![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বাংলাদেশী নাগরিক। আমি বাংলাদেশকে খুব ভালোবাসি, বাংলাদেশ সম্পর্কে, আমার নিজের জেলা সম্পর্কে লিখতে আমার খুব ভালো লাগে।
বাংলাদেশ পিৃথিবীর মানচিত্রে ছোট্ট একটি দেশ। আমাদের দেশটি ছোট হলেও এদেশে আনেক ঐতিহ্যে ভরপুর। বাংলার মানুষের সখের কোন শেষ নেই। তবে বাংলার মানুষের এসব সখ তৈরি হয় ঋতু ভেদে। বাংলাধেশ ছয় ঋতুর দেশ। আমাদের দেশে ৬ ঋতুতে ৬ ধরনের সখ। যেমন ঃ গ্রীষ্মকালে একধরনের সখ, বর্ষাকালে একধরনের সখ, হেমন্তকালে একধরনের সখ, শরৎকালে একধরনের সখ শীতকালে একধরনের সখ এবং বসন্তকালে একধরনের সখ। একএক ধরনের সখের বসে বাংলার মানুষ একএক ধরনের উৎসব করে। বাঙ্গালীর সেই প্রাণের উৎসবে কোন ভেদাভেদ থাকে না। তখন কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিষ্টন এসব মনে থাকে না। তখন সবার একটাই পরিচয়। আমরা সবাই বাঙ্গালী। আমরা সবাই বাংলাদেশের মানুষ। বাংলা আমাদের ভাষা। আমার বাংলাদেশ ইতিহাস আর ঐতিহ্যে ভরপুর। তেমনি একটি ঐতিহ্য হচ্ছে শীতের পিঠা। শীত এলেই বাংগালী নারীদের মধ্যে পিঠা তৈরির একটা উৎসব শুরু হয়ে যায়। সেযে কতরকম পিঠা তা বলে শেষ করা যাবে না। আর এসব পিঠা যে কি স্বাদ তা বলে বুঝানো সম্ভব নয়। কথায় আছে বাঙ্গালী ভোজন রসিক। বাঙ্গালী খেতে ভালেবাসে। আমাদের দেশের প্রধান ফসল হচ্ছে ধান, ধান থেকে তৈরি হয় চাউল। সেই চাউল দিয়েই বাঙ্গালী নারীরা আবিস্কার করেছে নানা রকম পিঠা। সেই পিঠা খেয়ে বিদেশীরা পর্যন্ত বার বার ছুটে এদেশে। আমাদের দেশে হরেক রকম শীতের পিঠা তৈরি হয় যেমন ঃ ১. পুলি পিঠা, ২. ভাপা পিঠা, ৩. মালপোয়া, ৪. নকশি পিঠা, ৫. চিতই পিঠা আরো নাম না জানা কত কি। গ্রামের বাড়ীতে এক বাড়ীতে পিঠা তৈরি হলে আশেপাশের ১০ বাড়ীতে নিমন্তন্ন করা হয়। নতুন জামাইকে শীতের পিঠা না খাওয়াতে পারলে যেন সে পাড়ার মান-সম্মান থাকে না। সেই সব পিঠা কি মধুর স্বাদ। একবার যে খেয়েছে সে কখনো সেই স্বাদ ভূলতে পারবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্বি, বাংলার সেই ঐতিহ্য আজ বিলুপ্তির পথে। দিনে দিনে পশ্চিমাদের ফাস্টফুডের কড়াল গ্রাসে বাঙ্গালী যেন পিঠা বানাতে এবং খেতে ভূলে যাচ্ছে। বাঙ্গালী নারীদের তৈরি সেই সব পিঠার ভিতরে থাকে অনেক পুষ্টিগুন। যা শরীর স্বাস্থকে ভালো রাখে। কিন্তু বর্তমানের ফাস্টফুটগুলাতে কোন পুস্টিগুন তো নাই, বরং এসব ফাস্টফুট মানুষের শরীরের ক্ষতি করছে। তাই আসুন আমরা এই সব ফাস্টফুট বাদ দিয়ে বাংলার ঐতিহ্য পিঠা কে ধরে রাখি।
©somewhere in net ltd.