নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাল ব্যাবসায়ী, মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম একটি দ্রব্য চাল নিয়ে ব্যাবসা করছি, গর্ববোধ করি কিছুটা হলেও দেশের জন্য মানুষের জন্য কাজ করছি।

কাজী ফররুখ আহমেদ

চাল ব্যাবসায়ী, মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম একটি দ্রব্য চাল নিয়ে ব্যাবসা করছি, গর্ববোধ করি কিছুটা হলেও দেশের জন্য মানুষের জন্য কাজ করছি।

কাজী ফররুখ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাজারে বিভ্রান্তিকর মিনিকেট চাল

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১২



দেশে-বিদেশে ‘মিনিকেট’ নামের কোনো ধান বা চাল নেই। বাজারে এ নামে রং-বেরঙের নানা বস্তাবন্দি যে চাল পাওয়া যায় তা আসলে সাধারণ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিম্নমানের মোটা চাল মেশিনে ছেঁটে সরু করা। বেশি দামে বিক্রি করে বাড়তি মুনাফা লাভের লক্ষ্যে বিশেষ পলিশিং মেশিনে মোটা চাল কেটে চিকন ও চকচকে করা হয়। সুস্বাদু ও অতিরিক্ত চকচকে করতে এই চালে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানোরও প্রমাণ পাওয়া গেছে। মোটা চাল ছেঁটে সরু এবং রাসায়নিকের মাধ্যমে চকচকে করায় কথিত ‘মিনিকেট’ চালে স্বাভাবিক খাদ্যমান ও পুষ্টিগুণও থাকে না।

মোটা চাল মেশিনে কেটে চিকন করে মিনিকেট নামে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। বাস্তবে এই নামে কোনো ধান বা চাল নেই। পরিষ্কার ও চিকন হওয়ায় মানুষ এই চালের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বেশি দামে কিনছে। এতে একদিকে মানুষের খরচ হচ্ছে বেশি, অন্যদিকে কেটে চিকন করায় ও রাসায়নিক মেশানোর কারণে এই চালের পুষ্টিগুণও নষ্ট হয়ে যায়।

কতিপয় অসৎ ও অতিরিক্ত মুনাফালোভী সুপারশপ ও অটো রাইস মিল গং আধুনিক মেশিনে মোটা চাল ছেঁটে চিকন ও চকচকে করে মিনিকেট নামে বাজারে চড়া দামে বিক্রি করছে। এসব অটো রাইস মিলে রয়েছে অতি বেগুনিরশ্মির ডিজিটাল সেন্সর প্লান্ট। এর মধ্য দিয়ে ধান পার হওয়ার সময় প্রথমে কালো-মরা ধান ও পাথর সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর ওই মোটা ধান চলে যায় অটো মিলের বয়লার ইউনিটে। সেখানে পর্যায়ক্রমে পাঁচ বা একাধিক ধাপ পার হওয়ার পর লাল বা মোটা চাল সাদা রং ধারণ করে। এরপর অতি সূক্ষ্ম পলিশিং মেশিনে মোটা চালের চারপাশ কেটে চিকন করা হয়। পরে সেটিকে আবার পলিশ ও স্টিম দিয়ে চকচকে শক্ত আকার দেয়া হয়। অতিরিক্ত চকচকে ও সুদৃশ্য করতে কেউ কেউ সেটিতে ক্ষতিকর রাসায়নিকও মিশিয়ে থাকেন। এসব প্রক্রিয়া শেষে নানা নামে ‘মিনিকেট’ হিসেবে সেটি বাজারে ছাড়া হচ্ছে।

ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদি ফসলের গবেষণার ক্ষেত্রে মিনি কিট করা হতো। এ শব্দটিকে ধান বা চাল ব্যবসায়ীরা মিনিকেট করে নিয়েছে। এক শ্রেণির মিল মালিক মাঝারি সরু বি আর-২৮, বিআর-২৯ ও বি আর-৩৯ জাতের এমনকি মোটা ধান ছেঁটে মিনিকেট বলে বাজারজাত শুরু করে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোথাও মিনিকেট নামে চাল নেই। বর্তমানে বাজারে এ নামে যে চাল পাওয়া যাচ্ছে তাতে ভিটামিন ডি সহ মানব শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির উপাদানগুলো নেই।

সুত্র:
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট
ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন, বাংলাদেশ

ছবি: মিনিকেট চালের বিজ্ঞাপণ, যা সুপারশপ কতৃক বাজারে ও মানুষের হাতে হাতে বিতরণ করা লিফলেট, সুপারশপের নাম মুছে দেওয়া হয়েছে ।



মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

নজসু বলেছেন: কত রকম চিটারি দেখেন।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

কাজী ফররুখ আহমেদ বলেছেন: আপনি চিট হচ্ছেন আর তারা চিটারি করছে

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এদেশে আমাদের আরও কত ভাবে প্রতারিত হতে হবে যা আমরা চিন্তাই করতে পারি না!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

কাজী ফররুখ আহমেদ বলেছেন: আল্লাহর কাছে বিচার দিন

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এমনটিই ঘটছে, মোটা চালকে মেশিনে সরু করে মিনিকেট চাল বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

কাজী ফররুখ আহমেদ বলেছেন: আপনি যথার্থ বলেছেন

৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭

আঁধার রাত বলেছেন: যা লিখেছেন তা সত্য তবে সবটুকু না। মিনিকেট নামে ধানের কোন জাত নাই। আমরা সুপারশপ থেকে যে মিনিকেট চাউল কিনি সে চাউলটা তৈরী হয়ে বিআর ২৮ ও ২৯ জাতের ধান থেকে। যেটা নিজেই যথেষ্ঠ সরু চাউল। যারা বলে নিম্ন মানের ধান দিয়ে মিনিকেট চাউল উৎপাদন হয় তারা না জেনে বলে।
ধান দুইটা বছরে একবারই উৎপাদন হয়। ব্যবসায়ীরা কিনে গুদামজাত করে রাখে। আর সারা বছর বাজারে ছাড়ে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

কাজী ফররুখ আহমেদ বলেছেন: পোষ্ট টি আবার পড়ুন, এখানে বি আর ২৮, বি আর ২৯, বি আর ৩৯ উল্লেখ্য করা আছে ।

৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @ দেশে-বিদেশে ‘মিনিকেট’ নামের কোনো ধান বা চাল নেই।

মিনিকেট নামে ধান নেই। তবে জিরা ধানের চাউলকে মিনিকেট বলে, সেটা কি জানা নেই???
(যে সব ফাঁকিবাজ মোটা চাউল চিকন করে মিনিকেট বলে চালায় ওদের ধরে ঠ্যাঙানো দরকার।)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

কাজী ফররুখ আহমেদ বলেছেন: আপনারা ভোক্তা, আপনাদের ঠ্যাঙ্গানোর অধিকার আছে, আইনী লড়াই করার অধিকারও আছে । লড়ছেন না জেনে আমরা ব্যাবসায়ীরা আপনাদের উপর হতাশা পোষন করছি ।

৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @ মাঝারি সরু বি আর-২৮,

এত বিআর মি আর বুঝিনা।
আমি কৃষকের ছেলে, ২৮ধানের চাউলও চিকন হয়। তবে সেটা জিরা ধানের মত নয়, দামও কম। ৮৪কেজির দাম ৩৬০০-৩৭০০৳।

আর মিনিকেটের দাম বেশী।


২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

কাজী ফররুখ আহমেদ বলেছেন: সাধারণ ভোক্তাদের সাথে প্রতারনার নামে যেই চাল বিক্রি হয় তার নাম মিনিকেট চাল !

আপনি কৃষকের ছেলে - আমি কোনো খান বাহাদুরের ছেলে নই, আমি এই দেশের এই মাটির সন্তান। আপনারা ধাণ চাষ করেন চালে পরিনত করেন আর আমরা সেই ধান সংগ্রহ করে চালে পরিনত করি অথবা সরাসরি চাল আপনাদের থেকে সংগ্রহ করে বাজারজাত করি - আমরা উভয়ে প্রতারিত । কারণ বাংলাদেশ কর্পোরেট বানিজ্য নামে সুপারশপ ও অসৎ অটো রাইস মিল!

৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: যার দরকার সে আইন আদালত করুক।

বাপের চাল কিনতে হয় না। আমি কিনে খাই। তবে যেখান থেকে কিনি ওরা এত ঠগ না। বড় জোর প্রতি বস্তায় কয়েক টাকা বেশী নিবে, এই যা।


চাল দেখলে এমনিই বোঝা যায়, কোনট আসলেই চিকন আর কোনটা মোটা থেকে স্লিম। ;)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

কাজী ফররুখ আহমেদ বলেছেন: পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: যার দরকার সে আইন আদালত করুক।

আপনি একটা চমৎকার কথা বলেছেন । ধন্যবাদ

৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: গত এক বছর ধরে মিনিকেট চাল ই কিনছি। বস্তার গায়ে লেখা থাকে ''রশিদের এক নম্বর মিনিকেট চাল''।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

কাজী ফররুখ আহমেদ বলেছেন: ''রশিদের এক নম্বর মিনিকেট চাল''। - তাহলে তো রশিদের দুই নম্বর তিন নম্বর থাকার কথা !

৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: না খেতে খেতে আমাদের খাদ্যনালীর পরিধি ছোট হয়ে গেছে, তাই বিষ হলেও আমাদেরকে মোটা চাল থেকে তৈরিকৃত চিকন চাল (চালের মিনিকেট ভার্শন ) খেতে হয় :(

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

কাজী ফররুখ আহমেদ বলেছেন: এক সময়ে জানতাম মানুষ মরার জন্য বিষ খায়, এখন জানি বাংলাদেশে বেঁচে থাকার জন্য মানুষে বিষ খায় !

১০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

চোখেরে কাঁটা বলেছেন: সমাজের টাকাওলাশ্রেণী এসব মিনিকেট-টিনিকেট নামের উন্নত, বেশি মূল্যের চালকেই ভালো চাল মনে করে। আমাদের মতো গরীবশ্রেণীর এসব খাও্যার তৈফিক নাই। আইনি লড়াই ত পরের কথা।

১১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চাল নিয়ে চালবাজির এই রিপোর্টটি যমুনা টিভি প্রচার করেছে অনেকবার।
এই তথ্যটি গত চার বছর আগে জেনেছি। তারপর থেকে আর কখনো মিনিকেট নামক কোন চাল কিনি না।
বাজারে সাধারণ মিলের বিআর ২৮/২৯ চাল চেয়ে কিনি।

তবুও ধন্যবাদ আপনাকে সবাইকে সচেতন করার চেষ্টার জন্য।

১২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

আরোগ্য বলেছেন: আরে ভাই আমরাও তো মিনিকেট চাল খাই
এখন কি করবো।

১৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

করুণাধারা বলেছেন: নাজিরশাইল ঠিক আছে?

১৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই দেশটার লোকগুলো এত লোভী কল্পনাই করা যায় না। সৎ ভাবে কোন ব্যবসাই করা যায় না...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.