নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অদ্ভুত পাঠক

অদ্ভুত পাঠক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আনপ্রেডিক্টেবল হিরো সমাচার

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

আনপ্রেডিক্টেবল হিরো সমাচার

আমাদের প্রাণপ্রিয় এরশাদ কাকু অভিনেতা হিসেবেও বেশ ভাল । রাজনীতিতে যেভাবে তিনি দক্ষ অভিনয় শিল্পীর মত প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছেন এতে তিনি জাতীয় চলচ্ছিত্র পুরুষ্কার পাওয়ার যোগ্য। এরশাদ কাকুর সর্বকালের সব মন্ত্যবে কারনে উনি নিশ্চিত পুরুষ্কার পাওয়ার একমাত্র দাবিদার ।



একঃআমার শরীরটা অ্যাথলেটদের মতো। দড়ির মতো পাকানো। মেয়েরা যদি অন্যরকম আকর্ষণ বোধ করে তো আমি কি করতে পারি?'

...এরশাদ।



'জীবনে যতবার এরশাদ এরশাদ করেছি, ততবার আল্লাহকে ডাকলে অলি-আউলিয়া হয়ে যেতাম।'

...শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।



'সুন্দরবনের সব গাছের কাঠ যদি কলম হয়, বঙ্গোপসাগরের সব জল যদি কালিও হয়, তবু এরশাদের গুণগান লিখে শেষ করা যাবে না।'

...মাওলানা মান্নান ।



'লেজ হিসেবে নামের শেষে এরশাদ বা হুসেইন নামটা যোগ করলেই সবাই এরশাদের সন্তানের মা হতে পারে না।'

...বিদিশা।



'এরশাদের যদি বাবা হওয়ার ক্ষমতাই থাকত তাহলে দেশ এতদিনে কচি-কাচার আসরে ভরে যেতো।'

...জিনাত।



'এরশাদের ডাকে আমি রাস্তা ঝাড়ূ দিতেও রাজি আছি।'

...আনোয়ার জাহিদ।



'এরশাদ সাহেব, আপনে নাকি জেনা করেন?'

...চর মোনাইয়ের পীর।



পার্টির জন্য এত করলাম, এই কি আমার প্রাপ্য ছিল? আমি মুখ খুললে এরশাদ রক্ষা পাবেন না। প্রয়োজনে আমি নেপথ্যের সব কথা বলে দেব। আমাকে বারবার বিদেশে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছিল। এরশাদ ডাবল স্ট্যান্ডার্ড রাজনীতি করেন। তিনি সরকারের দিকে থেকে আমাকে বিরোধী পক্ষে থাকতে বলেছিলেন।

...জাতীয় পার্টি থেকে বহিস্কৃত হয়ে এরশাদের দ্বিতীয় স্ত্রী বিদিশা এরশাদ।



দুইঃএরশাদ, অপি করিম, প্রভা আর নিজামী একসাথে ট্রেনে করে একটা আঞ্চলিক অনুষ্ঠানে যোদ দিতে যাচ্ছে। হটাৎ গাড়ি একটা টানেলের ভিতর ঢুকে পড়ল। তার পরপরেই ওরা প্রথমে একটা চুমু ও তার সাথেসাথে একটা থাপ্পরের আওয়াজ শুনতে পেল। একটু পর ট্রেন টানেল থেকে বের হল। কেউ কোনো কথা বলছে না, খালি এরশাদ তার গালটা ধরে হাতাচ্ছেন। ওখানটা লালহয়ে আছে। বুঝা গেল চড় কাকে মারা হয়েছে।



অপি করিম ভাবছেঃ নিশ্চই এরশাদ

চাচা প্রভাকে চুমু খেতে গিয়ে চড়

খেয়েছেন!!!!! নাহ বেটা এই বয়সেও ভাল হল

না!!!!!!

প্রভা ভাবছেঃ এরশাদ আঙ্কেল

মনে হয় আমাকে চুমু

খেতে গিয়ে ভুলে অপি আপাকে চুমু

খেয়ে ফেলেছে……… আর তাই

অপি আপা বেটাকে দিয়েছে থাপ্পর!!!!!

ঠিক হয়েছে!!!!!

এরশাদ

ভাবছেনঃ নিজামী শালা মনে হয়

প্রভাকে চুমু দিছে!!!!!

আর শালি অন্ধকারে থাপ্পর

মেরেছে আমাকে!!!!!!

নাহ দেশটা রসাতলে গেল!!!

নিজামী ভাবছেনঃ^

আল্লাহ আবার আরেকটা টানেল

পাঠাও…… আবার

চুমার শব্দ কইরা হালার

পুতেরে কষায়া আরেকটা চড়

মারি!!!!!!!!!!!!!

আগের বার বেশি জোড়ে দিতে পারি নাই।

এইবার কানপট্টী লাল কইরা ফালামু

হারামজাদার!!!!!!!!!!••





তিনঃএরশাদ বললেন, "সালামালাইকুম। আপনি কোন আলেকজান্ডার?"



আলেকজান্ডার ক্ষেপে গেলেন। মাকেদোনিয়ার লোকজন এমনিতেই বদমেজাজি, তার ওপর বিশ্বজয়ী আলেকজান্ডারকে না চেনা! তিনি তরবারি উঁচিয়ে বললেন, "হাল্লা পেঙ্কির পো আলেকজান্ডার কি একটার বেশি দুইটা হয় নিকি? এক্কেরে জানে মাইরা ফালামু কোয়া দিলাম!"



এরশাদ হাসলেন। বললেন, "খোঁজখবর তো রাখেন না দুনিয়ার। কতো আলেক-বালেক-খালেকজান্ডার দিয়ে রাস্তাঘাট ছয়লাপ এখন! ঐ দ্যাখেন ঐ অশ্লীল সিনেমার পোস্টারে নায়কের নাম কী লেখা (আলেক্সান্ডার বো বো বো...)!"



আলেকজান্ডার পোস্টার পড়ে এসে মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললেন, "যাই হোক, আমি দিগবিজয়ী মাকেদোনিয়ান বীর আলেকজান্ডার বিন ফেলিপ। এখন বলিস না আমাকে চিনতে পারছিস না।"



তুই তোকারি শুনে এরশাদ ক্ষেপে গেলেন। "দ্যাখেন, তুই তুই করবেন না! আপনিও জেনারেল আমিও জেনারেল, মান সম্মান আগলায় রেখে কথা বলেন!"



আলেকজান্ডার হো হো করে হেসে উঠলেন। "জেনারেল? আমি তো ফিল্ড মার্শালদের দিয়ে ঠ্যাং মালিশ করালাম কতোবার! নিজে কমসে কম পঞ্চাশটা বড় বড় যুদ্ধে মারপিট করে জিতেছি। আর তুই ব্যাটা পুরা জেনারেলও হতে পারলি না, লেফটেন্যান্ট জেনারেল হয়ে টক্কর নিতে চাস আমার সাথে? চড় মেরে গোঁপ ফেলে দোবো বেয়াদব কোথাকার!"



এরশাদ সগর্বে বললেন, "ঐ আমলে দুই তিন হাজার লোক নিয়ে যুদ্ধ করেছেন, কপাল ভালো ছিলো দেখে দারিউস-এর হাতে ধোলাই খান নাই। খালি তো মারপিট আর দাঙ্গা ফ্যাসাদ করেছেন আমার অভীক-নিরুকদের মতো, যুদ্ধ শেষে মদ খেয়েছেন, গান বাজনা শুনেছেন আর নিজের নামে শহরের পত্তন করেছেন! আর আমি দশ কোটি লোকের দেশে বুঙ্গি বাজিয়ে নয় বছর শাসন করেছি। দশ কোটি লোক মনে হয় তখন গোটা দুনিয়াতেও ছিলো না। আসতেন আমার আমলে, সিনেমায় মোটা মোটা নায়িকা কোলে নিয়ে পেটের ভাত জুটাইতে হইতো!"



আলেকজান্ডার কিছুক্ষণ চিন্তা করলেন, তারপর বললেন, "যা যা ব্যাটা, তুই যাদের কাছে ট্রেনিং পেয়েছিস, সেই মুল্লুকের রাজা পুরুকে আমি রীতিমতো ঠেঙিয়ে লাট করেছি, আসছিস পাঙ্গা নিতে!"



এরশাদ হো হো করে হাসলেন। "সৎলেজ পার হয়ে পূর্ব দিকে আসেন নাই দেখে জান নিয়ে আর সম্মান নিয়ে ভাগতে পেরেছিলেন আঙ্কেল! জঙ্গাল মুল্লুকের লোকদের তো চিনেন না, তামশা দেখিয়ে ছাড়তো আপনাকে! যান যান, অন্য কোথাও আলেকজান্ডারগিরি করে খান!"



আলেকজান্ডার চোখ টিপে বলেন, "আরে এতো তাড়া কিসের। বসি একটু, গল্পসল্প করি! তাছাড়া আমিও হোমো তুমিও হোমো ... ...।"



এরশাদ চমকে উঠে দাঁড়ান, তারপর গর্জে উঠে বলেন, "মানে?"



আলেকজান্ডার হাসিমুখে বলেন, "ও মা, সবাই তো তোমাকে আলহাজ্জ হোমো এরশাদ ডাকে!"



এরশাদ ভীমগর্জনে বলেন, "কক্ষণো আমি হোমো না! আমি যা কিছু করেছি সুন্দরী নারীদের সাথে করেছি! পুরুষের সাথে কিছু করি নাই! আপনি আমার নামে এই অপবাদ দিতে পারেন না!"



আলেকজান্ডার বল্লম উঁচিয়ে বললেন, "চোপ ব্যাটা! কত বড় বড় জেনারেলের ইয়ে মেরে বারোটা বাজালাম আর তুই একটা পাতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসছিস আমার সাথে, আলেকজান্ডার বিন ফেলিপের সাথে গরম নিতে? খোল, খোল প্যান্ট! আজকে যদি তোর ইজ্জৎ না মারি তো আমার নাম আলেকজান্ডারই না!" এই বলে তিনি বল্লমের বাঁট দিয়ে এরশাদের পেটে খোঁচা মারেন।



এরশাদ এক লাফে বিছানায় উঠে বসেন!



বেদিশা তাঁর মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন, "ওগো, চিল্লানোর কিছু নেই, দুঃস্বপ্ন দেখেছো, দুঃস্বপ্ন! আহারে, শাদু আমার, একেবারে বোবায় ধরেছিলো তোমাকে! ... কী দেখেছিলে হানি, বলো, আমাকে বলো ...?"



এরশাদ চাদরে ঘাম মুছে বলেন, "কিছু না ডার্লিং, দেশের চিন্তায় ঘুম আসে না, বড় পেরেশানিতে আছি!"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.