![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব সাধারণ বা ঠিক করে বলতে গেলে অতি সাধারণ ঘরের ছেলে আমি। ছোট বেলা থেকেই বাবা মা এর কাছ থেকে যে শিক্ষা পেয়েছি তা হল চাপিয়ে চলতে। বাসা থেকে স্কুল বেশ খানিকটা দুরেই ছিল, এত দূর হেঁটে যেতে মন চাইত না। আব্বুকে যখন বলতাম, একটা রিক্সা নাও। আব্বা বলতেন, হেঁটে যাওয়া স্বাস্থ্যর জন্য ভালো , তারপর ও যখন ঘেনর ঘেনর করতাম, আর মেজাজ ঠিক রাখতে পারতেন না। থাপ্পড় লাগিয়ে দিতেন। বলতেন ''বেয়াদপ ছেলে, বড়দের মুখের উপর কথা বলিস''। বাজারে গিয়ে যখন আঙ্গুর কিনতে চাইতাম বা বেদানা কিনতে চাইতাম, বলতেন এগুলো খেলে দাত নষ্ট হয়ে যায়। ছোট বেলা ফল বলতে যা বোঝায় তার মধ্যে পেয়ারা ছাড়া অন্য কোন কিছুতেই বাবার আগ্রহ ছিল না। মাঝে মাঝে বোঁটা থেকে খসে পরা আঙ্গুর অনেক কম দামে কিনতে পাওয়া যেত, সেদিন বাবা আঙ্গুর কিনে আনতেন, কিযে সুন্দর একটা হাসি ফুতে উঠত আব্বার মুখে, আঙ্গুর খেয়ে হয়তো অনেক মজা পেতাম সেদিন কিন্তু তৃপ্তি পেতাম আব্বু আর আম্মুর হাসি মাখা মুখ দেখে। কতবার কত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আম্মু আর আব্বু। পরিক্ষায় ভালো কর, তোকে সাইকেল কিনে দেব, আকাশে উড়ে বেড়ানো খেলনা প্লেন এনে দিব, কোনদিনও প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি। যখন ভালো ফলাফল করার পরে সেই জিনিষ গুলো চাইতাম তাদেরকে কেমন যেন বিব্রত দেখাত। আর কিছুই বলার সাহস পেতাম না। মেলায় যেতাম আম্মুর কাছে টাকা চাইতাম, আম্মু এত কম টাকা দিত যে বন্ধুদের সাথে গেলে কিছুই কিনা সম্ভব হত না। মেলায় আর যাওয়া হত না। শরীর ভালো না এই কথ বলে বন্ধুদের সাথে আর যেতাম না। তারপরে বন্ধুরা যখন নানা জিনিষ কিনে আনতো তখন সেগুলো অবাক হয়ে দেখতাম, আর খেলতে চাইতাম , কেউ কেউ দিত আবার কেউ কেউ খোটা দিত, হাসিমুখেই সেখান থেকে চলে আসতাম, তারপর বাসায় আসে নীরবে নীরবে অনেক কাদঁতাম। সেই দিন আর রাগ করে ভাত খেতাম না। গভীর রাতে যখন অনেক খিদা লাগতো তখন লুকিয়ে রান্নাঘরের দিকে যেতাম। যখন দেখতাম সেখানেও কিছুই নাই তখন খিদায় আবারো কান্না আসতো , আবারো কাদঁতাম।
ছোট বেলার ঈদ গুলো ছিল অনেক মজার আবার সবচেয়ে কষ্টের। সব ঈদে জামাকাপড় কিনা হতনা। অনেক ঈদে কিছুই কিনা হত না, তার থেকে কষ্টের কিছু তখন পৃথিবীতে থাকতে পারে এমন টা মনে হত না। রোযার ঈদে হয়তো কিছু কিনা হত কুরবানির ঈদে তাও হতোনা। আব্বু বলতেন কুরবানির ঈদে নাকি নতুন জামা কিনতে নেই। তবুও ঈদের দিন হাতে কিছু টাকা পাওয়া যেত ।১০০ থেকে ১৫০ টাকার মত। তবুও নিজেকে কেমন যেন রাজা রাজা মনে হত। অপেক্ষা করতাম কখন প্রতিবেশীদের কুরবানির মাংশ আমাদের বাসায় আসবে, কখন আম্মু রান্না করবে । আম্মু বলতো দেখিশ সামনের বার আমরাও কুরবানি দিব। আমি জানতাম সেটা হবেনা, তবুও মনে মনে কল্পনা করে খুব আনন্দ পেতাম।
ক্রিকেট মোটামুটি ভালই খেলতাম, কিন্তু নিজের কোন ব্যাট ছিল না, তাছাড়া বল বা কসটেপ কিনার জন্য টাকা দিতে পারতাম না বলে অনেক সময় আমাকে খেলায় নিত না। নিরীহ এক অবলা পশুর মত এক কোনায় বসে থেকে খেলা দেখতাম। এমন ভাবেই দিন গুলো কেটে যেত। এমন ভাবেই পার করলাম স্কুল জীবন। তারপর জীবনে প্রথম প্রেমে পরলাম এক মেয়ের, দশম শ্রেণীতে পড়তো, খুব কাছের এক বন্ধুকে বললাম, সে বলল সরাসরি বলে দিতে, একদিন বুকে অনেক সাহস করেই বলেই দিলাম। সরাসরি অপমান করে না করে দিলো।হয়তো দেখতে আমি সুন্দর এটা বললে হয়তো ভুল হবে কিন্তু দেখতে আমি খারাপ এটা বলাও ঠিক হবেনা, বন্ধুকে জানালাম। সে বলল ব্যাপার না, আমি দেখতেসি। তারপর সে মেয়েটার সাথে দেখা করে অনেক দামি দামি কিছু উপহার নিয়ে গেলো, মেয়েটাকে এক মোবাইল উপহার দিলো । মেয়েটা তাতেই পটে গেলো। পরবর্তীতে আমার সেই বন্ধুর সাথেই তার প্রেম হয়ে গেল।
এমন ভাবেই জীবনে চাওয়া গুলো উত্তর মেরু আর পাওয়া গুলো দক্ষিন মেরু হয়ে গেলো। বন্ধুদের সাথে সমাজের সাথে আজো তাল মিলিয়ে চলতে হয় হৃদয়ের রক্তক্ষরণকে প্রতি মুহূর্তে ব্যান্ডেজ করে, কোনদিন ঘরে ঠিক মত খাবার কিছু না থাকলেও বের হবার সময় চুল টা ঠিক মত আঁচড়িয়েই বের হতে হয়, অভিনয় করতে প্রতি ক্ষণে। ঘুরতে যেতে হয় বসুন্ধরায় আর কেনা কাটা করতে হয় নিউ মার্কেটে । ছোট ভাই বোন গুলকে আজো বলি ওটা কিনে দিব কিন্তু কিনে আর দিতে পারিনা, সবার আগে যে ভাত, তারপর অন্য কিছু..........।
২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
শেরশাহ০০৭ বলেছেন: বেশিভাগ মানুসের কাহিনি এমন
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭
খালেদ পাভেল বলেছেন: Hmm
৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
ভুমি_রাজস্ব্_কর বলেছেন: আমার নিজের অনেক ঘটনা মিলে গেল
৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
ভিটামিন সি বলেছেন: আমারও কাহিনীটা মনে হয় প্রায় এমনই ছিল। কতো যে বলেছি আমাকে একটা সাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য আর দেয়নি। স্কুল পাশ করে কলেজে গেলাম। পাশের বাড়ির ছেলেকে তার বড় ভাইয়ের ভাঙ্গা সাইকেলে করে কিন্ডার গার্ডেনে নিয়ে আমি প্রাইভেট পড়তে যেতাম, আবার আসার সময় নিয়ে আসতাম। ছোট সময় যখন স্কুলে যেতে চাইতাম না, তখন মা বলত "আগামীবার শীত আসলে তোরে একটা ভেলা বাঁশি (মাউথ অর্গান) কিইন্ন্যা দেম। তুই রোদ্রে মোড়ায় বইস্যা বাজাইবি আর আমি ওইটা শুইন্যা কাম করুম।"
আমি এখন ২৮ বছরের যুবক। আমার ভেলা বাশি এখনও পাইনি।
না এখন আর সেই অবস্থা নেই আমার। এক মাসের বেতন দিয়ে বর্তমান বাজর দরে ১৬টা ফনিক্স সাইকেল কিনতে পারবো। কিন্তু এখন আর ওটা চালাবে কে?
৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন:
৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০২
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
ভিটামিন সি বলেছেন: ওই মিয়া ফাইজলামি পাইছেন নাকি? পোষ্ট মাইরা গায়েব অইয়া গেছেন গা? কমেন্টকারীকে তেল তেলা মুখে একটু বলবেন যে ভাই "আপনাকে ধইন্না" এ জাতীয় কিছু। তা না করে কম্বলের নিচে হান্দাইছুইন। গরম পানি ঢাইল্যা বাইর করুম।
৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩
ভবঘুরে তৌহিদ বলেছেন: অনেটা আমার সাথে মিলা যাওয়ায় চোখে পানি এসে গেছে।
১০| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
খালেদ পাভেল বলেছেন: Sorry vai, amar net connection kaj korsilona,@ vitamin c
১১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯
খালেদ পাভেল বলেছেন: Asole nijeke dukhi vebe lav nai mone hoy, ghotona share korle dekha jay, sobari obostha kom beshi akrokom
১২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫০
মাক্স বলেছেন:
১৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫০
খালেদ পাভেল বলেছেন: Sobar sathei dekhi mile jay, taile ar dukkho koira ki lav
১৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
খালেদ পাভেল বলেছেন: Sobaire dhoinna to the power dhoinna
১৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০০
খালেদ পাভেল বলেছেন: Sobai ato mon kharaper emo dey ken?
১৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৪
শেরশাহ০০৭ বলেছেন: ভিটামিন সি বলেছেন: ওই মিয়া ফাইজলামি পাইছেন নাকি? পোষ্ট মাইরা গায়েব অইয়া গেছেন গা? কমেন্টকারীকে তেল তেলা মুখে একটু বলবেন যে ভাই "আপনাকে ধইন্না" এ জাতীয় কিছু। তা না করে কম্বলের নিচে হান্দাইছুইন। গরম পানি ঢাইল্যা বাইর করুম
১৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
খালেদ পাভেল বলেছেন: আপনাকে ধইন্না
১৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬
সোহানী বলেছেন: টাচি পোস্ট....এ দেশের বেশীরভাগ মানুষেরই গল্প তাই....
১৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
খালেদ পাভেল বলেছেন: আপনাকে ধইন্না
২০| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
শের শায়রী বলেছেন: আমার নিজের ছোটবেলা যেন অনেকটা ঊঠে এসেছে।
ভাল থাকুন ভাই। শুধু জানবেন কোন কষ্ট ই চিরন্তন না।
২১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
খালেদ পাভেল বলেছেন: আপনাকে ধইন্না
২২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: অনেক ভাল লাগা এবং শুভ কামনা।
২৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
খালেদ পাভেল বলেছেন: আপনাকে ধইন্না
২৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
ঝটিকা বলেছেন: বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের ছবি আপনার লেখায় ফুটে উঠেছে। সেখানে আমিও আছি। আমরা মোটামুটি স্বচ্ছল ছিলাম। কিন্তু আব্বার সৎ ইনকাম, আমাদের পাচ ভাইবোনকে ভালো স্কুল কলেজে রেখে পড়ানো এসব চিন্তা করে আব্বা অনেক চেপে চলতেন। আমাদেরও অনেক সহজ ছোট খাট সখ আল্হাদ গুলো কখনো মেটেনি। কিন্তু আজ আল্লাহর রহমতে সবাই শিক্ষিত হয়ে ভালো অবস্থায় উঠেছি। ছোট বেলার সে সব কষ্ট গুলো শুধুই স্মৃতি, আজ আর তেমন দু:খিত হই না, বরং আব্বার সেই কঠোর ভুমিকার জন্য গর্ব বোধ করি। আশা করি আপনিও একদিন সব ভুলে যেতে পারবেন।
২৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
আদি মানব বলেছেন: সুন্দর। বলতে দিধা নাই একটা সময় এ সব কিছুর ই সাদ পেয়েছি
২৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
খালেদ পাভেল বলেছেন: আপনাকে ধইন্না
২৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
খালেদ পাভেল বলেছেন: Amake comment ban kora hoyese, onner post a kono comment korte parina,
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
খালেদ পাভেল বলেছেন: নিজের জীবন থেকেই লেখা