের সাথে একমত। একটি অপমৃত্যু হয়েছে। সেটা হত্যা হোক বা আত্মহত্যা। একটা পতিতাও যদি কারও দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আত্মহত্যা করে সেই ক্ষেত্রে এই আত্মহত্যায় প্ররোচনা যে দেয় সে এই অপঘাতে মৃত্যুর জন্য অপরাধী। তখন পতিতার চরিত্রটা কোন মুখ্য বিষয় বলে গণ্য হয় না। মুনিয়া ভালো মেয়ে ছিল না খারাপ মেয়ে ছিল এটা এখন বিবেচ্চ না। তার ও তার পরিবারের লোভ এটাও এখন বিবেচনা করার দরকার নাই। একটা অপঘাতে মৃত্যু হয়েছে। এটার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার করতে হবে এটাই বড় কথা।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
পতি যেমন সমাজের অংশ পতিতাও তাই। পতিরা পতিতার কাছে যায় বলেই তারা পতিতা।এজন্য রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার সবার আছে। চরিত্র তো কারো ফুলের মতো পবিত্র নয়। কেউ প্রকাশ্যে ন্যাংটা হয়, কেউ গোপনে। বিচার চাই। ন্যায় বিচার করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

১৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন, ভাই।

১৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১১

রানার ব্লগ বলেছেন: সমাজে কিছু মানুষ আছে যাদের মেয়ে মানুষ দেখলেই জিহবা সুরসুর করে, কিছু একটা বলতেই হবে, আর কিছু না বলতে পারি মাগী বলে সম্বোধন তো করাই যায়। অবশ্য পুরুষ মানুষের বয়ষ হলে তার রুচিবোধ নিম্নগামী হয়। মাগি ছিনাল অর্থলোভী এই গুলা বলে একধরনের জৈবিক শান্তি লাভ করে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ।
মৃত ভিকটিম সুন্দরী রমনী হলে আমরা তার চরিত্র নিয়ে সবার আগে পোস্টমর্টেম করি। এগুলো দুঃখজনক। ছেলে ভিকটিমের বেলায় এতো খুঁজাখুঁজি করি না। এগুলো আমাদের বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। মোসারাতের লাশের পোস্টমার্টাম না হলে তা দুঃজখজনক।

১৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

টাকার কাছে গরীব মানুষ সব সময়ই অসহায়।
বাংলাদেশের এই অবস্থা কখনোই বদলাবে না।
টাকাওয়ালাদের আছে মিডিয়া।
আছে ক্ষমতার জোর।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ।
দেশে আইনের শাসন আর ন্যায়বিচার থাকলে আইন মানার বাধ্যবাদকতা থাকতো। এখন টাকার কাছে আইন, আদালত, সরকার সবাই বিক্রি হয়। এরা মিডিয়া মোঘল, এরা সাংবাদিক পালে। এদের বিরুদ্ধে কে যাবে? মুনিয়া হত্যার সঠিক তদন্ত হোক। দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

১৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩৩

সোহানী বলেছেন: কি যে লিখবো......... । পুরো বিষয়টিই খুব সাধারন আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। মেয়েটি মরে যেয়ে আলোচনায় এসেছে বা তার বোন আলোচনায় এনেছে।। এরকম হাজার হাজার মুনিরা এক পর্যায়ে অন্ধকার জগতের বাসিন্দা হয়, মরে যায়, বা ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে একটি পরিবার পায় বা কেউ কেউ মিডিয়া জগতের লাস্যময়ী নায়িকা হয়। এটা ডিপেন্ড করে সাপ ও সাপুড়ে কতটা বুদ্ধিমান, কে কাকে খেলাতে পারে দক্ষতার সাথে...........।

কিন্তু এখানে আবার পরীমনি কোথা থেকে আসলো বা তাকে অজ্ঞান করে ঝুলিয়েছে তা কোথা থেকে আসলো!!!

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ, আপু।
আমার পুরো লেখাটির সারসংক্ষেপ আপনি মাত্র কয়েক লাইনে বলে দিলেন। এগুলো বিশ্বাস করা কঠিন হলেও কঠিন হলেও রূঢ় সত্য। এরকম কতশত মেয়ে ঢাকার অন্ধকার কুটরীতে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে তার কোন হিসাব নেই। মুনিয়া মরে আমাদের আলোচনা করা সুযোগ করে দিয়েছে। আপনি যথার্থই বলেছেন, "এরকম হাজার হাজার মুনিরা এক পর্যায়ে অন্ধকার জগতের বাসিন্দা হয়, মরে যায়, বা ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে একটি পরিবার পায় বা কেউ কেউ মিডিয়া জগতের লাস্যময়ী নায়িকা হয়। এটা ডিপেন্ড করে সাপ ও সাপুড়ে কতটা বুদ্ধিমান, কে কাকে খেলাতে পারে দক্ষতার সাথে...........।"

এ বিষয়ে তথ্যসূত্র পাওয়া কঠিন। আনভীরের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে পাওয়া। পরীমনির সাথে আনভীরের রিলেশন বহুদিনের এটা নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছে, এখনো চলছে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আনভীরের বউ পরদিন দুবাই গেছে। পরীমনি আনভীরের বাপেরও রক্ষিতা।

১৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩৩

বোবাকান্না বলেছেন: পরীমনিদের জন্ম চামড়া বিক্রির জন্যই

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চামড়ার বহুজাতিক ব্যবহার পরীমনিদের সব দিয়েছে। সিনেমার নায়িকা হওয়ার আগে এসব মাফিয়াদের খুশি করে তবেই সুযোগ জুটেছিল। শরীর আর চেহারার চাকচিক্য পরীদের ডানাকাটা পরী বানিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বানায়। এরা অভিনয়ের আড়ালে কারো রক্ষিতা, কারো গার্লফ্রেন্ড, কারো বউ, কারো এক রাতের আহার, কারো বিদেশ ভ্রমণের গাইডবুক।

২০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৭

বোবাকান্না বলেছেন: চামড়া দ্যোতরা দিলে আর দাম থাহেনা, তহন চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দরবারে হাত বাড়ায়

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




চমৎকার বলেছেন। চামড়ার পয়সা কি সবার সেভিংসে থাকে?
মাগনা কামাই সহজে হাত ফসকে বের হয়ে যায়। আর, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু হাত বাড়িয়ে আছেন সেহেতু ফাও কামাই করতে সমস্যা কি? মাগনা কিছু ক্যাশ আসলে তো ভসলোই হয়। একদিনের জন্য ফকিন্নি সাজলে কি এসে যায়!!

২১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:১০

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: আমি ২টি জিনিষ নিয়ে ভয়ে আছি।

১। মেয়েটার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে। যদি তাদের বাসায় লোক পাঠিয়ে কিছু করা হয়?

২। সব আলামত যখন আর পাওয়ার আশা থাকবে না সেটা নিশ্চিত করার পর শুধুমাত্র নাটকীয়তা বাড়ানোর জন্য কবর থেকে তোলা হবে ফরেনসিক টেস্টের জন্য। সেটাও তো এক মানসিক ধকলের ব্যাপার পরিবারের জন্য।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ।
(১) মেয়েটির পরিবারের নিরাপত্তা একটি ভাবনার বিষয়। সরকারের উচিৎ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বসুন্ধরা গ্রুপ একটি মাফিয়া কোম্পানী। এরা কত মায়ের বুক খালি করেছে, কত মানুষের জমি দখল করেছে তার কোন হিসাব নেই। আদালত তাদের বিচার করতে অক্ষম। তারা আইনের উর্ধে।

(২) ফরেনসিক টেস্টের জন্য লাশ তোলা হলে তা হবে তামাশা। নাটকের একটি দৃশ্যপট। এগুলো মৃত ভিকটিমের পরিবারের জন্য খুবই বেদনাদায়ক। আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধী ধরা পড়ুক। তার বিচার হোক জনসম্মুখে। এমনটা হলে বাকি মাফিয়ারা একটি কঠিন বার্তা পাবে।

২২| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখা ধার এবং তেজ দুটাই আছে।

০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, রাজীব ভাই।
কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকুন।

২৩| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১১:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আজ আনভীর তো কাল আনভীরের বাপ!" - পরীমনিদের শিকার ধরার ব্যাপকতাটাকে এই একটা ছোট্ট কথায় চমৎকার ভাবে তুলে ধরলেন!

"পরীমনি আনভীরের বাপেরও রক্ষিতা" - আনভীর হয়তো তাকে 'উত্তরাধিকারসূত্রে' পেয়েছে!

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ, সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, নূর মোহাম্মদ নূরু, সাড়ে চুয়াত্তর, অনেক কথা বলতে চাই প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে। আপনার উত্তরগুলোও। +

২০ শে মে, ২০২১ রাত ১২:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ, স্যার।
লেখার ভালো লাগার অংশটুকু চিহ্নিত করে নিজের অনুভূতি জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা। এদেশে টাকার কাছে নীতি, আদর্শ আর বিবেক বিকিয়ে গেছে। টাকায় সব হয়, কিন্তু বোধশক্তিকে কেনা যায় না। আনভীর, আনভীরের বাপ এই নীতিতে চলছে। একদিন আনভীরের পোলাও বাপ-দাদার দেখানো পথে এগিয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.