নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে

অদৃশ্য যোদ্ধা

সত্য কথা বলা এবং সুন্দর করে লেখা অভ্যাসের উপর নির্ভর করে

অদৃশ্য যোদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়ংকর হামলার পরিকল্পনা জঙ্গিদের!! গোয়েন্দাদের সতর্কতা

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারির চেয়েও বড় ধরনের হামলার ছক আঁটছে জঙ্গিরা। ভিন্ন কৌশলে আত্মঘাতী হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ধর্মীয় উগ্রবাদী সংগঠন নিউ জেএমবি।



তবে এসব হামলায় বোমা অথবা আগ্নেয়াস্ত্রের পরিবর্তে অয়েল ট্যাংকার অথবা কনটেইনার ও অক্সিজেনবাহী ভারি যানবাহন ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে সংগঠনটি। বেশিসংখ্যক প্রাণহানি হয়- এমন লক্ষ্যেই জনসমাগমস্থলে এসব লরি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জঙ্গিরা। এছাড়া বিভিন্ন শপিংমলে পরিকল্পিতভাবে আগুন দিয়ে প্রাণহানির সংখ্যাও বাড়াতে চাইছে তারা।

সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া নিউ জেএমবির কয়েকজন সদস্য পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব ভয়ংকর পরিকল্পনার কথা ফাঁস করে দিয়েছে। প্রায় একই ধরনের তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের উগ্রবাদীদের উদ্দেশে সম্প্রতি বার্তা দিয়েছে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার (আইএসআইএস) নয়া মুখপাত্র রুমিয়া। এই বার্তাটি রয়েছে রুমিয়ার অনলাইন সংস্করণের পঞ্চম সংখ্যায়।

এসব তথ্য পাওয়ার পর সতর্কাবস্থায় রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। পাশাপাশি শনিবার অনুষ্ঠিত ডিএমপির (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) মাসিক অপরাধ বিষয়ক সভায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পাওয়ার পরপরই অয়েল ট্যাংকারসহ ভারি যানবাহনের চালকদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি সংগ্রহ করা হচ্ছে চালকদের ব্যক্তিগত তথ্য। এছাড়া এ ধরনের যানবাহনের নতুন চালকদের লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে গঠিত কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, নিউ জেএমবির উল্লিখিত পরিকল্পনার বিষয়টি আমরা অবহিত। সম্প্রতি নিউ জেএমবির কয়েক সদস্যকে গ্রেফতারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ভয়ংকর এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে সারা দেশের পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

বিশেষ করে কনটেইনার, অক্সিজেন ও তেলবাহী লং ভেহিক্যাল ও এর চালকদের ওপর পুলিশ কঠোর নজরদারি করছে। আইএসআইএসের মুখপাত্র রুমিয়ার অনলাইন সংস্করণে এমন বার্তার বিষয়টি সম্পর্কেও তিনি অবগত রয়েছেন বলেও জানান।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের মুখপাত্র রুবিয়ায় এমন বড় ধরনের হামলার বিষয়ে হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছি। জঙ্গিদের আপাতত এ ধরনের হামলা চালানোর সামর্থ্য না থাকলেও তাদের প্রতিটি কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছে।

এদিকে কঠোর নজরদারির মধ্যেই ৩ ফেব্রুয়ারি পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পট আলুটিলায় নিয়ন্ত্রণহীন একটি ট্রাকচাপায় ৮ পুণ্যার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। এতে আহত হন অন্তত ১২ জন। এ ঘটনাটিও পরিকল্পিত বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

ঘটনার পর ট্রাকচালক সুমনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ প্রয়াত চন্দ্রমনি মহাস্থবিরের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উপলক্ষে সেদিন তারা ওদিন ধাতুচৈতা বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণে পুণ্যার্থীরা জড়ো হয়েছিলেন।

সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেছেন, তারা কোনো ঘটনাকে ছোট করে দেখছেন না। খাগড়াছড়ির ঘটনাটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সিটিটিসি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম আরও জানান, এ ধরনের হামলার মাস্টারমাইন্ডদের বেশির ভাগই আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। অভিযান পরিচালনার সময় অনেকেই বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এখনও বেশ কয়েকজন ভয়ংকর জঙ্গি ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এদের মধ্যে ভারতের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সোহেল মাহফুজ ওরফে নসরুল্লাহ অন্যতম।

এছাড়া এক সময় জেএমবির অন্যতম সদস্য রাজশাহীর বাগামারার মঈনুল ইসলাম ওরফে মুসা এবং বন্দুকযুদ্ধে নিহত মাস্টারমাইন্ড মারজানের ভগ্নিপতি সাগর অন্যতম। গ্রেফতার এড়িয়ে পলাতক ভয়ংকর এসব জঙ্গি নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২০ ডিসেম্বর জার্মানির রাজধানী বার্লিনে লরি হামলায় ১২ জন নিহত হন। ওই হামলার কথা তাৎক্ষণিকভাবে স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট। এ ঘটনার পর তিউনিসীয় নাগরিক ওই লরিটির চালক আনিসকে খুঁজছে পুলিশ।

এছাড়া ইসরাইলে গত বছর বেশ কয়েকটি লরি হামলার ঘটনায় ২১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া ইউরোপেও গত কয়েক বছরে গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে তিনবার। এর মধ্যে দুটি ঘটেছে যুক্তরাজ্যে, আরেকটি কানাডায়। কানাডার ঘটনায় এক সেনা সদস্য নিহত হন। এখন উগ্র ধর্মীয় সংগঠন নিউ জেএমবির সদস্যদের বাংলাদেশে একই কৌশল প্রয়োগ করার পরামর্শ দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস।------(যুগান্তর)

এরই মধ্যে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে আরেক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর। গত কাল মিরপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসে হঠাৎই উঠে পড়ে সংগঠনটির দুই সদস্য। তারা নিজেরদের হিযবুত তাহরীর সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে পরিচয় দেয়। তারপর প্রকাশ্যে তাদের সংগঠনে যোগ দেওয়র জন্য বিভিন্ন ধরণের কাথা বলতে থাকে। এসময় তাদের কিছূ সহকর্মীদের বাহিরে সতর্ক অবস্থানে দেখা যায়। ভেতরে থাকা একটি বেসরকারী টিভি সাংবাদিক পুরো ঘটনাটি গোপন ক্যামেরায় ভিডিও করে টেলিভিশনে প্রচার করলে এই জঙ্গি সংগঠনটির মাথা চাড়া দেওয়ার বিষয়টিও ভালোভাবেই প্রকাশ পায় এখন দেখার বিষয় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কত দ্রুত এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে..।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

জেন রসি বলেছেন: সমাধান একটাই। সব ক্ষেত্রে এদের প্রতি জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। এমনকি জঙ্গিবাদকে পরোক্ষ ভাবে সমর্থন করে এমন মানুষও বিপদজনক।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২১

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: এজন্য সরকারের পাশাপাশি সবাইকেই একসাথে কাজ করতে হবে।

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯

সামিয়া বলেছেন: সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২২

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: হুম আপু।

৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

আবুল খায়ের সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: বড়ই চিন্তার বিষয়। আর আমাদের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী কী করছে?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: তারাও সতর্ক আছে। দেখি কি করে

৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩

পলাশমিঞা বলেছেন: " গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারির চেয়েও বড় ধরনের হামলার ছক আঁটছে জঙ্গিরা। ভিন্ন কৌশলে আত্মঘাতী হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ধর্মীয় উগ্রবাদী সংগঠন নিউ জেএমবি। "

এত সব জানার পর সবাইকে সাবধান করা হচ্ছে কেন?
সাপ দেখলে আমরা সর্তক হই। এতসব জেনে এসব করার মানে আমি বুঝি না।
প্রথম সর্তক করা হয় পরে মানুষ মারা হয়। আমরা বিত্রস্ত হই তারা অন্য কাজ করে।

৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশ যেভাবে চালানো হচ্ছে, এটা জংগীবাদ-বান্ধব পরিবেশ সৃস্টি করেছে; আমাদের পুলিশের উপর জাতির কোন বিশ্বাস, কিংবা ভরসা আছে বলে মনে হয় না; ফলে, জাতি অস্হিরতার মাঝে থাকবে, এটাই বাংলাদেশী জীবন।

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: নির্বাচিত একটি লেখায় প্রতিউত্তেরের ঘর ফাাকা!!!! কাঁদবো না কি!!

৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এক্ষেত্রে আমাদের সাধারণ মানুষকেও আরো সতর্ক থাকতে হবে।

৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭

আতিফ আহমেদ আদর বলেছেন: তিন মাস আগে কাশিমপুর কারাগারে জেএমবি প্রধান সাইদুর রহমান এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমুদ্দীন রহমানিয়ার মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকে তারা একত্রে কাজ করতে রাজি হন। ওই বৈঠকে দুই সংগঠন সরকারকে উৎখাত করতে এবং বাংলাদেশে ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেরা যৌথভাবে কাজ করতে সম্মত হয়।

তৎপর আছেন মেজর জিয়া
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসীমুদ্দীন রাহমানীর লক্ষ্য ছিল সশস্ত্র জিহাদের মাধ্যমে ধর্মীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। একই টার্গেট ছিল সশস্ত্র বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকেরও। ২০১২ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, অবসরপ্রাপ্ত এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং তার সহযোগী (ওই সময় ছুটিতে থাকা) মেজর জিয়া সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে উগ্র ধর্মীয় প্রসঙ্গ তুলে ধরে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার আহ্বান করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সেনাবাহিনীর এই দুই কর্মকর্তাকে দেশে সামরিক অভ্যুত্থানের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গেও যোগাযোগ করে।

একই লক্ষ্য থাকার কারনে,চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন মুফতি জসীমুদ্দীন। তারা ইন্টারনেটে যোগাযোগের পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রামে দু'দফা বৈঠকে বসে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও ঠিক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে জসীমুদ্দীন এসব তথ্য দিয়েছেন।

সংগঠন দুটি জঙ্গিদের পুনর্গঠিত করা, পরিকল্পনা এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য আত্মগোপনে থাকা মেজর জিয়ার কাছ থেকে বিশেষ সহযোগিতা পাচ্ছে। জেএমবি চেয়েছিল সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়াকে তাদের অপারেশনে সরাসরি যুক্ত করতে। তবে, পলাতক ওই সেনা কর্মকর্তা পর্দার আড়ালে থেকে আনসারুল্লাহ টিমের মূল নেতা হিসেবে কাজ করছেন বলে মনে করা হচ্ছে। নিজেদের কর্মকাণ্ডে আরও লোককে দলে ভেড়াতে এবং জেএমবির কর্মকাণ্ডের নৈতিক ভিত্তি জোরালো করতে আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে রহমানিয়াকেও কাজে লাগাতে চেয়েছিল জঙ্গিরা। জেএমবি মনে করে মেজর জিয়াকে তাদের সংগঠনে যুক্ত করলে বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা কর্মীরা অনুপ্রাণিত ও সক্রিয় হবে।

তবে, মেজর জিয়ার অবস্থান নিয়ে সন্দিহান গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। কয়েকটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে মেজর জিয়া চট্টগ্রাম ও বান্দরবান এলাকার কোথাও আত্মগোপন করে আছেন বলা হলেও অনেক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। আবার কোনও কোনও প্রতিবেদনে দাবি করা হয় তিনি এখন পাকিস্তানে অবস্থান করছেন।

আইএস প্রভাবে একই প্লাটফর্মে সকল জঙ্গি
আদর্শ ভিন্ন হলেও আপাতত সমঝোতার ভিত্তিতে একটি জঙ্গি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে চাইছে জঙ্গিরা। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে নেটওয়ার্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর দিকেই আগ্রহ বেশি তাদের। জেএমবি তাদের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অনুসারে পরিচালিত করছে। আর আনসারুল্লাহ টিম অনুসরণ করছে আল-কায়েদার পদ্ধতি। তারপরও তারা এক হয়ে কাজ করার জন্য বৈঠক করেছে। ধ্বংসাত্মক এবং সহিংস কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আনসারুল্লাহ’র কয়েকজন সদস্য আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনটির কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।

পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হচ্ছে জঙ্গি কর্মকাণ্ড
গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, আল-কায়েদার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পাকিস্তানে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইজাজ আহমদের সমর্থনে আনসারুল্লাহর কর্মকাণ্ড শুরু হয়। আর সংগঠনটির পরিকল্পনা এবং সিদ্ধান্ত নেন মেজর জিয়া। জানা গেছে আনসারুল্লাহর সব নির্দেশনা এবং সিদ্ধান্ত আসছে পাকিস্তান থেকে। এছাড়া জেমএমি প্রধানের মেয়ে নাসরিন আখতার এবং তার স্বামী জাভেদ আখতার পাকিস্তানের করাচিতে বসবাস করছেন বলেও জানা গেছে। তারা দুজন জেএমবি সদস্যদের ধারাবাহিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

কারিগরি সহায়তা পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার চেষ্টা
কারিগরি দিক থেকে নিজেদের শক্তিশালী করতে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে তাদের খোঁজ না পায় সেজন্য তারা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সদস্য সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করেছে। প্রথম অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদস্য সংগ্রহের জন্য নির্বাচন করা হয়। গ্রেফতার হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও দুই শিক্ষার্থীর ওপর নতুন সদস্য সংগ্রহের দায়িত্ব দিয়েছিল জেএমবি।

ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের গাড়ি বহরে হামলার পরিকল্পনা
ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের গাড়ি বহরে হামলা করে বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচনায় আসতে চেয়েছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন (জেএমবি)। আর এর মাধ্যমে আলোচনায় আসতে পারলে জেএমবির ঝিমিয়ে পড়া সদস্যদের উজ্জীবিত করা এবং সিরিয়ার আইএস জঙ্গিদের সহানুভুতি পাওয়ার জন্যই এই পরিকল্পনা করে তার বাস্তবায়নে কাজ করছিল। বর্তমানে জেএমবির প্রধান আমির আব্দুল্লাহ আল তাসনিম ওরফে নাহিদকে এ লক্ষ্যেই পলাতক জঙ্গিরা নানা পরামর্শ দিয়ে আসছিল।

জঙ্গি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা
গ্রেফতারকৃত জঙ্গিদের আবারো জঙ্গি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যে সকল জঙ্গিরা কারাগারে রয়েছে তাদেরকে কোনো একটি স্থান হতে ছিনতাই করার মত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের জন্য সংগঠিত হচ্ছিল জঙ্গিরা।
more news

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২০

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। নতুন অনেক কিছুই জানলাম।

৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: কি ভয়াবহ সময়ই না গেছে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪২

অদৃশ্য যোদ্ধা বলেছেন: জ্বি। এখন সময়টা কিছুটা ভালো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.