![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অস্তিত্ব আর অনস্তিত্ব সব কিছুই সুত্র মেনে চলে। সুত্র যেখানে, সুত্র স্থাপনে সৃষ্টির প্রসঙ্গ সেখানে। দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়ার সুত্র অজানা হলেও, তা সৃষ্টি তত্ত্বের বাহিরে নয়।
এই যে ভাই, আমাকে চিনতে পেরেছেন? আমি হরং। পিতা আরব্য রজনীর গল্পের বিশেষ ভক্ত ছিলেন, বিধায় এক বাদশাহের সাথে মিলিয়ে পুত্রের নাম রেখেছিলেন হারুনুর রশিদ। সাথে পূর্ব পুরুষের লালিত প্রামাণিক উপাধি নামের শেষে যুক্ত হইয়া হারুনুর রশিদ প্রাং কৌতুকপ্রিয় লোকের ভালবাসায় ঈষৎ সংক্ষেপিত হইয়া হরং অবয়ব পাইয়াছে।
তো বাল্যকালে বাংলা পরীক্ষার প্রশ্ন পত্রের প্ররোচনায় সকলে খাতায়, নিকট অতীত গলঃধিত শিক্ষা বমি করে, হরং দা গ্রেট আমি সেখান থেকেও শিক্ষা লাভ করেছিলাম,
" সাধু ভাষা ও চলিত ভাষা মিশ্রণ অমার্জনীয় অপরাধ। "
আমার আশে পাশের মানুষের নিজ নিজ প্রাপ্ত শিক্ষা প্রয়োগ দেখে এত বেশি মুগ্ধ হয়েছি যে, এই ক্ষুদ্র রচনায় আমি ও তাহাদের মত নিজ লব্ধ শিক্ষা মানিয়া চলিব বলিয়া মন স্থির করিয়াছি।
এবার মুল ঘটনায় আসি। একবার নিজের কিছু গচ্ছিত টাকা দিয়ে আলু স্টক করেছিলাম। অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে কৃত্রিম আলুর সংকট সৃষ্টি করে আলুর দাম বাড়িয়ে দিলে; আমি শতভাগ মানবিক উপায়ে আমার স্টক করা আলু বেশি দামে বেচিয়া স্থুল অংকের মুনাফা করিয়াছিলাম। আমি আবার ধর্ম কর্ম নয় জনকল্যাণ ও মহান মানবিকতায় বিশ্বাসী।
এক সাথে এত টাকা পেয়ে অসংযত অসামাজিক খরচে সব টাকা শেষ করে ফেলেছিলাম। মেজাজ টা এত বেশি খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, থানায় গিয়েছিলুম নিজের নামে মোকদ্দমা করিতে।
থানায় অফিসারের কাছে সবিস্তারে খুলে বলতেই তিনি আমার মত তরল পাবলিকের কাছে থেকে আমার মত কঠিন পাবলিকের বিরুদ্ধে মামলা নিতে চাইলেন না। আমার মুনাফার টাকার উপভোগ রস অফিসার সাহেব ও স্থানীয় নেতাবাড়ি যাতায়াতের সুবাদে কিঞ্চিত লাভ করিয়াছেন। স্বভাবতই তিনি আমাকে কঠিন পাবলিকের কঠিন বন্ধুবর মনে করেছেন।
কি আর করা, আমার প্রদত্ত; শিক্ষিত চক্ষুর অন্তরালকৃত টাক্যরসে তাহার হৃদয় আদ্র হইলে মোকদ্দমা তুলিবার খাতাও আমার মত কঠিন পাবলিকের বিরুদ্ধে কলমের সহায়তায় ক্ষুব্ধ হইয়া উঠিল।
পেপার পত্রিকায় হাহাকার পড়িয়া গেল। মার্কেটিং গুরু রা ও হইত সন্দেহ করিবেন, আমি বিভিন্ন পত্রিকার সাথে আতাত করিয়া তাহাদের কাটতি বাড়াইতে এই ফন্দি আঁটিয়াছি।
নানা পত্রিকার হেডিং গুলো ও ছিল মাইন্ড সিকার টাইপ।
" সততার প্রবাদ প্রতিম পুরুষ, নিঃস্বতার হাহাকার, আমাদের মাঝে এবার আসছেন অতি বুদ্ধিমান নেতা, বিশ্বে প্রথমবারের মত কিংকর্তব্যবিমুঢ় বিচার ব্যবস্থা, আত্ত নিন্দন জনপ্রিয়তা, পাগলের প্রলাপে উৎসাহী বিচারবিভাগ - ইত্যাদি ইত্যাদি।
লোকে একটার বেশি দুইটা পত্রিকা পড়ে না। তাই নানা জনে নিজ নিজ পাঠ্য পত্রিকার সপক্ষে বিপক্ষে নানা গোত্রে বিভক্ত হইয়া দেশ ও জাতির সংকট মোচনে সুদৃঢ় বক্তব্যে একে অন্যের সাথে মনমালিন্য বাড়াইতে লাগিল।
এদিকে আমি আছি ফ্যাসাদে। নিজেকে বাঁচাইতে মোটা টাকা খরচা করে উকিল ধরতে হল। উকিল বাবু শিক্ষকের মত আমাকে নানা রুপ অসত্য শিখাইয়া দিলেন।
উকিল বাবু কইলেন, " মা লক্ষি আপনার মাঝে বিরাজ করে আমার দিকে প্রসন্ন হইলে, ভগবান ও আমার মাঝে বিরাজ করে আপনার সংকট মোচন করবে অবশ্যই।"
অন্যদিকে, নিজেকে মোকদ্দমায় জিততে আমাকে আবার উকিল ধরতে হল। পূর্ব অভিজ্ঞতার কারনেই বুঝলাম, উকিলেরা একই আইন পুস্তক চাটিয়া গতরে কাল গাউন চড়াইবার অধিকার লাভ করিয়াছেন।
উকিল বাবু ও আগের জনের মতই ধর্মপ্রাণ। আমাকে আশ্বস্ত করলেন, " চিন্তার কিছু নাই ভাই সাহেব। আল্লাহপাক ভরসা। আপনি শুধু আমার পেটের দিকে খেয়াল রাখবেন, আর তোতা পাখির মত যা শিখাইছি আওড়াইবেন। দেখেন আমরাই জিতব।"
যথারীতি পুলিশ বাবুদের ডজন ডজন কাগজ পত্রের সাথে চা বিড়ি খরচা হইয়া মোকদ্দমা আদালতে উঠিল।
লোকে লোকে লোকারণ্য আদালত। কেও আমারই পক্ষ নিয়া আমারই বিপক্ষে আন্তআলাপচারিতা করছিল। আবার কেও আমারই বিপক্ষ নিয়া আমার ই পক্ষে ভিন মতের গোত্রের সহিত মশার দন্দ করিতেছিল।
ধর্মাবতার আসনে বসলে বায়ুবেগে আলাপ চলতে লাগল। পক্ষ নিয়া উকিল বাবুর মস্তিস্ক প্রসুত কথা গুলো ছুড়ে দিলাম। আবার বিপক্ষ নিয়া আরেক উকিল বাবুর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিলাম।
দুই উকিলে প্রবল বাক্যযুদ্ধ চলতে লাগল।
দুই পক্ষই সাক্ষাত অবতার সম শক্তিমান। কেও কারো চেয়ে কম নয়। জজ সাহেব পরবর্তী তারিখ দিলেন।
সময়ের সাথে যে গচ্ছিত ধন আর মানুষের আগ্রহের ক্রমান্বয় বিলুপ্তি হয়; তা নিজ পকেট আর আদালত প্রাঙ্গণের মানুষ দেখিয়া নিজে নিজেই সক্রেটিসের নিজ জানার মত শিখিয়া নিলাম।
যদি ও আমার ব্যক্তিগত তথা পারিবারিক জীবন কে আমি রচনা থেকে সযতনে আড়াল করেছি। তথাপি এটুকু বলা আবশ্যক মনে করি, মানব প্রদত্ত জীবন নিয়ে আমার মোকদ্দমা আমার কলেজ গামি সন্তানের চেয়ে ও বয়সে কিছু অগ্রজ হইয়াছিল। আর পরিবারকে অধিকাংশ সময় নিরামিষ খেয়ে দিন কাল কাটাইতে হইতেছিল; কারন মোকদ্দমার মত নিরীহ সন্তান একাই হস্তি সম ভরণ পোষণ শোষণ করিতেছিল।
আজ আমার বৃদ্ধ মোকদ্দমার রায়। কিন্তু পূর্বজ শিক্ষার আংশিক ভুল ধরা পড়ল। যদি ও আমার ধন কমতির ধারা বজায় থাকিল, তদাপি আজ মানুষের বাসি আগ্রহ পূর্বাপেক্ষা তিন- চার গুন বাড়িয়া নব যৌবন লাভ করিল। আদালত প্রাঙ্গণের কানায় কানায় যৌবন ছটা উত্রিয়া শোভা পাইতেছিল। বোধ করি প্রাঙ্গণের বাহিরের শোভা ও কম চিত্তাকর্ষক নয়।
জজ সাহেব বিরাজ হইলেন। জলতলের ন্যয় নিরব নিঃশ্বাসের গমগম শব্দে ঘোরের মত রুপ নিল আদালতের ভিতরের প্রাঙ্গন।
মোকদ্দমায় এ যাবত কালের সামগ্রিক যুক্তিতর্ক, সাক্ষ্য-প্রমাণ আইন দ্বারা ব্যবচ্ছেদ করিয়া ধর্মাবতার রায় পাঠ শুরু করিলেন।
আমার মত অজ্ঞের অবোধগম্য বিজ্ঞ বিজ্ঞ বিশ্লেষণ বর্ণনা শেষে আমাকে মানসিক ভারসাম্যহীন আখ্যা দিয়া মানসিক চিকিৎসালয়ে আরোগ্য লাভের নিমিত্তে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হইল।
আদালত প্রাঙ্গনে মশার দন্দ মাছির দন্দে রুপ নিল।
আমি বুঝতে পারলাম না, আমার জয় হল নাকি পরাজয় হল। তবু ও বিজ্ঞ আদালত আমার চেয়ে কোটি গুন বেশি বোঝেন, যাহা আমাদের মত সাধারন মানুষের বোঝার সাধ্য নাই ভাবিয়া সান্ত্বনা পাইবার চেষ্টা করিতেছিলাম। তবে সেখানেই অনেক সাধারণের মন অঙ্কিত মুখানুভুতিতে কারো হাসির রেখা, কারো দুঃখের রেখা দেখিয়া মনে হল, তারা আমার মত মূর্খ নন বলিয়াই বিষয় উপলব্ধি করিয়াছেন।
যদি ও মোকদ্দমা পূর্ব কালে যাহাদের পেছনে আমার লভ্যাংশের অর্থ ধন্য হইয়াছে, মানে আমার পরিচিত নেতাকূলের; বিরোধী দলিয় পরিচয় প্রকাশ করিতে হইয়াছে। আবার সেই অফিসার সাহেবের টাক্য রসে আংশিক স্নানের কথা ও বলিতে হইয়াছে। তবু ও সরকার বা বিরোধী দল বিজ্ঞ আদালত কে প্রভাবিত করিতে পারেন, এমন নিষ্ঠুর, জঘন্য, অমানবিক, নিতিহিন, বিবেকবর্জিত, বুদ্ধিহীন মিথ্যা অপ প্রচার যদি কেও কোন দুরভিসন্ধিতে করে থাকে- অবশ্যই তাকে অভিসম্পাত করিব। প্রাণ থাকিতে বিশ্বাস করিব না।
উদ্ভট মস্তিস্কের উদ্ভট গল্প ভাবনার সাথে অতীত বা বর্তমানের স্থান, কাল, পাত্র, প্রতিষ্ঠান এমনকি কোন সৃষ্টির মিল নাই। থাকলে লেখক দায়ি নয়। নিতান্ত কাকতালীয় ভাবিতে হইবে।
ইহা নিছক একটি গল্প রচনা চেষ্টা মাত্র।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫
খাটাস বলেছেন: হাসান ভাই তেমন কিছুই নাই। আউলা চিন্তা ভাবনা। কিন্তু একটু মনোযোগ রাখতেই হবে, না হলে সম্ভবত বোঝা যাবে না।
আপনার মূল্যায়নে গল্পের ভুল ত্রুটির শিক্ষা পাই। সময় হলে পড়ে মন্তব্য জানায়েন/
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কি আজব চিন্তা ভাবনা রে ভাই। ওএমজি তে দেখছিলাম একজন গডের নামে মামলা করিয়াছেন। আর আপনি নিজের নামে নিজেই???
এটি নিছক গল্প লেখার চেষ্টা হইলেও নিছক গল্প হয়নি। ভেতরে অন্য কিছু আছে। সেটাকে কি আপনার ব্যর্থতা নাকি স্বার্থকতা বললে খুশি হইবেন??
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪
খাটাস বলেছেন: মৃদুল ভাই আপনি এই উদ্ভট রচনা পড়েছেন আমি এতেই খুশি।
আসলে ভাই, গল্প তো আমার কাছে লেখা দিয়ে ছবি আঁকা। বড় বড় লেখকদের ছবি দেখে আমরা শিখি।
আর কি বলব ভাই, যে দিন কাল ভেতরের কথা ভেতরে রাখাই ভাল।
কৃতজ্ঞতা ভাই।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২০
খাটাস বলেছেন: মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কি আজব চিন্তা ভাবনা রে ভাই। ওএমজি তে দেখছিলাম একজন গডের নামে মামলা করিয়াছেন। আর আপনি নিজের নামে নিজেই???
একটা কথা বলতে ভুলে গেছিলাম ভাই, আমি না আমার গল্পের নায়ক হরং নিজের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল।
৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮
আমিনুর রহমান বলেছেন:
মাথা ব্যাথা করছে। তোর গল্প পড়ে আরো একটু বাড়লো। আরো ২/১ বার পড়ে দেখতে হবে তবে যদি কিছু বুঝে আসে
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬
খাটাস বলেছেন: হাহাহা ভাই কাল রাতে কিছু হিসাব করে রাখছিলাম, আজ সেই হিসাব মিলে গেছে দেখলাম। তাই নিজের মাথা ব্যথা যাতে আমরা নিজেরাই বৃদ্ধি করতে পারি, অন্যের সুযোগ না থাকে- তাই এই ব্যবস্থা।
৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭
সুমন কর বলেছেন: সমসাময়িক ঘটনার আড়ালে কিছু সত্য উপস্থাপন রসালো করে তুলেছ। মনে হচ্ছে আজকের রায়ের প্রতিবাদ স্বরুপ তোমার এই গল্প বলা।
ভালো বলেছ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১
খাটাস বলেছেন: মানুষের গোপন অনুভুতি নাকি তার মাঝেই প্রকাশ পায়। আমার ও হয়ত পায়। কিন্তু কোন অনুভুতি প্রকাশ পেয়েছে জানি না। জানতে চাই ও না। বেশি জানতে চাওয়া ও নিজের বিপদ।
আর সুমন দা, আপনার মন্তব্য সব সময়ই বিশেষ ভরসার স্থল আমার। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা দাদা।
অনেক দিন পোস্ট দেন না। নতুন পোস্ট দেন।
৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রতিগল্প প্রতিগল্পের মতই হয়েছে । লেখাটির দ্বিতীয় কি তৃতীয়
পাঠ আবশ্যক ।
হাস্যকর ও কাস্যকর হেয়ালিকুঠার দিয়ে বাস্তবতাকে টোকা দিয়ে দেখানো - দেখো
এই ত চলে , সাপ হইয়া দংশাও তুমি অঝা হইয়া ঝাড়ো ।
আমি বুঝতে পারলাম না, আমার জয় হল নাকি পরাজয় হল।
-আমরা বুঝতে পারিনা আবার এই বাস্তবতার ভেতর
বুঝতেও চাই না - তাতে যে নিজের কাছেই ফাঁকি !!
- সবাই এখন সক্রেটিসের মতই - নিজেকে জানে ।
ঘরের ভেতর থেকে উকি দিয়ে বলি -
৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৯
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রতিগল্প প্রতিগল্পের মতই হয়েছে । লেখাটির দ্বিতীয় কি তৃতীয়
পাঠ আবশ্যক ।
হাস্যকর ও কাস্যকর হেয়ালিকুঠার দিয়ে বাস্তবতাকে টোকা দিয়ে দেখানো - দেখো
এই ত চলে , সাপ হইয়া দংশাও তুমি অঝা হইয়া ঝাড়ো ।
আমি বুঝতে পারলাম না, আমার জয় হল নাকি পরাজয় হল।
-আমরা বুঝতে পারিনা আবার এই বাস্তবতার ভেতর
বুঝতেও চাই না - তাতে যে নিজের কাছেই ফাঁকি !!
- সবাই এখন সক্রেটিসের কথামোতাবেক- নিজেকে জানে ।
ঘরের ভেতর থেকে উকি দিয়ে বলি - ভাল আছি , বেশ আছি দাদাঠাকুর । কোথাও কিছু বলি নাই ।
তুমি রিয়েলি খাটাস
হাহহ , ভালা থাইকো ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৫
খাটাস বলেছেন: হাহাহা আপনার মন্তব্য একটু বেশি ই সিক্ত করে আমারে মাহমুদ ভাই। মাথার ভিতরে কাল রাইত থেকে আউলা ঝাউলা চিন্তা ঘুরতেছিল, তাই ভাবলাম আজ লিখে রাখি, লাভের চিন্তা নাই। আবার ক্ষতি নাই।
এখন আছি আপনার গল্পের অপেক্ষায়। তয় যত দিন মন চায় নেন, নিজের মনের সময়েই লিখেন।
আপনি ও অনেক ভাল থাইকেন ভাই।
৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১০
মামুন রশিদ বলেছেন: আউলা ঝাউলা মনে হলেও মোক্ষম ইঙ্গিত বুঝিতে খুব বেশি আক্বেলমান্দ হওয়ার দরকার নাই । বাংলা সাহিত্যে এক সময় 'প্রহসন' লেখার ধুম পড়িয়াছিল । অনেককাল পর একখানি উত্তম প্রহসন পড়িলাম ।
++
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১০
খাটাস বলেছেন: যদি ও প্লট গত রাতের ভাবা, তবু ও আজ কে নানা অর্থ বের করা যায় দুর্ভাগ্য বসত। তবে নিতান্তই কাকতালীয়।
প্রহসন ব্যাপার টা ঠিক বুঝি না। তবু ও আপনার ভাল লাগায় ভাল লাগছে প্রিয় মামুন ভাই। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ফেবুতে না থাকায় জানতে দেরি হয়েছে, ৩৯৪ এর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। একটা খানা পাওনা থেকে গেল কিন্তু।
৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মেজাজ টা এত বেশি খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, থানায় গিয়েছিলুম নিজের নামে মোকদ্দমা করিতে।
থানায় অফিসারের কাছে সবিস্তারে খুলে বলতেই তিনি আমার মত তরল পাবলিকের কাছে থেকে আমার মত কঠিন পাবলিকের বিরুদ্ধে মামলা নিতে চাইলেন না।
আহা! উনারা যদি এমনটা বুঝিতেন, উনাদের যদি এমন বোধোদয় হইত, তাহলে আমরা বাঁচিয়া যাইতাম।
(মন্তব্যে উল্লেখিত "উনাদের" সাথে অতীত বা বর্তমানের পাত্র, প্রতিষ্ঠান এমনকি কোন সৃষ্টির মিল নাই। থাকলে এই বোকা পাঠক দায়ী নয়। নিতান্ত কাকতালীয় ভাবিতে হইবে।
ইহা নিছক একটি কমেন্ট করার চেষ্টা মাত্র।
)
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮
খাটাস বলেছেন: হাহাহা কমেন্ট পড়ে বুঝলাম, আমার এই রচনা চেষ্টা কত খানি তাল গোল পাকায়ে গেছে। :#>
উনারা মানে আমি ও সত্যি ই বুঝি নি।
তবু বোকা ভাইএর কমেন্ট করার চেষ্টায় আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাদরে গ্রহণ পূর্বক সাধুবাদ জানান হল/
৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪০
এহসান সাবির বলেছেন: ইহা নিছক একটি গল্প রচনা চেষ্টা মাত্র।
উদ্ভট মস্তিস্কের উদ্ভট গল্প ভাবনার সাথে অতীত বা বর্তমানের স্থান, কাল, পাত্র, প্রতিষ্ঠান এমনকি কোন সৃষ্টির মিল নাই। থাকলে লেখক দায়ি নয়। নিতান্ত কাকতালীয় ভাবিতে হইবে।
গল্পের নাম ও তারিখ টা তো জোস!!!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪১
খাটাস বলেছেন: কমেন্টের প্রথম অংশে ঝাঁঝাল সহমত সাবির ভাই।
কমেন্টের নিচের অংশ নিয়ে এভাবে তো ভাবি নি। :#>
অশেষ শুকরিয়া। :!>
অনেক শুভ কামনা রইল সাবির ভাই।
১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪০
আবু শাকিল বলেছেন: পড়লাম।
পড়ে মনে হচ্ছে কোথাও পুরুটা বোঝে গেছি আবার আবার যায়গায় এসে মাথা আঊলাইয়া গেছে।
আর কিছু কিছু যায়গায় পড়ে থেমে ছিলাম ।বোঝতে চাইলাম লেখা টা তে কি বোঝানো হইছে।
প্লিজ খাটাস আমাকে উদ্ধার করেন।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩
খাটাস বলেছেন: হাহাহা শাকিল ভাই ক্ষম অপরাধ, রচনা চেষ্টায় যাতনা বাড়িয়ে দিয়েছি।
আসলে বিষয় টা কিছু দুই পক্ষের ক্যাচাল, আবার দুই পক্ষই আমার। এইটাই প্যাঁচ লাগছে।
আশা করি, এবার বুঝছেন ভাই। ক
মন্তব্যে নানা অনুভুতি প্রাপ্ত হলাম, কৃতজ্ঞতা।
১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮
Professor সাহেব বলেছেন: কি বর্ননা করিয়াছেন ভাই সাহেব ?
আমার ন্যায় অতি ধুরন্দর মানুষের মস্তিস্কে ইহা কোন ভাবেই বোধগম্য হইল না। তবে হ্যা ভাই সাহেব, নিজের ন্যায়মত পড়িয়াছি। যাহা ইচ্ছা ভাবিয়া লইয়াছি।
অতঃপর যাহা বুঝিতে পারিয়াছি তাহাও আমারই ন্যায় ধুরন্দর এবং অধম প্রকৃতি রুপ।
তবে হরং সাহেবের ন্যায় আমারও নিজের উপর একখানা মামলা করিবার ইচ্চা জাগিয়াছে।
ভালো থাকিবেন ভাই সাহেব, আপনার জন্য উপহার রহিয়াছে। দেখা হইবে ইনশাআল্লাহ।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০১
খাটাস বলেছেন: হাহাহা তুমি ঠিক ই বুঝবা প্রিয় Professor।
তবে যেটা ইচ্ছা সেটা ভেবে নিলেও খুব বেশি ক্ষতি নেই।
হরং সাহেবের ন্যায় নিজের উপর একখানা মামলা করিবার ইচ্চা জাগা বড় বিপজ্জনক। মোকদ্দমা বড়ই ফ্যাসাদের জিনিস, বিরাট চোষক= সব ই শুষিয়া লয়।
উপহার দেখার জন্য আগ্রহ সহকারে অপেক্ষায় থাকলাম, অবশ্যই দেখা হবে ইন শা আল্লাহ।
তুমি ও সেই পর্যন্ত ভাল থাক।
১২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: "উনারা" যদি না বুঝেন তাইলে কেম্নে কি?
"তবু বোকা ভাইএর কমেন্ট করার চেষ্টায়......" আমি কিন্তু মাইন্ড খাইলাম। বোকা বইল্লা আমার কি কমেন্ট করারও যোগ্যতা নাই আমার
অ.ট. উনারা বলিতে দেশের মাথা, জনগনের ব্যাথা, বিশিষ্ট সমাজসেবীরা যাহারা রাষ্ট্র নামক যন্ত্রকে চালাইয়া লইয়া যাওয়ার মহান ব্রত লইয়াছেন।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৪
খাটাস বলেছেন: হাহাহা না ভাই, আপনি নামে বোকা, আর আমি তো স্বভাবে বোকা।
হাজার হাজার কমেন্ট করুন, উদগ্রীব হয়ে পড়ব।
ধন্যবাদ জানিবেন বোকা ভাই উনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।
অনেক ভাল থাকবেন প্রিয় ভাই।
১৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২২
কলমের কালি শেষ বলেছেন: মাথা ধরার মত লেখা । মাথায় আরো কিছু এন্টেনা যোগ করে যা বুঝতে পারলাম তা হল, সততার জগৎ কিভাবে নিভৃতে অপরাধ জগতের সাথে মিলে অপরাধবোধ হারায় আর নানামুখি মিড়িয়ার রোষানলে আম জনতার পথভ্রষ্টতার কথা বুঝিয়েছেন বলে মনে হয়েছে । তবে আমার এন্টেনার সিগনাল ভুলও হতে পারে ।
কঠিন ভাবের লেখা ।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৭
খাটাস বলেছেন: কালি ভাই, আপনার চমৎকার বিশ্লেষণী মন্তব্যে আপনি খুব ই সহজ করে, আমরা গল্প রচনা চেষ্টার মুল টোন টা ফুটিয়ে তুলেছেন। আমাকে কি লিখেছি, জিজ্ঞাসা করা হলে আমি ও এত ভালভাবে বোঝাতে পারতাম না।
এন্টেনার সিগনাল ভুল নয় ভাই, বরং অনেক শক্ত।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন কালি ভাই।
নিক টা কিন্তু পাঙ্খা।
১৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: পূর্ব অভিজ্ঞতার কারনেই বুঝলাম, উকিলেরা একই আইন পুস্তক চাটিয়া গতরে কাল গাউন চড়াইবার অধিকার লাভ করিয়াছেন।
হা হা ।
খুব ভালো হয়েছে। বেশি বেশি মামলাবাজির ফল এমনই হয় ।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৯
খাটাস বলেছেন: তনিমা আপু অনেক দিন পর আপনাকে দেখে খুব ভাল লাগছে।
সময়ের অভাবে আপনার সেই চমৎকার গল্প গুলো ও পড়তে পারি না। পড়ার ইচ্ছা রইল।
অনেক অনেক আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন সুন্দর মন্তব্যে।
১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আইনের জটিল বিষয় , ভাল লাগল ।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১০
খাটাস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন সুপ্রিয় বন্ধু।
শুভ কামনা রইল অনেক।
১৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৮
ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: িক িলখ েলন?
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১১
খাটাস বলেছেন: ইকবাল ভাই, আমি একটি গল্প লেখার বৃথা চেষ্টা করেছি মাত্র।
বিশেষ শুভেচ্ছা মন্তব্য করার জন্য।
১৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪
জাফরুল মবীন বলেছেন: গল্পে যে প্যাঁচ লাগাইছেন তা কেবল এদেশের কতিপয় রাজনীতিবিদদের বেলায় প্রযোজ্য বলে মনে হয়।এ গল্প পড়ার পর নিজের নিক পাল্টাইয়া “বোকা মানুষ মন্তব্য করতে চায় না” রাখতে ইচ্ছে করছে
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১০
খাটাস বলেছেন: হাহাহা মবীন ভাই, গল্প তো লেখকের মনের অন্তর্নিহিত চিন্তা ভাবনা। আর আমার বিশৃঙ্খল চিন্তা ভাবনা। রাজনীতি বিদ দের নামে কিছু বলা আর মনে করা নিষেধ আছে।
আর কি দরকার নিক চেঞ্জের? আপনারে আর বোকা ভাই রে একে অন্যের মাল্টি বলতে পারে দুস্ট লোকে
অনেক ভাল থাকবেন প্রিয় ভাই।
১৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৭
সুমন কর বলেছেন:
অ.প.: তোমাকে দেখে একটা প্রশ্ন করলাম, অামি অামার ব্লগে টুকতে পারছি না। ইরর দেখায় !!
কিন্তু মন্তব্য করতে পারছি। তোমার কি অবস্থা??
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪০
খাটাস বলেছেন: কাহিনী তো বুঝলাম না সুমন দা। আমার তো সব ই ঠিক আছে। কোন পোস্ট দেয়া যাচ্ছে না?
১৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২২
খেলাঘর বলেছেন:
সাবলীল, গতিশীল; বংকিম চন্দ্রের কথা মনে পড়লো।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪৩
খাটাস বলেছেন: হাহাহা কি যে বলেন ভাই, কই শেখ সাদি আর কই.।.।.।।।
আপনার মন্তব্য টি অনেক বেশি অনুপ্রেরনা হিসেবে নিচ্ছি, আমার লেখার মানের জন্য নয়, আমার ভাবনার জগতের জন্য।
অনেক ভাল থাকবেন।
২০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১০
বিষের বাঁশী বলেছেন: খেলাঘর বলেছেন:
সাবলীল, গতিশীল; বংকিম চন্দ্রের কথা মনে পড়লো।
আমার ও তাই মনে হয়েছে
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫
খাটাস বলেছেন: হাহাহা বাঁশি আপু আপনি ও। :!>
ক্ষুদ্র এ লেখার প্রচেষ্টায় আপনার মন্তব্য ও অনেক বড় অনুপ্রেরণা হয়ে রইল।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আপু। ভাল থাকবেন।
২১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২০
বিষের বাঁশী বলেছেন:
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৬
খাটাস বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: মনোযোগ আসতাসে না। কিছুই বুঝি নাই।