![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আস্তিক ব্লগাররা, আপনাদের হয়েছেটা কি?আপনারা নবীর আদর্শ লালন করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন, কিন্তু তায়েফের ময়দানের কথা ভুলে যান। মহানবী (সাঃ)-কেসারা শরীর পাথর নিক্ষেপ করে শরীর রক্তাক্ত করেছিল, পাগল বলে বাচ্চা ছেলেদের পাথর নিক্ষেপ করার জন্য লেলিয়ে দিয়েছিল। সারা শরীরের রক্ত বেয়ে পাায়ের জুতায় আটকে গিয়েছিল, জমাট বেঁধে শক্ত হয়ে গিয়েছিল, রক্তে তাঁর পবিত্র পা জুতার সাথে লেগে গিয়েছিল, তিনি পা জুতা থেকে টেনে আলাদাকরতে পারছিলেন না। এই অবস্থায়ও তিনি তায়েফের লোকদেরকে বদদোয়া করেন নি। বলেছিলেন "এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা কর।" মক্কার কাফেররা তাঁকে এবং তাঁর সাহাবাদেরকে এত বেশী কষ্ট দেওয়ারপরও তাদেরকে মক্কা বিজয়ের পর ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তিন বছর মুসলমান এবং বনু হাশিম গোত্রকে মক্কার কাফিররা একঘরে করে রেখেছিল, না খেতে পেরে মায়েরবুক শুকিয়ে যেত, বাচ্চাদের স্তন পান করানোর জন্যও তাদের বুকে দুধ থাকত না, তাঁরা নবীর কাছে এসে বলত "আমরা কি করব।"।
মহানবীর চোখ বেয়ে পানি পড়ত কারন কোন জবাব তাঁর কাছে ছিল না। এরকম কঠিন অত্যাচার মানব ইতিহাসে কেউ কোনদিন দেখেনি, মহানবী (সাঃ)-এর অপরাধ ছিল তিনি বলেছিলেন তোমরা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড় আর সফলকাম হয়ে যাও। অথচ তিনি মক্কাবিজয়ের পর সবাইকে ক্ষমা করে দিলেন। ইসলামের সব নবীদের কমন বৈশিষ্ট্য হচ্ছেমানুষের প্রতি তাঁদের অপরিসীম ভালবাসা। মানুষের প্রতি কি মায়া, কি মমতা তাঁরা অনুভব করতেন সেটা আমরা কল্পনাই করতে পারিনা। তাই সবচেয়ে বড় নবীঅলা গুন হচ্ছে মানুষের জন্য প্রচন্ডভালবাসা অনুভব করা। আপনি যদি সেটা পারেন তাহলেই আপনি নবীকে ভালবাসেন, আপনি নবীর কাছে যেতে পারবেন। আমার নবী সমস্ত সমালোচনার উর্ধ্বে, মানুষ যদি তাঁর মহত্ব বুঝতে না পারে সেটা সে মানুষেরই অক্ষমতা, কার সাধ্য আছে সমালোচনা করে নবীর মর্যাদা হানি করার? নবীর মর্যাদা কি কোন পৃথিবীর মানুষ দিয়েছে? নবীর মর্যাদা হানি করার ক্ষমতা পৃথিবীর মানুষের আছে? নবীর মর্যাদা আমার প্রভু দিয়েছে, নবীর মর্যাদা হানি করা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব না। নাস্তিকরা বুঝে না, নবীকে বুঝার মত যে ধরনের মনোগঠন দরকার, যে ধরনের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা দরকার, সে তাদের নেই, তাই নবীর সমালোচনা বা কুৎসা করলে আমরা তাদের জন্য বড়জোর করুণা অনুভব করতে পারি, কোনমতেই তাদের সমালোচনা বা কুৎসা দ্বারা আমরা প্রভাবিত হতে পারি না।
আজকে ডটু রাসেল, নেমেসিস আর সুব্রতদের গ্রেফতার দেখে এতই মনখারাপ হয়েছে, আমার আস্তিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ আপনারা মহানবীর আদর্শ ধারণ করুন, ব্লগারদের গ্রেফতারের বিরুদ্ধ প্রতিবাদী হোন। আমার নবী কোনদিনই তাঁর জীবদ্দশাই তাঁকে সমালোচনা বা তাঁর বিরুদ্ধে কূৎসা রটনার জন্য কাউকে শাস্তি দেন নি। আমরা তাঁর উম্মত, আমরা কিভাবে নবীর উদাহরণ থাকা সত্বেও তা ভঙ্গ করতে পারি? আমার নবী বিশ্বের সর্বকালের সেরা মানব, কোন ধরণের অনুচিৎ সমালোচনা বা কূৎসা তাঁর মর্যাদা হানি করতে পারে না। গত চৌদ্দশ বছরে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বই যার বিরুদ্ধে রচিত হয়েছে, অরিয়েন্টালিস্টরা গড়ে গত দেড়শ বছরে প্রতি মিনিটেই নবীর বিরুদ্ধে বই লিখেছে, কিন্তু আজ পশ্চিমে মানুষ কোরান পড়ে, নবীর জীবনী পড়ে কাতারে কাতারে মুসলমান হচ্ছে, মসজিদগুলোর ডেমগ্রাফি পাল্টে যাচ্ছে, আল্লাহ পশ্চিমাদের থেকেই ইসলামের দাওয়াত শুরু করে দিয়েছেন। ৯/১১-এর পরে ইসলামকে নিয়ে এত কূটসা রটনার পর মানুষের মুসলমান হওয়ার হার অনেক বেড়েগিয়েছে, মানুষ কি কোনদিন ইসলামের অবমাননা করতে পারে? মানুষ কি কোনদিন নবীর মর্যাদা হানি করতে পারবে? আল্লাহ বলেছেন,
"Remember how the Unbelievers plotted against thee, to keep thee in bonds, or slay thee, or get thee out (of thy home). They plot and plan, and Allah too plans; but the best of planners is Allah." (৮:৩০)
তাই আমার আস্তিক ভাইদের প্রতি হাতজোড়েঅনুরোধ করছি আপনারা প্রতিবাদী হোন, আমাদের যারা মনে কষ্ট দিয়েছে, আমরা তাদের জন্যই আমাদের মন উজার করে প্রতিবাদ করব। আমাদের নবীকে যারা অপমানকরতে চেয়েছে, আমরা সেই মহানবীর অনুসারী হয়েই তাদের যাতে অপমান না হয় সেজন্য লড়ব। আমাদের ধর্মকে যারা খারাপভেবেছে, আমরা সে ধর্মের অনুসারী হয়েই তাদের পাশে দাড়াব।
"আমার এ কূল ভাঙিয়াছে যেবা আমি তার কূলবাঁধি,
যে গেছে বুকে আঘাত করিয়া তার লাগি আমি কাঁদি।
যে মোরে দিয়েছে বিষে-ভরা বাণ,
আমি দেই তারে বুকভরা গান,
কাঁটা পেয়ে তারে ফুল করি দান সারাটি জনম-ভর,-
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।"
আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝার সামর্থ দিন!
-নরাধম
©somewhere in net ltd.