![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজাকার দেখলে যত না মাথা গরম হয়, তাগো দেশে জায়গা দেয়া মানুষ দেখলে আরও বেশী মাথা গরম লাগে।
৫ই ফেব্রয়ারী। সকালে কফির মগ টা হাতে নিয়া ল্যাপটপের সামনে বসলাম। হালকা খুশি খুশি লাগতেছিলো। কাদের মোল্লা তো নির্ঘাৎ ফাসির দন্ড পাবে। হটাৎ চোখ আটকে গেল বড় ভাইয়ে একটা স্টাটাশে- " বালের রায়।" খোজ খবর নেয়া শুরু করলাম আর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। যাবৎজ্জীবন! রাজাকারের রাইফ লং ইমপ্রিজনমেন্ট! হাস্যকর! একটু পরে নেটে আসলে কাদের মোল্লার ভি ষাইন দেয়া ছবি টা। দুপুর ১টা কিংবা দেড়টা। ভাত মুখে ঢুকতেছে না। নেটে খুব খেয়াল করে চোখ রাখতেছি। হাঠাৎ দেখি একটা ইভেন্ট খুলছে "রাকিবুল বাশার রাকিব।" ইভেন্টের উদ্দেশ্য জাদুঘরের সামনে প্রতিবাদ করা হবে এই রায়ের বিরুদ্ধে। ৬-৭ জন করে গোয়িং বাটনে ক্লিক করতেছে। কোন কথা নাই, গোয়িং বাটন চেপে শুরু করলাম তার প্রচারনা। বললাম- " অনেক কি-বোর্ড চাপছেন। এইবার রাজপথে নামেন। অনেক হইছে" আলসারের সমস্যা আমার, আম্মা জোর করে এক লোকমা ভাত গেলায় দিলো। পানি খেয়ে বের হলাম রিকশা খুজতে। বাসার সামনে থেকে রিকশা নিলাম- গন্তব্য শাহবাগ জাদুঘরের গেটে। পকেটে ফোন ভাইব্রেট করা শুরু করলো, ইমরান ভাইয়ে ফোন। মেসেজ দিলাম - " ভাই, আই এম কামিং।"
খিলগাও তে রিকশা যখন, ফোন দিলাম ''মহামান্য কহেন'' রে। বললাম- " মামা, অবস্থা খারাপ। মানা যায় না এইটা। কই আপনে।" আমার মামা তো আমার থিকা আগে বাইর হইয় গেছে- " আমি বাসে মামা"
টিএসসি দিয়া যখন শাহবাগে ঢুকি, দেখি ১০-১২ জনের জটলা। তখন বিকাল ৩ টা। হাটাৎ দূর থেকে দেখি ''বাধন সপ্তকহক।" চোখ লাল, দাত দিয়ে দাত চেপে বললেন " মাথা টা খুব গরম লাগতেছে না রে ? এইটা কি হইলো...." এক আপু কে দেখলাম লিখছেন- " রাজাকারের ফাসি চাই।" হ্যা, এ্টাই প্রজন্ম চত্বরের প্রথম প্লাকার্ড,পোষ্টার। আরও অনেক ভাইয়ের পোষ্টার লিখছেন।
দেখলাম ''মাহফুজুর রহমান''( সাব-এডিটর প্রথম আলো), "ফয়সাল আদনান'' এবং তার বন্ধু দের। ''নাহোল'' কে দেখলাম। আসলেন ''তাপস সরকার।'' ''মহামান্য কহেন'' আসলেন। ''সবাক পাখি'' এবং ''ইমরান এইচ সরকার'' সিএনজি থেকে নামলেন হাতে ব্যানার কাগজ পত্র নিয়ে।
আসলেন আম্মা ("সেলিনা মাওলা"), আমার দোস্তরা আসলো -''মাজহার মিথুন'', "কাশাফাদ্দুজা নোমান'', 'আশিক। ''শশী হিমু" "মাহবুব রশীদ" কে দেখলাম। "অনিমেষ আইচ" এসে ব্যানার ধরে দাড়ালেন।
আসলেন 'মিন সাজু',
ব্যানার নিয়ে দাড়িয়ে আছি। এমন সময় হটাৎ বাধন ভাই আসলেন- " আমার এই সমাবেশে পর স্লোগান দিতে দিতে শাহবাগে দিকে চলে যাবো।" ঠিক তার পরই তিনি বোমা ফাটালেন - " দরকার বোধে আমরা শাহবাগের রাস্তা বন্ধ করে দেব।" রক্তে এড্রেনালিনের পরিমান বেড়ে গেল, উত্তেজনা ভর করলো। বাধন ভাইয়ে আবার জিজ্ঞাসা- " আপনার আমাদের সাথে আছেন ?" মুহূর্ত হাত তুললো সবাই- " হা... আছিইইইইই"
ইমরান ভাই এক ফাকে জিজ্ঞেস করলেন, অনলাইনে ইভেন্টের প্রচার টা ঠিক মত করছি কিনা। তাকে আশ্বস্ত করে বললাম- " একটা আন্দোলন একটা ভাইরাস, এটা রে আটকানো যাবে না। আমি সলতে তে আগুন ধরায় দিয়া আসছি। বাকি রা এটা রে ধারন করে নিয়ে যাবে।"
র্যালি তে দাড়ায় থাকা অবস্থায় আসলো ইটিভি, অমুক টিভি। সাক্ষাৎকার নিতে চায়। টিভি ক্যামেরা দেখে আমি মিথুন নোমান দিলাম দৌড়। পরে অবশ্য মনে হইতেছে, ইশ ওইদিন ফেস দেখাইতে পারলে আজকের টক শো গুলা তে আমারা যাইতে পারতাম হা হা হা।
হটাৎ ব্যানার ধরে আমরা ৬০-৭০ জন মানুষ রাওনা দিলাম শাহবাগ মোড়ের দিকে। উদ্দেশ্য শাহবাগ রোড অফ করে দেয়া। রোডে গোল হয়ে বসলাম। কোন দিন দিয়ে যাতে গাড়ি রিকশা ঢুকতে না পারে। ১০০ জন লোক মিলে শাহবাগ অফ করে দিলাম। ওই দিন হরতাল ছিলো। দাঙ্গা পুলিশ এসে গেরাও করার চিন্তা ভাবনা করলেও যখন স্লোগান শুনল- " ফাসি ফাসি ফাসি চাই, কাদের মোল্লার ফাসি চাই" তখন কনফিউজড হয়ে গেল। তার তখন দূরেই দাড়িয়ে।
স্লোগান দিচ্ছিলেন " সেলিনা মাওলা", তিনি ছিলেন সে দিনের লাকি আক্তার। হটাৎ তার সামনে এটা টিভি ক্যামেরা আসলো- " ম্যাডাম আপনার একটা ইন্টারভিউ।" আম্মার উত্তর- " দেখেন ভাই, আমার মাথা গরম আছে। আমি ইন্টারভিউ দিবো না। আম্মা হটাৎ বললেন, ও এত মানুষ পানি খাবে না ? চল পানি কিনি।" পানি কিনে সবারে দিলাম। রিকশায় মাইক আসলো। মাইকে স্লোগান শুরু হলো। বাধন ভাই. রাকিব দুই তিন কার্টন মোমবাতি কিনলো। মোমবাতি কেনার উদ্দেশ্য ছিলো শাহবাগের চতুর্দিকে একটা বাউন্ডারি দেয়া মোমবাতি দিয়ে। কারন তখন ও গাড়ি/বাইকই ঢুকে যাচ্ছিল।
আমরা লোক কম ছিলাম, তাই ফাকা ফাকা হয়ে বসে পুরো রোড ব্লক করে দিলাম। সব বসে পড়লে ঐ দিন শুয়ে পড়তাম রাস্তায়।
আমাদের ভিতর কিছু ছেলে পেলে এগিয়ে এলো। যারা পথচারি দের প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকলো- যেমন- এখানে কি ? কি চাওয়া হচ্ছে? করলে কি লাভ এগুলা। ছেলে গুলা বুঝিয়ে বুঝিয়ে তাদের উত্তর দিচ্ছিল।
সন্ধ্যার দিকে একটা এম্বুলেন্স এসে দেখি দাড়ায় আছে। ঢাকা মেডিকেল যাবে বোধহয়। যেতে ভয় পাচ্ছে এই জনস্রোতের ভিতর। জায়গা করে দিলাম মহামান্য ভাই, আমি, সেলিনা মাওলা।'অনিমেষ রহমান' দূর থেকে হাত নাড়ালেন- ' আসুক, আমি ওই সাইড খালি করতেছি।"
ইমরান ভাইয়ে মাথায় তখন অনেক গুরু দায়িত্ব। পুরো ব্যাপার টা সংগঠিত করা। বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ। হরতাল ছিলো, জামাতের অতর্কিত হামলার আশংকা।
রাত টা কেটে গেল। গিটার তবলা ঢোল নিয়ে জাগরণের গান গাইলো ভাইয়ে রা আমার। মশাল মিছিল হলো। ব্লগার আর অনলাইন একটিভিস্টে চত্বর ভরে গেল।
পরের দিন সকালে এসে আমি চোখ কচলালাম। হাজার হাজার মানুষ!!!!! মানুষ এর ভীড়ে শাহবাগের মূল চত্বরে ঢুকতে পারছি না। আমি ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছি, এমন সময় এক ছেলে, কপালে ব্লগার কমিনিউটির ব্যাজ আমাকে বলে- " আরে ভাই আপনেরা কেন ভিতরে ঢুকেন ? আপনে কি ব্লগার? আপনেগো ভিতরে ঢুকার পারমিশন নাই। শুধু শুধু ক্যাচাল করেন। বাইরে যান তো।" আমি বললাম- " ওহ, সরি ভাই, আমি আসলে সাধারন জনতা, ভিতরে কি হইতেছে দেখতে ঢুকলাম। সরি, আমি এখনই যাইতেছি চলে।" পিছন থেকে কে জানি কাধ চেপে ধরলো- " এদিক দিয়া আয়।" বড় ভাই নিয়ে গেল মঞ্চে। তাই তো, আমি কি ব্লগার ?!! হা হা হা
অমি রহমান পিয়াল এবং রাসেল রহমানের সাথে মিলিত হতে ঢুকতে চাইতে ছিলাম। অনেক কষ্ট বড় ভাই আর মাইজ্যা ভাইয়ের কাছে গেলাম। দেখা হইলো ইমরান ভাইয়ে সাথে, এত ব্যস্ততায়ও বুকে টাইনা নিলেন। তার চোখে জ্বল জ্বল করতেছিলো।
সুব্রত শুভ, ফোরিং ক্যামেলিয়া, আনিস রায়হান, রুদ্র সাইফুল্লাহ,তন্ময় ফেরদৌস, দূর্বা জাহান দের সাথে কাটিয়ে দিলাম সময় আর স্লোগানে। তখন ভাবতাম, জামাত শিবির এর এবার রক্ষা বোধহয় নাই। নিষিদ্ধ হবেই তাদের রাজনীতি।
প্রথম ৩-৪ দিন গণজোয়ার হয়েছে। মানুষ আর মানুষ। তরুন কিশোর বৃদ্ধ সবাই। এক কথা- রাজাকারের ফাসি চাই।
কেটে গেল ১৪ দিন। প্রতিদিনই শাহবাগে গেছি। এখনও শাহবাগ যাই। কিসের যেন অভাব বোধ করি। কি যেন নাই। মানুষ কেন যেন বসে আর দড়িয়ে স্লোগান দেয় না। তারা হেটে চলে যায় অন্যদিকে। মানুষ কি হতাশ ?
কষ্ট লাগে। মাঝ খান দিয়া আয়োজক হবার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিলো। চারদিকে টক শো। তথাকথিক আয়োজক তকমা পাওয়ার লোভাতুর মানুষ দের এখন কিছু বলবো না। সময় আসবে। গুটিয়ে নিলাম তখন নিজেকে। নেটে আসিনি ৪-৫ দিন। তারপর শুরু শিবিরের হিটলিস্ট। তার রাজীবের মৃত্যু নিয়ে নাস্তিক আস্তিক ক্যাচাল। তারপর সকরারি নিরাপত্তা নিয়ে আরেক হইচই। শান্ত ভাইয়ে মৃত্যু। অহিংস কর্মসূচী কিংবা কয়েকটি বেলুন। আমরা কি দূরে সড়ে যাচ্ছি ৫ই ফেব্রুয়ারী তে যে বারুদ বুকে নিয়ে এসেছিলাম, তা আজ কি ভিজে গেছে হতাশার ঘামে ?
স্মৃতিকথন হলো অনেক। যদিও এই স্মৃতিই আমার সম্বল, আমাদের গর্ব। এই স্মৃতিই সাক্ষ্য দেয়, আমার ছিলাম। আমরা ছিলাম জাগরনের মঞ্চে, টক-শো'র স্টুডিও তে না। এটাই আমাদের তৃপ্তি।
তাই আজও স্বপ্ন দেখি, একটা বিপ্লবের স্বপ্ন জাগরনের স্বপ্ন। জামাত শিবিরে রাজনীতি নিষিদ্ধ করার স্বপ্ন। কঠোর কর্মসূচি দেবার আহ্বান জানাই। জাগরনের শুরু থেকে ছিলাম, আছি, থাকবো। যে কোন কঠোর পদক্ষেপ নেন, ওই দিন ৫০ জন এসেছিলাম যা লাখ মানুসে রূপান্তরিত হয়েছে। তেমনি আজ ২-৩ লাখ মানুষে রুপান্তরিত হবেই। শেষ কথা, এই যুদ্ধে সাথে থাকবেন।
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: আর আরেকটা কথা, আমি হয়ত প্রথম ঘন্ঠায় যাই নাই (প্রথম রাত থেকে যাওয়া শুরু), আমি মন প্রান থেকে বিচার চাই, এই আন্দোলন আরও বেগবান হোক তা চাই।
কিন্তু দুংখজনক হলেও সত্যি এটা এখন শুধু যুদ্ধাপরাধ বিরোধী আন্দোলনে সীমাবদ্ধ রয়নি এটা এখন কারও কারও পপোলরিটি বাড়ানোর যায়গায় পরিণত হয়েছে
, অনেক সময় জামাত বিরোধী আন্দোলন না হয়ে ধর্ম বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হচ্ছে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
খামখেয়ালী বলেছেন: ধর্ম বিরোধী আন্দোলন হচ্ছে না মোটেও
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সেইদিন মানুষ ছিল কম। আনুপাতিক হারে পুলিশ, র্যাব ছিল বেশি। জলকামান ছিল। একটা থমথমে ভাব ছিল। নিরাপত্তার ভাব ছিল। আশংকা ছিল। পরিচিতদের সাথে দেখা হইয়ে গেলে কেউ হাই-হ্যালো করছিল না, সবার মুখে নির্ভীক মৌন দৃপ্ত অঙ্গীকার। সেই দিনটা আসলেই অন্যরকম ছিল...
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৮
খামখেয়ালী বলেছেন: এক্টজ্যাকলি। সবার চোখে মুখে উৎকন্ঠা। কাদের মোল্লার ভি সাইন কোন কিছুর সংকেত দিচ্ছিল।
৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৮
নস্টালজিক বলেছেন: দারুন একটা প্রহর ছিলো!
উত্তেজনা, রিস্ক ফ্যাকটর সব ছিলো ষোলো আনা! জাদুঘরের সামনের ২০-২৫ জনের দলটা কখন যে শ দুয়েক এর একটা প্রতিবাদী মিছিল হয়ে গেলো!!
বাধন, হাসান, ম্যাশ, রাব্বি, রিয়াদ, নাজিয়া, নাহোল, তন্ময়, নোমান- আর যাদের চিনিনা ব্যক্তিগতভাবে-সবার কি এক এক দ্রোহের আগুন চোখেমুখে!
সেদিন যারা ইতিহাসের শুরুতে ছিলেন সমস্ত ভয় ভীতি উপেক্ষা করে, দেশের জন্য ভালোবাসায়, রাজাকারের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণায়-সেইসব সাহসী যোদ্ধাকে আমার স্যালুট!
জয় বাংলা!
৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২১
রেজোওয়ানা বলেছেন: Vinno prosongo . . . . Ata apnar blog, great! Ami vabsilam apni buji brittobondi.
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭
খামখেয়ালী বলেছেন: না, এটাই আমার ব্লগ
৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩২
খান সুজিত বলেছেন: আন্দোলন শুরুর দিনের একটা মোটিভ ছিল এরকম যে আওয়ামী লীগ কি জামাতের সাথে আতাত করলো কিনা
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭
খামখেয়ালী বলেছেন: গুজব ছিলো। কান দেই নি
৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৪
রকসটারডিমটিবি বলেছেন: @18 All Time Dourer Upor
৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৮
রকসটারডিমটিবি বলেছেন: We all shouting every day for the highest death penalties for few bastards but We don't shout at all for the death penalties of War criminals, Pakistani military forces who killed and raped more Bengali's than these little bastards। THIS IS THE GOLDEN CHANCE>>>> We need to gather more and more crowd to force these Pakistanis to say SORRY for their sins and all alive Pakistanis(Military and Civil who were actively involved with genocide) need to be punished for their crimes.
If you can say Yes with me than spread the word 'We Want All to be hanged'.
PS Any good bengali writer can re-post it in bengali
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
খামখেয়ালী বলেছেন: বাংলা দয়া করে্
৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০২
ইলুসন বলেছেন: আসলেই অন্য রকম ছিল। আমি সাধারণত ব্লগের কারো সাথে দেখা করি না। ওইদিন ছুটে গেলাম কিভাবে ভাবলে অবাক লাগে। অনেক ব্লগারকে দেখে চিনলাম তবে কাউকে নিজের পরিচয় দেই নাই। হামা ভাইকে ওইদিন দেখছিলাম, চিকনা লম্বা। ব্লগার রুদ্রপ্রতাপের উপর আমার শ্রদ্ধা অনেক বেড়ে গিয়েছিল ওইদিন তার এক্টিভিটি দেখে। যাইহোক সব কিছুই বিফলে যাবে যদি এই আন্দোলন শুধু টক শো আর বেলুন উড়ানোতে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
খামখেয়ালী বলেছেন: সহমত
১০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২২
স্বর্গীয় শয়তান বলেছেন: ৪২ বছরের প্রতিশোধের আগুন রক্তে বইছে।
১১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৬
পীপিলিকা বলেছেন: রাজাকার তোর ছাড় নাই,
বীর বাঙালীরা রাজপথ ছাড়ে নাই।
জয় বাংলা।
১২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪৯
স্বপ্নবাজ007 বলেছেন: দারুন
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৬
খামখেয়ালী বলেছেন: অন্য রকম একটি দিন ছিলো
১৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯
শিশু বিড়াল বলেছেন: হতাশার ঘামে যদি বুকের বারুদ ভিজেও যায়, তা নতুন করে জ্বালাতে হবে। কারো ব্যাক্তিগত বা দলগত স্বার্থের প্রকোপে যেন এই আন্দোলন নষ্ট না হয়।
১৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০০
হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: সেদিন যারা ইতিহাসের শুরুতে ছিলেন সমস্ত ভয় ভীতি উপেক্ষা করে, দেশের জন্য ভালোবাসায়, রাজাকারের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণায়-সেইসব সাহসী যোদ্ধাকে আমার স্যালুট!
জয় বাংলা!
১৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: যে সব কর্মসূচী দেওয়া হচ্ছে এখন , তা হাস্যকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ।
তবুও আশায় আছি । +
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৬
খামখেয়ালী বলেছেন: আশায় আছি, থাকবো
১৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
খুব খারাপ লাগে আমরা কি করে এভাবে নিজেদের সত্তাগুলো নষ্ট করে ফেলি।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৬
খামখেয়ালী বলেছেন: হমমম
১৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
দূর্যোধন বলেছেন: ওয়েলকাম ব্যাক,বৃত্ত ।
প্রথম দিন আসলেই বিশেষ কিছু ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
খামখেয়ালী বলেছেন: ঠিক দূর্যো দা।
১৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
সোহাগ সকাল বলেছেন: বৃত্ত ভাই তাইলে ব্লগে আছেন। জানতাম না এতদিন।
১৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
বাংলার পোলা বলেছেন: রাজাকার দেখলে যত না মাথা গরম হয়, তাগো দেশে জায়গা দেয়া মানুষ দেখলে আরও বেশী মাথা গরম লাগে-------সাথে আছি আমৃত্যু
২০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৫
নোমান নমি বলেছেন: তোর এই পোষ্টে কমেন্টস করা হয় নাই। আজকে করলাম এবং প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।মাঝে মধ্যে পড়তে হবে।
২১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৬
মেরেলি নেয়ামুল বলেছেন: অসাধারন দুর্দান্ত । (y)
২২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:২২
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আজ মারামারি হচ্ছে, কে কার আগে এসেছিল, গণজাগরণ কার ব্যক্তি জাগরণ এর ফসল, কার বাপের সম্পত্তি, এটা নিয়ে।
আফসোস, সত্যিই প্রচন্ড আফসোস হচ্ছে দেখে! মানুষের দেশপ্রেম, ভালোবাসা, এটা এখন মানুষ ব্যক্তিগত পারপাস সার্ভ করতে কাজে লাগাচ্ছে।
২৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:৪৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ঠিক জাসদের মত, ডিনামাইটের সলতায় আগুন দিয়ে লক্ষ্যবস্তুর বাইরে ফাটানো।। নেতাদের বক্তব্য আমরা ভুল করেছিলাম।। সেই দাদাভাই আজ কোথায় তাও জানি না।।
২৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫
হায়দার আলী সোহেল বলেছেন: যত দিন বাঁচবো এই ৫ই ফেব্রুয়ারীর কথা এই গনজোয়ারের এর কথা পরবর্তী প্রজন্মকে বলে যা্বো।
২৫| ২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০৮
পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: অমার পরিষ্কার সে দিনটির কথা মনে আছে । দুপুরে লাঞ্চ আওয়ারে রায় হলো । মোবাইল থেকে ফেসবুকের সবার স্টাটাস পড়ে রাগে গা জ্বলছিল । বিকেল হতে হতে সবার ক্রোধ-উত্তেজনাটা টের পেলাম । আর থাকতে না পেরে অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়েছিলাম । সন্ধ্যের দিকে গিয়ে দেখি শাহবাগ উত্তপ্ত স্লােগানে আর আগুনে ।
তারপর আরো অনেকদিনই গেছি । শাহবাগ নিয়ে অজস্র মানুষের সাথে তর্ক করেছি । প্রজন্মের এই জেগে ওঠার, বিপ্লবী হয়ে ওঠা সত্তাটাকে মনে ধারন করেছি ।
অনেক ব্যার্থতার মাঝেও একটাই সান্ত্বনা, ফেসবুক থেকেও যে একটা গণজোয়াড় তৈরি করা যায় এই বিশ্বাসটুকু আজ আমাদের হয়েছে ।কে জানে হয়তো আগামীতে আমাদের সাথে পরবর্তী প্রজন্মের যোদ্ধারা নতুন করে কোন হুংকার ছাড়বে ।
শুভ্রতার প্রত্যাশায় .......
২৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৫০
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: নাইস পোস্ট।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৯
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: স্মৃতিকথন হলো অনেক। যদিও এই স্মৃতিই আমার সম্বল, আমাদের গর্ব। এই স্মৃতিই সাক্ষ্য দেয়, আমার ছিলাম। আমরা ছিলাম জাগরনের মঞ্চে, টক-শো'র স্টুডিও তে না।
কথাগুলো ভাল লাগল, এরকমই হওয়া উচিত, জয় বাংরা