নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ঐতিহাসিক গল্প- নামাজ

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৯

পবিত্র জুমাবারের স্ট্যাটাসঃ

খালিদ বিন ওয়ালিদ মুসলিম বিশ্বের এক অপরাজিত সেনাপতি। ১০০ এর উপরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেও কোনো যুদ্ধে পরাজিত হননি। উপাধি লাভ করেন" আল্লাহর তরবারী" হিসাবে।

হযরত ওমর রাঃ খলীফা হয়ে এই মহান মুসলিম প্রধান সেনাপতিকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করেন। কারণ হিসাবে ওমর রাঃ বলেন- মানুষের মনে একটা ভুল ধারণা জন্মাচ্ছিলো যে- খালেদের অসাধারণ সমর কৌশল, মেধা, তেজস্বীতা, সিংহের মতো অদম্য সাহস, বাঘের মতো হুংকার, নির্ভিকতা ইত্যাদীর জন্যই খালিদ প্রতিটি যুদ্ধেই অপরাজিত। মানুষের মন থেকে এ ভুল ধারণা মুছে দেয়ার জন্য আমি খালিদকে প্রধান সামরিক শাসকের পদ থেকে অপসারণ করলাম।

খালিদ বিন ওয়ালিদ খলীফার আদেশ মাথা পেতে নিয়ে সুপ্রীম মিলিটারি কমান্ডারের পদ থেকে একেবারে সাধারণ এক সৈন্যে পরিণত হলেন। মুসলিম কমান্ডারের এতো বড় পদ মুহুর্তেই ছেড়ে দেয়ার তাঁর মাঝে কোন ক্ষোভ নাই, কোনো আক্ষেপ নাই, কোনো দুঃখ নাই।
একবার চিন্তা করতে পারেন! কেমন ছিলো উনাদের মন, কেমন ছিলো উনাদের ত্যাগ।

প্রধান সেনাপতি হলেন আবু উবাইদা রাঃ।

৬৩৬ সালের আগস্ট মাস। বায়জান্টাইন সম্রাট হিরাক্লিয়াস আর মুসলিম বাহিনী বর্তমান সিরিয়া আর জর্ডানের সীমান্ত ইয়ারমুক প্রান্তরে মুখোমুখি।

সম্রাট হিরাক্লিয়াসের বিশাল সেনাবাহিনী। মুসলমানদের সৈন্যসংখ্যা একেবার হাতে গোনা। খুবই নগন্য। পুরো ঘটনাটি বুঝতে হলে- থ্রী হান্ড্রেড ছবিটি দেখতে পারেন- যেখানে মাত্র ৩০০ স্পার্টান লক্ষাধিক পারসিকদের রুখে দিয়েছিলো খ্রীষ্টপূর্ব ৪৮০ সালে। নিজের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে একেকজন স্পার্টান প্রায় হাজারেরও বেশী পারসিক যোদ্ধার সাথে যুদ্ধ করে হাসতে হাসতে মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছিলো।

নতুন মুসলিম সেনা প্রধান আবু ওবাইদা ফজরের নামাজ শেষ করলেন।যিনি সেনাপ্রধান, তিনিই ইমাম। মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে অশ্রুসিক্ত নয়নে সাহায্য চেয়ে সবাই সিজদায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। এরপর বললেন- পরাক্রমশালী বায়জান্টাইন সেনাবাহিনী ঘুর্ণিঝড়ের চেয়েও দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসছে। সন্ধিপত্র নিয়ে আমাদের যে ভাইটি হিরাক্লিয়াসের দরবারে গিয়েছিলো- ওকে হাত পা বেঁধে জীবন্ত অবস্থায় শকুনের পালের মাঝে ছেড়ে দেয়। শকুন জীবন্ত ভাইটিকে টুকরে টুকরে রক্তাক্ত করলে -সেই ভাইটির রক্তমাখা কলিজা চর্মের সন্দিপত্রে মোড়ে পাঠিয়ে লিখা হয়- মুসলিমকে পৃথিবী থেকে শুধু নিশ্চিহ্ন করা হবেনা। ওদের সব উপাসনালয় পুড়িয়ে চারখার করা হবে। যে গুহা থেকে ওদের ধর্ম এসেছিলো সেই গুহায় ওদের কবর চিরদিনের জন্য রচিত করা হবে। আমি হিরাক্লিয়াস -সারা দুনিয়ার অধিপতি। ভূখন্ড আমার, কর্তৃত্ব আমার। আমিই রাজা।আর পৃথিবীর বাকি সব আমার প্রজা। এখানে আর কোনো আল্লাহ নেই, স্রষ্টা নেই। আমি আল্লাহ, আমি স্রষ্টা, আমিই ঈশ্বর, আমিই ভগবান।

এক ঝাঁক শকুন একজন জীবন্ত মানুষকে কেমন করে টুকরে টুকরে খায়-সেই ভয়াবহ দৃশ্যটি কল্পনা করতে চাইলে- আইসিসরা এই সভ্য পৃথিবীতে কীভাবে জীবন্ত মানুষকে খাঁচার ভিতর পুড়িয়ে মারে তার সাথে মিল খুঁজে দেখতে পারেন। বর্বর হিরাক্লিয়াসের অত্যাচার থেকে ধর্মান্তরিত মুসলমান শিশু, কন্যা, মহিলা, বৃদ্ধা, সহায়হীন, সম্বলহীন, অসহায়, পীড়িত, কেউ রক্ষা পাচ্ছেনা।ইয়ারমুক দরিয়া মুসলমানদের রক্তে লাল হয়ে গেছে। আজকেই সিরিয়ার রাস্তার একটা ছবি দেখলাম। কেউ দেখেছে, কেউ দেখেনি। এ আর এমন কি? মনে হলো এক কষাইঘর। কিছুক্ষণ আগেই যেন পশু জবাই করা হয়েছে। মানুষের তাজা রক্তে লাল হয়ে গেছে পুরো পথ। সেই ৬৩৬ সাল আর ২০১৬ সাল। একই জায়গা। মাঝখানে বয়ে গেছে কতদিন, কত মাস,কত বছর। কিন্তু সেই রক্তস্রোত যেন আজো থামেনি।

আবু উবাইদা বললেন- তারপরও আমরা আবারো সন্ধি করার জন্য আহ্বান জানাবো।জীবনের ভয়ে নয়, মরণের ভয়ে নয় -শুধু নবী সাঃ এর সুন্নাত পালনে। তোমাদের ধর্ম তোমরা পালন করো। আমাদের ধর্ম আমাদের শান্তিতে পালন করতে দাও- আর কিছু চাইনা। শুধু এটুকুই হবে সন্ধির শর্ত। দয়াকরে জোর করে আমাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়োনা। যুদ্ধ শান্তি নিয়ে আসতে পারেনা। সন্ধি শান্তি নিয়ে আসতে পারে। আমরা যুদ্ধ চাইনা।

হিরাক্লিয়াস গর্বে আর অহঙ্কারে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে সন্ধি পত্র ছিঁড়ে সেই সন্ধিদূতকে ঘোড়ায় সাথে বেঁধে উবাইদার শিবিরে পাঠিয়ে দেয়া হলো। ঘোড়া জীবন্ত মানুষটিকে টেনে হিচড়ে নিয়ে এলো মুসলিম শিবিরে।

পরদিন ভোরে ফজরের নামাজের পর- আবু উবাইদা বললেন- যুদ্ধ করা ছাড়া এখন যে আর কোনো উপায় নেই। কে হবে মুসলিম দলের সেনাপতি?

প্রথম একজন মুসলিম ওঠে দাঁড়ালো।
আবু ওবাইদা বললেন, আপনি বসুন।

এবার ২য় জন ওঠে দাঁড়ালেন।
আবু ওবাইদা বললেন, আপনিও বসুন।

এবার ৩য় জন ওঠে দাঁড়ালে , আবু ওবাইদা উনাকেও বসিয়ে দিলেন।

এরপর ওঠে দাঁড়ালেন মহান সিপাহশালার খালিদ বিন ওয়ালিদ।

আবু ওবাইদা এবার খুব খুশী হয়ে বললেন, আমি মনে মনে চাচ্ছিলাম ,আপনি এ যুদ্ধের নেতৃত্ব দিন। কিন্তু গত পরশু ছিলেন আপনি মুসলিম বাহিনীর প্রধান কমান্ডার আর আমি ছিলাম আপনার অধীন। তাই আমি চাইছিলাম না আপনাকে কোনো আদেশ করতে।

খালিদ বিন ওয়ালিদ বললেন- হে নবনিযুক্ত মুসলিম বিশ্বের প্রধান সেনাপতি, আমি আপনার আদেশ মাথা পেতে নেবো । আপনি যা বলবেন , তাই হবে। আপনি প্রধান সেনাপতি, আর আমি শুধু ইসলামের শান্তির ছায়ায় আশ্রিত এক আগ্গাবহ সৈনিক। প্রকৃত আল্লাহভীতু, পরহেজগার মুসলিম এক মুহুর্তের জন্যও ক্ষমতার লোভী, পদের লোভী, অর্থের লোভী, দুনিয়ার কোনো কিছুর মোহে আকৃষ্ট হতে পারেনা। খলীফা ওমর রাঃ যা ভালো মনে করেছেন তাই করেছেন। আমি একজন সাধারণ সৈন্য হিসাবেই এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবো। আমার সাথেও কাউকে দিতে হবেনা। প্রজাদের ওপর জুলুমকারী,নির্যাতন কারি, লম্পট হিরাক্লিয়াসের মোকাবিলায় মহান আল্লাহর মেহেরবাণী তে আমি একাই যথেষ্ট। কেউ আমার সামনে না আসলে খালিদের এই তরবারীতে কারো গায়ে একটু সুঁচের আচড়ও লাগবেনা । আমি সরাসরি হিরাক্লিয়াসেের মুখোমুখি হবো।

খালিদ বিন ওয়ালিদের জবাবে মুসলিম শিবিরে শুরু হলো চরম উৎকণ্ঠা।
ইয়ারমুকের নদীর তীরে হিরাক্লিয়াসের প্রায় ৬০ হাজার সৈন্য । আর খালিদ একাই তাদের মোকাবিলা করবেন। এ কেমন কথা। খালিদের কি নিজের জীবনের প্রতি কোনো মায়া নেই। জীবন কি এতোই তুচ্ছ। এতো একেবারে অবুঝের মতো নিজের জীবন স্বেচ্ছায় বিলিয়ে দেয়া। এতো শাহাদাতের তামান্না না। এতো এক ধরণের আত্মহত্যা।

আবু ওবাইদা বললেন, আপনি একাই যাবেন? এর মানে কি?

খালিদ বললেন- হে মহান সেনাপতি। ত্রুটি মার্জনা করবেন? কোনোদিন কি আপনি কোনো কবরস্থানে গিয়েছেন?

আবু ওবাইদ বললেন, হ্যাঁ। অবশ্যই গিয়েছি।

একা গিয়েছেন কি ,কখনো?
আবু ওবায়দা বললেন, হ্যাঁ অনেকবার গিয়েছি।

শত, হাজারো মৃত মানুষের কবরস্থানে একা যেতে কি কখনো আপনি ভয় পেয়েছেন?

আবু ওবায়দা বলেন, না । ভয় পাবো কেন? মৃত মানুষকে আবার কীসের ভয়?

খালিদ এবার হেসে বলেন, একজন নগন্য মুসলিম হিসাবে আমি বিশ্বাস করি, যারা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে, যারা শুধুমাত্র আল্লাহকে ভয় করে-তারা হলো জিন্দা। আর যারা স্রষ্টায় বিশ্বাস করেনা, তারা হলো মুর্দা। তাই হিরাক্লিয়াসের সেনা ৬ জন হলেও যা, ৬০০ হলেও তা , ৬০০০ হলেও একই ব্যাপার। ৬০ হাজার হলেও আমার কাছে এর কোনো পার্থক্য নেই। সবাই মুর্দা। একজন জিন্দা মানুষ হয়ে ৬০ হাজার মুর্দার মোকাবিলা আমি করতে পারবোনা?

আমাকে আদেশ দিন সেনাপতি । আমি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। এক মুহুর্ত আগেও যদি আমি যু্দ্ধের ময়দানে যাই, তবে এক মুহুর্ত আগেই প্রজাদের উপর হিরাক্লিয়াসের জুলুম বন্ধ হবে। একজন নির্যাতিত বোনের ইজ্জতের হেফাজত হবে। একজন নিরাপরাধ শিশুর রক্তে দরিয়া আর লাল হবেনা।

আবু ওবাইদা বললেন, আমাদের জান, মাল, ইজ্জতের হেফাজতকারী মহান রাব্বুল আলামীন। কার মৃত্যু কীভাবে লিখা, কোথায় হবে তা কেউ জানিনা। কিন্তু মুসলিম সেনাপতি হিসাবে আমারও দায়িত্ববোধ আছে। আমি চাই, আপনি ৫৯ জন সৈন্য নিয়ে যত দ্রুত পারেন ইয়ারমুকের যুদ্ধের ময়দানে হাজির হোন।

যুহর গড়িয়ে আসর হয়েছে। আসরের ওয়াক্তও প্রায় শেষ হয়ে আসছে।
আবু ওবাইদা খুবই বিচলিত। আল্লাহই জানেন, যুদ্ধের ফলাফল কী হলো! ৬০ হাজার প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মাত্র ৬০ জন সৈন্য। কেউ কি বেঁচে আছে না সবাই শহীদ হয়ে গেছে। আসরের নামাজের পর তিনি দুরাকায়াত নফল নামাজ আদায় করলেন। চোখের অশ্রুতে জায়নামাজ ভিজে যাচ্ছে। এরপর আবু ওবাইদা ঘোড়ার পিঠে ওঠে কয়েকজন সাথী নিয়ে ইয়ারমুকের যুদ্ধের ময়দানের দিকে রওয়ানা হলেন।

গিয়ে দেখেন যু্দ্ধ শেষ হয়েছে। আবু ওবাইয়দা লাশের মাঝখান দিয়ে হাঁটেন আর নিজে একটি একটি করে লাশ উল্টিয়ে দেখেন। এই বুঝি পাওয়া গেলে খালিদের মৃত দেহ। এই বুঝি পাওয়া গেলো কোনো শহীদের মৃত শরীর।

হঠাৎ দেখেন দূরে নদীর তীরে, আসমানের দিকে দু হাত ওঠিয়ে কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন।

আবু ওবাইদা যা মনে করেছিলেন তাই। গিয়ে দেখেন, এরা সবাই খালিদের সৈন্যদল।

আবু ওবাইদা মুসলমানদের প্রধান সেনাপতি হয়ে প্রথমেই সালাম করলেন- আসসালামু আলাইকুম।
খালিদ বললেন- ওয়ালাইকুমুস সালাম।
আবু ওবাইয়াদা বলেন, খালিদ যুদ্ধের খবরাখবর পরে নিবো। সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে। আপনারা যুহর আর আসরের নামাজ পড়ে নিন।
খালিদ বলেন, হে সেনাপতি। কোনো যুদ্ধের জন্যতো নামাজা কাযা করতে পারিনা। কাফির আর মুসলমানের মূল পার্থক্যই তো হলো নামাজ। সেই নামাজই যদি কাযা করে ফেললাম, তবে কীসের জন্য আজ এতো যুদ্ধ করলাম।

আর শুধু নামাজ যে পড়েছি তাই নয়। যুদ্ধের ময়দানে আযান দিয়ে জামায়াতের সাথে নামাজ পড়েছি এবং সেই নামাজে ইমামতিও করেছি। আর আপনার সাথে ফজরের নামাজ শেষ করে যে বের হয়েছিলাম সেই অযুও এখনো আছে। ইনশাল্লাহ এই অযু নিয়ে মাগরিবের নামাজও আদায় করবো।

আবু ওবাইয়দা বলেন-আমি বুঝতে পারছিনা। হিরাক্লিয়াসের সেনাবাহিনী আপনাদের নামাজ পড়ার সুযোগ দিলো?

খালিদ বলেন, ইয়ারমুকের নব মুসলিমকে সিজদারত অবস্থায় যে হিরাক্লিয়াসের সেনা তলোয়ার দিয়ে মাথা কেটে ফেলেছে। সেই মাথাকে তলোয়ারে গেঁথে উল্লাস করেছে। যার সদ্য ভুমিষ্ট নবজাতক সন্তানকে ইয়ারমুকের নদীতে জীবন্ত ভাসিয়ে দিয়েছে। আপনি কি মনে করেন সেই অত্যাচারী জালিম শাসক আমাদের আযান দিয়ে নামাজ পড়ার সুযোগ দিবে?

তাহলে , কীভাবে আপনারা নামাজ আদায় করলেন?
৫০ জন যুদ্ধের মাঠে ছিলাম বাকি ১০ জন নামাজ পড়েছে। ১০ জন নামাজ শেষ করে যুদ্ধে ফিরে গেছে বাকী ১০ জন নামাজ আদায় করেছে। এভাবে ঠিক সময়েই সবাই যুহর আর আসরের ফরজ নামাজ আদায় করেছি ইনশাল্লাহ।

আবু ওবাইয়দা খালিদের কপালে চুমু দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরেন।

এবার যুদ্ধের কথা বলুন।

আমরা ৪০ জন এখানে আছি। বায়জান্টাইন সেনাদের ৬০ হাজারের মধ্যে অনেকেই মারা পড়েছে। অনেকেই পালিয়ে গেছে।

আবু ওবায়দা বলেন, আর আমাদের বাকী ২০ জন । ওরা কি শহীদ হয়েছে?

খালিদ বলেন- দশ জন শহীদ হয়েছে , নয় জন যুদ্ধবন্দী হয়েছে।

আবু ওবায়দা বলেন, আর বাকি একজন।

খালিদ বলেন, যুদ্ধ শেষ হতে না হতেই যে কাপুরুষ যুদ্ধবন্দী নারীর সম্ভ্রম হানির চেষ্টা করে সে মুসলিম হোক, আর কাফির হোক খালিদের তলোয়ার হতে তার নিস্তার নেই। তার জন্য কীসের কোর্ট? খালিদের তলোয়ারেই তার বিচারের ফায়সালা।এরপর খালিদ এমন একটা মহামূল্যবান কথা বলেন- যা প্রতিটি মুসলমানদের ঘরে বাঁধাই করে রাখা দরকার।
"মুসলমানেরা ধর্মের জন্য যু্দ্ধ করে, ধর্মের জন্য মরে কিন্তু বড় দূর্ভাগ্য সে তার ধর্মটাকে ভালো করে অনুসরণ করেনা"।

এরপর, যুদ্ধবন্ধী হিরাক্লিয়াসের মেয়েকে খালিদ সসম্মানে ফিরিয়ে দেন। নিজে সেবা দিয়ে যুদ্ধাহত মানুষগুলো সুস্থ করে তোলেন।

সূর্য পশ্চিমা আকাশে লাল বর্ণ ধারণ করেছে। খালিদ মাগরিবের আযান দেন। আর আবু ওবায়দার ইমামতিতে সবাই আল্লাহর দরবারে সিজদায় একসাথে মাটি স্পর্শ করেন। মহান রাব্বুল আলামীনের শুকরিয়ায় চোখের পানিতে ভিজে ওঠে ইয়ারমুকের রক্তভেজা বালুকাময় প্রান্তর।

ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর থেকেই খালিদের ইচ্ছে ছিলো- তিনি শহীদি মৃত্যু বরণ করবেন। কিন্তু তাঁর গায়ে একটি তরবারির আচড় ও লাগেনি। সাধারণ মানুষের মতো তিনি মারা যান। তিনি মৃত্যু শয্যায় শায়িত হয়ে বড় আফসোস করে বলেন- একটা বুড়ো উটের মতো মৃত্যু ভাগ্যই আমার ললাটে জুটলো।

বিপ্লবী চে'র জীবনী পড়ে আমি আপ্লুত হই। কিউবা, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া হয়ে পুরো ল্যাটিন আমেরিকা চষে বেড়ানো এক মহান বিপ্লবী চে। উনার দূর্দান্ত জীবন কাহিনী শুনে রোমে, রোমে , শিরায় শিরায় প্রতি কোষে যেন বিপ্লবের আগুন দানা বাঁধা। ভারতীয় উপমহাদেশের কনিষ্ঠ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর আত্মত্যাগ শুণে আলোড়িত হই। ঠিক তেমনি ৩০০ স্পার্টানদের অসীম সাহিসকতার গল্প শুনে চমকিত হই। বন্ধু মহলে এসব গল্প যখন করি-তখন আমি এক দারুন প্রগতিবাদী মানুষ। আবার খালিদ বিন ওয়ালিদের এসব বীরগাঁথা গল্প, ঐতিহাসকি ঘটনা যখন কারো সাথে বলি- তখন ওদের চোখে কেন যেন আর প্রগতিবাদি হতে পারিনা। নিমিষেই হয়ে যাই আমি এক অতি মুর্খ কাঠমোল্লা। হে আল্লাহ, তুমি এ মূর্খ কাঠমোল্লাকে কবুল করো।

আসসালামু আলাইকুম।/

মন্তব্য ৮১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৮১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুণ এক খানি সত্য ঘটনার অবতারণা করলেন। আপনাকে ধন্যবাদ। পোস্টে ভাল লাগা বুঝে নেন।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাকেও বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় সেলিম আনোয়ার ভাই।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট খেয়া।
ওয়া আলাইকুম আস সালাম ||

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় মুন।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯

ভাইটামিন বদি বলেছেন: ".............তখন আমি এক দারুন প্রগতিবাদি মানুষ। আবার খালিদ বিন ওয়ালিদের এসব বীরগাঁথা গল্প, ঐতিহাসকি ঘটনা যখন কারো সাথে বলি- তখন ওদের চোখে কেন যেন আর প্রগতিবাদি হতে পারিনা। নিমিষেই হয়ে যাই এক মুর্খ কাঠমোল্লা।"!!!!
কঠিন কথা কৈছেন......

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: এ বড় অদ্ভূত ব্যাপার। তাই না?

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ভালো লাগলো ভাই!
আর কে কি বলে তাতে কি এসে যায়? নিজের কাছে পরিষ্কার থাকলেই হল।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: সেটাই। নিজের বিবেক হলো সবচেয়ে বড় আয়না।
এ আয়নায় স্বচ্ছ থেকেই যেন আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে পারি।

ভালো থাকবেন ভাই।

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৮

কল্পলোকের রাজপুত্র বলেছেন: মাশা-আল্লাহ এক নিশ্বাসে পরে ফেললাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এমন একটা ঘটনা জানানোর জন্য।
জাজাকাল্লাহ খায়ের।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
এ ঘটনাগুলো বেশী বেশী করে বলুন। মানুষকে জানতে দিন। লাখো মানুষে মাঝে ছড়িয়ে দিন।

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৯

বটের ফল বলেছেন: অনেক অনেক ভালোলাগা এবং একই সাথে ধন্যবাদ জানিয়ে গেলাম।
+++++++++++++++++

ভালো থাকবেন অনেক বেশি।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১

খেয়া ঘাট বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
এ ঘটনাগুলো বেশী বেশী করে বলুন। মানুষকে জানতে দিন। লাখো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিন।

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: খালিদ বিন ওয়ালিদের এসব বীরগাঁথা গপ কিছুটা জানা ছিল, আজকে আরেকটু জানলাম !

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ রইলো।

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: প্রগতিশীল আর কাঠমোল্লার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে যা বলে দিলেন অনেক ভাললাগলো।আর খালিদ বিন ওয়ালিদ কে নিয়ে লেখা পোষ্টে ++++++++++

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ রইলো।

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

মন্তব্য না করে ++++ দিয়ে গেলাম।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২০

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নিবেন।

১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৯

বোকামানুষ বলেছেন: ঐতিহাসিক গল্প পড়ে ভাল লাগলো

আর শেষে সত্যি কিছু কথা বলেছেন ধন্যবাদ

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার জন্যও বিনীত ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট, অনেক নতুন কিছু জানলাম!
এমন লেখা আরও বেশি বেশি করে দেন, কে কি বলল বা কে কি মনে করল সেগুলো ভাবলে ত চলবে না। এই গল্পের মোরালই ত সেই কথা বলে, তাই না? শুধু আল্লহকে ভয়, আর কাউকে না।
শুভেচ্ছা রইল। এমন পোষ্ট আরও আরও চাই।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো শুনে।

১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বেশ চমৎকার একটা পোষ্ট! অনেক কিছু জানলাম!!!!!!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ রইলো ভাই।

১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৪

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
পর পর দুটো পোষ্ট পড়লাম আপনার।
ভাল লাগল খেয়াঘাট।
এরকম একটা ঐতিহাসিক ঘটনা জানা ছিলনা আমার।
ধন্যবাদ তুলে আনার জন্য।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই। মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।

১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো !

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই।

১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫১

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: বিপ্লবী চে'র জীবনী পড়ে আমি আপ্লুত হই। কিউবা, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া হয়ে পুরো ল্যাটিন আমেরিকা চষে বেড়ানো এক মহান বিপ্লবী। উনার এ জীবন কাহিনী শুনে রোমে, রোমে , শিরায় শিরায় প্রতি কোষে যেন বিপ্লবের আগুন দানা বাঁধা। ঠিক তেমনি ৩০০ স্পার্টানদের অসীম সাহিসকতার গল্প শুনে চমকিত হই। বন্ধু মহলে এসব গল্প যখন করি-তখন আমি এক দারুন প্রগতিবাদি মানুষ। আবার খালিদ বিন ওয়ালিদের এসব বীরগাঁথা গল্প, ঐতিহাসকি ঘটনা যখন কারো সাথে বলি- তখন ওদের চোখে কেন যেন আর প্রগতিবাদি হতে পারিনা। নিমিষেই হয়ে যাই এক মুর্খ কাঠমোল্লা।



অনেক ভালো লাগা দিয়ে গেলাম ভাই। আল্লাহ আপনার মজ্ঞল করুক

আসসালামু আলাইকুম।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো।
আল্লাহর কাছে আপনার জন্যও মঙল কামনা করছি। অনেক শুভকামনা রইলো।

১৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫০

নীল জানালা বলেছেন: বিপ্লবী চে'র জীবনী পড়ে আমি আপ্লুত হই। কিউবা, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া হয়ে পুরো ল্যাটিন আমেরিকা চষে বেড়ানো এক মহান বিপ্লবী। উনার এ জীবন কাহিনী শুনে রোমে, রোমে , শিরায় শিরায় প্রতি কোষে যেন বিপ্লবের আগুন দানা বাঁধা। ঠিক তেমনি ৩০০ স্পার্টানদের অসীম সাহিসকতার গল্প শুনে চমকিত হই। বন্ধু মহলে এসব গল্প যখন করি-তখন আমি এক দারুন প্রগতিবাদি মানুষ। আবার খালিদ বিন ওয়ালিদের এসব বীরগাঁথা গল্প, ঐতিহাসকি ঘটনা যখন কারো সাথে বলি- তখন ওদের চোখে কেন যেন আর প্রগতিবাদি হতে পারিনা। নিমিষেই হয়ে যাই এক মুর্খ কাঠমোল্লা।


দারুন উপলব্ধি......কথায় কথায় প্রগতিবাদ/প্রগতিশীলতার ধুয়া তুলে যারা তারা নিজেরাই যে কখন প্রতিক্রিয়াশীল হয়া গেছে তাদের কাছে সেই খবরই নাই

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:০৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: দারুন উপলব্ধি......কথায় কথায় প্রগতিবাদ/প্রগতিশীলতার ধুয়া তুলে যারা তারা নিজেরাই যে কখন প্রতিক্রিয়াশীল হয়া গেছে তাদের কাছে সেই খবরই নাই । অনেক ভালো লাগলো কথাগুলো।
বিনীত ধন্যবাদ জানবেন। অনেক শুভকামনা রইলো।

১৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৫

তোমোদাচি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই !
সুন্দর উপস্থাপন; শেষের কথাগুলো অনেক ভাল লাগল!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় ডঃ তোমোদাচি ভাই।

১৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: অজানা তথ্য জানলুম, ভাল লাগল, শেষের কথাগুলো তাৎপর্যপুর্ণ। চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১০

খেয়া ঘাট বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় ঢাকাবাসী।

১৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনি একজন মুক্তমনা। এই বিশ্বাস দৃঢ় হল। মুক্তমনা হওয়া মুখের কথা না। কলিজা লাগে।

মুক্তমন ওটাই, যা সবকিছুকে নিজের আপেক্ষিকতার বাইরে দেখার সামর্থ্য রাখে।
নিজের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার সাউন্ডবক্সে নিজেকে পরিণত হতে দেয় না এবং মানুষকে মানুষ মনে করে। ভালর একটা মাত্রার সাথে অন্য মাত্রার সংঘর্ষ দেখতে পায় না। বরং এই দুই মাত্রার মধ্যে যে সাযূয্য, তা চেখে দেখতে পারে, অণুভব এবং প্রমাণিত আকারে ধারণ করতে পারে।


একটু বেশি করে লিখুন ভাই।
ধর্ম নিয়ে লিখতেই হবে এমন কোন কথা নাই, কিন্তু আপনারা লিখবেন না তো কে লিখবে? ধর্ম নিয়ে না লিখুন, কিন্তু যে কোন বিষয় নিয়ে লিখতে থাকুন।

আমাদের দেশে উদাহরণ বড় কমে এসেছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪১

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
নিজের বিবেকের কাছে যেন সবসময় স্বচ্ছ থাকতে পারি।

শুভকামনা রইলো। বিনীত ধন্যবাদ।

২০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

মুনসীমাহফুজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদা ভাই আপনাকে,

খালিদ বলেন, হে সেনাপতি। যুদ্ধের জন্যতো নামাজা কাযা করতে পারিনা। কাফির আর মুসলমানের মূল পার্থক্যই তো হলো নামাজ। সেই নামাজই যদি কাযা করে ফেললাম, তব কীসের জন্য এতো যুদ্ধ করলাম।
আর শুধু নামাজ পড়েছি যে তাই নয়। যুদ্ধের ময়দানে আযান দিয়ে জামায়াতের সাথে নামাজ পড়েছি। এবং সেই নামাজে ইমামতিও করেছি। আর আপনার সাথে ফজরের নামাজ শেষ করে যে বের হয়েছিলাম সেই অযুও এখনো আছে। ইনশাল্লাহ এই অযু নিয়ে মাগরিবের নামাজও আদায় করবো।


এই প্যারা থেকে স্পষ্ট হয় তাদের অভাবনীয় বিজয়ের পিছনের কারন কি ছিল আর আজকের দিনে আমাদের (মুসলমানদের) দুর্দশার কারনই বা কি?

আমাদের সমাজে তাশ খেলাকে নামায ছাড়ার থেকেও বড় অপরাধ মনে করা হয়, অথচ নামায ত্যাগ করা মানুষ হত্যার থেকেও বড় অপরাধ কেননা ছহীহ মত হল বেনামাযী মুসলমান না।

মুসলমান আজ নামায পড়ে না, পড়লেও ১/২/৩ ওয়াক্ত। ক্বায়েমী নামায (৫ ওয়াক্ত জামাতের সাথে) হয়ত ১০% মুসলমানও পড়ে না। আল্লাহর সাহায্য আসবে কিভাবে ?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: এই প্যারা থেকে স্পষ্ট হয় তাদের অভাবনীয় বিজয়ের পিছনের কারন কি ছিল আর আজকের দিনে আমাদের (মুসলমানদের) দুর্দশার কারনই বা কি?

আপনি আমার মনের কথাগুলোই বলেছেন ভাই। বিনীত ধন্যবাদ ভাই।অনেক শুভকামনা রইলো।

২১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

না পারভীন বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে গেলাম । দৌড়ের উপর আছি আরু ভাই । পরে এসে কথা বলব ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫০

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । বিনীত ধন্যবাদ। প্রিয়তে নিলেন । ভালো লাগলো। অনেক ভালো লাগলো।

দৌড়ের ওপর থাকা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো।

২২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

স্বাধীন বিদ্রোহী বলেছেন:

ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাই। জানা হলো অনেক কিছু।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫১

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই। অনেক শুভকামনা রইলো।

২৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঐতিহাসিক লেখায় +++++++++++
ওয়ালিকুম আসাসালাম ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫২

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ আপনাকে। কেমন আছেন?

২৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: খালিদের এমন বীরগাথা আমার অ জানা ছিলনা ।
ধন্যবাদ ভাই , এমন মহান সাহাবীর বীরত্ব গাথা তুলে আনার জন্য ।
সালাম ভাই ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক শুভকামনা রইলো।

২৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

ঝটিকা বলেছেন: .............তখন আমি এক দারুন প্রগতিবাদি মানুষ। আবার খালিদ বিন ওয়ালিদের এসব বীরগাঁথা গল্প, ঐতিহাসকি ঘটনা যখন কারো সাথে বলি- তখন ওদের চোখে কেন যেন আর প্রগতিবাদি হতে পারিনা। নিমিষেই হয়ে যাই এক মুর্খ কাঠমোল্লা।
দারুন বলেছেন ভাই।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: খুব চিন্তার ব্যাপার না ।
কিন্তু উনারাই হলেন মুক্তমনা।

অনেক শুভকামনা রইলো ভাই। ভালো থাকবেন।

২৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: অন্যান্যধর্মাবলম্বীদের চেয়ে মুসলিমরা নিজের ধর্ম, ধর্মের ইতিহাস, নানা ছোট-বড় ঘটনা কম বেশি জানেই। এমন কি পড়তে না জানলেও অনেকেই শুনে শুনে জেনে যায়, কেবল বিস্তারিত জানাটা বাকি থাকে।

আমি সেই দলে।

রোম যখন মুসলিমদের হস্তগত হয় তখনও দুই রাকাত নামজের একটা কাহিনী পড়েছিলাম কোথাও। সেই নামাজি (ভুলে গেছি। অনেক আগে পড়া) সালাম ফিরাতে ফিরাতেই দেখছিলেন মুসলিম সৈন্যরা প্রধান ফটক ভেঙে ঢুকে পড়ছে রাজপ্রাসাদে।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩১

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই। অনেক শুভকামনা রইলো।

২৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে খালিদ বিন ওয়ালিদের কাহিনি।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় প্রোফেসর স্যার।

২৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২

আরজু পনি বলেছেন:

অনেকগুলো দরকারী কথা আছে লেখাটাতে ।

নির্লোভ, সময়ানুবর্তিতা, নারীর সম্ভ্রমে সম্মান ...

সব মিলিয়ে অসাধারণ শেয়ার !

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: অল্পকথায় দারুন একটা সারাংশ লিখেছেন। বিনীত ধন্যবাদ রইলো।

২৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১২

শুঁটকি মাছ বলেছেন: দারুন লিখেছেন আপু!!!!!!!!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ আপনাকে।

৩০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

আিম এক যাযাবর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য, ইসলামের এই স্বর্ণযুগ নিয়ে আপনার কাছ থেকে আরও লেখা আশা করছি।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো ভাই মন্তব্য পেয়ে।

খালিদ বিন ওয়ালিদকে নিয়েই তো বড় বড় পান্ডুলিপি রচনা করা যাবে।
হায় মুসলমান সাহিত্যিকরা।
এরকম একটা চরিত্রকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে পারেন নি।

বিনীত ধন্যবাদ ভাই।

৩১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: াল্লাগছে।প্রিয়তে নিলাম। :)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক শুভকামনা ভাই।
কোথায় ছিলেন আপনি এতোদিন?

৩২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: অনেক ভাল লাগল। সত্যি বলতে না লেগে উপায় কি? আল্লাহু আকবার। আরিফ মাহমুদ ভাইকে ধন্যবাদ। ++++++
ফেবু শেয়ারড।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই। অনেক শুভকামনা রইলো প্রিয় রিয়াজ ভাই।

৩৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

মদন বলেছেন: ++++++++++++++++++++

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ রইলো প্রিয় মদন ভাই। অনেক শুভকামনা রইলো।

৩৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

দি সুফি বলেছেন: খালিদ বিন ওয়ালিদ ( রঃ ) এর বীরত্ব আর আল্লাহভক্তী প্রতিটা মুসলিমের জন্যই অনুসরনীয়। আর ইয়ারমূকের যুদ্ধ মুসলিমদের আল্লাহ ভক্তীরই আরেকটি প্রমান।

আপনার পোষ্টটি অনেককেই অনুপ্রানিত করবে ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে জানর জন্য। পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।

তবে বেশ তথ্যগত ভুল রয়েছে। বিভিন্ন ইসলামি বই এবং অমুসলিম সোর্স থেকে জানা যায় রোমান বাহিনীতে যুদ্ধের প্রাথমিক অবস্থায় ১ লাখ সেনা ছিল, পরবর্তিতে তা প্রায় ৪ লাখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
আর মুসলিম সেনাবাহিনীর সংখা ছিল প্রায় ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজারের মত।
ইয়ারমূকের যুদ্ধ ৬ দিন স্থায়ী ছিল। ষষ্ঠ দিনে রোমান বাহিনী পলায়ন করে।
আবু উবায়দাহ ( রঃ ) যুদ্ধকালীন মুসলিমদের প্রধান সেনাপতি থাকলেও, তার অনুরোধেই খালিদ বিন ওয়ালিদ ( রঃ ) ইয়ারমূকের যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীকে নেতৃত্ব দেন।

দুঃখিত এক্স্যাক্ট সোর্সগুলো দিতে পারছি না, তবে নেটে ঘাটলেও এ সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেন। :)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার কথাগুলো ঠিক আছে। এটা ছিলো যুদ্ধের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়। বায়জান্টাইনদের Heraclius সম্রাটের বাহীনির সাথেই প্রকৃত যুদ্ধ হয়। এবং এ যুদ্ধে আপনি যে সংখ্যা উল্লেখ করেছেন তা ঠিক আছে।

প্রাথমিক বিজয়ের পর আরো অনেক বিস্তারীত ঘটনা আছে। কিন্তু ওগুলো এ পোস্টের মূল বিষয় নামাজের সাথে সম্পর্কিত নয় বলে আর উল্লেখ করিনি।

আপনি মূলত এটাকে একটি ঐতিহাসকি ঘটনার উপর লিখিত গল্প বলতে পারেন।

আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ অনেক শুভকামনা রইলো।

৩৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

দি সুফি বলেছেন: অঃ টঃ শুটকি মাছ সব সময় আপনাকে আপু আপু করে কেন? :-&

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভার্চুয়াল লাইফে আপু হলে ও যা , ভাই হলেও তা।
বাস্তবে দেখলে হয়তো ভাই-ই বলবেন। :) :)

আবার অনেক সময় আমরা মেয়েদেরও ভাই বলিনা।
যেমন- আমরা ক্লাসমেটদের একটু মায়া করে বলতাম- কীরে ভাই, কেমন আছিস? :) :)

৩৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৯

সাদেক বলেছেন: অসাধারণ

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ , অনেক শুভকামনা রইলো ভাই।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ , অনেক শুভকামনা রইলো ভাই।

৩৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: পোস্ট পড়ে ভাল লাগল। তবে এক জায়গায় একটু খটকা লাগল। তারা দশজন দশজন করে নামাজ পড়েছেন যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে, বাকিরা যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন। শত্রুপক্ষের অনেকেই মারা পড়েছে। কারো হাতে কেউ মারা পড়লে কি তার অযু থাকে? আমার মনে হয় থাকে না। সঠিক জানা নেই, যারা জানেন বললে খটকা দূর হতো।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভালো একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন।
আমারও সঠিক জানা নেই।
এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য পেলে জানাবো।

অনেক শুভকামনা। অনেক ধন্যবাদ রইলো।

৩৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪১

স্বাধীন আকন্দ বলেছেন: আপনার এই পোস্ট পড়ে মন্তব্য না করে পারলাম না| অনেক ভালো লাগলো|

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই। আপনি পড়েছেন , ভালো লেগেছে। এটাইতো পরের লিখার অনুপ্রেরণা।

নিরন্তর শুভকামনা রইলো।

৩৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৪

বেলা শেষে বলেছেন: তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে তাদের প্রতিদান চিরকাল বসবাসের জান্নাত, যার তলদেশে নির্ঝরিণী প্রবাহিত। তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। এটা তার জন্যে, যে তার পালনকর্তাকে ভয় কর।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪১

খেয়া ঘাট বলেছেন: বেলা শেষে বলেছেন: তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে তাদের প্রতিদান চিরকাল বসবাসের জান্নাত, যার তলদেশে নির্ঝরিণী প্রবাহিত। তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। এটা তার জন্যে, যে তার পালনকর্তাকে ভয় কর। - চোখ কান্নায় ভরে ওঠলো। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে সীরাতুম মুস্তাকীমের পথে চলার তাওফীক দিন। আমিন।

৪০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫

শাহাদাত রুয়েট বলেছেন: লেখাটি কোনও ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারবো ? কিছু গল্প এখানে আছে। পছন্দ হলে শেয়ার করতে পারেন।

আর নতুন পুরাতন লেখা এই সাইটে জমা দিতে পারেন।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫২

খেয়া ঘাট বলেছেন: জ্বি পারবেন ভাই।অবশ্যই পারবেন।লিংক দিয়ে দিবেন আশাকরি। আর নাম দিবেন- আরিফ মাহমুদ।
অনেক ধন্যবাদ জানবেন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.