![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ হলুদ মিডিয়া, হলুদ সাংবাদিকতা, হলুদ আইন বিভাগ, হলুদ বিচার বিভাগ, সবুজ বাংলাদেশ আজ শুকিয়ে যাচ্ছে বিবর্ণ হলুদ রং ধারণ করছে। আজ এ সবুজ দেশের আত্মাগুলোতে সবুজের শান্তি, স্বাভাবিকতা ও সজীবতা নেই, মিথ্যা ও যন্ত্রনার নিস্পৃহ অশনিসংকেতে তা অসুস্থ, বিকল হলুদ হয়ে যাচ্ছে। ‘হিজ মাস্টার্স ভয়েস’ - মাস্টারের ইচ্ছা মত লিখতে হবে রিপোটগুলো, অবস্থা সত্যিই খুব গুরুতর ও এতই খারাপ যে কোন ব্যক্তির পক্ষে খোলাখুলিভাবে সত্য কথা বলা বা লিখা বড়ই কঠিন এবং অনেক সাহসের ব্যাপার। মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণের অধিকার ছিনিয়ে নিতে চলছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা। আসলে দুর্বৃত্ত কবলিত রাজনীতিকে চিরস্থায়ী করে দেশে একদলীয় স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিপরায়ণ শাসন ব্যবস্থাকে ঠিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে চলছে বিভিন্ন কৌশল ও ষড়যন্ত্র। আর সে পরিকল্পনায় যোগ দিয়েছে এক শ্রেণীর সেকুলার ইসলাম বিদ্ধেষী মহল ও গনবিছিন্ন্ নাস্তিক বামপন্থীরা। নাটের গুরু হচ্ছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট গ্রুপ ও কায়েমি স্বার্থবাদী “সুশীল সমাজ” ও অবৈধ অর্থের বিত্তশালী পুঁজিবাদী গুষ্টির মালিকানাধীন মিডিয়াগুলো।
স্বাধীন এবং ভাড়াটে মিডিয়ার পার্থক্যটা ধরা যেত না ‘আউটলুক ইন্ডিয়া’ এর ‘বাংলাদেশ: জামায়াতে ইসলামী: দ্য মনস্টার ব্রিথস এয়ার’ শীর্ষক নিবন্ধটি না পড়লে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ মিডিয়া ভাড়া খাটছে। প্রথম আলো, কালের কন্ঠ, জনকন্ঠ, সমকাল, ইত্যাদি বহু পত্রিকা এবং অনেক টিভি চ্যানেল। খালি মিডিয়াই বা বলি কেন, ভাড়া খাটছে অনেক নাম করা ব্যক্তি (এদের ভিতর আছে: সচিব, আর্মি-পুলিশের অফিসার, প্রফেসর, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা্-কর্মী, এমন কি কিছু্-কিছু তথাকথিত ইমাম ও)। যারা কথার যাদু দিয়ে মানুষকে বোকা বানিয়ে রেখেছে এবং বাংলাদেশে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে। ভারতের প্রখ্যাত সম্পাদক, লেখক, কলামিস্ট ও রেডিও-টিভি ব্যক্তিত্ব এসএনএম আবদি। তিনি প্রভাবশালী ম্যাগাজিন আউটলুক ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত ‘‘বাংলাদেশ : জামায়াতে ইসলামী : দ্য মনস্টার ব্রিথস এয়ার’’ শীর্ষক প্রবন্ধে লিখেছেন ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোন হিন্দুকে হত্যা করে না। বরং সততার সাথে বলতে হয়, ভারতে হিন্দুত্ববাদী কিছু সংগঠনের হাতে মুসলমানরা যেভাবে নিয়মিত টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। সেখানে জামায়াত নিষ্ক্রিয়। এ দল সম্পর্কে এটাই সরল সোজা সত্য কথা। তিনি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা, মানবতাবিরোধী আদালতের বিচার, শাহবাগ চত্বরের আন্দোলন এবং জামায়াতের নায়েবে আমীর আল্লমা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরচদ্ধে ফাঁসির আদেশের বিষয়টি উলেখ করেন এবং বলেন বাংলাদেশের সর্বশেষ এ রাজনৈতিক উন্মাতাল পরিস্থিতিতে কমপক্ষে ৮৪ জন মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতের বেশির ভাগই জামায়াত সমর্থক। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাই এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তিনি লিখেছেন, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কোন কূটনীতিক অথবা হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন নেতা মনে করতে পারলেন না যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শুধু ধর্মীয় কারণে কোন হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছে। প্রবন্ধে বলা হয়েছে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের একটি মূল অংশ জামায়াতে ইসলামী। জাতীয় সংসদের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ৩৪৫টি আসনের মধ্যে প্রায় ৮০টি আসনে রয়েছে তাদের গুরচত্বপূর্ণ সমর্থন। এতে উলেখ করা হয় যে, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং একটি উক্তি করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন বাংলাদেশের ২৫ শতাংশ মানুষ জামায়াতে ইসলামীর সদস্য। তারা ভারত বিরোধী। প্রবন্ধে আরো বলা হয় যে, জামায়াতের সাথে কোন ধরনের সম্পর্ক রাখতে রাজি নয় ভারত। শুধু জামায়াত ইসলামী বাদে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের সাথে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ স্থাপন করেছেন ভারতীয় কূটনীতিকরা। জামায়াত ইসলামীর সাথে তারা অনানুষ্ঠানিক কোন কথা বলেছেন, কি না তা নিয়েও রয়েছে সন্দেহ। ভারতের কাছে জামায়াতে এক অন্ধকারময় রহস্য। এর ভেতর আসলে কি হচ্ছে সে সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই তাদের। এখন জামায়াতের সাথে দৌত্যে যাবার উপযুক্ত সময় ভারতের। তাদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ এখন সুস্পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের কেবল গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার পরামর্শ দিয়েছিল ভারত। কিন্তু তাতে কান দেয়নি তারা। ওয়াশিংটন এখন বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতের বিচারে অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বলেছে, মানবাধিকার লংঘন কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। যুক্তরাষ্ট্র ঠিকই দেখতে পাচ্ছে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় বসানোর পরিকল্পনায় জামায়াতই মূল খেলোয়াড়। যদিও শেখ হাসিনাকে আরেক দফা ক্ষমতায় বসানো নিশ্চিত করার কৌশল চূড়ান্ত করেছে ভারত।
সাংবাদিকতার মহান ব্রত নিয়ে যারা এ পেশায় নেমেছিলেন, জবাবদিহিতাপূর্ণ সুশাসনের বাংলাদেশের জন্য এ মর্যাদাকর দায়িত্বের ভার কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন, আপনার সেই চেতনা আজ কোথায়? কোথায় লুকিয়ে গেল আপনার সত্য প্রকাশের দুঃসাহস? কার হাতে জিম্মী আপনি? আপনার পেশা যে মহত্বের প্রতিনিধিত্ব করে, আজ বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদছে, আজ নির্যাতিত মানুষের হাহাকারে বাতাস ভারি হয়ে উঠছে, চোখের পানিতে জায়নামায ভিজে যাচ্ছে- সত্য বাণীর প্রতিনিধিত্বের দায়িত্বশীল সেই আপনি আজ কোথায়?
©somewhere in net ltd.