নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট গল্প- মায়ের কোল

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৬

ক্লাসে গিয়ে দেখি আজকেও স্বাধীন পিছনের বেন্চে বসে ঝিমুচ্ছে। কয়েকবার ডাকলাম। কোনো ভাবান্তর নেই।

নিপুন বললো-স্যার বেত নিয়ে আসবো। ভালো করে বেতিয়ে দিন। তাহলে আর ঝিমুবেনা।

আমি বললাম, যা নিয়ে আয়।

স্বাধীনকে কান ধরে টেনে তুললাম। নিপুন বেত নেয়ে এসেছে। ঝাউ গাছের চিকন বেত।

স্বাধীনের মাথা টেবিলের নীচে গুজা। আমার হাতে ঝাউ গাছের চিকন বেত। ক্লাসের ছাত্ররা খুব খুশী।



নিপুন বললো-স্যার,ওর পিঠে শার্টের ভিতর কিন্তু ভারী কাপড় গুজা। সেদিন হেডস্যার, বাড়ির কাজ না পারায় ওকে খুব মেরেছিলেন বেত দিয়ে পিঠে। এর পর থেকেই ও স্যার, শার্টের ভিতর ভারী কাপড় গুজে আসে।



ক্লাসের বাইরে প্রবল বৃষ্টি বইছে। বৃষ্টি মনে হয় মানুষের মন নরম করে দেয়।আমার মনটাও নরম হলো।

স্বাধীনকে বললাম, স্বাধীন তুমি ক্লাসে বসে ঝিমাও কেন?

সারারাত বাড়িতে কি করো?

স্যার, কয়েকদিন থেকেতো খুব বৃষ্টি হচ্ছে। তাই ক্লাসে এসে ঘুমাই।

বৃষ্টির সাথে ক্লাসে ঘুমানোর সম্পর্ক কি?

স্যার, ঘরের ছাদের ফুটো দিয়ে সারারাত বৃষ্টি পড়ে। একটু ঘুমাই, আবার বৃষ্টির ফোটা গায়ের ওপর পড়লেই ঘুম ভেঙগে যায়।

আচ্ছা, বুঝলাম। যাও সীটে গিয়ে বসো। আর মনে থাকে যেন ক্লাসে ঘুমাবেনা।

স্বাধীন টেবিলের নীচ থেকে মাথা বের করলো। আর আচ্ছা বলে সীটে চলে গেলো। কিছুক্ষণ পরে খেয়াল করলাম, স্বাধীন বেন্চিতে ঘুমিয়ে পড়েছে।







আজ স্কুলের বিশেষ একটা দিন। এই দিনটি আমি নিজ থেকেই চালু করেছি। মাসের এইদিনে সব বাচ্চারা পড়ালিখা বাদ দিয়ে যার যার মতো আনন্দ করে। যার যা ইচ্ছা তাই করবে। শুধু আনন্দ আর আনন্দ। এদিন কোনো পড়ালিখা নেই, কোনো বাড়ীর কাজ নেই। কোনো কড়া শাসন নেই। কোনো স্কুল ড্রেস নেই। সবাই সত্যিকারের স্বাধীন।



এরকম একটা খুশীর দিনে আমাকে যে এরকম দুঃখ নিয়ে ঘরে ফিরতে হবে ভাবতেই পারিনি। ৩য় শ্রেণীতে গিয়ে দেখি সবাই যার যার মতো হৈ হুল্লোড় করছে। বাঁধভাঙা আনন্দ বয়ে যাচ্ছে পুরো ক্লাসে। শুধু দেখি স্বাধীন কোথাও নেই। পিছনের বেন্চ, যেখানে স্বাধীন বসে বসে ঝিমায়।সে জায়গাটা আজ খালি।



স্কুল ঘরের পিছনে একটা মাঠ। মাঠের এক কোণে একটা কৃষ্নচূড়া গাছ। স্বাধীনকে মাঝে মাঝে দেখতাম সেই গাছের নীচে একাকী বসে নিজের মনে বালুতে ছবি আঁকতে ।

মনে করলাম হয়তোবা সে আজো ওখানেই বসে আছে।



আমি ধীরপায়ে হেঁটে মাঠের কোণে গাছটার নীচে আসি। না, সে কোথাও নেই। তবে কি আজ ও স্কুলে আসেনি। এরকমতো হওয়ার কথা না।

কিছুক্ষণ এদিক ওদিক খোঁজার পর মাঠের পূর্বদিকে আমার নজর পড়লো। আমি সেখানে হেঁটে যাই। দেখি, স্বাধীন বালুর ওপর ঘুমিয়ে আছে।



আমি বললাম, এই স্বাধীন ওঠো। এখানে বালুর উপর এভাবে একা একা ঘুমিয়ে আছো কেন?

আমার কথায় স্বাধীন ঘুম থেকে ওঠে। দেখি চোখে জলের দাগ।

বুঝা যাচ্ছে বেচারা অনেক কেঁদেছে।

তুমি কি কাঁদছিলে?

স্বাধীন মাথা নাড়ে।

এখানে এই বালুর উপর কি করছিলে?

স্যার, মায়ের কোলে আরাম করে ঘুমাচ্ছিলাম।



আমি বললাম, মায়ের কোলে ঘুমোচ্ছিলে এর মানে কি? এখানে তোমার মা কই?

স্বাধীন বললো, স্যার , গতকাল সবুজের জন্মদিন ছিলো মনে আছে? সবুজের মা সবুজকে কোলে নিয়ে স্কুলে আসলেন। কতো আদর করলেন।



আমি বললাম, তোমার জন্মদিনেও তোমার মা তোমাকে কোলে নিয়ে স্কুলে আসবেন, তোমাকেও অনেক আদর করবেন।

স্বাধীন বলে, না স্যার। আমার মা আমাকে কোনোদিন কোলে নিবেননা। আমিতো স্যার এতিম। আমার যে মা নেই। স্বাধীনতার যুদ্ধে নাকি আমার মা মারা গেছেন। তাই আমার নাম স্বাধীন। আবার কেউ বলে আমার মা ঠিকই আছেন । কীসের লজ্জায় নাকি আমাকে ফেলে গিয়ে চলে গেছেন। আমি এসব কিছুই বুঝিনা স্যার।



তবে স্যার , আমার মা আমাকে কোনোদিন কোলে না নিলেও আমি কিন্তু মন খারাপ হলেই মায়ের কোলে এসে বসে থাকি। আজ স্যার ছিলো আমার জন্মদিন। তাই মা'তো আর আমাকে কোলে নিবেন না । তাই আমিই মা'র কোলে আসলাম।

এ কথা বলে স্বাধীন মাটিতে আঁকা একটা ছবি দেখায়।



দেখি, বড় করে এক মহিলার ছবি আঁকা।



স্বাধীন ছবিটার দিকে কেমন করে যেন চেয়ে থাকে। বলে আমার মা মনে হয় স্যার এরকমই ছিলেন। আপনি স্যার স্কুলে যান। আমি আরো কিছুক্ষণ মা'য়ের কোলে ঘুমাই। ক্লাসেতো স্যার আর এভাবে ঘুমাতে পারিনা।



এরপর আমি দেখি স্বাধীন তার জুতোজোড়া ছবিটার এক পাশে রাখে, তারপর,আবার আগের মতো ছবিটার মাঝে ঘুমিয়ে পড়ে।



(নীচের ছবির ছেলেটির মা নেই। সবাইকে বলে আমার মা কই, আমার মা কই। একজন বলেন তোমার মা মাটির নীচে ঘুমিয়ে আছেন। ছেলেটি অনেক চেষ্টা করে মাটির নীচে যেতে। কিন্তু যেতে পারেনা। একদিন ছেলেটি ঘুমের মাঝে একটা স্বপ্ন দেখলো- মা তাকে কোলে নিয়ে বসে আছেন। এরপরদিন এতিম ছেলেটি বালুতে নিজের মায়ের ছবি আঁকে। তারপর আকাঁ ছবির মাঝে ঘুমিয়ে পরে। এই অসাধারণ দুঃখময় ছবিটি ইরাকি একজন শিল্পীর তোলা। ছবিটি দেখলে বুকের মাঝে কেমন যেন হাহাকার করে ওঠে। )



মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩২

বোকামন বলেছেন:
ছবিটি দেখলে বুকের মাঝে কেমন যেন হাহাকার করে ওঠে।
হূম .....

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: ছবিটি দেখলে বুকের মাঝে কেমন যেন হাহাকার করে ওঠে।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। গল্পটা পড়ে মনটা খারাপ হল গল্পের ছেলেটির জন্য

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০২

খেয়া ঘাট বলেছেন: এ লিখাটি লিখতে আমার কিছুই করতে হয়নি। শুধু ছবিটা সামনে রাখলাম। এরকম দুঃখের ছবি খুব কমই দেখেছি।
বিনীত ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

বটের ফল বলেছেন: আবেগময় ছবি। আবেগময় লেখা। যথারিতি আরেকটি খেয়াঘাটিয় উপাখ্যান।

ভালো থাকবেন অনেক বেশি। অনেক ভালো লেগেছে লেখাটা।+++++

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার সাথে দেখা। কোথায় ছিলেন?
বিনীত ধন্যবাদ

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: এই ছবিটা আগে দেখেছিলাম, যতবার দেখি ততবার চোখ ভিজে উঠে। জীবন কত নির্মম!!

আপনার গল্প অনেক ভাল হয়েছে। আরও বড় পরিসরে লিখলে পড়ে আরও আরাম হত। হঠাৎ করেই যেন শেষ হয়ে গেছে।

লেখালেখি চালিয়ে যান। শুভেচ্ছা রইল।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১১

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ। অনেক শুভকামনা।

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৮

ভিয়েনাস বলেছেন: ছবিটি আগেও দেখেছি .... চোখ দুটো ভিজে উঠেছিল। মায়ের মতো মমতা দুনিয়ার আর কেউ দিতে পারেনা।

গল্পে ভালো লাগা।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: মায়ের মতো মমতা দুনিয়ার আর কেউ দিতে পারেনা ।
কেউ পারেনা।
বিনীত ধন্যবাদ।

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: গল্পটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল বলে, বাক্য বিন্যাসের কয়েকটা ত্রুটি দেখিয়ে দেওয়ার ইচ্ছেটা চলে গেছে।

কেবল ছবি দেখেই এমন একটি গল্প লিখে ফেলা খুব সাধারণ কাজ নয়।

অনেক শুভ কামনা আপনার জন্যে।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫২

খেয়া ঘাট বলেছেন: ত্রুটিগুলো দেখিয়ে দিলে ভালো হতো। খুশী হতাম।
বিনীত ধন্যবাদ। অনেক শুভকামনা।

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার লিখসেন খেয়া।
মন খারাপ হলেও পড়ে ভাল্লাগসে ||

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা থাকলো।

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ইরাকি শিল্পীর ছবিটা সম্পর্কে জানতাম, আপনার গপ পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম কমেন্টে সেই ছবিটার কথা বলবো, গপের শেষের দিকে আপনে নিজেই বলে দিছেন!

লেখা ছুঁয়ে গেছে

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ মাসুম আহমদ ভাই।

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

:( :( :(

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই।

১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

আম্মানসুরা বলেছেন: 'মা' এই শব্দে অনেক আদর, ভরসা, আনন্দ লুকিয়ে আছে। মা হারা বাচ্চা গুলো আসলেই অনেক অভাগা!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: জ্বি। আসলেই ওদের দুঃখের শেষ নাই।
বিনীত ধন্যবাদ।

১১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: :( :( :(

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ। অনেক শুভকামনা।

১২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: মন ছুয়ে গেলো লেখা।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ রইলো। অনেক শুভকামনা রইলো।

১৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ছবি থেকে গল্প লিখে ফেলেছেন! বেশ ভালো।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২০

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ । অনেক শুভকামনা রইলো।

১৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

মামুন রশিদ বলেছেন: মন খারাপ করা গল্পে প্লাস +

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ মামুন ভাই।

১৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন বিষাদ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০১

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ প্রোফেসর স্যার।

১৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৪

তোমোদাচি বলেছেন: ভাল লিখেছেন!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২০

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ডঃ।

১৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রচন্ড মন খারাপ হয়ে গেল। ছবি দেখে কেন যেন খুব কষ্ট পাচ্ছি।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: ছবিটাই আসলো। দেখলে কষ্টে বুকের ভিতর কেমন যেন হাহাকার করে ওঠে।
আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ।

১৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩২

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: গল্পের ভিতরের গল্পটা অসাধারণ। পড়তে গিয়ে কোথাও কোথাও বিরক্ত হচ্ছিলাম খুব, ছোট একটা ছেলের মুখে বেমানান ডায়লোগ দেখে। কিন্তু গল্পের শেষে যখন চোখ ভিজে উঠল তখন ভাবলাম, আপনি সার্থক।
ডায়লোগগুলির অর্থ ঠিক রেখেই ছোটদের উপযোগী ডায়লোগ জুড়ে দেয়া যেত। তাহলে আপনার লেখাটাকে অসাধারণের মর্যাদা না দিয়ে উপায় থাকত না। কিন্তু এত সুন্দর একটা গল্পকে অসাধারণের মর্যাদা দিতে পারলাম না বলে আমার মন খারাপ।

দোষ সম্পূর্ণ আপনার।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনি যথার্থই বলেছেন।
দারুন গঠনমূলকমন্তব্যটে মাথা পেতে নিলাম। অনেক শুভকামনা, বিনীত ধন্যবাদ ভাই।

১৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মন টা অনেক অস্থির হয়ে আছে ...
পারিপার্শ্বিক অনেক কিছুই একজন মা হিসেবে আমাকে ভাল থাকতে দিচ্ছে না ...

একজন মায়ের দায়িত্ব আজকাল আমাকে অনেক বেশী ভাবাচ্ছে ।
বিষাদ ময়তায় ও ভালোলাগা থাকে ।। বিষাদময় গল্পে ভালোলাগা ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:২৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: হুমম।
চারপাশের সবকিছু কেমন যেন গুমোট হয়ে যাচ্ছে। অনেক কিছুই ঘটে যাচ্ছে যা বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয়।
আপনার অনুভূতি অনেকটা অনুভব করতে পারছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সব পরিবারের উপর রহম করুন। অনেক শুভকামনা।

২০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৩

রোমেন রুমি বলেছেন: আমার বুকের ভেতরও কেমন যেন হু হু করে উঠল । আমার বয়শ যখন চার বছর তখন আমার মা ও না ফেরার দেশে চলে গেছেন । মায়ের চেহারাটাও আমার মনে নেই । আর মায়ের কোলে ঘুমাবার স্মৃতিও আমার মনে পড়ে না ।
দিদিমা চিরাচরিত সেই গল্পটা আমাকে ছোট বেলায় বলতেন - তোর মা আকাশের তারা হয়ে গেছে । আকাশের যে তারাটা সব চেয়ে বড় সেট তোর মা । তুই যখন অনেক বড় হবি তখন তুইও সেখানে যেতে পারবি ।

আমি এখন বড় হয়েছি । ছেলেবেলা থেকে আকাশ আমার ভীষণ ভাল লাগে, এখনও সেই ভাল লাগাটা রয়ে গেছে । আর কেন জানি মনে হয় বড় তারাটা আমি এখনও খুঁজে ফিরি ।

আপনার নিক টা সুন্দর ।
রবীন্দ্রনাথের একটা ছড়ার লাইন -
" মা যদি হন রাজি বড় হলে আমি হব খেয়াঘাটের মাঝি "
ছেলেবেলা থেকে আমার এই লাইনটা ভীষণ ভাল লাগে । এখনও খেয়া ঘাটের মাঝি হবার স্বাদ আমার যায়নি ।

গল্পটা সহজ ; সুন্দর ।

ভাল থাকুন খেয়াঘাট ।
শুভ রাত্রি ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:২৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার কথাগুলো পড়ে অনেক বেশী কষ্ট হচ্ছে ভাই আপনার জন্য।
আপনাকে কিছু বলে যে আপনার দুঃখ দূর করবো সেই ক্ষমতা আমার নেই।
শুধু আপনার ভালো থাকার জন্যই আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করতে পারি।
ভালো থাকবেন।

২১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: এর লাইগ্যাই কাউরে কিছু কইতে ডরাই! :((


বাড়ির কাজ না পারায় ওকে খুব মেরেছিলেন বেত দিয়ে পিঠে।

১ বাড়ির কাজ না পারায় ওর পিঠে বেত দিয়ে খুব মেরেছিলেন।
২ বাড়ির কাজ না পারায় বেত দিয়ে ওর পিঠে খুব মেরেছিলেন।

# বাড়ির কাজ না পারায় ওকে বেত দিয়ে পিঠে খুব মেরেছিলেন।

(তবে ওকে আর পিঠে ব্যবহার করলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে যেভাবেই লিখুন না কেন পড়ার সময় সাবলীল মনে হবে না।)


আমার মা মনে হয় স্যার এরকমই ছিলেন।

-পিচ্চিকালে কথার মাঝে স্যার বা আপা ব্যবহার করলে তাঁরা বলতেন এভাবে না এভাবে না।!

১ স্যার, আমার মা মনে হয় এ রকমই ছিলেন।
২ মনে হয় আমার মা এ রকমই ছিলেন স্যার।


অবশ্য বাচ্চারা এভাবেই কথা বলে বেশি। কিন্তু আমরা যখন গল্পে তা ব্যবহার করি তা সাজিয়ে লিখলে সুবিধা হয়। পাঠক সহজেই গল্পের গভীরে চলে যেতে পারেন।

ভাল থাকেন আর বেশি বেশি ভালো গল্প লেখেন।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:২৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার কথাগুলো আমার পাথেয় হয়ে থাকলো।
বিনীত ধন্যবাদ এতো গুছিয়ে চমৎকারভাবে ভুলসব শুধরে দেয়ার জন্য।
অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

২২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: এরকম অনেক স্বাধীন আমাদের আনাচে-কানাচে আছে। স্বাধীনের টিচারের মতো মানবিক হলেই তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যায়।

গল্পটি অসাধারণ +

খেয়াঘাটকে অনেক শুভেচ্ছা :)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকেও বিনীত শুভেচ্ছা প্রিয় মইনুল ভাই।

২৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হার্ট টাচিং। মা মাতৃভূমি সবসময়ের জন্য সবচেয়ে কঙ্খিত। আর এমন শিশু বয়সে তো মা নেই যার কিছু নেই তার।স্বাধীনের জন্য বড্ড খারাপ লাগলো।পোস্টে+

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় সেলিম ভাই।

২৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

সায়েম মুন বলেছেন: ছবিটা এই প্রথম দেখলাম। দেখেই বুকটা মোচড় দিলো। খুব মন খারাপ গল্প।

সামান্য কিছু টাইপো আর বাক্যগঠনগত ত্রুটি বাদ দিলে গল্পটা খুব ভাল লিখেছেন।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় সায়েম মুন।

২৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১২

বৃতি বলেছেন: ছবিটি দেখে মন বেশ খারাপ হোল । গল্পটাও বেশ সুন্দর লিখেছেন । +++

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় বৃতি। অনেক শুভকামনা

২৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এই ছবিটা যতবার দেখি মন খারাপ হয়।

এই লাইনটাও পারলে ঠিক করে নিবেন।

আজ স্যার ছিলো আমার জন্মদিন

- স্যার , আজ আমার জন্মদিন ছিলো।
- আমার আজ জন্মদিন ছিলো স্যার।

শুভকামনা আপনার জন্য।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১২

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ মন্তব্যেরজন্য। অনেকশুভকমানা রইলো।

২৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প। ভাল লাগল।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩২

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ঢাকাবাসী। অনেক শুভকামনা রইলো।

২৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: জীবন কারো কারো জন্য খুব নিষ্ঠুর! খুব মন খারাপের একটা ছবি থেকে তেমনি একটা গল্প লিখেছেন খেয়াঘাট।

পৃথিবীর সব শিশুই মায়ের কোলে নিরাপদে থাকুক।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩২

খেয়া ঘাট বলেছেন: পৃথিবীর সব শিশুই মায়ের কোলে নিরাপদে থাকুক।- অনেক সুন্দর কথা বলেছেন বোন।
অনেক শুভকামনা রইলো।

২৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ছবিটা দেখে থিম নিয়ে গল্প লিখেছেন মনে হচ্ছে।

গল্পটা হৃদয় ছুয়েছে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: জ্বি ভাই।
গল্পটা কিছুই না। ছবিটাই আসল। বিনীত ধন্যবাদ।

৩০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কোমলে - বিষাদে ভরা মন ছোঁয়া গল্পে অজস্র প্লাস ।

কেমন আছেন খেয়াঘাট ভাই :)

৩১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কোমলে - বিষাদে ভরা মন ছোঁয়া গল্পে অজস্র প্লাস ।

কেমন আছেন খেয়াঘাট ভাই :)

২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই।
আল্লাহর মেহেরবাণীতে অনেক ভালো আছি ভাই। আপনি কেমন আছেন?

৩২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেলো ভাই। আপনার আরো একটা চমৎকার কীর্তির সাক্ষী হয়ে রইলাম।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় মহামহোপাধ্যায়।

৩৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৩

মাক্স বলেছেন: মন ছুঁয়ে দেয়া লিখনি।
ভালো লাগলো খুব!

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২০

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় মাক্স।

৩৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: কি লিখব বুঝতে পারছি না। এটা যেন মানবতার পরাজয়!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

খেয়া ঘাট বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই। বিনীত ধন্যবাদ রইলো।

৩৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩১

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: কিছু বলার নেই । কখনও কখনও কিছু বলার থাকে না আসলে ।
+ +

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনি দেখি আমার সব লিখাই পড়া শুরু করেছেন।
কৃতগ্গতা রইলো। অনেক শুভাকামনা ভাই।

৩৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫১

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: মা কে নিয়ে লেখা আপনার আরেকটি চমৎকার গল্প । ছবিটা যেমন মন খারাপ করা , লেখাও তেমনি ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩০

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকে অনেকদিন পর দেখে খুবই ভালো লাগলো। কোথায় ছিলেন???

৩৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৪

সাদমান সাদিক বলেছেন: গল্পটা পড়ে হাহাকার মনে হচ্ছে চারদিকে , ভাল লিখেছেন

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক কষ্টের গল্প, তাই না ভাই?
বিনীত ধন্যবাদ আর অনেক শুভকামনা রইলো।

৩৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

তাসজিদ বলেছেন: কেন যে লেখেন, চোখ ত ঝাপসা হয়ে আসে।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: আমার নিজেরতো কান্নাই চলে আসে। আমার মা বলেন-আমার লিখায় নাকি শুধু দুঃখ বেশি।

ভালো থাকবেন ভাই। নিরন্তর শুভকামনা রইলো।

৩৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:২৩

তাসজিদ বলেছেন: আপনার অনেকগুল লেখা পড়েছি। বাকি গুলও পড়ার ইচ্ছে আছে

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১২

খেয়া ঘাট বলেছেন: তাইতো দেখছি। এরকম পাঠক পাওয়া বিরাট সৌভাগ্যের ব্যাপার। নিজেকে ভীষণ ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ, নিরন্তর শুভকামনা ভাই।

৪০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৭

অর্থহীন দাঁড়কাক বলেছেন: এই ছবিটা আগেও দেখেছিলাম। কিন্তু কখনো এই গল্পের মতো চিন্তা করিনি। হৃদয় ছুঁয়ে গেল....

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪১

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই। অনেক শুভকামনা রইলো।

৪১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১১

চানাচুর বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় চানাচুর। আমার টেবিলের ওপর একেবারে তাজা এক প্যাকেট আছে।মুড়ির সাথে পিঁয়াজ কেটে সরিষায় তেল আর কাচা মরিচ কুচি কুচি করে কেটে মাখিয়ে খেতে চানাচুরের কোনো তুলনা নাই।

অনেক শুভকামনা। মজার একটা নিক।

৪২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৪

বেলা শেষে বলেছেন: ....i will never finish with you....i will read ....read & read...
.....you must be a famous writer....
....salam up to next time...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.