![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঈদের আমেজ শেষ হয়েছে অনেকদিন। মানুষ শহর থেকে ফিরে আসা মানুষেরা ফিরে গেছে তাদের আপন নিবাসে। আমার কোথাও ফিরে যাওয়ার তাগিদ নেই। আমি এই গ্রামেই আছি। মানুষ কমে যাওয়ায় গ্রাম কোলাহল মুক্ত হতে লাগলো। তেমনি এক নীরব জোছনা ঝরা রাত। সাথে পূবালী হাওয়া। ঘড়ির কাঁটা প্রায় রাত ১০ টা ছুঁই ছুঁই। রাতের খাবার খেয়ে একটু বাইরে থেকে হেঁটে আসা আমার নিত্য রাতের অভ্যাস। হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির দক্ষিনপাশে আমার প্রিয় বাগানটায় চলে এলাম। গাছের পাতার ফাঁক গলে চাঁদের আলো ঠিকরে পড়ছে। চাঁদটার দিকে একবার তাকালাম। খুব ভাল লাগলো। মৃদু বাতাস বয়ে যাচ্ছিল। ইচ্ছে করছিল বাগানটায় হেলান দিয়ে বসে থাকি কিছুক্ষন। ভাবতে ভাবতে বসেও পড়লাম, হেলান দিলাম গাছের সাথে। এমন এক নীরব মুহূর্তে সোনালী অতীতের কথা চোখের সামনে ভাসতে লাগলো। তন্দ্রায় দু চোখ বুজে আসছিল। কিছুক্ষন পর ঘরে ফিরে আসলাম। বিছানায় শুতেই আচমকা এক বিদগুটে গ্রান নাকে এসে ঠেকল। দু চোখের পাতা জোড়া লেগে যাচ্ছে কিছুতেই আলগা করতে পারছিলাম না। আমার গায়ে কারো ছোঁয়া অনুভব করলাম। গায়ের লোম শিউরে উঠলো। আমি যেন নিস্তেজ হতে লাগলাম। তারপর এক লম্বা নাক আর লম্বা মুখের কালো চেহারার কেউ আমার বুকের উপর এসে বসলো। আমি ভয়ে চিৎকার দিতে চাইলাম কিন্তু আমার গলা দিয়ে কোন শব্দ বের হল না। কেউ যেন আমার গলা চেপে ধরল। আমি হাত পা ছুড়তে লাগলাম কিন্তু সেগুলো ও নাড়তে পারলাম না। যেন অবশ হয়ে গেল। এবার সে মহিলা রূপী পেত্নীটা আলতো করে আমার মুখ ছুঁয়ে দিল। আমি আরও প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে নড়তে চাইলাম কিন্তু কাজ হল না। মনে মনে দোয়া কালাম পড়লাম। এবার পেত্নীটা আমার একেবারে মুখের কাছে মুখ এনে গরম নিঃশ্বাস ছাড়ল। তারপর বলল, ‘ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দিয়েছিলাম অনেকদিন হল রিসিভ করিসনি কেন’? ওর কথা শুনে আমি প্রায় কেঁদেই দিলাম। আমার অবস্থা দেখে সে আমার মুখে আলতো ছোঁয়া দিয়ে নিমিশেই হাওয়া হয়ে গেল। আমার তন্দ্রা কেটে গেল। আমি শোয়া থেকে উঠে বসলাম। ফ্যান চলছে তবুও গরমে ঘামছি। খুব অস্থির লাগছিল। বুঝতে পারছিনা একটু আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা সত্যি নাকি স্বপ্নে দেখেছিলাম! উঠে বেসিং এ হাত মুখ ধুতে ধুতে ভাবতে লাগলাম ‘পেত্নীরাও কি ফেসবুক ব্যাবহার করে নাকি!’
কাজী সুলতানুল আরেফিন
পূর্ব শিলুয়া, ছাগলনাইয়া, ফেনী।
©somewhere in net ltd.