নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমাকে আমার মত থাকতে দাও......

মন কি যে চায়......

ভালোবাসার চিঠি

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৫ম ব্যাচের ছাত্র।

ভালোবাসার চিঠি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণ-কবে শেষ হবে এই প্রহসন??????

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

দিল্লীর জ্যোতি ধর্ষণের শিকার হয়ে মনে হয় সেলিব্রেটিতে পরিণত হয়েছে। কারণ তাকে নিয়ে মিডিয়াতে যে পরিমাণ আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে হয়ত ভারতের শাহরুখ খান কিংবা আমাদের সালমান শাহ অথবা শাকিব খান কে নিয়ে ও হয় নি। সবচেয়ে হৈ-হুল্লোড় হয়েছে ফেসবুকে। এমনকি তাকে বানিয়ে নামওদেয়া হল দামিনী, কেউ আবার দিল আমানাত। মানুষ যে হুদায় চিল্লায়-এ থেকেই বোঝা যায়। অনেকে আবার দার্শনিক হয়ে তাকে নাম দিল ভারতকন্যা। এক দিক থেকে ভারতকন্যা নামটি ঠিকই আছে। কারণ ভারতে ধর্ষণ একটি কমন ব্যাপার। সুতরাং ভারত কন্যা ধর্ষিত হবে এটাই স্বাভাবিক।

আরেকটি দিক, ধর্ষণের শিকার পিতা তার মেয়ের নাম নিজে উল্লেখ করেছেন। এটি একটি বিরল ঘটনা। কারণ এ পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার মেয়ের পরিবার চায় তাকে কিভাবে আড়ালে রাখা যায়। অথচ জ্যোতির পিতা সাহসের কাজ করেছেন। এখন তিনি কি উদ্দেশ্য নিয়ে এ কাজ করেছেন, তা আমার অবাক লাগে। কারণ যে মেয়েকে নিয়ে এত রহস্য তার নাম উল্ল্যেখ করা বিশাল ব্যাপার। মেয়ে ধর্ষিত হয়ে তিনি মিডিয়ায় আসার সুযোগ পেয়েছেন। আবার সেই সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগিয়েছেন। আগে যেখানে তাকে হয়ত মুখ লুকিয়ে হাটতে হত। এখন হয়ত তিনি গর্ব সহকারে হাটতে পারবেন। আমার মতে তিনি ভালই করেছেন। মেয়ে মানুষই তো, তাও আবার চলে গেছে!!!!!!!!!!!!!!!!!

এখন আমাদের দেশের কথাই আসা যাক। আমরা গর্বিত। আমরা আমাদের বন্ধু দেশ থেকে কিছু অন্তত শিখতে পারছি। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি তোমাদেরম অত আমাদের দেশে মা-বোনেরা ধর্ষিত হতে পারে। আমাদের দেশের পুরুষরা পারে ধর্ষন করতে। আমরা বরং একধাপ এগিয়ে আছি। আমাদের মেয়েরা তাদের বান্ধবীদের ধর্ষিত হতে সাহায্য করে। ভাবতেই ভাল লাগে!!!!! তারা আমাদের মত পুরুষদের জন্য কত হেল্পফুল।

সত্যি বলতে কি, যে বাংলাদেশ নিয়ে আমরা গর্ব করতাম। গত কয়েকদিনের ঘটনা বিশেষ করে টাঙ্গাইলের ঘটনা, সাভারের ঘটনা, মিরপুরের ঘটনা আমাদের এমন এক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে যে বাংলাদেষ নাম শুনলে অনেকে আতকে ওঠে।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে এর জন্য কারা দায়ী – নারী না পুরুষ? আসলে দায়ী হচ্ছে আমাদের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন। বর্তমানে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির কারণে আমরা বিদেশি সংস্কৃতি বিশেষ করে পশ্চিমা সংস্কৃতির সংস্পর্শে অনেক সহজে আসতে পারছি। পশ্চিমা দেশগুলোতে ছেলে-মেয়েরা স্বেচ্ছায় সেক্স করতে পারে। আমাদেরও তো এই গুলো দেখে স্বাধ জাগে!!!!!! কিন্তু আমদের সংস্কৃতি তো আর অত উন্নত হয় নি। আমাদের দেশে এখনও ধর্মীয় বিধি বিধান কিছুটা মানা হয়। তবু মন তো আর বাধা মানে না। তাই মনের ইচ্ছা পূরণ করতে ধর্ষণ করতে হয়। এটা আর দোষের কী!!!!!!!!!!!!

সত্যি কথা বলতে কী, যারা এই মানসিকতার অধিকারী তারা মানুষ না অন্য কিছু???????? আমরা এখন কথায় অবস্থান করছি??????????? এটাই কি আধুনিক সভ্যতা?????? এ থেকে কবে মুক্তি পাব???????? এ প্রশ্ন আজ সকলের (তবে ওই সকল জানোয়ারগুলো বাদে)।

বি. দ্র. এটা একান্তই আমার কথা। কেউ মাইন্ড কইরেন না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

মেংগো পিপোল বলেছেন: আমাদের দেশটা যেন কেমন, যখন কিছু আরম্ভ হয় মহামারীর মতন আরম্ভ হয়, কিছু উদাহরন দেইঃ

ইভটিজিং, এমন খারাপ অবস্হায় পৌছালো কিছুদিন আগে যে সরকারও বিব্রত হয়ে গিয়েছিল।
গুমঃ আবারও সরকার বিব্রত, আমরা আতংকিত।
মহানবীকে অবমাননা, এবার আমরা বিব্রত রামুতে আগুন।
ইদানিং আরম্ভ হয়েছে ধর্ষণ, এবার আমরা সবাই বিচার প্রার্থী কিন্তু জেন্ডার বৈসম্ম এবং নারীর পোশাক পরার অধিকার নিয়ে টানা-হেচড়া।
আমি কেবল একটা কথা বলি, একটু কড়া ভাষায়ই বলি,

যারা রেপ কে সমর্থন করে তারা যেমন খারাপ। তেমনি যারা অশ্লীল পোশাক সমর্থন করে তারাও সমান দোষে দুষ্ট।
জনাতে চান কেন?
কারন দুই দলই মজা লয় এক দল চোখ দিয়া আর এক দল শরীর দিয়ে।

View this link

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১১

ভালোবাসার চিঠি বলেছেন: ধন্যবাদ মেংগো পিপোল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.