![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনে ঝামেলা থাকবেই। ঝামেলা এড়িয়ে যেতে গিয়ে নিজেকে অন্যের চোখে হাস্যাম্পদ করে তুলবেন না। প্রয়োজন হলেই ঝামেলার মুখোমুখি হতে শিখুন সরাসরি, সচেতন হোন নিজের অধিকার নিয়ে।একটা কথা মনে রাখবেন শুদ্ধ চিন্তায় শুদ্ধ জীবন।
সমস্যাঃ ফলওয়ালাকে বিশ্বাস করে আপেল কিনেছেন। বাড়িতে এসে দেখলেন আপেলগুলো খারাপ, খাওয়া যাবে না।
সমাধানঃ দ্বিধা নিয়ে বসে থাকবেন না। সোজা চলে যান ফলওয়ালার কাছে। উত্তেজিত হবেন না। আপেল ফেরত দিন। দাম ফেরত নিন।
সমস্যাঃ কাজের মধ্যে কেউ একজন বারবার বিরক্ত করছে আপনাকে। বিরক্ত হচ্ছেন আপনি, ক্ষতি হচ্ছে কাজটার। অথচ বলতে পারছেন না।
সমাধানঃ চুপ করে বসে থাকবেন না। সরাসরি বলুন ‘আমি এখন একটু ব্যস্ত আছি। আপনি বরং পরে অন্য একদিন আসুন’।
সমস্যাঃ একবার ধার করে শোধ দেয়নি এক প্রতিবেশী। অনেক দিন বাদে সেই আবার ধার চাইতে এসেছে।
সমাধানঃ সরাসরি বলুন, ‘আমি আপনাকে এবার আর টাকা ধার দিতে পারছি না বলে দুঃখিত’।
সমস্যাঃ বাড়ির রান্নার লোক খাবারদাবার চুরি করছে বুঝতে পারছেন। হাতেনাতে ধরতে পারছেন না বলে বলতেও পারছেন না।
সমাধানঃ আগে ব্যাপারটায় নিশ্চিত হোন। এবার রান্নার লোককে বলুন, ‘জিনিসপত্র বড্ড বেশি খরচ হচ্ছে। একটু সাবধান হও। তা না হলে তোমাকে আর কাজে রাখা যাবে না’।
সমস্যাঃ কেউ আপনার সামনে পরনিন্দা পরচর্চা করছে। এ রকম চর্চা ভালো লাগে না আপনার।
সমাধানঃ সরাসরি বলুন, ‘অন্যকে নিয়ে চর্চা করতে ভালোবাসি না আমি। আমরা বরং অন্য আলোচনা করি। আচ্ছা, স্কুলস্তর থেকে যৌনশিক্ষা চালু করার বিষয়ে আপনার কী মত’?
সমস্যাঃ কোনো অপরিচিত বা স্বল্পপরিচিত মানুষ আপনাকে হঠাৎ করে ‘তুমি’ বলে সম্বোধন করছে। ব্যাপারটা পছন্দ নয় আপনার।
সমাধানঃ বলুন, আপনি অনুগ্রহ করে আমাকে ‘আপনি’ বলে ডাকলে আমি খুশি হব।
সমস্যাঃ হুটহাট আপনার বেডরুমে চলে আসছেন কোনো এক পড়শী।
সমাধানঃ সামনাসামনি নরম গলায় অথচ বলিষ্ঠ ভঙ্গিতে বলুন ‘আমার বেডরুমে অন্য কারো আসা পছন্দ করি না আমি। আপনি কথাটা মনে রাখলে খুশি হব’।
সমস্যাঃ সময়ে-অসময়ে কেউ আপনার বাড়িতে চলে আসছে। বিরক্ত হচ্ছেন আপনি।
সমাধানঃ যিনি আসছেন তাকে বলুন ‘প্রয়োজন হলে আপনি বিকেলের দিকে আসবেন। আশা করি আপনি আমাকে ভুল বুঝবেন না’।
সমস্যাঃ পাড়ার ক্লাবের ছেলেরা এমন চাঁদা চাইছে যা দিতে গেলে আপনার ওপর চাপ পড়বে।
সমাধানঃ ছেলেদের ডেকে কথা বলুন। মাথা গরম করবেন না। বলুন ‘এত টাকা চাঁদা দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আপনারা আমার কাছ থেকে কিছু টাকা চাঁদা পেতে পারেন’।
সমস্যাঃ আপনার খুব টাকার টানাটানি। আত্মীয়স্বজন বা ঘনিষ্ঠ কেউ কারো বিয়ের জন্য সাহায্য চাইতে এসেছে।
সমাধানঃ সহজভাবে বলুন ‘এই সময় টাকাটা দিতে পারলে আমার ভালো লাগত। কিন্তু আমার অসুবিধার জন্য এখন কিছু দিতে পারছি না। আশা করি আমাকে ভুল বুঝবেন না’।
সমস্যাঃ একজন পরিচিত মানুষ আগে আপনার কাছ থেকে একটা বই পড়তে নিয়ে ফেরত দেয়নি। ঐ মানুষটা আবার অন্য একটা বই চাইতে এসেছে।
সমাধানঃ সরাসরি বলুন, ‘বইটা দিতে পারছি না বলে আমি দুঃখিত। আপনি আমার ...বইটি ফেরত দিয়ে গেলে খুশি হব’।
সমস্যাঃ কেউ এমন একটা প্রশ্ন করছে যা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত। বিব্রত হচ্ছেন আপনি।
সমাধানঃ চুপ করে থাকবেন না। বলুন ‘আমার ব্যক্তিগত ব্যাপারে আমাকে কোনো প্রশ্ন করবেন না। এ রকম প্রশ্ন করা আমি পছন্দ করি না’।
সমস্যাঃ কারো ব্যবহার আপনাকে বিরক্ত করছে
সমাধানঃ সরাসরি বলুন, ‘তোমার এ রকম ব্যবহারে আমি বিরক্তবোধ করছি। আশা করি এবার থেকে ব্যাপারটা তুমি মাথায় রাখবে’
সমস্যাঃ পাশে বসা সহযাত্রীর ধূমপানে আপনার কষ্ট হচ্ছে। অথচ বলতে পারছেন না।
সমাধানঃ সংকোচ ঝেড়ে ফেলুন। পরিষকারভাবে বলুন, ‘আপনার ধূমপানে আমার কষ্ট হচ্ছে। আপনি অনুগ্রহ করে ফাঁকা জায়গায় গিয়ে ধূমপান সেরে আসুন’।
সমস্যাঃ একজন মানুষ একনাগাড়ে কথা বলে যাচ্ছেন। শুনতে চাইছেন না আপনি, অথচ পারছেন না উঠতে।
সমাধানঃ উঠে দাঁড়ান। বলুন, ‘আমাকে একটু যেতে হবে। আশা করি আপনি আমাকে ভুল বুঝবেন না’।
সমস্যাঃ কোনো একটা বিষয়ে আপনি অসহায়বোধ করছেন। অথচ পারছেন না লজ্জায় অন্যের সাহায্য চাইতে। কষ্ট হচ্ছে আপনার।
সমাধানঃ ভাবুন, কে সবচেয়ে ভালো সাহায্য করতে পারেন আপনার সমস্যায়। তার কাছে যান বা টেলিফোন করুন। বলুন, ‘আপনার সাহায্য আমার দরকার। আপনি আমাকে সাহায্য করলে কৃতজ্ঞ থাকব’।
সমস্যাঃ বন্ধুর সঙ্গে মনোমালিন্য দিন দিন বাড়ছে। একে অন্যকে এড়িয়ে চলছেন।
সমাধানঃ নিজে উদ্যোগ নিন, দুজন একসঙ্গে বসুন। ঠান্ডা মাথায় আগে বন্ধুর বক্তব্য শুনুন মন দিয়ে। এবার নিজের বক্তব্য গুছিয়ে বলুন। রাগারাগি বা উত্তেজনা এড়িয়ে চলুন। আলোচনার পর বাস্তবসমমত সিদ্ধান্ত নিন। অনেক ভুল বোঝাবুঝি এভাবে মিটে যায় সহজেই। অনেক সময় অবশ্য বাস্তবতার প্রয়োজনে সম্পর্ক শেষ করে দেয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ভাবনাচিন্তা করে, কথাবার্তা বলে সিদ্ধান্ত নিন। আবেগচালিত হয়ে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে বসবেন না।
একজন মানুষ হিসেবে আপনার অধিকারগুলো রক্ষা করতে আপনাকেই হতে হবে দৃঢ়চেতা। অন্যের অধিকারে আঘাত না করেও ব্যক্তিগত অধিকারগুলোকে রক্ষা করা যায়। সামাজিক দক্ষতার মতো নিজের অধিকারের সুরক্ষার দক্ষতাও জরুরি।
©somewhere in net ltd.