![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী, বিজ্ঞান লেখক ও মার্কিন মহাকাশ প্রকল্পগুলোর পুরোধা ব্যক্তিত্ব কার্ল সাগান। তিনি বিজ্ঞানবিষয়ক টিভি সিরিজ ‘কসমস : আ পারসোনাল ওয়েজ’-এর মাধ্যমেও আন্তর্জাতিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন। এ ছাড়া বিজ্ঞান অনুরাগীদের বৃহৎ সংগঠন ‘দ্য প্ল্যানেটারি সোসাইটি’র একজন সহ-উদ্যোক্তাও ছিলেন।
সাগান ১৯৩৪ সালের ৯ নভেম্বর নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে জন্মগ্রহণ করেন। শিশুকাল থেকেই সাগান বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। রাতের আকাশে বিস্ময় নিয়ে তারা দেখতেন। তারার আলোর উৎস অনুসন্ধানের জন্য ব্যাকুল থাকতেন। ছেলেবেলার এই বোধই তাঁকে জ্যোতির্বিজ্ঞানী হয়ে ওঠার প্রেরণা জোগায়। স্থানীয় একটি লাইব্রেরি তাঁর জ্ঞানের দরজা খুলে দেয়। জানতে পারেন পৃথিবীটা একটা গ্রহ আর সূর্যের চারদিকে এমনই আরো অনেক গ্রহ আবর্তিত হচ্ছে। তখন তিনি ভাবলেন অন্য তারাগুলোরও নিশ্চয়ই এ রকম গ্রহমণ্ডল থাকবে। তাঁর এই চিন্তার বাস্তবায়ন জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারেননি। অতি সাম্প্রতিককালে সূর্য ছাড়াও অন্যান্য তারায় গ্রহমণ্ডল আবিষ্কৃত হচ্ছে। ১৯৫১ সালে সাগান নিউ জার্সির রাহওয়ে হাই স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে ভর্তি হন। এখান থেকে ১৯৫৫ সালে ব্যাচেলরস, ১৯৫৬ সালে মাস্টার্স এবং ১৯৬০ সালে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বিজ্ঞানী এইচ জি মুলারের সঙ্গে কাজ করেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত তিনি ম্যাসাচুসেটসের স্মিথসোনিয়ান অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল মানমন্দিরে কাজ করেন। বিজ্ঞানভিত্তিক সভ্যতা গড়ে তোলার জন্য সাগানের ভেতরে প্রচণ্ড আবেগ ছিল। অনুধাবন করেছিলেন, কোনো একটি সভ্যতায় বেশির ভাগ মানুষের বিজ্ঞানবোধের বিচ্ছিন্নতা কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না, তারা বেশি দূর অগ্রসর হতে পারে না। এ কারণে ধ্বংস হয়েছে আলেক্সান্দ্রিয়া, যার কারণে মানবসভ্যতা এক থেকে দেড় হাজার বছর পিছিয়েছিল। ১৯৮০ সালে তাঁর রচিত ‘কসমস’ বইটি ইংরেজি ভাষায় রচিত সবচেয়ে পঠিত বিজ্ঞান বইগুলোর একটি। বইটি এতই জনপ্রিয় হয়েছিল যে কসমসের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ১৩ পর্বের টিভি সিরিজটি ৬০টি দেশের প্রায় ৫০ কোটি দর্শককে মোহিত করে। এটি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনেও দেখানো হয়েছিল। ১৯৭৮ সালে সাগান পুলিত্জার পুরস্কার পান। ১৯৯৬ সালের ২০ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। মহাকাশ গবেষণায় তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই যে পাথফাইন্ডার মহাকাশযান মঙ্গলে নেমেছিল, তার নামকরণ হয়েছে ‘কার্ল সাগান স্মারককেন্দ্র’।
[উইকিপিডিয়া অবলম্বনে]মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী, বিজ্ঞান লেখক ও মার্কিন মহাকাশ প্রকল্পগুলোর পুরোধা ব্যক্তিত্ব কার্ল সাগান। তিনি বিজ্ঞানবিষয়ক টিভি সিরিজ ‘কসমস : আ পারসোনাল ওয়েজ’-এর মাধ্যমেও আন্তর্জাতিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন। এ ছাড়া বিজ্ঞান অনুরাগীদের বৃহৎ সংগঠন ‘দ্য প্ল্যানেটারি সোসাইটি’র একজন সহ-উদ্যোক্তাও ছিলেন।
সাগান ১৯৩৪ সালের ৯ নভেম্বর নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে জন্মগ্রহণ করেন। শিশুকাল থেকেই সাগান বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। রাতের আকাশে বিস্ময় নিয়ে তারা দেখতেন। তারার আলোর উৎস অনুসন্ধানের জন্য ব্যাকুল থাকতেন। ছেলেবেলার এই বোধই তাঁকে জ্যোতির্বিজ্ঞানী হয়ে ওঠার প্রেরণা জোগায়। স্থানীয় একটি লাইব্রেরি তাঁর জ্ঞানের দরজা খুলে দেয়। জানতে পারেন পৃথিবীটা একটা গ্রহ আর সূর্যের চারদিকে এমনই আরো অনেক গ্রহ আবর্তিত হচ্ছে। তখন তিনি ভাবলেন অন্য তারাগুলোরও নিশ্চয়ই এ রকম গ্রহমণ্ডল থাকবে। তাঁর এই চিন্তার বাস্তবায়ন জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারেননি। অতি সাম্প্রতিককালে সূর্য ছাড়াও অন্যান্য তারায় গ্রহমণ্ডল আবিষ্কৃত হচ্ছে। ১৯৫১ সালে সাগান নিউ জার্সির রাহওয়ে হাই স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে ভর্তি হন। এখান থেকে ১৯৫৫ সালে ব্যাচেলরস, ১৯৫৬ সালে মাস্টার্স এবং ১৯৬০ সালে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বিজ্ঞানী এইচ জি মুলারের সঙ্গে কাজ করেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত তিনি ম্যাসাচুসেটসের স্মিথসোনিয়ান অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল মানমন্দিরে কাজ করেন। বিজ্ঞানভিত্তিক সভ্যতা গড়ে তোলার জন্য সাগানের ভেতরে প্রচণ্ড আবেগ ছিল। অনুধাবন করেছিলেন, কোনো একটি সভ্যতায় বেশির ভাগ মানুষের বিজ্ঞানবোধের বিচ্ছিন্নতা কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না, তারা বেশি দূর অগ্রসর হতে পারে না। এ কারণে ধ্বংস হয়েছে আলেক্সান্দ্রিয়া, যার কারণে মানবসভ্যতা এক থেকে দেড় হাজার বছর পিছিয়েছিল। ১৯৮০ সালে তাঁর রচিত ‘কসমস’ বইটি ইংরেজি ভাষায় রচিত সবচেয়ে পঠিত বিজ্ঞান বইগুলোর একটি। বইটি এতই জনপ্রিয় হয়েছিল যে কসমসের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ১৩ পর্বের টিভি সিরিজটি ৬০টি দেশের প্রায় ৫০ কোটি দর্শককে মোহিত করে। এটি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনেও দেখানো হয়েছিল। ১৯৭৮ সালে সাগান পুলিত্জার পুরস্কার পান। ১৯৯৬ সালের ২০ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। মহাকাশ গবেষণায় তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই যে পাথফাইন্ডার মহাকাশযান মঙ্গলে নেমেছিল, তার নামকরণ হয়েছে ‘কার্ল সাগান স্মারককেন্দ্র’।
[উইকিপিডিয়া অবলম্বনে]
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৩
রেজা এম বলেছেন: ++++++++++
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৩
রেজা এম বলেছেন: ++++++++++
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৫
মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।