নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে

অদৃশ্য যোদ্ধা

সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে

অদৃশ্য যোদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন পাগল “গয়েশ্বর চন্দ্র”

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

“৩০ লাখ শহীদের নাম প্রকাশ করুন: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়"

অবাক হওয়ার কিছুই নয়, কাল সে একথা বলেছে অার কিছুদিন পর বলবে শহীদদের বাবা, দাদা ও চোদ্দগোষ্ঠীর নাম প্রকাশ করুন। যদি অাল্লাহ অারও ২০/৩০ বছর দুনিয়ায় রাখে তবে এদের মুখ থেকেই শুনতে পারবেন-"৭১ এ কোন গনহত্যা হয়েছে বলে অামার মনে হয় না। সবই কল্পকাহিনী "।

অাসলে কি বলবো এসব নির্বোধ পাকি ভক্তদের?? শহীদদের ৩০ লক্ষ সংখ্যা নিয়ে তাদের হঠাৎ জ্বলা শুরু করলো কেন? দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই ৩০ লক্ষ শহীদই সব সরকার বলে এসেছে। এমনি তাদের সরকারও যখন ক্ষমতায় ছিলো তখনও তারা মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ৩০ লক্ষই বলতো। হঠাৎ ২০১৬ তে এসে তাদের কেন এই সংখ্যাটা মেনে নিতে সমস্যা দেখা দিলো??? তাদের পাকি প্রভুদের মন খুশি করার জন্য??? অাজ গয়েস্বর রায় বাবু শহীদদের নাম চান? ভারতে শরনার্থী শিবিরে ৮ লক্ষ শিশুর উপরে মারা গেছে অপুষ্টিতে। তাকে এই ৮ লক্ষ শিশুর নাম বলতে বলেন। বিভিন্ন বধ্যভূমি থেকে লক্ষ লক্ষ চোখ, লক্ষ লক্ষ মানুষের মাথার খুলি পাওয়া গেছে। হত্যার পর লক্ষ লক্ষ লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে, কুয়াতে ফেলা হয়েছে, গর্ত করে পুতে রাখা হয়েছে। এসব লক্ষ কোটি শহীদদের নাম গয়স্বর বাবু সহ খালেদাকে বলে দিতে বলেন সরকার নয় অামি জরিপ করে নাম দিবো অাপনাদের।

খালেদা বলে-"৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যা নিয়েও বিতর্ক অাছে।" বিতর্কটা করতো কে? এদেশে গণহত্যা হয়েছে, এত লক্ষ লোক হত্যা হয়েছে এসব অস্বীকার করতো কে? পাকিস্তান এবং তাদের এদেশের দোসর রাজাকারর অাল-বদররা। তাহলে তাদের সাথে গলা মিলিয়ে তিনিও কি দেশবিরোধী বক্তব্য দিলেন না???

বলে রাখি, সেই সময়ে বিখ্যাত সব পত্রিকায় ৩০ লক্ষ সংখ্যাটা এমনি এমনি লেখা হয়নি। তারা একটা জরিপ করেই লিখেছে। তাহলে এই সংখ্যাটা মেনে নিতে বিএনপির কেন এত ভয়?? পাকি প্রভুরা মনঃক্ষুণ্ণ হবে তাই????

এসব কুলাঙ্গারদের বলে রাখি এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী বক্তব্য দিয়ে দেওলীয়ার পথে অারও এগিয়ে বিএনপি। এই সোনার বাংলায় থাকতে হলে, রাজনীতি করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ৩০ শহীদের সংখ্যা মেনে নিয়েই রাজনীতি করতে হবে। নয়তো ঘাড় ধরে পাকিস্তান পাঠানো হবে।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: ঘাড় ধরে পাকিস্তান পাঠানো হবে। গয়েশ্বরের জায়গা তো পাকিস্তানে হইব না। ক্যামনে কি?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: যেভাবে পাকি প্রেম দেখাচ্ছে, এতে মুসলমান হওয়া লাগবে না। আগা কেটে দিলেই ভাই ভাই বলে বুকে টেনে নিবে।

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০০

হাসান নাঈম বলেছেন: "এই সোনার বাংলায় থাকতে হলে, রাজনীতি করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ৩০ শহীদের সংখ্যা মেনে নিয়েই রাজনীতি করতে হবে। নয়তো ঘাড় ধরে পাকিস্তান পাঠানো হবে"

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে কি - আওয়ামী চেতনা?
এত ঘুরিয়ে পেচিয়ে না বলে সরাসরি বলেদিলেইতো হয় যে এ'দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া কাউকে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না।

ইহুদীরা হলোকাস্টের ঘটনা অতিরঞ্জিত করে ৬০ লাখ ইহুদী হত্যার কথা প্রচার করেছিল। যখন তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পক্ষ থেকে সমালোচনা শুরু হয় তখন তারা ইউরোপের অনেকগুলি দেশে আইন করে যে ৬০ লাখের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করলেই স্বাস্তি দেয়া হবে।

এখন দেখা যাচ্ছে আওয়ামী চেতনার মধ্যে সেই ইহুদীবাদী কর্তৃত্বপরায়নতা ঢুকে গেছে। তারাও এখন চাইছে আইন করে মানুষের মুখ বন্ধ করতে। মানুষকে দেশ থেকে বের করে দিয়ে বা আইন করে যা টেকাতে হয় তা কি কখনও সত্যি হতে পারে? যদি তারা মাথ্যাই বলে থাকে বলুক না - মিথ্যার ভয়ে এত ভীত হওয়ার বা ক্ষিপ্ত হওয়ার কী আছে? না কি কোন গোমর ফাঁস হওয়ার আতঙ্কে এই প্রতিকৃয়া।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: এতদিন তাদের এই সংখ্যা মেনে নিতে কোন অসুবিধা ছিলো না। যখন পাকিস্তান গণহত্যার দায় অস্বীকার করলো তখনই কেন শহীদের সংখ্যা নিয়ে এত সংশয়। তারা যখন ক্ষমতায় ছিলো তখনও তো কখনো এই সংখ্যার সংশয় শোনা গেলো না। স্বাধীনতার এত বছর পর হঠাৎ তাদের কেন এই ৩০ লক্ষ মেনে নিতে কষ্ট হয়??? এদেশেই বাস করবে আর শহীদদের বুদ্ধীজীবিদের অপমান করবে এটা হতে পারে না। আর এখানে মুক্তিযুদ্ধা লীগের একার সম্পত্তি না। মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত না করে মুক্তিযুদ্ধের সকল আত্নত্যাগ স্বীকার করার কথাই বলা হয়েছে। ইউরোপের ন্যায় এখানো হলোকাষ্ট লয়ের মতো আইন করা উচিত। মুখে যা আসবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাই বলতে পারবে না।

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

দুর্দান্ত কাফেলা বলেছেন: http://www.bbc.com/news/world-asia-16207201 - সবার সত্য জানার অধিকার আছে

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: এতদিন যেটা ছিলো সেটা কি মিথ্যা ছিলো? থাকলে প্রমাণ দেখাক। যারা মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করবে তারা শুধু নামক কেন? চৌদ্দ গোষ্ঠীর নাম প্রকাশ করলেও বলবে এসব বানানো।

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

ফাহিম শিশির বলেছেন: প্রকাশ করতে সমস্যা কোথায়? সত্য হয়ে থাকলে

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: ৩০ লক্ষ সংখ্যার পক্ষে হাজার হাজার প্রমাণ দেওয়ার পরও তারা এই সংখ্যাটা বিশ্বাস করে না। ৩০ লক্ষের নাম প্রকাশ করলেই এরা বিশ্বাস করবে আপনি সিউর কিভাবে? এদের কাজই মুক্তিযুদ্ধকে কৌশলে অস্বীকার করা।

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


তাকে বাংলা ছাড়তে হবে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: শুধু তাকে নয়, তার সব চেলাদের নিয়েই বাংলা ছাড়তে হবে।

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সব পাকী বীর্যরা একদিন বাংলা ছেড়ে পালাবে

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

হাসান নাঈম বলেছেন: "ইউরোপের ন্যায় এখানো হলোকাষ্ট লয়ের মতো আইন করা উচিত।"

সেই শিরাজ সিকদার থেকে শুরু করে একে একে বহু মানুষই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আওয়ামী মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন।
কাজেই, আওয়ামী লীগের পক্ষে ইহুদীদের অনুসরণ করা ছাড়া নিজেদের চেতনা টিকিয়ে রাখার আর কোন উপায় নাই।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: আপনি যেভাবে লিখতেছেন মনে হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ লীগের একার? আওয়ামী লিগ ৩০ লক্ষ বলে এতবছর মিথ্যাচার করলো তখন খালেদা, রায় বাবুরা কোন ইদুরের গর্তে ছিলো? তিনবার ক্ষমতায় এসেও কেন ভললো না শহীদ ৩০ লক্ষ নয়???? এতদিন ইদুরের গর্ত থেকে কেন বের হয়েছে তা সবাই বুঝতেই পেরেছে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টায় লাভ নেই। আপনাদের স্বাধীনতার পাঠক জিয়াউর রহমানও মুক্তিযুদ্ধের পর বিভিন্ন পত্রিকায় নিজের লেখা প্রকাশ করেছিলো। সেখানেও কেন তিনি শহীদ ৩০ লক্ষ উল্লেখ করেছিলেন?? সত্য তখন থেকেই সত্য। সত্যকে কিছু ইদুরের চেচানোর জন্য মিথ্যা হবে না।

৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯

হাসান নাঈম বলেছেন: আওয়ামী লীগই মুক্তিযুদ্ধকে তাদের সম্পত্তি বানিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধে অন্য সবার অবদান অস্বীকার করেছে।
সংসদে দাড়িয়ে আওয়ামী নেতারা যখন জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের এজেন্ট বলে তখন আপনারা কোথায় থাকেন?

যারা মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস ভারতে পালিয়ে ছিল, পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর পাহারায় নিরাপদে ছিল, এমনকি পাকিস্তানী সামরিক হাসপাতালে যাদের পরবর্তী নেতৃত্বের জন্ম হয়েছে - তারাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিয়ত অপমান করছে - আর তারাই আওয়ামী চেতনার মুল ধারক।

ভুল সব সময়ই ভুল। আগে ধরে নাই বলে যে এখন ধরা যাবে না এটা কেমন কথা? আর ৩০ লাখ নিয়ে কোন কথা বল্লেই আপনারা এত ক্ষেপে ওঠেন কেন? পিতার ইংরেজী জ্ঞানের অভাব প্রমানিত হয়ে যাবে এই ভয়ে?

একটা বিষয় আমি কিছুতেই বুঝি না - সারাদিন যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জিকির করে, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধকে ব্যাবহার করে - তারাই কেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরীর কথা শুনলে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে? কি আশ্চর্য? যদি সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকে তাহলে তো এই মহান কাজে স্বউদ্যোগে ঝাপিয়ে পরার কথা - তাই না? আপনাদের এই জ্বলুনি দেখেই কি বুঝা যায় না যে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আপনাদের আসল মনভাবটা কেমন?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: এতক্ষণে বুঝতে পারলাম কোন পাতা খেয়ে ব্রেন ওয়াশ হয়েছে। যার জন্য পাকিদের একটা দেশের অংশ শেষ হয়ে যাচ্ছে তাকে পাকিস্থানে নিয়ে আদর জন্য করবে???? হা হা হা। ছাগুদের লজিক শুনলে না হেসে পারা যায় না। এদের মাথায় যে গোবর ছাড়া কিছুই নেই তা প্রমাণ আবার হলো। রবার্ট পেইনের নাম শুনে থাকলে তার “পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধু” বইটা পইড়েন। নাকি বলবেন সে আওয়ামী লীগ করে?? ৩০ লক্ষ শহীদকে অপমান করলে যারা ক্ষেপে উঠবে না তাদের পিতা যে গোলাম আজম এটা পরিষ্কার হয়ে যায়। ৩০ লক্ষ সংখ্যাটাই যারা বিশ্বাস করে না, তালিকা তৈরি করলে যদি দেখে যে শহীদের সংখ্যা ৩০ লক্ষ কিংবা বেশী তখন আপনারা বলবেন এটা ঠিক হয়নি । হিসাব পুরো ভূল। পৃথিবীর কোন কোন গণহত্যার তালিকা আছে দেখান??? এত বছর শহীদদের সংক্যা ৩০ লক্ষ মেনে আসতে সমস্যা হলো না। এখন মানতে সমস্যা হয় কেন??? পাকি বাবারা অসন্তুষ্ট হবে বলে??

৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সৌরভ০৮ বলেছেন: তিনবার ক্ষমতায় এসেও কেন ভললো না শহীদ ৩০ লক্ষ নয়????
ভাই, অাওয়ামিলিগ ও তো ক্ষমতায় ছিলো আগে, তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কেনো করলোনা। এবার কেনো তাদের মনে হলো বিচার করা দরকার?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: একটা বিচার কার‌্যক্রম শুরু করা কেমন সময় লাগে আর মুখ দিয়ে একটা কথা বলতে কেমন সময় লাগে এই জ্ঞান থাকলে এই কথা বলতেন না।

১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৯

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: তালিকার কথা বিচার শুরু হলেই আসবে। প্রতিটি ইউনিয়নে কত জন শহীদ হয়েছে, আর কতটা রাজাকার ছিল, তার কি কোন হিসাব আছে? এখন শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করা হয়। এরচেয়ে বেশি সহায়তা প্রয়োজন ছিল শহীদ পরিবারগুলোর। যতটুকু জানি, ঢাকার আর এই মাপের কিছু শহর বাদের অন্য কোথাও কোন শহীদ পরিবার কোন সহায়তা পান নাই। এইগুলো ইতিহাসের সত্য ঘটনা। আরো দুঃখের কথা হল, কিছু শহীদ পরিবারকে ভাঙাচোরা বাড়ি দেওয়া হয়েছিল থাকার জন্য, যেগুলো থেকে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল ১৯৭৩-৭৪ সালেই। এমন একটা ঘটনা ঘটে হুমায়ুন আহমেদের পরিবারের ক্ষেত্রে। কেউ তো তা অস্বীকার করতে পারবে না।

এখন প্রতি বছর মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করা হয়। কিন্তু বীরশ্রেষ্ঠ বা তেমন খেতাব পাওয়া শহীদ পরিবার ছাড়া আর কোন পরিবার কি কোন সরকারী সহায়তা পায়? পেয়ে থাকলে সেই তালিকা প্রকাশ করুন। তালিকা চেয়ে যদি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়, তা হলে এই দেশে ইতিহাস চর্চাই বন্ধ করে দিতে হবে। কেননা ১৯৭৩-১৯৭৫ সালের মেয়াদের রক্ষী বাহিনীর কেচ্ছা বয়ান করলে তো মানবতা বিরোধী আখ্যা পেতে হতে পারে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: ভালো খারাপ সবার মধ্যেই আছে। শহীদদের অনেক পরিবার সহায়তা পেয়েছে আবার অনেকে পায়নি। অনেক ভুয়া মুক্তিযুদ্ধাও আছে । লীগেরা যা করে সবই যে ঠিক তা না। মুক্তিযুদ্ধাদের যাদের সহায়তা দিচ্ছে না, যারা মানবেতর জীবনযাপন করছে , সবাই এসব নিয়ে কথা বলুক। শহীদ পরিবারকে সহায়তা করার জন্য সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করুক। তা না করে ৩০ লক্ষ শহীদ বললেই চুলকানি কোথা থেকে আসে?? এই দেশে রাজনীতি করতে হলে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কিছু করে বা বলে সুবিধা করতে পারবে না। কারণ বাঙ্গালীর সবচেয়ে গর্বে জায়গা, সবচেয়ে আবেগের জায়গা হলো এই মুক্তিযুদ্ধ। জন্ম ভূলে কেউ ভালো কিছু হতে পারেনি বা করতে পারেনি। তাই সবাইকে স্বাধীনতার ফিল্ডারের মধ্যে এসেই রাজনীতি করতে হবে।

১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫১

কলাবাগান১ বলেছেন: "৩০ লক্ষ শহীদকে অপমান করলে যারা ক্ষেপে উঠবে না তাদের পিতা যে গোলাম আজম এটা পরিষ্কার হয়ে যায়। "
স হমত

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

১২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১১

হাসান নাঈম বলেছেন: মিথ্যা চির কালই মিথ্যা - যদিও একটা সুত্র আছে, কোন মিথ্যা একশ বার বল্লে তা সত্যি হয়ে যায় - কিন্তু বাস্তবে তা কখনই হয় না।

পাগলকে পাগল বল্লে ক্ষেপে যায় - ভাল মানুষকে পাগল বল্লে হেসে উড়িয়ে দেয়।
জিয়াকে সংসদে 'পাকিস্তানের এজেন্ট' বল্লেও কোন মিছিল হয় না, কার বাড়ি ঘেরাও হয় না - কারণ সবাই জানে এটা মিথ্যা। এই মিথ্যা দিয়ে জিয়ার অপমান করা সম্ভব না।

অথচ পিতার বলা একটা ভুল সংখ্যার ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করলেই এক শ্রেনীর মানুষ ক্ষেপে ওঠে - কারণ কি? মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সম্মান জানানোর উপায় কি একটা ভুল সংখ্যা আকড়ে থাকা? কোনটা বেশী প্রয়োজন পিতার ভুল কে সঠিক প্রমান করা না কি শহীদদের নাম ঠিকানার তালিকা সংরক্ষণ করা?

কোন গনহত্যার পুর্ণাঙ্গ তালিকা নাই - এটা যেমন সত্য, তেমনি একমাত্র মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া কোন গনহত্যার কোন তালিকাই নাই, কোন ক্ষতিপুরণই দেয়া হয় নাই - এটাও বিশ্বে বিড়ল। ইহুদীরা হলোকাস্টের ৬০ লাখ সংখ্যা প্রচার করলেও অন্তত ৩-৪ লাখের নাম ঠিকানা সংরক্ষিত আছে এবং তাদের ক্ষতিপুরণও দেয়া হয়েছে। অথচ এক শ্রেণীর মানুষ তাদের পিতার প্রতি এতই অন্ধ ভক্ত যে তার একটা ভুল প্রমানিত হয়ে যাবে এই ভয়ে শহীদ পরিবারের তালিকা বানিয়ে ক্ষতিপুরণও দিতে রাজি নয়!!

বার বার কেবল একটা কথা বলা হয় যে আগে কেন এই প্রশ্ন তোলা হয় নি? ধরুন কোন চোর যদি দশ বছর ধরে চুরি করার পর একবার বিচারের সম্মুখিন হয় আর যুক্তি দেয় যে - 'হে বিচারক আমিতো দশ বছর ধরে চুরি করছি, আপনিও দশ বছর ধরে বিচারকের আসনে আছেন, এতদিন যখন আমাকে ধরেন নাই তাহলে এখন কেন বিচার করছেন?' তখন এই কথাটা কেমন শোনাবে?

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: মনে করুণ আপনার এলাকায় একজনের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। সেখানে চেনা অচেনা কিছু লোক অংশগ্রহণ করেছে। সেখানে মিটিং এ কেউ আপনাকে বললো যে আপনার ছেলেও এই ডাকাতিতে ছিলো। তখন আপনি কি করবেন??? আপনি জানেন আপনার ছেলে ডাকাতি করেনি। তাহলে কি চুপ করে বসে থাকবেন? নাকি প্রতিবাদ করে প্রমাণ দেখাবেন যে আপনার ছেলে নির্দোষ?? যদি অভিযোগের পরও নীরব থাকেন তবে সবাই ধরে নিবে আসলেই আপনার ছেলে আপরাধ করেছে। কারণ নীরবতাই সম্মতির লক্ষণ। এখানে জিয়াকে অপমান করলেও প্রতিবাদ না করলে সেই গল্পের মতই শুনাবে। আর আপনারা কথায় কথায় শুধু বলেন ৩০ লক্ষ শহীদ বলা বঙ্গবন্ধুর ভূল ছিলো। তাহলে সঠিকটা কি ??? সঠিক উত্তর যদি জানেনই তবে জরিপ করার কথাই কেন বলছেন?? সঠিক উত্তর না জানলে কেউ ভূল উত্তর দিছে সেটাই কেমনে বুঝলেন?? আর বঙ্গবন্ধু তো মূর্খ ছিলেন, কোন দিন স্কুল কলেজে যায় নাই তাই ৩ আর ৩০ এর পার্থক্য বুঝে নাই। তাই না??? তো বঙ্গবন্ধু ৩০ না বলে ৫০ লক্ষ কেন বললো না? কিংবা তারও বেশী কেন বললো না?? ভূল করে ৩০ লক্ষই কেন বললো? বঙ্গবন্ধু লন্ডনে শহীদের সংখ্যাটা বলেছিলন ৮ই জানু ৭২ রে। এর আগে কতজন ভূল করে ৩০ লক্ষ বলেছে সেটার কিছু প্রমাণ আপনাকে দেই--

১। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই ইয়াহিয়া ঘোষণা করেন- “ওদের ৩০ লক্ষ হত্যা করো, বাকীরা আমাদের থাবার মধ্যিই নিঃশেষ হয়ে যাবে” [Robert payne, massacre, the trage of Bangladesh and the phenomenon of mass slaughter throught history, p-50, new york, macmillan, 1971] --এখানে কিন্তু ৩০ লক্ষ। প্রথম ভূলটা ইয়াহিয়া করলো। তাই না???

২। যুদ্ধ শুরু ৩ মাসের মাথায় কে ফোর্সের প্রধান খালেদ মোশারফ কানাডার গ্রানাডা ঠিভিতে এক সাক্ষাৎকারে বলেন-”ইতিমধ্যে ১ মিলিয়ন মারা গেছে এবং এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে ৫ মিলিয়ন পর‌্যন্ত মারা যেতে পারে”-----প্রথম ৩ মাসেই কিন্তু ১ মিলিয়ন। ভূলটা কি খালেদ মোশারফও করেছিলেন???

৩ । মুক্তিযুদ্ধের সময় কবি আসাদ চেীধুরী লিখেন তার বিখ্যাত কবিতা “রিপোর্ট ১৯৭১” সেখানে তিনি বলেন--
”জনাব উথান্ট,
জাতিসংঘ ভবনের মেরামত অনিবার‌্য আজ।
আমাকে দেবেন গুরু, দয়া করে তার ঠিকাদারী?
বিশ্বাস করুণ রক্তমাখা ইটের যোগান
পৃথিবীর সর্বনিম্ন হারে একমাত্র আমি দিতে পারি
যদি চান শিশুর গলিত খুলি, দেওয়ালে দেওয়ালে শিশুদের রক্তের আলপনা
প্লিজ, আমোকে কন্ট্রাক্ট দিন।
১০ লক্ষ মৃতদেহ থেকে
দুর্গন্ধের দুর্বোধ্য জবান শিখে রিপোর্ট লিখছি-পড় পাঠ কর।”-- প্রথম ৩ মাসেই ১০ লক্ষ। কবি আসাদ চৌধুরীও ভূল করেছেন?
আসাদ চৌধুরী যুদ্ধের মাঝামাঝিতে আরেক কবিতা লিখেন-”বারবারা বিডলারকে”। সেখানে লিখেন--
”বিবেকের বোতামগুলো খুলে হৃদয় দিয়ে দেখো,
ওটা একটা জল্লাদের ছবি
পনেরো লক্ষ নিরস্ত্র লোককে সে গলা টিপে হত্যা করেছে
অদ্ভুদ জাদুকরকে দেখো
বিংশ শতাব্দীতে সে কৌশলে, টেনে হিচড়ে মধ্যযুগে নিয়ে যায়।
দেশলাইয়ের বাক্সের মত সহজে ভাঙ্গে
গ্রন্থাগার, উপাপসনালয়, ছাত্রাবাস মানুষের সাধ্যমত ঘরবাড়ি
সাত কোটি মানুষের কাঙ্খিত স্বপ্নের ফুলকে
সে বুট দিয়ে জুতোয় থেতলে দেয়।”---- যুদ্ধের মাঝামাঝিতে ১৫ লক্ষ। এখানে আসাদ চৌধূরী আবারও ভূল করলেন??

৪। মুক্তিযুদ্ধাদের উদ্ধপ্ত করতে স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে আকতার মুকুল পাঠ করেন ”চরমপত্র” । সেই চরমপত্রের শেষ সংখ্যঅ ১৬ই ডিসেম্বরে লিখেন- “২৫ শা মার্চ তারিখে সেনাপাতি ইয়াহিয়া খান বাঙ্গালিগো বেশুমার মার্ডার করনের অর্ডার দিয়া কি চোটপাট। জেনারেল টিক্কা খান সেই অর্ডার পাইয়া ৩০ লাখ বাঙ্গালির খুন দিয়া গোসল করলো। তারপর বাঙ্গাল মুলুকের খান খন্দক, দরিয়া পাহাড়, গেরাম বন্দরের মধ্যে তৈরি করলো বিচ্ছু।”---১৬ই ডিসেম্বরে ৩০ লক্ষ। আকতার মুকুলের সেই চরমপত্রেরও ভূল বলেছেন???

৫। দৈনিক পূর্বাদেশ পত্রিকায় ২২-১২-৭১ তারিখে “ইয়াহিয়া জান্তার ফাঁসি দাও” শিরোনামে সম্পাদকীয় প্রকাশ করেন। সেখানে লিখেন-- “হানাদার দুশমন বাহিনী বাংলাদেশের প্রায় ৩০ লাখ নিরীহ লোক ও দু শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।”----- ২২ তারিখেও ৩০ লাখ। পত্রিকাতেও ভূল বলেছে???

৬। রাশিয়ান পত্রিকা “প্রাভাদা” ৩ জানুয়ারী ৭২ এ ৩০ লাখ শহীদের কথা উল্লেখ করেন। ৫ তারিখ ”মর্নিং নিউজ “ পত্রিকা প্রাভাদার সেই ৩০ লাখ শহীদের কথা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়।---এখানে ৩০ লক্ষ। এরাও ভূল করেছে???

৭। ঢাকার ”দৈনিক অবজারভার” ৫-১-৭২ এ শিরোনাম করে--”Pak army killed over 30 lakh people"------- এখানেও ৩০ লাখ??? এরাও ভূল করেছে??

৮। দৈনিক আজাদ পত্রিকাও ৫-১-৭২ এ শিরোনাম করে- “দখলদার বাহিনী বাংলাদেশে ৩০ লাখ লোকে হত্যা করেছে”---এখানে ৩০ লাখ?? এরাও ভূল করেছে??

আমার কাছে আরও প্রমাণ আছে সময়ের অভাবে লিখতে পারলাম না । সবাই কি ভূলে ৩০ লক্ষ বলেছে??? সব সঠিক কি জানে গু আজমের পুত্র আর বিএনপি নেতারা?? তারা এমনভাবে ৩০ লক্ষকে মুজিবের ভূল বলে প্রচার করে যেন ওরা আগে হত্যা করেছে এবং পরে ওরাই গুণে ডায়রীতে লিখে রাখছে। ৩০ লক্ষ বললেই মুজিবের ভূল বলে ম্যা ম্যা করে উঠে। মুজিবসহ সবাই শুধু ভূলই করছে আর সঠিক হিসাব করছে রাজাকার ও বিএনপিরা?? শুনেন তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মিথ্যা বলে আর টিকা যাবে না। সত্য প্রকাশ হয়ই। সত্য চিরকালই চিরসত্য। এটা মনে রাখবেন।

১৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

হাসান নাঈম বলেছেন: "শুনেন তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মিথ্যা বলে আর টিকা যাবে না। সত্য প্রকাশ হয়ই। সত্য চিরকালই চিরসত্য। এটা মনে রাখবেন।"

যদি এতই আত্মবিশ্বাস থাকে যে আপনারাই সত্য বলছেন তাহলে তালিকা তৈরীর ব্যাপারে এত আপত্তি কেন?
ইহুদীদের ৬০ লাখের মধ্যে অন্তত ৩-৪ লাখের তালিকা আছে - আমাদের ৩০ লাখের মধ্যে ২-৩ লাখের তালিকাও কেন নাই?
৭২ সালে যে কমিটি করা হয়েছিল ৭৪ সালে তাকে বিলুপ্ত করা হল কেন?

আপনি উপরে যত প্রমান দিলেন তার কোনটাই কিন্তু জরিপের ফল নয় - সবই অনুমান নির্ভর। আর মানুষের অনুমান কেমন তা আন্দাজ করে দেখুন - যে সমাবেশে ১০ হাজার মানুষও হয় না সেটাকেই প্রচার করা হয় লক্ষ মানুষের জনসমুদ্র বলে। শাপলাচত্ত্বর হত্যাকান্ডের পর প্রচার হয়েছিল ৩০ হাজার নিহত হয়েছে, পরে অধিকারের হিসেবে আসে ৬০, আর ঘাদানিকের হিসেবে আসে ৪০ জন। বুঝতে পারছেন কি যুদ্ধকালীন ঐসব অনুমান কেমন ছিল?

সবচেয়ে বড় কথা একটা জরিপ কেন হবে না? একটা জরিপ করা কি এতই কঠীন? আমরা প্রতি ১০ বছর পর ১৬ কোটি মানুষ গুনতে পারি, কয়েক বছর পর পর ৮ কোটি ভোটারের তালিকা বানাতে পারি - তাহলে সারা দেশে জরিপ করে শহীদ ও নিখোজদের একটা তালিকা কেন করতে পারি না?

একমাত্র উত্তর ঐ ৩০ লাখ। ওটা টিকবে না বলেই কোন জরিপ করা হয় না, করতে দেয়া হয় না। ওটাকে রীতিমত ধর্মীয় বিশ্বাসেরমত করে রাখা হয়েছে - কেন? কার স্বার্থে?

তবে আশার কথা হল - মানুষ আর আপনাদের মত অন্ধ বিশ্বাসে আবদ্ধ নাই। কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। এখানে দেখুন : শহীদের তালিকা

সিরাজগঞ্জ জেলায় দুই বছরের অনুসন্ধানে প্রায় ৪০০ শহীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা গেছে। মনে হচ্ছে অচিরেই আমরা অন্যসব জেলা প্রশাষণের কাছ থেকেও অনুরুপ অনুসন্ধানী রিপোর্ট পাব। মহান শহীদরা একটা কাল্পনিক সংখ্যার বৃত্ত থেকে মুক্তি পেয়ে নিজ পরিচয়ে সংরক্ষিত থাকবেন নতুন প্রজন্মের জন্য। আর আপনারা যারা নিজ দলীয় নেতা/বুদ্ধিজীবিদের প্রতি অন্ধ বিশ্বাসে আবদ্ধ তাদেরও ভুল ভাংবে - ইনশাআল্লাহ।

১৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১২

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: যাক তাহলে এখন প্রমাণ হলো যে বঙ্গবন্ধুর ৩০ লাখ বলাটা কোন ভূল ছিলো না। এটা শুধু আপনাদের মানে জামাত, বিএনপি এবং গু আজমের পুত্রদের কাছেই মনে হয়। আপনি সবসময়ই শুধু ইউরোপের ইহুদী গণহত্যার কথাই কলছেন। পৃথিবীতে কি সেটা ছাড়া কোন গণহত্যা হয়নি?? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কতজন মানুষ মারা গেছে কোন তালিকা আছে?? জাপানের হিরোসিমা ও নাগাসাকিতের পারমাণবিক বোমায় কতজন হত্যা হয়ছে তার কোন তালিকা আছে??পৃথিবীর কোনো বড় হত্যাকাণ্ড বা গণহত্যার সংখ্যাই কিন্তু সুনির্দিষ্ট নয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের মতো এত বড় একটা বিষয়, যেটাকে নিয়ে গবেষণার পর গবেষণা হয়েছে, সেখানেও মৃত্যুর সংখ্যা সুনির্দিষ্ট নয়_ বলা হয় ৫০ থেকে ৮০ মিলিয়ন (কিংবা পাঁচ থেকে আট কোটি)। নিউক্লিয়ার বোমা ফেলা হলে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে সেটা সঠিকভাবে অনুমান করার জন্য আমেরিকা কিছু শহর বেছে নিয়েছিল এবং সেখানে তারা আগ থেকে অন্য কোনো বোমা ফেলেনি। ক্ষয়ক্ষতির এ রকম সুনির্দিষ্ট হিসাব বের করার প্রস্তুতি নেওয়ার পরও হিরোশিমা কিংবা নাগাসাকিতে কতজন মানুষ মারা গিয়েছিল সেটি সুনির্দিষ্ট নয়। বলা হয়, হিরোশিমাতেই নব্বই হাজার থেকে দেড় লাখ এবং নাগাসাকিতে চলি্লশ হাজার থেকে আশি হাজার লোক মারা গিয়েছিল। চীনের রাজধানী নানকিংয়ে জাপানিদের গণহত্যা পৃথিবীর একটি নৃশংসতম গণহত্যা। গবেষকরা এখনও সেই সংখ্যাটি সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারেন না। তাদের হিসাবে সংখ্যাটি দুই থেকে তিন লাখের ভেতর। পৃথিবীর সবাই এসব গণহত্যায় তাদের দেশের সরকারের অনুমোদনকৃত সংখ্যা বিশ্বাস করলে আমাদের দেশের গণহত্যায় এটা আপনারা মানতে চাননা কেন??? তাদের শহীদদের কোন তালিকা করা লাগেনি আমাদের করা লাগবে কেন??? তারপরও আপনি বললেন শহীদের তালিকা হচ্ছে। সেই তালিকায় শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখ বা তার বেশী হলে মেনে নিবেন তো? নাকি আগের বারের বঙ্গবুন্ধুর ভূলের কথার মত এবার হাসিনার ভূল বলবেন??? আসলে আপনাদের কাছে ৩০ লক্ষ শহীদ নয়, শহীদ যদি তালিকায় ৩০ লক্ষের বেশীও পাওয়া যায় আপনারা তা বিশ্বাস করবেন না। কারণ খুনিরা কখনো সহজে শিকার করে না সে খুন করেছে। পাকিস্তানীরাও যেমন করেনি, আপনারাও করছেন না। এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। এটা বুঝা যায়।

১৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

হাসান নাঈম বলেছেন: একই কথা বার বার বলার অর্থ কি?
আমিতো বলেছি গনহত্যার পুর্ণাঙ্গ তালিকা হয় না, এটা সবাই জানে।
কিন্তু এমন একটা গনহত্যা কি দেখাতে পারবেন যার উপর কোন জরিপই হয় নাই?
৭২ সালে শহীদ পরিবারের সন্ধানে যে কমিটি করা হয়েছিল ৭৪ সালে তা বিলুপ্ত করা হল কেন? - এই প্রশ্ন আপনদের নেতাদের কোনদিন করেছেন?
আপনি যতগুলি গনহত্যার কথা বল্লেন তার প্রত্যেকটার উপর জরিপ হয়েছে, বহু মানুষের নাম পরিচয় তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, হতাহত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপুরণ দেয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের কবর এখনও এই বাংলাদেশেও সংরক্ষিত আছে।
তাহলে শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের উপর একটা জরিপ করে নাম পরিচয় তালিকাভুক্ত করতে আপনাদের এত আপত্তি কেন?

কারণটা আসলে আপনিও জানেন - এটা একটা ওপেন সিক্রেট ব্যাপার। আপনারা শুধুমাত্র দলীয় নেতাদের মান সম্মান রক্ষার জন্যই সত্যটা মানতে চান না। সেজন্যই এত ধানাইপানাই।

জ্বী, আপনাদের এই অন্ধভক্তি কাটিয়ে উঠে কিছু মানুষ তালিকা তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছে। এখন আপনারা বা আপনার সরকার ৭৪ এর মত সেই উদ্যোগ বন্ধ করে না দিলেই হয়। অথবা ৪% ভোটকে ৪০% বানানোরমত ভুয়া তালিকা বানিয়ে নেতার কথা ঠিক রাখার চেস্টা না করলেই রক্ষা। সিরাজগঞ্জ জেলার হিসেবে এসেছে প্রায় ৪০০, মিনা ফারাহ স্থানীয় এক ক্লাব ও সাংবাদিকের সহায়ত কিশোরগঞ্জে এ'রকম একটা জরিপ করেছিলেন, সেখানে সম্ভবত শহীদ ও নিখোঁজ মিলে প্রায় ৯০০ মানুষের নাম পরিচয় পাওয়া গিয়েছিল। এভাবে ৬৪ জেলায় কত হবে তা অনুমান করা যায়। সেই সংখ্যাটা সহ্য করতে পারবেন কী না সেটাই চিন্তা করুন।

আসলে শহীদের সংখ্যা অতিরঞ্জিত করার মধ্যে যে কোন গৌরব নাই সেটাই আপনাদের মাথায় আসে না - আপনারা অন্ধ ভাবে কেবল নেতার কথাই বিশ্বাস করেন। মিনার রশিদ এ'ব্যাপারে একটা উদাহরণ দিয়েছে এ'রকম: ধরুন এক লোক নিহত হওয়ার পর তার পরিবার পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিচ্ছে। এখন যদি তার ছেলে খুনিদের নৃশংসতা বুঝানোর জন্য বলা শুরু করে 'ওরা আমার দুই দুইটা বাপকে মেরে ফেলেছে' - তখন সেটা কেমন শুনাবে? আপনাদের প্রচারণা শুনে মনে হয় সেই সময় বাংঙ্গালীর শরীরে হাত পা ছিল না। পাকিস্তানীরা কোন পারমানবিক বোমা ছাড়াই শুধু রাইফেল বন্দুক দিয়ে ২৬৬ দিনে ৩০ লাখ মানুষ মেরেছে আর বাঙ্গালীরা নির্বিবাদে মাথা পেতে দিয়েছে মরার জন্য। এতে গৌরবের কী আছে? বরং আমরা যদি বলতে পারতাম আমাদের সেই প্রজন্ম এতটাই শক্তিমান ছিল যে অতি সামান্য ক্ষয় ক্ষতির বিনিময়েই দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন - তাহলে সেটাইতো গৌরবের হওয়া উচিত।

১৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০২

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: আপনার কথায় মনে তাহলে মুক্তি যুদ্ধে ৬৪ হাজার মানুষও মারা যায়নি? আপনি বধ্যভূমিতে যে লক্ষ লক্ষ মাথার খুলি, লক্ষ লক্ষ চোখ পাওয়া গেছে তার হিসাব করছেন? পদ্মা মেঘনা যমুনায় যে হাজার হাজার মানুষের লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে তার লাশের হিসাব করছে?? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শহীদ হওয়া সৈন্যদের তালিকা আছে, কিন্তু নিহত হওয়া সাধারণ মানুষের কোন তালিকা নাই। আর আপনি আগেই বলছেন শহীদের সংখ্যা অতিরঞ্জিত। সরকার যদি জরিপ করে তার আগ পর‌্যন্ত আপনাকে ৩০ লক্ষ শহীদই মানতে হবে। আর আপনি এমন ভাবে শহীদদের সংখ্যার কথা বললেন মনে হচ্ছে জরিপ আপনারাই আগেই করেছেন। লক্ষ লক্ষ হোক হত্যা করতে পারমানবিক বোমা লাগে না। সাধারণ বন্দুক দিয়েই অনেক নিরীহ লোক হত্যা করা যায়। রুয়ান্ডা গণহত্যায় যদি ১৬ দিনে ৫ লক্ষ সাধারণ মানুষ হত্যা করতে পারে। তবে ২৬৬ দিনে ৩০ লক্ষ কি অনেক বেশী? আমরা কম ক্ষতিতে দেশ স্বাধীন করছি এই মিথ্যাটা ভলা যত না গর্বের, তার থেকে বেশী বেদনাদায়ক আমাদের উপর পাকিস্তানীরা কি পরিমাণ নির‌্যাতম চালিয়ে আমাদের ৩০ লক্ষ লোককে হত্যা করেছে। তারপরও আমরা দেশ স্বাধীন করেছি এটা তার চেয়ে বড় গৌরবের।আপনি আমাদের সেই প্রজন্মকে শক্তিশালী বলতে গিয়ে পাকিদের গণহত্যার কথা অস্কীকার করতে পারেন না। আপনার শুরেই যেটা বলেছে কিছুদিন আগেই পাকিরা। আপনি বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিল পত্রটি পড়ুন। দেখুন সেখানে কি পরিমাণ গণহত্যার কথা প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান দিয়ে লিখা। জরিপে যদি ৩০ লক্ষের বেশী শহীদ বের হয় তখন যেন আপনাকে খুঁজে পাওয়া যায়। তার আগ পর‌্যন্তু শহীদের সংখ্যা ৩০ লক্ষই মানতে হবে। আপনি এই যুগের মেসির খেলার সাথে যেমন সেই যুগের পেলেকে তুলনা করতে পারবেন না। তেমনি সেই যুগের বাঙ্গালীদের সাথে এই যুগের বাঙ্গালীদের তুলনা করবেন না। তারা কতটা নিরস্ত্র ছিলো আপনি সেইসব গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শীর কাছে গিয়ে শুনুন। বিল্ডিং রুমে বসে সেটাকে আপনার অতিরঞ্জিত, অকল্পনীয়ই মনে হবে। কারণ আপনি কখনো গণহত্যাই দেখেননি। আপনাদের মনে যদি ৩০ লক্ষ শহীদ না হয়, তবে আপনি যুদ্ধের আগে পূর্ব পাকিস্থানের জনসংখ্যা এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দেখুন এবং যুদ্ধের পরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দেখুন। পুরো ৩০ লক্ষ মানুষ কম দেখতে পাবেন? তারা কোথায় গেল???
শুনেন রঙ্গিন ঘরে বসে ৩০ লক্ষ শহীদ না মানাটা যতটা সহজ, ৭১ এর বাস্তবতা ছিলো তার থেকে কয়েক লক্ষগুণ কঠিন। সেটা আপনাদের মানতে কষ্ট হবেই। কারণ আপনাদের কাছে তো পাকিস্তানের কোন দোষই নেই। সব দোষ মুজিবের। কেন সে বাঙ্গালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করলো, কেন পাকিস্তানকে আলাদা করলো। এই মনোভাবে শহীদদের সংখ্যা ৩০ লক্ষ আপনাদের কাছে অতিরঞ্জিতই মনে হবে।

১৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

হাসান নাঈম বলেছেন: "আপনি যুদ্ধের আগে পূর্ব পাকিস্থানের জনসংখ্যা এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দেখুন এবং যুদ্ধের পরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দেখুন।পুরো ৩০ লক্ষ মানুষ কম দেখতে পাবেন? তারা কোথায় গেল??? - আপনি এটাও জানেন না? অথচ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বড় বড় কথা বলেন? যুদ্ধের শুরুতে প্রান ভয়ে যে ৬০-৭০ লাখ মানুষ সীমান্তের ওপারে পালিয়ে গিয়েছিল তাদের সবাই কি ফিরে এসেছে? না কি ওপারের বন্ধুরা তাদের শহীদের তালিকায় তুলে দিয়েছে?

হ্যা, যারা যুদ্ধের শুরুতেই প্রাণ হাতে পালিয়ে গিয়েছিল তারাই ওপারে গিয়ে নিজেদের পলায়নপরতা যাস্টিফাই করার জন্য ভয়ংকর সব কাহিনী তৈরী করেছিল। তখনকার সাংবাদিকরাও বিদেশীদের দৃস্টি আকর্ষণের জন্য সেটাকে আরো বাড়িয়ে লিখেছে। সেটা যুদ্ধের প্রয়োজনে মেনে করা যেতেই পারে - তাই বলে যুদ্ধের পর ক্ষয়ক্ষতির কোন জরিপই হবে না - এটা কিভাবে সম্ভব? আপনি একটা গনহত্যা বা যুদ্ধের কথা বলুন যেখানে যুদ্ধ শেষে রাস্ট্রীয় ভাবে কোন জরিপ হয় নি, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে কোন ক্ষতিপুরোন দেয়া হয় নি।

সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ৭২ সালে যে কমিটি করা হয়েছিল ৭৪ সালে তা কেন বাতিল করা হল? তাদের অনুসন্ধানের রিপোর্ট কেথায়? আপনাদের নেতাদের কাছে বা চেতনাধারী বুদ্ধিজীবিদের কাছে কখনও এই প্রশ্ন করেছেন?

ইয়াহিয়া বলেছিল : তাদের তিন মিলিয়ন মেরে ফেল, বাকিরা আমাদের নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে। সে ঠিকই বলেছিল। যদি সত্যিই তিন মিলিয়ন বাঙ্গালীকে মারা সম্ভব হত তাহলে আর প্রতিরোধ যুদ্ধ করার সাহস কার থাকত না। যারা প্রাণ ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিল তারা ভাবতেই পারেনি যে পালিয়ে না গিয়ে প্রতিরোধও করা যায়। অথচ লক্ষ কোটি মানুষ পালিয়ে না গিয়ে প্রতিরোধ গড়েতুলেছিল - সে জন্যই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আর সেই প্রতিরোধ যুদ্ধে যারা প্রত্যক্ষ ভাবে সম্মুখ সমরে ছিলেন তাদেরই অনেককে আজকাল রাজাকার গালি শুনতে হয় - পালিয়ে যাওয়া রেফুজীদের কাছ থেকে। সত্যিই বড় বিচিত্র এই চেতনা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.