![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক মিনিটের গল্পঃ শকুন।
ছোট শকুনের বাচ্ছা তার মা'কে বলে- মা'গো বড় ক্ষুধা পেয়েছে। একটু মাংস খাবো। মরা, পঁচা মাংসে কোনো স্বাদ নেইগো মা। একটু তাজা রক্তাক্ত মাংস খেতে চাই। মানুষের মাংসের স্বাদই বড় আলাদা।
শুকুনের মা ধমক দিয়ে বলেন- ইস। কত কিছু যে মন খেতে মন চায়। মরা গরুর মাংস জুটেনা। তারওপর আবার মানুষের মাংস। তাও আবার হতে হবে তাজা। কি আহ্লাদ। একথা বলেই -মা মাংসের সন্ধানে বের হয়। সন্ধ্যা হলে এক টুকরো মাংস মুখে নিয়ে ঘরে ফিরে।
শুকুনের বাচ্ছা -সেই মাংস মুখে নিয়েই বলে- মা এতো মরা শুকরের মাংস। তোমাকে না বলেছিলাম- মানুষের মাংস খাবো।এই মাংস কি খাওয়া যায়?
পরদিন মা শকুন আবার বের হয়। উড়তে থাকে গ্রামের পর গ্রাম। সন্ধ্যায় আরেক টুকরো মাংস নিয়ে ঘরে ফিরে।
শুকুনের বাচ্ছা বলে- মাগো এতো গরুর মাংস। এসব কি খাওয়া যায়? বললাম না, মানুষের মাংস খাবো।
পরদিন শকুন আর মাংসের সন্ধানে যায় না। এক তাঁতী পাড়ার ওপর ওড়তে থাকে। তারপর এক কৌটা লাল রঙ নিয়ে ঘরে ফিরে।
শকুনের বাচ্ছা অস্থির।সে মানুষের তাজা মাংস খাওয়ার অপেক্ষায় আছে।
এবার মা শকুন-তাঁতী পাড়া থেকে নিয়ে আসা লাল রঙ মরা শুকর আর গরুর মাংসের সাথে মিশায়। দেখতে একেবারে তাজা।
বাচ্ছা শকুন - মায়ের দিয়ে চেয়ে থাকে। মা কি মরা ,বাসী মাংসকে তাজা বানিয়ে তাকে ধোঁকা দিতে চায়?
মা শকুন মাংস খন্ডদুটো নিয়ে এবার আকাশে ওড়ে। প্রথমে ওড়ে যায় এক মুসলিম পাড়ায়। তারপর এক হিন্দু পাড়ায়। এরপর ঘরে ফিরে আসে।
বাচ্ছা শকুন মায়ের ঠোঁট দেখে। তারপর পায়ের নখ দেখে। না কোথাও কোনো খাবার নেই। তারপর বলে- কিগো মা, খাবার কই।
মা বলেন- আর মাত্র কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা কর। কিছুক্ষণ পরই বাতাসে মানুষের তাজা রক্তের গন্ধ পাবি। এতো লাশ পড়বে মানুষ মরা দেহ কবর দেবার ও সময় পাবেনা, মরা দেহ ভস্ম করারও সময় পাবেনা।
শকুনের কথাই ঠিক হয়- এক হিন্দু লোক মন্দিরের পাশে লাল রক্তের তাজা গরুর মাংসের টুকরো দেখেই দেবীকে প্রণাম করে বলে-যে গো মাতাকে খুণ করে মন্দিরের পাশে খন্ডিত দেহ ফেলে রেখে গিয়েছে-সেই মুসলমানদের দেহ টুকরো টুকরো করে না কাটা পর্যন্ত ঘরে ফিরছিনা গো মা।
ঠিক তেমনি- এক মসজিদের পাশে শুয়োরের মাংসের তাজা মাংসের টুকরো দেখে এক মুসলমান -চীৎকার করে বলে- এগুলো বিধর্মী হিন্দুদের কান্ড। আল্লাহর পবিত্র ঘরকে নাপাক করার জঘন্য ষড়যন্ত্র। এদেরকে মেরে টুকরো টুকরো করে হয় শহীদ হবো না হয় গাজী হবো।
হায় হিন্দু ! হায় মুসলমান!! একবার যাচাই করে দেখলোনা, একটি বার বিবেকটুকু খাটিয়ে চিন্তাও করলোনা। এগুলো হলো সমাজে মাংস খাওয়ার লোভে থাকা অত্যন্ত দূরন্দর প্রকৃতির , সুযোগ সন্ধানী অল্প সংখ্যক শকুন প্রজাতির মানুষের কুটচাল। আর এক টুকরো মাংস পড়ে থাকলে- কোনো দেবীর অবমাননা হয়না, কোনো মসজিদও অপবিত্র হয়না। প্রণামের আর পুজোর সর্বোত্তম পবিত্রতাতো শুরু হয় মানুষের আত্মা থেকে। মানুষের এই আত্মাই অপবিত্র হয়, এই আত্মাই কলুষিত হয়।
(একটা শুনা কথাকে গল্পাকারে লিখার প্রচেষ্ঠা।)
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২১
খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই।
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: গল্পাকারে আমাদের বাস্তববতাই তো চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।। অনেক বলাই ব্যক্ত হলো ।।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২১
খেয়া ঘাট বলেছেন: আমার বিনম্র ধন্যবাদ রইলো
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৮
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: দারুন গল্প।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১
খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভাই।
৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাল হয়েছে
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২
খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রইলো ভাই।
৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২০
অগ্নি সারথি বলেছেন: হায় হিন্দু ! হায় মুসলমান!! একবার যাচাই করে দেখলোনা, একটি বার বিবেকটুকু খাটিয়ে চিন্তাও করলোনা।
বাস্তবিক এরা বিবেকটুকু খাটিয়ে চিন্তা করতে পারেনা।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২
খেয়া ঘাট বলেছেন: সবিনয় ধন্যবাদ রইলো ভাই।
৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৭
ঘুম হ্যাপি বলেছেন: চমৎকার।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২
খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রইলো।
৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শকুনেরা করে কোলাহল
নির্বোধেরা ময়দানে
বিবেকের চোখ বন্ধ
জ্ঞানের আলো ম্রিয়মান
অনাগত ঘোর অমানিশায় হতাশ আমজনতা।
রক্তের ঘ্রাণে মাতাল
শুয়োর দাতাল
ঘোৎঘোৎ করে
স্বার্থের মিডিয়াবীনে;
বিভাজনের দেয়ালে
আটকে পড়া মানবতা !
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
খেয়া ঘাট বলেছেন: প্রতিটি বাক্যই চমৎকার। অনেক ধন্যবাদ রইলো।
৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮
মুদ্দাকির বলেছেন: বেশিরভাগই এই রকম মনুষ্য শকুনের কাজ,
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৫
খেয়া ঘাট বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাইজান।
৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৪
সুমন কর বলেছেন: প্রণামের আর পুজোর সর্বোত্তম পবিত্রতাতো শুরু হয় মানুষের আত্মা থেকে। মানুষের এই আত্মাই অপবিত্র হয়, এই আত্মাই কলুষিত হয়।
দারুণ দারুণ.....আপনার এ সিরিজটি খুব মিস করি।
ভালো লাগা রইলো।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাদের সুন্দর মন্তব্যগুলো লেখার অনুপ্রেরণা যোগায়। শুভকামনা রইলো প্রিয় সুমন ভাই।
১০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: খেয়া ঘাট ,
দারুন স্যাটায়ার । তবে "মা বলেন- আর মাত্র কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা কর। কিছুক্ষণ পরই বাতাসে মানুষের তাজা রক্তের গন্ধ পাবি। এতো লাশ পড়বে মানুষ মরা দেহ কবর দেবার ও সময় পাবেনা, মরা দেহ ভস্ম করারও সময় পাবেনা। ' এখানেই শেষ করলে ভালো হতো ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪০
খেয়া ঘাট বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ঐরকমই চিন্তা করেছিলাম। বিনম্র ধন্যবাদ রইলো।
১১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০১
এস কাজী বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে। বর্তমান অবস্থাকে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন স্যাটায়ার এর মাধ্যমে ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪০
খেয়া ঘাট বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ রইলো।
১২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৭
শান্তির দেবদূত বলেছেন: গল্পের মেসেজটা খুব ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছা রইল।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪১
খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেকদিন পর দেখা হলো। মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো।
১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লেগেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৫
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভালই হয়েছে।