নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্প- মানবকুকুর( মারাত্মক সংবেদনশীল গল্প-কঠোরভাবে ম্যাচিউরড পাঠকদের জন্য)

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৮

দৈনন্দিন ক্যাচাল আর ভালো লাগেনা।তাই ঝামেলা শেষ করেই আসলাম।এখন,গাড়িতে বসে চিন্তা করছি বাড়ী যাবো কিনা। কেন যেন আজ বাসায় যেতে মন চাইছেনা। ড্রাইভারকে বললাম, পার্কের সামনে নামিয়ে দিয়ে গাড়ী নিয়ে চলে যেতে।



আমি হেঁটে হেঁটে মোটামুটি একটা ছায়া ঢাকা নির্জন গাছের নীচে এসে বসি। হঠাৎ কে যেন বলে ওঠলো-

স্যার, ভালো আছেন?

আশেপাশে দেখি । না কেউ নেই। ভুল শুনলাম না তো।

আবার, কিছুক্ষণ পর। স্যার , ভালো আছেন?

এবার একেবারে স্পষ্টই শুনলাম। কোনো ভুল নাই।

আমি আবার চারদিকে থাকাই। না, কাউকে দেখছিনা।

তবে- আমাকে স্যার বলে সম্বোধন করলো কে?



এই যে স্যার , ওপরের দিকে থাকান।



আমি ওপরের দিকে থাকাতেই চমকে ওঠলাম। গাছের ডালে আরাম কেদারার ওপরে বড় আয়েশ করে একটা কুকুর বসে আছে।



আমার মাথা ঘুরতে থাকলো। এ হতেই পারেনা। আমি হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছি। নিশ্চয় আমি উদ্ভট কোনো স্বপ্ন দেখছি। আমি হাতের থালু দিয়ে চোখ মুছি। আঙুল দিয়ে শরীরে চিমটি কাটি। না কোনো স্বপ্ন নয়।



কি স্যার , বিশ্বাস হচ্ছেনা? একটা কুকুর গাছের মগডালে আরাম কেদারায় বসে কথা বলছে।এতো স্যার, বিশ্বাস না হওয়ারই কথা।



এমন সময় দেখি পাশে এক হকার। হেঁকে হেঁকে কচি ডাব বিক্রি করছে। আমি ২০ টাকা দিয়ে মাথা ঠান্ডা হওয়ার জন্য একটা ডাব কিনি।



কুকুরটি এবার ওপর থেকে বলে ওঠে,

আপনি কি স্যার ডাবের পানি খেলেন, নাকি কুকুরের মুত খেলেন? আজকে যে এতো বড় অপরাধ করে আসলেন, তাতে তো আপনার কুত্থার গু খাওয়া দরকার। একবারে তাজা গু। কিছু নিজে খাবেন, আর কিছু নিজের বউকে খাওয়াবেন।



এবার আমি সমস্যা ধরতে পারলাম, আমার ভিজ্যুয়াল এবং অডিটরি হ্যালুসিনেশান দুটোই একসাথে হচ্ছে। এটা খুব বিরল প্রজাতির একটা রোগ। পৃথিবীর .০১% ও কম মানুষের এ সমস্যা হয়। কিন্তু আমার তো এ সমস্যা হওয়ার কথা না। যারা সাধারণত নিদ্রাহীন রাত কাটায় দিনের পর দিন তাদের এরকম সমস্যা হতে পারে।



আমি বুঝলাম এখানে আর বেশিক্ষণ বসে থাকা ঠিক হবেনা। ড্রাইভারকে ফোন করে হাঁটা শুরু করলাম পার্কের গেটের দিকে।



হঠাৎ খেয়াল হলো,ডাব কিনে ওয়ালেট থেকে টাকা দিয়ে সেটা আর পকেটে রাখা হয়নি। পার্কের বেন্চের ওপর ফেলে এসেছি। অগত্যা আবার ফিরলাম পার্কের সেই বেন্চে।



ওয়ালেট কোথাও খুঁজে পেলাম না। ওয়ালেট হারিয়ে গেলো সেটা বড় ব্যাপার না, কিন্তু ওয়ালেটে আমার অফিসের এ্যাকসেস কার্ড।



কি খবর স্যার, ওয়ালেট খুঁজে পাচ্ছেনা। টাকার খুব দরকার তাই না?

পার্কের মাগীদের জন্য অবশ্য স্যার বেশী টাকা লাগবেনা? তবে, এখনকার ওঠতি রুপালি পর্দার মাগীদের ভোগ করতে হলে ভালোই খসাতে হবে। সোনার কৌটার দামতো সোনা দিয়েই দিতে হবে, তাই না, স্যার। সোনার ভিতর সোনা দিবেন, কিন্তু দামে সোনা দিবেন না, তাতো হবেনা।



আমি বললাম, চুপ মুখ সামনে কথা বল। বদমাশ কুকুর।



হ, আমাকে বদমাশ বলেন। আর নিজেতো পুরা হাজিসাব।কিন্তু ভিতরে ভিতরে চুদখোর।চামেচিকনে ড্রাইভারকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। রাত নিশী হচ্ছে ক্রমশঃ। ভিতরের সারমেয়টা জাগছে। আর আমাকে বলছেন মুখ সামনে কথা বলতে।হাঃ হাঃ হাঃ।



কি জঘণ্য মুখের ভাষা। ছিঃ । এরকম খিস্তিতো বস্তির মানুষেও করেনা।



হ, স্যার । বস্তির মানুষে করেনা। কিন্তু আপনাদের সংসদের ভিতর করে।ওরা যদি শালীনতার ভাঁজে চুদুরবুদর বলতে পারে , যে সংসদ গরীবের ট্যাক্সের টাকায় চলে, মিনিটে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়, সেখানে চুদুরবুদর নিয়ে আলোচনা হয়, সেটা আবার দেশে বিদেশের পত্রিকায় রসালো করে গু-মুতের মতো ঘাঁটাঘাটি হয় । তবে আমরা বললেই খিস্তি হয়ে যায়।



বাজে বকবিনা। জানিস কার সাথে কথা বলছিস?

জানবোনা কেন স্যার, এক চুতমারানি, পাষন্ড,জানোয়ার মাগীখোরের সাথেই তো কথা বলছি।



আবার খিস্তি। ছিঃ। তোকে আমি মেরে হাড়গোড় ভেঙগে দিবো।



কি যে বলেন না স্যার। প্রমোশনের টোপে ফেলে সুন্দরি সেক্রেটারীকে কোলে বসিয়ে ব্রা আর প্যান্টির ভিতর হাত ঢুকিয়ে রাখেন।তারপর আয়েশ করে জঙঘা আর স্তন মর্দন করেন, সেটা খুব জায়েজ আছে।আর আমি মুখে বললেই সেটা হয়ে যায় আপনাদের মুখোশ পরা সভ্য সমাজের জন্য খিস্তি। আর সত্য কথা বলতে কি- কুত্থার মুখ দিয়ে চুতমারানি বের না হয়ে কি স্যার রবীন্দ্রসংগীত বের হবে?





হারামজাদা, সাহস থাকলে নিচে নাম।লাত্থি মেরে তুর দাঁত ফেলে দেবো।



স্যার , আপনি ইচ্ছে করলেও এখন আমাকে লাত্তি দিতে পারবেন না। তবে আমি চাইলে গাছের উপর থেকে ডাইরেক্ট আপনার মুখে সড়সড় করে মুতে দিতে পারি। দেবো নাকি স্যার। ঐ যে ডাবের পানির মতো খেয়ে নিবেন।



কুকুরটার কথা শুনে আমার মাথা পুরো আওলা হয়ে গেলো। চীৎকার করে বললাম, আসলে তোর জন্য একটা বড় মুগুরের দরকার ছিলো। জানিসতো, যেমন কুকুর তেমন মুগুর।



আর আমরা কি বলি জানেন স্যার। আমরা বলি- যত বড় মানব, তত বড় দানব। মানব যখন স্যার দানব হয় তখন তাকে মুগুর দিয়েও পিটালে কিছু হয়না। তখন তার মুখে সড়সড় করে মুতে দিতে হয়। সে তখন কুকুরের মুত খাবে, কুকুরের গু খাবে। আসলে সত্যি করে বলেনতো স্যার,আপনি আর মানুষ আছেন কিনা? আপনিতো একটা দুর্ধর্ষ জানোয়ার, বিদঘুটে হায়েনা।



আমার মগজের ভিতরে কুটকুট শব্দ হয়। মনে হচ্ছে রক্তচোষা ছারপোকা মগজের ভিতর ঢুকে গিয়ে বসে বসে বাটিতে করে রক্ত পান করছে। ইতোমধ্যে তারা দলবেঁধে আমার মগজের সেরিবেলাম,টেম্পোরাল ল্যুব ইত্যাদি খেয়ে হজম করে ফেলেছে।যেকোনো সময় মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারি। আমি মাথা ধরে বেন্চের ওপর বসি। মনে হয় জীবন শেষ। আমি নির্ঘাত মারা যাচ্ছি।



না স্যার, আপনি এতো সহজে মারা যাবেন না। কর্পোরেট অফিসের বড়কর্তা হয়েছেন। বাসায় বউ রেখেও মাগীর পুঁদের রস খুঁজে বেড়ান। আর জুমাবারে মসজিদের সামনের কাতারে গিয়ে বসেন । নামাজে দাঁড়িয়েও মাগি চিন্তা করেন।



আমি মনে মনে বলি,দেশটাতো কর্পোরেট মাগীতেই ভরে গেলো তাই নয়কি? সেটা কি অস্বীকার করতে পারবি? সচিবালয়ের ভদ্রমাগীদের সুশীল শব্দে লবিস্ট বলা হয়ে জানিসতো।দুর, আমি কার সাথে কি বলছি? এটাতো একটা বিকৃত মস্তিষ্কের কুকুর।



ও, বুঝছি। পুরুষত্বের কামনার রসে তৃপ্ত হয়ে নারীদের "মাগী" নাম দেন ।একটা কবিতা শুনেন স্যার- এটা একেবারে আপনার জন্য খাপেখাপ কবিতা।

বাংলা ব্লগ থেকে মুখস্থ করেছি।



"কামের ত্বষ্নায় তুমিও মাগ,

মাগী হয়ে নারী কেন শুধু অচ্ছুত?

শত নারীকুন্জে -

তোমার ও কি পড়েনি স্খলনের দাগ? "




কুত্থার কথায়, এবার আমার হাসি আসে। আজকাল কুত্থাও দেখি ব্লগের খবর রাখে। কিরে তুই দেখি ব্লগেরও খবর রাখিস।



জ্বি স্যার। আপনাদের পত্র-পত্রিকা যে ভাবে বায়াসড খবর ছাপায়। মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে সম্পাদকের টেবিলে বসে গু মুতু করে দেই। তাই ব্লগই ভরসা। মোটামুটি কবিতা, গদ্য, সাহিত্য, নানারকম খবর, মানুষের সেবামূলক কর্মকান্ডের কাজ, ভ্রমণকাহিনী সব কিছুই পাওয়া যায়।



আচ্ছা ,আপনার গোপন প্রেয়সি গুলশানের বাসায় যাকে নিয়ে মাঝে মাঝে নিবিড় অভিসার করেন, সেই রুবা মেডাম কেমন আছে স্যার? দারুন একখান মাল । যখন, বুকের ক্লিভস আর মসৃণ পেটের চকচকে নাভী দেখিয়ে,নিতম্ব দুলিয়ে রুবা মেডাম হেঁটে যায়, তখন আমার চৌদ্দপুরুষ কুত্তার কসম স্যার একরাতের জন্য আমারও পুরুষ হতে ইচ্ছে করে।



রুবার কথাতো কেউ জানেনা। একেবারে গোপন। তুই জানলি কেমনে?



আরে স্যার , আমি হলাম মহাকুকুর। আপনাদের যেমন, মানবের মাঝে কেউ কেউ মহামানব আছে, আমিও তেমনি কুকুরের মাঝে মহাকুকুর। আর মহাকুকুরেরা স্যার সব জানে। রাতের অভিজাত শহর পুরো ন্যাংটা হয়ে যায় স্যার।কামনার রসে যৌনাংগ আর যোনি ভিজতে থাকে। স্কুল পড়ুয়া টিনএজ থেকে শুরু করে আমলা,রাজনীতিবদ,সাংবাদিক, শিক্ষক,ইমাম, পাদ্রি, ভান্তে সবাই এ রসে সামিল হয়।সভ্যতা হয়ে গেছে নগ্নতা। নগর হয়ে গেছে যেন কামনগর।জীবনানন্দ দাশের কবিতার মতো -"অন্ধকারের স্তনের ভিতর, যোনির ভিতর' আপনাদের সভ্যতা ঢুকে পড়ে স্যার।



মর্দি থাকবে শরীরে আর ব্যাংক ভর্তি টাকা থাকবে কিন্ত এ সমাজে লাম্পট্য থাকবেনা , তাতো হতে পারেনা স্যার।



চুপ করো বদমাশ। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তোর সবগুলো দাঁত আমি গুড়ো গুড়ো করে দিবো।



তবে স্যার, আজকে যে কাজটা করলেন, সেটা কোনো বদমাসেও করবে না, কোনো লম্পটেও করবেনা। যৌবনের ক্ষুধায় যা করার করছেন, ক্ষমা করা যায়। কিন্তু নিজের বিবেক খাটিয়ে বলুন স্যার , কাজটা কি ঠিক করলেন?



নিজের ছেলেকে ভালো স্কুলে পড়িয়ে মানুষ বানাচ্ছেন না। কসম,স্যার। এছেলে বড় হয়ে আজকে আপনি যে কাজটা করলেন সেই কাজটিই করবে।

আপনাদের বইয়েতো লিখা আছে" ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুদের অন্তরে।" আজকে আপনি যা করছেন -এই ছেলে বড় হয়ে এর চারডাবল করবে স্যার। পাপ করে করে স্যার আপনার বিবেক, বুদ্ধি সব অন্ধ হয়ে গেছে। এ যৌবন ফুরুত করেই শেষ হয়ে যাবে। গলার চামড়া কুচকে যাবে, চোখে ঝাপসা দেখবেন।কাশির সময় কাপড় ভিজিয়ে দিবেন।



মহাকুকুরের শেষ কথাটায় আমি চমকে ওঠি। নিজের বার্ধক্যের ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। যে ছেলেকে রোজ আমি স্কুলে রেখে আসি, আর বিকেলে নিয়ে আসি। সে ছেলে একদিন বড় হয়ে বৃদ্ধাবস্থায় আমাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসবে। আমি আজ যা করেছি, আমার ছেলেতো তাই করবে। আজ বাবার চোখের পানি, আমি দেখিনি। সেদিন আমার চোখের জলও আমার ছেলে দেখবেনা।



হঠাৎ আমার মাথার ভিতর যেন বিশুদ্ধ বিবেকের এক নির্মল বাতাস ঢুকে পড়ে।পশু হয়ে যাওয়া বিবেক নতুন শিশু হয়ে আবার জন্ম নেয়। উপরে গাছের দিকে তাকাই । না কেউ নেই। আর সময় নষ্ট করার সময় নেই। আমি তাড়াতাড়ি করে বৃদ্ধাশ্রমে আসি।



দেখি, জীর্ণ শীর্ণ বাবা খাবার প্লেটে নিয়ে বসে আছেন। চোখ দিয়ে অবিরাম পানি ঝরে পড়ছে প্লেটে। বাবার ছলছল চোখ।চোখের নুনতা পানি আর ডালের পানি খাবার প্লেটে একাকার হয়ে মিশে আছে।বাবা, একবার খাবারের লোকমা মুখের কাছে আনেন, আবার নীচে নামিয়ে রাখেন। আপন মনে বিড়বিড় করে কি যেন বলছেন।



আমি বাবার কাছে গিয়ে, বাবার পায়ে পড়ি। বাবার পা দুটো বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে বলি, বড় অন্যায় , বড় পাপ করেছি গো বাবা, তোমার এ কুকুর ছেলেকে ক্ষমা করো গো বাবা, ক্ষমা করো।



বাবা, আমার মাথায় হাত রেখে বলেন,

এতোক্ষণ লাগলো তোর আসতে? তোদেরকে ছাড়া আমি একা একা খেতে পারি বল। বউমা হয়তো খাবার টেবিলে সাজিয়ে বসে আছে।তুই জানিসনা, এসময় ছোট খোকা আমার কাঁধে চড়ে পঙকীরাজ, পঙকীরাজ খেলে। চল, দেরী হয়ে গেলো। তাড়াতাড়ি বাসায় চল।



আমি বাবাকে নিয়ে গেটের কাছে আসি। দেখি সামনের গাড়ী থেকে ঠিক আমারই মতো আরেক কুকুর হাতে ব্যাগ নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমের দিকে গটগট করে আসছে আর পিছন পিছন অতি দূর্বল পায়ে অতি বুড়ো এক বৃদ্ধ পুরো প্বথিবীর সব যন্ত্রণা মাথায় নিয়ে কুকুরটির পিছন পিছন বৃদ্ধাশ্রমের গেটের দিকে এগিয়ে চলছেন।





(সক্ষম সন্তানের পিতামাতাকে যেন বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই পেতে না হয়, এর চেয়ে বড় কষ্ট , বড় যন্ত্রণা আর নেই। এমন সন্তান বড় অভিশপ্ত সন্তান)



নীচে নচিকেতার সেই বিখ্যাত বৃদ্ধাশ্রম গানটি। যতবার শুনি ততবার গোপনে গোপনে কাঁদতে থাকি।



নচিকেতার অমর সৃষ্টি

মন্তব্য ৯৫ টি রেটিং +৩১/-০

মন্তব্য (৯৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৮

বিলাল বলেছেন: দুর্ধর্ষ গল্প। আপনার আগের সব গল্পগুলোকে ছাড়িয়ে গেছেন। কই শুরু করলেন আর কীভাবে কাঁদিয়ে গেলেন।

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২২

খেয়া ঘাট বলেছেন: পড়ার জন্য মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩০

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের শেষটায় এসে চোখ ভিজে গেলো ।


হ্যাটস অফ ।

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩২

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

না বলা কথা বলেছেন: বিলাল বলেছেন: দুর্ধর্ষ গল্প। আপনার আগের সব গল্পগুলোকে ছাড়িয়ে গেছেন। কই শুরু করলেন আর কীভাবে কাঁদিয়ে গেলেন।

যদি কিছু মনে না করেন- আপনার পেশাটা কি বলা যাবে?

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫১

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য , প্রশংসা করার জন্য।

আমি একটা ছোটখাটো চাকুরি করি।

৪| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

না বলা কথা বলেছেন: আপনার ইমেইলটা দেয়া যাবে? বিশেষ দরকার আছে।

আপনার এই পোস্টে কমেন্ট করতে মনে হয় মানুষ ভয় পেয়েছে?

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: [email protected]
আপনিতো ভয় পাননি।
কেন ভয় পাওয়ার কি আছে?????????????????????????

৫| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

আমিনুর রহমান বলেছেন:

অসাধারণ বাস্তবতার গল্প +++

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: সাহস করে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় আমিনুর রহমান।

৬| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

জ্যাক রুশো বলেছেন: অতুলনীয়

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় জ্যাক রুশো।

৭| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫০

না পারভীন বলেছেন: অরে আল্লাহ ! মারাত্মক সংবেদনশীল !! খেয়া ঘাট নাম দেখে ঢুকে পড়েছি ।কঠোরভাবে ম্যাচিউরড পাঠকদের জন্য খেয়াল করিনি ।

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: ঢুকেই যখন পড়েছেন- এবার পড়ে যান।
ম্যাচিউরড নাকি????? আর নিজেকে ম্যাচিউরড মনে না করলে- শরমিন্দা হয়ে ফেরত যান। আমি কাউকে কিছু বলবো না।

৮| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:০৪

না পারভীন বলেছেন: পড়া শেষ করে ফেলেই তো দেখলাম , উপরে সতর্ক বানী লেখা ছিল ।

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:১১

খেয়া ঘাট বলেছেন: এবার সতর্কবাণী দেখে নতুন করে পড়েন।

৯| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো। কুত্তাকে কয়েক জায়গায় কু্ত্থা লিখেছেন।

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৪০

খেয়া ঘাট বলেছেন: পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ।
ইদানীং বানানে বেশি ভুল হয়। আর লিখার পর এডিট করতেও আলসেমি লাগে। ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য অনেক বেশী ধন্যবাদ।

১০| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:২৫

কমল বলেছেন: শেষে এসে এরকম চমকে দিবেন, কল্পনাও করিনাই।

বর্তমান সুসভ্য সমাজের যেন এক জ্বলন্ত নির্মম বাস্তব প্রতিচ্ছবি।

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৪৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: বর্তমান সুসভ্য সমাজের যেন এক জ্বলন্ত নির্মম বাস্তব প্রতিচ্ছবি। -
অনেক ভালো লাগছে, অনেক অনেক।
আপনাকে ধন্যবাদ।

১১| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সতর্কবাণী দেওয়াটা ভালো হয়েছে।

এবার গল্পের কথা বলি। গালি সম্পর্কে বলতে গেলে বলা কথাগুলোও অনেক সময় গালির মত শোনায়। সেভাবেই গল্প থেকে জানোয়ার জানোয়ার একটা গন্ধ আসছে। এটা ভালো দিক, তাঁর মানে খারাপ বিষয়গুলো ঠিক মত তুলে ধরতে পেরেছেন।

গল্পের মূল চরিত্রটার সম্পর্কে পূর্ববর্তী কোন ধারণা না থাকায় বৃদ্ধাশ্রম এসে পড়াটা একটু হঠাৎ করে হয়ে যাওয়া বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু পুরোটা পড়ে মেনে নিতে সমস্যা হয়নি।

সবমিলিয়ে চরিত্রটার শুরুর দুর্গন্ধ পরের আত্মশুদ্ধির মাঝে বিলীন হয়ে যাওয়ায়, শেষে স্বস্তি পেলাম। সত্যিই সুন্দর গল্প। আপনার যে কয়টা লেখা পড়েছি, তাঁর মাঝে এটাই একমাত্র তুমুল আগ্রাসী।

আর সেই তুমুল আগ্রাসী লেখায় প্লাস।

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:০১

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে, খুশী লাগছে।
"তুমুল আগ্রাসী" শব্দটা খুব বেশি পছন্দ হয়েছে। ভবিষতের জন্য শব্দটি জমা করে রাখলমা।

১২| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সক্ষম সন্তানের পিতামাতাকে যেন বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই পেতে না হয়, এর চেয়ে বড় কষ্ট , বড় যন্ত্রণা আর নেই। এমন সন্তান বড় অভিশপ্ত সন্তান


আপনার প্রতিটা গল্পে শেষে এসে চোখ ভিজে যায়। তবে এই গল্পে চোখ ভিজলনা। শুধু ঘৃণা জন্মাল ওইসব কুলাঙ্গার সন্তানের উপর। আমরা সন্তানরা হয়ত মানুষ হতে পারিনা। মানুষ হতে পারলে এমন হত না।

তবে আমাদের শিক্ষা হয় যখন আমরা আবার বাবা মা হই তখন।

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:০২

খেয়া ঘাট বলেছেন: পুরো লিখাটায় আপনার উপরের কথাগুলোই বুঝাতে চেয়েছি।
"তবে আমাদের শিক্ষা হয় যখন আমরা আবার বাবা মা হই তখন।"-এই একটা লাইনেই আপনি সব বলে দিয়েছেন।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:১৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: জটিলস লাগলো ! এরকম গল্প ভাবনায় আসাটা একটা বিরাট ব্যাপার ! ১১তম ভাল লাগা ।

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:২৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় মিজানুর রহমান ভাই।

১৪| ১৫ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:৩৩

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: অসাধারণ,আসলেই শুরু থেকে গল্পের পরিণতি সম্পর্কে আঁচ করা যায়না,প্রোফেসর শঙ্কু'র সাথে সহমত
ডজনতম প্লাস,মারাত্মক লিখেছেন +++++

১৫ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৬:০৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় আমিই মিসির আলি ভাই।

১৫| ১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার লেখা। লেখার ব্যাপার প্রফেসর সাহেবের সাথে আমি একমত।

এটা নিশ্চিত ভাবে আপনার অন্যতম ভালো লেখা। সময় করে ছোট বানানভুল গুলো ঠিক করে নিয়েন। :)

১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ কাল্পনিক_ভালোবাসা।
ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য আরো বেশি বেশি ধন্যবাদ।

১৬| ১৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

নাছির84 বলেছেন: জীবনকে অনেক রংয়ের আয়নায় দেখতে আপনি সিদ্ধহস্ত। একটা অনুরোধ..এই গল্পটার উল্টো গল্পও তো আছে। সেই জায়গাটাও খুঁড়ে বের করা দরকার। একটিবার হাত লাগাবেন কি ?

১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপনার অনুরোধ হৃদয়ভরে গ্রহণ করলাম। কিন্তু খুঁড়তে যে ভীষণ ভয় হয়। কারণ খুঁড়ার জন্য যে সব রসদ দরকার তা নিজের কাছে আছে তো?

১৭| ১৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: একজন লেখক হিসেবে অবশ্যই মারাত্মক ভাবে সফল ...

গল্প পাঠে বৃদ্ধাশ্রমে বাবা ,মা কে রেখে আসা সক্ষম সন্তানদের উপর আমাদের ঘৃণা বেড়ে গেল ।


প্রেমের গল্প যেমন আমরা সবচাইতে শুদ্ধতম মিষ্টি ভাল্লাগার শব্দচয়নে সেটাকে সার্থক ধরে নেই ,তেমনি ভাবে কুকুরের মুখে সর্ব নিকৃষ্ট ভাষাই ফুটিয়ে তুলেছ ...।

মানব বিবেক যখন কুকুর হয়ে কথা বলে, আমরা সেখানে ধর্ম যাজক এর ভাষা আশা করতে পারি না ।

এটা খেয়াঘাট এর লেখা বলেই কমেন্ট করলাম
অন্যথায় ভাষার ব্যাপারে আমার ডায়জেস্টিভ পাওয়ার অনেক কম ।



১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
এবার একটা ঘটনা বলি-
পুলিশের একজন বেশ বড়মাপের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অফিসে বসে আছি। নানাকরমের গল্পের ফাঁকে ড্রাগ, রেপ, খুন ইত্যাদি নিয়ে আলাপ হচ্ছিলো।
জিগ্গেস করলাম- আচ্ছা ছবিতে যে বিভিন্ন রকমের খুন, রেপ, পরকিয়া, জিঘাংসা,রোমহর্ষক নানা ঘটনা,সাইকিক থ্রিলার ইত্যাদি দেখানো হয় এগুলোর সাথে বাস্তবতার বা বাস্তবজীবনের কি কোনো মিল আছে?

উনি বললেন- বাস্তবে আমাদের এই নগরের অন্ধকার জগতে যে সব ঘটনা ঘটে তা এতো বেশী ভয়ংকর, এতো বেশী জঘন্য, এতো বেশী পাশবিক, এতো বেশী নির্মম তা পৃথিবীর কোনো সর্বশ্রেষ্ঠ পরিচালক তা ছবিতে,কিংবা কোনো কালজয়ী লেখক তার রুপ কোনো বইয়ে লিখা রুপায়িত করতে পারবেনা ।

এরপর উনি বললেন, এখনো আমার স্পষ্ট মনে আছে,
মনে করুন, একটা মেয়ে ধর্ষিতা হলো। তার সত্যিকার জীবনে যে ভয়ংকর, দূর্বিষহ দাহ আর যন্ত্রণার সৃষ্টি হলো- তা কি আপনি মনে করেন কোনো লেখক তার লিখা দিয়ে অথবা ছবি দিয়ে বুঝাতে পারবে। কক্ষনো না।পৃথিবীর কেউ পারবেনা। একমাত্র ভুক্তভোগী এর যন্রণা শুধু উপলব্ধি করতে পারবে , আর কেউ না।

এরপর,উনি এতো জগণ্য , এতো কুৎসিত কিছু ঘটনার কথা বলেছিলেন-আমি আর সহ্য করতে পারিনি শুনতে।

তারপর বললেন,
দেখুন,আপনি শুধু আমার মুখ থেকে শুনেই তা সহ্য করতে পারছেন না। এবার যারা সত্যিকারভাবে এরকম বিভৎস ঘটনার মধ্যে দিয়ে গেছে তাদের জীবনের অনুভূতি কেমন হয়েছে?????

১৮| ১৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লেগেছে সংবেদনশীল গল্প।

বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসা আর কর্পোরেট মানুষদের করা নোংরামি দুইটার মেলবন্ধন হঠাৎ চলে আসলো লেখার এমন লেগেছে। যদিও প্রতিটা ঘটনাই চলমান ইস্যুকে নিয়ে। ভালো লেগেছে ।

আমি হাতের থালু দিয়ে চোখ মুছি > আমি হাতের তালু দিয়ে চোখ মুছি

আরেকটা বানানের কথা উপরে হাসান মাহাবুব বলেছেন।

শুভকামনা আপনার জন্য ।

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ পড়ার জন্য, মন্তব্য করার জন্য।
মনোযোগী পাঠককেতো আরো বেশি ভালো লাগে।
বাননা অনেক ভুল হয়। এরপর আর আলসেমি"র জন্য এডিট করতে ইচ্ছে করেনা।

আপনারজন্য ও শুভকামন।

১৯| ১৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

বটের ফল বলেছেন: চরম ভাবে আগ্রাসী! একসাথে অনেক কিছু। তাও কি আমাদের বিবেক জাগ্রত হবে??

শুভকামনা আপনার জন্য। আর প্রার্থনা আমাদের সবার জন্য যেন আমরা মানুষ হতে পারি। ভেতরের পশুত্ব গুলোকে বের করে ছুঁরে ফেলতে পারি।

প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যাওয়া লেখা। তবে বানান এবং ভাষাগত কিছুদিকে নজর দেওয়ার সামান্য কিছু সুযোগ আছে বলে মনে হয়।(ক্ষমাপ্রার্থী- নগন্য এই জনের অধিকার বহির্ভুত কথা বলার জন্য )

আশা করি লেখাটা কখনো ছাড়বেননা আমার মত। খুব কষ্ট পাব তাহলে।

ভালো থাকবেন । অনেক অনেক ভালো থাকবেন খেয়া ঘাট

+++++++++++++++++

১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার চিন্তাশীল মন্তব্যটি পেয়ে খুশি হলাম।

অনেকদিন কোনো লিখা দেননি ???? ঘটনা কি????

পরের পোস্টের অপেক্ষা..............

২০| ১৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

বটের ফল বলেছেন: ইদানিং আমার নিজেরই অনেক বানান ভুল হয়। হা হা হা হা।

ক্ষমাপ্রার্থী

১৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: আমরা যদি ভুল না করি তবে ভুল শব্দটাই যে ওঠে যাবে।
ক্ষমাপ্রার্থী---- এর আবার মানে কি?????

২১| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সত্যি সংবেদনশীল গল্প ! নিজের বিবেক কুকুর হয়ে পথ দেখালে আমাদের ই মঙ্গল !

১৬ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় স্বপ্নবাজ অভি।

২২| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :( :( :(

১৬ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় ইরফান আহমেদ বর্ষণ।
এই বর্ষার শুভেচ্ছা।

২৩| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০০

নাছির84 বলেছেন: রসদ আপনার চোখ আর অনুভূতি। বাকিটুকু কি বলে দেয়া ধৃষ্টতার সামিল। স্কুলব্যাগ থেকে মানবকুকুর তো এমনিতেই বেরিয়ে আসেনি !

১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪১

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনি খুব সুন্দর উপমায় কথা বলেন।
দোয়া করবেন।

২৪| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১১

খেয়া ঘাট বলেছেন: শ্রদ্ধেয় এবং প্রিয়,
বিলাল, মামুন রশিদ, না বলা কথা, আমিনুর রহমান,রুশো, পারভীন,হাসান,কমল, প্রোফেসর, কান্ডারী,মিলন,মিসির আলী,কাল্পনিক_ভালোবাসা,নাছির,মনিরা,অপর্ণা, বটের ফল,স্বপ্নবাজ, ইরফান সহ অনেকেই যারা লিখাটি পড়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ।

এবার দুটো কথা বলি।
এ লিখাটি পড়ে অনেকেই বাহবা দিয়েছেন। অনেকেই আমাকে থু থু দিয়েছেন। ঘৃণা করেছেন খুব নির্মমভাবে। যারা রেজিস্ট্রাড ব্লগার না কিন্তু বিভিন্ন পত্রিকায় লিখার সূত্র ধরে অনেক আগে থেকেই আমাকে জানেন এবং যারা আমার বিশাল ইয়াহু গ্রপের বন্ধু রয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্বজন রয়েছেন উনাদের অনেকেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

একজন বলেছেন- ইচ্ছে করছে বমি প্যাকেট করে আপনার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে। ব্রেইল পড়ে যে মেয়েটি নাকি এক সপ্তাহ ঘোরের মধ্যে ছিলো সে জানিয়েছে " আপনি এতো বিকৃত রুচির আগে জানতাম না।"

উপরে , মনিরা সুলতানার কমেন্টের মন্তব্যে আমি শুধু একটা ঘটনার উল্লেখ করেছি-। আমরা সাধারণ নির্ঝন্জাট মানুষেরা একটি সরল, বিকন্টক, ফুলেল পথে চলি বলে-সমাজের ভয়াবহ একটা প্রবলভাবে বিকারগ্রস্থ, বিকৃত মানসিক মানুষের বীভৎস রুপ কল্পনা করতে পারিনা।

এই কুৎসিত নগরে প্রতিদিন, প্রতিরাতে জন্মনিচ্ছে কত অপ্রত্যাশিত ভ্রুন।যাদেরকে খুন করা হচ্ছে প্রতিমহুর্তে। এসব মানবরুপী দানবের প্রতি কোষেইতো বাস করছে একেকটি মানবকুকুর। শত শত হাজারো মুখোশ পড়া মানুষ বাইরে এক রুপ কিন্তু ভিতরে সম্পূর্ণ আলাদা। এরা জঘন্য, এরা কুৎসিত , ভয়ঙকর।

এদের সামনে দাঁড়ানোর শক্তি আমার নাই। আপনার নাই। আমরা সবাই একরকমের আপোষকামী। একমাত্র এদের ভিতরে বাসকরা কুকুরই এদেরকে বিষাক্ত কামড় দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দিতে পারে। জলাতংক ছড়িয়ে দিতে পারে এদের পুরো দেহে।

তারপর যদি কোনো স্বচ্ছ বিবেকের স্বর্গীয় অনুভূতির প্রতিষেধকে এরা আবার নিজেকে মানুষ ভাবতে পারে-তবেই সে পাপ জীবনের অন্ধকার গহ্বর থেকে বের হয়ে আসে।

আমি চেয়েছি এক ভয়ংকর বিষাক্ত কুকুর কামড়ে এদেরকে,এ মুখোসপড়া সমাজকে ক্ষত বিক্ষত করে দিচ্ছে। প্রবল জ্বলাতংক ছড়িয়ে পড়ছে এদের পুরো শরীরে,পুরো দেহে।

যেহেত আমি সাধারণ অতি দূর্বল মানুষ তাই ইহাই আমার প্রতিবাদ, ইহাই আমার ক্ষোভ, ইহাই আমার বিবেকের প্রতি দায়মোচন। এতে আপনার ঘ্বণাও আমার চলার পাথেও, যেমন আপনার ভালোবাসাও।

২৫| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৩

বটের ফল বলেছেন: শ্রদ্ধা আপনাকে।

১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: শ্রদ্ধা অনেক বড় ব্যাপার। পড়ে মন্তব্য করেছেন, এটাই অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২৬| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৩

না পারভীন বলেছেন: তুমুল আগ্রাসী গল্প । সহনশীলতার মাত্রা ক্রস করতে পারে লেখক আগেই জানিয়েছেন ।

খেয়ার সাথে এখানে একমত আমি,
মানুষের সমাজ আরো অনেক ভয়ংকর । আরো অনেক খারাপ । অই খারাপ শব্দগুলোর আঁতুড় ঘর যেখানে ।

কিন্তু তাদের সবার বিবেক মারা গেছে । খারাপ কাজ গুলো তাদের কাছে সুন্দর শোভন রুপে ধরা দেয় ।

মিনিমাম একটা কুকুর ও নেই তাদের বিবেকে । খারাপ ভাবে বলার ও কেউ নেই । এটা নির্মমতা , এটাই বাস্তবতা ।

সুন্দর সুন্দর গল্পের প্রত্যাশায় খেয়া ভাই । আপনি অন্যতম কোমল শক্তিমান লেখক । আমার মত ক্ষুদ্র পাঠক এর পক্ষ থেকে কষ্ট ভুলে গিয়ে আবার অনুপ্রাণিত হবার বিনীত প্রার্থনা ।



১৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:১১

খেয়া ঘাট বলেছেন: সহানুভূতির জন্য ধন্যবাদ

২৭| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:২৩

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: বেশ ভাল লেগেছে। বর্তমান সভ্য সমাজের যেন এক বাস্তব প্রতিচ্ছবি।

১৭ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৫:২৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: জ্বি।বিনীত ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় সপ্নাতুর আহসান।

২৮| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৪৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: অসাধারন ফিনিশিং :)

১৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:২৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: আমার সৌভাগ্য।
প্রশংসা সামনের অন্ধকার পথ আলোকিত করে।
বিনীত ধন্যবাদ।

২৯| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:২৯

বোকামন বলেছেন:








মারাত্মক সংবেদনশীল গল্প-কঠোরভাবে ম্যাচিউরড পাঠকদের জন্য

আমার সস্তা সংবেদনশীলতা প্রায়ই কাজ করে না, ম্যাচিউরড পাঠক কেন ! আমি কোন জাতের পাঠকই নই !!

আপনার এই পোস্ট ভাল-মন্দ-অসাধারণ কিছুই বলার যোগ্যতাই আমার নেই।
বোকামন খেটে খাওয়া মানুষ, সাহিত্য তেমন একটা বুঝে না।

পুরো লেখাটা পড়লাম। বিকৃত ভাষা যাকে আমরা গালি বা বিছরি ভাষা বলে থাকি তার অনেকটা ব্যবহার করেছেন এই পোস্টে। পৃথিবীর সবচাইতে খারাপ ভাষা ব্যবহার করেও খারাপ কাজের বর্ণনা বা খারাপ - কুৎসিত মানুষ নামের অমানুষদের বীভৎসতার বর্ণনা করা সম্ভব না। কখনই না .......

সমাজে ঘটে যাওয়া জঘন্য থেকে জঘন্যতর ঘটনা পেপার-পত্রিকায়-টিভিতে-বাস্তবে দেখে যাচ্ছি। বিবেকের উপর শক্ত কালো পর্দাটি দিন দিন আরো শক্ত হচ্ছে এইসব দেখতে দেখতে ও পড়তে পড়তে।

লেখাটি প্রকাশ করে হয়তো আপনার মন বেশ হালকা হয়েছে। সুতরাং আপনার মাঝেও স্বার্থপরতা কাজ করেছে। তেমনি আমিও পড়ে মন্তব্য করছি, আমারো স্বার্থপরতা কাজ করছে।

সমাজের দুর্গন্ধ বলেন আর আবর্জনা বলেন। নাক ঢেকে এড়িয়ে গেলে চলবে না। সাফ করতে হবে। চোখ-কান-মুখ-নাক-হাত-পা সব কিছুই খোলা রাখতে হবে। তবেই ময়লা সহজেই সাফ করা সম্ভব হবে। নজর রাখতে হবে আবর্জনা সাফ করতে করতে নিজ গায়েও ময়লা লাগতে না পারে। তাই সাফ করার পূর্বে প্রোটেকশন এবং সাফ করা শেষে যথাযথভাবে পরিস্কার করতে যেন ভুলে না যাই।

বলে যেতে চাই, লিখে যেতে চাই, করে যেতে চাই। আমার দেশ, আমার দেশের মানুষের জন্য, সমাজের জন্য, আমার বাবা-মা-ভাই-বোনের জন্য ......

কে কি বললো, কাউকে পাশে পেলাম, পেলাম না ..... কোন সমস্যা নাই।
যতক্ষণ আছে শ্বাস আছে... দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই..................

আমি শুধু পোস্টটিই পড়ি। মন্তব্য পড়ি না। কারণ তাতে করে মূল লেখার সাথে মন্তব্য জড়িয়ে যায়। আমার মন্তব্য করতেও সমস্যা হয়। বোকামন ভাষায় মন্তব্যটি করলাম। বিরক্ত বা মন:ক্ষুণ্ণ হলে আমাকে ক্ষমা করবেন, দোয়া করে। আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন।
যেভাবেই হোক কলমে অথবা কর্মে অন্যায়ের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকুক।

১৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২২

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ এতো সুন্দর করে এমন চমৎকার মন্তব্যটি করার জন্য।
আর মন্তব্যের জবাবে -আমি একথাগুলোই আবার রিপিট করলাম- ভালো থাকুন ভাই।
আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
এবার একটা ঘটনা বলি-
পুলিশের একজন বেশ বড়মাপের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অফিসে বসে আছি। নানাকরমের গল্পের ফাঁকে ড্রাগ, রেপ, খুন ইত্যাদি নিয়ে আলাপ হচ্ছিলো।
জিগ্গেস করলাম- আচ্ছা ছবিতে যে বিভিন্ন রকমের খুন, রেপ, পরকিয়া, জিঘাংসা,রোমহর্ষক নানা ঘটনা,সাইকিক থ্রিলার ইত্যাদি দেখানো হয় এগুলোর সাথে বাস্তবতার বা বাস্তবজীবনের কি কোনো মিল আছে?

উনি বললেন- বাস্তবে আমাদের এই নগরের অন্ধকার জগতে যে সব ঘটনা ঘটে তা এতো বেশী ভয়ংকর, এতো বেশী জঘন্য, এতো বেশী পাশবিক, এতো বেশী নির্মম তা পৃথিবীর কোনো সর্বশ্রেষ্ঠ পরিচালক তা ছবিতে,কিংবা কোনো কালজয়ী লেখক তার রুপ কোনো বইয়ে লিখা রুপায়িত করতে পারবেনা ।

এরপর উনি বললেন, এখনো আমার স্পষ্ট মনে আছে,
মনে করুন, একটা মেয়ে ধর্ষিতা হলো। তার সত্যিকার জীবনে যে ভয়ংকর, দূর্বিষহ দাহ আর যন্ত্রণার সৃষ্টি হলো- তা কি আপনি মনে করেন কোনো লেখক তার লিখা দিয়ে অথবা ছবি দিয়ে বুঝাতে পারবে। কক্ষনো না।পৃথিবীর কেউ পারবেনা। একমাত্র ভুক্তভোগী এর যন্রণা শুধু উপলব্ধি করতে পারবে , আর কেউ না।

এরপর,উনি এতো জগণ্য , এতো কুৎসিত কিছু ঘটনার কথা বলেছিলেন-আমি আর সহ্য করতে পারিনি শুনতে।

তারপর বললেন,
দেখুন,আপনি শুধু আমার মুখ থেকে শুনেই তা সহ্য করতে পারছেন না। এবার যারা সত্যিকারভাবে এরকম বিভৎস ঘটনার মধ্যে দিয়ে গেছে তাদের জীবনের অনুভূতি কেমন হয়েছে?????

৩০| ১৬ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০২

নিয়েল হিমু বলেছেন: ছুয়ে গেল ।
কিন্তু এক অংশের পরিনতি দেখলাম মাত্র । অন্য অংশের পরিনতিটা ?

১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:১২

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রিয় নিয়েল হিমু।

সব কিছুর শেষ হয়েও যে শেষ হয়না। কিছু রহস্য থেকেই যায়।

৩১| ১৬ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:১১

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: বিলাল বলেছেন: দুর্ধর্ষ গল্প।

১৯ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:৩৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: বটবৃক্ষের পাতার কি এমন রঙ হয়????
বিনীত ধন্যবাদ।

৩২| ১৬ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৫:৩১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপ টা আমার কাছে ভাল লাগছে -

কুকুরের সাথে কনভারসনে হুমায়ুনি একটা ভাব পাইলাম। চুদুরভুদুর আর ব্লগের অংশটা অপ্রয়োজনীয় মনে হল। মহাকুকুর অংশটা দারুণ!

তবে গপের শেষের দিকে এরকম একটা টার্ণ থাকবে সেটা কল্পনাও করিনি!

পৃথিবীর সব বাবা'রা ভাল থাকুক ছেলেমেয়ে, নাতী নাতনিদের কাছাকাছি আর ভালবাসায়!

১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মাসুম আহমদ ভাই।

৩৩| ১৬ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৫:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুণ লিখেছেন। আবেগ ছুয়ে গেল। বাবা দিবসের শুভেচ্ছা ।

১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় সেলিম আনোয়ার ভাই।

৩৪| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: পড়লাম। কিন্তু যাদেরকে মারা হলো, ব্যথা তো তারা পাবেই না,বরং আরো ভাব নিয়ে বলবে- হেতে কয় কিরে!

শুভেচ্ছা থাকল।

১৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

খেয়া ঘাট বলেছেন: হাস্যরস দিয়ে বড় কঠিন কথা বলেছেনরে ভাই, বড় কঠিন কথা।

৩৫| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

আল ইফরান বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন ভাই। :) :) :)
বিশেষ করে শেষের অংশটুকু।
দিনে দিনে আমরা আসলেই কুকুরের চেয়েও নিম্নস্তরে নেমে যাচ্ছি X( X( X(

২০ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:৫০

খেয়া ঘাট বলেছেন: দিনে দিনে আমরা আসলেই কুকুরের চেয়েও নিম্নস্তরে নেমে যাচ্ছি ।
আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ।

৩৬| ১৬ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভাইয়া, আপনি গল্প লিখেছেন পড়তে খুব ইচ্ছে করছে কিন্তু শুরুর সাইনবোর্ড দেখে একটু দ্বিধান্বিত। যদি কখনও এর লঘু সংস্করন লেখেন তবে একটু কষ্ট করে আওয়াজ দিয়েন।

২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনি পড়েন নি , খুব ভালো কাজ করেছেন। আপনাকে না পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩৭| ১৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:২০

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: এ গল্পটাতে কোন মন্তব্য করবোনা সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু ২৪ নং এ লেখকের কমেন্ট পড়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলাম।খেয়াঘাট ,আপনি বলেছেন ---"এই কুৎসিত নগরে প্রতিদিন, প্রতিরাতে জন্মনিচ্ছে কত অপ্রত্যাশিত ভ্রুন।যাদেরকে খুন করা হচ্ছে প্রতিমহুর্তে। এসব মানবরুপী দানবের প্রতি কোষেইতো বাস করছে একেকটি মানবকুকুর। শত শত হাজারো মুখোশ পড়া মানুষ বাইরে এক রুপ কিন্তু ভিতরে সম্পূর্ণ আলাদা। এরা জঘন্য, এরা কুৎসিত , ভয়ঙকর। "। এই জঘন্য,কুৎসিৎ ,ভয়ংকর চিত্রটার অতি ক্ষুদ্র অংশ হলেও জানার সুযোগ হয়েছে-- আমি কখনও নিঃশব্দে কেঁদেছি । ৫/৬ বছরের শিশুর ভায়োলেটেড হবার চিত্র যখন জানতে হয়েছে আমার মনে হয়েছে এ কোন নরক ??? এমন দিনও গেছে এ ভয়াবহ চিত্র জানার পর আতংকে ঘুম হতে জেগে উঠেছি। কিন্তু কখনও সে চিত্র লেখায় প্রকাশ যোগ্য নয় , লেখা সম্ভব নয়। প্রকাশযোগ্য নয় বলেই কি তা স্পর্শ করেনি আমাকে বা অন্যদের ??? প্রতিকারের চেষ্টা কি সেজন্য বন্ধ করেছি? আমার আপত্তি ঠিক এখানে।মাকে নিয়ে আপনার লেখা মা'র সাথে শেয়ার করেছি । আপনার লেখা এভাবে সবার সাথে শেয়ার করতে চায় এমন পাঠক আপনার রয়েছে বলেই ভিন্ন রকম এক প্রতিক্রিয়া দেখার স্বীকারোক্তি আপনার কমেন্টে। খেয়াঘাট- আপনার লেখা পছন্দ করি বলেই এ প্রত্যাশা।ভাল থাকবেন।

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ আপনাকে একটা সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।
মাঝে মাঝে সুতীক্ষ্ণ সূঁচ দিয়ে খোঁচা দিয়ে দেখতে হয় শরীরের রক্ত কি এখনো লাল আছে , না কি টিকটিকির সাদা রক্ত হয়ে গেছে।

আর রক্ত যদি লালই হবে তবে এতো নির্জীব কেন???????

আরেকবার ধন্যবাদ।

৩৮| ১৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৩৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: বেশ লাগল গল্পটা।

২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ঢাকাবাসী।

৩৯| ১৭ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

বাংলার হাসান বলেছেন: শালীনতার ভাঁজে চুদুরবুদর বলতে পারে ,

এই চুদুরবুদুর যে অশালীন ভাষা এটা নতুন করে জানলাম। আর চুদুরবুদুর যদি অশালীন ভাষা হয় তবে তা একটি বিরাট অঞ্চলের মানুষের ভাষা হয় কি করে? একটু কি বলবেন?


২৪ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৫:২৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: যেটা প্রশ্নবিদ্ধ সেটা কি না বললেই হতোনা ????
সভ্য মানুষের কাছ থেকে কি আমরা আরো বেশী দায়বদ্ধতা এবং শালীনতা প্রত্যাশা করতে পারিনা। আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় বাংলার_হাসান

৪০| ১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৫৯

দুরন্ত-পথিক বলেছেন: হুম যুগোপযোগী লেখা,বরাবরের মতই সুন্দর ও সাবলীল।

২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় দুরন্ত-পথিক

৪১| ১৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০১

বিলাল বলেছেন: গল্পটি আরেকবার পড়লাম।
১) এতো অশ্লীল শব্দ এর আগে গল্পে কেউ ব্যবহার করে নাই।
২) বর্তমান তথাকথিত সভ্যসমাজকে এতো নগ্নভাবে কেউ আক্রমণ করে নাই
৩)এতো জীবন্ত সত্য এমন গল্পের ছলে কেউ বলে নাই
৪) তবে শেষের অংশের সাথে সম্মিলন ঘটিয়ে এ গল্পকে ব্লগের ইতিহাসের এক অন্যরকম মাইলফলক হিসাব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন।
৫) যারা এ গল্পটি পড়েছে-তারা একবার হলেও চিন্তা করবে থুথু দিবো না গোলাপের পাঁপড়ি দিবো।
৬) আমি অনেক চিন্তা করে আপনার দুঃসাহসিকতার জন্য গোলাপই দিলাম।

২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:২১

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ।

৪২| ১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: সাহসী গল্প। আপনাকে সাধুবাদ। গল্প সম্পর্কে কোনও কমেন্ট করার সাহস হচ্ছে না। আসলে গল্পেই সব বলে দিয়েছে, নতুন করে অ্যাড করার আর কিছু নেই।

২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪৩| ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: 'আর রক্ত যদি লালই হবে তবে এতো নির্জীব কেন???????'----নির্জীব ????? এ অভিযোগ শুনতে হয়নি, হবেওনা। অনেক ধন্যবাদ ।

২৬ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৫:৫৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: তাই যেন হয়। শুভকামনা নিরন্তর।

৪৪| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

মাক্স বলেছেন: লিখাটি ভালো লাগলো!

২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মাক্স।

৪৫| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

না পারভীন বলেছেন:
যেহেত আমি সাধারণ অতি দূর্বল মানুষ তাই ইহাই আমার প্রতিবাদ, ইহাই আমার ক্ষোভ, ইহাই আমার বিবেকের প্রতি দায়মোচন।


২৬ তম ++ , ভাল থাকবেন , শুভকামনা রইল ।

২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন, আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।

৪৬| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আমি সাহসী লিখা বলব না , বলব বাস্তবতার নির্মোহ প্রকাশ । এমন লিখার দরকার আছে । সত্যিটা কারো না কারো বলতেই হবে । ।
আর কুকুর মহৎ প্রাণী , খারাপ মানুষকে কুকুরের সাথে তুলনা করে
কুকুরের অমর্যাদা করা হয় ।

গল্পে +++++++

২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মাহমুদ।

৪৭| ২৭ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৫:২১

ইউক্লিড রনি বলেছেন:
সমাজে এইসব কালপ্রিটের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। X((

গল্পে মুগ্ধ এবং প্লাস।
পাশাপাশি আপনার কল্পনাশক্তি আর গালিগালাজের নিপুনতার তারিফ না করে পারছিনা। :P

২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনি খুব চালাকি করে আমাকে গালিবাজই বললেন...........হাহাহাহাহাহাহা।
বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় ই রনি।

৪৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৪

রুম৭৪ বলেছেন: মন্তব্য না করে থাকতে পারলাম না। এককথায় অদ্ভুত এক লেখা!

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:২৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় রুম ৭৪ ভাই/বোন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.