![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কলকাইত্তা পকেটমার মদনার নিমন্ত্রণে ঢাকাইয়া পকেটমার মপিজ বেড়াতে এসেছে।
মদনাঃ ব্যবসা কেমন চলছে গো দাদা?
মপিজঃ আমরা ঢাকার পোলা, এ কও কিলা, এক চুটকিতেই চালাই খেলা।
টিকাটুলি থেকে সায়েদাবাদ, আর গাবতলী থেকে মীরপুর
দু আঙ্গুলেই কাটছিগো দাদা- সকাল, সন্ধ্যা, রাত দুপুর।
মদনা মপিজের কথায় খুব খুশী হয়। দুজনে একবারে হরিহর বন্ধু। কথা বলতে বলতে রসগোল্লার দোকানে ঢুকে। মদনা বলে- তুমি আমার শহরে এসেছো , একেবারে বেশ করে খাও। দেশে গিয়ে বদনাম করিসনে গো দাদাভাই।
দুজনে ইচ্ছেমতো খেয়ে বের হয়। মদনা শুধু মপিজের খাওয়ার বিলই পরিশোধ করেনা। নিজ টাকায় বন্ধুর জন্য টিকেট কাটে।এমনকি আরো কয়েকটি রসগোল্লার হাড়ি মপিজের জন্য কিনে দিয়ে বন্ধুকে বিদেয় করে।
এইপাড়ে এসে মপিজ একটা সিগারেট কিনতে যাবে। পকেটে হাত দিয়ে দেখে - কাম সারছে। রসগোল্লার দোকানেই মদনা যা ঘটানোর ঘটিয়েছে। সে মিটমিট করে হাসে। ঠিকই আছে, পকেটমারের সংবিধানে- ভাই, বেরাদর, বন্ধু স্বজন- সবাই কাস্টমার। সুযোগ পেলেই মেরে দিতে হয়। না হলে যে পকেটমারের স্বভাব আর চরিত্র নষ্ট হয়ে যায়।
মদনা ঘরে ফিরতেই তার স্ত্রী বলে- কিগো- বন্ধুরে পেয়ে যে বউকে একেবারে ভুলে গেলে। কয়টা বাজে খেয়াল আছে?
কয়টা'র কথা খেয়াল হতেই মদনা হাতের দিকে চেয়ে দেখে- এদিকেও কাম একেবারে সারার মতো সারছে। মপিজকে এতো চোখে চোখে রাখার পরও - চুটকিতেই কোন ফাঁকে মেরে দিয়েছে।
এর কিছুদিন পর- মদনা এবার ঢাকা আসে। দোয়েল চত্বর পার হয়ে চীনাবাদাম খেতে খেতে দুজন রমনা পার্কে ঢুকে ।
দুজন দুজনাকে খুব ভালো করে নজরে রেখেছে। চোখের বাইরে কেউ কাউরে যেতে দেয়না।
মপিজ বলে,তা, আবে হালায় আছোস ক্যামন? মালপাতি কাটতাছোস কেমন?
মদনাঃ আর দাদা বলিস্ না।
হাওড়া থেকে শিয়ালদহ , রেসকোর্স থেকে শালিমার।
নাচাইছি কলকাত্তা শহর, সব যে দু আঙ্গুলের কারবার।
মপিজঃ আবে কামডা করছস কি? এই পার্ক অইলো আমগো হেডকোয়ার্টার। এইখানে সবার একটা পরীক্ষা হয়। দিবি নাকি একখান পরীক্ষা। বুঝি তুই কেমন মাতার? দোস্ত, ওই যে দেখবার লাগছস উঁচা খাড়া একখান গাছ। এউগা কালা কাউয়্যার বাসা ভি দ্যাহা যাইতাছে। ওর পেডের নিচে ধলা আন্ডা ভি আছে। এউগা আন্ডা গাছে উইঠা এমুন কইর্যা লইয়্যা আইবি মাগার কাউয়া উড়বার পারব না। পারবি? পারলেই - তোর সাট্টিফিকেট হালায় আমি লিখুম। আর তোরে গুরু মানুম ,হারা জিন্দেগীর গুরু।
কথা কওন শেষ হতে না হতেই মদনা গাছে উইডা কাউয়্যার তলা থাইক্যা এমুন নিঁখুত ভাবে আন্ডা লইয়া আইলো কাউয়্যা ভি মাগর টেরই পাইলোনা। এবার গোঁফে তা দিয়ে ঝাড়ি দিয়া কয়- তুমি কি আমাকে বাঙ্গাল পেয়েছো গো দাদা। বুলেছিলাম না- দু আঙ্গুলে কোলকাতা নাচাইছি। আরে এতো সামান্য দু কাউয়্যা। ওপরে এক পক্ষী কাউয়া আর নীচে এক বাঙ্গাল কাউয়্যা।
দু কাউয়্যার এক কাউয়্যাও ঠের পেলিনা দাদা। ওপরে চেয়ে দেখো দাদা- তোমার টুপি গাছের মগডালে কত সুন্দর হাওয়ায় উড়ছে। টুপি এখন পুরো ঢাকা শহর দেখে।
মপিজঃ হ,বুঝছি। তুই কলকাত্তারে দু আঙ্গুলে নাচাছ ঠিকই। আন্ডাভি লইয়া আইছোস ঠিকই, পক্ষী ঠেরই পায় নাই, ঠিকই।আমার টুপিও গাছে উড়াইতাছোস, ঠিকই। কসম খোদা কিছুইবি বুঝবারই পারি নাই। পন্নাম নে গো দাদা ।পন্নাম নে।
মাগর গাছে উঠোনের টাইমে যে দুই আঙুলে তোর ধুতি আমি খুইলা রাইখা দিছি, তুই তো হালায় ট্যারই পাছনাইক্যা। নিচে একবার হাত দিয়া হাতাইয়া দ্যাখ, আর ভালো কইরা চাইয়্যা দেখ, পুরা কলকাতার জি সিনেমা আর জলসা দ্যাহা যাইবার লাগছে।মাগর তোর এন্টেনা একটু বেকাত্যাড়া আছে। তাই ছবি ঝাপসা মারতাছে। আমগো লগে কনো পাট নিবিনা। বুঝছস,আমরা ঢাকাইয়া পোলা। নামবার ওয়ান ,সাকিব খান। আমরা ভেরি ভেরি ইস্মাট।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৫৩
খেয়া ঘাট বলেছেন:
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৩
শওকত সমুদ্র বলেছেন: আহা!
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৫৩
খেয়া ঘাট বলেছেন:
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ফাটায় দিছেন
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৬
খেয়া ঘাট বলেছেন:
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: খেয়া ঘাট,
জব্বর হয়েছে ।
মাঝের কবিতাগুলো তো দারুন ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৪
খেয়া ঘাট বলেছেন:
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ লাগল!
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১
খেয়া ঘাট বলেছেন:
৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শেষে তো ইজ্জত পাঞ্চার কইরা দিছেন!
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২
খেয়া ঘাট বলেছেন:
৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
শুধু কলকাতা নয়, পৃথিবীরে কেউ আমাদের মপিজের সাথে পারার কথা নয়। এটি আমাদেরই ব্র্যান্ড!
আছেন কীরাম?
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩
খেয়া ঘাট বলেছেন: এটি আমাদেরই ব্র্যান্ড! ++++++++++++++++++++++++++++++
৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মপিজে লাত্থি দিয়া এন্টেনাটা সোজা করলনা ক্যান ?
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: খাইছে............রে...............
৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২০
মোঃ-আনারুল ইসলাম বলেছেন: হা হা হা এককথায় জোশ হয়েছে
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
খেয়া ঘাট বলেছেন:
১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
সুমন কর বলেছেন: বুঝছস,আমরা ঢাকাইয়া পোলা। নামবার ওয়ান ,সাকিব খান। আমরা ভেরি ভেরি ইস্মাট। ----হাহাহা
মজা পেলাম।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫
খেয়া ঘাট বলেছেন:
১১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০০
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: মজা পেলাম ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
খেয়া ঘাট বলেছেন:
১২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন:
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
খেয়া ঘাট বলেছেন:
১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মজা পেলাম। হা হা হা........... । ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন নিরন্তর।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭
খেয়া ঘাট বলেছেন:
১৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮
আমার বাংলা পোষ্ট বলেছেন: কথা ভুল মারলেন কেন? হইবে তো নাম্বার ওয়ান পকেট মার????
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৫
খেয়া ঘাট বলেছেন: সেটাও চলে............
১৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইরাম করি ধূতি খূলপার নাগপে.. তয় যদি আকল ঠিকানাপে আ যায়
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৫
খেয়া ঘাট বলেছেন:
১৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩২
তুষার আহাসান বলেছেন:
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭
খেয়া ঘাট বলেছেন:
১৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৫
সাবলীল মনির বলেছেন: রসময় !
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭
খেয়া ঘাট বলেছেন:
১৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৯
ৈতয়ব খান বলেছেন: ছেই রকম মুনে লাগতাছে....।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
খেয়া ঘাট বলেছেন:
১৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯
প্রামানিক বলেছেন: বাঙ্গালীরা ষোল চুঙা বুদ্ধি রাখে মদনারা পারবে কেমতে। ভাল লাগল ধন্যবাদ
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫২
খেয়া ঘাট বলেছেন:
২০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪০
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: হা হা হা। ঢাকাইয়া পোলা ভেরি ভেরি ইস্মারট
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৫
খেয়া ঘাট বলেছেন:
২১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন:
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৬
খেয়া ঘাট বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৭
শ্মশান বাসী বলেছেন: চমৎকার।