নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিতা হকের কথা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৬

এইমাত্র মিতাহকের ভিডিও ক্লিপটি দেখলাম । দেখে আশ্চর্য্য হয়ে গেলাম কীভাবে উনার কথাটি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হলো। আমরা কিছু না জেনে , না শুনেই আলোচনায় জড়িয়ে যাই। আমিও একটা মন্তব্য করেছিলাম একটা পোস্টে। এরপর চিন্তা করলাম, আসলে দেখিনা, উনি কি বলেছেন। কোথাও দেখলাম না ঘোমটা শব্দটি ব্যবহার করতে।



উনি বলেছেন, যারা পুরো মুখমন্ডল ঢেকে রাখে, শুধুমাত্র চোখ দুটি দেখা যায়। তাদের কথা। বলা হয়নি, মাথায় কাপড় দেয়া যাবেনা, শালীন হয়ে চলা যাবেনা।



ভাই, আমরা ইসলামের সুমহান আদর্শের কথা বলবো, আবার কারো কথা নিজের সুবিধার জন্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করবো। তা তো হতে পারেনা।



কিছুদিন আগে শুনলাম , পত্রিকার পাতায় দেখলাম এক মেয়ে নাকি আরেক মেয়েকে বিয়ে করে ঘর সংসার করছে। পরে জানলাম- এটা হলো নিছক একটা প্রতারণা। মেয়েটি ছিলো পাচারকারি দলের সদস্যা।



রঙধুনর মাঝে আছে সাত রঙ, আর আমরা মুহুর্তেই কথার মাঝে ছড়িয়ে দেই সতের রঙ।

মন্তব্য ১০৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৭

মুখ ফি বলেছেন: চিলে কান নিছে দৌড়াও চিলের পিছনে
কান জায়গামত আছে কি নাই, তা দেখার সময় কোথায়?????

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: সেটাই।
কিন্তু এখন পর্যন্ত কোথাও চিলে কান নিয়ে যায়নি।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৭

মুখ ফি বলেছেন: চিলে কান নিছে দৌড়াও চিলের পিছনে
কান জায়গামত আছে কি নাই, তা দেখার সময় কোথায়?????

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩০

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ছাগুদের কাজই গুজব ছড়ানো

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪২

খেয়া ঘাট বলেছেন: আর আমরাও কিছু না বুঝেই কিছু যাচাই না করেই নানা রঙে রাঙিয়ে সামান্য বিষয়কে ইচ্ছেমতো রঙিন করি।

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

উড়নচন্ডী ডটকম বলেছেন: যারা পুরো মুখমন্ডল ঢেকে রাখে, শুধুমাত্র চোখ দুটি দেখা যায়। তাদের কথা। ...


সোজা একটা প্রশ্নের জবাব দেন।যারা নেকাব পড়ে তারা কি বাঙালী মহিলা হতে পারেনা?


উনি বক্ত্যব্যের এক জায়গায় বলেছেন, আজকাল আমি বাংলাদেশে রাস্তায় বের হলে ডাক্তার খানায় গিয়ে হাসপাতালে গিয়ে যেখানে একটু বেশী লোকের সমাগম... যেখানে শুধু আমার মাথায় ঘোমটা নাই ।

এই কথা দ্বারা কি বুঝলেন আপনি? এতে যাদের ঘোমটা তথা মাথায় কাপড় আছে তাদের বোঝানো হয়নি?

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: একেবারে সোজা ভাবেই জবাব দেয়ার চেষ্টা করছি।
যারা মুখমন্ডল ঢেকে রাখে, হিজাব পড়ে চলাফিরা করে। বোরখা পড়ে, নবীসাঃ এর আদেশ নিষেদ মেনে চলে। ইসলামী অনুশাসন নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে- তারা অবশ্যই বাঙালী, অবশ্যই বাঙালাদেশি। আমি নিজেই এমনি পরিবারের অন্তর্ভূক্ত। এরকম পরিবেশে বেড়ে উঠায় আমার পরিবারের প্রতি আমি কৃতগ্গ। আল্লাহর কাছে অগনিত শুকরিয়া।

কিন্ত, আমি যা লিখেছি তা হলো, ঘোমটা এনে কথাটা এমনভাবে বলা হলো তা ছিলো উনার কথার সম্পূর্ণভাবে বিকৃতি করা।

উনি যা বলেছেন, তা ততটুকু বলাই কি উচিত নয়?
হয়ত রঙীন হতে হতে একসময় হয়তো কেউ বলবে- উনি বলেছেন যারা মুসলমান তারা কোনোভাবেই বাঙালি নয়?

ধন্যবাদ ভাই।

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

ডাব্বা বলেছেন: উনি বলেছেন, যারা পুরো মুখমন্ডল ঢেকে রাখে, শুধুমাত্র চোখ দুটি দেখা যায়।: আমার মা সারাজীবন প্রায় এভাবেই থেকেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। বোরকা পড়তেন। তিনি কি বাংগালী ছিলেন না তবে?

বাংগালীয়নার সাথে ধর্মের কি সম্পর্ক? পর্দা প্রথার সাথে বাংগালী হবার কি যোগাযোগ! বুঝে আসছে না।

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: আমি যেখানে ভিডিও ক্লিপটি দেখলাম সেই ক্লিপের শিরোণাম করা হয়েছে-
'হিজাব, ঘোমটা ও দাড়ি-টুপিঅলারা আর যাই হোক বাঙ্গালী নাঃ মিতা হক.'- দেখলেন কি রকম বিকৃত করা হয়েছে।
এগুলো হলো কিছু উদ্দ্যেশ্য হাসিল করা মানুষের কাজ। হয়তো একটা ব্যাপারে হৈ চৈ করেই উনারা আনন্দ পান এতটুকুই।

মুসলমান হিসাবে আমি রাব্বুল আলামীনের দরবারে হাজারবার শুকুরিয়া আদায় করি, একজন বাঙালি হিসাবে, বাঙালাদেশী হিসাবে গৌরব আর অহঙকার বুকে লালন করি।

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪১

কয়েস সামী বলেছেন: থ্যাংকস। আমিও উনাকে ভুল বুঝা শুরু করেছিলাম।

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: সেটাই ভাই।
অফিসে আছি । একটু পর পরের মন্তব্যগুলোর জবাব দিবার আশাকরি।
ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪২

ওহ বলেছেন: আপ্নি বললেন,যারা পুরো মুখমন্ডল ঢেকে রাখে, শুধুমাত্র চোখ দুটি দেখা যায়। তাদের কথা। বলা হয়নি, মাথায় কাপড় দেয়া যাবেনা, শালীন হয়ে চলা যাবেনা।

আচ্ছা ,যারা পুরো মুখমন্ডল ঢেকে রাখে, শুধুমাত্র চোখ দুটি দেখা যায় তারা কী বাঙ্গালী না?

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: অবশ্যই তারা বাঙালি, হাজার বার বাঙালি। পরিধেয় বস্ত্র বাঙালীর পরিচয় নির্ধারণ করেনা। আমার পোস্টের মূল কথাই ছিলো - আমরা কোনো বিষয়কে মাত্রাতিরিক্ত অতিরন্জিত করি। আমি নিজে কিছু বুঝার চেষ্টা করি, হয়তোবা আমারও বোঝার ভুল হতে পারে। কিন্তু এক্সক্লিসভলি উনার বক্তব্যকে যেভাবে বায়াসড হয়ে কালারড করা হচ্ছে সেটার তীব্র বিরোধীতা করছি।
ধন্যবাদ।

৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫০

ShusthoChinta বলেছেন: ও তার মানে শুকরছানা না বলে কুকুরছানা বলে গালি দিলে কোন সমস্যা নেই বলে মনে করেন আপনি? আপনি বলতে চাইছেন আমার মা,আমার বোন যারা মুখ ঢাকা হিজাব করেন তারা বাঙালি জাতের বাইরে? সাহসের বলিহারি আপনাদের! এভাবেই তাইলে ইসলামিক মাইন্ডের মানুষগুলোকে জামাতি ট্যাগ দিয়ে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার হুকুম করেন তাই না? সামনাসামনি আপনাদের মতো লোকদের সাথে মোলাকাত হলে দেখতাম আসলে আপনারা কতবড় দেশপ্রেমিক আর কতটা খাঁটি বাঙালি!

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: সত্যকারের ইসলামিক মাইন্ডের মানুষেরা নম্র হয়, ভদ্র হয়। সত্যকে সত্য বলে। মিথ্যা বলে মিথ্যা। ঘটনাকে অতিরন্জিত করে সুবিধা আদায় করেনা। অযথা তর্কে জড়াতে চায়না।

তারপরও কেউ ঘাটালে বলে, আসসালামু আলাইকুম ভাই। আমি একজন মুমিন, আমি একজন মুসলমান।

আমিও আপনাকে সেটা বললাম।

৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভিডিও লিংকটা দেন। দেখি কী কৈসে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: উপরের মন্তব্যগুলোর জবাব একটু পরে দিচ্ছি। আপাতত লিংক দেয়াটাই জরুরি মনে করছি। ভিডিওটা দেখেন-
মিতা হক যা বলেছেন

১০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: আপ্নি বললেন,যারা পুরো মুখমন্ডল ঢেকে রাখে, শুধুমাত্র চোখ দুটি দেখা যায়। তাদের কথা। বলা হয়নি, মাথায় কাপড় দেয়া যাবেনা, শালীন হয়ে চলা যাবেনা।

আচ্ছা ,যারা পুরো মুখমন্ডল ঢেকে রাখে, শুধুমাত্র চোখ দুটি দেখা যায় তারা কী বাঙ্গালী না?


তাহলে মিতা হকের কথা আমরা বুঝলাম, যারা পুরো মুখমন্ডল ঢেকে রাখে, শুধুমাত্র চোখ দুটি দেখা যায় তারা বাঙালী না।

তাহলে বাঙালী কোন সব মেয়েরা? যারা-
১. জিন্স টি শার্ট পরে।
২. যারা তাদের গলাকে লজ্জাস্থান মনে করে ওড়না দিয়ে তা ঢেকে রাখে।
৩. যারা লেঙ্গিস পরে। ইত্যাদি........

ওনাকে তো নোবেল দেওয়া উচিত সর্ব কালের শ্রেষ্ঠ মহিলা বাঙালী হিসাবে। এতে অবশ্য কেউ কেউ অখুশি হতে পারেন!

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভাই দয়া করে আপনি আমার লিখা পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন।
আমার মা, বোন, খালা, ফুফু, চাচা, ভাবী যারা চোখ ঢেকে রাখে তারা অবশ্যই বাঙালি । আবার যারা শাড়ী পরে, জিন্স পরে তারাও বাঙালী।
এখানে রুচিবোধ নিয়ে প্রশ্ন হতে পারে। কিন্তু পরিধাণ বাঙালিত্বের পরিচয়কে মুছে দেয় তা হতে পারেনা।

কিন্তু আমার পোস্টের মূল কথাই ছিলো- উনার বক্তব্যকে অতিরন্জিত করে উপস্থাপনা করা হচ্ছে।

১১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

সবুজ ভীমরুল বলেছেন: আপনি কি পুরোটা শুনছেন?

যারা মুখমন্ডল ঢেকে রাখে, শুধুমাত্র চোখ দুটি দেখা যায়.........আজকাল আমি বাংলাদেশে রাস্তায় বের হলে ডাক্তার খানায় গিয়ে হাসপাতালে গিয়ে যেখানে একটু বেশী লোকের সমাগম... যেখানে শুধু আমার মাথায় ঘোমটা নাই ।

এই কথা দ্বারা কি বুঝলেন আপনি? ঐ মহিলা তো পরিস্কার ভাবে বোরকা ও ঘোমটা তথা হিজাবকেও অপমান করলেন!!!

দাড়ি টুপির উপরেও তো কটুক্তি করতে দেখলাম।


আপনি কি কান বন্ধ করে ছিলেন নাকি??

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: না ভাই, কান বন্ধ করে রাখিনি। চোখ, কান খোলা রেখেছি বলেইতো আরেকটু গভীরে গিয়ে ভিনডিকেটেইড করার চেষ্টা করলাম।
উনি যদি বলেই থাকেন- আমার মাথায় ঘোমটা নেই- তাহলে এখানে আমার সমস্যাটা কোথায় সেটাইতো বুঝলামনা।

কথা হয়তোবা অপ্রাসংগিক হবে, তবে কিছুদিন আগে ডঃ রব ম্যাক বেথ , বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন এ্যাসিস্টেন্ট ডাইরেক্টর দেশের কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন- দেশের মূল সমস্যাটা হলো -
Everything is everybody's business.
আমি আশ্চর্য্য হয়ে গেলাম একজন বিদেশী মানুষ এতো অল্প কথায় এরকম অর্থবহ কথা কীভাবে বলতে পারলেন।
ধন্যবাদ।

১২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৩

উড়নচন্ডী ডটকম বলেছেন: খেয়া ভাই, বিকৃতি ভাই আপনি উনার ভিডিওটা আবার দেখুন ১মিনিট ১০ সেকেন্ড থেকে এবং আমি উনার বক্তব্য দিয়েছি।মিলিয়ে দেখুন এবং বলুন কোন জায়গায় বিকৃতি হয়েছে।আপনি বিকৃতি হয়েছে প্রমাণ দিতে পারলে আমি আমার পোষ্ট সরিয়ে ফেলব না পারলে আপনি সরিয়ে ফেলবেন।

মিতার বক্তব্য ,আজকাল আমি বাংলাদেশে রাস্তায় বের হলে কোন ডাক্তার খানায় গিয়ে হাসপাতালে গিয়ে যেখানে একটু বেশী লোকের সমাগম ওয়েটিং রুম আছে অপেক্ষা করছে সেখানে গেলে আমি দেখি যে সেখানে একমাত্র আমি বাঙালী আমি শাড়ি পড়ে গেছি এবং আমার মাথায় ঘোমটা নাই

এর মানে কি মাথায় ঘোমটা না থাকলেই বাঙালী হয় তাই নয় কি?

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: উড়নচন্ডী ভাই, যদিও আপনি উড়নচন্ডী না।
আমি উনার ভিডিও ক্লিপটা আবার শুনলাম। উনিতো প্রথমেই বলেছেন-খুব খেয়াল করে শুনেন- " বাকি সবাই কিন্তু আমরা বাঙালি।"
উনিতো স্বীকার করেই নিয়েছেন - সবাই বাঙালী হিসাবে। - তাহলে এটা নিয়ে এটো অতিরন্জিত করার কী আছে।

এরপর হ্যাঁ, উনি বলেছেন- শুধু আমার মাথায় ঘোমটা নেই।
তাহলে এখানে আমার সমস্যাটা কোথায়।

তারপর আসলো " মানে কি ? " নিয়ে।
এ প্রসংগে একটা ঘটনা না বললেই নয়।
চট্টগ্রামের একজন বিখ্যাত মাওলানা ছিলেন। জানিনা আজ উনি বেঁচে আছেন কিনা। এতো সৌম্য , সুদর্শরন মানুষ। মন্চে বসে থাকলে উনাকে দেখে মনে হতো একটি লাইট যেন আলো ছড়াচ্ছে। নামটা ঠিক এ মুহুর্তে মনে আসছেনা, দেশে ফোন করলেই জানা যাবে। উনাকে বলা হতো চট্টগ্রামের সিংহ পুরুষ।
ওয়াজ করার সময় মাঝে মাঝে খুব রেগে যেতেন। রেগে গিয়ে বলতেন,
আমি নাকি ভিতরে ভিতরে বেদাতি কাজ করি। ওরা আমার ভিতরের কথার মানে বাইর করে। আরে এতোই যখন তোমাদের আমার ভিতরের কথার মানে বের করা দরকার তাইলে বের করো আমি রানী এলিজাবেথের সাথে প্রেমও করি"- তোমাদরতো আর মানে বের করতে, কথাকে অতিরন্জিত করতে কোনো সমস্যা নাই। ইচ্ছে মতো করো।
ধন্যবাদ।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪০

খেয়া ঘাট বলেছেন: ও আরেকটি কথা ,এই পোস্ট আমি এমনিতেই সরিয়ে ফেলবো। এ জাতীয় পোস্ট দেয়ার অভ্যাসও আমার নেই। কারণ কথা চালাচালি, কথার পিঠে কথা বলা।যুক্তি , পাল্টা যুক্তি এসবে আমি তেমন স্বাচ্ছন্দও বোধ করিনা।
বিনীত ধন্যবাদ।

১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৫

ডাব্বা বলেছেন: ভিডিওটা আমি দেখলাম। ইগ্জ্যাক্ট শব্দগুলো তা ছিলো না কিন্তু তাতে ভাব এর কোন কমবেশী হয়নি।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: কাজ থেকে বের হলাম। পরে জবাব দেব ইনশাল্লাহ।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: মিতা হক কিন্তু উনার কথার শুরুতেই বলেছেন- বাকি সবাই আমরা কিন্তু বাঙালি -এখন কথা হলো, মিতা হক কে? একজন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। ব্যস। উনি কি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্বকারী কেউ?
উনি যদি বলেও থাকেন- আমরা কেউ বাঙালি না, তাতেও আমার কিছু যায় আসেনা। আমার পরিচয় নির্ধারণের লাইসেন্স কারোরই নেই।
আমার পোস্টের মূল বক্তব্যই ছিলো- খামোখা স্রেফ একটা ইস্যু তৈরি করা।
যেসব ব্যাপারে আমাদের সিরিয়াস হওয়া দরকার, তাতে আমরা বড়ই উদাসীন, আর যেসব ব্যাপারে চিন্তা না করলেও কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নেই, সেখানেই আমরা কামান দেগে বসে থাকি। ধন্যবাদ ভাই।

১৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১০

ওহ বলেছেন: লিংক টা দিলাম

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: লিংক দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১১

উড়নচন্ডী ডটকম বলেছেন: ডাব্বা, ১২ নম্বর কমেন্টে আমি মিতার বক্তব্য দিয়েছি।আপনি মিলিয়ে দেখুন।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:১৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনিও অনুগ্রহ করে আমার আগে দেয়া জবাবগুলো পড়ে দেখুন। ধন্যবাদ।

১৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৫

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: পুরো ভিডিওটা শুনে এবং " যারা মুখমন্ডল ঢেকে রাখে, শুধুমাত্র চোখ দুটি দেখা যায়.........আজকাল আমি বাংলাদেশে রাস্তায় বের হলে ডাক্তার খানায় গিয়ে হাসপাতালে গিয়ে যেখানে একটু বেশী লোকের সমাগম... যেখানে শুধু আমার মাথায় ঘোমটা নাই । "- এ বক্তব্যটা বিবেচনায় নিলে মিতা হককে বেনিফিট অফ ডাউট দেয়ার কোন সুযোগ নাই। প্রত্যেক ধর্মের মানুষের তার নিজের মত করে ধর্ম মানার অধিকার রয়েছে -এটা মিতা হক ভুলে গেছে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: প্রত্যেক ধর্মের মানুষের তার নিজের মত করে ধর্ম মানার অধিকার রয়েছে- একদম ঠিক কথা।
এখন কেউ যদি ডাক্তার অফিসে মাথায় কাপড় না দিয়ে বসে থাকে। তাতেও তো কারো সমস্যা হওয়ার কথা না।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, অভিজাত, সম্ভ্রান্ত, রুচিশীল, শিষ্টাচার,আদব-লেহাজের যেকোনো মহিলাই মাথায় কাপড় দিয়ে নিজস্ব ভাবগাম্ভীর্য্য বজায় রেখে চলাফেরা করেন।
আমার মা বলতেন-
এমন জায়গায় বসো, কেউ যেন না বলে ওঠ,
এমন কথা বলো, কেউ যেন না বলে জোট,
এমন করে চলো, কেউ যেন না বলে রদ,
এমন পোষাক পরো , কেউ যেন না বলে বদ।

কিন্তু আমার কথা সেটানা, কথা হলো- উনার কথাগুলোকে এমন রঙ মাখিয়ে বলা হচ্ছে যেন উনার কথাগুলো আমাদের বাঙালিত্বের পরিচয়কে একেবারে আগুন দিয়ে পুড়ে কলির কল্কের টিকিতে ছাই বানিয়ে তা নিমিষেই একেবারে গঙগা জলে ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে।

ধন্যবাদ।

১৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৫

উড়নচন্ডী ডটকম বলেছেন: এরপর চিন্তা করলাম, আসলে দেখিনা, উনি কি বলেছেন। কোথাও দেখলাম না ঘোমটা শব্দটি ব্যবহার করতে।

আপনি হয় কানে কম শুনেন না হয় আপনি নিল্লজ্ব মিথ্যাচার বললেন কোথাও দেখলাম না ঘোমটা শব্দটি ব্যবহার করতে। অথচ উনার বক্তব্যে স্পষ্ট বলেছেন যে সেখানে একমাত্র আমি বাঙালী আমি শাড়ি পড়ে গেছি এবং আমার মাথায় ঘোমটা নাই

ভাই এইভাবে মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ঠিক না।


১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪২

খেয়া ঘাট বলেছেন: ১২ নাম্বার জবাব দেয়া হয়েছে। আশাকরি সময় করে পড়ে নিবেন।
ধন্যবাদ। শুভকামনা। নিরন্তর ভালো থাকবেন।

১৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৭

উড়নচন্ডী ডটকম বলেছেন: নুসরাতসুলতানা, উনার বক্তব্যে ১মিনিট ১০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বলেছে , আজকাল আমি বাংলাদেশে রাস্তায় বের হলে কোন ডাক্তার খানায় গিয়ে হাসপাতালে গিয়ে যেখানে একটু বেশী লোকের সমাগম ওয়েটিং রুম আছে অপেক্ষা করছে সেখানে গেলে আমি দেখি যে সেখানে একমাত্র আমি বাঙালী আমি শাড়ি পড়ে গেছি এবং আমার মাথায় ঘোমটা নাই ।



এর মানে কি মাথায় ঘোমটা না থাকলেই বাঙালী হয় তাই নয় কি?

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: মাথায় কাপড় না থাকলেও কারো বাঙালিত্ব মুছে যাবেনা, মাথায় কাপড় থাকলেও কারো বাঙালিত্ব মুছে যাবেনা।
এতো বেশে সেনসেটিভ আমরা পানি বলা হলো , নাকি জল বলা হলো -তা নিয়েও হাতি ঘোড়া মারি। বাঙালিত্ব যেন ছোট এক ব্যাঙাচি'র মতো এক লাফে ঢুকে পড়ে জলের ঘটিতে আরেক লাফে পানির পাত্রে। বড়ই অদ্ভূত। বড়ই আজব। লালনকেই মনে পড়ে- জাত গেলো জাত গেলো বলে- একি আজব কারখানা।
মিতা হক একজনেই আমাদের বাঙালিত্বের পরিচয়কে একেবারে আগুন দিয়ে পুড়ে কলির কল্কের টিকিতে ছাই বানিয়ে তা নিমিষেই একেবারে গঙগা জলে ভাসিয়ে দিয়েছেন।
"চন্দ্রালোভিত শোভায় নিজের মনকে বিকশিত করিত না পারিলে আমার বড় ভয় হয় আমাদের শিক্ষা সর্প হইতে পারে, যেখানে সর্পমনির আশা করা যাইবেনা, তবে এ সর্প সমাজকে ধ্বংস করিবে।"-ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
ভালো থাকবেন।

১৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৭

গোলক ধাঁধা বলেছেন: মিতা হক কে কোলকাতায় পাঠানো হোক,এটা ৯০% হিজাব পরা বাংলাদেশি মুসলিমদের দেশ।ওর মত পরগাছার দেশ নয়।আর এরাই দেশকে উষ্কানিমুলক কথা বলে দেশ কে অস্থিরতায় ঠেলে দেয়।আর মিতা হকের কথা মোটেও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয় নাই কারন মিতা হকের বলার উদ্দেশ্যই ছিল এটা

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: বাহঃ কী চমৎকার। মিতাহক সবার বাঙালিত্বের পরিচয় মুছে দিলো, আর আপনিও উনাকে পরগাছা বলে উপড়ে ফেললেন।
একেবারে সমানে সমান হয়ে গেলো।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

২০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: খেয়া ঘাট, আমি ভিডিওটা দেখলাম। ১২ নং কমেন্ট পড় এবং যদি ভদ্র ঘরের সন্তান হয়ে থাক কমেন্ট দাতার চালেঞ্জ গ্রহণ কর।

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনি হঠাৎ করে আমাকে তুমি বলে , ভদ্র ঘর ইত্যাদি নিয়ে এসে আলাপ করা শুরু করলেন কেন, ভাই।

ব্লগে নানা মতের আদান প্রদান হবে - এটাইতো স্বাভাবিক। আমার পোস্টের সাথে একমত না হলে বর্জন করবেন। আপনার প্রোফাইলে সুন্দর ফুলের ছবি দিয়ে রেখেছেন। আশাকরি ফুল থেকে সুঘ্রাণই বের হবে। বিনীত ধন্যবাদ।

২১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে ভিডিও দেখতে পারছি না। তবে এই লিংকের বক্তব্য সত্য নাকি মিথ্যা বলুন

তিনি বলেছেন, “আমাদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিসটা এতো বাজে, আজকাল বাংলাদেশে রাস্তায় বেরিয়ে, কোন ডাক্তারখানায় বা হাসপাতালে গিয়ে, যেখানে একটু লোকজনের সমাগম বেশি, যেখানে ওয়েটিং রুম আছে, লোকজন অপেক্ষা করছে, সেখানে দেখি যে, একমাত্র আমিই বাঙালি। আমি শাড়ি পড়ে গেছি আর আমার মাথায় ঘোমটা নেই। আজকাল তারা এইটুকু মুখ (শুধুমাত্র চোখ খোলা থাকে) বের করে রাখছে। এতে তারা আর যাই হোক বাঙালি নয়।”

এখানে ইস্যু হলো দুটি। ১) ঘোমটা ২) হিজাব (এইটুকু মুখ খোলা রাখা)

প্রশ্নঃ ঘোমটা পরলেই কি কোনো নারী অবাঙালি হয়ে যান?
সমস্ত শরীর ঢেকে রেখে যাঁরা এইটুকু মুখ খোলা রাখেন, তাঁরাও কি অবাঙালি?

পুরুষের বেলায় তাহলে কী বিধান? (লালনের গানটা তো উলটো করে বলতে হয় দেখি)।

ইস্যুটা নিঃসন্দেহে বিতর্কিত। এজন্য ব্লগে ও ফেইসবুকে ঝড় উঠেছে। মিতা হক আমার অন্যতম প্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। এই মুহূর্ত থেকে আমি এই মহিলার সঙ্গীত বয়কট করলাম।

রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইলেই বাঙালি হওয়া যায় না।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভাই, সব কিছু অস্বীকার করলেও উনি আমাদের আইডেনটিটি ক্রাইসিসের যে কথাটা বলেছেন-তাতো অস্বীকার করার উপায় নাই। এই একটা কথার জন্যতো উনি ধন্যবাদ পেতে পারেন।
আমাদের নিজস্ব কোনো স্বকীয়তা আছে কিনা আপনিই বলুন।
ইফতারের পূর্বমুহুর্তে সাদাটুপিতে ছেয়ে যায় এ দেশের হাট বাজার, আবার এই দেশই দূর্নীতিতে প্রথম হয়। এসব মানুষ কারা? ঠিক যেন মিলাতে পারিনা। একদিকে মিলাদ মাহফিলে হাজারো মানুষের সমাগম,আবার অন্যদিকে অর্ধনগ্ন মেয়েদের রাতভর যাত্রাপালায় মানুষের ঢল।
বায়তুল মোকারমে জুমার নামাজ পড়ে আমার পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে শ্লোগান ধরি, আবার ভোর পাঁচটা থেকেই বারিধারায় লাইন ধরে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকি। রোজা রেখে, নামাজ পড়ে প্রার্থনা করি রাব্বুল আলামিন ভিসা প্রাপ্তিটা সহজ করে দাও।

এবার শিক্ষা ব্যবস্থা দেখুন- মক্তব আছে, এবতাদিয়া আছে, প্রাইমারি আছে, কিন্ডার গার্টেন আছে, হেফজখানা আছে, সরকারি মাদ্রাসা আছে, ওহাবি মাদ্রাসা আছে, রাম কৃষ্ন মিশন শিক্ষা ব্যবস্থা আছে, যার কিছু নাই তার জন্য আবার এতিম খানা আছে।

শিশুর শৈশবেই বিভিন্ন রকমের শিক্ষা ব্যবস্থা। তাই এদের চিন্তাভাবনাও ভিন্ন হবে। কেউ বাংলা বলছে, কেউ বাংলিশ বলছে, কেউ এখন পুরা হিন্দি ভাষায় কথা বলছে। নতুন এক উদ্ভট উট এসেছে- আর জে।

রমজানে কোনো চ্যানেল কারো মাথায় কাপড় আছে, কারো নেই। এরকম লিখেতে চাইলে ভাই কথা শুধু বাড়তেই থাকবে। এখানে আমাদের নিজস্ব স্বকিয়তা কোথায় আপনিই বলুন।

শুধু নজরুলের একটা কথা বলছি-
"বিশ্ব সভায় সবাই এগিয়ে, আমরা রয়েছি পিছে,
বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি শুধু হাদীস,কোরআন চষে।"

এখন বের হতে হচ্ছে। পরে কথা হবে। ভালো থাকুন । শুভকামনা।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫০

খেয়া ঘাট বলেছেন: রবীন্দ্রসংগীত গাইলেই বাঙালি হওয়া যায়না ঠিক বলেছেন।আবার উনার একটা কথার জন্যও যে উনাকে একেবারে বাতিল করে দিতে হবে এরকম প্রন্তবর্তী হওয়াও মনে হয় ঠিক না। ধন্যবাদ।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: "মিতা হক শুধু নিজের কথা বলেছেন। সেদিন নিজে কি পোষাক পরিধান করেছেন সেটাই বর্ননা করেছেন। উনি এমন তো না যে শুধু ঘোমটার কথা বলেছেন। সবাই জানে ঘোমটা দেয়া বা না দেয়া বাঙালিত্বের লক্ষন হতে পারে না। হেজাব নামের চোখ বাদে সমস্ত মুখঢাকা ও ইসলামি পোষাকের নামে স্কিন টাইট বুর্খাকে নিন্দা করেছেন। " উপরের কথাগুলো ভালো লেগেছে বলে কোট করলাম।

আমি মিতা হককে ডিফেন্ড করতে আসিনি। শুধু মাত্র বুঝাতে চেয়েছি তিল কেমন করে তাল হয়ে যায়।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,বিরোধীদলীয় নেতা, স্পীকার কেউইতো বোরখা পড়েন না । কিন্তু তাই তাদেরতো অশালীন বলা যাবেনা।
ইসলামের কোথাও শাড়ি পরার কথাও বলা হয়নি, আবার বোরখা পরার কথাও বলা হয়নি। বলা হয়েছে নিজেকে ভালোভাবে ঢেকে রাখো। এখন কেউ যদি শাড়ি পরে শালীনতা বজায় রাখে তবে যেমন সমস্যা নেই, তেমিন বোরখা পরলেও সমস্যা নেই। সমস্যা হলো আমাদের চেতনায়, আমাদের চিন্তার বিশুদ্ধতায়। আমি দড়িকে দড়িই ভাবতে চাই। দড়িকে সাপ বলে আতঙক সৃষ্টির মতো কর্ম সম্পাদনে আমি আগ্রহী নই।

২২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

একটা মানুষ কি মরে গিয়েও শান্তি পাবেনা !!!!!!!!!

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার কথাটা বুঝতে পারিনাই।

২৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার উদ্ধৃত অংশ ভিডিওতে প্রায় অবিকল শুনলাম কষ্ট করে (কিছু মাইনর অব্যয় হেরফের হয়েছে)।

এবার আপনার পয়েন্টে আসা যাক। আপনি বললেন, উনি বলেছেন, যারা পুরো মুখমন্ডল ঢেকে রাখে, শুধুমাত্র চোখ দুটি দেখা যায়। তাদের কথা। বলা হয়নি, মাথায় কাপড় দেয়া যাবেনা, শালীন হয়ে চলা যাবেনা।

যাঁরা মুখমণ্ডল ঢেকে রাখেন, শুধুমাত্র চোখ দুটি দেখা যায়, তাঁরা কীভাবে অবাঙালি হন এটা প্লিজ বুঝিয়ে বলুন।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার সাথে আলোচনাটা অর্থবহ মনে হচ্ছে।এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনাকে আরো একবার ধন্যবাদ এ জন্য যে, আপনি আপনার মন্তব্য এ আলোচনার মাঝেই রেখেছেন। ব্যক্তিগত আক্রোশে যাননি।
এ জাতীয় আক্রান্তের ভয়েই অনেককেই আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি দেশের বেশকিছু গুনি মানুষ ব্লগিং এড়িয়ে চলেন। অনেকেই আবার শুধুমাত্র আলোর ভিতর দিয়েই হেঁটে যাওয়ার কৌশল অবলম্বন করেন।

যাক, এবার আপনার মন্তব্যের জবাব দেই। হয়তোবা মিতা হকের কথা নিয়ে আমারও ভুল বিশ্লেষণ হতে পারে। তবে আমি যা বুঝেছি, তা হলো এ ব্যাপারটা শুধুই অতিরণ্জিত করা হচ্ছে। একেবারে নীচে একভাইয়ের কমেন্ট দেখেন। আগে কাপড় শুধু মাথার নীচ পর্যন্ত নেমেছিলো- এখন একবারে হিপের নীচে চলে গেছে।

একথাগুলো আবার কোট করতে হচ্ছে-
"মিতা হক শুধু নিজের কথা বলেছেন। সেদিন নিজে কি পোষাক পরিধান করেছেন সেটাই বর্ননা করেছেন। উনি এমন তো না যে শুধু ঘোমটার কথা বলেছেন। সবাই জানে ঘোমটা দেয়া বা না দেয়া বাঙালিত্বের লক্ষন হতে পারে না। হেজাব নামের চোখ বাদে সমস্ত মুখঢাকা ও ইসলামি পোষাকের নামে স্কিন টাইট বুর্খাকে নিন্দা করেছেন। "

যেহেতু আপনাকে সাহিত্যের বেশ সমজদার মানুষ মনে হয়- তাই প্রাসঙগিক মনে করে জীবনানন্দ দাশের "দোয়েল" কবিতা'র চারটি লাইন এখানে উদ্বৃতি দিলাম-
" শিশ তুলে বিভোর হয়েছে।
কার লাশ? কেটেছিলো কারা?
সারা পৃথিবীতে আজ রক্ত ঝরে কেন?
সে সব কোরাসে একতারা।

ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

২৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

অভিপ্রায় বলেছেন: লেখককে বলছি, আপনি অনেকের কমেন্ট-এ জবাব দিয়েছেন যে মিতা হকের বক্তব্য অতিরন্জিত করা হচ্ছে, আবার দাবি করেন আপন খাটি বাংগালী। কিন্ত একবারও বলেন না যে মিতা হক উনি দাবি করেছেন যে অনেক মা বোনের উপস্হিতিতে উনি-ই একমাত্র বাংগালী, কারন উনি শাড়ী পরেন কিন্ত ঘোমটা দেন না, আরো বলেছেন: দেখুন বা পড়ুন:- "তিনি আরো বলেন, আমাদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিসটা এতো বাজে, আজকাল বাংলাদেশে রাস্তায় বেরিয়ে, কোন ডাক্তারখানায় বা হাসপাতালে গিয়ে, যেখানে একটু লোকজনের সমাগম বেশি, যেখানে ওয়েটিং রুম আছে, লোকজন অপেক্ষা করছে, সেখানে দেখি যে, একমাত্র আমিই বাঙালি। আমি শাড়ি পড়ে গেছি আর আমার মাথায় ঘোমটা নেই। আজকাল তারা এইটুকু মুখ (শুধুমাত্র চোখ খোলা থাকে) বের করে রাখছে। এতে তারা আর যাইহোক বাঙালি নয়। " আমার কথা হচ্ছে উনি অন্যরা ঘোমটা না দেয়াতে তাদের (বাকি যারা আছেন) মধ্যে উনি-ই শুধু বাংগালী, তাহলে বাকিরা কি? আর এ কথার অর্থ আপনি না বুঝলে বা প্রতিবাদ না করলে আপনি কেমন বাংগালী।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: আইডেন্টিটি ক্রাইসিসটাতো আসলেই বাজে।
একটা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকা, সকল মতাদর্শের মানুষ রাষ্ট্রীয় সব অধিকার সমানভাবে ভোগ করা এক ব্যাপার ।আর ঢালাওভাবে যেহারে প্রতিনিয়ত আমাদের কৃষ্টি আর সংস্কৃতির এক জগাখিচুরি অবস্থা তৈরি করছি তাতে আইডেন্টিটি ক্রাইসিসের যে প্রকট সমস্যা তা মনে হয় আর বিশদ বিশ্লেষনের প্রয়োজন নেই। উপরের এ ব্যাপার অনেক কিছু বলা হয়েছে।
আমার পোস্টের মূল উদ্দ্যেশ্যই ছিলো-স্রেফ ব্যাপারটা এতো হৈ চৈ না করা।
আপনার জন্য এ কথাগুলো পুনরায় বলছি-

কথা হয়তোবা অপ্রাসংগিক হবে, তবে কিছুদিন আগে ডঃ রব ম্যাক বেথ , বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন এ্যাসিস্টেন্ট ডাইরেক্টর দেশের কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন- দেশের মূল সমস্যাটা হলো -
Everything is everybody's business.
আমি আশ্চর্য্য হয়ে গেলাম একজন বিদেশী মানুষ এতো অল্প কথায় এরকম অর্থবহ কথা কীভাবে বলতে পারলেন।

কি হয়েছে আমাদের বলুনতো। কেন এতো সহনশীলতার অভাব?
ফেসবুকে , ব্লগে, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দেখলাম- শুধুমাত্র একটা বক্তব্যের জন্য একজন মানুষের এতোদিনের অর্জিত সবকিছু আজ ম্লান।
গ্রাম্য মোড়ল হওয়া যায়, সহজেই মাস্তান, পাতি মাস্তান হওয়া যায়, এমনকি কপালে থাকলে এমপি ,মিনিস্টারও হওয়া যায়। কিন্তু একজন গুনি শিল্পী হওয়া অনেক সাধনার ব্যাপার। আজ উনাকে হয়তোবা উনি ঠিকমতো নিজের কথা গুছিয়ে বলতে পারেননি। কিন্তু যেভাবে উনাকে মানসিকভাবে বভিন্ন উপমার সাহায্যে বিপর্যস্ত করা হচ্ছে,আক্রমণ করা হচ্ছে সে জন্য একজন শিল্পী মানুষের কাছে আমি বড়ই লজ্জিত।

একভাইয়ের মন্তব্যে দেখেন-
"এইসব বুদ্ধিবেশ্যাদের DNA টেস্ট করানো উচত। নির্ঘাত এরা ভারতের শিখ কিংবা পাকি বীর্যে জন্ম নেয়া একেকটা বেজন্মা।"

শুনে কেমন লাগলো?????
কুমার বিশ্বজিত একবার নিয়াজ মুহম্মদ চৌধুরিকে উনার এক টিভি প্রোগ্রামে নিয়ে আসেন। তারপর উনাকে বারবার, বারবার, অনেকবারে শুধু একটি কথাই জিগ্গাসা করেন, ভারতীয় উপমহাদেশে এতোবড়মাপের সংগীত শিল্পী বিরল। কিন্তু এতো প্রতিভাবান হয়েও কেন উনি আজ সংগীত থেকে দূরে। নিয়াজ মুহম্মদকে অনেক অনুনয় বিনয় করার পর উনি বলেছিলেন- কি দরকার বলার। শেষ পর্যন্ত শুধু বলেছিলেন- কোন এক অনুষ্ঠানে উনার স্ত্রীকে যথাযথ সম্মান দেয়া হয়নি। শিল্পীদের অনুভূতি খুব সেনসেটিভ হয়।- হয়তোবা উনি এখনো আসল কথাটিই বলেননি।

আজ মিতাহককে, বেশ্যা বলা হচ্ছে, নাস্তিক বলা হচ্ছে, তাসলিমা নাছরিনের সাথে তুলনা করা হচ্ছে, দেশ ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। উনার সব কীর্তি এক কথায় নষ্ট হয়ে গেলো।

আসলেই কি কীর্তিমানের মৃত্যু নেই???????
ভালো থাকবেন । শুভকামনা।

২৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

উড়নচন্ডী ডটকম বলেছেন: খেয়া ভাই আপনার বক্তব্য যথেষ্ট হতাশাজনক। আপনি সবুজ ভীমরুলকে বলেছেন 'উনি যদি বলেই থাকেন- আমার মাথায় ঘোমটা নেই- তাহলে এখানে আমার সমস্যাটা কোথায় সেটাইতো বুঝলামনা।'' আরে ভাই বলায় সমস্যা হত না যদি উনি আগে অন্য কথা না বলতেন। উনি সেখানে একমাত্র আমি বাঙালী বলেছেন ।এবং এরপর বলেছেন আমি শাড়ি পড়ে গেছি এবং আমার মাথায় ঘোমটা নাই।

কথাটার সহজ অর্থ সেখানে তিনি একমাত্র বাঙালী আর কেউ বাঙালী না কারণ ওরা শাড়ি পড়ে মাথায় ঘোমটা দিয়েছে ।আর উনি দেননি ।


ভাই আপনি তর্কের খাতির তর্কে জিততে যদি চালিয়ে যান আর কিছু বলার নাই।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: এখানেতো ভাই হারজিতের কোনো কথা নেই। আমি আমার কথাগুলো বলেছি। আমারও ভুল হতে পারে। আপনি আপনার কথা বলেছেন। যাকি, আপনিই জিতেছেন। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো।

২৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫০

উড়নচন্ডী ডটকম বলেছেন: অভিপ্রায় এর কমেন্টের পরও যদি খেয়া ভাই উনার ভুলটা বুঝতে না পেরে যুক্তি দেন তাহলে খেয়া চুপা আম্বা কোন সন্দেহ নাই।কারণ,অভিপ্রায় এর বক্তব্যের পর কেউ মিতার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে কিংবা অতিরঞ্জিত করা হয়েছে এমনটা বললে সে নিশ্চিত চুপা হাম্বা। X( X( X(

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: চুপা আম্বা- বড়ই আজীব!!
আপনাদের কথামতো মিতাহক যেমন আপনাদের বাঙালি না বলে ট্যাগিং দিয়ে দিলেন,সেই একই কাজটি তো আপনিও আমাকে করে দিলেন।

মাসুদ মজুমদার সম্পাদিত সাপ্তাহিক একটি পত্রিকা ছিলো- নাম-"সাপ্তাহিক বিক্রম"জানিনা এখন আর পত্রিকাটি আছে কিনা/ অনেক ছোটকালে যখন আমার বুদ্ধির ভালো বিকাশই ঘটেনি, তখন সেই পত্রিকায় একটি ছড়া লিখেছিলাম-
"রাজনীতি, বাজনীতি আসলেই কি এক,
চারদিকে থাকিয়ে দেখরে দেখ,
সোনার এ দেশ, করলো যে শেষ,
খুঁটি দিয়ে নাড়া,
ঠ্যাং ধরে, ল্যাং মেরে দেশ থাকে তাড়া।
ওরা বলে প্রাণ খুলে
স্বাধীনতা আমাদের,
ছিঃছিঃ লজ্জার,একেমন আব্দার
দেশটা কি তোমাদের?
রিমোটের টিপে জ্বলে আর নিভে
এ খেলায় মত্ত,
দাদা বাবুর বন্ধুরা হবে কি শুদ্ধ
তসলিমা,শরীফ আর সি আর দত্ত।"
সেইবার প্রথম ট্যাগ খেয়েছিলাম পাকি হিসাবে।
এরপর যখন হাইস্কুলে রেজাল্ট ভালো হলো, তখন লোকাল পত্রিকার সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নিতে আসলে বললাম- আমার প্রিয় মানুষ বঙগবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। নতুন ট্যাগ পেলাম। আর সাথে সাথে সবাই বললো, এতো নামাজি ছেলে মুহম্মদ সাঃ কে প্রিয় ব্যক্তি না বলে বললো কিনা শেখ মুজিবর রহমানকে। শেখ মুজিবকে না বলে অন্তত মা-বাবাকেও তো বলতে পারতো।আমি পুরো স্তব্দ হয়ে গেলাম। মানুষের চিন্তার সংকীর্ণতা দেখে। যাকে সৃষ্টি করা না হলে এই বিশ্বের কিছুই তৈরি করা হতোনা- তাঁকে কিনা আমি নামিয়ে আনবো শেখ মুজিব, জিয়াউর রহমান, মার্টিন লুথার কিং, রবীন্দ্রনাথ কিংবা মা-বাবার কাতারে?

বঙগবন্ধু আমার এতো প্রিয় একজন মানুষ। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভুট্টোর সাথে গলাগলি করে হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি- আমি আজো কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনা।


ইসলামি ওয়াজগুলো আমার খুব ভালো লাগে। যেখানে ওয়াজ মাহফিল হতো আমি সেখানেই উপস্থিত হতাম। কলেজের বন্ধুরা ট্যাগিং দিলো মোল্লা বলে। একবার এক হুজুর ওয়াজ করলেন- রবীন্দ্রনাথের প্যানপ্যানানি শুনে যাদের ঘুম ভাঙে তাদের উপর আল্লাহর লানত পড়ুক।
মনে হলো গজবটা যেন ঠিক আমার ওপরই পড়লো।
জোছনা রাত, চারিদিকে যখন পিনপত্তন নীরবতা, আর সে সময় যদি আকাশ থেকে নেমে আসে বৃষ্টির ধারা ঠিক এমনি মুহুর্তে ঘরের সব বাতি নিভিয়ে দিয়ে রবীন্দ্রনাথ একবার শুনন না , দেখেন না কেমন লাগে। আমার একবার ইচ্ছে ছিলো ইস যদি হুজুরকে নিয়ে একটিবার এমনি মহুর্তে "বর্ষন মন্দ্রিত অন্ধকারে" এ গানটি শুনাতে পারতাম- তাহলে হয়তোবা উনার আর প্যানপ্যানানি মনে হতো না ।

সাঈদি সাহেবের ওয়াজগুলো আমি সময় পেলেই শুনি।আমি আর আমার এক ফুফাতভাই উনার জন্য দুধ গরম করে ফ্লাস্কে করে নিয়ে যেতাম। কিন্তু মনে প্রাণে চাই রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা যে হারে এ দেশের মানুষকে খুন করেছে, লাখো মা বোনের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনে খেলেছে সে জন্য ওনাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। ৩০ লক্ষ মানুষের হত্যাকান্ডের সহযোগিতার জন্য উনাদের ঐ সময়কার আচরণকে আমি মনে প্রাণে ঘৃণা করি।

কিছুদিন আগে আমার মা হসপিটালে । কোথাও রক্ত পাওয়া যাচ্ছেনা। হঠাৎ করে আমার এক কাজিন একটা ছেলেকে নিয়ে আসলো। কিশোর ছেলেটি মায়ের জন্য রক্ত দিলো । এরপর বললো- যেহেতু আম্মার রক্তের সাথে ওর রক্তের গ্রুপ মিলে গেছে- তাই দরকার হলে ওকে কল করতে। মায়ের শয্যাপাশে ছেলেটি বসলো। তারপর সুরা ইয়াসিন পড়ে মায়ের কপালে ফু দিলো। আমার চোখ দিয়ে তখন পানি ঝরছে। ইতোমধ্যে আমি বাইরে চলে এসেছি। কয়েকমাস আগে শুনলাম শিবির করার অপরাধে ছেলেটিকে রিমান্ডে নিয়ে গিয়ে খুব নির্যাতন করা হয়েছে। আমার চোখে আবারো পানি আসলো।

পোষাক পরিধানের ক্ষেত্রে আমার হাসিনাকে অনেক বেশি শালীন, মার্জিত আর রুচি সম্পন্ন মনে হয় খালেদাজিয়ার চেয়ে। ঢাবি'র ছাত্র প্রতিনিধি হিসাবে খালেদাজিয়াকে একবারে সামনা সামনি টেবিলের এপাশ ওপাশে বসা এরকম অবস্থায় দেখার সুযোগ হয়েছে। উনি এতো বেশী সাজগোজ করেন, চোখের ভ্রু যেন একেবারে কপালে ওঠে গেছে। যেটা কেমনযেন বেমানান। তবে কথাবার্তায় খালেদাকে অনেক রুচিশীল মনে হয় হাসিনার চেয়ে।
কিন্তু মক্কা-মদীনা হজ্বের সময় যখন হজ্বের শ্বেত শুভ্র কাপড় পরিহিত অবস্থায় খালেদার মাথার ওপরে ফালুর মুখমন্ডল চকচক করে সে ছবিটি দেখলেই কেন যেন বমি চলে আসে। রাজনীতিতে নানারকমের ভন্ডামি হয়তোবা মেনে নেয়া যায়, কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারের সামনে বেগানা পুরুষনিয়ে হজ্বপালন করা একেমনতরো ভন্ডামি।

যদিও জিয়াউর রহমানের সময় আমি খুব ছোট ছিলাম। তারপর ও এখন দেশের সার্বিক অবস্থা বিশ্লেষন করে মনে হয় উনিই বাংলাদেশের সবচেয়ে সুযোগ্য শাসক ছিলেন। আমার কেন যেন মনে হয় জিয়া বেঁচে থাকলে আজ বাংলাদেশ মালেশিয়াকে ছাড়িয়ে যেতো।

ভাই এ সকল কথাগুলো বলতে হলো আপনি যে আমাকে চুপা আম্বা ট্যাগিং দিলেন সে জন্য। কোনো দলের অন্ধভক্ত হওয়ার মতো কাপুরুষতা থেকে আল্লাহ আমাকে মুক্তি দিন। নিজের বিবেক বুদ্ধিতে যা ভালো তা বলার এবং সে পথে চলার সুযোগ করে দিন। ট্যাগিংএর দরজা খুলা রইলো।

ভালো থাকবেন , শুভকামনা।



১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: ও ,আরেকটি কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম,
হসপিটালে ছেলেটি যখন রক্ত দেয় তখন আমার পাশে ছিলো আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু অলক পাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। আম্মা অসুস্থ শুনে ও চাকুরি থেকে ছুটি নিয়ে চারটা দিন আমার আর আমার আম্মার পাশে বসে রইলো।মসজিদে আসরের আযান দিলো, অলক বললো, তুই নামাজ পড়ে আয়, আমি খালাম্মার পাশে আছি। অলক ছেলেটির সাথে পরিচয় হলো। তারপর ছেলেটিকে বললো, যদি কোনো দরকার হয় তবে যেন ছেলেটি তার সাথে যোগাযোগ করে।
এটাই হলো সহনশীলতা, এটাই হলো সহমর্মিতা। নিজের মতের বিরুদ্ধে গেলেই যে ঝাপিয়ে পড়তে হবে, ট্যাগিং এর সীল মেরে দিতে হবে এমন কথা হতে পারেনা ভাই।

২৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৮

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: আমি শুনলাম উনি ঘোমটার কথাই বলেছেন। এইটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল না? পুরাতন স্থির চিত্রে যত নারীর ছবি দেখা যায় তারা হিন্দু হলেও ঘোমটা দেওয়া। ঘোমটা না দেওয়াতে বাঙালিত্ব বেশি ফুটে বলে তো মনেহয় না। বরন্চ উনি বলতে পারতেন যে ইসলামি পোষাকের নামে স্কিন টাইট বুর্খা পরাটাই বাঙালিত্বের পরিচায়ক নয়।

উনার বক্তব্যকে অতিরন্জিত করল বাশের কেল্লা নামের চিহ্নিত ফ্যনাটিক পেইজটি।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:১২

খেয়া ঘাট বলেছেন: সিরিয়াস ব্যাপারগুলোকে আমরা কৌতুক হিসাবে নেই, আর যেসব কথা ইগনোর করলেই চলে, তা নিয়ে আমার আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করি। ভালো থাকবেন । শুভকামনা।

২৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: Everything is everybody's business!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:১৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: জ্বি ভাই।

২৯| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: "কোথাও দেখলাম না ঘোমটা শব্দটি ব্যবহার করতে।" শুরুতেই যে এত বড় মিথ্যা বলে তার কাছে নীতিবোধ আশা না করাই ভাল।

"একমাত্র আমিই বাঙালি।" এই কথাটার অর্থ কী? একটু ব্যাখ্যা করেন।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৩২

খেয়া ঘাট বলেছেন: ২১,২২,২৩,২৪ এ জবাব গুলো পড়বেন আশাকরি। শুভকামনা রইলো।

৩০| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২২

দুরন্ত সাহসী বলেছেন: আমাদের অব্যবহারইত ব্রেন আর অল্পের জন্য ব্যবহার করে কি লাভ। এই দেশের মানুষ এভাবেই জীবন কাটিয়ে ফেলে।কই বিশেষ সমস্য হচ্ছে বলেতো মনে হয়নস। ব্রেন যখন ব্যবহার না করে জীবন চলে তখন অযথা ব্যবহার করার দরকার।একবার দৌড়াই।ভালো মন্দ সত্য মিথ্যা পরে দেখা যাবে।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:০০

খেয়া ঘাট বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।শুভকামনা রইলো।

৩১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৫

ছািব্বর বলেছেন: আপনি পুনরায় ভালো করে শুনুন ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:২৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভালো করে শুনেছি ভাই।
আপনাকেও উপরের মন্তব্যের জবাবগুলো পড়ার জন্য অনুরোধ করছি যদি আপনার সময় থাকে।

৩২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৯

উড়নচন্ডী ডটকম বলেছেন: খেয়া ভাই, আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ অভিপ্রায় এর এই লাইন উনি দাবি করেছেন যে অনেক মা বোনের উপস্হিতিতে উনি-ই একমাত্র বাংগালী, কারন উনি শাড়ী পরেন কিন্ত ঘোমটা দেন না, একটু ভাল করে অনুধাবন করার চেষ্টা করুন। উনার বাক্যটার অর্থ একদম পরিষ্কার।উনি যা বলেছেন মোটেই বিকৃতি কিংবা অতিরঞ্জিত করা হয়নি ।

ভাল থাকবেন।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভাই, উনার ক্লিপটি দেখার আগে মনে করেছিলাম না জানি কি যেন হয়ে গেছে। এরপর দেখলাম একটা টকশোতে আলোচনার মাঝে উনি এমন কিছু বলতে চেয়েছেন যাতে মনে হয়নি-উনি হিজাব, বোরখা , ভদ্রতা, শালীনতা ইত্যাদিকে সম্পূর্ণরুপে অস্বীকার করেছেন। আমার পোস্টের মূল কথাই ছিলো- এটা নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি করার মতো কিছু নেই। তখনো কিন্ত নীচের মন্তব্য-
"একভাইয়ের মন্তব্যে দেখেন-
"এইসব বুদ্ধিবেশ্যাদের DNA টেস্ট করানো উচত। নির্ঘাত এরা ভারতের শিখ কিংবা পাকি বীর্যে জন্ম নেয়া একেকটা বেজন্মা।"- ফেসবুক থেকে পাওয়া । এরকম মন্তব্য কিন্তু শুরুতেই আসেনি। কিন্তু জানতাম এ ক্লিপের সূত্র ধরে উনাকে এভাবেই নগ্ন করা হবে এবং তাই হয়েছে।

বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল থেকে শুরু করে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে এই বিষয়ের সমালোচনার নামে একরকম উগ্রতা এবং পরিষ্কারভাবে নোংরামী চোখে পড়ছে। লজ্জাষ্কর!!!- কোট করলাম নীচ থেকে।

সাপের মতো জীবন্ত মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় যেখানে সেখানে কথার একটু এদিকে ওদিক হয়েছে বলে উনাকে এভাবে আক্রমণ করে উনার এ পর্যন্ত অর্জিত সব কীর্তিকেই ম্লান করে দিতে হবে সেটা একরকমের বাড়াবাড়ি বৈ তো আর কিছুই নয়। পোস্টে আমি এ কথাগুলোই বুঝাতে চেয়েছিলাম।

ভালো থাকবেন। আল্লাহ আমাদের পরমতসহিষ্নুতা আর সহনশীলতা দান করুন।

৩৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৮

ছািব্বর বলেছেন: যারা বলেছেন মিতা হকের বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে তারা কি বক্তব্য ঠিকমত শুনেছেন ????

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪১

খেয়া ঘাট বলেছেন: সাপের মতো জীবন্ত মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় যেখানে সেখানে কথার একটু এদিকে ওদিক হয়েছে বলে উনাকে এভাবে আক্রমণ করে উনার এ পর্যন্ত অর্জিত সব কীর্তিকেই ম্লান করে দিতে হবে সেটা একরকমের বাড়াবাড়ি বৈ তো আর কিছুই নয়। পোস্টে আমি এ কথাগুলোই বুঝাতে চেয়েছিলাম।

ভালো থাকবেন। আল্লাহ আমাদের পরমতসহিষ্নুতা আর সহনশীলতা দান করুন।

৩৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০০

মেংগো পিপোল বলেছেন: ভাই উনি কথা আরম্ভ করেছেন আমাদের জাতীয়তা বাদ নিয়ে।এই জন্য বলেছেন কেবল মাত্র আদীবাসিরাই বাংলাদেশী বাদ বাকি আমরা সবাই বাংয়ালী, এর পরই উনি চড়াও হয়েছেন আইডেন্টিটি ক্রাইসিসের উপর( আমাদের না আই ডেন্টিটি ক্রাইসিটা এতো বাজে) এর পরই তিনি আইডেন্টিটি ক্রাইসিসটা কি কারনে তার বর্ননা করার চেষ্টা করলেন (সেখানে গেলে আমি দেখি যে একমাত্র আমি বাঙালী আমি শাড়ি পড়ে গেছি এবং আমার মাথায় ঘোমটা নাই ) এই উক্তির মাধ্যমে।কাথার শেষে যেটা দাড়ালো কেউ হেজাব বা বোরকা বা দাড়ী টুপি বা মাথায় সিদুর পরলেই আইডেন্টেটি ক্রাইসিস আরম্ভ হয়ে গেলো। উনি ঘোমটা দেনা বলে ওনার আইডেন্টিটি ক্রাইসিস নাই এবং উনি একজন বাংগালী। আপনি এর পরো যদি বলেন তাল গাছ আপনের। তাহলে কেবল দোয়া করি আপনাদের হেদায়াত হোক। তবে সেটা কতটা হবে আল্লাহ মালুম।

উনি কেনো যে বললেন না, বসুন্ধরা, ধানম্ডি লেক, বা টিভি পর্দা যেখানেই চোখ দেই লেগিংস মাজাক ক্কালী, সানিলিওন পড়া মেয়েরা ঘুড়ে বেড়ায়। কেনো যে লেগিংস আর সর্টস পরলে ওনাদের বাংয়ালিত্বতের আইডেন্টিটি ক্রাইসি হয় না কে জানে? কোলকাতার মহিলারাতো শাখা শিদুর পরে তাহলে কি ওনারা বাংয়ালী না! উনারা ভুলাযান বা ভুলিয়ে দিতে চান আমাদের দেশের মানুষেরা যেমন একজন বাংয়ালী পাশা পাশি একজন মুসলমান, আবার যেমন একজন বাংয়ালী পাশা পাশি একজন হিন্দু ঠিক তেমি খ্রিষ্টান। ওনাদের আসল এলার্জি হলো ধর্মে, এইসব জাতীয়তা বাদের বুলি কেবল ভাওতা।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২১

খেয়া ঘাট বলেছেন: ডঃ এমাজউদ্দীন একবার বলেছিলেন, টিএসসি অডিটোরিয়ামে।
আমাদের সংস্কৃতি হলো চারাগাছের মতো। এই চারাগাছটি ঠিকমতো বড় না হওয়া পর্যন্ত একে আগলে রাখতে হবে চারপাশে বেড়া দিয়ে। যখন, পুরোপুরি গাছটি মাটিতে শিকড় গেড়ে শক্ত হবে , তখন বেড়া না থাকলেও চলবে।
কিন্তু এখন মনে হচ্ছে বেড়ার ফাঁক দিয়েই যেন সবকিছু ঢুকে পড়েছে।
এখানে হাজারো মিতাহক হাজারো টক শো করে কোনোদিন হিজাব , বোরখার কিছুই করতে পারবেনা। আবার হাজারো ইমাম হাজারো মসজিদে বয়ান করেও সানিলিওনি , লেগিংস আটকাতে পারবেনা। এটা হলো সংস্কৃতির স্রোত, ঝরণার ফল্গুধারাও থাকবে, নুড়ি পাথরও থাকবে। যার যে টা গ্রহণ করার , আয়ত্ব করার ক্ষমতা থাকে।

আমার পোস্টের মূল কথাই ছিলোযে, এটাকে নিয়ে এতো বেশী রাজা-উজির মারার মতো মহাভারত ক্ষতি হয়ে যায়নি।
এককথার সূত্র ধরে উনাকে এভাবে লান্চিত, অপমানিত করার মতোও কিছু হয়নি।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

৩৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩০

রামন বলেছেন:

উনার ভিডিও ফুটেজ দেখলাম। আসলে নিশ্বাস বন্ধ করে বলতে গিয়ে উনি লেজেগোবরে এক করে ফেলেছেন। যতটুকু না হলো উনি বলতে চেয়েছেন সেই তথাকথিত বোরখা বা আলখেল্লা নামক বিজাতীয় পোষাকের কথা। এটা তো অস্বিকার করার উপায় নেই যে কোট-প্যান্টের ন্যায় বোরখা বা আলখেল্লা এই জাতীয় পোশাক বাঙালি সংস্কৃতির তথা বাঙালির আদর্শস্বরূপ পোশাকের পর্যায়ে পরে না।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:২৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: এক হাজার মিতাহকও বাঙালিত্বকে সংগ্যায়িত করতে পারবেনা, ঠিক তেমনি এক কোটি বোরখা, হিজাবও কাউকে স্বর্গে নিতে পারবেনা।
মননশীলতায় যদি উদারতা না থাকে, চিন্তায় যদি বিশুদ্ধতা না থাকে, আর মানবিক বিবেকবোধের মাঝে যদি গোঁড়ামি আর অন্ধত্ব বাস করে, তবে এসমাজ বড়ই ভয়ঙকর।

আর সিরিয়াস বিষয়গুলো যখন নিদারুন কৌতুক হয়ে যায়, আর সব কৌতূকের বিষয় বড় বেশী সিরিয়াস হবে সেটা আরো বেশী ভয়ঙকর।
ধন্যবাদ।

৩৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৬

সাইফুল আলী বলেছেন: মিতা হক কিন্তু ঠিকই বলেছেন। কারণ, বাঙালী বলা হয় হিন্দুদেরকে। হিন্দু বাবু, কুলীন ব্রাহ্মণেরা নিজেদেরকে বাঙালী পরিচয় দিত আদিকাল থেকে। হিন্দু অথচ নিম্নবর্ণের লোকদেরকে এসব কুলীনেরা বলতো ম্লেচ্ছ, আর ইসলাম ধর্মের অনুসারীদেরকে তারা বলতো "যবন"।
বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, শরতচন্দ্র - এদের লিখা সাহিত্য প্রবন্ধসমূহ পড়লেই এর সত্যতা মিলবে। তাই তো শরতচন্দ্র তার বিখ্যাত উপন্যাস শ্রীকান্ত -তে লিখেন, "স্কুলের মাঠে বাঙালী ও মুসলমান ছেলেদের ফুটবল ম্যাচ" আর এই ম্যাচের তিনি সমাপ্তি ঘটান ইন্দ্রের হাতে মুসলমান ছেলেদের চরম ধোলাইয়ের মধ্য দিয়ে।
তাহলে, বুঝা গেল যে মিতা হক তার জাত চিনিয়ে দিলেন।

৩৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৫৩

রামন বলেছেন:
সব কিছুতেই ধর্ম নিয়ে টানাটানি! পোস্টের বিষয় বস্তুতে ধর্ম নিয়ে কিছু বলা হয়নি, অথচ কিছু অর্বাচীন অহেতুক ধর্মকে টেনে আনছে।

ধর্মই কি এদের হাতিয়ার!?

৩৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৫৪

সাইফুল আলী বলেছেন: @রামন

প্রজন্ম৮৬ ভাই আপনাকে করা এই প্রশ্নটার জবাব দেবেন কি?
এখানে


একজন ইন্ডিয়ান এবং হিন্দু হয়ে কেন আপনি বাংলাদেশ নিয়ে নাক গলাচ্ছেন?আপনাকে এই অধিকার কে দিয়েছে আমি কি জানতে পারি?

৩৯| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০৩

রামন বলেছেন:
সাইফুল আলী @

পোষ্টের বিষয়বস্তু নিয়ে আপনার সাথে আলোচনা করা যেতে পারে কিন্তু এর বাহিরে কোন প্রশ্নের জবাব দিতে আমি বাধ্য নই।

৪০| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:১৭

সাইফুল আলী বলেছেন: @রামন

দেখুন আমার পরিবার আমাকে শিখিয়েছে সবাইকে সম্মান করতে।তাই আমি কাউকে খুব সহজের কড়া কথা বলি না।কিন্তু আপনাদের মত পরাধিন দেশের মানুষরা যখন একটা স্বাধীন দেশ নিয়ে নাক গলায় তখন মেজাজ বিগড়ে না গিয়ে পাড়ে না।যাক আমি আপনার উপরের দুইটা কমেন্ট নিয়ে সামান্য একটু আলোচনা করছি

উনার ভিডিও ফুটেজ দেখলাম। আসলে নিশ্বাস বন্ধ করে বলতে গিয়ে উনি লেজেগোবরে এক করে ফেলেছেন। যতটুকু না হলো উনি বলতে চেয়েছেন সেই তথাকথিত বোরখা বা আলখেল্লা নামক বিজাতীয় পোষাকের কথা। এটা তো অস্বিকার করার উপায় নেই যে কোট-প্যান্টের ন্যায় বোরখা বা আলখেল্লা এই জাতীয় পোশাক বাঙালি সংস্কৃতির তথা বাঙালির আদর্শস্বরূপ পোশাকের পর্যায়ে পরে না

আমি এখানে দুটো প্রশ্ন করছি যেহেতু আপনি পোস্ট প্রসঙ্গে থাকতে চেয়েছেন

১ তথাকথিত বোরখা বা আল্লখেল্লা বিজাতিয় পোশাক হতে পাড়লে কোট-প্যান্ট কেন বিজাতিয় পোশাক হবে না?আমাকে একটু বিশ্লেষণ করলে খুশী হব

২ আমি যেহেতু বাংলা ভাষায় কথা বলছি সেহেতু আমি বাঙালি।যদিও নৃতাত্ত্বিকভাবে আমি একজন বাঙ্গাল।বাঙালি জাতিয়তাটা আপনাদের মত কলকাতার বর্ন হিন্দুদের জন্য।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমান যুগে পোশাক দ্বারা কি জাতিয়তা নির্ণয় করা যাক? মানে আমি এক যে জাতিতে জন্মেছি পোশাক ব্যাবহারের মাধ্যমে আমি সে নৃতাত্ত্বিক জাতিয়তা ছেড়ে দিতে পারবো?ধরুন আমি জাপানিক পোশাক পরে ঘোরাফেরা করি সব সময়।তাহলে কি আমি বাঙ্গাল থেকে জাপানিজ হতে পারবো?

৪১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫৩

গোলক ধাঁধা বলেছেন: ইট মারলেতো পাটকেল খেতেই হয় তাই না খেয়া ঘাট,দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ই ভাল কি বলেন।

৪২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫৫

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: ইন্ডিয়ান রামনে কি কইতে চায়??!!! রামন দাদা অর্ধেক মিষ্টি দিলাম, এর পুরোটাই খাবেন কিন্তু দাদা... =p~

৪৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:০২

সাইফুল আলী বলেছেন: আর যাই হোক রামন সাহেবের এই ধরনের কমেন্টের জন্য তাকে মানুষ কোন ক্রমেই বলা যাবে না।সন্দেহ নেই লোকটা ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক।পশ্চিম বাংলার মুসলিমদের সম্পর্কে আল্লাহ্‌ মালুম কি হয়।এই ধরনের সাম্প্রদায়িক লোকদের জন্য তারা বেঁচে আছে কিভাবে।অবশ্য তাদের যে কি অবস্থা তা এই ধরনের কিছু পোস্ট পড়লেই বোঝা যায় Click This Link

লোকটার ব্লগটা কত সুন্দর ক্রিয়েটিভ।কিন্তু কমেন্টগুলো কেমন জানি সাম্প্রদায়িক বন্য পশুর মত।ধূতি নিয়ে উনি যে উনি পিছু টান দিলেও বোরখা-হিজাব নিয়ে দেদারসে কমেন্ট করে গেল।দেশের উপকারের জন্যই বাংলাদেশী ব্লগগুলোতে এদের ব্যান করা উচিৎ

৪৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:০৯

রামন বলেছেন: সাইফুল আলী @

আমি মন্তব্যে স্পষ্ট করে বলেছি কোট -প্যান্টের মত হিজাব-বোরখা জাতীয় আলখেল্লা বাঙালির টিপিক্যাল পোশাক নয়।

আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে বলছি বাংলাদেশে জন্ম হলেই বা কেবল বাংলা বলতে পারলেই বাঙালি হওয়া যায় না। শ্বাশত বাঙালির সংস্কৃতি লালন ও পালন করতে করতে পারলেই সে প্রকৃত বাঙালি হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারবে।

৪৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:১৪

সাইফুল আলী বলেছেন: @রামন

আপনার মস্তিস্কে সমস্যা আছে গুরুতর।একজন মনবিশেষজ্ঞর পরামর্ষ নিতে পারেন এই ক্ষেত্রে।নাহলে আপনার এই ধরনের সাম্প্রদায়িকতা মূলক মানুষিকতা আপনার ভাল স্বভাব এবং ক্রিয়েটিভ মনোভাব ধ্বংস করে দেবে।কিছুদিনের মাঝেই পশ্চিমবাংলার বিজেপি শাখায় আপনার যোগ দেবার সমূহ সম্ভাবনা আমি দেখতে পারছি।নাহলে আপনি কিভাবে একটা জাতির পোশাক কোড নির্ধারণ করতে যাচ্ছেন ?বাঙালির জন্য আদর্শ পোশাক নির্ধারণ করার আপনি কে?এই দায়িক্ত আপনাকে কে দিয়েছে?আর তাছাড়া আপনি একটি ধর্মের ধর্মীয় পোশাক সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন।বিদেশী হয়ে কেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কমেন্ট করেন?এই বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাদেশে দাঙ্গা লাগুক এটাই কি আপনাদের মনোবাসনা।আর হ্যাঁ আমরা বাংলাদেশের মানুষ বাঙালি না।আমরা বাঙ্গাল।আপনি বাঙালি হতে পারেন কিন্তু বাঙ্গাল হতে পারবেন না।বাঙ্গালদের নিজেদেশ স্বাধীন দেশ আছে কিন্তু আপনারা এখনও পরাধিন আছেন।এটাই আপনাদের এবং আমাদের মাঝে পার্থক্য

৪৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০১

না পারভীন বলেছেন: আচ্ছা , ভিডিও টা দেখে নিই ।

৪৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কথাগুলো অযৌক্তিক নয়। কিন্তু এই মহিলা একটা বেসিক পয়েন্টে হিট করেছেন, যেটি দল নির্বিশেষে সবাইকে আহত করেছে। আবার দেখুন, তিনি ‘বাংলাদেশী’ বা ‘বাঙালি’র নতুন ডেফিনিশন নিয়ে হাজির হয়েছেনঃ এই দেশে শুধুমাত্র আদিবাসীরাই আদিবাসী কিন্তু বাংলাদেশি। বাকি সবাই কিন্তু আমরা বাঙালি। এই মহিলা যে এ ব্যাপারে কতো মূর্খ তা তাঁর এই সংজ্ঞায়ন থেকেই বোঝা যায়।

আর আইডেন্টিটি ক্রাইসিস কি কেবল পোশাকের উপরই নির্ভরশীল? আমি এত দেশ ঘুরেছি, আমার কোনোদিন আইডেন্টিটি ক্রাইসিস হয় নি- পৃথিবীর যেখানে গিয়েছি সেখানেই আমার চলনে-বলনে, আচরণে প্রকাশিত হয়েছে আমি বাংলাদেশে বসবাসকারী একজন বাঙালি। ক্রাইসিস নিজের মধ্যে সৃষ্টি করে রাখলে তার কোনো ওষুধ নেই।

৪৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭

না পারভীন বলেছেন: ভিডিও টা দেখলাম । এটা ঠিক ঘোমটা , হিজাব কথাটা সরাসরি ইউজ হয়নি ।


খেয়া ভাই , এই কথাটাই পোস্টে বলতে চেয়েছেন । বলতে চেয়েছেন মিতার বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে ফেইস বুক , ব্লগে । এর সাথে আমি একমত । তার কথার সারমর্ম করেছেন সবাই এভাবে ।



আমার নিজস্ব মন্তব্য হল , জাতি হিসেবে আমরা হীনমন্যতায় ভোগা জাতি । :( তাই যারা মুখ ঢেকে শুধু চোখ খোলা রেখে চলে তাদের কে নিজেদের মানুষ না ভাবাটা হীনমন্যতা ।



৪৯| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মিথ্যে বলা মিথ্যে প্রচারণা করা খুবই গর্হিত কাজ। নিন্দনীয়। ধিক্কার জানাই।

৫০| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: হাটাজারীর মাওলানা আজিজুল হক শেরে বাংলার কথা অনেক শুনেছি -- ১২ নং কমেন্টের রিপ্লাই এ তাঁর কথাই কি বলতে চেয়েছেন ?

ছোটবেলায় আমার মাকে বলতে দেখেছি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে ছেলেমেয়ের ভাত বন্ধ করা জায়েজ । অথচ সে পরিবার হতে কন্যা সন্তানকে দেশে - বিদেশে পড়তে পাঠাতে দ্বিধা করেননি। শফী সাহেব বা মিতা হক দুজনের কথা নিয়ে দুটো পক্ষই খেলছে সন্দেহ নাই - তবে দুজনেই ইসলাম ধর্মকে সঠিকভাবে উপস্হাপন আর বুঝতে ভুল করছেন।
আপনার পোষ্ট বলেই এধরনের বিষয়ে মন্তব্য করা।অনেকের কমেন্ট দেখে খারাপ লেগেছে । ইসলাম ধর্মকে বঝতে এরা সাহায্য নয় বরং ভুল উপস্হাপন করছে। তর্কও করতে জানেনা। সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই এর দুটো কমেন্টই ভাল।গান না শোনার সিদ্ধান্ত ছাড়া ওনার সাথে একমত।চমৎকারভাবে আপনার সাথে ডিসএগ্রি করেছেন উনি।আপনার পোষ্ট , কমেন্ট - রিপ্লাই এর কারনে একাধিকবার ভিডিওটা শুনেছি যা সাধারনত করিনা -- মিতা হককে বেনিফিট অব ডাউট দেয়ার , ডিফেন্ড করার কোন সুযোগ নেই। মিতা হক যা মিন করেছেন সেটা পরিস্কার , ভুল ব্যাখ্যার সুযোগ তিনি নিজেই রাখেননি। মতলবাজরা এটা নিয়ে খেলতে পারে , সেটা তাদের সমস্যা । আমাদের কাছে ওনার বক্তব্য ক্লিয়ার। এ ধরনের মন্তব্য যে করে দায় তার । হিজাবকে তিনি কিভাবে নেন বা ধর্ম তার কাছে কি সেটা তার বিষয় , কিন্ত হিজাবকে বাঙালীয়ানার সাথে একত্র করার অধিকার তার নেই।ধন্যবাদ।

৫১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

আরজু পনি বলেছেন:

মিতা হক আসল কথার গুরত্ব না দিয়ে...সঠিকভাবে উপস্থাপন না করে পুরো বিষয়টাকে ঘোলাটে করে ফেলেছেন ।

যার কারণে উনি যেই বিষয়ে মুলত বলতে চেয়েছিলেন তার আর কোন গুরুত্ব ধরে রাখতে পারেন নি ।

যিনি গণমাধ্যমে কথা বলতে যেয়ে তার মুল বিষয় থেকে সরে যেয়ে লেজে গোবরে করে ফেলেন , তাকে সামনে আরো সতর্ক হওয়ার আহবান জানাই ।

৫২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

আনোয়ার হুসাইন বলেছেন: আরজুপনি@ আসলে এসব পতিতা হকদের অন্তরের ভিতরে এসব কুশ্লীল কথাই ঘুরপাক খায়, কিন্তু নিজেদের দর ঠিক রাখতে সেসব বলে না...এখন সে যা বলে ফেলেছে এটা তার অবদমিত অন্তরের কথাই!

আপনি এদের অন্তরঙ্গ হলেই বিষয়টা আরো উপলব্ধি করতে পারতেন।

৫৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১

ছািব্বর বলেছেন: মিতা যে কথাগুলো বলেছে তা হুবহু নিন্মরুপ -
"আজকাল বাংলাদেশে রাস্তায় বেরিয়ে, কোন ডাক্তার খানায় গিয়ে , কোন হাসপাতালে গিয়ে যেখানেই একটু বেশি লোক সমাগম , একটা ওয়েটিং রুম আছে, অপেক্ষা করছে,সেখানে আমি দেখি যে একমাত্র আমি বাংগালী আমি শাড়ি পরে গেছি এবং আমার মাথায় ঘোমটা নাই কিন্তু আর যারা এতটুকু ( হাত দিয়ে দেখিয়ে ) বের করে রাখছে এতে তারা আর যাই হোক তারা বাংগালী নয়। " ( নাউযুবিল্লাহ )

৫৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
@নুসরাতসুলতানা

একমত প্রকাশসহ আমার কমেন্ট প্রশংসা করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

গান বয়কট ব্যাপারটা আমার নিজের মধ্যেই রেখেছি কেবল আমার জন্য। আহত হলে যে-কেউ ক্ষুব্ধ তো হতেই পারেন, এটা সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

***

লগ ও ফেইসবুকের এই ঝড়ের খবর মিতা হকের কানে পৌঁছেছে কিনা, তাঁর প্রতিক্রিয়া কী, তা জানতে ইচ্ছে করে।

***

নুসরাতসুলতানার জন্য শুভেচ্ছা।

৫৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

হাছন রাধা করিম বলেছেন: লেখক ভাইসাহেব চুপ মেরে গেলেন কেনো রে ভাই?

যে নিজেই তার পাছা উদোম করে হাটতে চায় সেখানে আপনি কেনো তার পাছা ঢাকতে এতো উদগ্রীব? আর আপনি নিজেইতো নিজেকে কন্ট্রাডিক্ট করছেন রে ভাই!

৫৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

হাছন রাধা করিম বলেছেন: @রামন: দাদাবাবু শুনেন, আমাদের বাংলাদেশের মানুষের ঘটি হওয়ার কোন ইচ্ছা নেই।

অনূগ্রহ করে নিজের চরকায় তৈল দিতে থাকুন এবং আপনার/আপনাদের ডার্টি নোজ আমাদের থেকে দূরে রাখুন কারন আমরা মিষ্টি পুরোটাই খাই, আপনাদের মতো আদ্দেকটার পুরোটা নয়।

৫৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৪১

এইচ আর খান বলেছেন: ঠিক এরকম একটি শিরোনামেই আমিও একটা পোষ্ট লিখতে চেয়েছিলাম । সুতরাং লেখকের সাথে পুরোপুরি একমত

৫৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: খেয়া ঘাট, আমি আপনার উল্লেখিত উত্তর গুলো(অন্য গুলোও) পড়েছি। আপনার কথাগুলো ভাল লেগেছে। আপনার বক্তব্যটুকু বোধহয় আমি কিছুটা বুঝতে পারছি। আমার ২০ নং এবং ২৯ নং কমেন্ট এর জন্য দুঃখিত। আশাকরি কিছু মনে না করে আমাকে বন্ধু এবং সহব্লগার হিসেবে গ্রহণ করবেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা।

৫৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

জানা বলেছেন:




আপনার পোস্টটা অনেক অনেক লেবু কচলে তেতো হওয়ার পর নজরে পড়লো। যদিও এ নিয়ে কথা বলতে একেবারেই আগ্রহ বোধ করিনি ঐ লেবু কচলানির প্রকোপে পড়ার....! তবুও সবকিছুর একটি সীমা আছে। আমরা কী নির্বোধ হয়ে যাচ্ছি? একটি বক্তব্য/মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার অর্থ কি বক্তা বা মন্তব্যকারীকে অপদস্ত করার প্রতিযোগিতায় নামা? এই পন্থা অবলম্বন করে সমালোচনা করতে গিয়ে আমরা কি নিজেকেই অপমানিত করে চলছি না? বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল থেকে শুরু করে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে এই বিষয়ের সমালোচনার নামে একরকম উগ্রতা এবং পরিষ্কারভাবে নোংরামী চোখে পড়ছে। লজ্জাষ্কর!!!

যারা এই বিষয়টি নিয়ে কথা (চুড়ান্ত অশালীন এবং কুরুচীপূর্ণ কথাবার্তা) বলে চলেছেন, তাঁরা আরেকটিবার যদি মনযোগ দেন ঐ ভিডিওটিতে তবে আরও কিছু বিষয় পরিষ্কারভাবে বোঝা সম্ভব। ওনার কথার যে অংশটুকু নিয়ে এত সমালোচনা হচ্ছে, এত নোংরামী হচ্ছে কেবল সেই অংশটুকুই সবাই আরেকটিবার শুনে নেয়া যায়। ওখানে আরও কোন শব্দ আছে যা আমাদের ধর্ম, ঐতিহ্য বা চিরকালের চেনা বাংলা সংস্কৃতির বাইরের বা হঠাৎ করেই অল্প কয়েক বছরের ভেতরে যেন বেশী করে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেকথাটি বলা হয়েছে। এমন কি আমাদের প্রায় সবার পরিবারেই মায়েদের ঘোমটায় অভ্যস্ততা উনি পছন্দ করেন সে কথাটিও বলেছেন।

যতদূর জানি, মিতা হক মুসলিম পরিবারেই একজন এবং আমি নিশ্চিত, তিনি বাঙালী ঐতিহ্যের/সংস্কৃতির পাশাপাশি আমাদের চিরচেনা প্রিয় ধর্মীয় আচারেই বেড়ে উঠেছেন। তাঁর ধর্মবিদ্বেষ কোথাও তো প্রকাশিত হয়নি ঐ ভিডিওতে, কোথাও তিনি ধর্মকে বা ধার্মিককে আহত করে কিছু বলেননি। আমাদের সহনশীলতা এবং বিবেচনাবোধের কি আর একটু যোগ-বিয়োগে আনা যায়না? হয়তোবা উনি তাঁর বক্তব্যটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেননি। মূলকথাটি পরিষ্কার হয়নি সবার জন্য। তবে, সমাজে যাঁর একটি পরিচিতি আছে, গণমাধ্যমে যিনি অনেকগুলো বছর ধরে পরিচিত তাঁর কাছে আমরা সবাই একটি সুষ্ঠু ও পরিষ্কার উপস্থাপন আশা করি অবশ্যই। যদিও এই বিষয়ে সবাই যে পটু হবেন এমন ভাবনাও সবসময় ঠিক হয়না।


উপরে ৫১ নম্বর মন্তব্যে আরজুপনি বলেছেন:

মিতা হক আসল কথার গুরত্ব না দিয়ে...সঠিকভাবে উপস্থাপন না করে পুরো বিষয়টাকে ঘোলাটে করে ফেলেছেন ।

যার কারণে উনি যেই বিষয়ে মুলত বলতে চেয়েছিলেন তার আর কোন গুরুত্ব ধরে রাখতে পারেন নি ।

যিনি গণমাধ্যমে কথা বলতে যেয়ে তার মুল বিষয় থেকে সরে যেয়ে লেজে গোবরে করে ফেলেন , তাকে সামনে আরো সতর্ক হওয়ার আহবান জানাই ।



খুব দরকারী কথা বলেছেন আরজুপনি। আপনাকে ধন্যবাদ এবং এই পোস্টের লেখককেও ধন্যবাদ।




৬০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

জানা বলেছেন:

অপপ্রচার নিশ্চিতভাবেই সমাজের জন্য, দেশের জন্য, জাতির জন্য এবং প্রতিটি ব্যক্তির জন্য অপমানজনক। বলতে চাইছি যে, যিনি/যাঁরা অপপ্রচার করেন তাঁদের জন্য অনেক বড় লজ্জার বিষয় যাকে বা যাদের নিয়ে অপপ্রচার করা হয় তাদের চেয়ে।

সবার জন্য মঙ্গল কামনা।

৬১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: মিতা হক নাকি বলছেন মেয়েরা জিন্স টি শার্ট পরলে সেটা ফ্যাশান আর মাথায় কাপড় দিলেই অবাঙ্গালী ।

এটা কি সত্য ?

৬২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

হাছুইন্যা বলেছেন: এ ধরনের কথাবার্তা চায়ের দোকানে বসে বল্লে পাবলিক রিএকশেন সহ্য করতে হবে না কিন্তু মিডিয়ায় বল্লে অবশ্যেই সেগুলো নিয়ে বাড়াবাড়ি হবে।

৬৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: লেখক আপনি মিত্যাচার করছেন কেন !!! মিতা ডাইরেক্ট বলছে যারা মাথায় ঘোমটা দেই তারা আর যাই হোক বাঙ্গালী নয় ।

আপনি আবার দেখুন ভিডিওটা ।

তিনি বলেছেন আমরা আইডেনটিটি ক্রাইসিস এ ভুগছি । কিসের আইডেনটিটি ক্রাইসিস !! আমার প্রধান আইডেন্টিটি আমি মুসলমান !!


৬৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০০

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অনেক আগে থেকেই এই পোষ্ট টি দেখছি !
প্রথমত আমি মিতা হককে সমর্থন করতে পারছিনা ! উনি এমন ভাবে কথা বলেছেন যে উনার পক্ষে ডিফেন্স করা খুবই কঠিন !
উনার জন্য স্বান্তনা দিতে গেলে এতুটুকুই বলতে পারি উনি সম্ভবত খেই হারিয়ে ফেলেছেন এজন্য ওনাকে কথা বলার সময় আরেকটু সতর্ক হবার আহবান জানাই !
আইডেন্টি ক্রাইসিস যদি হয়েই থাকে তাহলে জিন্স , লেঙ্গিস এর কথাও বলতে পারতেন , ঘোমটা নিয়ে মাতামাতি কেন শুধু ! সিরিয়াসলি কি বলছেন সেটা ভেবে বলা উচিৎ ছিল ! আর সমালোচনার কথা বলছেন তো ... আমাদের পরিচয় হচ্ছে আমরা বাঙ্গালী মুসলমান ! যে কোন একটা অনূভুতিতে আঘাত লাগলেই মানুষ প্রতিবাদ করবে ! আর এই জায়গাটায় মিতা হকের বক্তব্যের ভুল উপস্থাপনার দরকার নেই ! ঐ একটা লাইন শুধু লিখে দিলেই উনি সমালোচিত হয়ে যাবেন ! খুব থিসিস করে ওখান থেকে হয়তো পজিটিভ কিছু পাওয়া যেতে পারে ! মিতা হকের জন্য শুভকামনা , আশা করি উনি ঈদের দিন মাথায় হয়তো ঘোমটা দিয়েছেন !

৬৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:২৩

হাছন রাধা করিম বলেছেন: @জানা: জনাবা, আপনি একজন বুদ্ধিমান মানুষ হওয়া সত্বেও কি করে মিতা হকের সমর্থনে এমন একটি ফাতরামো মন্তব্য করলেন আমি ভেবে অবাক হচ্ছি।

এবার বলি আপনার মন্তব্য কেনো ফাতরামি। আপনি বলেছেন: "ওখানে আরও কোন শব্দ আছে যা আমাদের ধর্ম, ঐতিহ্য বা চিরকালের চেনা বাংলা সংস্কৃতির বাইরের বা হঠাৎ করেই অল্প কয়েক বছরের ভেতরে যেন বেশী করে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেকথাটি বলা হয়েছে। এমন কি আমাদের প্রায় সবার পরিবারেই মায়েদের ঘোমটায় অভ্যস্ততা উনি পছন্দ করেন সে কথাটিও বলেছেন"।

আপনার উপরোক্ত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কি এটা প্রশ্ন উঠানো যায়না যে আপনি বা আপনার মতো ঢাকা-চিটাগাং ভিত্তিক আরবান এলিটরা যে পশ্চিমা পোশাক আশাক পরিধান করেন, পশ্চিমাদের অনূকরণে জীবন যাপন করেন সেটা কোন বাঙালী সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে?

হিজাব-বোরখা পড়লেই যদি বাঙালী সংস্কৃতি বিপদে পড়ে যায়, তাহলে আপনাদের পশ্চিমাদেরকে অনূকরণ করা আরো বেশী বড়ো বিপদ ডেকে আনছে।

বাঙালী সংস্কৃতির মানে যদি হয় ব্রাহ্মণ্যবাদি আচার-আচরণ, চিন্তা চেতনাকে লালন করা, তাহলে আপনারা তথাকথিত বাঙালী সংস্কৃতির ধারক বাহকরা অবাক বিস্ময়ে দেখবেন যে বেশীরভাগ বাংলাদেশী মানুষ সেটা ঘৃনাভরে রিফিউজ করে।

বাংলাদেশের সংস্কৃতি হলো বাংলার গ্রাম ভিত্তিক। সেটাই হলো বৃহত্তর জনগোষ্টির সংস্কৃতি। সেখানে ধর্মের সংগে সংস্কৃতির কোন বিরোধ নেই। একটা অন্যটার পরিপূরক হয়ে অবস্হান করছে।

আপনাদের চুলকানিটা হলো আসলে ইসলাম নিয়ে।

৬৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৪০

আমিনুর রহমান বলেছেন:




একাত্তর টেলিভিশনের ওই টকশোতে অংশগ্রহণকারী নাট্যকার মামুনুর রশীদ, অভিনেতা তারেক আনাম ও উপস্থাপক মিথিলা ফারজানার উদ্দেশে তিনি বলেন, আজ তুমি আমি শাড়ি পড়ে বসেছি। মামুন ভাই, তারেক ভাই পাঞ্জাবি পড়ে বসেছে। তারা কেউ দাঁড়ি টুপি লাগিয়ে নেই। কেউ লম্বা সিঁদুর পড়েও নেই। কেউ হিন্দু, শিখ। আমাদের একটি কমন পরিচয় আছে। ছেলেরা এক ধরনের পোশাক পড়বে আর মেয়েরা এক ধরনের পোশাক পড়বে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিসটা এতো বাজে, আজকাল বাংলাদেশে রাস্তায় বেরিয়ে, কোন ডাক্তারখানায় বা হাসপাতালে গিয়ে, যেখানে একটু লোকজনের সমাগম বেশি, যেখানে ওয়েটিং রুম আছে, লোকজন অপেক্ষা করছে, সেখানে দেখি যে, একমাত্র আমিই বাঙালি। আমি শাড়ি পড়ে গেছি আর আমার মাথায় ঘোমটা নেই। আজকাল তারা এইটুকু মুখ (শুধুমাত্র চোখ খোলা থাকে) বের করে রাখছে। এতে তারা আর যাইহোক বাঙালি নয়।


লেখক ও যারা মিতা হকের সমর্থন করছেন তার আরো একবার আন্ডার লাইন কৃত অংশ পড়ুন এবং ভাবুন এবং বলুন কি বিকৃতি করা হয়েছে মিতা হকের কথা। আর ২/১ কে দেখছি মিতা হকের কথায় দ্বিমত জানাতে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছেন। এখান মত-দ্বিমতের মাধ্যমেই সঠিক টা বের হবে রেগে গিয়ে উলটাপালটা কিছু বলে ফেলবেন না!

৬৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৬

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: @ আমিনুর রহমান - সবসময় আমার মনে হয়েছে আপনার চিন্তাধারা সঠিক - স্বচ্ছ , কনফিউসন নেই আপনার মধ্যে । আপনার মন্তব্য আমার ধারনার সঠিকতা প্রমান করল।

৬৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:০৮

রামন বলেছেন:
লেখক @

আসলেই আমাদের সহনশীলতার বরই অভাব। আমার মনে হয় মিতা হক যদি হিজাব-বোরখার পাশাপাশি কোট- প্যান্টের কথাটি উল্লেখ করেতেন তাহলে হয়ত বক্তব্যটি নিয়ে এতটা হৈ চৈ হত না। তারপরও তিনি যা বলেছেন সে জন্য মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেছে বা কোরআনের আয়াত পাল্টে ফেলা হয়েছে, তা নয়। আপনি মানেন বা না মানেন এটা সত্যি যে হিজাব-বোরখা হচ্ছে ধর্মীয় পোশাক তথা আরবীয় সংস্কৃতির একটি অংশ পাশাপাশি কোট -প্যান্ট ইত্যাদি হল পশ্চিমা কৃষ্টির ধারক। এগুলো সবই মিশ্র সংস্কৃতি হিসেবে আমাদের সংস্কৃতিতে প্রবেশ করেছে এবং মানুষ স্বতস্ফুর্ত ভাবেই এগুলো গ্রহণ করেছে। এই পোশাক যে আমাদের নিজস্ব নয় এই সত্য কথাটি মিতা হক বলেছেন কিন্তু উনি তো বলেন নি পোশাকগুলো খারাপ বা সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

আসলে সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার সৎসাহস যে আমাদের ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে সেটি একযোগে মিতা হকের উপর হামলে পরাটাই প্রমান করে।

৬৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

আল-রোমান বলেছেন: দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: লেখক আপনি মিত্যাচার করছেন কেন !!! মিতা ডাইরেক্ট বলছে যারা মাথায় ঘোমটা দেই তারা আর যাই হোক বাঙ্গালী নয় ।

আপনি আবার দেখুন ভিডিওটা ।

তিনি বলেছেন আমরা আইডেনটিটি ক্রাইসিস এ ভুগছি । কিসের আইডেনটিটি ক্রাইসিস !! আমার প্রধান আইডেন্টিটি আমি মুসলমান !!


স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অনেক আগে থেকেই এই পোষ্ট টি দেখছি !
প্রথমত আমি মিতা হককে সমর্থন করতে পারছিনা ! উনি এমন ভাবে কথা বলেছেন যে উনার পক্ষে ডিফেন্স করা খুবই কঠিন !
উনার জন্য স্বান্তনা দিতে গেলে এতুটুকুই বলতে পারি উনি সম্ভবত খেই হারিয়ে ফেলেছেন এজন্য ওনাকে কথা বলার সময় আরেকটু সতর্ক হবার আহবান জানাই !
আইডেন্টি ক্রাইসিস যদি হয়েই থাকে তাহলে জিন্স , লেঙ্গিস এর কথাও বলতে পারতেন , ঘোমটা নিয়ে মাতামাতি কেন শুধু ! সিরিয়াসলি কি বলছেন সেটা ভেবে বলা উচিৎ ছিল ! আর সমালোচনার কথা বলছেন তো ... আমাদের পরিচয় হচ্ছে আমরা বাঙ্গালী মুসলমান ! যে কোন একটা অনূভুতিতে আঘাত লাগলেই মানুষ প্রতিবাদ করবে ! আর এই জায়গাটায় মিতা হকের বক্তব্যের ভুল উপস্থাপনার দরকার নেই ! ঐ একটা লাইন শুধু লিখে দিলেই উনি সমালোচিত হয়ে যাবেন ! খুব থিসিস করে ওখান থেকে হয়তো পজিটিভ কিছু পাওয়া যেতে পারে ! মিতা হকের জন্য শুভকামনা , আশা করি উনি ঈদের দিন মাথায় হয়তো ঘোমটা দিয়েছেন !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.