নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
( ৭ই সেপ্টেম্বর ২০০৪ সালে গল্পটি এ নামেই যায়যায়দিনে প্রকাশিত হয়।গল্পের থীম নিয়ে প্রচ্ছদ হয়।এরপর হাজারো পাঠক জানতে চায় বিন্টুর কি হয়েছিলো। আজ অনেকদিন পর মনে হলো গল্পটি নিজের ব্লগে লিখে রাখি)
চার বছর আগে জীবনের অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আমার আমেরিকা আগমন, মানুষ যাকে স্বপ্নের দেশ বলে। কিন্তু জীবনে শুধু ওপরে ওঠার সিঁড়ি খুঁজতে গিয়ে এতো ব্যস্ত ছিলাম যে আসলেই এ দেশ স্বপ্নে মোড়া কিনা তা বুঝে ওঠার ফুরসত হয়নি।আমার একাডেমিক ডীন আমাকে বলেন-
হু আর ইউ?
আমি কোনো ভণিতা না করেই বলি, মিস্টার জেমসন, আই এম জাস্ট এ্যা মেশিন।
আমেরিকানরা যেখানে পয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ ঘন্টা কাজ করে হাঁপিয়ে যায় সেখানে আমি প্রায় ষাট ঘন্টা কাজ,ফুলটাইম স্কুল, হোম ওয়ার্ক, প্রজেক্ট করে সত্যিই এক মানবিক মেশিন হয়ে গিয়েছিলাম। আমার সব ইমোশন,ভালো লাগা সব কিছু সমুদ্র সৈকতের নুড়ি পাথরের মতো বিশাল ঢেউয়ের নীচে হারিয়ে যাচ্ছিল ।
এবার সামার ভেকেশান শুরু হতেই আমি মনস্থির করে ফেললাম।আমাকে বারবার কেন যেন সমুদ্রের বিশাল জলরাশি আর নীলাকাশ দুর্নিবার আহবানে ডাকছিলো। আমারও মন চাইলো, এ যান্ত্রিক জীবন থেকে বিচ্যুত হয়ে কিছুদিনের জন্য খোলা আকাশ আর নীল সমূদ্রের পাশে যাবো। সুখকে একান্ত আপন করে মন্থন করবো নিজের মতো করে। পরিকল্পনা মাফিক কাজ।
সাত দিনের মাথায় আমি ও আমার জাপানীজ বন্ধু খাতসুমি আমেরিকান ওয়ে ক্রুজ ভেকেশানেরে সাথে কন্ট্রাক্ট করে ভিসা আর মাস্টারকার্ডের সহায়তায় ডিসনি ওয়ান্ডার নামের ক্রুজ শীপে চড়ে বসলাম। আমার মনে এক অভিভূত অন্তহীন সমুদ্রের উদারতার মতো প্রশান্তির ছায়া। আটলান্টিকের নীল ঢেউয়ের মাঝ দিয়ে মন্থর গতিতে এগিয়ে চলছে আমাদের জাহাজ। ছয় দিন সাত রাতের ভ্রমনের শুরু।
জাপানীজ চোখ ছোটওয়ালাটা সারাক্ষণ শুধু অটো পার্টসের ডেভেলপমেন্ট আর গনক যন্ত্রের ব্রেইনের রহস্য নিয়ে ব্যস্ত।আমি বলি, শালা, টাইনি আইজ, তুই এসবই যখন করবি তাহলে চারশ পচাত্তর ডলার খরচ করে এখানে আসলি কেন?
সে আমার দশ কথার জবাব দেয় মাত্র এককথায়। বলে,
দোস্ত, আমারতো আসার জন্যই আসা।আমেরিকানরা যেদিন হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে বোমা ফেলে তারপর থেকে আমাদের আর কোনো আবেগ নাই।বোমার প্রতি কোনো নেশা নেই, তবে নিজের সৃষ্টি দিয়ে পৃথিবীর শাসনের এক দূর্নিবার ভালোবাসা আছে।
আমি আমার ক্যাবিন থেকে বের হয়ে বাইরে এসে দাঁড়াই।পুরো শিপটাই যেন এক বেপোরোয়া আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। এ যেন পৃথিবীর বাইরের অন্য এক পৃথিবী।এর সাথে যেন বৃদ্ধ পঙগু ইয়াসিন যখন ইসরাইলি মিসাইলে মারা যায়,কোনো যুদ্ধের ময়দানের নিরাপরাধ শিশুর মাথার খুলি বোমার আঘাতে ওড়ে যায়, মানবতাবাদী সভ্যতার ফেরিওয়ালারা গুয়ান্তানামোতে বন্ধিদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় কিংবা নিকোলাশ বার্গের ধড় থেকে মাথা আলাদা করা হয় প্রভৃতির সাথে যেন কোনো সম্পর্ক নেই। আমার মন যেন কেমন বিষন্ন হয়, এক কোনে আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকি।
এতোদিন পর এ অখন্ড অবসরে বারবার দেশের কথা মনে পড়ছে। শৈশবের বন্ধী প্রজাপতি যেন বুকের ভিতর শিশু সূর্যের মতো নরম আলো জ্বেলে হাসে।
আমার ফেলে আসা অতীত আমাকে যেন প্রচন্ড গতিতে হিজল শিরীষ মায়াবি সবুজের কচি ঘাসের প্রান্তরে ডাকছে। আমার খুব কাছেই আরেকটি পরিবার।দেখি উনিশ থেকে বিশ বছর বয়সের এক তরুনী।কথায় কথায় আমাদের গল্প বেশ জমে ওঠে।আমার বিশেষ কোনো গুন নেই, তবে একটি মাত্র বিশেষগুনের জন্য আমি অনেকের প্রিয় হয়েছি, তা হলো, আমি অত্যন্ত মনোযোগি আর মুগ্ধ শ্রোতা হতে পারি।
ওরা হলো ভেনিজুয়েলার অধিবাসী। আর বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান মেয়েটি।কিন্তু যে কথা শুনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলামনা, সেটাই শুনতে হলো আমাকে মেয়েটির মায়ের মুখ থেকে।বিন্টু'র আর বেশিদিন নেই এ পৃথিবীতে। অন্ধকার খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছে।
ক্লান্তি, ভয় আর হৃদয় রক্ত ক্ষয়ের গ্লানি নিয়ে আমি রুমে ফিরি।বন্ধু খাতসুমি তার সৃষ্টি নিয়ে ব্যস্ত।আটলান্টিকের ঢেউ কোথায়,কিভাবে, কাকে আঘাত হানছে এর কোনো খবরই নেই।পরদিন পড়ন্ত বিকালে কি যে এক আকর্ষণ আমাকে টেনে এনে সেখানে দাঁড় করায়। কিছুক্ষণ পর বিন্টু আসে। আজ ও একা। হালকা নীল ড্রেস পরা। চোখ দুটোতে যেন মায়ায় ভরপুর। মনে হচ্ছে মা হারা দুখি পাখি নীড় থেকে যেন শূন্যে ছিটকে পড়ছে।আমাদের আন্তরিকতা আরো বাড়ে।এই ক্রুজে এসে মনে হচ্ছে -এই ভ্রমণ বিলাসের সংগে আমার আরো কোনো সম্পর্ক নেই। প্রবালপন্জর সবুজ গাছের পাতা যেন বৃন্তচ্যুত হয়ে ঝড়ে পড়ছে।আমি যেন এক সম্মোহনে মায়াজালে বন্দি হয়ে আছি।
আর মাত্র একটি রাত।তারপর, বিন্টুরা চলে যাবে নিউইয়র্কে, আর আমি চলে আসবো আমার সেই যন্রণাময় বন্দী নিবাসে। বিন্টুকে বলি,
বিন্টু, তোমার সাথে এ আকস্মিক পরিচয় আমার জীবনে এক মহা মূল্যবান ধন,সম্পদ, সম্পত্তি হয়ে রইলো।
কিন্তু বিন্টুর কথার তীক্ষ্নতায় আশ্চর্য না হয়ে পারিনা।
সে বলে, ধন সম্পদের মাঝেতো সব সময় দামের বিষয়টি এসে পড়ে।আর সেখান থেকে লাভ-ক্ষতির দরকষাকষি,তারপর মন কষাকষি ,এরপর মন কষাকষি থেকে শুরু হয় বিচ্ছেদ।না বাবা, আমি দূরারোগ্য ব্যধি সইতে পারবো, কিন্তু বিচ্ছেদ সইবার ক্ষমতা জিসাস আমাকে দেন নি।
মনে মনে বলি, বিন্টু । তাতো আমি আমার নিজের চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি। তোমার কি অসাধারণ সহ্য করার ক্ষমতা! মরণ ব্যধি তোমার শরীরে বাসা বেঁধেছে। পৃথিবীর সবাই জানে , শুধু তুমি জানোনা। আসলে তুমি আমার সম্পত্তি না, সম্পদ না , ভালোবাসাও না।আমি কোনো কিছুর সাথে তোমার তুলনা ও করতে চাইনা। কারো মন নিয়ে খেলা করার মতো কাপুরুষও আমি না।
কারণ আমার মনকে যখন থেকেই আমি বুঝতে শিখেছি ঠিক তখন থেকেই খুব বড় বেশী ইনোসেন্ট একুইটেড একটি মেয়ে আমার মনে আসন পেতে বসে আছে।পৃথিবী তোমার সাথে বড় বেশী বিট্রে করেছে,আমি তার কি করতে পারি। তোমার গল্পের সাথী হয়েছি, খোলা আকাশের নীচে এই অপার নীলিমায় সমুদ্রের ওপর বিনিদ্র রজনী উপভোগ করেছি যদি তোমার মনে এতটুকু শান্তি আসে।কিন্তু আমার জীবনের নোঙরতো আমি অনেক আগেই বুড়িগঙার তীরে বেঁধে এসেছি। তাই তোমার সাথে পরিচয়ের এ সমস্ত স্মৃতি আমার জীবনে কন্টিনজেন্ট লায়াবিলিটি হয়ে রয়ে গেলো।
পয়তাল্লিশ ডিগ্রী কোন নিয়ে জাহাজ দাঁড়িয়ে আছে। মনে হচ্ছে সমস্ত পৃথিবীর ওপর আকাশ প্রশান্তির ছায়া ফেলেছে, শুধু বিষাদের ছায়া পড়েছে আমার মনের ওপর। বাংলার নিভৃত পল্লীর আটপৌরে ঘরের দুখের সাথে জীবন ঘষে ঘষে যার চলা সেই আমি আমার অজান্তেই কোন মায়ায় জড়িয়ে যাচ্ছি।
দূর আকাশে তারা ফুটছে একটি দুটি করে। মায়ামির আকাশর পূর্নিমা চাঁদ আটলান্টিকের নীল জলে যেন চুপটি করে বসে আছে।রাত নিশ হচ্ছে ক্রমশই। আকাশে আকাশে তারা। তারায় তারায় ভরে গেছে সমস্ত আকাশ।
বিন্টুর সব কথাতেই যেন আজ বাজছে বিষাদের সুর। বলে, আকাশে এতো এতো তারা।তারপরও কোনো কোনো তারা খসে পড়ে তাইনা।
আমি বলি, আকাশে খসে পড়া তারার কথা বাদ দাও। আমার স্মৃতিতে তুমি যে তারা হয়ে থাকলে তা কখনো খসে পড়বেনা।তোমাকে প্রথম যেদিন দেখি,আকাশ নীল, সমূদ্র নীল, আর নীল ড্রেস পরে তুমি এলে। নীলের যে কি অপূর্ব পারমিউটেশান।
বিন্টু বলে, তুমি সব কিছুতেই নীল দেখলে। কিন্তু আমার দুখের রঙ, বেদনার রঙ, তীব্র হাহাকারের রঙ যে নীল তাতো তুমি দেখলে না???
রাত হাঁটছে শামুকের মতো ভোরের দিকে আর মৃত্যু এগিয়ে আসছে ভোরের হাত ধরে বিন্টুর দিকে।সৃষ্টির কি রহস্য, বিধাতার কি খেলা। কাল যে ভোর হবে সেটা সবাই জানে, কিন্তু কার জীবনে যে মৃত্যু কীভাবে নেমে আসছে তা কেউ জানেনা, কেউ না।
আমাদের ক্রুজের শেষ লগন ঘনিয়ে এলো।পরদিন খাতসুমিকে হার্টসফিল্ড এয়ারপোর্টের দিকে সী অফ করে কীসের নেশায় যে আমি জেএফকে এয়ারপোর্টের দিকে পা বাড়ালাম কিছুই জানিনা।ফেলে আসা বন্ধুদের দেখার আশায় নাকি বিন্টুর শেষ বিদায়ের মুখচ্ছবি আরেকবার দেখতে জানিনা।
টাইম স্কয়ারের পাশে বিন্টুরা আমার জন্য অপেক্ষা করছিলো।বিন্টুকে দেখেই আমি ওদের ন্যাটিভ ভাষায় বলি,
বিন্টু গুসতো এন বেরতে, তু এরেস মুই বনিতা।
অলিভ গার্ডেনে একসাথে রাতের খাবার শেষ করে আমরা যখন ফরটি সেকেন্ড স্ট্রীট ধরে হাঁটছিলাম তখন রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা।
বিন্টুর মায়ের একান্ত ইচ্ছায় শ্বেতাঙগ পটুয়া বিন্টুর ছবি আঁকছে ফুটপাথে বসে। মনে মনে বলি, পৃথিবী আর বেশিদিন বিন্টুকে ধরে রাখতে পারবেনা। পটুয়া তুমি তোমার কাগজের চিত্রপটে আর আমি আমার হৃদয়ের চিত্রপটে বিন্টুর প্রতিচ্ছবি চিরদিন ধরে রাখবো।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৭
খেয়া ঘাট বলেছেন: ঠিক বলেছেন, এরই নাম জীবন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৭
শের শায়রী বলেছেন: মুগ্ধতা থেকে গেল।
ভাল থাকুন ভাই।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০০
খেয়া ঘাট বলেছেন: সবিনয় ধন্যবাদ।
৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ,২০০৪ বলেই বোধ হয় মিস করে গেছি, আপনি পোস্ট না করলে, এত চমৎকার একটা গল্প থেকে বঞ্চিত হতাম
প্রিয় লেখক , আপনার জন্য শুভকামনা ...
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: সবিনয় ধন্যবাদ।
৪| ০১ লা মে, ২০১৩ সকাল ১০:২২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ভাবছিলাম জলিল দাদার হৃদয় ভাঙগা ঢেউ সিনেমার রিভিউ। পরে বুঝলাম গল্প! ভাল হইসে লেখাটা!
০১ লা মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
খেয়া ঘাট বলেছেন: Na re bhai Nayok Jolil movie korar onek agei ei likha. Thai kobe chapa hoyechilo shei tarikhta dilam. Onek dhonnobad
৫| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১:৪৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: একটা অনুরোধ রইল .........।।
আপনি যদি সময় করে, আপনার সব পুরনো লেখা গুলি পোস্ট করতেন , পাঠক দের জন্য .........।।
আগ্রিম ধন্যবাদ জানিয়ে গেলাম ......।
শুভ রাত্রি ...।
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ২:৪১
খেয়া ঘাট বলেছেন: পাঠকতো সবেধন নীলান্জন- ঘুরে ফিরে তিন চারজন।
এক লেবুর শরবত প্রথমে লবণ দিয়ে, তারপর চিনি দিয়ে, তারপর গুড় দিয়ে,তারপর মধু দিয়ে, তারপর ককটেল বানিয়ে .........আর কত?
তারপর ,আপনার আগ্রহ প্রকাশের জন্য ব্যাপক ধন্যযোগ।
৬| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:৪০
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
"হৃদয় ভাঙগা ঢেউ- প্রেমের ছোট গল্প" টা আমরা যারা পড়িনি তাদের কি হবে?
ঐ গল্পটাকি সামুতে পোস্ট করা যায় না?
ভাল লেগেছে। প্লাস।
০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১:৫৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: এই গল্পইতো এখানে পোস্ট করলাম।
আপনাকে ধন্যবাদ।
৭| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ৩:০৪
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
"এরপর হাজারো পাঠক জানতে চায় বিন্টুর কি হয়েছিলো"
এই কথাটাতে বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। ভেবে ছিলাম পূর্বের কোন পর্ব ছিল।
০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ৩:৫৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: বিভ্রান্ত করার জন্য দুঃখিত।
৮| ০৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
না পারভীন বলেছেন: তুখোড় গল্প ,
ধন্যবাদান্তে ,গুটিকয় নিয়মিত পাঠকের একজন ।
০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: অবশেষে আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক খুশী হলাম। সবিনয় ধন্যবাদ।
৯| ০৯ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৪০
কালোপরী বলেছেন: সুন্দর
০৯ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:১৬
খেয়া ঘাট বলেছেন: সবিনয় ধন্যবাদ।
১০| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩
খেয়া ঘাট বলেছেন: In every 15 seconds there is a robbery in USA
১১| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:০৫
ঐশীকা বলেছেন: Majhe majhe mone hoy jibonta emon keno...onek valo laglo
১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:১২
খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে সবিনয় ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৪
বাংলার হাসান বলেছেন: হুমম! এরই নাম বোধ হয় জীবন।