নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রোপ্রাইটর- ট্যুরমেট, সদস্য- ট্যুর অপারেটর্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব), সাধারণ সম্পাদক - ট্যুরিষ্ট গাইড এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিগ্যাব) । তবে, ট্যুর গাইড হিসেবেই নিজের পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি।

কায়েশ খান

ঢাকায় থাকি, বিচিত্র সব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাই!

কায়েশ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মীয় অনুভুতি এবং আমার স্কুল স্মৃতি!

১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:০০

আড়িয়ল স্বর্নময়ী হাই স্কুলে যারা পড়েছেন তারা সুশীল ব্যানার্জীকে চেনেন। ভদ্রলোক কয়েক সপ্তাহ আগে পরলোক গমন করেছেন।শক্ত-পোক্ত চেহারার বিশাল গোফধারী ব্রাহ্মণ। বাংলা পড়াতেন সেই সাথে পিটি ক্লাস এবং বার্ষিক ক্রীড়াপ্রতিযোগীতারও তিনি ছিলেন মধ্যমনি। তীব্রভাষী হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন তিনি। তার ক্লাশে বাংলায় পাশ করা দু'চার জন ভাগ্যবানদের মধ্যে আমিও ছিলাম। পাশ মার্ক পাওয়ার মত খাতাও তিনি দেখলে ২৮/২৯ এর বেশী দিতেন না। গর্বভরে বলতেন, আমার পরীক্ষায় ফেল করলেও আমার কোন ছাত্র-ছাত্রী এসএসসিতে বাংলায় ফেল করবে না। করতও না। নাম্বার কম পেয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে অপমানজনক ভাবে বলতেন, বিএ পাশ করে এসে তর্ক করবি। ক্লাশে পড়া না পারলে যবন, খেজুর তলার শেখ ইত্যাদি কোন বাক্যবানই বাকী থাকত না।
তার জন্য ৯৫% মুসলমান ছাত্র-ছাত্রী'র কারো কখনো ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লেগেছে বলে শুনিনি। তিনি বাংলার পাশাপাশি হিন্দু ধর্মের অর্থাৎ সনাতন ধর্ম শিক্ষা ক্লাশ নিতেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যপার ছিল আমাদের মওলানা স্যার অনুপস্থিত থাকলে তিনি আমাদের ইসলাম ধর্ম শিক্ষা ক্লাশও নিতেন। সেদিন বরং আমাদের অবস্থা আরো খারাপ করে দিতেন। প্রমান করে দিতেন আমরা ভাল মুসলমানই নই। কিন্তু তাতেও আমাদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগত না। তবে কি আমাদের কোন অনুভূতিই ছিলনা? নাকি...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১৬ রাত ২:৩১

Safin বলেছেন: রেসপেক্ট . . . . .

আমিও ছোটোবেলা থেকে এরকম শিক্ষক পেয়েছি।
বেশী অনুভূতিওলাদেরকে নিয়ে কিছু বলার নাই।

২| ২০ শে মে, ২০১৬ রাত ৩:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: কী আর বলবো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.