নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলায় দেখি স্বপ্ন করি বাংলায় চিৎকার

স্বপ্ন+সমুদ্র

স্বপ্নসমুদ্র

কিছু কিছু বিভ্রান্তি এমন যে আপনি বুঝতেই পারবেন না আপনি এর শিকার। প্রেম এমন ই একটা বিভ্রান্তি। আবার সমুদ্রের নীল ও একই। যখন বুঝবেন তখন আপনি ডুবে গেছেন।

স্বপ্নসমুদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল কুরআনে জাহাজ ও সমুদ্র সম্পর্কিত আয়াতগুলো

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৫



সূরা ইব্রাহীম (১৪), আয়াত ৩২

اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَأَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجَ بِهِ مِنَ الثَّمَرَاتِ رِزْقًا لَكُمْ ۖ وَسَخَّرَ لَكُمُ الْفُلْكَ لِتَجْرِيَ فِي الْبَحْرِ بِأَمْرِهِ ۖ وَسَخَّرَ لَكُمُ الْأَنْهَارَ

তিনিই আল্লাহ যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, যিনি আকাশ হতে পানি বর্ষণ করে তার দ্বারা তোমাদের জীবিকার জন্য ফল মূল উৎপাদন করেন, যিনি নৌযানকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তাঁর হুকুমে তা সমুদ্রে বিচরন করে এবং যিনি তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন নদীসমূহকে।





সূরা হজ্জ (২২), আয়াত ৬৫

أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ سَخَّرَ لَكُمْ مَا فِي الْأَرْضِ وَالْفُلْكَ تَجْرِي فِي الْبَحْرِ بِأَمْرِهِ وَيُمْسِكُ السَّمَاءَ أَنْ تَقَعَ عَلَى الْأَرْضِ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ بِالنَّاسِ لَرَءُوفٌ رَحِيمٌ

তুমি কি লক্ষ্য করনি যে, আল্লাহ তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন পৃথিবীতে যা কিছু আছে তৎসমুদয়কে এবং তাঁর নির্দেশে সমুদ্রে বিচরণশীল নৌযানসমূহকে এবং তিনিই আকাশকে স্থির রাখেন যাতে ওটা পতিত না হয় পৃথিবীর উপর তাঁর অনুমতি ছাড়া। আল্লাহ নিশ্চয়ই মানুষের প্রতি স্নেহশীল, পরম দয়ালু।





সূরা আর-রুম (৩০), আয়াত ৪৬

وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ يُرْسِلَ الرِّيَاحَ مُبَشِّرَاتٍ وَلِيُذِيقَكُمْ مِنْ رَحْمَتِهِ وَلِتَجْرِيَ الْفُلْكُ بِأَمْرِهِ وَلِتَبْتَغُوا مِنْ فَضْلِهِ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُون

তাঁর নিদর্শনাবলীর একটি এই যে, তিনি সুসংবাদবাহী বায়ু প্রেরন করেন তোমাদেরকে তাঁর অনুগ্রহ আস্বাদন করাবার জন্য এবং যেন তাঁর নির্দেশে নৌযানগুলো বিচরণ করে, যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পারো ও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হও।





সূরা জাসিয়া (৪৫), আয়াত ১২

اللَّهُ الَّذِي سَخَّرَ لَكُمُ الْبَحْرَ لِتَجْرِيَ الْفُلْكُ فِيهِ بِأَمْرِهِ وَلِتَبْتَغُوا مِنْ فَضْلِهِ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

একমাত্র আল্লাহই তো তোমাদের জন্য সমুদ্রকে নিয়োজিত করেছেন, যাতে তাঁর আদেশে তাতে নৌযানসমূহ চলাচল করতে পারে এবং যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ অনুসন্ধান করতে পারো ও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হও।





সূরা আর রাহমান (৫৫), আয়াত ২৪,২৫

وَلَهُ الْجَوَارِ الْمُنْشَآتُ فِي الْبَحْرِ كَالْأَعْلَامِ

فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ

সমুদ্রে বিচরণশীল পর্বত সম জাহাজসমূহ তাঁরই নিয়ন্ত্রণাধীন। সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমার প্রতিপালকের কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে।







সূরা আস শুরা (৪২), আয়াত ৩২

وَمِنْ آيَاتِهِ الْجَوَارِ فِي الْبَحْرِ كَالْأَعْلَامِ

তাঁর মহা নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত হল সমুদ্রে চলমান পর্বত সদৃশ নৌযানসমূহ







সূরা লোক্কমান (৩১), আয়াত ৩১

أَلَمْ تَرَ أَنَّ الْفُلْكَ تَجْرِي فِي الْبَحْرِ بِنِعْمَتِ اللَّهِ لِيُرِيَكُمْ مِنْ آيَاتِهِ ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِكُلِّ صَبَّارٍ شَكُورٍ

তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহর অনুগ্রহে নৌযানগুলো সমুদ্রে চলাচল করে, যার দ্বারা তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলীর কিছু প্রদর্শন করেন? এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞ ব্যাক্তির জন্য।





সূরা আন নাহল (১৬), আয়াত ১৪

وَهُوَ الَّذِي سَخَّرَ الْبَحْرَ لِتَأْكُلُوا مِنْهُ لَحْمًا طَرِيًّا وَتَسْتَخْرِجُوا مِنْهُ حِلْيَةً تَلْبَسُونَهَا وَتَرَى الْفُلْكَ مَوَاخِرَ فِيهِ وَلِتَبْتَغُوا مِنْ فَضْلِهِ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

তিনিই সমুদ্রকে অধীন করেছেন যাতে তোমরা তা হতে তাজা মৎস্যাহার করতে পারো এবং যাতে তা হতে আহরন করতে পারো রত্নাবলী যা তোমরা অলংকার রুপে পরিধান কর এবং তোমরা দেখতে পাও, এর বুক চিরে নৌযান চলাচল করে এবং তা এজন্য যে, তোমরা যেন তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পারো এবং তোমরা যেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।





সূরা ফাতির (৩৫), আয়াত ১২

وَهُوَ الَّذِي سَخَّرَ الْبَحْرَ لِتَأْكُلُوا مِنْهُ لَحْمًا طَرِيًّا وَتَسْتَخْرِجُوا مِنْهُ حِلْيَةً تَلْبَسُونَهَا وَتَرَى الْفُلْكَ مَوَاخِرَ فِيهِ وَلِتَبْتَغُوا مِنْ فَضْلِهِ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

দুটি সমুদ্র একরূপ নয়- একটির পানি সুমিষ্ট ও সুপেয়, অপরটির পানি লোনা, খর। প্রত্যেকটি হতে তোমরা তাজা গোস্ত (মাছ) এবং অলংকার আহরন কর যা তোমরা পরিধান কর এবং তোমরা দেখতে পাও, এর বুক চিরে নৌযান চলাচল করে এবং তা এজন্য যে, তোমরা যেন তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পারো এবং তোমরা যেন কৃতজ্ঞ হও।





সূরা বাক্কারা (২), আয়াত ১৬৪

إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَالْفُلْكِ الَّتِي تَجْرِي فِي الْبَحْرِ بِمَا يَنْفَعُ النَّاسَ وَمَا أَنْزَلَ اللَّهُ مِنَ السَّمَاءِ مِنْ مَاءٍ فَأَحْيَا بِهِ الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَبَثَّ فِيهَا مِنْ كُلِّ دَابَّةٍ وَتَصْرِيفِ الرِّيَاحِ وَالسَّحَابِ الْمُسَخَّرِ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يَعْقِلُونَ

নিশ্চয়ই আসমান ও জমিন সৃষ্টিতে, দিন ও রাতের পরিবর্তনে, জাহাজ সমূহের চলাচলে- যা মানুষের লাভজনক সম্ভার নিয়ে সমুদ্রে চলাচল করে, আল্লাহ আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষণ দ্বারা পৃথিবীকে মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন, তাতে প্রত্যেক জীবজন্তুর বিস্তার করেন। বায়ুরাশির গতি পরিবর্তনে এবং আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যস্থ নিয়ন্ত্রিত মেঘমালায় সত্য জ্ঞানবান সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন রয়েছে।





সূরা ইউনুস (১০), আয়াত ২২

هُوَ الَّذِي يُسَيِّرُكُمْ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ ۖ حَتَّىٰ إِذَا كُنْتُمْ فِي الْفُلْكِ وَجَرَيْنَ بِهِمْ بِرِيحٍ طَيِّبَةٍ وَفَرِحُوا بِهَا جَاءَتْهَا رِيحٌ عَاصِفٌ وَجَاءَهُمُ الْمَوْجُ مِنْ كُلِّ مَكَانٍ وَظَنُّوا أَنَّهُمْ أُحِيطَ بِهِمْ ۙ دَعَوُا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ لَئِنْ أَنْجَيْتَنَا مِنْ هَٰذِهِ لَنَكُونَنَّ مِنَ الشَّاكِرِينَ

তিনি এমন যিনি তোমাদেরকে স্থলভাগে এবং জলভাগে পরিভ্রমন করান; এমনকি যখন তোমরা জাহাজে অবস্থান কর আর সেই জাহাজ গুলো লোকদের নিয়ে অনুকুল বায়ুর সাহায্যে চলতে থাকে আর তাতে তারা আনন্দিত হয়। হঠাৎ তাদের উপর এক প্রচণ্ড প্রতিকূল বায়ু এসে পড়ে এবং প্রত্যেক দিক হতে তাদের উপর তরঙ্গমালা ধেয়ে আসে, আর তারা মনে করে যে তারা বিপদে বেষ্টিত হয়ে পড়েছে। তখন সকলেই খাঁটি বিশ্বাসের সাথে আল্লাহকেই ডাকতে থাকে হে আল্লাহ! যদি আপনি আমাদেরকে এই দুর্যোগ হতে রক্ষা করেন তবে আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞ হয়ে যাবো।





আমার কথাঃ আয়াত গুলো দেখে মেরিনার হিসেবে খুব ভাল লাগছে। আর অবশ্যই সমুদ্র সহ সব কিছুই আল্লাহর নিয়ন্ত্রনে। গভীর সমুদ্রে হাজার হাজার টনের পাহাড় সমান জাহাজ তার হাজার হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন নিয়েও যখন প্রচণ্ড ঝড়ের মুখে কাগজের নৌকার মত ভাসতে থাকে তখন একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউই তাদের নিরাপদে বের করে আনতে পারে না। তিনিই সবচে সুদক্ষ অধিনায়ক আর সব সুপ্রিম কমান্ড তাঁরই।



ছবিঃ অধিকাংশই ইন্টারনেটে পাওয়া। কিছু আমার তোলা।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৭

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ++++++++


ঈদের শুভেচ্ছা রইল।

:)

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৯

স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: ঈদ মুবারক ভাই। শুভেচ্ছার সাথে দাওয়াত ও রইল। ধন্যবাদ।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৭

সমুদ্র_বাংলা বলেছেন: ভাল লাগল ,স্যার । ঈদের শুভেচ্ছা রইল

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৪

স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: ঈদ তো শেষ। তোমাকেও। কোন ব্যাচ?

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

সমুদ্র_বাংলা বলেছেন: ৪৯ ব্যাচ, আপনি কত তম ব্যাচ স্যার?

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: ৪৫

৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২৪

আকরাম বলেছেন: [img|http://cms.somewhereinblog.net/ciu/image/153549/small/?token_id=d0dc0bbf2111e818ba1384ea7800cee1
সুইডেনের ক্রুইজশীপ "ভিকিং সিনড্রেলা"।

৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২৪

আকরাম বলেছেন:

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৯

স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: দেখলাম ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.