নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট

ভাষাহীন বাবুই

খেয়া ঘাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা হুমায়ুন আহমেদের সমালোচনা করেন

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩০

হুমায়ুন আহমেদ অসাধারণ একজন মেধাবী মানুষ। একাডেমিক দিক দিয়ে, শিক্ষকতার দিক দিয়ে, সাহিত্যের দিক দিয়ে । সব দিক দিয়ে। আর মেধাবী মানুষরাই খুব সহজেই সাধারণভাষায় অসাধারণ কথাগুলো বলতে পারে। আর যাদের মগজ কম তারা শব্দের উপর নানারকমের অত্যাচার করবে, বাক্যকে প্যাঁচাবে। কারণ সে জানে এ ছাড়া তার আর কোনো উপায় নেই।



"আমার সোনার বাংলা,আমি তোমায় ভালোবাসি" -শব্দগুলো একেবারেই সাধারণ। কিন্তু এ লাইনটির গভীরতা এতো বেশী যে এটা আমাদের জাতীয় সংগীত।



একটা গল্প বলি-

একটা বানর ছিলো। সে নানারকমের বাদরামি করে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতো। কিন্তু মানুষ সব সময় হরিণের প্রশংসা করতো। বাদরও চাইলো মানুষ তাকে হরিণের মতো প্রশংসা করুক। হরিণের সাথে তার কথা বলুক। কিন্ত বানরতো আর হরিণ হতে পারবেনা।



তাই, সে হরিণের চলার পথ নিজের বর্জ্য দিয়ে ভরিয়ে রাখতো। বানরের বাঁদরামি বুদ্ধি আর কি। এর কারণ হলো- বিদ্বেষ , আরেক হলো নিজের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। ফলে মানুষ বানরের কথা আলোচনা করতে লাগলো। বানরতো মহা খুশী সবাই বানরকে নিয়ে মেতে আছে।



কিন্তু এ আলোচনা ছিলো কিভাবে বানরকে ব্যাপকভাবে ধোলাই দেয়া যায়। যেখানে সেখানে বর্জ্য দিয়ে নষ্ট করার জন্য। এরপর বানরকে আচ্ছামতো ধোলাই দেয়া হলো। এই ধোলাইয়ের পর থেকে বানর একেবারে ঠিক। এখন আর হরিণের পথ বর্জ্য দিয়ে নষ্ট করেনা। বরং গাছ থেকে পাতা ছিঁড়ে দেয়।



যেখানে সেখানে যারা বর্জ্য দিয়ে চলার পথ নষ্ট করে আলোচনায় আসতে চায়-তাদের ঠিক পথে আনতে এর চেয়ে মনে হয় আর ভালো কোনো উপায় নাই।



নিজের মেধা থাকলে নিজের মতো করেই বিকশিত করুন ভাই। চাঁদের সৌন্দর্য্য সহ্য হয়না বলে চাঁদের পানে চেয়ে ইচ্ছেমতো হিসু করেন। কিন্তু মনে রাখবেন এটাতো চাঁদ স্পর্শই করবেনা। বরং সে হিসু নিজের ওপরই পড়বে।



হুমায়ুন আযাদ হুমায়ুন আহমেদকে পছন্দ করতেন না। একবার লিখলেন- হুমায়নু আহমেদ হলেন বাজারী লেখক। আর উনার নাটকগুলো কাজের মেয়েরাই বেশী পছন্দ করে।



এর কিছুদিন পর ঢাকা ক্লাবে হুমায়ুন আযাদ বসে আছেন। হুমায়ুন আহমেদ পাশে গিয়ে বিনীত ভাবে হুমায়ুন আযাদকে বললেন-স্যার, টেলিভিশনে আমার নতুন নাটক "আজ রবিবার" আগামি সপ্তাহ থেকে প্রচারিত হবে। অনুগ্রহ করে আপনার বাসার কাজের মেয়েদের বলবেন- নাটকটি দেখার জন্য। ওরাতো আর পত্রিকা পড়ে জানতে পারবেনা।



এই হলো আমাদের হুমায়ুন। এই হলো আমাদের সাহিত্যের আকাশের পূর্ণিমা দ্বাদশীর চাঁদ। যার আলো বাংলাভাষী প্রতিটি মানুষের হৃদয়কে সুশোভিত করেছে শুধুমাত্র কিছু হিংসুক, আঁতেল পন্ডিত আর কিছু সাহিত্যের ফেরিওয়ালা মূর্খবুদ্ধিজীবী ছাড়া।

মন্তব্য ৯৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৯৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩২

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪২

মিঠুন বলেছেন: হুমায়ূন সমালোচকদের ভাব দেখলে মনে হয় , উনারা সবাই হুমায়ুন আযাদ !

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: মিঠুন বলেছেন: হুমায়ূন সমালোচকদের ভাব দেখলে মনে হয় , উনারা সবাই হুমায়ুন আযাদ !
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের নেতিবাচক সমালোচনা করে নিজেকে উচুমার্গীয় প্রকাশ করাটা আজকাল ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।

হুমায়ুন হুমায়ুন ই - কিশোর এবং তরুন পাঠকের কাছে উনার কদর অপরিসীম............

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের নেতিবাচক সমালোচনা করে নিজেকে উচুমার্গীয় প্রকাশ করাটা আজকাল ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।
++++++++++++++++++++++++ দারুন।

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১২

স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: সাহিত্য সমাজে কিছু ব্যক্তিকে দেখি যারা হুমায়ূন সাহিত্যকে খাটো করে নিজের গরিমা দেখাতে আগ্রহী। সস্তা কৌতুক আর রিপিটেড গল্প দিয়ে যারা তাদের টিভি নাটকের কাটতি বাড়ায় ফেসবুকে ফ্যান পেজ খুলে তারা হুমায়ূন সমালোচনায় ব্যস্ত। ঘৃনাই লাগে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২১

খেয়া ঘাট বলেছেন: এক পৃষ্টা পড়লে এর শেষ না করে ওঠতে ইচ্ছে করেনা। ঠিক যেন এক ম্যাজিশিয়ান মন্চে ম্যাজিক দেখাচ্ছেন। চোখের পলক যেন ফেলতে ইচ্ছে করেনা।এরকম লিখার যাদুকরের যারা সমালোচনা করে তাদেরকে ঐ গল্পের বাঁদরের মতো ধোলাই দিতে ইচ্ছে করে।

আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের নেতিবাচক সমালোচনা করে নিজেকে উচুমার্গীয় প্রকাশ করাটা আজকাল ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।

হুমায়ুন হুমায়ুন ই - কিশোর এবং তরুন পাঠকের কাছে উনার কদর অপরিসীম............

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের নেতিবাচক সমালোচনা করে নিজেকে উচুমার্গীয় প্রকাশ করাটা আজকাল ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।

হুমায়ুন হুমায়ুন ই - কিশোর এবং তরুন পাঠকের কাছে উনার কদর অপরিসীম...........
+++++++++++++++++++++++++++++++++

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২০

অর্থহীন দাঁড়কাক বলেছেন: কিছু অসুস্থ ব্যক্তি আছে যারা সমালোচনা না করে থাকতে পারেনা। তারা এতটায় অসুস্থ যে, তারা নিজেও জানে না কী নিয়ে সমালোচনা করা উচিত!

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: একেবারে ১০০% ঠিক কথা বলেছেন ভাই।

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০১

বোকামন বলেছেন:
পোস্টে প্লাস দিলুম
ভালো লিখেছেন ।।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় বোকামন ভাই।

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৯

নিয়েল হিমু বলেছেন: ভাল বলেছেন :)

অঃটঃ ফেবুতে দেখলাম মনে হয় ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: জ্বি ভাই। ফেবুতে পোস্ট করেছি।

বিনীত ধন্যবাদ ।

৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১০

মামুন রশিদ বলেছেন: হুমায়ুন আজাদের প্রসঙ্গ ভিন্ন, আমার পছন্দ হোক বা না হোক সমালোচনা করার মত পান্ডিত্য উনার ছিল ।

গতকাল ফেবুর ফিডব্যাকে হুমায়ুন আহমেদের কিছু সমালোচনা দেখলাম, যারা হুআজাদ'র স্টাইলে হুআহমেদ কে উড়িয়ে দিতে চাইছেন । করুণা হলো তাদের জন্য । হুআজাদের পান্ডিত্য ছিল, আর এরা শুধু নকল করে কথাই বলতে পারে ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১০

খেয়া ঘাট বলেছেন: হুমায়ুন আযাদের মেধা বুঝার জন্যই শুধুমাত্র উনার ক্লাস করেছি। উনি নিঃসন্দেহে মেধাবি। আরেকটি কথা হুমায়ুন আযাদকে অনেক অহঙকারি মনে করতেন। একটি ঘটনা বলি- আগে যায়যায়দিনের বিশেষ সংখ্যা বের হতো। এসব সংখ্যায় যখন নিয়মিত লিখা ছাপাতো তখন নিজেকে বেশ হিরো মনে হতো।প্রতি লিখার জন্য ৩০০ টাকা করে দিতো। ঠিক এমনি সময় ঘড়ি সংখ্যা বের হয়েছে। আমার হাতে ম্যাগাজিন । আজিজ মার্কেটে হুমায়ুন আযাদ হাঁটছেন। আমি বললাম-স্যার এই ম্যাগাজিনটা পড়বেন?
স্যার বললেন- এটাতো ফুটপাথের পত্রিকা।
আমি বললাম- এই পত্রিকায় স্যার আমার একটা লিখা আছে।
স্যার হাতে নিলেন, তারপর আবার ফিরিয়ে দিলেন। বললেন- তোমার নাম লিখে দাও।
আমি বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে নাম লিখে দিলাম।
এরপর আমি স্যারের কাছে নাম্বার চাইলাম। তখন মোবাইল ,সেলফোন বের হয়নি।
স্যার আমাকে উনার বাসার নাম্বার দিলেন।
একটা অচেনা ছেলেকে নাম্বার দিলেন। আমি আরেকবার বিস্মিত হলাম।

স্যারের পান্ডিত্য দেখেছি, অহমিকা দেখেছি আবার এই যে বিনয় সেটুকুও দেখেছি। আবার ধর্ম নিয়ে উনার বাড়াবাড়িও মাত্রাতিরিক্ত মনে হয়েছে।

স্ব স্ব ক্ষেত্রে উনারা নক্ষত্র। কাউকে ছোট করার কিছু নেই। কিন্তু কিছু বুর্বক ,উল্লুক প্রজাতি যখন বেশি আঁতলামি করে তখন খুব খারাপ লাগে।
ধন্যবাদ মামুন ভাই।

১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মামুন রশিদ বলেছেন: হুমায়ুন আজাদের প্রসঙ্গ ভিন্ন, আমার পছন্দ হোক বা না হোক সমালোচনা করার মত পান্ডিত্য উনার ছিল ।

গতকাল ফেবুর ফিডব্যাকে হুমায়ুন আহমেদের কিছু সমালোচনা দেখলাম, যারা হুআজাদ'র স্টাইলে হুআহমেদ কে উড়িয়ে দিতে চাইছেন । করুণা হলো তাদের জন্য । হুআজাদের পান্ডিত্য ছিল, আর এরা শুধু নকল করে কথাই বলতে পারে .

+++++++++++++++++

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২০

খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মামুন ভাইকে। আপনাকে। শুভকামনা রইলো- নিরঙকুশ শুভকামনা।

১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

তাহমিদুর রহমান বলেছেন: মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের নেতিবাচক সমালোচনা করে নিজেকে উচুমার্গীয় প্রকাশ করাটা আজকাল ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।

হুমায়ুন হুমায়ুন ই - কিশোর এবং তরুন পাঠকের কাছে উনার কদর অপরিসীম............
--------------------------------------
সহমত




View this link

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

খেয়া ঘাট বলেছেন: জ্বি ভালো বলেছেন মাসুম ভাই। ধন্যবাদ ভাই। আপনার দেয়া লিংকে গেলাম। ধন্যবাদ লিংক দেয়ার জন্য।

১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ মারা যাওয়ার পরে বেশ কয়েকদিন সৈয়দ শামসুল হক বিভিন্ন টকশোতে হাজির হন এবং অবাক করে দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের প্রতি পরোক্ষভাবে বিষাদাগার করেন। তীব্র ক্ষোভ নিয়ে তার কথাগুলো শুনেছি, শেষে মনে মনে হেসেছি, মায়া হয়েছ এই আতেল লেখকের জন্য।

এই সব সাহিত্যিকদের জন্য একটাই বাক্য রয়েছে আমার কাছে,"গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল"। :-P :-P :-P

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ মারা যাওয়ার পরে বেশ কয়েকদিন সৈয়দ শামসুল হক বিভিন্ন টকশোতে হাজির হন এবং অবাক করে দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের প্রতি পরোক্ষভাবে বিষাদাগার করেন। তীব্র ক্ষোভ নিয়ে তার কথাগুলো শুনেছি, শেষে মনে মনে হেসেছি, মায়া হয়েছ এই আতেল লেখকের জন্য।

এই সব সাহিত্যিকদের জন্য একটাই বাক্য রয়েছে আমার কাছে,"গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল"। :-P :-P :-P
++++++++++++++++++++++++++++++++++++
চমৎকার বলেছেন ভাই। অনেক ধন্যবাদ নিবেন।

১৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৮

ডি মুন বলেছেন: সমালোচনা মানে কখনই বিরুদ্ধাচারণ নয় বা তার ভালো দিকগুলো এড়িয়ে গিয়ে শুধু খারাপ নিয়ে চর্চা করা নয়। কিন্তু ইদানিং সমালোচকরা এটাই করে থাকেন। তারা নিজেরা কিছু লিখতে পারেন না বলে হয়তো অন্যের জনপ্রিয়তাকে ঈর্ষা করেন। এটা খুবই দুঃখজনক।

হুমায়ুন আহমেদ এক অনন্য প্রতিভা। এক বিশাল পাঠকশ্রেণি তৈরি করে দেওয়ার জন্য তাকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা জানাই।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১১

খেয়া ঘাট বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ এক অনন্য প্রতিভা। এক বিশাল পাঠকশ্রেণি তৈরি করে দেওয়ার জন্য তাকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা জানাই। +++++++++
ভালো লাগলো ভাই। এরা যে কেমন করে এই মানুষের সমালোচনা করে ভাবতে খুব কষ্ট হয়।
বিনীত ধন্যবাদ ভাই। অনেক শুভকামনা রইলো।

১৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

কাফের বলেছেন: সাহিত্যি টাহিত্যি বুঝি না বই পড়ি আনন্দের জন্য আর হুমায়ুন আহমেদ আমার কাছে বিশিষ এক নাম, উনার বই দিয়েই বই পড়া শুরু, এক সময় খাওয়া নাওয়া বাদ দিয়ে উনার বই পড়তাম।

সুনিল গঙ্গোপোদ্যায় অনেক বড় সাহিত্যিক কিন্তু ওনার "মনের মানুষ" বইটা আমার পড়া বাজে বই গুলার একটা

তেমনি হুমায়ুন আহমেদের অনেক হৃদয় ছুয়ে যাওয়া লেখার মধ্যেও অনেক লেখাই ছিল সমালোচনা করার মত অস্বিকার করে লাভ নাই, কিন্তু উনাকে নিয়ে সমালোচনা অনেক বেশীই হয় এটা উনার অতি জনপ্রিয়তার কারনেই।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার কথাগুলোর সাথে একমত।
কিন্তু যারা উনার লিখাকে একেবারে বাজারি লিখা বলে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন। সেইসব হাঁদারামদের ব্যাপারে মন্তব্য কি?

১৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
হুমায়ুন সমালোচকদের একজন সৈয়দ শামসুল হক যখন হুমায়ুন মৃত্যুর পর ক্যামেরার সামনে এসে বানোয়াট কথাবার্তা বলেন, খারাপ লাগতো। কি অবস্থা, যাকে উপেক্ষা করতে চাইতো তারা, তাকে ভর করেই তাদের বানিজ্য চলে।

হুমায়ুন আহমেদ আর যাই হোক, এদেশে পাঠক শ্রেণি তৈরী করে গেছেন। ছেলেমেয়েদের বই পড়তে উৎসাহী করে গেছেন। রাজাকারদের রাজাকার বলতে শিখিয়ে গেছেন, এই অর্জন সামান্য কিছু না।

হিংসুটেরা কালাবর্তে হারিয়ে যাবে। হুমায়ুন থেকে যাবেন বাঙলা সাহিত্যে অনেক অনেক দিন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

খেয়া ঘাট বলেছেন: হিংসুটেরা কালাবর্তে হারিয়ে যাবে। হুমায়ুন থেকে যাবেন বাঙলা সাহিত্যে অনেক অনেক দিন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
বিনীত ধন্যবাদ ভাই। আছেন কেমন???

১৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সমালোচনা মানে নিন্দা নয় , এটা মানে হল বিষয়টিকে আমি কিভাবে দেখছি তার বিশ্লেষণ ।
সমস্যা হচ্ছে আমাদের এখানে যৌক্তিক আলোচনা হয় না ।

এটা ভাল না - পচা - রদ্দি মাল কোন পাঠক এ কথা বলতেই পারে ।
এটা তার রুচি এবং অধিকার ও বটে ।

কিন্তু সমালোচনা ভিন্ন জিনিস । কেন , কিভাবে কোন দৃষ্টিভঙ্গীতে আমি সমর্থন
করি বা করি না - তার যথাযথ ব্যাখ্যা দেয়া উচিত । নাইলে তা সমালোচনা
হবে না । ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া হয়ে যাবে ।

আমাদের এখানে সমালোচনার নামে বেশিরভাগ ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া ই বয়ান করা হয় ।

আর কারো ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া নিয়ে বলার কিছু নেই । যার যার
ভাল লাগা মন লাগা তার ব্যাপার ।


আর নাম না দেখে কি বলা হল সেদিকে ও আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত ।
আযাদ সাহেব সমালোচনার নামে যুক্তিহীন কথা বললে উনাকে ছাড় দেয়ার কি আছে ?


হুমায়ুন যথাযভাবে বিশ্লেষিত বা সমালোচিত হোক এটাই কাম্য ।

ভাল থাকুন প্রিয় খেয়াঘাট ভাই :)

শুভকামনা ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: বেশ অর্থবহ মন্তব্য। মেলাদিন পরে দেখে ভালো লাগলো।
আপনার জন্যও একরাশ শুভকামনা।বিনীত ধন্যবাদ।

১৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

ড. জেকিল বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের লিখার ক্ষমতা নিয়ে কেউ কোন প্রশ্ন তুলতে পারবেনা। সমলোচনা তো সবারই হয়।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার বলেছেন ভাই।দু লাইনেই সব কথা বলে দিয়েছেন । বিনীত ধন্যবাদ।
তবে সমুদ্রের বিশালতা নিয়ে যদি কোনো হিমালয় প্রশ্ন তোলে, তবে তা ঠিক ।কিন্তু ঘটির জল যখন সমুদ্রের প্রতি ক্ষুদ্ধ হয় তখন বড় বেশী খারাপ লাগে।

১৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ, বাজারের জন্যই একই চরিত্রের জাবর কেটেছেন। এসব কথা হুমায়ূন নিজেই বলেছেন।
সাহিত্যের লক্ষ্য প্রতিনিয়ত সৃষ্টি। একই সৃষ্টির পুনরাবৃত্তি নয়।
হুমায়ূন আহমেদ জনপ্রিয় লেখক। তাই বলে তাঁকে কিংবদন্তীসহ নানা বিশেষণে ভূষিত করা উচিত নয়। তাহলে প্রকৃত সাহিত্যিকদের অপমান করা হবে। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের খোয়াবনামা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের পাঠ্যবই। মজার ব্যাপার হলো হুমায়ূন ভক্তরা মনে করে হুমায়ূন ছাড়া দুনিয়ায় আর কোনো লেখক নেই।
পড়ার আহবান জানাই।
সাহিত্যিকের মৃতু্য এবং আমাদের গদগদে আবেগ
Click This Link

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভাই ,আপনাকে দুটি কথা বলি। হয়তো আপনার কাজে লাগতেও পারে।
মানুষের সাফল্যের জন্য দুটি জিনিস বড় বেশী প্রয়োজন।
এক হলো-মেধা। আরেকটা হলো বিনয়।
একজন লোক খুব বেশী মেধাবী, কিন্তু তার মাঝে কোনো বিনয় নেই-ফলাফল শুন্য।
আবার একজন লোক অনেক বেশী বিনয়ী কিন্তু তার কোনো মেধাই নেই-ফলাফল শূন্য।
এ দুটির যখন সমন্বয় ঘটে তখন সে সাফল্যের চূড়া স্পর্শ করে।আর এসব মানুষের সান্নিধ্য পেতে ভালো লাগে।

এর চেয়ে যদি বেশী বলি- আপনার মনোকষ্টের কারণ হবে।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।


১৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: একজন লেখক প্রকৃত অর্থে তখনই সার্থক হন, যখন তার লেখা পাঠক ধরে রাখার পাশাপাশি পাঠক সৃষ্টি করতে পারে। আমার মতে বাংলা সাহিত্যে এমন লেখক মেলা দুষ্কর যে হুমায়ুন আহমেদ এর ন্যায় পাঠক সৃষ্টি করতে পেরেছেন। নিন্দুকেরা বলেন হুমায়ুন আহমেদ হালকা লেখা লেখতেন (লেখেন লিখতে পারলাম না, লিখেও মুছে দিতে হল)। ভাই হালকা-ভারী বুঝিনা, আমি বুঝি লেখার আকর্ষণী ক্ষমতা।

হুমায়ুন আহমেদ এর বই হাতে নিয়ে পড়া শুরু করলে মনে হত আরে এতো আমার পাশের বাড়ীর গল্প, কখনোবা আমার নিজের বাড়ীর গল্প। অসংখ্যবার মন খারাপ অবস্থায় হুমায়ুন আহমেদ এর বই হাতে হারিয়েছি নিজ ভুবনে, ভুলেছি দুঃখ-কষ্ট-যাতনার জ্বালা।

পাঠক সৃষ্টির কারিগর

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ এর বই হাতে নিয়ে পড়া শুরু করলে মনে হত আরে এতো আমার পাশের বাড়ীর গল্প, কখনোবা আমার নিজের বাড়ীর গল্প। অসংখ্যবার মন খারাপ অবস্থায় হুমায়ুন আহমেদ এর বই হাতে হারিয়েছি নিজ ভুবনে, ভুলেছি দুঃখ-কষ্ট-যাতনার জ্বালা।

আমার এই পোস্টটার জন্য এতো সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেলাম। চিরকৃতগ্গ ভাই। অনেক শুভকামনা রইলো।

২০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: বোকা মানুষ, হুমায়ূন আসার আগে সবাই অপাঠক ছিল। কেও সাহিত্য পাঠ শেখেনি? সবাই অশিক্ষিত ছিল? আচুদা সব কথাবার্তা

২১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

সোহেল রনি বলেছেন: ভাই আমি এত কিছু বুঝিনা, হুমায়ূন আহমেদের বই পড়তে ভালোলাগে তাই পড়ি, একই বই একবার, দুবার, তিনবার করে পড়ি যাস্ট ভালো লাগে, গুরুগম্ভির উপন্যাসের চেয়ে হুমায়ূন আহমেদের বই সহজ, সরল ও সুখপাঠ্য।



একই চরিত্র নিয়ে বারবার লেখা বা বিখ্যাত হবার উদাহরণ খুব দূর্লভ নয়, প্রেমেন্দ মিত্রের ঘনাদা, নারায়ণের টেনিদা,...গোয়েন্দা চরিত্র গুলোও পড়ে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০১

খেয়া ঘাট বলেছেন: গুরুগম্ভির উপন্যাসের চেয়ে হুমায়ূন আহমেদের বই সহজ, সরল ও সুখপাঠ্য।একগুচ্ছ প্লাস।

অনেক শুভকামনা ভাই।

২২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: সত্যিকথা বলতে কি, হুমায়ুন আহমেদরা শেষপর্যন্ত হুমায়ুন আহমেদই থেকে যান । দুই চারটা পাগলা ভক্ততেও তাদের কিছু হয়না, আবার কয়েকজন নাকউঁচু সমালোচকদের কথায় তার সাহিত্যের এমন ক্ষতি বৃদ্ধি হয়না । কিন্তু শেষমেস সবাই ওই তাদেরকেই ভেঙ্গে খায় এই যা ।

ভাই, পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন এর পোস্ট নিয়ে একটা সাময়িক পোস্ট দিতে মন চায় । কিন্তু ক্যাচাইলা পোস্ট দিতে ইচ্ছে করে না কনফিউজড, দিবো কি দিবো না ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: সত্যিকথা বলতে কি, হুমায়ুন আহমেদরা শেষপর্যন্ত হুমায়ুন আহমেদই থেকে যান । দুই চারটা পাগলা ভক্ততেও তাদের কিছু হয়না, আবার কয়েকজন নাকউঁচু সমালোচকদের কথায় তার সাহিত্যের এমন ক্ষতি বৃদ্ধি হয়না । কিন্তু শেষমেস সবাই ওই তাদেরকেই ভেঙ্গে খায় এই যা ।১০০% সহমত ভাই।

ক্যাচাল না করাই ভালো। যারা ক্যাচাল করতে চেয়ে তাদের মাথায় হাত রেখে দোয়া করে দিবেন।পুরো অবশ হয়ে যাবে।

শুভকামনা রইলো ভাই।

২৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: মনের কথা +++

@ আদনান শাহরিয়ার ঃ ভাই এই লোক টা বড়ই বদ, কিন্তু মনে হয় মডুদের আপন জন, সে যাকে তাকে যখন তখন গালিগালাজ করে!!! আমার বিভিন্ন পোষ্টে সে আমারে গালি দিসে!!! আর তার পোষ্টে কোন যৌক্তিক মন্তব্য করলেও সে মুছে দেয়, উত্তর না দিতে পারলে!!!!

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনাকে দেখে ভালো লাগলো।

১৮ নাম্বার মন্তব্যে উনাকে যা বলার বলে দিয়েছি।

২৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ একজন কিংবদন্তী তার লেখার ঢংটা ছিল সাধারণ সহজ সাবলীল। তাতে কিন্তু তার ভাষা জোড়ালো আবেদন তৈরি করতো। তিনি মানুষকে হাসিয়েছেন আবার কাঁদিয়েছেন। জটিল সাহিত্যির মোড়কে সেটা দুসাধ্য।হুমায়ন আহমেদ সেই দিক দিয়ে আদর্শ।অসাধারণ।তার ভক্তের সংখ্যা বিশাল। তাবে ভালবাসা আর শ্রদ্ধা করার লোকের অভাব নেই।এমনকি তার ২য় বিয়ের ঘটনাকেও মানুষের ভালবাসা স্তব্ধ করতে পারে নি। বড় মানুষের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এমনটা ঘটে। এটাও তার যোগ্যতা ।হুমায়ূন স্যার তাই অসাধারণ। তাতে দ্বিমত করার সুযোগ কম।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ একজন কিংবদন্তী তার লেখার ঢংটা ছিল সাধারণ সহজ সাবলীল। তাতে কিন্তু তার ভাষা জোড়ালো আবেদন তৈরি করতো। তিনি মানুষকে হাসিয়েছেন আবার কাঁদিয়েছেন। জটিল সাহিত্যির মোড়কে সেটা দুসাধ্য।হুমায়ন আহমেদ সেই দিক দিয়ে আদর্শ।অসাধারণ।তার ভক্তের সংখ্যা বিশাল। তাবে ভালবাসা আর শ্রদ্ধা করার লোকের অভাব নেই।এমনকি তার ২য় বিয়ের ঘটনাকেও মানুষের ভালবাসা স্তব্ধ করতে পারে নি। বড় মানুষের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এমনটা ঘটে। এটাও তার যোগ্যতা ।হুমায়ূন স্যার তাই অসাধারণ। তাতে দ্বিমত করার সুযোগ কম।
+++++++++++++++++++++++++++++++
মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো ভাই। অনেক শুভকামনা রইলো।

২৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১২

মামুন রশিদ বলেছেন: মন্তব্যের প্রতি উত্তরের জন্য লাইক বাটন থাকলে ভালো হত- এরকম ভাবতেই লাইক বাটনটাও পেয়ে গেছি । আর এই সুযোগে প্রথমবারের মত লাইকটাও দিয়ে দিয়েছি :)

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: আর এই সুযোগে প্রথমবারের মত লাইকটাও দিয়ে দিয়েছি - বাহঃ। এটাতো তাহলে আমার জন্য ইতিহাস হয়ে রইলো। অনেক খুশীহলাম। অনেক বড় প্রাপ্তি মামুন ভাই।

২৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৮

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আর যাদের মগজ কম তারা শব্দের উপর নানারকমের অত্যাচার করবে, বাক্যকে প্যাঁচাবে। কারণ সে জানে এ ছাড়া তার আর কোনো উপায় নেই।

ভাই কি বলবো বলেন , ঠিক এই কারণেই হুমায়ূন আহমেদকে এতো ভালো লাগে । আমি ঠিক যেরকম সহজভাবে চিন্তা করতে ভালোবাসি , হুমায়ূন আহমেদ ঠিক সেইরকমটাই লিখেন ।

আমি সাধারণ মানুষ । কঠিন কঠিন জিনিস আমার মাথায় সহজে ঢুকে না । সহজ হিসাব ।

আর সমালোচনা করা বর্তমানে হিট পাবার সবচেয়ে সহজ সিস্টেম । আমার দেশে কেউ নোবেল পেলে তাঁকে শুভেচ্ছা না জানিয়ে সে কিভাবে নোবেল পেয়েছে চুরি চামারী করেছে কিনা তা নিয়ে কথা শুরু হয়ে যায় ।

কেউ এভারেস্ট চূড়ায় উঠলে তাঁকে কংগ্রেচুলেট না করে সে কি আসলেই এভারেস্টে উঠছে কিনা সেটা প্রমাণ করার জন্যই আমরা ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে উঠি ।

সমালোচনা আমাদের মগজের সাথে মিশে গেছে । এ থেকে পরিত্রাণের কোন উপায় নাই ভাই ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার কথাগুলো খুবই মনে ধরেছে। একেবারে যেন আমার মনের কথাগুলো। অনেক শুভকামনা। আপনি কি এখনো স্বপদে বহাল আছেন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়?

২৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:০৩

কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: যাদের মগজ কম তারা শব্দের উপর নানারকমের অত্যাচার করবে, বাক্যকে প্যাঁচাবে। কারণ সে জানে এ ছাড়া তার আর কোনো উপায় নেই।

আমি আপনার সাথে সহমত।

যদিও আমি তেমন বই পরিনা হুমায়ন সারের কয়েকটা পড়ছি।

অনেক সহজ ভাষায় এত সুন্দর লিখেছেন। পাঠকের কাছে তিনি সারাজিবন বেচে থাকবেন।

শুভ কামনা।
ভালো থাকুন

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:০৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: পাঠকের কাছে তিনি সারাজীবন বেচে থাকবেন।
+++++++++++++++++++++++++++++
অনেক ধন্যবাদ ভাই।অনেক শুভকামনা।

২৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১০

আধখানা চাঁদ বলেছেন: আমি সাহিত্যের ছাত্র না। সাহিত্য সম্পর্কে জানিও না তেমন একটা। কেবল ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে এতটুকু বুঝতে পারি, সাহিত্যের সৃষ্টি হয়েছে মনের খোরাক মেটাবার জন্যে, কল্পনার জগতকে বিস্তৃত করার জন্যে এমনকি আমাদের চারপাশের আটপৌরে দেখা জীবনটা নতুন করে দেখা, উপলব্ধি করার জন্যে। এই ব্যাপারগুলো আমাদের করতে,চিনতে শিখিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ।

কঠিন বাক্যে নির্মিত গল্প বুনন করে থিওরেটিক্যালি সাহিত্য সৃষ্টি হয়ত সম্ভব, কিন্তু সেই সাহিত্য কেবল দু মলাটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে, মনের মন্দিরে পৌঁছাবে না।

অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্যে। একগাদা ভাললাগা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪০

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের চারদেয়ালের শ্রেণীকক্ষের ভিতর থেকে তিনি সাহিত্যকে ঘরে ঘরে অলিতি গলিতে পৌঁছে দিয়েছেন। এযেন ম্যাজিক ম্যান। যিনি মন্চে দাঁড়িয়ে ম্যাজিক দেখাচ্ছেন। যে ম্যাজিকের শেষ না দেখা পর্যন্ত চোখের পলক ফেলানোর সময় নাই।

আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই। অনেক শুভকামনা রইলো।

২৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

মোহাম্মদ সাইফ উল আলম বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের সমালোচনা করে একটু জাতে ওঠা র চেষ্টা এই আর কি! কম জাত লেখকের বই তো আর বাজারে বেচা কেনা হয় না তাই উনার সমালোচনা করে একটু পাবলিসিটি !

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: পুরোপুরি সহমত।
অনেকে বলেন আবার- ভালো সাহিত্য মানে এই নয় যে- তার বাজারে কাটতি হলোনা। কিন্তু কথা হলো- যে লেখা পড়ে পাঠক তৃপ্তিই পেলোনা সে সাহিত্যের দরকারই বা কি? আর মনের সাথে কসরৎ করে সাহিত্যপ্রেমী হওয়ার চেয়ে গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে একগ্লাস শীতল জলে তৃষ্না মিটানোই দরকার। হুমায়ুন আহমেদ এ কাজটিই করেছেন। তৃষ্নার্ত মানুষের কাছে জলের পেয়ালা পৌঁছে দিয়েছেন।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই। অনেক শুভকামনা রইলো।

৩০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: লেখাটা ভাল।

শাওনকে বিয়ে করেই উনি সমালোচিত হয়েছেন।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: হুমম।
ব্যক্তি হুমায়ুন কাজটা ভালো করেননি। তবে লেখক হুমায়ুনের কালজয়ী সৃষ্টির কোনো তুলনা নাই।

আছেন কেমন? বিনীত ধন্যবাদ । অনেক শুভকামনা।

৩১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভাল বলেছেন।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রইলো ভাই। অনেক শুভকামনা।

৩২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০০

সায়েম মুন বলেছেন: লেখাটা ভাল লাগলো।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ রইলো ভাই। জন্মদিনের শুভেচ্ছা। অনেক শুভকামনা।

৩৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৩

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: "পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: বোকা মানুষ, হুমায়ূন আসার আগে সবাই অপাঠক ছিল। কেও সাহিত্য পাঠ শেখেনি? সবাই অশিক্ষিত ছিল? আচুদা সব কথাবার্তা "


এই আঁতেলটাকে নিয়ে মহা যন্ত্রনা দেখছি! হুমায়ুন আহমেদ নাম শুনলে এর শরীর চুলকায়! কথার ধরন দেখেন "আচুদা সব কথাবার্তা" এটা কি কারনে বললো??

একে তো মধ্যবিত্ত তারওপরে আবার পরাজিত সমস্যা আসলে এখানেই, বেচারা মধ্যবিত্ত মানষিকতা মুক্ত হতে পারেনি মানে এখানেও পরাজিত। মানষিক রোগি কোথাকার।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: এইসব সেনসেটিভ শব্দে কথা বলা আমারও একেবারেই পছন্দ হয়নি।
এরকম অবস্থা কিশোরকালেই হয়।যখন নিজের মতকেই সবচেয়ে বেশি যৌক্তিক মনে হয়। তারপর ম্যাচিউরিটি যখন আসে তখন সব কিছু আবার ঠিকঠাক হয়ে যায়।

বিনীত ধন্যবাদ মিঠু ভাই। অনেক শুভকামনা রইলো।

৩৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: সমালোচনা করলে সমস্যা নাই, দুনিয়ার সব মানুষের কাছে হুমায়ুন আহমেদের লেখা ভাল লাগবে এটা আশা করা যায় না। কিন্তু যৌক্তিক সমালোচনার নামে ছাগলামি দেখলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫১

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার এই কথাটা শুধু হুমায়ুন আহমেদের ক্ষেত্রেই নয়। সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। দারুন একটা কথা বলেছেন।সবার সবকিছু ভালো লাগবে এমন কোনো কথা নেই। প্রতিটি মানুষই ইউনিক। প্রতিটি মানুষের রুচি ভিন্ন।
তবে হিমালয় পর্বতকে পর্বত হিসাবে অস্বীকার করাই হলো মূর্খতা। বলতে পারে আমার পর্বত ভালো লাগেনা, সমূদ্র ভালো লাগে।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য বিনীত ধন্যবাদ শান্তির দেবদূত ভাই।

৩৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৭

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: দান্তে অলিঘিয়েরি'র নাম আমরা অনেকেই জানি, অনেকেই হয়ত জানি না।


যাই হোক, চৌদ্দ শতকে ইতালির দুই ধরণের সাহিত্য ছিল

১) উচ্চমার্গীয় সাহিত্য যা পরিচিত ছিল ট্র্যাজেডি নামে
আর ২) নিম্নমানের সাহিত্য/ এগুলা লেখা হতো ইতালীয়রা দৈনন্দিন ভাষায় যে ভাবে কথা বলে সে ভাষায় যা পরিচিত ছিল কমেডি নামে। (নিঃসন্দেহে বর্তমান সময়ে কমেডি বলতে আমরা যা বুঝি তা নয়)।

যাই হোক, দান্তে'র সাহিত্যিক মাস্টারপিস টা কিন্তু ট্রাজেডি ছিল না, ছিল কমেডি। যার নাম ছিল দ্য ডিভাইন কমেডি। এটা ছিল অন্যতম একটা মাস্টার পিস।

আমি আসলে কাউকেই ছোট করতে চাই না। হুমায়ুন আজাদ বা হুমায়ুন আহমেদ দুইজন ই অনেক বড় লেখক। তবে এটা বলতে চাই, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত ভাষা ব্যবহার করে সুন্দর একটা মাস্টারপিস তৈরি করা সবার পক্ষে সম্ভব নয়।

আর সমালোচনা সবসময় ই সম্ভব, তবে বিদ্বেষমূলক সমালোচনা নয়, গঠনমূলক সমালোচনা ই প্রত্যাশিত।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:০৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার চমৎকার এ মন্তব্য থেকে আমি নিজেও অনেক উপকৃত হলাম ভাই।
অনেক শুভকামনা। বিনীত ধন্যবাদ।

৩৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫

অশ্রু কারিগড় বলেছেন: প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন:তবে এটা বলতে চাই, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত ভাষা ব্যবহার করে সুন্দর একটা মাস্টারপিস তৈরি করা সবার পক্ষে সম্ভব নয়।

আর সমালোচনা সবসময় ই সম্ভব, তবে বিদ্বেষমূলক সমালোচনা নয়, গঠনমূলক সমালোচনা ই প্রত্যাশিত।


ময়ূরের পালক লাগালেই কাক ময়ূর হয়ে যায় না । ভাল থাকবেন ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: ময়ূরের পালক লাগালেই কাক ময়ূর হয়ে যায় না ।
চমৎকার বলেছেন ভাই।
বিনীত ধন্যবাদ ভাই। অনেক শুভকামনা।

৩৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

রওশন জমির বলেছেন:
প্রাসঙ্গিকভাবে নিচের লিঙ্কটায় ভাবনার খোরাক আছেঃ
http://unmochon.net/node/1694

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩১

খেয়া ঘাট বলেছেন: লিখাটির লিংক দেয়ার জন্য আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ।
পুরো লিখাটি পড়লাম, পাশাপাশি সবার মন্তব্যগুলো পড়লাম। আমি বলবো হুমায়ুন শুধু একজন ক্ষণজন্মা সাহিত্যিকই ছিলেননা, তিনি প্রাবন্ধিক বঙকিমীয় সাহিত্যের প্রাচীর থেকে বের হয়ে বাংলা সাহিত্যে এক নবধারার সূচনা করেছেন। হুমায়ুন আহমেদ বুঝিয়ে দিয়েছেন সাহিত্য, গল্প, উপন্যাস শুধু চারদেয়ালের ভিতর আবদ্ধ হয়ে শুধু শ্রেণীকক্ষে পান্ডিত্য ফলানোর উপাদান হয়েই থাকবেনা-বরঙ এ সাহিত্য পাঠকের ত্বষ্না বাড়াবে, পাঠকের তৃষ্মা মিটাবে। হুমায়ুন আহমেদ কি করেছেন?
এক সুমিষ্ট জলের ঝরণা ধারা তৈরী করে লাখো কোটি তরুন, যুবাকে সে জলের কিনারায় নিয়ে গেছেন।

ধন্যবাদ রইলো। শুভকামনা রইলো।

৩৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: বিনয় ফিনয় পুরোনো কথা। সমাজের পুরোনো তত্ত্ব। আমি এক্ষেত্রে হুমায়ূন আজাদের উক্তিই স্মরণ করছি, '' বিনয়ীরা সুবিধাবাদী, আর সুবিধাবাদীরা বিনয়ী।
বিনয় ফিনয় আমার পছন্দের জিনিস না। আমার প্রোফাইলটা দেখে নিয়েন। ধন্যবাদ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: আমি আগেই সতর্ক করেছিলাম-
"এর চেয়ে যদি বেশী বলি- আপনার মনোকষ্টের কারণ হবে।"

যার মাঝে কোনো বিনয় নেই, যার কোনো মেধা নেই- বরঙ ওদ্ধত্য আছে-আমি তাদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।

আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।

৩৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আর একটা বিষয়, হুমায়ূন আহমেদ যা তা নিয়েই আমি গদ্য রচনা করেছি। হুমায়ূন আহমেদের সমালোচনা ও যোগ্যতার জায়গা দুটোই আমার লেখাতে রয়েছে। কিন্তু যখন ভক্তৃবৃন্দের বাড়াবাড়িমূলক কথাবার্তা চারপাশে দেখি তখনই সমালোচনাটা আসে এবং আসাটা বাঞ্চনীয়। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস হুমায়ুন আজাদসহ আরও অনেক গুণী সাহিত্যিককে আমরা চিনি না। অথচ হুমায়ূন নিয়ে বাড়াবাড়িমূলক প্রশংসা করি। এক্ষেত্রে সমালোচনাটাও বাঞ্চনীয়। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের বই বের হওয়ার পর মানুষ কেনেনি। কিন্তু যতদিন যাবে ততোদিন পর্যন্ত সেল বাড়তে থাকবে। আর জনপ্রিয় লেখকদের বই বের হওয়ামাত্রই মানুষ ঝালমুড়ির মতো কিনে খায়। খেয়ে ঠোঙাটাও ফেলে দেয়।
আর সত্যিকারের কিংবদন্তী সাহিত্য যত দিন যাবে ততো জনপ্রিয় হবে। হুমায়ূন আহমেদ মারা গেছেন মাত্র অল্প কিছু দিন। এখনই বাজারে প্রভাব পড়েছে। ১০ বছর যেতে দিন , দেখবেন হুমায়ূন কয় কপি বিক্রি হয়, আর আখতারুজ্জামান, আযাদ কয় কপি বিক্রি হয়।
গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।

কাজেই সমালোচনা মানেই সেটা নেতিবাচক এটা ভাবার কেনো কারন নেই। গদগদে আবেগ ক্ষতিকর। আর গদগদে আবেগের ভক্তবৃন্দদের জন্যই সমালোচনাটাও জরুরি।
যাতে বহুমাত্রিক সৃজনশীল লেখকদেরই যথাচিত সম্মান দেওয়ার ক্ষমতা আমরা অর্জন করতে পারি সেটাই প্রত্যাশা।
হুমায়ূনের সমালোচনাটাকে ইতিবাচকভাবে দেখতে শিখুন। সাহিত্য আলোচনায় ভক্ত শব্দটা খুবই বেমানান ও অবাঞ্ছিত। ধন্যবাদ্

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: কাজেই সমালোচনা মানেই সেটা নেতিবাচক এটা ভাবার কেনো কারন নেই। - এ কথার সাথে পুরোপুরি একমত।
এমনি সমালোচনা নেতিবাচক হলেও তা মেনে নিতে হবে- যদি তা যৌক্তক হয়।
কিন্তু পূর্ণিমার চাঁদকে যদি কেউ অমাবশ্যার ঘোর অন্ধকার দিয়ে ঢেকে দিয়ে রাশি রাশি যুক্তির অযাচিত চর্চা করে তখনই সেটা বড়বেশী খারাপ লাগে।

সাহিত্য কি আমরা পড়িনি। বিশ্ববিদ্যালয় লাইফে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের বই শিয়রের পাশেই ছিলো। হুমায়ুন আযাদের প্রবচণ চিন্তার খোরাক যুগিয়েছে। তারাশঙকরের কবি পড়ে আপ্লুত হয়েছি। বিশ্ব সাহিত্য ভান্ডার যতটুকু পারি চষে বেরিয়েছি।

একেকজনের একেকগুন। প্রতিটি মানুষই ইউনিক। তাদের স্বকীয়তা থাকবে, নিজস্ব চিন্তা থাকবে। কারো বই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভূক্ত হবে। কারো বই পড়ে কেউ জোছনা রাতের চাঁদ দেখে মুগ্ধ হবে। কারোজন্য ভক্তকূল পাগল হবে। দেওয়ানা হবে। এতে সমস্যা কোথায়??????

৪০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন আপনার প্রোফাইলে আপনি বলেছেন আপনার পোষ্টে মন্তব্য করার সময় সাবধানে করতে এবং .........। তো ভাই আপনি আমার কমেন্ট নিয়ে বলতে যেয়ে শেষে কি ভাষা ব্যবহার করেছেন? আপনার মত কোন ব্লগার (ব্লগার বলতে আপনাকে লজ্জা হচ্ছে) আমার লেখা/মন্তব্য বা কোন কিছুরই পাঠক/মন্তব্যকারী না হলে আমি খুব খুশী হব। আমি ব্লগে লিখি মনের প্রশান্তির জন্য, আপনাদের মত ক্যাচাল করার জন্য নয়।

ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

আর খেয়া ঘাট ভাই আপনার পোষ্টে এসে এই ব্যাক্তিগত কমেন্টটি করার জন্য দঃখিত।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: না ঠিক আছে। উনার দৃষ্টিগোচর হলেই হলো।
ভালো থাকবেন ভাই।অনেক শুভকামনা।

৪১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: হুমায়ুন আজাদের সাহিত্য সমালোচনা নিয়ে কথা বলার সাধ্য আমার নেই। তবে যথেচ্ছা অন্যের শিল্পকর্মকে ছোট করে কথা সম্পর্কে আপনি যে উপমাটি দিলেন, তা চমৎকার লেগেছে।

শুভেচ্ছা জানবেন, প্রিয় খেয়াঘাট ভাই :)

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২২

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার জন্যও অনেক শুভেচ্ছা রইলো প্রিয় মইনুল ভাই।

৪২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪০

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের বই বের হওয়ার পর মানুষ কেনেনি। কিন্তু যতদিন যাবে ততোদিন পর্যন্ত সেল বাড়তে থাকবে। আর জনপ্রিয় লেখকদের বই বের হওয়ামাত্রই মানুষ ঝালমুড়ির মতো কিনে খায়। খেয়ে ঠোঙাটাও ফেলে দেয়।
আর সত্যিকারের কিংবদন্তী সাহিত্য যত দিন যাবে ততো জনপ্রিয় হবে। হুমায়ূন আহমেদ মারা গেছেন মাত্র অল্প কিছু দিন। এখনই বাজারে প্রভাব পড়েছে। ১০ বছর যেতে দিন , দেখবেন হুমায়ূন কয় কপি বিক্রি হয়, আর আখতারুজ্জামান, আযাদ কয় কপি বিক্রি হয়।
গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।
বাজি ধরবেন কেও??

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩১

খেয়া ঘাট বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের কোন বই ঝালমুড়ির মতো খেয়ে তারপর ঠোঙাটা ফেলে দেয়া হয়েছে? বলেনতো।
আমারতো মনে হয় প্রথমবার খেয়ে ত্বপ্তি না মিটায় বারবার খাওয়ার জন্য খাদকের দল লাইনদিয়ে ছিলো। আর শুধু ঝালমুড়ি খেয়েছে তাই নয়, পুরো ঠোঙা সহ খেয়ে হজম করে ফেলেছে খাদকের দল। আর তাতে কারো বদহজম হয়েছে বলেতো মনে হয়না। বরং শারীরিক আর মানসিক স্বাস্থ্যের বেশ উন্নতি হয়েছে/

৪৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: তসলিমা তার লেখাতে হুমায়ূন পাঠকদের অশিক্ষিত বলতে বুঝিয়েছেন অক্ষরজ্ঞানশূন্য নয়, উচ্চ মার্গীয় সাহিত্য পাঠে অক্ষমতাকে বুঝিয়েছেন।

আসলেই তাই। কলকাতায় শীর্ষেন্দু কাগজের বৌ একটাই লিখেছেন। আর তার অনুকরণে ব্যবসার জন্য হুমায়ুন লিখেছেন ১০০টি। এগুলোর কোনোটিই টিকবে না।

সাহিত্যের লক্ষ্য নতুন নতুন সৃষ্টি। একই সৃষ্টির পুনরাবৃত্তি নয়।

কোনো লেখক যখন একই সৃষ্টির পুনরাবৃত্তি করেন তখন বুঝতে হবে তার সৃজনশীলতার মৃতু্ হয়েছে। ভারতে সৃজনশীল উচ্চ মান সম্পন্ন কোনো সাহিত্যিককেই পস্তাতে হয় না। আমাদের দেশে পস্তাতে হয়। আমাদের আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে আমরা চিনি না। কিন্তু কলকাতা চেনে। কাজেই তসলিমা এই কথাটা খুবই ঠিক বলেছেন।
হুমায়ূন নিয়ে যতদিন বাড়াবাড়ি থাকবে, ততদিন সমালোচনাও থাকবে। উচ্চ মার্গীয় সাহিত্য পাঠে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এটার দরকার আছে। আর সাহিত্য আলোচনায় ভক্ত শব্দটি খুবই বেমানান। এ কারনেই তর্ক আসছে।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৩৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: উচ্চ মার্গীয় সাহিত্য পাঠে অক্ষমতাকে বুঝিয়েছেন।
এরকম কিছু সাহিত্যের নাম বলুন দেখি। আর কারা এসবের পাঠক , তাদের সম্পর্কেও একটু বলুন প্লিজ।

৪৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: লেখক বলছেন, একেকজনের একেকগুন। প্রতিটি মানুষই ইউনিক। তাদের স্বকীয়তা থাকবে, নিজস্ব চিন্তা থাকবে। কারো বই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভূক্ত হবে। কারো বই পড়ে কেউ জোছনা রাতের চাঁদ দেখে মুগ্ধ হবে। কারোজন্য ভক্তকূল পাগল হবে। দেওয়ানা হবে। এতে সমস্যা কোথায়??????

সমস্যা কোথায় বুঝছেন না??
সাহিত্যের লক্ষ্য সৃষ্টি । একই সৃষ্টির পুনরাবৃত্তি নয়। একজন সাহিত্যিক যখন বাজারের জন্য একই সৃষ্টির পুনরাবৃত্তি করেন তখন তাকে বাজারি সাহিত্যিক বললে গায়ে লাগার তো কোনো কথা নয়। আর গুণি সাহিত্যিকেরা যখন কোনো মূল্যায়ন পায় না, তখন আপামর নির্বোধেরা সমানে কিংবদন্তীসহ নানা বিশেষণে ভূষিত করছে। কাজেই সমালোচনা আসাটা কি য়ৌক্তিক নয়?? খামাখা তর্ক কিন্তু আপনারাই করছেন।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪১

খেয়া ঘাট বলেছেন: বুঝলাম কিছু আছে বাজারি সাহিত্য, দুঃখিত এগুলোতো আবার সাহিত্য না। মুড়ি, চানাচুরের ঠোঙা। অপসাহিত্য। আর আছে উচ্চমার্গীয় সাহিত্য । যা শুধু সাহিত্যিক ব্রাহ্মনদের বিষয়।তবে এই উচ্চমার্গীয় ব্রাহ্মনদের কিন্তু বাজারের সদাই না হলে চলেনা। তবে বাজারিওয়ালাদের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে বুদ্ধিরচর্চাবিদদের কাছে না গেলেও চলে।

৪৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫৭

অযুত বলেছেন: ভাল লাগলো। হূমায়ুন আহমেদের তুলনা হয়না।

++

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪১

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার গল্পটি অসাধারণ লেগেছে। অনেক ধণ্যবাদ।অনেক শুভকামনা।

৪৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩০

নাছির84 বলেছেন: এ কথা সত্য যে, নব্বুই দশকের শেষ ভাগে বই পড়তে ভুলে যাওয়া বাঙ্গালীকে আবারও সাহিত্যের মলাট তলে টেনে আনার কৃতিত্বটার সর্বাগ্রে রয়েছেন হুমায়ুন আহমেদ। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি, তার সব বইয়ে সাহিত্যরস খুঁজে পাইনি। যদিও এতে কোন সমস্যা নেই। কারণ বিশ্ব সাহিত্যে এমন হাজারো লেখক আছেন যাদের সব বইতেই জীবন দর্শন ছিল না। সে তুলনায় হুমায়ুন স্যার অন্তত একটা দিক থেকে এগিয়ে-------মানুষের প্রাত্যহিক জীবনচারণে কিছু রস থাকে, যা সাদা চোখে টের পাওয়া যায়না। স্যারের কলমে তা ফুটে উঠেছে নিপুন মহিমায়।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪২

খেয়া ঘাট বলেছেন: খুব সুন্দর করে বলেছেন ভাই। আপনাকে ইদানীং দেখে বেশ ভালো লাগছে।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো অনেক।

৪৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ছাগলটায় বলে কি! বললাম কি আর উত্তর দিলেন কি।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বাস করেন বাজারিওয়ালারাই। প্রকৃত কবি সাহিত্যিকেরাই ভাত পায় না এই সমাজে। হুমায়নীয় সাহিত্য বাদে দুনিয়াতে আর কোনো সাহিত্য নেই। মাদি ছাগল জানি কুহানকার।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার চমৎকার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।
ভালো থাকবেন। বিনীত ধন্যবাদ।

৪৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

বেলা শেষে বলেছেন: "মানুষের সাফল্যের জন্য দুটি জিনিস বড় বেশী প্রয়োজন।
এক হলো-মেধা। আরেকটা হলো বিনয়।মানুষের সাফল্যের জন্য দুটি জিনিস বড় বেশী প্রয়োজন।
এক হলো-মেধা। আরেকটা হলো বিনয়।"
_আপনি ঠিক বলেছেন

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় বেলা শেষে ।

৪৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৭

মিনেসোটা বলেছেন: পরাজিত মধ্যবিত্ত যে আসলেই পরাজিত, তার প্রমান রেখে গেলেন

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৩৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: মানুষের সাফল্যের জন্য দুটি জিনিস বড় বেশী প্রয়োজন।
এক হলো-মেধা। আরেকটা হলো বিনয়।

উনি যা বুঝেছেন , তাই বলেছেন। উনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.