![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(এটি কোনো গল্প নয়, সত্য ঘটনা। তাই, বিনীত অনুরোধ করবো একটু সময় নিয়ে এ অসাধারণ শিক্ষণীয় গল্পটি পড়ার জন্য। বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার মাধ্যমেই হয়তোবা অন্ততঃ একজন মানুষের চিন্তা বদলে যেতে পারে। সত্যিকারের মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটতে পারে। মনপ্রাণে চাই এ গল্পের মূল ম্যাসেজটি যেন বেশী বেশী মানুষের কাছে পৌঁছায়। আর ব্লগ কর্তৃপক্ষ যদি প্রয়োজন মনে করেন তবে পোস্টটি স্টিকি করে অসংখ্য পাঠককে পড়ার সুযোগও করে দিতে পারেন- বিনম্র ধন্যবাদ)
চার্লস প্লাম্ব একজন যুদ্ধ বিমানের পাইলট। জীবনে ৭৫ টি কমবেট মিশনে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে অংশগ্রহণ করেন। আমেরিকা আর ভিয়েতনাম যুদ্ধে সেদিন ছিলো তার সর্বশেষ মিশন। সে যেন এক দুঃস্বপ্নের দিন।
ভূমি থেকে নিক্ষিপ্ত এয়ার মিশাইলের আঘাতে তার বিমান তখন আকাশে পুড়ছে। শিকারীর রাইফেলের গুলিতে উড়ন্ত পাখি যেমন দিশাহারা হয়ে ভূমিতে পতিত হয়- চার্লস প্লাম্বের অবস্থাও ঠিক তেমন। ভূমি থেকে ২৮ হাজার ফুট উঁচুতে অগ্নিদগ্ধ এক যান্ত্রিক যান। আর তার ভিতরে পুড়ছে এক মানব পাখি।
চার্লসের হাতে সময় বেশী নেই । মাত্র কয়েক সেকেন্ড। অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্লেনের ভিতর থাকলে পুড়ে মরতে হবে। আর প্যাারাসুট নিয়ে লাফ দিলে হয়তোবা জীবন বাঁচবে । কিন্তু শত্রুপক্ষের কাছে বন্দি হয়ে সারাজীবন কাটাতে হবে কারাগারের প্রকোষ্টে ।
চোখের সামনে ভাসছে সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর মুখ। শুধুই খবর পেয়েছেন। ছেলের চেহারা দেখার সুযোগ আজো হয়নি। ভাবলেন, আগে জীবন বাঁচুক। নিজে মুক্ত হতে না পারেন।কিন্তু সন্তানতো পিতাকে দেখে যাবার সুযোগ পাবে।
তিনি প্যারাস্যুট নিয়ে লাফ দিয়ে শত্রপক্ষের কাছে ধরা দিলেন। সুদীর্ঘ ছয়টি বছর কারাগারে থাকার পর ফিরে আসলেন ক্যানসাস শহরে তার আপনজনদের কাছে ।
চার্লসের ছেলে বব এখন অনেক বড় হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ইউএস ন্যাভিতে যোগ দিয়ে প্রশিক্ষণে চলে যাবে। চার্লস পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে এসেছেন ডীনার করতে।
এমন সময় একজন মধ্যবয়স্ক লোক এসে জিগ্গাসা করলো-
আপনি ক্যাপ্টেন চার্লস প্লাম্ব, তাই না?
হ্যাঁ। আমি চার্লস। আপনাকেতো চিনলাম না।
আপনি ইউএস ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এয়ার ক্রাফট ক্যরিয়ার কিটি হ্যাওকে ছিলেন। আপনার যুদ্ধ বিমানে আগুন লাগে। আর আপনি প্যারাস্যুটের মাধ্যমে জাম্প দিয়ে জীবন বাঁচান।
জ্বি। সেতো অনেকদিন আগের কথা। কয়েক সেকেন্ড দূরত্বেই সেদিন মৃত্যুকে খুব কাছ থেকেই দেখেছিলাম। কিন্তু আপনাকে এখনো আমি চিনতে পারিনি। আর আপনিই বা এতোসব কিছু জানেন কেমন করে?
স্যার, আমাকে আপনার চিনার কথাও না। এয়ার ক্রাফট ক্যারিয়ার কিটি হাঔকের আমি ছিলাম সাধারণ একজন সেইলর। আমার কাজ ছিলো- আপনার প্যারাস্যুট প্যাক করে দেয়া। আশাকরি সেটা সেদিন ঠিকমতোই কাজ করেছিলো।
লোকটি এতোটুকু বলে স্যালুট দিয়ে অল্পদূরে নিজের টেবিলে গিয়ে বসে।
চার্লসের মুখ থেকে যেন আর কোনো কথা বের হয়না। স্ত্রী আর পুত্র টেবিলের অন্যপাশে বসে আছে। ছেলে বব বুঝে ওঠতে পারছেনা বাবার হঠাৎ করে কি এমন হলো?
চার্লস চোখ বন্ধ করে লোকটির চেহারা মনে করার চিন্তা করেন। সাধারণ সেইলরের পোষাকে এই লোকটি সেসময় দেখতে কেমন ছিলো? এবার মনে পড়ে -অনেকবার তিনি এই লোকটিকে এয়ার ক্রাফট ক্যারীয়ারে দেখেছেন। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কতবার গটগট করে এই লোকটির সামনে দিয়ে হেঁটে গিয়েছেন। কিন্তু কোনোদিনও তার নামটি জানতে চাওয়া হয়নি? জানার ইচ্ছেও জাগেনি। বলা হয়নি কোনোদিন- তুমি কেমন আছো? জানতে চাওয়া হয়নি কোনোদিন তার কোনো কোশলাদি। আর হবেই বা কেন?উনি যে ছিলেন একজন যুদ্ধ বিমানের পাইলট আর লোকটি ছিলো অতি নিম্মপদবীর এক সামান্য সেইলর।
চার্লস নিজ পুত্র আর স্ত্রীকে নিয়ে এবার লোকটির সামনে আসেন। লোকটি চিন্তা করে ঘটনা কি? মনে মনে ভাবে একজন উর্ধ্বতন জাঁদরেল বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা'র সাথে এভাবে কথা বলা হয়তোবা শোভন হয়নি। সে চেয়ার ছেড়ে ওঠে দাঁড়ায়।
এরপর ঘটে এক অভাবনীয় ঘটনা। চার্লস বলেন- আপনি দাঁড়াবেন না ।আপনি বসুন। আপনি জানতে চেয়েছিলেন, সেই প্যারাসুট সেদিন ঠিকমতো কাজ করেছিলো কিনা?
লোকটি এবার সত্যি ভয় পায়? প্যারাস্যুট কি তবে ঠিকমতো কাজ করেনি সেদিন?
ক্যাপ্টেন চার্লস এক হাতে নিজ পুত্রকে ধরেন আরেক হাতে ধরেন স্ত্রী'র হাত। তারপর, তিনজনে একসাথে অতি নিমপদবীর সেইলরকে স্যালুট দিয়ে চার্লস বলেন- সেই প্যারাস্যুট যদি সেদিন ঠিকমতো কাজ না করতো তাহলে আজকে আমি আর এখানেই থাকতাম না। আমার দেহ সেদিন সেই মহুর্তেই আকাশেই ভস্মীভূত হয়ে ছাই হয়ে যেতো।
কোনোদিন আপনার কাছে কোনো কোশলাদি জানতে চাওয়া হয়নি। জানতে চাওয়া হয়নি আপনি কেমন আছেন? জানি, প্যারাস্যুট প্যাক করে দেয়াটা ছিলো আপনার চাকুরীর অংশ। সামান্য কোনো ভুল হলে, অথবা কাজে এতটুকু দেরী হলে প্রচন্ড ধমক খেয়েছেন। শাস্তি হয়েছে। অথচ দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এমনকি হয়তোবা বছরের পর বছর যে একাগ্রতার সাথে এ কাজটি আপনি করে গেছেন। সেজন্য কোনোদিন এতটুকু ধন্যবাদ পর্যন্ত আপনাকে জানানো হয়নি।
আজ আমার সুযোগ এসেছে-হয়তোবা এজন্যই আমাকে স্রষ্ঠা বাঁচিয়ে রেখেছেন। এতোটুকু উপলব্দি করার জন্য যে, এ জীবনে কোনো কাজই তুচ্ছ নয়। এ সমাজে কেউ অচ্ছুত নয়। পদমর্যাদায় সবাই হয়তোবা সমান না ।তবে মানুষ হিসাবেই সম্মানীয়। স্যালুট আপনাকে স্যার। আজ আপনিই আমার অভিবাদন গ্রহণ করুন।
এ ঘটনািট লিখতে গিয়ে নিজের জীবনেরই একটা কথা মনে পড়লো। আমার এক পরিচিত বড় ভাই তখন আর্মির ক্যাপ্টেন হয়েছেন। ধরাকে সরা গ্যান মনে করেন। মানুষকে মনে করেন তেলাপোকা বড়জোর হলে টিকটিকি। একদিন ওনার মোটর সাইকেলের পেছনে শাহবাগ হয়ে টিএসসি'র দিকে যাচ্ছি। এমন সময় একজন ট্রাফিক পুলিশ দাঁড় করিয়ে লাইসেন্স চাইলো।
সাথে সাথেই বড় ভাইয়ের সে কি চীৎকার। ব্লাডি ( এটা আর্মিদের মনে হয় একটা নিজস্ব স্টাইল,দুনিয়ার সবাইকে ব্লাডি বলে ধমক দেয়া)-তুই আমাকে চিনিস? জানিস আমি কে? তোর বসকে ডাক। এতোবড় স্পর্ধা সামান্য একটা ব্লাডি কনস্টেবল। আমাকে তুই রাস্তায় দাঁড় করিয়ে লাইসেন্স চাস? আমি তোর বাপ। যা, কান ধরে দাঁড়িয়ে থাক।
আমার তখন মনে হলো- হে রাব্বুল আলামীন। এই ট্রাফিক পুলিশকে পৃথিবীর সব মানুষ দেখলেও ওনার পুত্র কন্যাদের কেউ যেন উনাকে এই অবস্থায় না দেখে। পিতার চোখের সামনে পুত্রের অমর্যাদা হয়তোবা সহ্য করা যায়। কিন্তু পুত্রের চোখের সামনে পিতার এইভাবে দাঁড়িয়ে থাকা কোনো পুত্রের কাছেই সহ্য হবেনা।
কিছুদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম-একজন ব্যাংক কর্মকর্তাকে একজন ম্যজিস্ট্রেট পদবী'র কেউ শত মানুষের সামনে কলার ধরে শাসাচ্ছে। সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দীকিকে দেখেছিলাম-একজন কর্মকর্তাকে পানিতে নামিয়ে দিয়ে ময়লা পরিষ্কার করাতে। অন্যান্য মন্ত্রী মহোদয়দেরকেও মাঝে মধ্যে প্রায় চড় থাপ্পড় মারতে দেখা যায়। রনি ভাইকেও একবার দেখেছিলাম দিন দুপুরে ফ্রী কিক চালাতে। বড় একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে অনেকদিন আগে দেখেছিলাম ( নাম মনে হয় এডিসি কোহিনূর) একজন অতি বৃদ্ধ মানুষের কলার চেপে ধরতে। এগুলো হলো বড় ঘটনা। মাঝে মাঝেই ঘটে। আর বুকের ভিতর কেঁপে কেঁপে ওঠে।
এরকম, প্রতিদিন কত শত রিকসাড্রাইভার প্যাসেন্জারের কাছ থেকে, বাসের হেল্পার যাত্রীর কাছ থেকে, শ্রমিক মালিকের কাজ থেকে, কাজের ছেলে গৃহকর্তার কাজ থেকে, হলের সাধারণ ছাত্র ছাত্রী দলীয় ক্যাডারদের কাজ থেকে, অফিসের কেরানী বসের কাছ থেকে সামান্য ভুলের জন্য চড় থাপ্পড় ধমক অবিরাম খেয়েই যাচ্ছেন।
অথচ যে ছেলেটি দিনের পর দিন শার্ট ইস্ত্রি করে দিলো -তাকে কোনোদিন কি ধন্যবাদ দিয়েছি? কিন্তু যদি কখনো এতোটুকু কাপড় নষ্ট হয়-সেদিন ধমক দিতে দেরী করিনি।
যে কাজের লোকটি প্রতিদিন ঘরদোর পরিষ্কার করে রাখলো- তাকেও কি কোনোদিন ধন্যবাদ দিয়েছি? অথচ কাজে এতোটুকু অবহেলা হলে রেহাই দেইনি।
যে ট্রাফিক পুলিশ শীতে , বর্ষায়, গরমে, সকালে , দুপুরে , রাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে ট্রাফিক কন্ট্রোল করে সেবা দিয়ে গেলো- তাঁকে কি কোনোদিন ধন্যবাদ দিয়েছি? অথচ ক্ষমতার সুযোগ পেলেই ইচ্ছেমতো শাসিয়ে দিয়েছি।
যে রিকসার ড্রাইভার- প্রতিদিন গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে গেলো-তাঁকেও কি একবার ধন্যবাদ দিয়েছি? অথচ একটু দেরী হলে-প্যাডেল জোরে চাপ দিতে না পারলে রীতিমতো চড়াও হয়েছি।
যে বৃদ্ধ খেয়া মাঝি স্রোতের আর জীবনের প্রতিকূলে নৌকা বেয়ে ঘাট পার করে দিলো- তাঁকে কি ধন্যবাদ দিয়েছি? অথচ শার্টে একটু কাদা অথবা জল লেগে গেলে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়েছি।
যে ছেলেটি প্রতিদিন ক্যান্টিনে খাবার পরিবেশন করে গেলো-তাকেও কি একবার ধন্যবাদ দিয়েছি? অথচ একটু এদিক ওদিক হলেই ইচ্ছেমতো চড় থাপ্পড় মেরে ছাত্রত্বের বাহবা নিয়েছি।
যে ফেরীওয়ালা সারাদিন ফেরি করে পণ্য সামগ্রী দরজা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছে, তাকেও কি কোনোদিন ধন্যবাদ দিয়েছি? অথচ নিজের এতোটুকু মর্জি মাফিক না হলে, একটু জোরে চেচিয়ে ফেরী করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছি।
রোদে পুড়ে , জলে ভিজে যে কৃষক ফসলের মাঠ থেকে খাবার আমার একেবারে টেবিল পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে গেলো তাঁকেও কোনোদিন ধন্যবাদ দেইনি। ষোল , আঠারো ঘন্টা গার্মেন্টসের ভিতর বন্ধি হয়ে যে মেয়েটি আমার বস্ত্র তৈরী করলো তাকেও কোনোদিন ধন্যবাদ দেইনি। যে শ্রমিক ইট ,কংক্রিট, পাথর ভেঙ্গে ভেঙ্গে আমার মাথার ওপর ছাদ তৈরী করে দিলো তাকে ও কোনোদিন ধন্যবাদ দেইনি। যে কুলি, দিনমজুর আমার ইয়া বড় বড় লাগেজ,স্যুটকেস বাসে, ট্রেনে, গাড়ীতে তোলে দিলো তাকেও কোনোদিন ধন্যবাদ দেইনি।যে মুচি আমার জুতো হাতে নিয়ে চকচক করে দিলো-তাকেও কোনোদিন ধন্যবাদ দেইনি।যে মুয়াজ্জিন প্রতিদিন ভোরে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর আযান দিয়ে আমাকে প্রার্থণা করার জন্য আহ্বান জানালো তাঁকেও কোনোদিন ধণ্যবাদ দেইনি।
এরা হয়তোবা ক্যাপ্টেন চার্লসের মতো আমাদের কাউকেই মৃত্যুর হাত থেকে সরাসরি বাঁচায়নি ।তবে এদের সবার মিলিত অবদান আমাদের জীবন বাঁচানোর একেকটি প্যারাস্যুট প্রতিদিনই তৈরি করে দিয়েই যাচ্ছে।
আজ আমেরিকার "থ্যাঙকস গিভিং হলি ডে"। একটা অসাধারণ জীবন দিয়ে এই সুন্দর পৃথিবীর অপরুপ রুপ দেখানোর জন্য রাব্বুল আলামীনের প্রতি ধন্যবাদ, শোকরিয়া জানাচ্ছি। চুপ মেরে সেদিন মোটর সাইকেলের পেছনে বসে থেকে একজন নিরাপরাধ ট্রাফিক পুলিশের কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকার কোনো প্রতিবাদ করতে না পারায় আজ এতোদিন পর আপনার কাছে করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
আর যারা নানাভাবে প্রতি পদে পদে নীরবে, নিভৃতে, একাগ্রতার সাথে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ক্লান্তিহীন, বিরামহীন ভাবে আমাদের জন্য প্যারাস্যুট প্যাক করে দিয়েই চলেছেন। তাদেরকে আর ধন্যবাদ জানালাম না।
বরং দাঁড়িয়ে আপনাদের সবাইকে স্যালুট জানালাম।স্যালুট, স্যালুট, স্যালুট।
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মামুন রশিদ বলেছেন: এ জীবনে কোনো কাজই তুচ্ছ নয়। এ সমাজে কেউ অচ্ছুত নয়। পদমর্যাদায় সবাই হয়তোবা সমান না ।তবে মানুষ হিসাবেই সম্মানীয়।
গল্পের মাধ্যমে আমাদের হীন কুৎসিত অহংকারী জাত্যাভিমানের মুখোশটা খুলে দিয়েছেন । সত্যি কোন কাজ তুচ্ছ নয়, কোন মানুষও । আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আসুক, আমাদের বিবেকবোধ জাগ্রত হোক ।
চমৎকার শিক্ষামুলক গল্পটার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইজান ।
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বোধ ছড়িয়ে যাক , সবার মাঝে ...।
৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১০
আবু শাকিল বলেছেন: সবার উপরে মানুষ সত্য,তাহার উপরে নাই।
সবার মাঝে মূল্যবোধ জেগে থাকুক।
৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৬
খেলাঘর বলেছেন:
ওরা ছিল আমেরিকান, ওরা সুশিক্ষিত; একদিনে ওদের মত হয়ে যেতে চান?
স্টিকি করার মত লেখা নয়।
৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মনটা মনে হয় বেশী নরম!
নইলে লেখার মাঝে এত আবেগ আর আবেশে চোখ জ্বলবে কেন???
.................
যারা নানাভাবে প্রতি পদে পদে নীরবে, নিভৃতে, একাগ্রতার সাথে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ক্লান্তিহীন, বিরামহীন ভাবে আমাদের জন্য প্যারাস্যুট প্যাক করে দিয়েই চলেছেন। তাদেরকে আর ধন্যবাদ জানালাম না।
বরং দাঁড়িয়ে আপনাদের সবাইকে স্যালুট জানালাম।
স্যালুট, স্যালুট, স্যালুট।
ভাবুক আত্মায় শিহরন, জাগরণ তোলা পোষ্টের জন্য আপনাকেও স্যালুট ।
৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
সকাল রয় বলেছেন:
অনেক কিছু যেন পেলাম....
ধন্যবাদ
৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
টাচড!
লেখাটি আমি শেয়ার করলাম খেয়াঘাট ভাই.... ফেবুতে
অনেক শুভেচ্ছা
৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনি এদেশের সানুষের কাছ থেকে বড্ড বেশী আশা করে ফেলেছেন। দুনিয়ার অন্যতম অসভ্য অশিক্ষিত অকৃতজ্ঞ জাতি আমরা। ধন্যবাদ দিতে জানিনা। ক্ষমতার মধ্যে থেকে মানুষকে অপমান করতে বাঁধেনা। এডিসি কোহিনুরের মত বাংলাদিশী ম্যালা আছে এদেশে, আরো তৈরী হচ্ছে, শিক্ষা বিভাগের কল্যানে, জিপিএ ৫ এর বদৌলতে। ধন্যবাদ।
১০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৩
শাহ আজিজ বলেছেন: ভালো লাগলো ভ্রাতা।
পরাধীনতা আমাদের এক করে রেখেছিল একটি ছাতার নিচে
স্বাধীনতা এসে বিভেদের ছাতা নিল তুলে। ( আমার লেখা)
আমরা ব্লাডি সিভিলিয়ান এটা এখন প্রকাশ্য। যুদ্ধের স্বাদ একরকম আর যুদ্ধহীন সৈনিক জীবন আরেক রকম । এটি ক্রমশ বাড়ছে। আচার আচরনের ব্যাপক ট্রেড কোর্স দরকার এজন্য যে জীবন যেন সংঘাতময় না হয়ে ওঠে। ভালো থাকুন।
১১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
তুষার কাব্য বলেছেন: মূল্যবোধের জয় হোক...
১২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: অসাধারন পোস্ট। পৃথিবীর কোন মানুষ কিংবা কারো কাজই ছোট নয়। তাই সবাই প্রাপ্য সম্মান ও ধন্যবাদ দেয়া উচিত।
১৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৬
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অসাধারণ ঘটনা । অসাধারণ আপনার লেখার ধরণ ।
ভাল থাকবেন প্রিয় খেয়াঘাট ভাই ।
১৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৯
সুমন কর বলেছেন: সবাই নিজেকে বড় ভাবে এবং ভাবেন উনিই ঠিক। বাকি সব বেঠিক।
অামি নিজেই দেখেছি, মানুষ হিংসা অার লোভের কারণে কতো তাড়াতাড়ি পরিবর্তিত হয়ে যায়।
বাংলাদেশের মানুষের মূল্যবোধ কখনো বদলাবে না।
পোস্টে ভাল লাগা।
১৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৬
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: দারুণ পোস্ট ! শেখার আছে অনেক কিছুই ! ++++++++++++++++++
১৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছোটোবেলায় আমার নানাবাড়িতে একই পাটিতে পাশাপাশি বসে আমার নানা, মামা, বাড়ির রাখাল, আমার বাবা এবং আমি একসাথে বসে খাওয়া-দাওয়া করেছি। আমার নানি বা আমার মা খাবার বেড়ে দিত।
আমাদের বাড়িতে আজকাল রাখাল নেই, কিন্তু কাজের লোক এবং বুয়া আছে। তারা দিনরাত কাজ করে আমাদের ঘরবাড়ি আর থালাবাসন পরিষ্কার করে। আমাদের জন্য উন্নত খাবার তৈরি করে। তাদের মাস শেষে হয়তো বেতন দিই, কিন্তু তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা বা ধন্যবাদ জ্ঞাপনের কথা আমরা ভুলে যই। আমি জানি না, আমার সেই নানাবাড়ির মতো জীবনে কজন মানুষ বাড়ির বুয়া, কাজের লোকদের নিয়ে একসাথে ডাইনিং টেবিলে বসে খাওয়া-দাওয়া করতে পেরেছেন।
আমরা যেন মুখে মুখে শুধু নীতিবাক্য বা মহৎ গল্প না শোনাই, নিজ পরিবারে বা নিজের সমাজে যেন নিজে উদাহরণ সৃষ্টি করে দেখাই, লেখক ও পাঠকদের কাছে আমার বিনীত আহ্বান থাকলো।
পোস্ট ভালো লাগলো।
‘আর ব্লগ কর্তৃপক্ষ যদি প্রয়োজন মনে করেন তবে পোস্টটি স্টিকি করে অসংখ্য পাঠককে পড়ার সুযোগও করে দিতে পারেন’- আপনি নিজেই তো বললেন, আমার আর কিছু বলার নেই
শুভেচ্ছা।
১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৭
বিধুভূষণ ভট্টাচার্য বলেছেন: স্যালুট।
১৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৩
খেয়া ঘাট বলেছেন: কষ্ট করে পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাদের সবাইকে আমার বিনীত ধন্যবাদ।
১৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫
আরজু মুন জারিন বলেছেন: চমৎকার লেখা.।অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
২০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯
আমিনুর রহমান বলেছেন:
স্যালুট।
২১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
নুসরাতসুলতানা বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমরা যেন মুখে মুখে শুধু নীতিবাক্য বা মহৎ গল্প না শোনাই, নিজ পরিবারে বা নিজের সমাজে যেন নিজে উদাহরণ সৃষ্টি করে দেখাই, লেখক ও পাঠকদের কাছে আমার বিনীত আহ্বান থাকলো।
২২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
কলমের কালি শেষ বলেছেন: বেশ গুরুত্বপূর্ন বিষয় তুলে ধরেছেন ।
২৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭
ডি মুন বলেছেন: এমন একটা লেখা উপহার দেয়ার জন্যে আপনাকেও স্যালুট
প্রিয়তে নিলাম।
+++++++++++
শুভেচ্ছা নিন প্রিয় খেয়াঘাট ভাই
পোস্টটা স্টিকি করার কথা ভেবে দেখতে পারেন ব্লগ কর্তৃপক্ষ। মানবিক মূল্যবোধ বৃদ্ধিতে এমন লেখা পাঠ করা এখন সত্যিই ভীষণ জরুরী।
২৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: চমৎকার একটি লেখা @খেয়াখাট । ৯ম ভালোলাগা +
এই মাসেরই একটা অভিজ্ঞতা বলি । মিরপুর ১৩ এর ডেস্কো অফিসে গিয়েছিলাম , বিদ্যুতের নতুন সংযোগের বিল দিতে । ১২ টায় পৌঁছে কাগজপত্র প্রস্তুত করে যখন লাইনে দাড়াই প্রায় দুইটা বাজে । জন বিশেক ছিল লাইনে । কিন্তু এক একজনের সে কি চিল্লা পাল্লা ! হা ! এতো দেরী লাগে ! এতো স্লো কেন ! কখন বাসায় যাবো ! ধেত্তুরি ! ক্ষুধা লেগেছে ! কতো রকমের কতো যে কথা !
কিন্তু লোকগুলো কিন্তু নন স্টপ কাজ করে যাচ্ছিল । এক এক জন অনেকগুলো করে বিল নিয়ে এসেছিলো । প্রত্যেকটি বিল দেখে , ডাটা এন্ট্রি করে , টাকা রিসিভ করে , রিসিট সহকারে সব কাজ সম্পন্ন করেই তারা দিচ্ছিল । তাই সময় একটু বেশী লাগছিলো । আমি গেলাম ৩টায় । এদিকে ৪ টায় আমাকে একটা সেমিনারে যেতে হবে জাতীয় গ্রন্থাগারে । কিন্তু কি আর করার ! লোকগুলো কিন্তু তখনও লাঞ্চ করে নি !!
আমি কাজ শেষে তাকে বললাম - অনেক ধন্যবাদ ভাই , অনেক কষ্ট করলেন ।
লোকটা আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো । আমি চলে আসলাম ।
রিক্সাওয়ালাকে আগের মতো - ঐ জাবি/যাবা বলি না । যাবেন বলি । না যেতে চাইলে নাই ।
সকলের ই সম্মান পাওয়ার অধিকার আছে ।
আমাদের ভিতরে সাধারণ সৌজন্যবোধের খুব অভাব । মন থেকে তো আরও অভাবী আমরা । এটার পরিবর্তন হোক , সেটাই চাই ।
ভালো থাকবেন সবসময় ।
২৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪
সোহেল মাহমুদ বলেছেন: অনেক ভাল লাগল আপনার লেখা।
শুভবোধ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে।
২৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯
অপু তানভীর বলেছেন: চমৎকার লেখা !
২৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঘটনার মূল থিমের সাথে সম্পূর্ণ সহমত এবং লেখায় +++। কিন্তু মেকি আমেরিকানদের থ্যাংস গিভিং ডে নামক আদিখ্যেতা মেনে নিতে কষ্ট হয়। এরা সেই জাতি যারা সারা বিশ্বে অশান্তি ছড়িয়ে বেড়ায় আর নিজের ঘরনায় মানবতা নাটক মঞ্চায়িত করে,
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।
২৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৫
খেয়া ঘাট বলেছেন: সবার চমৎকার সব মন্তব্যগুলোর আলাদা করে জবাব দেয়া খুবই দরকার ছিলো। কিন্তু আমি কাজের গিট্টুতে আটকে গেছি। হলিডেতে সবাই ছুটি কাটাচ্ছে। আমারও ছুটি ছিলো।কিন্তু এতো বেশি কাজ। তাই ঘরে বসেই অফিসের কাজ শেষ করতে হচ্ছে। তারউপর এখন বাজে সকাল দশটাঊনিশ মিনিট। ক্ষুধা লেগেছে খুব। বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা। বের হয়ে যে সকালের নাস্তা শেষ করবো- সে ইচ্ছেও হচ্ছেনা। আর এতো ক্ষুধা নিয়ে মন্তব্যের জবাব লিখবো কেমন করে? উল্টাপাল্টা হয়ে যাবে। তাই মন্তব্যগুলোসব বুকমার্ক করে রাখলাম। এখন হৃদয়নিংড়ানো ধন্যবাদ জানিয়ে আপাতত বিদায় নিচ্ছি। অনেক শুভকামনা রইলো, অনেক কোশল কামনা করছি।
২৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অসাধারন বন্ধু +
৩০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ একটি বিষয় আপনার প্রাঞ্জল লেখনীতে বাঙময় হয়ে উঠেছে।
৩১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৭
খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রইলো।
৩২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৪০
টাবলীগহেপী বলেছেন: "আমাদের ভিতরে সাধারণ সৌজন্যবোধের খুব অভাব । মন থেকে তো আরও অভাবী আমরা।
এটার পরিবর্তন হোক , সেটাই চাই ।"
"সবার চমৎকার সব মন্তব্যগুলোর আলাদা করে জবাব দেয়া খুবই দরকার ছিলো। কিন্তু আমি কাজের গিট্টুতে আটকে গেছি। "
প্রানের স্পর্শে যাদেরে আমি সম্মান করতে বাধ্য।
বাকি সবার প্রতি আমার হাযারও ছালাম।
৩৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:০৮
ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: আপনার এই গুনটা আমার খুব ভালো লাগে,আপনার ভাবনা দৃষ্টি এড়ায়না কোন কিছুই যা মানব জীবনের জন্য খুব জরুরী।
অসাধারণ কিছু মানব গুনের কথা আপনি বলেছেন,এই গুন গুলোর যদি পঞ্চাশ ভাগ একটা মানুষের মধ্যে থাকে আর এইভাবে যদি সমাজের প্রতিটা মানুষ বেড়ে উঠে তাহলে পৃথিবীটাই স্বর্গ হয়ে যেতো।
এগুলো সব পারিবারিক শিক্ষা খেয়া,আপনি এমন লেখা হাজারো লিখে সামুর দেয়ালে বছর বছর টাঙ্গিয়ে রাখলে আমাকে বদলাতে পারবেন কিনা আমি জানিনা,তবে আপনি পারবেন আপনার কোলের সন্তানের মসৃণ মগজে আলতো করে বসিয়ে দিতে এই সুন্দর নিঃষ্পাপ ভাবনা গুলো,এবং এভাবেই একদিন পৃথিবীটা স্বর্গ বানিয়ে ফেলা সম্ভব।নিদেন পক্ষে আমাদে দেশটা।সেই কারণে আমাদের দেশের নারীদের সুশিক্ষিত হতে হবে,একটা নারীই পারে সমাজটা বদলে দিতে তার কোলের সন্তানকে দিয়ে।একটা সত্যিকারের মানুষ হতে পারিবারিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই খেয়া।
আমার মনে আছে ,খুব ছোট ছিলাম,এক ঈদে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম,সেই প্রথম গ্রাম দেখা, জমিতে মরিচ টোমেটো সহ নানা জাতের সব্জি গাছ দেখে আমরা দুই ভাইবোন অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম,এবং হাতের মুঠোয় কয়টা কাঁচা মরিচ নিয়ে যখন বাসায় ফিরে আম্মুর হাতে দেই তখনি ঈদের দিন মায়ের হাতে ভিষণ জোরে একটা চড় খেয়েছিলাম। কাউকে না জানিয়ে তার কোন কিছু নিয়ে আসার নাম চুরি,সেটা বুঝাতেই আমার আম্মুর এই শাষণ এই চড় যা কখনো ভুলিনি।
বাসায় আমার চেয়ে বয়সে বড় সেই কাজের মেয়ে ডলি আপুর সাথে বাজে ব্যবহার করা নিয়ে আম্মু বাসার ছাদে তুলে সুর্য্য মুখি করে কপালে ৫ পয়শার কয়েন রেখে অনেক সময় দাড় করিয়ে রেখেছিলো। সেই থেকে কাজের মেয়ে আমার বড় আপু মতই হয়ে যায়।
এইভাবেই একটা শিশুকে মানুষের মত মানুষ করে তোলা যায়।পরিবারের যথাযথ শিক্ষাই পারে একটা সমাজকে বদলাতে।তাই আপনার এই লেখার মুল্য কোন ব্লগারের কাছে থাকুক আর না থাকুক,সামু ষ্টিকি করুক আর না করুক আমি চাইবো যারা বাবা হবেন কিংবা মা তারা যেন তার সন্তানকে পরম মমতায় এমন সব মানবীয় গুন গুলো শিক্ষা দেন।তবেই এই লেখার যথাযথ মুল্য দেয়া হবে।
আপনাকে ধন্যাবাদ
৩৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:২১
অন্তরন্তর বলেছেন:
বরাবরের মতই অপূর্ব একটা লিখা প্রিয় খেয়াঘাট।
ভাল থাকুন সর্বদা।
৩৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: আমার বিনীত ধন্যবাদ রইলো।
৩৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
ভোরের সূর্য বলেছেন: কেমন আছেন ভাই? অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। আসলে আমারি দোষ আপনার লেখা না পড়াটা।
আপনাকে স্যালুট এজন্য যে আপনি খুব তুচ্ছ কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা, পরিস্থিতি খুব সুন্দর এবং আবেগ দিয়ে আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।যাদের বিবেক আছে তারা সবাই আপনার কথাগুলো হৃদয়াঙ্গম করতে পারবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬
নতুন বলেছেন: যখন কেউ খারাপ ব্যবহার করে..... তখন সে তার ভদ্রতার মুখোশ ছেড়ে নিজের আসল চেহারা দেখায়...
কোথায় যেন পড়েছিলাম...একজন মানুষ কেমন তা তার চেয়ে দরিদ্র/নিচু কাজ করে তাদের সাথে ব্যবহারে তার প্রমান পাওয়া যায়...
আমাদের ধন্যবাদ দেবার প্রবনতা নেই... আছে নিজেকে জাহির করার...
মনে বিনয় না থাকলে ধন্যবাদ হৃদয় থেকে আসেনা..