নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে
একবার নয়, দুইবার সচেতন করা হয়েছিলো শেখ মুজিবকে। বলা হয়েছিলো রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের বিষয়ে। ভারতীয় গোয়েন্দারা প্রকাশ করেছিলো সেই সন্দেহ। কিন্তু সব সতর্কতা এক ঝটকায় উড়িয়ে দিয়ে শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘এরা আমার নিজের সন্তান, আমার ক্ষতি ওরা কখনোই করবে না।’
অশোকা রাইনার লেখা ‘ইনসাইড র’ বইয়ের সূত্রে বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকীতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতের 'দ্যা ইকনোমিক টাইমস'।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই নির্মম দিনের প্রায় ৭ মাস আগে ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র) কর্মকর্তা জাতির জনকের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে সতর্ক করেন। ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে ভারতের এক্সটারনাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রতিষ্ঠাতা রামেশ্বর নাথ কাও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অনুমতি নিয়ে মুজিবের সঙ্গে দেখা করেন।
অশোকা রাইনা তার ‘ইনসাইড আর অ্যান্ড এ ডব্লিউ’ বইয়ে লিখেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান এক ঝটকায় সব আশঙ্কা উড়িয়ে দেন। কাও তার সঙ্গে বিতর্ক করেননি, কিন্তু মুজিবকে জানান, ভারতীয় তথ্য নির্ভরযোগ্য এবং তিনি হত্যাকারীদের পটভূমির বিস্তারিত পাঠাবেন।
১৯৭৫ সালের মার্চেও একজন 'র' কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছিলো। যেসব চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা এবং ইউনিট সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছিলো, তাদের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিলো।
কিন্তু, আবারো তিনি (বঙ্গবন্ধু) গোয়েন্দা তথ্যের বিষয়টি মেনে নিয়ে প্রণোদিত হলেন না, এমনটাই লেখা হয়েছে বইটিতে।
পরে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে গোটা বিশেক সেনা কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন। আর বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় মেজর রশিদের টু ফিল্ড আর্টিলারি এবং মেজর ফারুকের ফার্স্ট বেঙ্গল ল্যান্সার।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১
নিজাম বলেছেন: ভারতীয় সংস্থা তিনবার সতর্ক করেছিল। শেষবার বঙ্গবন্ধুকে বাগানে বেড়াতে যাওয়ার ছলে বঙ্গভবনের বারান্দায় সতর্ক করা হয়েছিল। এমনকি বঙ্গবন্ধুর সামরিক কর্মকর্তা সাফায়াত জামিল তাঁকে শুধুমাত্র ১৪ই আগস্ট রাতে বঙ্গভবনে রাত্রি যাপনের অনুরোধ করেছিলেন। তিঁনি জাতির প্রতি গভীর ভালবাসা থেকে বিশ্বাস করতেন এদেশের মানুষ কখনও তাঁকে হত্যা করতে পারে না।
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮
অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: বাঙ্গালি জাতির কিছু কুসন্তানের জন্যই আমরা আমাদের ইতিহাসের সেরা মানুষটিকে হারিয়ে। এদের যদি ১০ বার করে ফাসি দেওয়া যেত তবে শান্তি পেতাম.......।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২
ডা: এনামুল বলেছেন: তার সন্তানদের অনেকেই নাকি আলহামদুলিল্লাহ বলেছিলো ?