নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খালেদ পাভেল

গণতন্ত্রে বিশ্বাস করিনা

খালেদ পাভেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাইভেট ভার্সিটি এবং আমাদের মিডিয়া

১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫১

সরকার আজ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর কর বসাতে চায় কিনতু দোষ টাকি শুধুই সরকারের । কিছু ব্যাপার ভেবে নেয়া দরকার । কেন সরকার এই সাহস দেখাতে পারলো বা ব্যাপারটা তাদের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হল

সাধারন মানুষ এর কাছে যেটা ধারনা সেটা হল, প্রাইভেট ভার্সিটি মানেই হল বড়লোকের পোলাপাইনের টাইম পাস করার একটা জায়গা , প্রেম এবং ফ্লার্ট করার জন্য আদর্শ জায়গা । এইখানে ছেলে মেয়েরা আসে , আড্ডা বাজি করে । তাদের বাবার অঢেল টাকার কিছু ফুরাতে আসে । লাফালাফি করে , আর একটা ফাও সার্টীফিকেট নিয়ে যায় । প্রাইভেট ভার্সিটি একটি বিনোদনের জায়গা ছাড়া কিছুই নয় । টাকার বস্তা নিয়ে ছেলেমেয়েরা আসে । এদের জীবনের উদ্দেশ্য হল টাকা পয়সা খরচ করা । এদের জীবনে কোন সংগ্রাম নেই । নেই কোন নীরব কান্না । এদের জীবন বিনোদনে পরিপূর্ন ।

কিন্তু সাধারন মানুশ এর মনে এমন ধারনা হবার কারন কি ? এর কারন এই দেশের মিডিয়ার মনগড়া কিছু চিত্রায়ন। টিভি টে প্রায় সব নাটক গুলোতেই বা বিজ্ঞাপণে দেখানো হয় , যেখানে কিছু উশৃংখল যুবক বা যুবতীরা , তাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সময় টা আড্ডাবাজি করে, ফ্লার্ট করে কাটাচ্ছে । পিজ্জা হাট বা কে এফছি তে গিয়ে টাকা উড়াচ্ছে। সারাদিন ফুর্তি করছে ।বন্ধু বান্ধব ছাড়া তাদের লাইফ ইম্পসিবল কিনতু সব কিছুই ছাড়া পসিবল । তাদের সারাদিন কাটে অনলাইনে সেলফি আপলোড করে । তাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য অনলাইনে সেলিব্রেটি হয়া । দুনিয়ার যাবতীয় অন্য ভেজাল মুক্ত তারা। তাদের জীবনে একমাত্র সমস্যা হল ব্রেক আপ এবং যেটা দেখানো হয় এই সকল যুবক যুবতীরা প্রাইভেট ভার্সিটি এর গুনধর ছাত্র ।এর ফলে সাধারন মানুশের কাছে এটাই মনে হয় যে প্রাইভেট ভার্সিটী তে মনে হয় এই ধরনের সব ছেলে মেয়েরাই পড়ে ।

কিন্তু বাস্তবতা কি বলে । প্রাইভেট এর ছাত্র ছাত্রীদের শতকরা কত ভাগ এমন । ২ ভাগ বা ৫ ভাগ কিংবা ১০ ভাগ । কোনমতেই এর বেশি নয় । অথচ তাদের কেই ফোকাস করা হয় । বেশি ভাগ ছাত্র ছাত্রীর এর অবস্থা জানেন ? এরা বেশীর ভাগ ই নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্য বিত্ত এর সন্তান । শিক্ষা ছাড়া তাদের আর কোন পুজি নেই যা দিয়ে তারা চলতে পারবে। তাই বাবা মারা নিজেদের সামর্থ্যর শেষ টুকু দিয়ে এদের এইখানে পাঠায় । এদের জীবনের সবচেয়ে বিভীষীকা ময় দিন গুলো হলো সেমিস্টার ফি জমাদেবার দিন । এই সন্তান রা টাকা চাইতে লজ্জা পায় বাবা মায়ের কাছে । নিরুপায় হয়ে চায় , বাবারা দেয় আর আল্লাহর কাছে বলে " ইয়া মাবুদ, আর কয় সেমিস্টার বাকি । এই ছেলেরা কখনো ভালো থাকেনা । নিজের কস্টে জমানো টিউশনির টাকা দিয়ে একটা কিছু কিনলেও পাশ থেকে কোন প্রতিবেশী বলে উঠে । বাপের টাকায় প্রাইভেটে পড়া পোলার ফুটানি দেখো । এর পরেও সময় মত টাকা জমা দিতে পারেনা অনেকেই । টাকা পরে দেয়ার জন্য যে আবেদন প্রতি সেমিস্টারে পড়ে, ওত আবেদন মনে হয় ভর্তি পরীক্ষাতেও পড়ে না ।

আমি কখনো দেখিনি জমি বিক্রি করে প্রাইভেটে পড়া কোন ছাত্রকে নিয়ে নাটক বানাতে , দেখিনি সামান্য টিউশনি করে প্রাইভেটের এত টাকা জোগাড় করা কোন সংগ্রামী জীবন নিয়ে নাটক বানাতে । কখনো দেখিনি গরীব ঘরের প্রাইভেটে পড়া ছেলেটা সমাজের সবার কটূ কথা শুনে যে অসহনীয় জীবন যাপন করে , সেটি কোন মাধ্যমে ফুটে উঠতে।

তাই আজ সরকারের এই সিদ্ধান্ত সাধারন মানুশের কাছে অনেক টাই যে জায়েজ হিসেবে প্রতিপন্ন । তার দায়ভার এই দেশের মিডিয়া কিছুতেই এড়াতে পারেনা

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.