নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শান্তির নোবেল নিয়ে যত বিতর্ক

০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২১


মালালা ইউসুফজাই, যিনি তালেবান অধ্যুসিত পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় তালেবানের নির্দেশ অমান্য করে স্কুলে যেতেন এবং স্থানীয় মেয়েদের স্কুলে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে অনুপ্রেরণা যোগাতেন। মূলত, শিক্ষা অনুরাগী বাবার অনুপ্রেরণায় তিনি ভয়কে জয় করেছিলেন।

২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ৯ অক্টোবর, স্কুলের বাসে একজন বন্দুকধারী তাকে চিহ্নিত করে তিনটি গুলি করে, যার মধ্যে একটি তার কপালের বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে চামড়ার তলা দিয়ে তার মুখমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে কাঁধে প্রবেশ করে। পরবর্তী বেশ কয়েকদিন তিনি অচৈতন্য ছিলেন ও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হলে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য ব্রিটেনের বার্মিংহ্যামে কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন।

২০১৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। নারী শিক্ষা নিয়ে তার আবেগ/আগ্রহ/সংগ্রামকে আমরা সম্মান করি। তাই বলে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তাকে নোবেল পুরস্কার দিতে হবে? বাকি জীবনের নিজের সত্যিকারের কোন উল্লেখযোগ্য অর্জনের জন্য নোবেল কমিটি কি তাকে আরেকটি নোবেল দেবে!

সম্প্রতি বিখ্যাত মার্কিন ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগ-এর ব্রিটিশ সংস্করণের প্রচ্ছদ তারকা হয়ে ২৩ বছর বয়সী মালালা বলেন, 'আমি এখনো বুঝি না মানুষ কেন বিয়ে করে? আপনার জীবনে যদি একজন মানুষের দরকার হয়, তাহলে কেন আপনাকে বিয়ের কাগজে স্বাক্ষর করতে হবে? কেন শুধুমাত্র এটি এক ধরনের পার্টনারশিপ হতে পারে না?'

মালালার এই মন্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। বিশ্বব্যাপী রক্ষণশীল সমাজে সমালোচনার ঝড় উঠে।


শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার (Nobel Peace Prize), নোবেল পুরষ্কারের পাঁচটি বিভাগের মধ্যে অন্যতম। ডিনামাইটের আবিষ্কারক বিখ্যাত সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল (Alfred Nobel) ১৯০১ সালে এটি প্রবর্তন করেন। নোবল পুরষ্কারের অন্যান্য বিভাগগুলো হলো: রসায়ন বিজ্ঞান (Chemistry), পদার্থ বিজ্ঞান (Physics), চিকিৎসা বিজ্ঞান (Physiology or Medicine) এবং সাহিত্য (Literature)। প্রতি বছর নোবেল শান্তি পুরষ্কার নরওয়ে থেকে দেওয়া হলেও বাকি সব বিভাগের পুরষ্কার সুইডেন থেকে দেওয়া হয়।

নোবেল শান্তি পুরষ্কার গ্রহীতা নির্বাচন করেন পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি জুরি কমিটি, যারা নরওয়ের সংসদ (Parliament of Norway) দ্বারা নির্বাচিত। প্রতি বছর ১০ই ডিসেম্বর নরওয়ের রাজধানীর 'অসলো সিটি হল'-এ আনুষ্ঠানিকভাবে পুরষ্কারটি প্রদান করা হয়।

শুরু থেকে আজ অবধি নোবেল কমিটির অদূরদর্শীতা ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফলে অনেক বিতর্কিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্টান শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। যা পুরষ্কারটির মূল উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আজ এমন কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নিয়ে আলোকপাত করবো।

১৯৭৩ সালে আমেরিকার তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার উত্তর ভিয়েতনামের বিপ্লবী নেতা লি ডুর থোয়ের (Le Dur Tho) সাথে যৌথভাবে পুষ্কারটির জন্য মনোনীত হন। তখন ভিয়েতনামের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বিরতি চলছিল। সে সময় তিনি অনেকটা কৌশলে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে একের পর এক বোমা ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, এতে হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়। তাঁর এ কূটকৌশল বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এজন্য তার শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্তির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিতর্কের ঝড় উঠে।

প্রতিবাদস্বরুপ লি ডুর থো যৌথভাবে তার সাথে শান্তি পুরষ্কার গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। এর কিছুদিন পর প্রতিবাদে সিলেকশন কমিটির দুইজন সদস্য নোবেল কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। সে সময় 'নিউ ইয়র্ক টাইমস' কিসিঞ্জারের নোবেল প্রাপ্তীকে 'নোবেল ওয়ার প্রাইজ' বলে সমালোচনা করেছিল। বিখ্যাত আমেরিকান কূটনৈতিক জর্জ বোল 'ওয়াশিংটন পোস্ট' পত্রিকায় লিখেছিলেন, 'The Norwegiens must have a sense of humour' অর্থাৎ নরওয়ের নাগরিকদের অবশ্যই কাণ্ডজ্ঞান থাকাটা জরুরী।

অং সান সুকি ১৯৯১ সালে তার "Non violent struggle for democracy & human rights" এক্টিভিটির জন্য শান্তিতে নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হন। সে সময় তিনি মায়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের জেলে দীর্ঘদন থেকে বন্ধী ছিলেন। বিশ্ব জনমত তার শান্তিপূর্ণ গনতান্ত্রিক আন্দোলন, দীর্ঘ কারাবাস ও নির্যাতিত মানুষের নেত্রী হিসাবে এ অর্জনকে সাধুবাদ জানায়। কিন্তু ২০১১ সালে তার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল মায়ানমারের ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন বিতর্কীত কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি সমালোচিত হন। বিশেষ করে রোহিঙ্গা নিধনে তাঁর নীরব ভূমিকার জন্য।


রোহিঙ্গারা বার্মার আটটি প্রাচীন জনগোষ্ঠীর অন্যতম হলেও রোহিঙ্গা মুসলমানদের তিনি মায়নমারের নাগরিক হিসাবে অস্বীকৃতি জানান। মায়ানমারের সামরিক সরকার ১৯৮২ সালে আইন করে রোহিঙ্গাদের মায়ানমারের নাগরিকত্ব সনদ বাতিল করে। শত শত বছর থেকে রোহিঙ্গারা মায়ানমারে বসবাস করলেও অং সাং সুকির ভাষায় এরা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা অবৈধ নাগরিক। তাঁর এ মতবাদ বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। জাতিসংঘ সহ বিশ্বের বড় বড় সব মানবাধিকার সংগঠন তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও অসন্তোষ জানায়। হাজার হাজার মানুষ তার নোবেল শান্তি পুরষ্কার বাতিলের জন্য রাস্তায় নামে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার মাত্র নয় মাসের মাথায় নোবেল শান্তি পুরষ্কার পান। ক্ষমতার সামান্য এ সময়ে তাঁর এমন কোন উল্লেখযোগ্য অবদান না থাকায় নোবেল কমিটির এ সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। নোবেল কমিটির এ সিদ্ধান্তে ওবামা নিজেও বিষ্মিত হয়েছিলেন। এমনকি ওবামার অনেক সমর্থকও তাঁর নোবেল প্রাপ্তিকে নোবেল কমিটির ভূল বলে সমালোচনা করেন। ২০১৫ সালে নোবেল ইন্সটিটিউটের সাবেক পরচালক এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তাঁর শাসনামলে লিবিয়া, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের (ISS) উত্তানের জন্য তাঁর প্রশাসনকে অনেকেই দায়ী করেন।

অভিযোগ আছে সিরিয়ায় আসাদ সরকারকে উৎখাত করার জন্য আইএস সহ অনেক জঙ্গি সংগঠনকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগীতা করেছিল ওবামা প্রশাসন। যা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। গত কয়েক বছরে লিবিয়া, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের নৃশংস অত্যাচারে কয়েক লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এ সন্ত্রাসী সংগঠনটির কার্যক্রম এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। যা বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকিস্বরুপ।

২০০৯ সালে যে বছর বারাক ওবামা নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন, সে বছর অনেকেই ভেবেছিলেন আফগানিস্তানের বিখ্যাত মানবাধিকার কর্মী ছিমা ছামের (Sima Samar) শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পেতে যাচ্ছেন। এজন্য বারাক ওবামার নাম ঘোষণা হওয়ার পর অনেকেই বিষ্মিত হয়েছিলেন।


২০০৬ সালে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পায়। বিশ্বব্যাপী 'ক্ষুদ্রঋণ' ধারণার পরবর্তনের জন্য তিনি এই পুরস্কার পান। কিন্তু ক্ষুদ্রঋণ (micro finance) তো অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট বিষয়, তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক উচ্চ সুদে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিকল্প হিসাবে বিনা জামানতে দরিদ্র মানুষদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে এই ঋণের কর্মসূচি চালু করে। সে হিসাবে এই সফলতার জন্য তিনি অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেতে পারতেন। শান্তিতে কেন? নরওয়েজিয়ান কোম্পানী টেলিনোরকে (Telenor) গ্রামীণ ফোনের বিলিয়ন ডলারের ব্যবসার পার্টনার করার পুরস্কার কি এই শান্তি মেডেল?

এছাড়াও ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রেরর পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্ডেল হোল (Cordell Hull), ১৯৭৮ সালে আনোয়ার সা'দাত (Anwar Sadat), ১৯৮৯ সালে দালাই লামা (DalaiLama), ১৯৯২ সালে রিগোবার্টা মেঞ্চু (Rigoberta Menchu), ১৯৯৪ সালে ইয়াসির আরাফাত (Yasser Arafat) ও শিমন পেরেজ (Shimon Peres), ২০০২ সালে জিমি কার্টার (Jimmy Carter)।

২০০৪ সালে কেনিয়ান ওয়াংরি মাতাই (Wangari Maathai), ২০০৭ সালে আল গোর (Al Gore), ২০১২ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (EU); এদের নোবেল প্রাপ্তিও সমালোচনার উর্ধ্বে ছিল না।

২০০৬ সালে নোবেল ইন্সটিটিউটের সাবেক পরিচালক গিওর লুন্ডেস্টড্ (Geir Lundestad) দুঃখ করে বলেছিলেন মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) নোবেল পুরষ্কার না পাওয়াটা নোবেল কমিটির ইতিহাসের অন্যতম বড় ভূল। মহাত্মা গান্ধী নোবেল শান্তি পুরষ্কারের ছোট্ট তালিকায় পাঁচবার নমিনেশন পেয়েছিলেন, কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে তাকে কখনো মনোনীত করা হয়নি।


ফটো ক্রেডিট-
গুগল।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৪০

রানার ব্লগ বলেছেন: নোবেল কি ডঃ ইউনুস কে দিয়েছিলো না কি গ্রামীন ব্যাংক কে ?

০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ, নোবেল শান্তি পুরস্কার ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীক ব্যাংক যৌথভাবে পেয়েছিল। বিষয়টি পোস্টে উল্লেখ আছে। তিনি মাইক্রো ক্রেডিট ধারণার জন্য এই পুরস্কার পান। এজন্য তিনি অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেতে পারতেন। কিন্তু শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যৌক্তিকতা কি তা নিয়ে বিতর্ক আছে।

২| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:





শান্তির নোবেলটা অনেকবারই বেঠিক লোককে দেয়া দেয়া হয়েছে।

০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ। ওবামা তিনলক্ষ নিরীহ ইরাকি, সিরিয়ানকে খুন করে নোবেল পিস প্রাইজ পেয়েছেন! আমাদের ডক্টর ইউনূস সাহেব উচ্চহারে তৃণমূল মানুষদের ঋণ দিয়ে, মাইক্রো ক্রেডিটের ব্যবসা করে যদি অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেতেন তাহলে বুঝতাম এটা উনার কাজের স্বীকৃতি। এটা ইতিবাচক হতো। কিন্তু নরওয়ের টেলিনোর কোম্পানিকে বিলিয়ন ডলারের লাভজনক ব্যবসায় গ্রামীণ ফোনের সাথে পার্টনার করার কৃতজ্ঞতা স্বরুপ নরওয়ে সরকার পিস প্রাইজ দিলো!

৩| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৫৮

কামাল১৮ বলেছেন: কে শা্ন্তিতে নোবেল পাবেন এটা ঠিক করা আসলেই একটা কঠিন কাজ।

০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:১৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ। শান্তিতে নোবেল পাওয়ার যোগ্য লোকের অভাব নেই। কিন্তু দায়িত্বশীলরা এমন একজনকে বেছে নেয়ে যার পরিচিতি আছে, বিশ্বের মোড়লদের সাথে উঠাবসা আছে, পশ্চিমা বিশ্বের মন যুগিয়ে চলার কারিশমা আছে এবং বড় বড় লবিস্টরা তার পেছনে আছে। ফলে প্রকৃত যেগ্যরা অনেক সময় বঞ্চিত হন।

৪| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:১০

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: নোবেল শান্তি পুরস্কার রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে প্রদান করা হয়েছে অনেক সময়। আবার অনেককে স্বল্প সময়ের ভূমিকার জন্য দেয়া হয়েছে যেখানে নোবেল প্রাপ্তির পরে তাদের কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। পক্ষপাতিত্বের কারণে বহু যোগ্য মানুষ নোবেল শান্তি পুরস্কার পান নি।

০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ। নোবেল পুরস্কার পেয়ে অনেকে তার মর্যাদা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। আং সাং সুকি তাদের অন্যতম। আবার অনেক সময় লবিস্টরা ভুল মানুষকে সাজেস্ট করার জন্য কোন কোন বিতর্কিত লোক এই পুরস্কার পেয়েছেন। নোবেল কমিটির অদূরদর্শীতা এজন্য দায়ী।

৫| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




আসলে, ওবামার ব্যাপারটা একটু অন্য রকম; ওবামা "আমেরিকার সব যুদ্ধ বন্ধ করে, সব সৈন্যকে ঘরে আনার" কথা ঘোষণা করেছিলো, ইহা বিশ্বব্যাপী ও ঘরে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। কিন্তু যুদ্ধের বেলায়, পেন্টাগণ ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের লোকজন "কালো প্রেসিডেন্ট"কে কৌশলে পেছেনের সারিতে নিয়ে গিয়েছিলো।

০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ। খুব সুন্দর একটি বিষয়ে ইঙ্গিত করেছেন। বারাক ওবামার শুরুটা ভালোই ছিলো। তারপর হঠাৎ যুদ্ধবাজ হয়ে উঠলেন। এটা তার রাজনৈতিক অদূরদর্শীতা হতে পারে। আবার আপনার কথায় 'পেন্টাগণ ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের লোকজন "কালো প্রেসিডেন্ট"কে কৌশলে পেছেনের সারিতে নিয়ে গিয়েছিলো।' আমেরিকান সিনেট, পেন্টাগন এবং আর্সেনাল ব্যবসায়ীরা চায়নি কালো কেউ তাদের মাথার উপরে বসে আদেশ করুক। কিন্তু ওবামা প্রথম মেয়াদের ভুলগুলো দ্বিতীয় মেয়াদে গিয়েও সংশোধন না করাটা ব্যর্থতাই বলা যায়। তাঁর অন্যতম পরামর্শক ছিলেন বাইস প্রেসিডেন্টের জো বাইডেন, এর দাভার তার উপরেও বর্তায়। দেখা যাক, বাইডেনের পলিসি বিশ্ব শান্তির জন্য কতটুকু সহায়ক হয়।

৬| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সাহিত্যের নোবেল নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে। লিও টলস্টয় নোবেল পান নি। আসলেই নোবেল কমিটির সেন্স অব হিউমার খুব প্রবল :) তবে, সব কিছুর মূলেই আন্তর্জাতিক পলিটিক্স কাজ করে। মালালাকে নোবেল পুরস্কার দিয়ে ইসলাম বা মুসলমানদের এক হাত নেয়া হয়েছে। হেনরি কিসিঞ্জারকে দেয়া হয়েছে বোমা বর্ষণে তার কূটকৌশলে দক্ষতার জন্য :)

এটা তো মনে হয় সিরিজ আকারেই লিখতে পারেন। অনেক তথ্যবহুল ও গঠনমূলক পোস্ট।

০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ। সাহিত্যে নোবেল নিয়ে তো আরো বেশি তেলেসমাতি হয়। যারা সাহিত্যে নোবেল দিচ্ছেন তারা এই লেখকের কোন লেখা পড়ে দেখেন না! লবিস্টরা যাকে সাজেস্ট করে তিনিই পুরস্কার পান। আরেকটা বিষয় আমাকে অবাক করে, পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিত্য অনুবাদিত হতে হবে কেন? সাহিত্য যিনি লিখছেন তিনি তো সেই ভাষাকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছেন, তার লেখার স্বীকৃতি তো সে ভাষার জন্য মর্যাদার। নোবেল কমিটি এই বিষয়টি মনে হয় কখনো বিবেচনায় আনে না। এজন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর কোন বাঙালি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাননি। ১৯১৩ সাল ইংরেজ জমানা না হলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও সম্ভবত নোবেল পেতেন না।

এ বিষয়ে সিরিজ লেখা যায়। দেখি সামনের দিনগুলোতে চেষ্টা করবো।

৭| ০৭ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


@সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,

আপনি বলেছেন, " ... মালালাকে নোবেল পুরস্কার দিয়ে ইসলাম বা মুসলমানদের এক হাত নেয়া হয়েছে। "
-সবাই শুধু মুসলমানদের ১ হাত নেয় সব সময়? মালালাকে গুলি কি মুসলমান তালেবান করেনি? আফগানিস্তান, পাকিস্তানসহ অনেক মুসলিম দেশে পড়ালেখা পরিবার মেয়েকে অগ্রাধিকার দেয়, নাকি ছেলেকে অগ্রাধিকার দেয়? সব জামাত, হেফাজত, ব্রাদারহুড মেয়েদের পড়ালেখার বিপক্ষে

৮| ০৭ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখক বলেছেন:

যারা সাহিত্যে নোবেল দিচ্ছেন তারা এই লেখকের কোন লেখা পড়ে দেখেন না! লবিস্টরা যাকে সাজেস্ট করে তিনিই পুরস্কার পান। আরেকটা বিষয় আমাকে অবাক করে, পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিত্য অনুবাদিত হতে হবে কেন? সাহিত্য যিনি লিখছেন তিনি তো সেই ভাষাকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছেন, তার লেখার স্বীকৃতি তো সে ভাষার জন্য মর্যাদার। নোবেল কমিটি এই বিষয়টি মনে হয় কখনো বিবেচনায় আনে না।

আমি এ ব্যাপারে যতটুকু স্টাডি করেছি, তা থেকে জেনেছি যে, ইংলিশ লিটারেচারের বাইরে অন্য ভাষার সাহিত্যকর্ম ইংরেজিতে অনুবাদ করতে হয় জুরি বোর্ডের সদস্যদের জন্যই। তারা তো বাংলা বা হিন্দি ভাষা বুঝবেন না; ভাষা না বুঝে লিটারেচার কীভাবে অ্যাসেস করবেন?

তবে, বাংলা ভাষাকে ইংরেজি অনুবাদের মাধ্যমেই বিশ্বদরবারে পরিচিত করে তোলা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাপ্তির মাধ্যমে। বাংলা ভাষার সাহিত্যকর্ম যে বিশ্বমানের, তাও নোবেল প্রাপ্তির মাধ্যমেই প্রমাণিত। আমরা তো রুশ ভাষা বুঝি না, কিন্তু তা সত্ত্বেও টলস্টয় যে একজন অতি উচ্চমার্গীয় লেখক, তা বুঝেছি সেগুলোর অনুবাদ পড়েই।

তবে, কাউকে নোবেল দেয়ার জন্য, কিংবা কাউকে না দেয়ার জন্য কত যে লবিং হয়, তার ইয়ত্তা নাই। খোদ রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাপ্তি নিয়েও আলোচনা/সমালোচনার শেষ নাই। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় নোবেল কেন পেল না, এ নিয়েও প্রচুর আলোচনা হয়েছে।

মূল জিনিসটা অনুবাদ। আমাদের বাংলা সাহিত্য ইংরেজিতে খুব কমই হয়েছে/হচ্ছে। অনেকেই বলেন, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখাগুলো ইংরেজিতে অনুদিত হয় নি বলেই তিনি নোবেল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমি এ কথার সাথে একমত।





০৭ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জুরি বোর্ডের জন্য তা ইংরেজিতে অনুবাদ করলেও বাস্তবে উনারা লেখকের সাহিত্য কর্ম কতটুকু অনুধাবন করতে পারেন কিংবা করেন সেটা ভাবনার বিষয়। একজন লেখকের অনুদিত একটি বই দিয়ে তার পুরো সাহিত্য কর্ম বিবেচনা করাও কঠিন। এছাড়া অনুবাদের মান নিয়ে কথা রয়ে যায়।

কবিগুরুর নোবেল প্রাপ্তি বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু এরপর গত ১০০ বছরের উপরে হয়ে গেলো আর কোন বাংলা সাহিত্যিক নোবেল পুরস্কার না পাওয়াটাও বিষ্ময়কর। এজন্য আমি মনে করি, পৃথিবীর সমৃদ্ধ ভাষা এবং সাহিত্য কর্ম সেখানকার জুরি বোর্ড দিয়ে মূল্যায়ন করা হোক। এতে ভালো মানের সাহিত্য মূল্যায়িত হবে। আর ইংরেজিতে অনুদিত হওয়ায় আমরা রুশ, ফরাসি, ফার্সি, স্পেনিশ, পর্তুগীজ ইত্যাদি ভাষায় রচিত সাহিত্য পড়ার সুযোগ পাচ্ছি। আমাদের বাংলা একাডেমি চাইলে বাংলায় লেখা সেরা সাহিত্যগুলো বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে ছড়িয়ে দিতে পারে।

৯| ০৭ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী,




ভালো লেখা।
শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার নিয়ে অশান্তি কম নয়! এটা দেয়া হয় রাজনীতির কূটচাল আর স্বার্থ সংরক্ষনের কারনে। লবিষ্টরাই শান্তির নৌকার গুন টানেন যেমনটা আপনি বলেছেন।

০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ। সাহিত্য এবং শান্তিতে নোবেল দেওয়ার সময় সিলেকশন কমিটির হাতে অনেক অপশন থাকে, এছাড়া সরকার ও লবিস্টদের হাত থাকে। এজন্য সব সময় সেরাজন পুরস্কার পান না। অনেক বিতর্কিত লোকও পুরস্কার পেয়ে থাকেন, যা পুরস্কারের মানকে ছোট করে। নোবেল পুরস্কারের অন্যান্য ক্যাটাগরিতে সিলেকশন করা অনেকটা সহজ। তাদের অর্জন বিশ্বদরবারে সমাদৃত এবং আবিস্কার প্রমাণিত।

১০| ০৭ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: নোবেলের ক্ষেত্রে আলোচনা,সমালোচনা হবে শান্তি,সাহিত্যে এটাই স্বাভাবিক ; বাকি বিভাগগুলো নিয়ে অালোচনা সমালোচনা করতে জ্ঞান দরকার হয়।

০৭ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:০৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ। শান্তি এবং সাহিত্যে নোবেল নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়। অনেক সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়। বিশেষ করে শান্তিতে। এটা নরওয়ের সরকারের হাতে। তারা পছন্দের মানুষদের প্রাধান্য দেয়। জুরি বোর্ডের সদস্যদের যোগ্যতা নিয়ে অনেক সমালোচনা আছে। বাকি বিভাগগুলো মূলত, সাইন্টিস্ট এবং অর্থনীতিবিদরা দেখেন বলে পক্ষপাতের সুযোগ কম।

১১| ০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ভাই আসসালামু আলাইকুম।
ব্লগে আপনার লেখা দেখলে আমার আনন্দ হয়। অথচ আপনি খুব কম লিখেন।

আমাদের শেখ হাসিনা কবে শান্তিতে নোবেল পাবেন। আমরা এত এত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলাম।

০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ, রাজীব ভাই।
আমি ব্লগে লেখা পোস্ট করলে আপনার আনন্দ হয়, খুশি হন এটা জেনে ভালো লাগলো। আমি নিয়মিত ব্লগ পড়লেও লিখছি কম। সারাদিন অনেক ঝামেলায় থাকি, সময় বের করা কঠিন হয়ে গেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বব্যাপী অনেক সুনাম অর্জন করেছেন। এই কাজের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পেতে পারতেন। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক দলকে দমন পীড়ন, খালেদাকে গৃহবন্দী করে রাখা, বিরোধ দলের রাজনৈতিক কর্মসূচীতে বাঁধা প্রদান, জেল-জুলুম করা, ভোট কারচুপি, নাগরিকের বাক স্বাধীনতা হরণ, প্রেসের পায়ে শিকল পরানো ইত্যাদি বহু কারণে তিনি সে যোগ্যতা হারিয়েছেন।

১২| ০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১:৩৪

মুক্তা নীল বলেছেন:

কাওসার ভাই ,
অনেকদিন পর, কেমন আছেন ?
নোবেলবিজয়ী বিতর্ক হোক না কেন মালালাকে আমি পছন্দ
করি ।
মাত্র সতের বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ নোবেল বিজয়ী হয়েও
গালি খাচ্ছেন তালিবানদের, ইসলামিস্টদের, মৌলবাদীদের। পাশাপাশি, দেশপ্রেমিক বাঙালিদের, সেক্যুলারিস্টদের, কমিউনিস্টদের।
যারা মনে করেন গুলি খাওয়া ছাড়া মালালার কোনো অবদান নেই, তারা বোধহয় জানেনও না যে, গুলি খাওয়ার তিন
বছর আগে,মাত্র এগার বছর বয়সে বিবিসির সাইটে মেয়েদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তালিবানদের প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্লগিং
শুরু করেছিলেন মালালা। 
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আপনার আলোচনায় এসেছে থেকে ভালো লাগলো ।

০৮ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ। আমি ভালো আছি। আপনি ভালো আছেন আশা করি। মালালা তালেবানদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মেয়েদের স্কুলে যেতে অনুপ্রেরণা দিতেন। মাত্র এগার বছর বয়সে বিবিসির সাইটে মেয়েদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তালিবানদের প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্লগিং করেছেন এটি অবশ্যই ইতিবাচক দিক। কিন্তু মাত্র সতেরো বছর বয়সে তাকে নোবেল পিস প্রাইজ দিতে হবে কেন? এটা না দিলে কি তার কাজের স্বীকৃতি মিলতো না? এই বয়সে জীবনে সব অর্জন করার একটা ভুল ধারণা তার মধ্যে তৈরী হবে। নিজেকে গড়ে তোলার আগে এমন বড় স্বীকৃতি জীবনের বাকি অর্জনগুলোকে মৃয়মান করবে।

আপনাকেও ব্লগে কম দেখি। লিখুন।

১৩| ০৮ ই জুন, ২০২১ ভোর ৪:৫৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: শান্তি বা সাহিত্য যেটাই হোক,নোবেল একটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক পুরস্কার, যেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে পায় অযোগ্য অপদার্থরা।
সন্ত্রাসী নীতির কারণে ওবামা-সুকির নোবেল ফিরিয়ে নেয়ার দাবী উঠেছিলো।
টলষ্টয়, গোর্কি নোবেল পাননি, পেয়েছে কোথাকার কোন নাগিব মাগফুজ, নাদিম গর্ডিমাররা।

০৮ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ। নোবেল পুরস্কার পাওয়া নির্ভর করে ক্ষমতা আর লবিস্টদের দৌড়ঝাঁপের উপর। নোবেল পিস প্রাইজ রাজনৈতিক পুরস্কার। সাহিত্যেও রাজনীতির প্রভাব আছে। এজন্য টলস্টয়, গোর্কি নোবেল পাননি। ওবামা ক্ষমতায় আসার মাত্র নয় মাসে নোবেল পুরস্কার পান! এটা বিষ্ময়কর। আর সুকির নোবেল ফিরিয়ে নিলে ভালো হতো; যদিও নোবেল ফিরিয়ে নেওয়ার কোন রেওয়াজ নেই।

১৪| ০৮ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: পোস্টে আবার এলাম।
আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। বাকি সবার মন্তব্য এবং উত্তর গুলতে চোখ বুলালাম।

০৮ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ, রাজীব ভাই।
ভালো থাকুন। হ্যাপি ব্লগিং...........

১৫| ০৮ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:২০

রবিন.হুড বলেছেন: পুরস্কার প্রাপ্তি এখন কোন যোগ্যতা বা গ্রহনযোগ্যতার বিষয় নয় বরং সম্পর্কের খাতিরে প্রদান করা হয়। নোবেল পুরস্কার এখন নো বেল অর্থাৎ যার কোন বেল নাই হয়ে গেছে।

০৮ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ। আপনার ধারণা ঠিক। নোবেল পেতে সম্পর্ক একটা বড় বিষয়। আর পশ্চিমারা আপনার কাজের মূল্যায়ন কিভাবে করে তার উপর। সাহিত্যে এবং শান্তিতে নোবেল নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়। এগুলো রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া হয়। এজন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষ নোবেল পুরস্কার পাননি।

১৬| ০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: শান্তিতে নোবেল সবসময় পলিটিক্যাল চিন্তাভাবনা করে দেয়া হয়।
মালালা ইউসুফজাই এর কাহিনী পুরোটাই সাজানো।
আফগানিস্থানে এইরকম একটা ঘটনা দরকার ছিল আমেরিকার যুদ্ধ লাগানোর জন্য।
ট্রাম্প আরেকবার জিতলে ট্রাম্প এবং কুসনার দুইজনই শান্তি নোবেল পেতো।

০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ। শান্তিতে নোবেল একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। মালালা ইউসুফজাইকে মডেল বানাতে গিয়ে মাত্র ১৭ বছরে নোবেল দিল। এগুলো হাস্যকর। আমার তো মনে হয় ওবামার চেয়ে ট্রাম্প নোবেল পাওয়ার যোগ্য ছিল। উত্তর কোরিয়াকে শান্ত করতে ট্রাম্প অনেক পরিশ্রম করেছেন।

১৭| ০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

হাবিব বলেছেন: যাদেরকে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশই অশান্তি স্থাপনের জন্য দায়ী।

০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ। শান্তির বার্তাবাহকরা অশান্তি সৃষ্টি করলে তা নোবেল কমিটির জন্য বিব্রতকর। নোবেল পিস প্রাইজের বিশ্বাসযোগ্যতা এতে নষ্ট হয়। সত্যিকারের পিস মেকাররা শান্তিতে নোবেল পাবে এটা আমাদের প্রত্যাশা।

১৮| ০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি দুটো নিয়ে অনেক সমালোচনা আলোচনা আছে । আর আলোচনার ভিত্তিতেইতো পুরষ্কার দেয়া হয়। অনেক নামকরা বিজ্ঞানী সাহিত্যিক গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ত্ব পুরস্কার না পাওয়াতে ও সেগুলো এখন আলোচনার খোরাক যোগায়। দারুন একটি বিষয়ের উপর সুন্দর পোস্ট। কাউন্ট লিও টলস্টয় কিন্তু নোবেল প্ুরস্কার পাননি তেমনি মহাত্মা গান্ধিও পাননি সত্যেন বোস পাননি এরকম অনে উদাহারণ আছে । তবুও নোবেল প্রাপ্তি অনেক বড় অর্জন এটাই শেষ কথা ।

০৯ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:১০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ, কবি। শান্তি এবং সাহিত্যে নোবেল নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়। অনেক সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়। বিশেষ করে শান্তিতে। এটা নরওয়ের সরকারের হাতে। তারা পছন্দের মানুষদের প্রাধান্য দেয়। জুরি বোর্ডের সদস্যদের যোগ্যতা নিয়ে অনেক সমালোচনা আছে। বাকি বিভাগগুলো মূলত, সাইন্টিস্ট এবং অর্থনীতিবিদরা দেখেন বলে পক্ষপাতের সুযোগ কম।

১৯| ১৬ ই জুন, ২০২১ সকাল ৭:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



নীজের একটি লেখায় একটু ব্যস্ত থাকায় বিভিন্ন দৃষ্টিকোন হতে লেখা
বেশ যুক্তিপুর্ণ মুল্যবান তথ্যসমৃদ্ধ লেখাটি পাঠ করা হয়ে উঠেনি ।

শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার প্রদান নিয়ে বিতর্ক ছিল সব সময়ই ! শান্তির
জন্য নোবেল এখন একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের হাতিয়ার হয়ে
দাঁড়িয়েছে । কোথাও কোন বড় ধরনের তালগুল পাকিয়ে সেখানে শান্তির
সুবাতাস প্রদানের জন্য অনেক নোবেল লরিয়েটকেই বাণী দেয়ার কাজে
লাগানো হয় প্রয়োজন অনুসারে। তাদের বাণী কোন কাজে এসেছে
এমনটি দেখা যায়নি চূড়ান্ত মুল্যায়নে।শান্তির জন্য নোবেল লরিয়েটদেরকে
সামনে রেখে পিছন হতে কলকাঠি নারে অপরে । তাইতো শান্তির জন্য
কারো কারো নোবেল খেতাব বাতিলের দাবী উঠে বিশ্ব জুরে ।
এককভাবে কেও শান্তি আনতে পারেনা , শান্তি একটি দীর্ঘ দিনের
পরিক্ষিত বিষয় , শান্তি মাস্ট বি সাসটেইনেবল । যে বা যাদের
উদ্যোগে বিশ্বে বা বিশেষ কোন অঞ্চলে শান্তি স্থাপিত হয়ে তা
দীর্ঘ স্থায়িত্বতা পেয়েছে সে বা তাদেরকে শান্তিতে নোবেল প্রদান
করা হলে এটা নিয়ে বিতর্ক অনেকটা কমে যেতো । কেবল তাহলেই
শান্তিতে নোবেল বিজয়ীগন হতেন বরনীয় ও স্মরনীয় । অন্যথায়
উল্টোটাই ঘটতে থাকবে , বিষয়গুলি নোবেল কমিটির বিবেচনায়
রাখা প্রয়োজন।

শুভেচ্ছা রইল

১৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ, স্যার। আপনি সময় করে আমার এই লেখাটি পড়েছেন এতেই খুশি। আশা করি, পুরোপুরি সুস্থ আছেন। আপনি যথার্থই বলেছেন, 'পিস মাস্ট বি সাসটেইনেবল।' এজন্য পরীক্ষিত কেউ এমন পুরস্কার পাওয়াটা যৌক্তিক। আপনার চমৎকার যুক্তি আর নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে অবজারবেশনের সাথে সুর মিলিয়ে বলতেই হয়, "যে বা যাদের উদ্যোগে বিশ্বে বা বিশেষ কোন অঞ্চলে শান্তি স্থাপিত হয়ে তা দীর্ঘ স্থায়িত্বতা পেয়েছে সে বা তাদেরকে শান্তিতে নোবেল প্রদান করা হলে এটা নিয়ে বিতর্ক অনেকটা কমে যেতো । কেবল তাহলেই শান্তিতে নোবেল বিজয়ীগন হতেন বরনীয় ও স্মরনীয়। অন্যথায় উল্টোটাই ঘটতে থাকবে, বিষয়গুলি নোবেল কমিটির বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।"

কৃতজ্ঞতা, আপনার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.