নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

হৃদয়ে মারা যাওয়া এক বালিহাঁস। শ্রদ্ধেয় আসিফ নজরুলের কাছে ক্ষমা প্রার্থণামূলক

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২২

আবহমান গ্রাম বাংলার গান হলো- ভাটিয়ালি , পল্লী বাউয়াইয়া ,জারি, সারি গান।যে গানের সাথে সুর করে মাছরাঙা ঝিকমিক করে উড়ে গিয়েছিলো একদিন প্রান্তরের পর প্রান্তর। কিন্তু এই গানের কদর দিন দিন কমতে লাগলো। শিল্পীদের আর কদর নেই।



একসময় চান্নী পূর্ণিমার ধবল রাতে গ্রামের মানুষ সারারাত জেগে এই গান শুনে মনের তৃষ্না মিটাতো।মধূকুপী ঘাস-ছাওয়া ধলেশ্বরীর পারের গৌরি বাংলায়, আঁচলে নাটার কথা ভুলে যাওয়া তিতাস পারের ভাটি বাংলায়, রুপশালী শিশিরের ঘ্রাণের সুরমা পারের ডুবজলা শালুকের বাংলায় শিল্পীদের কতো কদর ছিলো।আহা! আজ সেই শিল্পীরা নেই। শিল্পীদের সাথে নেই সেই বাজনদল। শিল্পীদের সাথে নেই লোকজ ঐত্যিহ্যের সেই নৃত্যদল। নেই ঢোলক,নেই বাদক। বুভুক্ষু শিল্পীরা দারিদ্র্যের কষাগাতে জর্জরিত। দিনের বেলায়ও জেগে থাকে তাদের বুকে রাত্রির এক দীর্ঘনিঃশ্বাসের আকাশ। যে আকাশে নেই কোনো রুপবতী পূর্ণিমা।



বাউলের মনের সাধ ক্লান্ত হয়ে মাছরাঙার সাথে ওড়ে গেছে যা আর ফিরে আসেনি। আজ দাপিয়ে বেড়ায় বুনো ষাঁড়ের মতো রক সংগীত,নাগরিক আকাশের নীলাভ নরম বুকে শুয়ে থাকে হিন্দি অর্ধনারীশ্বরের গান। চন্ডীডাশ নেই, রামপ্রাসাদের শ্যামা নেই, শঙখমালা নেই, চন্দ্রমালা নেই।নেই ভাটিয়ালি, মুর্শিদী, জারি, সারি, মারফতি।



এমন সময় হাজির হলেন এক দেবদূত।যিনি বাংলার ভাটিগানকে নিয়ে যাবেন আটলান্টিকের পারে। অসংখ্য নক্ষত্র নিয়ে হাজির হলেন ভাটিবাংলায় ক্লান্ত গাংশালিখের ভীড়ে। মৃত শত গানের কিশোরীর কণ্কনের স্বর ধ্বনিত হতে লাগলো। চারদিকে পড়ে গেলো রব রব। কে এই আশাজাগানিয়া দেবদূত। হারিয়ে যাওয়া লোকশিল্পীর এ যেন এক নীল শ্যামল বৃক্ষের বাঁশীওয়ালা। তার আগমনে বাতায়নের বাইরে যেন দোয়েল শিষ দিয়ে ওঠে।



জীবনান্দের মতো কেউ কেউ বলেন-"দেশবন্ধু আসিয়াছে খরধার পদ্মায় এবার।" এবার হারোনো শিল্প জাগবে।সংগীত প্রেমী মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হবে আবারো। সুরমা, কুশিয়ারা, রুপসা, ধলেশ্বরি, তিতাসের ভাটিশিল্পীরা পুলকিত হলেন। সোনালি রোদ আলো জ্বালিয়েছে যেন পরিব্যস্ত বন্দরের এতোদিনের এক গুপ্ত অন্ধকারে।



কিন্তু কিছু ক্ষ্যাপা বাউল গর্জে ওঠলো। কারণ সংগীতের এই মহান দেবদূত তো কোনো শিল্পী না। সংগীতের যে ভাব লাগে এর মাঝে যে কোনো ভাব নেই, এতো ভাবের শিল্পী না। এতো ভারের শিল্পী।



আবার অনেকেই বললেন-শিল্পের মাঝে যে চন্দ্রগ্রহণ লেগেছে তা শেষ হয়ে যাক। এ দেবদূত যে ঘোর অন্ধকার লাগা গ্রহণ কাটাতে এসেছেন। গ্রহণ শেষহলে চন্দ্রালোকে আবারো গা ভাসানো যাবে।



শিল্পকে বাঁচাবার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। দেবদূত একাই সব করছেন। হীরা, মনি ,মুক্তা, দিয়ে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। মৃত বাউল শিল্পের আজ এক পরম সুখের দিন। হারিয়ে যাওয়া গান আবার ফিরে আসছে। বৃদ্ধ বাউল গান, জরাগ্রস্থ বাওয়াইয়া গান, নানা রোগে জর্জরিত পল্লী জারি, সারি, মারফতি সবাই মন্চের পাশের চেয়ারে বসে আছেন। কী যে সুখের দিন তাদের। অনেকদিন পর আজ তারা আবারো প্রাণের গান গাইবেন। আহা! কতদিন এই গান নিজের বুকের ভিতর ঘুমিয়ে আছে।ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কেঁদেছে। সে দুঃখের অশ্রু যে কেউ দেখেনি।



এই মৃত সংগীতকে জাগানোর জন্য দেবদূত নিজের একক প্রচেষ্ঠায় কিনা করেছেন। অশ্লীল সংগীত আর বিদেশী পাগলা ষাঁড়ের দাপুটে সংগীতের রাহুগ্রাস থেকে নিজেই একাই ম্বত সংগীতের মুখে ঐশ্বর্য্যের শুধা ঢেলে দিয়েছেন। ওফ, মন মাতানো আকুল করা বাংলা মায়ের হারোনো সংগীত আজ যে নবজীবন লাভ করছে।



এবার শুরু হলেো অপেক্ষা। মন্চের চারপাশে সংগীত পাগল মানুষের জনস্রোত। দেবদূত নিজেই প্রথম গান গাইলেন। কোটি কোটি টাকা খরচ করে মুমুর্ষু শিল্পের মাঝে প্রাণের সন্চার করেছেন-উনিতো প্রথম গান গাইতেই পারেন। এরপরের গান, এরপরের গান, এরপরের গান একে একে সবই দেবদূত নিজেই গাইতে লাগলেন।



প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক আরিফ পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এতোদিন পর প্রিয় গানের আসর বসেছে। আহঃ মন দিয়ে শুনা যাবে। বালিহাঁস কেঁদে মরে গেছে কবে হৃদয়ের চরে।সেই মৃত বালিহাঁস আবারো জেগে ওঠছে।



কিন্তু, একি অবস্থা। গানের মূল শিল্পী কে? গানের সুর, লয়, উচ্চারণ কিছুইতো ঠিক নাই।



একসময় আরিফ সাহস করে বলেই ফেলে-

এই শিল্পীতো ভাই বাউল শিল্পী না। আসল শিল্পীরা সব বসে আছে। আর উনার গানের কথাও তো ঠিক না। এই যেমন- "আমার মাটির গাছে, লাউ ধইরাছে- এই টাকে উনি বলছেন- আমার মাটির গাছে, মেউ ধইরাছে।

লাউ আর মেউ তো ভাই এক জিনিস না।



পাশেই জ্যোতির্ময়ী - আসিফ নজরুল বসা ছিলেন। আরিফ উনার পিছনের চেয়ারে গিয়ে দাঁড়ায়। সময় সুযোগ হলে উনাকে একটা সালাম দেয়া যাবে।



উনার কানে কথাগুলো গেলো । দেবদূত মন্চে একের পর এক ভাটিয়ালি, বাওয়াইয়া, মারফতি, জারি, সারি সব কিছু গেয়েই চলছেন। উনার গায়ে হীরা খচিত জরির পোষাক জলমল করছে।



আসিফ স্যার, আরিফের কথাগুলো শুনে পিছনে ফিরে থাকালেন।তারপর বললেন- কথাগুলো কি আপনি বলেছেন?

আরিফ ভয়ে ভয়ে বলে-জ্বি স্যার ।আমি বলেছি। উনার উচ্চারন, সুর, গানের কথা কিছুইতো ঠিক নাই।



আপনার উচ্চারণ কি ঠিক আছে? এই যে আপনি এক লাইন কথা বললেন-এখানেই অনেক ভুল উচ্চারণ করলেন। এই যে মৃত সংগীতকে এই একটা লোক কোটি কোটি টাকা খরচ করে নব প্রেরণায় দেশের আনাচে কানাচে পৌঁছে দিচ্ছেন।সেই প্রশংসা আপনারা করলেন না। মানসিকতা আপনাদের উদার হলোনা। আর আপনি নিজেই বলেনতো -আপনি নিজে সংগীতের কি জানেন?



বেয়াদবি ক্ষমা নিবেন স্যার। আমার উচ্চারণ ভুল এটা আমি মানি। আমি স্যার কোনোদিনও গান গাইতে জানিনা। আমার কন্ঠে সে সুরও নেই।তাইতো আমি শিল্পী না। তবে ভুল উচ্চারনে হেঁড়ে গলায় অদ্ভুত ভাবে কেউ যদি গান গায়, সেটা কি স্যার আমি বুঝতে পারবোনা।সবাই শুদ্ধ উচ্চারণ করেনা, কিন্তু যে আবৃত্তি শিল্পী হয় তাকেতো স্যার শুদ্ধ উচ্চারণ করতে হয়। যে শিল্পী হয়, তাকে যে স্যার সুন্দর গান গাইতে হয়।আর না হয়, ভুলটা মেনে নিয়ে সংশোধনের চেষ্টা থাকতে হয়। স্বর্ণ দিয়ে বানানো খাঁচা,কিন্তু খাঁচার পাখী যদি ভালো গান না গায়। সে স্বর্ণের খাঁচার যে স্যার কোনো মূল্য নেই।



আসলে সমস্যা হলো-আপনারা বড়দের শ্রদ্ধা করতে পারেন না। গুনীর কদর করতে পারেন না। একটা লোক গান গাইছে- কোনো এপ্রিশিয়াশান নেই। শুধুই সমালোচনা। আপনারা আসলে উনাকে সহ্য করতে পারেন না।



এমন সময় সাড়াজাগানো দেবদূত শিল্পী- একটু বিরতিতে এসেছেন। সাংবাদিকরা উনাকে পেয়ে বসলেন। বললেন- আপনি " আমার মাটির গাছে লাউ ধইরাছে- কে বলেছেন- আমার মাটির গাছে মেও ধইরাছে। লাউ আর মেও তো এক জিনিস না। লাউ মানে হলো কদু আর মেও মানে হলো বিড়াল। গাছে বিড়াল ধরে কেমন করে?



শিল্পী একটু বিক্ষুদ্ধ হলেন- বললেন- কে বলেছে লাউ সঠিক। আর গাছ মাটির হয় কেমন করে। মাটির কোনো গাছ কি এই দুনিয়ায় দেখেছেন? আমি বাইরের শিল্পী বোদ্ধাদের কাছ থেকে অনেক শিখেছি। এটা কোনোদিন লাউ হবেনা, এটা মেও হবে মেও। আপনারা বেশী বুঝেন।



সৌরতেজে লীলায়িত হয়ে শিল্পী আবার ফিরে গেলেন মন্চে। একে একে গেয়ে চলেছেন তার নিজস্ব ঢংয়ে গান। মুহুর্তে মুহুর্তে সেই শিল্পীর গান হরিয়াল প্রান্তরের ঠিকানা পার হয়ে পৌঁছে যায় আটলান্টিকের পারে। এই প্রথম বাংলার কোনো শিল্পীর গান আন্তর্জালিক পাতায় আন্তর্জাতিক মাইলফলক স্পর্শ করে।



আর জীর্ণ শীর্ণ, রোগ জরা গ্রস্থ ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, বাউয়াইয়া, পল্লিগীতি গানরা জৌলুসপূর্ণ মন্চের সামনে বসে থাকতে থাকতে একসময় নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তাদের মন্চে ওঠার আর ডাক আসেনা।



সোনার খাঁচার দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে স্কুল মাস্টার আরিফের হৃদয়ে জেগে ওঠা মূমুর্ষু সেই বালিহাঁস আবারো ঘুমিয়ে পড়ে।সেই বালিহাঁসের কান্না সোনা, মানিক , রত্ন খচিত মন্চে আর পৌঁছায় না।

মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আরিফ ভাই আগে আমাদের পরিবর্তন হওয়া লাগবে। লোকজ সংস্কৃতি আমাদের শেকড় তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ ধারণ করতে না পারলে হবে না কিছুই। জানি না এসব নিয়ে কোন দিন কোন বিপ্লব হবে কিনা ।তবে দেশের উন্নতির জন্য কিন্তু দেশের প্রতি দেশের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকা আবশ্যক। সুন্দর পোস্ট :)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই। অনেক শুভকামনা রইলো।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: একটা লিখার ভিতরে অনেকগুলো অনুভূতির জন্ম দিয়ে গেলেন । সার্থক একটা লিখা । +++

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো মন্তব্যটা পেয়ে। শুভকামনা রইলো। বিনীত ধন্যবাদ।

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লেখাটা অনেকটাই আবেগে ডুবিয়ে দিল।

ভালো লেগেছে খেয়াঘাট।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ , অনেক শুভকামনা রইলো।

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: আবেগময় লেখা, ভাল লাগল।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪২

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ। অনেক শুভকামনা রইলো ভাই।

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪০

কয়েস সামী বলেছেন: আসিফ নজরুলের লেখাটা যথন পড়েছিলাম তখন তার বক্তব্যটাকে বেশ মনে ধরেছিল। এখন দেখি আপনি ঠিক উল্টো বক্তব্য দিয়ে অামাকে ভাবিয়ে তুললেন। আসলে আপনাদের দুজনের কথাতেই যুক্তি আছে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: সবকিছুই ঠিক আছে। আমজনতা উচ্চারণে ভুল করতে পারে। চলাফেরায়, আচার, আচরণে নান্দনিক নাও হতে পারে। তাইতো, আমজনতা শিল্পী না। কিন্তু একজন শিল্পীর মাঝে যদি শৈল্পিকতাই না থাকে ,সেটাতো গ্রহণযোগ্য না। ব্যক্তিমানুষ অবশ্যই শ্রদ্ধার।কিন্তু যে গুন কে অবলম্বন করে ব্যক্তির শিল্পী হয়ে ওঠা তাতে যদি গলদ থাকে। তবে সে টা খুবই খারাপ।

আমি ভালো রবীন্দ্রসংগীত গাইতে পারিনা।কিন্তু কেউ যদি খুব বাজে ভাবে গায়। তাতো আমি বুঝতে পারি, তাই না? এখন শিল্পীকে হয় তা সংশোধন করে নিতে হবে যদি উনি শিল্পী হিসাবেই থাকতে চান। অথবা যে ভালো গাইতে পারে তাকে দিয়েই গাওয়াতে হবে।

কিন্ত তা না করে, যদি বলতেই থাকেন। না আমি যা করি তাই ঠিক। তা খুবই খারাপ। এখানেই মূল সমস্যা।

জাহিদ হাসান, তৌকির-রাজ্জাক ইনারাতো এ দেশের। কই তাদের অভিনয় নিয়েতো কেউ হাসাহাসি করেনা।

এরশাদ শাসক থাকাকালীন উনার কবিতা নিয়েও কিন্তু মানুষ হাসাহাসি করেছে। হেঁড়ে গলায় রবীন্দ্রসংগীত গাইলে অবশ্যই মানুষ হাসবে। এখানে কাউকে ছোট করা নয়। আর মানুষ যা বলে কেবল সমালোচনার খাতিরেই বলেনা- ভালোবাসা থেকেও বলে।

অনেক ধন্যবাদ কয়েস ভাই।অনেক শুভকামনা।

৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার রূপকের মাধ্যমে পল্লীগানের বিকৃতির রূপটা তুলে ধরেছেন, একই সাথে এর প্রতি কিছু মানুষের আন্তরিকতাও ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রচারসর্বস্বরা এমনই দাপুটে হয়ে থাকে, তাদের জন্য থাকে কিছু জ্ঞানপাপী পৃষ্ঠপোষক বা সাপোর্টার;

এই প্রথম বাংলার কোনো শিল্পীর গান আন্তর্জালিক পাতায় আন্তর্জাতিক মাইলফলক স্পর্শ করে।

আর জীর্ণ শীর্ণ, রোগ জরা গ্রস্থ ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, বাউয়াইয়া, পল্লিগীতি গানরা জৌলুসপূর্ণ মন্চের সামনে বসে থাকতে থাকতে একসময় নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তাদের মন্চে ওঠার আর ডাক আসেনা।
সাংঘাতিক তাৎপর্যপূর্ণ একটা কথা বলেছেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০০

খেয়া ঘাট বলেছেন: বুঝতে পেরেছেন, তাই না ভাই?
অনেক ভালো লাগলো ভাই। অনেক শুভকামনা। বিনীত ধন্যবাদ।

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: 'পাশেই জ্যোতির্ময়ী - আসিফ নজরুল বসা ছিলেন।'--------আসিফ নজরুল কেন ?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০২

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনি অনেক কিছুই মনে হয় মিস করে ফেলেছেন!!!!! অন্ধকার শূণ্যের ভিতরে ছিলেন কি এ কয়দিন?
আপনাকে কোন জায়গা থেকে বুঝাই,,,চিন্তা করছি।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:২৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: উনার লিখাটা খুঁজে পেলাম না।
বিনীত ধন্যবাদ আর নিরন্তর শুভকামনা রইলো।

৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১০

সরলপাঠ বলেছেন: ভাল লেগেছে লিখা। আসিফ সাহেব তার লিখায় শিল্পের সামষ্টিক বিষয়কে গুরুত্বপূর্ন বলেছেন, আর আপনি বলেছেন শিল্পের ব্যষ্টিক বিষয় বেশী গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পের শিল্প গুরুত্ব বিবেচনায় আপনিই সঠিক, আর নজরুল সাহেব ও সঠিক তবে তা শিলপের মান বিবেচনায় নয়।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: আসিফ নজরুলের প্রতি আমার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা র শেষ নেই। উনার সামান্য নখের যোগ্যও আমি না। মনেও করিনা। সেই জন্য লিখেছি-ক্ষমাপ্রার্থণামূলক।
একজন মানুষ হিসাবে অনন্ত জলিলের প্রতি আমার শ্রদ্ধারও শেষ নাই। উনি ছবির জন্য অনেক কিছু করছেন।যেটা এর আগে কেউ করেনি। এটা উনার যশের জন্য হোক, খ্যাতির জন্য হোক।

কিন্তু নিজের ভুল যেটা সেটা স্বীকার করে সংশোধন করে নিতে হবে। স্বর্ণদিয়ে আপনি সোনার খাঁচা বানাতে পারবেন, কিন্তু যে পাখী গান গাইতে পারে তাকে দিয়েই কিন্তু গান গাওয়াতে হবে- সেখানেই আমার আপত্তি।

আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। ভালো থাকুন। কোশল কামনা করছি।

৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১১

শ্রাবণধারা বলেছেন: অন্যকে পঁচানো কোনভাবেই সমর্থন করিনা - সেটা স্বয়ং ওহিদুল হক যদি মাকসুদকে (ফিডব্যাক) করে তাও না। অন্যকে শুধরানোর অনেক রাস্তা আছে, অসম্মান করে কাউকে ঠিক করা যায়না। অন্যকে অসম্মান করার মাধ্যমে আমরা নিজেরাই নিজেকে অসম্মান করি। বাঙ্গালী যে মানুষকে সম্মান করতে শেখেনি এটা আর নতুন কি- তাই এরা নিজেরা সব জায়গায় অসম্মানিত হয়।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: অন্যকে অসম্মান করার মাধ্যমে আমরা নিজেরাই নিজেকে অসম্মান করি। এখানেই হলো মূল কথা।
যার মধ্যে শিল্পবোধ থাকবে তাঁকেতো আরো মানুষকে বেশী করেই সম্মান করতে হবে।

আপনি যখন মন্চে থাকবেন- তখন আপনি সবার মূল কেন্দ্রবিন্দু। লাখো কোটি দর্শক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। উনারা নানান মতের হতে পারেন। কেউ আপনার ভালোবাসা প্রাণভরে গ্রহণ করবে, আবার কেউ করবেনা। কিন্ত যে মন্চে আছেন, তাকে কিন্তু তার দর্শককে সম্মান জানাতে হবে সবচেয়ে বেশী। কারণ এদের জন্যই কেউ নায়ক হন, কেউ শিল্পী হন । এখন শিল্পী নিজেই যদি গোঁ ধরে বসে থাকেন-না উনি যেটা করেছেন সেটাই ঠিক। তবে, এখানে সম্মানের ব্যাপারটা পাল্টে গেলোনা? এখানে কে কার প্রতি অসম্মান করলো?

প্রয়াত আনোয়ার হোসেন এখনো নবাব হিসাবে এদেশের কোটি মানুষের হৃদয়ে আছেন, থাকবেন। এই সম্মানের কোনো শেষ হবেনা।

গুনেই মানুষকে সম্মানিত হতে হয়, কোনো কৌশলে নয়।

অনেক শুভকামনা ভাই। বিনীত ধন্যবাদ। কোশল কামনা করছি।

১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অজ-কে ব্যক্তিগত ভাবে আমি সাপোর্ট করি। তাঁর বিপক্ষে কোথাও কোনো কথা বলেছি বলে আমার মনে পড়ে না। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি সঠিক আছি বলে মনে করি। একজন মানুষ ভুল করে, তাঁর মধ্যে বিনয়ভাব বিদ্যমান থাকে প্রথম দিকে। কিন্তু তিনি যদি খুব বেশি উত্যক্ত হতে থাকেন, তখন তাঁর মধ্যে বিনয়ভাব আর অবশিষ্ট নাও থাকতে পারে, হয়ে উঠতে পারেন বিদ্রোহী, অসহিষ্ঞু ও অহংকারী। কোনো এক রেস্টুরেন্টে অজ আর তাঁর স্ত্রীকে মানুষ যেভাবে অপমান করেছিল, তার পর থেকে অজ’র প্রতি আমার দুর্বলতা বেড়ে গেছে- কারণ অজ-কে তখন অসহায় মনে হয়েছে। অসহায় মানুষদের প্রতি কিছু মানুষের দুর্বলতা থাকে। অজ দেশব্যাপী এমনভাবে হেনস্থ হচ্ছিলেন যে, তাঁকে ক্রমশ বিধ্বস্ত হতে হচ্ছিল। এ থেকে আন’র করুণা বা কৃপার জন্ম হওয়া অস্বাভাবিল নয়, যেমন আমারও এমনটা হয়েছে। এমন অবস্থায় কিছু মানুষের পাশে দাঁড়ানো নৈতিকতার পর্যায়ে পড়ে।

আমাদের দেশে জসিম, আদিল, ড্যানি সিডাক নায়ক হয়েছেন। তাঁদের স্মার্টনেস আর উচ্চারণের চেয়ে অজ’র স্মার্টনেস আর উচ্চারণ অনেক উন্নত, যদিও তা শতভাগ সঠিক নয়। কিন্তু জসিমরা অজ’র মতো জাগরণ সৃষ্টি করতে পারেন নি বলে হিংসা বা দ্বেষের শিকার হোন নি, যেটি ঘটেছে অজ’র বেলায়। নায়কদের বয়স বা বুড়োত্ব নিয়ে আমাদের দেশেই সমালোচনা বেশি হয়। ইংলিশ মুভির দিকে তাকালে মনে হওয়া স্বাভাবিক- অজ কেন রাজ্জাকও এখনও নায়ক হবার যোগ্য। অজ যদি ফ্লপ ছবি করতেন, তাঁর নাম যদি কেবল নিম্নবিত্তদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো, তাহলে তিনি কারো শত্রুও হতেন না, এতো সমালোচনাও পেতেন না।

আমি বিদেশে খোঁজ দ্য সার্চ দেখছিলাম আমার পিসিতে। আমার কয়েকজন বাংলাদেশি কলিগ বিশ্বাসই করতে পারছিল না এ ছবি বাংলাদেশিদের বানানো। টেকনোলজিক্যালি খোঁজ দ্য সার্চ বাংলাদেশের ছবিতে একটা মাইল ফলক। অজ’র পরের ছবিগুলো আমি ইউ-টিউবে দেখেছি অল্পবিস্তর। আমার মতামত অপরিবর্তনীয়।

আজ থেকে আরও ২৫ বছর পর অজ’কে পুনর্মূল্যায়ন করা হবে, আমার কেন যেন এটা মনে হয়।

যাক, সবার মত তো আর একরকম হবে না, তা জানা কথাই।

ভালো থাকুন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: অসহায় মানুষদের প্রতি কিছু মানুষের দুর্বলতা থাকে। - এটাও আমারও আছে।মনে হয় বেশি আছে।
সেজন্য আমি কোনো খেলা দেখেই আনন্দ পাইনা। যে দল সাপোর্ট করি সে দল জিতলে ভালো লাগে। আবার যখন দেখি একটা দল হেরে গিয়ে মাঠের মাঝে কেমন অসহায় ভাবে দাঁড়িয়ে আছে, বসে আছে।তখন হেরে যাওয়া দলটির জন্যও আবার মনটা খারাপ হয়ে যায়।

জনাব অনন্ত জলিলের ঐ রেস্টুরেন্টের ভিতরের ঐ ক্লিপটা কিন্তু আমিও দেখেছি। খুবই খারাপ লাগছিলো।
কিন্তু এই অসহায়ত্বের জন্য আমি কোনোদিন বলতে পারবোনা যে, উনি উনার ম্যুভিতে খুবই ভালো অভিনয় করছেন। ।

যে যতটুকু পাওয়ার যোগ্য তাতে ঠিক ততটুকুই মুল্যায়ন করো হোক। আমার প্রশ্ন হলো- কোটি টাকা আছে বলেই কি আমাকেই নায়ক হতে হবে। হ্যাঁ, যদি আমাকে হতেই হয়, তবে আমি আগে ব্যাপারটা শিখে নিবো। তারপর পরীক্ষায় বসবো।

কবি আল মাহমুদের একটা কথা মনে পড়ছে-
এক বাউল শিল্পীদের অনুষ্ঠানে- একজন উপস্থাপক এক অক্ষরহীন এক বাউল শিল্পীকে একটু অবমাননা করলে- আল মাহমুদ বলেছিলেন- চার/পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পান্ডিত্য দিয়েও কিন্তু একজন শিল্পী তৈরি করা যাবেনা । শিল্পীরা আসলেই নিজ থেকেই হয়। শুধু টাকা থাকলেই শিল্পী হওয়া যায়না।

আমিও চাই বাংলা চলচ্চিত্র বিশ্ব জয় করুক। মানুষের মেধার যথাযথ মুল্যায়ন হোক।

শুভকামনা রইলো ভাই। আরেকবার ধন্যবাদ।বিনীত ধন্যবাদ।

১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

সদয় খান বলেছেন: ভাল লাগলো :) । +++

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ রইলো ভাই। অনেক শুভকামনা।

১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: কেন জানি লেখাটা ধরতে পারলাম না

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২০

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনি নিরাপদ আছেন। অনেক শুভকামনা রইলো।

১৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: খেয়া ঘাট ভাই, বলুক না সে অশুদ্ধ উচ্চারণে বাংলা, ভুল শব্দে, ব্যাকরণে ইংরেজি। বলতে বলতেই শুদ্ধ হবে একসময়।

এই যে এংরেজ, আম্রিকানদের সাথে কাজ করি ভাগ্যিস তারা আমার বলা ইয়েস, নো, ভেরিগুড মার্কা ইংরেজির ভুল ধরে না (অথচ আপনি দেখবেন বাঙ্গালী কিন্তু চান্স পেলেই ভুল ধরে)!!!

বাঙ্গালীর (বা বাংলাদেশীর) যদি সম্মিলিত কাজ/ উন্নতি/ প্রচেষ্টা/ সাধনার হিসাব করা হয়, তাহলে বাঙ্গালীর চেয়ে বড় উপহাসের বিষয় পৃথিবীতে আর কোথাও কিছু নাই। আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখতে পেলে অন্যকে নিয়ে হাসাহাসি করার সাহস করতাম না।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভালো বলেছেন। খুব সুন্দর বলেছেন।

"অহংকার মানুষের পতন ঘটায় আর বিনয় মানুষের মাথায় সম্মানের রাজমুকুট পড়ায়"

মানুষ আপনাকে কখন মুল্যায়ন করবে জানেন- যখন আপনি আপনার ভুলটা মেনে নিবেন। এবং এটা আপনাকে সম্মানের সহিত কেউ বলবে।কিন্ত উল্টো যদি আপনি স্বীকারই না করেন-তখন দেখবেন আপনার সহকর্মীরাও আপনার প্রতি বিরক্ত হবে। আপনাকে নিয়ে হাসি তামাশা করবে।

এই এখানে একেবারে কম পড়ালিখা করা মানুষ বিভিন্ন ব্যবসা করে মিলিয়ন টাকার মালিক। কিন্ত শুধই ভুল ইংরেজি বলে- যেমন- বলে-
আমার না কাল ডাক্তারের সাথে একটা অ্যাপার্টম্যান্ট আছে।
আমি শুনতে শুনতে একবার বললাম- আচ্ছা উনাকে ভুলটা ধরিয়ে দেই।

বললাম-মামা। এটা অ্যাপার্টমেন্ট না। এটা হলো অ্যাপয়ন্টমেন্ট।
মামা খুব খুশী হলেন। বললেন- ভাগিনা। এই কথাটা আমাকে কেউ আগে বলেনি। উনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা বেড়ে গেলো।

হাজী সেলিমের স্কুল ফ্রেন্ড- কনডোমিনিয়ামকে বলেন কনডম।
মাঝে মাঝেই বলেন- অনেক টাকা দিয়ে একটা দামি কনডম কিনেছি।

একভাই খুব সুন্দর করে বললো- বড়ভাই- একা কনডম না। এটা হলো কনডোমিনিয়াম। উনি তেড়ে আসলেন- অ্যা, দু দিনের পোলাপান। আমাকে শিখাতে আসছে?কোনটা কি বলতে হয়।

এখন, বিভিন্ন জায়গা গেলে- বন্ধুরা যেভাবেই হোক -গল্পের ছলে বাড়ির গল্প ওঠায়। তারপর লোকের সামনে উনাকে দিয়ে কৌশলে এই কনডম শব্দটা বলায়। আর সবাই ভিতরে ভিতরে উনাকে নিয়ে হাসাহাসি করে।

ভুল মেনে নেয়াটা মানুষকে সম্মানের আসনে বসায়। অন্যথায় সামনা সামনি হাসতে না পারলেও পিছনে কিন্তু সবাই হাসাহাসিই করবে।

আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখতে পেলে অন্যকে নিয়ে হাসাহাসি করার সাহস করতাম না।-সেটাই।

১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩০

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
বাউলের মনের সাধ ক্লান্ত হয়ে মাছরাঙার সাথে ওড়ে গেছে যা আর ফিরে আসেনি। আজ দাপিয়ে বেড়ায় বুচ্ছিনো ষাঁড়ের মতো রক সংগীত,নাগরিক আকাশের নীলাভ নরম বুকে শুয়ে থাকে হিন্দি অর্ধনারীশ্বরের গান। চন্ডীডাশ নেই, রামপ্রাসাদের শ্যামা নেই, শঙখমালা নেই, চন্দ্রমালা নেই।নেই ভাটিয়ালি, মুর্শিদী, জারি, সারি, মারফতি।

আমরা সত্যি দিন দিন শূন্য হয়ে যাচ্ছি।
আমাদের সবকিছু গ্রাস করে নিচ্ছে অপ আর উগ্র বহিরাগত সংস্কৃতি। আর আমরা নির্বিকার চেয়ে দেখিই শুধু।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: পুরো লিখাটি পড়েন নাই আশরাফ ভাই।
মাঝখান থেকেই কিছু অংশ কোট করে দিয়ে কাজ শেষ করেছেন।হুমম। বুঝতে পেরেছিতো। =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

বিনীত ধন্যবাদ। অনেক শুভকামনা রইলো।

১৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৫

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: মুগ্ধপাঠ + +

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক শুভকামনা ভাই। বিনীত ধন্যবাদ।

১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আসলেই পড়ি নাই।
এবং তখনি জানি, এটার শুরু আর শেষ ভিন্নরকম।
মন্তব্যে আঁচ পাচ্ছিলাম :)

পড়ে জানাব সকালে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: হাহহাহাহাহহাহাহহা। দেখছেন, আমি কেমন করে বুঝতে পারলাম। =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

১৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৫১

এই আমি সেই আমি বলেছেন: রবি ঠাকুরের একটি ছড়া আছে , স্মৃতি থেকে লিখছি ভুল হতে একটু এদিক সেদিক হতে পারে ।
ভোলা নাথ লিখেছিল
তিন চারে নব্বই ,
গণিতের মার্কায়
কাটা গেল সর্বই ,
তিন চারে বার হয়
মাস্টার তারে কয় ।
লিখেছিনু ঢের বেশী
এই তার গর্বই ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৫৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: রবি ঠাকুরের তুলনা নাই। সত্যিই এক বিস্ময়। কত সহজ ভাষায় কী গভীর মর্মার্থ। তবে খোঁচাটা একেবারে আমার ঠিকঠাক জায়গায় লেগেছে।

বিনীত ধন্যবাদ আপনাকে ।অনেক শুভকামনা রইলো।

১৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৩১

না বলা কথা বলেছেন: এতো সুন্দর গদ্যরীতি । এতো সুন্দর শব্দের ব্যবহার। ফাটাফাটি মুগ্ধ।
তবে , যে বিষয়টা নিয়ে বলতে চেয়েছেন তা নিয়ে দ্বিমত জানালাম।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: দ্বিমতটা কি জানতে পারলে ভালো হতো।
বিনীত ধন্যবাদ ভাই। অনেক শুভকামনা।

১৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১১

মামুন রশিদ বলেছেন: ব্যাপারটা কোথায় ঘটেছিল, ঐ জোতির্ময় দেবদূত শিল্পি কে তার কিছুই জানা নাই । তবে আমাদের লোকজ সঙ্গীতের প্রতি আপনার টান, আপনার আবেগ, আপনার প্রতিবাদের ভাষা হৃদয় ছুঁয়ে গেছে ।

সঙ্গীত বেঁচে থাকুক লোক-মানুষের হৃদয়ে শুদ্ধ সুরে ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় মামুন ভাই। অনেক শুভকামনা রইলো ।

২০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৩

হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: অসাধারণ আবেদনময়ী একটি লেখা। ভাললাগা আরিফ ভাই।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:২৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা প্রিয় রিয়াজ ভাই।

২১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৯

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: বাউল গানের রিমিক্স শুনলে আমার মিজাজ সপ্তমে উঠে।

আবার নতুন কিছু শিল্পি বাউল গান গায় কিন্তু গানের আঞ্চলিক শব্দ গুলোকে শুদ্ধ ভাষার শব্দে চেঞ্জ করে ফেলে। এতে আসল গানের সুর এবং মিল সব নস্ট হয়। এছারা বাউল গানের মিউজিকে যাদ গিটার আর ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র দ্বরা তবলা বাজা তাইলে সেটার কোন মিউজিক থাকে।

কোথায় সেই একতারা, দোতারা, ঢোল, কাসার পাত, বাশি, তব, বেহালা। এগুলা ছারা বাউলগান হয় না।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:২৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য বিনীত ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো ভাই।

২২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে অনেক ভালো লাগল, কিন্তু আসিফ সাহেবের লেখাটা আমি পড়ি নি। কোন লিংক কি দিতে পারেন? আমাদের লোকজ সংগীতের প্রতি আপনার আবেগ বা মূল্যায়ন দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগল। এটা নিঃসন্দেহে অনুকরনীয়।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:২৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো ভাই। অনেক শুভকামনা রইলো।
লিখাটা কোথায় পড়েছিলাম , ফেসবুকের কোনোখানে হয়তোবা। যদি পাই আপনাকে জানাবো। বিনীত ধন্যবাদ রইলো।

২৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সমসাময়িক কিছু ঘটনাবলি সুন্দরভাবে উঠে এসেছে আপনার লেখায়। খুব ভাল লাগল।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:২৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ আর অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

২৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: Ananta jalil is not an actor.he is a business man like eva rahman..

Ananta should work hard,if he wants to be an actor

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:২৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার বলেছেন , অনেক শুভকামনা রইলো ভাই।

২৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: লেখক বলেছেন: অন্ধকার শূণ্যের ভিতরে ছিলেন কি এ কয়দিন? --------- ধন্যবাদ।


ফেসবুকে আছে।

ভাল থাকবেন।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার ফেসবুক এড্রেস কি?

২৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
লেখা ভাল লাগছে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই। অনেক শুভকামনা।

২৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: আসিফ নজরুলের লেখাটা ফেসবুকে আছে। প্রয়োজন হলে মেইল এ পাঠিয়ে দিতে পারি।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২০

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক খুশী হলাম। এই লিখার সূত্র ধরে ঐ লিখাটা আরো অনেকে পড়তে চেয়েছেন। কৃতগ্গ থাকবো যদি পাঠিয়ে দেন। অনেক শুভকামনা। অনেক শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.