![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৫ম ব্যাচের ছাত্র।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২১-২৩ জানুয়ারি ৩ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান হয়েছিল টিএসসি প্রাঙ্গনে। কিন্তু কয়েকদিন ব্যস্ত থাকার কারণে এ সম্পর্কে লিখতে পারি নাই। আজ একটু ফ্রি হয়ে লিখছি।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৫০ বছর পুর্তি হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশে সাংবাদিকতা শিক্ষারও ৫০ বছর পূর্ণ হল। তাই এ অনুষ্ঠানের মূল অংশ ছিল সাংবাদিকতা শিক্ষার ৫০ বছর শীর্ষক সেমিনার। আজ আমি এ বিষয়েই লিখছি।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান সময়ের প্রবীন ও বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও লেখক এ বি এম মূসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, ড. সাখাওয়াত আলী খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলাম খান। সেমিনারে তারা সাংবাদিকতা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, সাংবাদিকতা পেশার অগ্রগতি, পেশায় প্রতিবন্ধকতা, উত্তরণের উপায়সহ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
একসময় মনে করা হত সাংবদিকতা কোন শিক্ষার বিষয় না, সাংবাদিকতা হল দীক্ষা নেয়ার ব্যাপার। অর্থাৎ কাজ করে করে সাংবাদিকতার দীক্ষাটি অর্জন করতে হয়। কিন্তু সেই সময়ের পরিবর্তন এসেেছ। বাংলাদেশে ৫০ বছর ধরে সাংবাদিকতার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা চলছে। ৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ৫-৬ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা চালু রয়েছে।
সেমিনারে সূচনা বক্তৃতা দেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলাম খান। তিনি বলেন সাংবাদিকতা শিক্ষার ব্যাপক প্রসার হয়েছে এবং এর মানের উত্তরণও হয়েছে। ১৯৭৯ সালে তিনি যখন এ বিভাগে ভর্তি হন তখন কোন অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন না। কিন্তু ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। সাংবাদিকতা শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, গুণগত মানও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন যে ভারতীয় উপমহাদেশে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা এর ওপর প্রথম পিএইচডি করেন অধ্যাপক গোলাম রহমান।
তিনি সাংবাদিকতা শিক্ষার সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে বলেন অন্যানা সেক্টরে উন্নতির যে গতি দেখা যায় সে তুলনায় আমাদের অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। এডিট প্যানেল ও ক্যামেরার সংকট রয়েছে। প্রতিষ্ঠানিক ও ইন্ডাষ্ট্রির মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে পারলে প্রাতিষ্ঠানিক উন্নতি বৃদ্ধি পাবে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ৫০ বছর হওয়া সত্ত্বেও বিভাগের কোন প্রাকটিস জার্নাল নাই।
এ অবস্থার পরিবর্তনের মাধ্যমে সাংবাদিকতা শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য প্রাক্তনদের অবদান রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেনমাসে অন্তত একটি প্রাকটিস জার্নাল ছাপানের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াপ্রাকটিল বিষয়গুলো যোগ করতে হবে।
তিনি তার বক্তব্যে বাংলদেশের সংবাদপত্রের ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে বলেন নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকারও আগে আমাদের রঙ্গপুর বার্তাবহ, জ্যোতি, হিকিস বেঙ্গল গেজেট নামে ছিল। নিউ ইয়র্ক টাইমসের বয়স যেখানে ১৬১ বছর সেখানে বাঙাগাল গেজেট প্রকাশিত হয়েছিল ১৬৫ বছর আগে এবং সেটি ছিল দক্ষিন এশিয়ার প্রথম সংবাদপত্র। তিনি আরও আমাদের যেহেতু ঐতিহ্য আছে, সেহেতু আমরা আরও সক্রিয় হলে অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারব। আর এর জন্য রেগুলার জার্নালের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশেরবর্তমান সময়ের সবচেয়ে প্রবীন সাংবাদিক এবিএম মূসা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাতষ্ঠাতা আতিকুজ্জামান খান এর সংক্ষিপ্ত বিবরণী এবং সাংবাদিকতা শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ শুরুর কথা বলেন তার বক্তব্যে। তিনি বলেন আতিকুজ্জামান সাহেব বিদেশ থেকে ডিগ্রি নিয়ে এসে পাকিস্তান পোস্ট নামে একটি পত্রিকা ব্যবহার করেন এবং পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তবে তিনি সাংবাদিকতার ওপর নয় বরং সংবাদপত্র ব্যবস্থাপনার ওপর ডিগ্রি নিয়ে আসেন। এছাড়াও তিনি পূর্ব পাকেস্তান ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক ছিলেন। প্রথম অবস্থায় এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা হয়।
এ বি এম মূসা আরও বলেন প্রথম অবস্থায় সাংবাদিকতা শিক্ষার ওপর তার বিতৃষ্ণা ছিল। তিনি এক সময় বলতেন বই পড়ে কি সাংবাদিকতা শেখা যায়।ডাক্তারি শিখতে হলে যেমন হাসপাতালে হাতে কলমে শিখতে হয় তেমনি শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গ্রহণ করে সাংবাদিকতা করা যায় না। কেই যদি চাকরির সাক্ষতকারে বলত যে সে সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে পড়ে এসেছে তিনি বলতেন যা পড়ে এসেছ তা ভুলে যাও। কিন্তু বর্তমানে তার সে ধারণা বদলে গেছে। তিনি বলেন যে সাংবদিকতা শিক্ষার ক্ষেত্রে তিনি যে “না” আরোপ করেছিলেন তিনি তা তুলে নিয়েছেন। এবং তার এই মনোভাব পারবর্তিত হওয়ার কারনে তিনি তার মেয়েকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি করান। বলাবাহুল্য তার মেয়ে ঝুমা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে পাশ করে সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন।
তিনি আরও বলেন সাংবাদিকতা পেশা এখন অনেক ডিজিটাল হয়ে গেছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের কারনে সাংবাদিকতা এখন অনেক উন্নত হয়েছে। মোবইল ফোনের মাধ্যমেও এখন সংবাদ পাওয়া যায়। আধুনিক সাংবাদিকতার সাথে আধুনিক যে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে, তা সাংবাদিকতাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন যখন ১৯৫০ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন তখন সাংবাদিকতা শুধুমাত্র লেখালেখির মধে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানে সাংবাদিকতা শুধু লেখালেখির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, অনেক ক্ষেত্রে তা সাহিত্যে পরিণত হয়েছে।অনেক ক্ষেত্রে সমাজসেবার অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। তবে বর্তমানে সংবাদপত্রে মালিক অত্যাধিক নাক গলায়, যা অনেক সময় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বাধা দেয়। সাংবাদিকতা অনেক ক্ষেত্রে জনসেবার পরিবর্তে ব্যবসায়িক দিকটি গুরুত্ব বেশি পাচ্ছে। সংবাদ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন দেশে বিরাজমান বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন সংবাদপত্র যে সব বিষয় প্রতিদিন আসছে তাতে তা শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের পড়ার উপযোগী হচ্ছে। প্রত্যেক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দল ও তাদের মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশে ক্ষমতার লড়াই অত্যন্ত প্রকট হয়ে গেছে। গণতন্ত্রের কথা বলে রাজনৈতিক দলগুলো ফায়দা লুটছে কিন্তু প্রকৃত গণতন্ত্র কোথাও চোখে পড়ে না।
গণমাধ্যমের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন গণমাধ্যমই পারবে এ অবস্থা দূর করতে। গণমাধ্যমের দ্বারাই মানুষ তাদের ক্ষোভ, মনের কথা প্রকাশ করতে পারে। বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের মতামত জনগণের কাছে পৌছে যাচ্ছে গণমাধ্যম। ফলে গণঅভ্যুত্থানের পরিবর্তে গণমাধ্যমেরদ্বারা মানুষ তাদের আশা আকাক্সক্ষা প্রকাশ করতে পারছে।
তিনি বলেন সাংবাদিকতা শিক্ষার ক্ষেত্রে ইনভেস্টিগেটিং রিপোর্টিংয়ের ওপর গুরুত্বদিতে হবে। তিনি বিভাগের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে বলেন যে যারা সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে সাংবাদিকতা পেশায় যায় তাদের মধ্যে মৌলিক জ্ঞানটা থাকে। ফলে তারা সহজে সাংবাদিকতায় উন্নতি করতে পারে।
সাংবাদিকতা বিভাগের যাত্রা শুরু হয়েছে স্বৈরশাসক আইযুব খানের আমলে। স্বৈরশাসকেরা মুক্তচিন্তার প্রতিবন্ধক হয়। কিভাবে এই সময়ে এই রকম একটি বিভাগের যাত্র শুরু হয়? - সেমিনারের সঞ্চালক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষব রোবায়েত ফেরদৌস এর এ ধরণের প্রশ্নের উত্তরে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খান বলেন আইযূব খানের আমলে এ বিভাগের যাত্র শুরু হলেও মূলত এর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল অনেক আগে। পাকিস্তানের লাহোরে একটি কমিশনও তৈরি করা হয়। লাহোরে তখন সাংবাদিকতা বিভাগ ছিল। এমনকি বাংলাদেশের অনেকে লাহোরে পড়তে যেত। এরই ধারাবাহিকতায় এবং কমিশনের উপদেশে এ বিভাগ চালু করা হয়। আইযূব খানের আমলে শুরু হলেও তিনি আগ্রহভরে এটি করেননি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ মূলত ধারাবহিকতার একটি ফল।
তিনি আরও বলেন সাংবাদিকতা বিভাগ এখন অনেক দূর এগিয়ে গেছে।। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। প্রথম দিকে বিভাগের স্বীকৃতি মেলে নি। কিন্তু সে অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আমাদের যে অগ্রগতি তা নিয়ে খুশি হয়ে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে।
তিনি এ বি এম মূসার সাংবাদিকতা শিক্ষার প্রতি তার “না” তুলে নেওয়ায় তার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন প্রথম দিকে ডিপ্লোমা কোর্স চালু থাকার কারনে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন পেশার লোক এ বিভাগে ভর্তি হত। যে কোন বিষয়ে ¯œাতক হলেই সে ভতি হত পারত।তাই অনেকেই তখস সাংবাদিকতা পেশায় আসেনি। তিনি ছিলেন বিভাগের প্রথম ব্যাচের একমাত্র ছাত্র যিনি পরবর্তীতে সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন। তারপরে দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্রী হাসিনা আসরা (যিনি এখন আর নেই) সাংবাদিকতা পেশায় আসেন।
তিনি আরও বলেন পাকিস্তান আমলে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী সাংবাদিকতা পেশায় যেত না। কিন্তু বাংলাদেশ হওয়ার পরে একটা গণজোয়ার আসে এবং ১৯৭২ সালেই তিনি শিক্ষক হিসেবে এ বিভাগে যোগদান করেন। এরপরে আস্তে আস্তে এ বিভাগের স্বীকৃতি আসতে শুরু করে। যারা আগে বিরোধিতা করত তারাও এখন সহযোগিতা করে। তিনি বলেন কমিউনিকেশন মানে নিজের কথায় অন্যকে আনা। আর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ তা করতে পেরেছে।
তিনি বলেন ১৯৪৭ সালে যখন দেশবিভাগ হয় তখন রাজধানীতে কোন দৈনিক সংবাদপত্র ছিল না। সেখান থেকেই তারা শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে সংবাদপত্র কিছু এল। কিন্তু টেলিভিশন ছিল না। ১৯৬২ সালে যখন তিনি পড়াশোনা করতেন তখনও টেলিভিশন আসেনি। ১৯৬৪ সালে পাকিস্তানে প্রথম টেলিভিশন আসে। বর্তমানে যেমন অনেক টেলিভিশন চ্যানেল নিয়োগকর্তা হয়ে দাড়িয়েছে তখন সে রকম ছিল না। রেডিও-টিভি থাকলেও সত্যিকার অর্থে কোন নিউজ সেকশন ছিল না। তারা সংবাদ সংগ্রহ করত সরকারি সংবাদ সংস্থা তেকে। ফলে তখন রিপোর্টারের দরকার ছিল না। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে বিবিসির সংবাদ দিয়েই চালিয়ে দিত।
তিনি যখন বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন তখন তিনি বিভিন্ন সম্পাদক ও রিপোর্টারদের পার্ট-টাইম শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতেন। তিনি আরও বলেন এ বিভাগের অনেক শিক্ষার্থীই সম্পাদক বা বিখ্যাত রিপোর্টার হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক মেয়েরাও আছে, যার নীতি নির্ধারক পর্যায়ে চলে গেছে। এটি অনেক বড় ব্যাপার।বর্তমানে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিপুল অংশ সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র। ৫০ বছরে আমাদের এই অগ্রগতি।
বিভিন্ন পেশায় ছড়িয়ে রয়েছে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তিনি এ বিষয়ে বর্তমান প্রধান বিচারপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি এবং বিভিন্ন মন্ত্রীর কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “আমরা এখন নিজেদের ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। বিটিভি এখন সংবাদক্ষেত্রে লোক চাইলেই বলে দেয় সংবাদিকতার ওপর ডিগ্রি চায়। অনেক সম্পাদকরা ও চাকরির নিয়োগ ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি সাংবাদিকতা বিষয়ে কথা উল্লেখ করে।
সাংবাদিকতা বিভাগের জার্নালের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন প্রথম দিকে ভিসতা নামে আমাদের একটা জার্নাল ছিল।
তিনি আরও বলেন আমরা এখন অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি। নতুন নতুন যে প্রযুক্তি আসছে তা আমাদের ব্যবহার করতে হবে। বিভাগের সিলেবাসকে সবসময় আপডেট রাখতে হবে। কারণ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত দিক এত বেশি আসছে আমরা যদি চুপ করে থাকে তাহলে পিছিয়ে পড়ব। এ জন্য বিভিন্ন সংস্থার সাথে আমাদের যোগাযোগ রাখতে হবে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, সাংবাদিকতা শিক্ষার ও পেশার মধ্যে সম্পর্ক গভীর। তাই তো সাংবাদিকতা শিক্ষার ৫০ বছর এর সেমিনারে উপস্থিত বক্তারা কাকতলীয়ভাবে ৫ দশকের।
তিনি আরও বলেন সাংবাদিকতা শিক্ষা ও পেশার মধ্যে সংকট রয়েছে। কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় আমদের অবস্থা অনেক ভাল। কারন আমাদের দেশে সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষকেরা বিভিন্ন মিডিয়ার সাথে জড়িত। এছাড়া পরীক্ষা কমিটিতে এক্সটার্নাল অভিজ্ঞ নিয়োগ করা হয়। প্রতি পরীক্ষায় একজন মিডিয়া অভিজ্ঞ কমিটিতে রাখা হয়।তারা তাদের জ্ঞান আদর্শ আমাদের মাঝে ছড়িয়ে দেন। এছাড়া আমদের রিসার্চ ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। আমাদের শিক্ষক-ছাত্ররা বিভিন্ন গবেষণা করেছে। এসব গবেষণার অনেকগুলো আন্তর্জাতিকভাবে পরিচালিত ও স্বীকৃত। অনেক গবেষণাকর্ম আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্œ প্রতিষ্ঠান এমনকি হাভার্ডের সাথে ও আমাদের গবেষণাকর্ম রয়েছে।
তিনি আরও বলেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে আমদের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। ফলে সেসব অধ্যাপক ও গবেষক আমাদেরকে সহযোগিতা করছে।
তিনি আরও বলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র মিডিয়ায় যোগ দিচ্ছে না, বিভিন্ন আন্তর্জতিক কর্মকান্ডেও অংশগ্রহণ করছে। আমাদের বই ও গবেষণা প্রকাশনা রয়েছে। তিনি বলেন আমাদের বইুগলো আধুনিক মানের না। তাছাড়া বইয়ের পরিমান ও সীমাবদ্ধ। সুতরাং আমাদের বই প্রকাশনা বাড়ানো দরকার। তিনি বলেন বর্তমানে অনেক শিক্ষক ও ছাত্র বই প্রকাশনা করছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক।
তবে তিনি বলেন বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী ছাত্র অবস্থায় সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত হয়ে যায়। কিন্তু এ নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে থাকবে না বাস্তব অভিজ্ঞতার অর্জন করবে- এ তিনি প্রশ্ন তোলেন তার বক্তব্য শেষ করেন।
জ্যামিতির কোন সহজ রাস্তা নেই। গণতন্ত্রেরও তেমন কোন সহজ পথ নেই। গণতন্ত্রের শক্তিশালী ভিত গড়ার জন্য গণমাধ্যম কাজ করে। গণমাধ্যমের জায়গা হচ্ছে বহুমতের, বহুকন্ঠস্বরের। গণতন্ত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব দেয়ার মাধ্যমেই সেমিনার শেষ হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
বর্ণচোরা বলেছেন: ওয়েল...