নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অচিনপুরের অচিন ছেলে

আমার মতে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য হচ্ছে মানুষের হাসি।তাই আমি সারাজীবন মানুষকে হাসি মুখে দেখতে চাই

কাজী অভন

আমার যা আছে তাই নিয়েই আমি সুখি ।উচ্চাকাঙ্খা কম,এবং মানুষের সাথে মিশতে পছন্দ করি।

কাজী অভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পোষ্টারকথন

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৬

[পোষ্টারকথন]

কিছুদিন পর ঢাকা শহর পোষ্টারের নগরী হিসেবে পরিচয় পাবে।রাস্তয় বের হলে যেদিকে তাকাই শুধু পোষ্টার আর পোষ্টার।গাড়িতে বাড়িতে ,খাম্বায় ,দড়িতে ,দোকানে,ভাষ্কর্যে,দেয়া লে ,সেতুতে ,গাছে যেদিকে দুই চোখ যায় পোষ্টারে পোষ্টারে সয়লাব।সবচেয়ে মজা লাগে যেখানে পোষ্টার লাগানো নিষেধ লেখা থাকে সেখানেই বেশী পোষ্টার লাগানো হয় ।তো দুইটা ছোট ঘটনা বলিঃ

একবার শংকরে যাব ।প্রচন্ড বৃষ্টি।সাইন্সল্যাব নেমে মিডওয়ে বাসে উঠলাম।অনেক ভিড় ।বাসটা পুরোপুরি বায়োলিফ পোষ্টারে মোড়ানো।যেহেতুমিডওয়ে বাস দেখলেই চেনা যায় ।ভাড়া দেয়ার সময় শুনি বাহন পরিবহন।৩২ নাম্বার নামলাম ।জরিমানা ২৫ টাকা রিক্শা ভাড়া ।

আগে স্কুল থেকে আসার সময় একটা জায়গায় নিয়মিত বাংলা ছবির পোষ্টার টাঙানো হতো।স্কুল ছুটির পর পোলাপান লাইন ধরে পোষ্টার দেখত ।আমরাও হা করে দেখতাম আর হাসাহাসি করতাম।মাঝে মাঝে লজ্জায় হাত দিয়ে চোখও চেপে ধরতাম ।সেটাই বোধহয় প্রথম বাংলা ছবির পোষ্টারের সাথে পরিচিতি।

জিরো পয়েন্টে একবার বাস জ্যামে পরল ।আমিও খুশি মাথা বের করে দূরত্ব পড়তে লাগলাম।হায় হায় একটাপড়ি তো ৫ টা পড়তে পারলাম না পোষ্টারের জ্বালায় ।ফলাফল সাধারন জ্ঞান থেকে বন্চিত কাজী অভন

বাসের জানালায় বিভিন্ন ধরনের পোষ্টার থাকে ।পার্টটাইম চাকুরী,কলিকাতা হারবাল টাইপের পোষ্টার থাকে।৮ পাশ ,এসেসসি পাশ করে চাকরীর সুযোগ আপনি বাসে না উঠলে কোথাও পাবেন না।তাছারা চর্ম,ওউন ,হাপানী থাকলে বাসের পোষ্টারই আপনার সমস্যার সমাধান করে দিবে।একবার তো দেখি সামনের গ্লাসে বড় পোষ্টার ।এক বন্ধু বলে দোস্ত কি লেখা ।আমি বকলমের মত হনহন করে পড়লাম।ফলাফল কয়েকটি অবাক চোখ আমার দিকে তাকাল ।আমার কি দোষ ।আমাকে পড়তে বলছে আমি পড়ছি।

আমাদের রাজনীতিবিদরা যেই পরিমান পোষ্টার লাগায় ওগুলা দিয়ে খাতা বানালে গরীব বাচ্চাদের খাতার অভাব থাকত না ।ঈদ আর নববর্ষের সময়তাদের শুভেচ্ছা নিতে নিতেমুখ ব্যাথা হয়ে যায়।এমন কোন জায়গা নেই যেখানে তারা পোষ্টার লাগায় না।মানুষ যাতে তাদের না ভুলে যায় সেজন্য বোধহয় তাদের এ পয়াস।নির্বাচনের সময় দড়িতে পোষ্টার লাগানো হয় ।কাপ্তাই যাওয়ার সবয় দেখেছিলাম পোলাপান সেগুলোর পলিথিন মাথায় পরে গলায় পোষ্টার বেধে ঘুরছে।রাস্তায় সব নেতাদের পোষ্টার প্রায় মুখস্থ হয়ে গেছে।বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের দেয়াল দেখলে নতুন কেউ ভাববে এখানে বোধহয় ডেইলি রাজনৈতিক সভা হয় ।

যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের পিলারগুলো পোষ্টারে মোড়ানো ।মাঝে মাঝে মনে হয় এটা আবার পোষ্টার দিয়ে তৈরী হল নাতো ।দুইদিন পর পর ঘষে ঘষে উঠায় আবার লাগানো হয়।নির্লজ্জ যাকে বলে আরকি।নেতা হতে পোষ্টার লাগে না মানুষের ভালবাসা থাকলেই হয়।

স্কুল কলেজে থাকতে কোথাও কম্পিউটার মেলা হলেই ছুটে যেতাম ।নতুন কিছু দেখা এক উদ্দেশ্য আরকে উদ্দেশ্য লিফলেট কালেক্ট করা।সেগুলো বান্ডিল জমিয়ে বিছানা র নিচ উচু করতাম ।তখন ঘুম খুব ভাল হত ।আম্মা সব ফেলে দিছে ।তাই এখন আর ভাল ঘুম হয় না ।

আরো অনেক কাহিনী আছে ।পোষ্টার দেখলে আমি এখনো হা করে তাকিয়ে দেখি ।ছোটবেলায় তো বাসায় এন দেখতাম ।এটা আমার সখের পর্যায়ে পরে ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৮

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: দারুন লেখা।

+

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

কাজী অভন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.