![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-কাজী সুলতানুল আরেফিন
পুরানো সাইকেলে টুং টাং আওয়াজ তুলে বাবা বিকেলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে যেতেন। আমি তখন প্রাইমারীর ছাত্র। বাবা সরকারী চাকুরী করতেন। বিকেলে অফিস থেকে ফিরে আড্ডায় যাওয়া বাবার নিত্য দিনের অভ্যাস ছিল। রাতে বাবা আসার সময় হলে জোরে শব্দ করে পড়তাম। যাতে বাবা শুনতে পায় আর খুশী হয় যে আমি পড়ছি। অনেক সময় পড়া ধরতেন। যখন বেশি বেশি পড়া ধরা শুরু করতেন তখন অনেক সময় তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে ঘুমের ভান ধরতাম। চোখের পলকে সময় চলে যায়......।
এখন বাবা বুড়ো হয়ে গেছেন। প্রায় সময় দু চোখ বুজে থাকেন। যেন পরপারের অপেক্ষায় থাকেন। আমিও চাকুরী থেকে ফিরে আড্ডায় যাই। তবে বাবার মত সাইকেলে নয়। আমার একটা মোটরসাইকেল আছে। সেটার শব্দ তুলে ছুটে যাই। এখন আমার ছেলেও প্রাইমারীর ছাত্র। তবে আমাকে দেখানোর জন্য বা আমি ফিরে আসার সময় হলে তাকে পড়তে হয় না। যুগ বদলেছে তারা এখন পুরোপুরি স্বাধীন।
খুব ভাবনায় পড়ে গেলাম। এইতো সেদিনের কথা! যা আমি ছিলাম আজ তা আমার ছেলের জিবন। যে অবস্থানে ছিল আমার বাবা সে অবস্থানে এখন আমি। এভাবে আমার ছেলে আমার স্থানে আসবে একদিন। তার ছেলেও একদিন হয়তো প্রাইমারীর ছাত্র হবে। আমার ছেলে হয়তো আরও দামী কিছু নিয়ে ছুটে যাবে আড্ডা দিতে। হয়তো সে সময় আড্ডা থাকবে না। থাকবে অন্য কিছু! তখন বাবার মত আমিও চোখ বুজে পরাপরের অপেক্ষায় থাকবো!
এইভাবে অদৃশ্য নিয়তি সবাইকে বিদায় নিতে বাধ্য করবে। দুচোখ বুজে পরাপরের অপেক্ষায় থাকার জন্য বাধ্য করবে। এ রীতি আমার কাছে খুব কঠিন নিষ্ঠুর থেকে নিষ্ঠুরতম মনে হয়। বিদায়ের সুর যখন মনে বাজে তখন মনে হয় বেঁচে থাকাটা আসলেই খুব সুন্দর কিছু।
পূর্ব শিলুয়া, ছাগলনাইয়া, ফেনী ।
[email protected]
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ব্লগে কম লেখেন যে?