নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অস্তিত্ব আর অনস্তিত্ব সব কিছুই সুত্র মেনে চলে। সুত্র যেখানে, সুত্র স্থাপনে সৃষ্টির প্রসঙ্গ সেখানে। দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়ার সুত্র অজানা হলেও, তা সৃষ্টি তত্ত্বের বাহিরে নয়।
সকাল থেকেই ব্লগ এ শাহাবাগ এর সমাবেশের পোস্ট গুলো পড়ছিলাম। মন কেমন জানি করে উঠল সমাবেশে যাওয়ার জন্য। কিন্তু পরক্ষনেই ভাবলাম, আজ হরতাল এর দিন। কোন ঝামেলা হয় কিনা কে জানে। রাজাকার বিরোধী আন্দোলন এ যেয়ে যদি আমি মরে যাই, কেও শহিদ ও বলবে না, আবার দেশপ্রেমিক ও বলবে না। এমন কি জামাত আমাকে তাদের লোক বলে ও দাবি করতে পারে। কার ও কিছু আসবে না তাতে। শুধু আমার বাবা মার সারা জীবনের চোখের পানি দিয়ে যাব যদি আমার কিছু হয়। এমন কি হয়ত রাজনিতির প্যাঁচে পরে শিবির কর্মী এর সাইনবোর্ড পেয়ে পরিবারের জন্য আজীবন এর কলঙ্ক রেখে যাব। এসব ভাবতে ভাবতে আমার ফ্লাট মেটদের ( ব্যাচেলর ফ্লাট) বললাম শাহাবাগ এ যাব। ওরা বলল যে বাবা মা এত টাকা পয়সা খরচ করে প্রাইভেট ভার্সিটিতে পরাচ্ছে এসব সমাবেশে যেয়ে মরার জন্য না। তখন আমার ও আগের ভাবা কথা গুলো মনে হল। তবু ও নিজে কে খুব ছোট মনে হচ্ছিল। বাসায় ফোন দিয়ে আম্মু কে বললাম যে আমি শাহাবাগ এ যাব। আম্মু ভয় পেয়ে বলল কি দরকার যাওয়ার? যেন যুদ্ধে যাচ্ছি। আমি জানি সব মা তার সন্তানের নিরাপত্তার কথা সবার আগে ভাববে। তারপর ও আম্মু বলল। আছছা যাও। আমি তাড়াতাড়ি খেয়ে চারটার দিকে বের হলাম। মাথায় অনেক কিছু ঘুরপাক খাচ্ছিল। কার ও সাথে তো যাচ্ছি না। নিজের বিবেক থেকে যাচ্ছি। না জানি কি বিপদ হয়। তবু ও ভাল লাগছিল যে দেশের টান এ বের হচ্ছি। শাহাবাগ এ পৌঁছে ই একটা স্লোগান শুনলাম, " ফাসি, ফাসি, ফাসি চাই। রাজাকারের ফাসি চাই ।" সব শ্রেণির মানুষ এক সাথে সে স্লোগান দিচ্ছিল। ছেলে মেয়ে সবাই পাশাপাশি। মন এ এক অদ্ভুত আনন্দ হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল যে এরা সবাই বাঙালি। এক আত্মা। সবাই আমার ভাই বোন। এমন সুন্দর অনুভুতি আমার তেইশ বছরের জীবনে কখন ও হয় নি। আমি নিজে থেকেই একাই সে স্লোগান এ শরিক হয়ে গেলাম। কিন্তু তখন মাঝে মাঝে আর একটা স্লোগান শুনলাম, " জয় বাংলা, জয় বঙ্গ বন্ধু। " যদি মুল মঞ্চ থেকে এক বার ও এ স্লোগান শুনি নি। মাঝে মাঝে বিভিন্ন ছোট ছোট দল থেকে এ স্লোগান আসছিল। আমি জানি স্লোগান টা ও আমাদের মুক্তি যুদ্ধের , আমাদের আত্মার। কিন্তু এ স্লোগান তো এখন আওয়ামি লিগের সম্পদ। আওয়ামি লীগ এর সমর্থক রা কি তাহলে রাজাকার এর এই পরিকল্পিত রায় মেনে নিতে পারে নি? নাকি অন্য কোন উদ্দেশে আমাদের বিক্ষোভ এ এসেছে। আমি বুঝতে পারছিলাম না। আমার কিছু কিছু সময় মনে হচ্ছিল যে আমি কি আওয়ামি লীগ এর সমাবেশে আসলাম?? কিন্তু আমি তো আওয়ামি লীগ এর ডাকে আসিনি। এসেছি আমার মনের ডাকে। আমি সাধারন বাঙালি। কোন নোংরা দলের সমর্থক নই। আমি আমার দেশ কে ভালবাসি। আমি রাজাকারের ফাসি চাই। তাই মাঝে মাঝে এই হীনমন্যতায় ভুগলেও ও আমি থেকেছি রাত পর্যন্ত। একা, আমার অনেক অপরিচিত বাঙালি ভাই দের সাথে। কিন্তু আমাদের বিক্ষোভ তো কোন দলের পক্ষে না। আমাদের আত্মার কথার পক্ষে। তবে এ নিয়ে ও তো মনে হল রাজনিতি শুরু হয়েছে। আমাদের বিক্ষোভ ও কি এই রাজনিতি কেড়ে নিয়ে যাবে? আমাদের কি করা উচিত? নিজে কে খুব অসহায় লাগে তাই মাঝে মাঝে। অনেক জ্ঞানী ব্লগার আছেন এখানে। আমাকে উপায় টা বলে দিন।
আমার পোস্ট টা সম্পূর্ণ আমার বেক্তিগত উপলব্ধি। ভাল লেখক নই, তাই শব্দ চয়ন এ ভুল হতে পারে। ভুল অর্থ দাড়াতে পারে, ক্ষমা করে দেবেন।
শুধু শেষ কথা একটাই,
"হাসিনা-খালেদা কাও কে চিনি না,
ফাসি, ফাসি, ফাসি চাই...।
রাজাকারের ফাসি চাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৫
বিশ্বাস০০৭ বলেছেন: দেখুন !! ২/১ তা মিছিলে কেবল আওয়ামীলীগ এর শ্লোগান শুনা গেছে । কিন্তু বাকি সবাই রাজাকারদের ফাসি চেয়েছে । ওখানে সরকার দলীয় অনেক লোক ছিল । তা হয়তো ছাত্রলিগ একটু আওয়াজ দিয়েছিল