নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।
পদ্মা সেতু। হ্যা, স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আজ। দেশের দক্ষিনাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের জন্য দীর্ঘদিনের একটি লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন। বিশেষ করে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিল্পায়নে এই সেতুর গুরুত্ব সীমাহীন। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং পরিকল্পনায় দেশের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ একটি প্রকল্প সফলতার মুখ দেখেছে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
এদেশের একজন মানুষকেও আপনি পাবেন না যিনি পদ্মা সেতু বিরোধী কিংবা পদ্মা সেতু হলে কারো ক্ষতি হবে এমনটি কেউ বলতে পারবে না। এজন্য পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে নাশকতার আশংকা নিছক গুজব এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সাজুগুজু অবস্থার প্রতি মানুষের দৃষ্টিপাত নিবদ্ধ করতেই এই গুজব ছড়ানো হতে পারে। এখন জনগনের করের টাকায় নির্মিত পদ্মা সেতুর বাজেট মাত্র ক'বছরের ব্যবধানে ৯ হাজার কোটি টাকা থেকে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হলে তা নিয়ে জনগন যদি প্রশ্ন তোলেন তার মানে এই না যে তিনি পদ্মা সেতুর বিরোধীতা করছেন। এই দেশ জনগনের, সেতুর টাকাও জনগন দিয়েছেন। সরকার আসে, সরকার যায়। ক্ষমতা আসে, ক্ষমতা চলে যায়। জনগন ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নেয় কে বা কারা দেশ পরিচালনা করবেন। রাষ্ট্র পরিচালনা করা মানে রাষ্ট্রের মালিক জনগনের জন্য কাজ করা। এটা কারো দয়া কিংবা কৃতিত্বের কিছু নয়। রাষ্ট্রের ঋণের বোঝা জনগনের ঘামের পয়সায় উশুল হয় বলে নাগরিকদের সব প্রশ্নের সঠিক এবং যৌক্তিক উত্তর দেওয়া ক্ষমতাসীনদের সাংবিধানিক দায়িত্ব।
পদ্মা সেতুর চেয়ে প্রায় পৌনে চারগুণ (১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকা) বেশি ব্যায়বহুল 'রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র' নিয়ে খুব একটা মাতামাতি, হৈচৈ নেই। তাহলে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যায়বহুল এই প্রকল্প আলোচনায় এতো পেছনে কেন? না, সম্ভবত ভুল বললাম; রূপপুর প্রকল্পের আবাসিক ভবনে প্রতিটি বালিশ কিনতে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা খরচ এবং প্রতিটি বালিশ আবাসিক ভবনের খাটে তোলার জন্য ৭৬০ টাকা মজুরি দেখানো নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। অন্যদিকে কভারসহ প্রতিটি কমফোর্টের (লেপ বা কম্বলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত) দাম ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৮০০ টাকা। এভাবে ফ্রিজ, ইলেকট্রিক কেটলি, ওয়াশিং মেশিন, ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাব ও পণ্য ক্রয়ে অস্বাভাবিক মূল্য দেখানো হয়েছে। এতে শতকোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণও মিলেছে।
পদ্মা সেতু তৈরীতে নিশ্চয় এমনটি হয়নি। কোন প্রকার দুর্নীতি হইলে নিশ্চয় মিডিয়ায় আসতো। আমাদের সুদক্ষ দুদক ঠিকই প্রমাণ করতো। অবশ্য পদ্মা সেতুর তো ঘুমানোর কোন প্রয়োজন নেই। এজন্য বালিশ, বিছানা চাদর কিনতে হয়নি, এগুলো পদ্মা সেতুতে তুলতে জার্মানীর তৈরী কোন স্পেশাল ক্রেন আনতে হয়নি। আর ফ্রিজ, ইলেকট্রিক কেটলি, ওয়াশিং মেশিন, ডাইনিং টেবিল তো দরকার নেই। পদ্মা সেতুর খিদেও নেই, গরম লাগার কোন অজুহাত নেই, স্যুট-টাই পরে পারফিউম মেখে প্রেমিকাকে খুশি করার কোন উসিলা নেই। শুধু পা ক'খানা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারলেই খুশি।
শুনেছি উদ্বোধনী অনুষ্টানে নোবেল বিজয়ী শান্তির দূত ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস সাহেব দাওয়াত পেয়েছেন। অবশ্য প্রমত্ত পদ্মার প্রবল স্রোতে নাকানিচুবানি কিংবা কারো ধাক্কায় ব্রিজ থেকে পড়ে যেতে পারেন জেনে এই বয়সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার ঝুঁকি নেবেন বলে মনে হয় না। হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক এই সফল অর্থনীতিবিদ শুধুমাত্র গ্রামীণ ফোনের অংশীদারত্বের মুনাফা বাবদ বছরে কমপক্ষে ১ হাজার কোটি টাকা আয় করলেও দেশের প্রলয়ঙ্কারী বন্যা পরিস্থিতিতে খালি হাতে দেশে আসতে বিবেকে বাঁধবে। ভদ্রলোক বলে কথা। তারচেয়ে তিনি ক্লিনটন ফাউন্ডেশন, বিলগেটস-মেলেন্ডা ফাউন্ডেশনে প্রতি বছর কয়েক কোটি ডলার অনুদান করুন। এতে বিদেশীদের কাছে নিজের কদর বাড়বে, নতুন নতুন পুরষ্কার এবং সম্মাননা পাওয়ার সুযোগ হবে। ডুবে যাওয়া বঙ্গদেশে অনুদান দিলে তো আরেকটা নোবেল কেউ ছুঁড়ে মারবে না।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আজ নাকি বুয়েট (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) বন্ধ। হয়তো পদ্মা সেতুটি বুয়েটের সুদক্ষ প্রকৌশলীরা এবং ছাত্ররা মিলেই তৈরী করেছেন। নিশ্চয়ই উনাদের সংবর্ধনা দিতেই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোকসজ্জা, খানাপিনা আর নাচগানের বাজেট মাত্র ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। ৩০ হাজার কোটি টাকার সেতুর তুলনায় তা খুবই সামান্য!
ফটো ক্রেডিট,
গুগল।
২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ।
দুর্নীতি করেও পদ্মা সেতু পেয়েছি এমন মানসিকতা আপনার মতো অনেকের হয়তো আছে। সব সরকার দুর্নীতি করবে বলে আমরাও চুপচাপ তা মেনে নেব? হাজার হাজার কোটি টাকার এই দুর্নীতি আমরা অবলীলায় মেনে নেই বলেই দুর্নীতি একটি প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা পেয়েছে।
২| ২৫ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:০৮
এমজেডএফ বলেছেন: 'ধান ভানতে শিবের গীত' অন্ততপক্ষে আজকে না গাইলেও পারতেন! পদ্মা সেতু নিয়ে ইদানিং পত্রিকায় এত বেশি লেখা এসেছে যে, খরচ বেড়ে ৯ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা কেন হলো তার সঠিক উত্তর আওয়ামী লীগ বিরোধী কিছু দলকানা লোক ছাড়া এখন সবাই জানে।
সামু ব্লগে দীর্ঘদিনের একটা ট্রেন্ড আছে - সরকারে যেই থাকুক না কেন, সরকারের ভালো-মন্দ সব কাজের নেতিবাচক সমালোচনা করে পোস্ট দিয়ে কিছু ব্লগার নিজেদেরকে তথাকথিত 'সুশীল' হিসাবে জাহির করার চেষ্টা করে। আপনার এই লেখাটি দিয়ে আজকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনেও সেই ট্রেন্ডের শুরু হলো । ধন্যবাদ।
২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৩১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আজ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন। দিনটি উপলক্ষে তো লিখেছি। এই সেতু তৈরীতে যারা অবদান রেখেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। কিন্তু তাই বলে পদ্মা সেতুর অতিরিক্ত অর্থ ব্যায়, ডাকঢোল পিটিয়ে কোটি কোটি টাকা খরছ করে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে কথা বলা যাবে না? সত্য বচন তেতো হলেও জাতি উপকৃত হয়। এতে দলকানা, সুবিধাবোগীদের ঢোক গিলতে কষ্ট হলেও সাধারন জনগন উপকৃত হন।
আপনি আজ পদ্মা সেতুর উপরে সারাদিন উন্নয়নের বাধ্য বাজাতে থাকুন। তাতে আমি আপত্তি করবো না। কিন্তু মনে রাখবেন, দিনশেষে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে লুটপাট করা অর্থ আপনার পকেট থেকে যাবে। আপনি আমার লেখার সাথে পরিচিত হলে নিশ্চয় জানার কথা আমি কোন দল, কোন তথাকথিত চেতনা, কোন মানসকন্যার কাছে নিজের বিকেক বিকিয়ে দেইনি।
৩| ২৫ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:৩১
ঢাবিয়ান বলেছেন: Click This Link
৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যায় কেন ছাড়িয়েছে পদ্মা সেতু নির্মানে সে প্রশ্ন তোলা উচিত ছিল সাংবাদিকদের। জনগনের জানার পুর্ন অধিকার রয়েছে । কিন্ত হায় মোসাহেবের দল গনমাধ্যমকে বানিয়েছে একটি দলের প্রচার মাধ্যমে।
৫০ বছরের ইতিহাসে গনমাধ্যম ছাড়িয়েছে নিল্লজ্জতার সকল সীমা ।
২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, ভাই।
এদেশের গণমাধ্যম স্বাধীন নয়। এছাড়া সরকারি অনেক বিধিনিষেধ আছে। না হলে কোন না কোনভাবে এসব বিষয়ে লেখালেখি হতো। আর, গনমাধ্যমের একটা বড় অংশই সুবিধাভোগী এবং সরকারের তাবেদার।
৪| ২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: জাতি পদ্মাসেতু পেয়েছে এটাই বড় কথা।
২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
পদ্মা সেতু জাতির জন্য নিঃসন্দেহে একটা বড় মাইল ফলক।
৫| ২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১৫
সোনাগাজী বলেছেন:
এমজেডএফ বলেছেন: " 'ধান ভানতে শিবের গীত' অন্ততপক্ষে আজকে না গাইলেও পারতেন! "
সেতু তৈরি করতে দরকারের বেশী টাকা খরচ হলে, এতে কার ক্ষতি হয়, উহা আপনি হিসেবে করে বের করতে সমর্থ হবেন?
২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, স্যার।
এই বেশি টাকা মানে হাজার হাজার কোটি টাকা এদেশের সব চাটুকারের পকেটে থেকে সমানুপাতিক হারে গচ্চা যাবে। কিন্তু মাথা বন্ধক দেওয়া কিছু মানুষ কখনো তা অনুধাবন করতে পারবে না।
৬| ২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:২৫
সোনাগাজী বলেছেন:
সরকারের কিছু লোকজন, দলের ও ব্যবসায়ীরা মিলে, জাতীয় উন্নয়ন থেকে বিরাট অংকের টাকা ডাকাতী করে নিয়ে যাচ্ছে; ফলে, বাজেটের টাকা খরচ হচ্ছে, কিন্তু দেশ সামানুপাতিক হারে আগাচ্ছে না।
২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট।
বাজেটের টাকা ঠিকই খরছ হচ্ছে, উন্নয়নের ডাক ঢোল পেটানো হচ্ছে কিন্তু এই টাকার একটা বড় অংশই চুরি হয়ে যাচ্ছে। ফলে সমানুপাতিক হারে উন্নয়ন হচ্ছে না।
ভালো থাকুন।
৭| ২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:০৬
দ্যা প্রেসিডেন্ট বলেছেন:
আপনি আমায় দেখছেন সেখানে? যাই নাই তো দেখবেন কেমনে!
আসলে আমারে দাওয়াত দেয় নাই, দিছে দাওয়াত ইউনুসরে। বেটা ভদ্রলোকের কী আর সেই সুযোগ আছে। উনারে বেশি টানতে গেলেই আমি চলে আসি, আমি অবশ্য নিজের অতিরিক্ত ব্যস্ততায় তার কারণে বানবাসীদের পাশে দাঁড়াতে পারিনি।
যাই হোক, বুয়েটের ছাত্রশিক্ষকদেরও শিখার আছে অনেক কিছু। আপাত আপনি/আপনেরা সব বিষয়ে আলোচনা কইরাই মানুষগুলোরে বুদ্ধিমান বানাই দিতাছেন!
২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
মহামান্য প্রেসিডেন্ট।
গার্ড অব অনার গ্রহণ করুন।
আমি দাওয়াত পাইনি বলে অপমানে এই লেখাটি লিখেছি। কিন্তু আপনি দাওয়াত পাননি কেন? হেইটা তো বোধগম্য হচ্ছে না। সমস্যা নেই, আপনি আমি দু'জনে মিলে আরেকদিন সেতু উদ্ভোধন করে আসবো।
ভালো থাকুন।
৮| ২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:১৮
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: পদ্মা সেতু এদেশের প্রতিটি বাাংলীর কাছেই গর্ব-অহংকার, মাথা উচু করে দাড়াবার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।
২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ।
পদ্মা সেতু নিঃসন্দেহে আমাদের গর্ব অহংকারের।
৯| ২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:০৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যায় কেন সে প্রশ্ন হাজার বার তোলা হয়েছে, প্রিন্ডেড ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে।
সন্তোষজনক ব্যাখ্যাও দেয়া হয়েছে, অনেক। পর্যাপ্ত।
সাধারণ চোখে দেখাও ঢালাও দুর্নিতীর কোন প্রমান দেখা যায় না।
দুর্নিতি ও অদক্ষতা থাকলে সরকারি ভান্ডার বাড়ে না, কমে যায়। প্রমান তেল সমৃদ্ধ নাইজেরিয়া।
বিএনপি আমলে রফতানি ভাল ছিল, রেমিটেন্সও বেশ ভাল ছিল। কিন্তু রিজার্ভে ৩ বিলিয়ন ছিল, ২০০৬ এ ক্ষমতা ছাড়ার সময়ও একই ৩ বিলিয়ন। তত্তাবধয়কের ২ বছরেও আর তেমন বাড়েনি।
যেখানে বাংলাদেশ ২০০৯ এ ৩ বিলিয়ন থেকে মাত্র ২ বছরেই বৃদ্ধি পেয়ে ১১ বিলিয়নএ উত্তির্ন হলো, অতচ তখন বিশ্বমন্দা চলছে। ২০২১এ সেই রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন হয়ে উপচে পরছে।
দুর্নিতিতে ৫ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন 'মনখারাপ' গোষ্ঠির দলের আমলে একটিও বিদ্যুৎকেন্ত্র হয়নি। বিদ্যুৎ এক মেগাওয়াট না কিলোয়াটও বাড়েনি। কোন বড় সেতু হয় নি, মেগা প্রকল্প দুরের কথা, নামও শুনেনি।
তাদের আমলে কোন অর্থ পাচার হয় নি, রিজার্ভ হ্যাকিংও হয় নি। রফতানি ভাল, রেমিটেন্সও বেশ ভাল, তাহলে সে আমলে অর্জিত ডলারগুলো কোথায় গেল?
পাকিস্তানের বন্ধু হয়ে পাকিস্তানের পরামর্শে জিএমবি আলকায়দা বালকায়দাকে অর্থ দিয়ে ট্রাককে ট্রাক অস্ত্র উলফাকে কিনে দিয়ে ভারতের সাথে গুতোগুতি করাটাই ছিল তাদের তথাকথিত উন্নয়ন।
ভারতের ক্ষতি করার আয়োজন করাটাই তাদের তথাকথিত সুশাসন।
২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৪১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
হাসান ভাই, শুভেচ্ছা রইলো।
আমি রাজনীতির মানুষ নয়। এজন্য আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামাত-হেফাজত কোন দলের প্রতি সখ্যতা, ভালোবাসা, কিংবা অন্ধবিশ্বাস কোনটিই নেই। নিজের বুদ্ধি আর বিবেক খাটিয়ে যেটা সঠিক মনে করি তাই বলি এবং লিখি। বিএনপি আমলের দুর্নীতি, পাকপ্রীতি, গুন্ডামী, অপশাসন, দুঃশাসন নিয়ে কথা বলেছি। এই সরকারের আমলেও সাহস করে সরকারের অনেক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আবার সরকারের ইতিচাক অনেক কাজের প্রশংসা করেছি।
দেখুন, পদ্মাসেতু আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপনের বাস্তবায়ন। এজন্য সরকারকে সাধুবাদ দিতেই হবে। পোস্টের শুরুতে এজন্য ধন্যবাদ জানিয়েছি। কিন্তু একটি ভালো ও সফল উদ্যোগের সমর্থন জানানো মানে সাতখুন মাপ হয়ে গেলো তা নয়। আমার মতো অনেকে এসব বিষয়ে লিখছেন। সবাই বাহবা দিতে পারে, স্রুতের অনুকূলে বৈঠা বাইতে পারে। কিন্তু আরো গভীরে গিয়ে তার মান, ব্যয় ইত্যাদি নিয়ে কথা বলতে যে ঘিলু আর সৎ সাহস থাকতে হয় তা সবার থাকে না। এজন্য এসব লেখাকে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে দেখা উচিৎ।
না হলে নতুন প্রজন্ম "জি হুজুর জাহাপনা" ট্যাগ থেকে বেরিয়ে এসে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না।
১০| ২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:১৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সেতু প্রয়োজন ছিল কিন্তু ব্যয় ইচ্ছকৃতভাবে বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে।
২৭ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৪১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
সেতুর গুরুত্ব এবং প্রয়োজন অনস্বীকার্য।
এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ। পাশাপাশি, এমন মহা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে দুর্নীতি বন্ধ করা উচিৎ ছিল।
এখন এই অতি ব্যায়কে জায়েজ করার জন্য দালালরা কতরকম গিনেজ বুকের রেকর্ড হিসাব করছেন তা বলে শেষ করা যাবে না। কমপক্ষে ১৫ হাজার কোটি টাকা লুপাট হয়েছে।
ভালো থাকুন।
১১| ২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪০
তারেক ফাহিম বলেছেন: পদ্মা সেতুন আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল।
দুর্নিতী ছাড়া এ দেশে কিছুই হয় না।
বড় বড় কাজের দুর্নিতী বেশি হবে এটাতো স্বাভাবিক। আমরা জনগণও মেনে নিয়েছি!
২৭ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৪৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ধন্যবাদ, তারেক ফাহিম ভাই।
আমরা দুর্নীতি দেখতে দেখতে এবং এগুলোকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা হতে দেখে হতাশ। এজন্য দুর্নীতি নিয়ে আমাদের অনুভূতি ভোতা হয়ে গেছে। হয়তো আগামীতে ভালো দিন আসবে। সেই আশায় রইলাম।
১২| ২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:১০
আরোগ্য বলেছেন: পদ্মা সেতু নিয়ে মনে হয় তিন দিন যাবৎ ব্লগে পোস্টের মেলা বসেছে। নিঃসন্দেহে পদ্মা সেতু একটি জনকল্যাণমুখী প্রকল্প কিন্তু তাই বলে চুরি জিনিসটা আপোষে মেনে নেয়া মোটেই কাম্য না। কমপক্ষে হৃদয়ে চুরি বাটপারির বিপক্ষে ঘৃণা থাকবে এটা ইমানের সর্বনিম্ন স্তর। কিন্তু মানুষের অন্তর ও বিবেকে আজ মরিচা পড়েছে।ব্যক্তিগতভাবে আমি ডিজিটালাইজেশন এর পক্ষপাতি না এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। আর পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে কি হতে পারে এবারের বন্যাও তার একটা উদাহরণ ।
আশা করি এখন আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। নেটে দেখলাম এখন সিলেটের অবস্থা ভালোর দিকে। আমার মতে সরকার যেহেতু নানা প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত তারপর আবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্যও বড় মাপের বাজেট ধরতে হয়। তাই জনগণের উচিত নিজেদের সমস্যা নিজেদের চেষ্টায় দুর করা। বর্ষা গেলে কিভাবে আগামীতে বন্যার পানি সহজে নামানো যায় সে ব্যবস্হা করা। যেভাবে সবাই এ সময় এক হয়ে কাজ করেছে ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতেও বাংলাদেশের মানুষ একত হয়ে সব সমস্যা সমাধান করতে পারবে ।
আল্লাহ হাফিজ। দোয়া করবেন।
২৭ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৪৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ভাইজান, শুভেচ্ছা রইলো।
ভালো আছেন আশা করি। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
আমি আপাতত বন্যামুক্ত। আশীর্বাদ করবেন। আপনিও ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
১৩| ২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৫৫
নিমো বলেছেন: আরোগ্য বলেছেন: ব্যক্তিগতভাবে আমি ডিজিটালাইজেশন এর পক্ষপাতি না এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
বস্তার মধ্যে ঢুকে, তোরাবোরা গুহায় থাকলে পরিবেশের ভারসাম্য সবচেয়ে বেশি ঠিক থাকার সম্ভাবনা।
২৭ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:৪৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ভাইজান, শুভেচ্ছা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:০৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: দুর্নীতি ফুর্নীতি এগুলো সব সরকার করে। দুর্নীতি করেও যে পদ্মা সেতু পাইছি তা আমি এপ্রিসিয়েট করি।