নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.সমাজ নিজস্বতাকে প্রশ্রয় দেয় না।। তবু ও নিজ প্রশ্রয়ে নিজস্বতা যৌগিক হয়। যৌগিক নিজস্বতাই মৌল নিজস্বতা- ক্রমশ পরিবর্তনশীল।

খাটাস

অস্তিত্ব আর অনস্তিত্ব সব কিছুই সুত্র মেনে চলে। সুত্র যেখানে, সুত্র স্থাপনে সৃষ্টির প্রসঙ্গ সেখানে। দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়ার সুত্র অজানা হলেও, তা সৃষ্টি তত্ত্বের বাহিরে নয়।

খাটাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

চৈনিক লোকগাঁথা..। আপনার ভবিষ্যতের সন্তানের জন্য নিজে একবার পড়ে দেখতে পারেন.।।।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৭

অনেক কাল আগে যখন সব কিছু সৃষ্টি হয়, তখন পৃথিবীতে সূর্য উঠে দিন এর সূচনা হউয়া শুরু করল। আর রাত এ চাঁদ উঠত। ক্রমে ক্রমে পৃথিবী মানুষ এ ভরে গেল। সব কিছু স্বাভাবিক ভাবে চলতে লাগলো। সূর্য এর আলোয় মানুষ সারাদিনের কাজ কর্ম করত, সূর্য যখন পশ্চিমের কাছাকাছি ডোবার অপেক্ষায় থাকত, ক্লান্ত মানুষ জন ঘরে ফেরা শুরু করত আপন জনের কাছে। সূর্যের নিজের ও খুব ভাল লাগত। কিন্তু প্রায় মাঝে মাঝে ডুবে যাওয়ার সময় সে চাঁদ কে দেখতে পেত। চাঁদের প্রতি সূর্যের ভাল লাগা সৃষ্টি হয়, চাঁদ কে সূর্য ভালবাসতে শুরু করে। এভাবে মাঝে মাঝে নিজের উদয় হউয়ার সময় সূর্য কে দেখতে দেখতে চাঁদ ও তাকে ভালবেসে ফেলে। কিন্তু লজ্জায় কিছু বলত পারে না। একদিন সূর্য ডোবার মুহূর্তে চাঁদ এর দেখা পেয়ে যায়। সূর্য চাঁদ কে দেখে কেন যেন আবেগ আপ্লুত হয়ে বলে ফেলে নিজের ভালবাসার কথা। সূর্যের ভালবাসার প্রস্তাবে চাঁদ লজ্জায় উজ্জ্বল হতে থাকে, ধীরে ধীরে সূর্যের কাছে আসতে থাকে। সূর্য ও বুঝতে পারে যে চাঁদ ও ওকে ভালবাসে। এক অদ্ভুত আনন্দে সূর্য ও যেন উত্তপ্ত হতে থাকে। সে ধীরে ধীরে চাঁদের কাছাকাছি যেতে শুরু করে। এদিকে পৃথিবীর মানুষ সূর্যোদয়ের সময় দেখে চাঁদ এর সূর্য পরস্পরের কাছকাছি আসতে শুরু করেছে। চাঁদ সূর্যের মিলিত টানে পৃথিবী তে নদনদী, সমুদ্রে জোয়ার ওঠে। প্লাবিত হউয়া শুরু হয় জনপদ। পানিতে ভেসে যেতে মানুষ। তাদের আর্ত চিৎকার এ পৃথিবী প্রকম্পিত হতে থাকে। মানুষ সাহায্যের জন্য সৃষ্টি কর্তা কে ডাকতে থাকে।

এসময় হথাত চাঁদ আর সূর্যের ভ্রম ভাঙ্গে। পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে প্রবল জোয়ার দেখে তারা দ্রুত নিজের নিজের জায়গায় চলে আসে। এই অল্প সময় এ জোয়ার এ অনেক মানুষ ডুবে মারা যায়। চাঁদ, সূর্য দুজনেই হতবাক হয়ে যায়। চাঁদ কাঁদতে কাঁদতে সূর্য কে বলে ,যে আমাদের ভালবাসায় মিলন সম্ভব নয়। আমরা শুধু সামান্য কাছাকাছি আসতেই পৃথিবীতে প্রলয় শুরু হয়েছে, কত মানুষ তাদের আপনজন হারিয়েছে। অন্নের ভালবাসা কে কষ্ট দিয়ে কখনও নিজের ভালবাসা তার পক্ষে সম্ভব নয়। কারন প্রকৃত ভালবাসায় কখনও কাউ কে কষ্ট দিতে হয় না। সূর্য। আমি ও তোমাকে সত্যি ই ভালবাসি। তাই কখনও তোমার কাছে যাব না। দূর থেকে আমার উদয় এর সময় শুধু তোমাকে দেখে যাব চিরকাল। " সূর্য এর খুব কষ্ট হয় চাঁদের কথা মেনে নিতে। চাঁদ কে ছাড়া সে কিভাবে থাকবে বুঝতে পারে না। কিন্তু পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের ভালবাসা যেন বেঁচে থাকে, সেজন্য সূর্য ও মেনে নেয় চাঁদের কথা।

এর পর কোটি কোটি বছর চলে গেছে। চাঁদ আর সূর্য এখন পরস্পর কে ভালবাসে। মাঝেই মাঝেই সূর্যের অস্তের সময়, আর চাঁদের উদয় এর সময় পরস্পরের দেখা হয়। যা একটা নির্দিষ্ট দিন পর পর। এসময় তারা পরস্পরের দিকে তাকিয়ে থাকে নিরুপায় হয়ে , যদি ও তাদের ভালবাসায় কোন খাত নেই। তবু ও অন্নের ভালবাসার জন্য তারা নিজেদের ভালবাসা কে মিলন এ রুপ না দিয়ে দীর্ঘকাল থেকে নিজে দের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

অপেক্ষা শুধু কখন দেখা হবে আর একটি বার।



ভালবাসা সত্যি হলে ও সব সময় মানুষ সেই ভালবাসা কে মিলন এ রুপ দিতে পারে না, হয় ভাগ্যের রহস্যময় রেখার কারনে। তবু ও মানুষ ভালবেসে যায়। আমি যদি ও ভালবাসার নাম এ উন্মত্ত খেলা পছন্দ করি না, কিন্তু ভালবাসা কে শ্রদ্ধা করি। আমাদের যুগের যে অবস্থা, তাতে না জানি পরবর্তী প্রজন্মে কি হবে?? আমি আমার ভবিষ্যৎ সন্তান কে (:P)কখনও ভালবাসায় হিংস্র, বিসন্ন, মাদকাসক্ত বা ভালবাসার নাম এ উন্মত্ত খেলায় মেতে উঠতে দেখত চাইবো না। তাই তার জন্য একটা বেক্তিগত প্রাচীন লোকগাঁথা লিখে রাখলাম।

পুরো গল্প তাই নিজের লেখা ও কাল্পনিক, কার ও অনুভুতি তে কষ্ট দেয়ার জন্য নয়। কেউ অনিচ্ছাকৃত কষ্ট পেয়ে থাকলে, আন্তরিক ভাবে ক্ষমা প্রার্থী।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪০

htusar বলেছেন: ভএল

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

খাটাস বলেছেন: হুম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.