নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে
২০০৩ সালের কথা। ফেনী মহিপালে রাস্তার পাশে এক পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষা করত। সেদিন মুজাহিদের ফেনীতে জনসভা ছিল। মুজাহিদের গাড়ি থামলে। মুজাহিদের চোখ পড়ে সে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষুকের উপর্। কি মনে করে স্থানীয় নেতাদের মুজাহিদ জিজ্ঞেস করে। কে এই লোক? তারা জানায় মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে পঙ্গু হয়েছিল। ভিক্ষা করে পেট চালায়। মুচকি হেসে প্রটোকল সরিয়ে মুজাহিদ নিজে এগিয়ে যায় তার দিকে। পকেট থেকে খুচরা পয়সা বের করে সেই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার থালার দিকে বাড়িয়ে দেয়। সাথে সাথে হাউ মাউ কইরা কাইদা উইঠা সে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা দাড়ানোর চেষ্টা করে। লাঠি ভর দিয়া নাতির কাধের উপর দাড়াইয়া সে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষুক টি মুজাহিদের চোখে চোখ রাইখা বলে - কুত্তার বাচ্চা না খাইয়া মইরা যামু। কিন্তু কোন রাজাকারের থেইকা ভিক্ষা নিমুনা।
সেদিন হাউ মাউ কইরা কাইদা কপাল চাপরাইয়া সে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা সারাদিন বিলাপ করছিল - দেশ স্বাধীন কইরা আমি এখন ভিক্ষা করি ,আর রাজাকারের গাড়িতে সে দেশের পতাকা কেন?
ওই ঘটনার পর থেকে সে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা কে আর ভিক্ষা করতে দেখা যায়নি। শোনা গেছে ২০০৬ সালে সে মৃত্যুবরণ করেছে। মৃত্যুর সময় সে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার বুকে স্বজাতির প্রতি এক পৃথিবী অভিমান ছিল....।
২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১
AnirbanIslam বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মা গো ভাত দাও বলেছেন: তখন আপনি কই ছিলেন?
৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: স্যালুট সেই নাম না জানা মুক্তিযোদ্ধাকে !!
৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮
কল্লোল পথিক বলেছেন: গাজাখুরি কাহিনী
৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেক মুক্তিযোদ্ধাই হতদরিদ্র জীবনজাপন করে, অনেকে ভিক্ষা করতো।
খুনি জল্লাদ ও কুখ্যাত রাজাকার মোজাহিদ কে মন্ত্রী করা হয়েছিল। ৫ বছর পতাকাওয়ালা গাড়ী হাকিয়ে বেরিয়েছে।
যারা এসবকে গাজাখুরি কাহিনী বলে তারা নিশ্চিতই ছাগু।
৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬
অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: @কল্লোল পথিক আপনার মতো মানুষের কাছে এসব গাজাখুরি কাহিনী মনে হবে। কারণ আপনি পাকিস্তানী উৎকৃষ্ট মানের গাজা খেয়ে বড় হয়েছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০
সাধারণ আমি আমার বলেছেন: তাদের প্রজন্ম হয়ে আমরা বোধহয় কুলাঙ্গার হয়ে গেছি। মুক্তিযুদ্ধা দের আমরা কখনই সন্মান দিতে পারি নি আর পারবো বলে মনে হচ্ছে না। সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ।