![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১) দিবাস্বপ্ন দেখা মানুষ। আকাশকুসুম কল্পনা করি সারাদিন। ২) লিখতে ভালোবাসি। গল্প প্যারোডি বাস্তবতা সবকিছু। ৩) ক্রিকেট পাগল। ক্রিকেট খেলার সময় আর ক্রিকেট দেখার সময় দুনিয়াদারী ভুলে যাই! ৪) নিশাচর। রাত জাগাটা আমার কাছে নেশার মত। ৫) আমি ভয়াবহ অলস। মানুষ ভাবে- "কাল থেকে পড়া শুরু করবো।" আর আমি ভাবি- "সামনের মাস থেকে পড়া শুরু করবো!" ৬) মানুষের সাথে সহজে মিশতে পারি ।যদি তার মনটা সুন্দর হয়। ৭) নিরব এবং অল্প কথা বলতে পছন্দ করি। ৮) নিজেকে নিজের মত করে সাজাতে চাই। ৯) মানুষের কাজকর্ম দেখতে ভালো লাগে। রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আমি মানুষ দেখি। ১০) ফেসবুক জীবন আর বাস্তব জীবনটাকে আলাদা করি না। দুটোকেই এক ভাবি। দুটো জীবনই তো আমার। আলাদা করবো কেন?
বন্ধু হচ্ছে পৃথিবীর সব চাইতে মধুর সম্পর্ক। যার উপর নির্ভর করে অনেক অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। যেমন: আজকের এই ফেসবুক,গুগল,টুইটার তাঁর একটি অনুপম দৃষ্টান্ত।
আমায় যদি প্রশ্ন কর বন্ধু মানে কি ? তাহলে আমি বলব; বন্ধু মানে হচ্ছে; শেয়ারিং, বিশ্বাস, ভালবাসা , আর আনন্দ। একজন ভালো বন্ধু হচ্ছে আল্লাহর একটি সুন্দর দান; যা পৃখিবীর অনেক কিছু থেকেও শ্রেষ্ঠ।
এবার দেখি ভাল বন্ধু হতে হলে আমাদের কি করা উচিৎ:
১। প্রকৃত বন্ধু হও (Be Real Friend): পৃখিবীতে ভালো মানুষ বা ভালো বন্ধু পাওয়া কঠিন ব্যাপার। কিন্তু হাঁজারও মানুষের মধ্যে তুমি একটু ভিন্ন হও আর প্রমান কর যে তুমিই প্রকৃত ব্যাক্তি।
২। ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করনা: ধর্ম আর বন্ধু দুইটি আলাদা বিষয় তাই কখনও বন্ধুকে ধর্মিয় বিষয়ে আঘাত করোনা। কিন্তু নিজের ধর্মের ভাল বিষয় গুলো শেয়ার কর।
৩। একজন সৎ বন্ধু হও (Be Honest Friend): সৎ লোকের বড়ই অভাব এই পৃখিবীতে। মানুষ কেউই বলতে পারবে না যে আমি সৎ বা ধার্মিক কারন পাপেই আমাদের জন্ম হয়েছে। কিন্তু তবুও আমরা যেন সৎ খাকতে চেষ্টা করি। তুমি যদি নিজেকে সৎ মনে কর তাহলে নিজের ভূল স্বীকার কর, এবং তোমার বন্ধু যদি ভুল করে তবে তাকে বুঝাও এবং সে যদি ভূল করে খাকলে তাকে ক্ষমা কর। সৎ হতে হলে আমাদের শিশুর মত হতে হবে যাদের কোন পাপ নাই।
নোট: একজন অসৎ ব্যক্তিকে কখনও বন্ধু হিসেবে ভেবনা যে কিনা; পিছনে তোমার নামে কুৎসা রটায় আর সামনে ভালো মানুষ সাঁজে।”
৪। বন্ধুর প্রতি অনুরক্ত হও (Be loyal) : যদি তোমার বন্ধু পূর্ন বিশ্বাসে তোমায় কিছু বলে তাহলে তুমি তা শোন আর বিশ্বাস কর। কখনও তুমি তোমার বন্ধুর নামে পিছনে কুৎসা রটিও না বা তাকে ঠাট্টার পা্ত্র করোনা। তোমার দেহের বাহিরটা যেমন ভেতরটাও যেন তেমনই হয়। যদি তোমার বন্ধুর নামে তোমার কাছে কেউ বলে যা ভুল ,তাহলে তুমি তাকে বলে দাও যে আমি আমার বন্ধুকে চিনি, জানি, অন্য কোন বিষয় থাকলে বল। বন্ধুকে নিয়ে এমন কোন কখা তুমি পিছনে বলোনা যার মুখো মুাখি উত্তর দিতে তুমি ভয় পাও। তুমি কখনও দুই দিকে খেলনা। সব সময় সরল খাকো। জানোতো দুই নৈৗকায় পা দেবার ফল কি?
নোট: যে বন্ধুকে তুমি চেন তাকে অন্যের কাছে কখনও ছোট করোনা।
৫। সম্মান কর (Be Respectful): যদি তোমার বন্ধু তোমাকে কোন কিছু গোপন রাখতে বলে তাহলে তা গোপন রাখ, কারো সাথে শেয়ার করনা। বন্ধুর প্রতি একটু সম্মান দেখোলে বন্ধুত্বের মধ্যে বিশ্বাস আরো বেড়ে যায়।
৬। সদ উপদেশ দাও (Give Your Advice): মানুষ মাত্রই আমরা ভূল করে থাকি; যদি কেউ বলে আমি যা বলি বা করি তাই ঠিক, সত্য তাহলে সে আসলই বোকা। তাই তুমি যদি মনে কর যে তোমার বন্ধু কোন বিষয়ে ভূল করছে তাহলে তুমি তাকে বুঝাও। যদি তোমার বন্ধু বুদ্ধিমান/বুদ্ধিমতি হয় তাহলে সে তোমার কথা অবশ্যই শুনবে। কোন বিষয়ে অঙ্গীকার করনা যা তুমি রাখতে পারবে না। মনে রেখ বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয় বিশ্বাসের দ্বারা; তাই কখনও বিশ্বাস ভঙ্গ করনা। তোমার একটু অবিশ্বাসই তোমাদের সুন্দর বন্ধুত্বে ভাঙ্গন ধরাতে পারে।
৭। (কখনও স্বার্থপর হইওনা (Don’t Be Selfish): স্বার্থপরতা পৃখিবীর সব চাইতে খারাপ বিষয় গুলোর একটি যা একটি পাপও বটে; তাই এই বিষয়টা সব সময় এড়িয়ে চল। কখনও স্বার্থের জন্য বন্ধুকে কে ব্যবহার করনা। যা কিছু করবে তা তুমি তোমার বন্ধুত্বের দাবিতেই কর। কখন স্বার্থ ফুরালে কেটে পড়না...না না না।
৮। শেয়ার কর যা ইচ্ছা তাই (Share and fun...lol): পৃখিবীতে বন্ধু হচ্ছে এমন একজন মানুষ যার কাছে সব মনের কখা বলা যায় বা শেয়ার করা যায় সব কিছুই...
কিন্তু মনে রেখ যে কোন কিছু যেন মন্দতায় না হয়। যেমন:
তুমি তোমার বন্ধুকে ব্যভিচার করার জন্য আকৃষ্ট করতে পারোনা কিন্তু কিভাবে বিবাহিত জীবনে সুখি খাকতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করতে পারো।
নোট: মনে রেখ মানুষ অন্য যেকোন পাপ করলে তার ক্ষমা আছে; কিন্তু দেহের সাথে যে পাপ(ব্যভিচার) করে তার কোন ক্ষমা নাই।
৮। বন্ধুর বিপদে তার পাশে থাক (Help Your Friends): শুধুমাত্র সুখের দিনে নয় বড়ং দুঃখের দিনেও বন্ধুর পাশে থাক সব সময়। এটাই আসল বন্ধুর কাজ...
৯। কখনও বিশ্বাস ভঙ্গ করনা (Be Faithful Not Unfaithful): যদি তোমার বন্ধু তোমাকে বিশ্বাস করে আর তুমি তাকে; তাহলে কখনও কোন কারনে তার বিশ্বাস ভঙ্গ করনা যেন পরে কোন কৈফতের মুখো মুখি তোমাকে না দাড়াতে হয়।
১০। কখনও বন্ধুর পরিক্ষা করনা (Dont’ to Exam Your Friends ): বন্ধুকে কখনও পরিক্ষা করনা তাহলে সেটা অবিশ্বাসের কাজ হবে। আমি আমার এক বন্ধুর সাখে একটু ফান করে ছিলাম কিন্তু ও আমায় ভুল বুঝেছিল মনে করেছে আমি ওর পরিক্ষা নিয়েছি তাই ও আমার সাখে কথা বলে না... ।
"True friendship comes when silence between two people is comfortable. "~ Dave Tyson Gentry
২| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯
পথিক মানিক বলেছেন: দারুন ..... :-)
৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো লিখেছেন।
৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২১
কবি ইমতিয়াজ হোসেন বলেছেন: ভালো লিখেছেন
৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩০
কাউসার আরিফ বলেছেন: বন্ধু ছাড়া লাইফ নাকি ইমপ্সিবল??
৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৫
অবনি মণি বলেছেন: হুম ! শিখে নিলাম অনেক কিছু !
৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৯
নিশি মানব বলেছেন: ভাল লাগছে ভাই...
৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২১
আরজু পনি বলেছেন:
মন ভালো করে দেয়া শেয়ার।
ধন্যবাদ ।
আমিও ফেসবুকে শেয়ার দিলাম ।
৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: চমৎকার লেখনী
১০| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২৮
কাউসার আরিফ বলেছেন: ধন্যবাদ
১১| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ভালো লাগলো। মনের মত বন্ধুও পেলাম না আবার কারও ভালো বন্ধুও হতে পারলাম না।
১২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪
সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। গুড পোস্ট।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫
তাহের অন্তরা বলেছেন: বন্ধু নিয়ে ব্যাপক গবেষণা......
যাই হউক ভালো লাগলো