![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৫ম ব্যাচের ছাত্র।
শুনতে কি পাও-প্যারিসের গ্রাঁপিজয়ী চলচ্চিত্র দেখেছিলাম মাস দুয়েক আগে স্টার সিনেপ্লেক্সে। আইলাই আক্রান্ত পরিবারকে নিয়ে তৈরি এ সিনেমাটি মূলত ডকুমেন্টরি ধরণের। এখানে দেখানো হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সব কিছু হারানোর পরেও কিভাবে তারা নতুন প্রত্যয় নিয়ে জীবণ সংসার শুরু করে। চলচ্চিত্রে রাখি-সৌমেন-রাহুল কোন একক সত্ত্বা নয়, বরং তারা সেসব মানুষের প্রতীক, যারা প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে মোকাবিলা করে টিকে থাকে।
চলচ্চিত্রের শুরুতে দেখা যায় আইলায় আক্রান্ত গ্রাম সুতারখালির এক পরিবার, যারা আইলার সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। স্বামী-স্ত্রীর যৌথ প্রচেষ্টায় তারা নতুন ভাবে জীবণ শুরু করতে সক্ষম হয়। রাখী গ্রাম বাংলার মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও সে চাকরি করে সংসারের উপার্জন করে। গ্রামের বাধ তৈরিতে নারী-পুরুষ একসাথে কাজ করেছে, চায়ের দোকানে গ্রামের চেয়্যারম্যান-মেম্বারদের সাথে গ্রামের লোকজন সরাসরি তাদের সমস্যাগুলি নিয়ে কথা বলেছে…… এভাবেই একসময় তারা প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়। রাখী ও সৌমেন নতুন ঘর তৈরি করে। নতুন ঘরে যাওয়ার সময় আবার ঝড় বইতে শুরু করে…… শুরু হয় নতুন গল্প………
চলচ্চিত্রটির সবচেয়ে ভাল লেগেছে বাস্তবতার সাথে মিল আছে। স্ত্রী-স্বামীর উপর অভিমান করে একাকি কেঁদেছে, স্ত্রী চাকরি করে অথচ নতুন মোবাইল কিনতে গেলে স্বামীর অনুমতি নেয়, গ্রামের মহিলারা যখন গল্প করে তখন একে অন্যের প্রেম-ভালবাসা নিয়ে আলোচনা করে………… আবার সব কাজে স্ত্রীকে দোষারোপ করার চিত্রও ফূটে ওঠে।
চলচ্চিত্রে ক্যামেরার ব্যবহার আরও একটু ভালো হওয়া উচিত ছিল, অধিকাংশ সময় কাপা কাপা এসেছে। সাউন্ড শুনতে অনেক সমস্যা হচ্ছিল, কিন্তু এর ভিতর সবথেকে ভাল দিক ছিল বৃষ্টি এবং ঝড়ের সময়ের শব্দ…… যা আরামদায়ক এসি হলের মধ্যেও আমাকে বাস্তবতার সাথে মিশিয়ে দিয়েছিল………………
১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:১২
ভালোবাসার চিঠি বলেছেন: দেখতে পারেন... আশা করি ভাল লাগবে
২| ১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:২৬
ভদ্রতা বলেছেন: খুব ভালু লিখেছু
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখি দেখি করে দেখা হয় নাই এটা। পোস্টারটা ইন্টারেস্টিং ছিলো।