নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমাকে আমার মত থাকতে দাও......

মন কি যে চায়......

ভালোবাসার চিঠি

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৫ম ব্যাচের ছাত্র।

ভালোবাসার চিঠি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কমন জেন্ডারঃ জন্মই যাদের আজন্ম পাপ

২১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদুল হক ও সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী এর সৌজন্যে দেখলাম কমন জেন্ডার চলচ্চিত্রটি, তাও আবার পরিচালক নোমান রবিনের সাথে বসে। যদিও অনেকে চলচ্চিত্রটিকে কমন জেন্ডার টেলিফিল্মের সাথে মিলিয়ে ফেলে, আসলে কমন জেন্ডার চলচ্চিত্র আর কমন জেন্ডার টেলিফিল্ম পুরাই ভিন্ন। এখন চলচ্চিত্রের কাহিনী সম্পর্কে কিছু বলি……



চলচ্চিত্রটি মূলত তৈরি হয়েছে তাদের নিয়ে যারা আমাদের সমাজে সবচেয়ে অবহেলিত, যারা না পুরুষ – না নারী, যাদের আমাদের সো কল্ড সমাজে স্বীকৃতি নেই, যারা পরিচিত হয় হিজড়া, শিখন্ডী প্রভৃতি নামে। চলচ্চিত্রটি শুরু হয় একটি আইটেম গান দিয়ে, যখন বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে আইটেম গানের সূচনা হয় নি। আর গানটি ছিল একটি বিয়ে অনুষ্ঠানে। সেখানে পরিচয় হয় সুষ্মিতা(হিজড়া) ও সঞ্জয়ের। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মাঝে কে বা কারা সঞ্জয়ের মোবাইল ছিনতাই করে। সুষ্মিতা তার দলের সাহায্যে তাদের প্রতিশোধ নেয়। এক্সময় সুষ্মিতার মাঝে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। সে ভাবে সে যদি মেয়ে হত, তাহলে সঞ্জয়ের সাথে প্রেম করতে পারত। আবার সঞ্জয়ও সুষ্মিতাকে দেখে স্বপ্নের ভালবাসার নারীর সাথে কল্পনা করে।কিন্তু সে যখন সুষ্মিতা কে তার বাবা-মায়ের সাথে পরিচয় করাতে নিয়ে যায়, তখন তারা সুষ্মিতাকে অবজ্ঞা করে, তার একমাত্র কারণ সে হিজড়া। এ কষ্ট সইতে না পেরে সুষ্মিতা আত্মহত্যা করে।



কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয়ঃ



সুস্মিতার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রটি শেষ হতে পারত, কিন্তু হিজড়াদের কষ্টের চিত্র অসম্পূর্ণ থাকত, পরিচালক শেষে দেখান কিভাবে সে তার পরিবার থেকে বিতাড়িত হয়।

চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে দেখানো হয় হুজুররা হিজড়াদের সাথে গিয়ে তাদের বাড়িতে যাওয়ার দাওয়াত দিচ্ছে, যা আসলেই পজিটিভ মনোভাবের সৃষ্টি করে।

হিজড়ারা কিভাবে জীবণ-যাপন করে, কিভাবে একদল-অন্যদল থেকে আলাদা থাকে তা এই চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে।

হিজড়াদের আলাদা একটি সংস্কৃতি আছে, তা এই চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে।

কিভাবে নতুন হিজড়া দলের সাথে সংযুক্ত তা এখানে দেখানো হয়েছে।

সবশেষে বলা যায়, সমাজের এই অবহেলিতরা কতটা কষ্টে জীবন-যাপন করে তা দেখে যে কারোরই চোখে পানি চলে আসতে পারে। কিন্তু পরিচালক সেই সাথে শিক্ষক আর বন্ধুদের সামনে তো আর কাঁদা যায় না……… হাজার হলেও একটা বিষয় আছে না……

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০০

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: এমসিজে নাকি?

২১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

ভালোবাসার চিঠি বলেছেন: হুম......

২| ২১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭

শুঁটকি মাছ বলেছেন: এই মুভিটার অনেক নাম শুনছি। দেখা লাগবে।

২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:২০

ভালোবাসার চিঠি বলেছেন: সম্ভবত ঈদের পর হলে মুক্তি দিবে

৩| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১৫

আরজু পনি বলেছেন:

সিনেমাটা দেখতে হবে...

লেখাটা দুইবার এসেছে...

ধন্যবাদ, শেয়ার করার জন্যে ।।

২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৩০

ভালোবাসার চিঠি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৪| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:০৭

মোঃ শিলন রেজা বলেছেন: সিনেমাটার ব্যাপারে খুব শুন্তেছি। দেখা লাগবে, বাংলাদেশের ফিল্ম জগগের নিজস্ব কাহিনিতে ছবি বানানো উচিত, পারশবতি দেশের কাহিনি কে এনকোড করার প্রয়োজন তো দেখি না।

২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪১

ভালোবাসার চিঠি বলেছেন: ঠিক বলেছেন......

৫| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১:০৮

দার্শনিক লেখক বলেছেন: Valo post

২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:৫৫

ভালোবাসার চিঠি বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.