![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কলেজ শেষে বাসায় ফিরছি বেলা তখন ২:১৫ হবে..মোহাম্মদপুর থেকে মগবাজারের দিকে।আসাদগেট আসার পড় গাড়ি আর সামনে এগোয় না।সহ্যের সীমা যখন শেষ সীমানায় তখন জানলাম আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের উদ্দেশ্যে দু চারটা ভালোমন্দ বলবেন তাই আমাদের দেশদরদী দেশের ভবিষ্যৎ(যত প্রকার লীগ মিশ্রিত আছে) ওনারা ছুটে চলছেন উদ্দাম গতিতে সহরোয়ার্দীর পথে,আর আমরা যারা অকাজের কাজী....যারা দশ চড়েও রা করি না তারা পথের মাঝে অসহায়ের মত প্রহর গুনে চলছি কখন মুক্ত হবো আমাদের এত ভালো চাওয়ার হাত হতে....সকাল ৭টায় না খেয়ে চাকুরী রক্ষার তাগিদে কর্মস্থলে গিয়ে ঘর্মাক্ত শরীর ক্লান্ত মন নিয়ে বাসায় পৌছে একমুঠো ভাত খেয়ে প্রসন্ন মনে বলবো এইতো ভালো আছি,বেশ আছি।।
মুক্তি নেই,কোনো উপায় নেই বুঝতে পেড়ে নিজেকে ধিক্কার দিতে ইচ্ছে হচ্ছিলো, বাবার উপর মনে মনে প্রচন্ড রাগ হচ্ছিলো। কেনো সেদিন জীবন বাজী রেখে মানুষের মঙ্গল খুজতে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো।বাবা আজ পৃথিবীতে নেই,তাই প্রশ্নটা বাতাসে ছুরে দিলাম,হঠাৎ পাশে একটা এম্বুলেন্স দাঁড়ালো সজোরে সাইড়েন বাজিয়ে চলছে।কিছুক্ষন পড় সাইরেনও থেমে গেলো,ড্রাইভার হয়তো বুঝতে পেড়েছিলো যতই সাইরেন বাজুক এম্বুলেন্সের পেছনে শুয়ে মৃত্যুর অপেক্ষমান মানুষটি এ পথে এগিয়ে হসপিটাল পৌছাতে পাড়বেনা,সে পথের দূরত্ব অনেক তার থেকে পরপারে যাওয়ার পথটা অনেক সহজ কাছের হবে।।
আমি অপলক চারপাশের মানুষদের দেখছিলাম আর আমাদের সৌভাগ্যের হিসাব কষছিলাম।কত সহনশীল জাতী আমরা,পাশেই একটা সহপথযাত্রী হয়তো শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করছে পথের ধারে চিকিৎসার খোঁজে....চিকিৎসার অভাবে,আর আমরা উৎসুক চোখে এপার ওপারের দূরুত্ব কত তা পরিমাপ করছি। গাড়ি থেকে একটা পুরুষ কন্ঠ আর একটা নাড়ী কন্ঠ অবিরত চিৎকার করে কেঁদে চলছে.....হয়তো রোগীর ছেলে হবে,বলছে আল্লাহ আর একটু সময় দাও আমাদের,আমাদের রহম করো,জানটা ভিক্ষা দাও।নাড়ী কন্ঠ অস্পষ্ট...তবু আমি শুনছিলাম আল্লাহ আমার কি হবে?আমার যে আর কেউ নাই।ওকে রেখে আমাকে তুলে নাও। আল্লাহ্ হয়তো একটু রহম হলেন কারন গাড়ী ততখনে একটু এগোলো।কিন্তু আমার ভাবনাটা পড়ে রইলো ঐ এম্বুলেন্সের কাছে।কারন বসর কয়েক আগে আমিও কেঁদেছিলাম আমার বাবার চলে যাওয়ার জন্যে।।কি হবে যদি ঐ মানুষটা সঠিক সময় হাসপাতালে না পৌঁছাতে পেরে পথেই চলে যায় অন্য পথের খোঁজে?আমাদের কল্যানার্থে প্রধানমন্ত্রীর সভা তো সফল হলো,দেশের ৮/১০ টা পরিবারের আপনজন শূণ্য হলে কি আর এমন ক্ষতি হবে সোনার বাংলায় সোনার ছেলেরা বড় বড় বাস গাড়িতে করে মিছিল করে সভায় তো পৌঁছালো।
মাননীয় মন্ত্রী আর কোনো পথ কি নেই আমাদের ভাগ্যোন্নয়নের?
©somewhere in net ltd.